গাজী আব্দুল কুদ্দুস, ডুমুরিয়া, (খুলনা)
ডুমুরিয়ার হাতিটানা নদীর জায়গা দখল করে গড়ে উঠেছে পোলট্রি খামারসহ অর্ধশতাধিক অবৈধ স্থাপনা। এতে বর্ষা মৌসুমে নিম্ন এলাকাগুলোতে ব্যাপকভাবে জলাবদ্ধতা তৈরি হচ্ছে। ফলে ভোগান্তিতে পড়ছে স্থানীয়রা।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, উপজেলার শোভনা ইউনিয়নের মাদারতলা বাজার থেকে মাগুরখালী ইউনিয়নের কোড়াকাটা পর্যন্ত নদীর প্রায় আট কিলোমিটার এলাকার দুই পাশ দিয়ে এসব স্থাপনা গড়ে তুলেছে স্থানীয়রা।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, দেশ স্বাধীনের আগে হাতিটানা নদীর মুখে সালতা নদীর মোহনায় বাঁধ দেয় তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান পানি ও বিদ্যুৎ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (ইপিওয়াপদা)। বর্তমানে এই প্রতিষ্ঠানের নাম বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড। পানি নিষ্কাশনের জন্য বিকল্প হিসেবে সেই থেকে ব্যবহার হয়ে আসছে বাইলহারা স্লুইচগেট। কিন্তু মাদারতলা বাজার থেকে শুরু করে ব্রহ্মারবেড়, ঝরঝরিয়া, শুকোরমারি ও কোড়াকাটা পর্যন্ত নদীর দুই পাশ দিয়ে অবৈধ স্থাপনা গড়ে ওঠায় বর্ষাকালে এসব এলাকায় জলাবদ্ধতা দেখা দেয়।
বাইলহারা গেটের মোহনার কোড়াকাটা এলাকায় নদীটির প্রায় সিংহভাগই অবৈধ দখলে চলে গেছে। স্থানীয়দের অভিযোগ, হেতালবুনিয়া গ্রামের কালিপদ মণ্ডলের ছেলে স্বদেশ মণ্ডল প্রায় এক একর নদীর জমি অবৈধভাবে দখলে নিয়ে সেখানে পাঁচটি পোলট্রি খামার গড়ে তুলেছেন। এতে একদিকে এলাকায় যেমন দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে, অন্যদিকে পানি নিষ্কাশনে বাধা হয়ে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হচ্ছে।
এ ছাড়া স্থানীয় বাসিন্দা বসুন সানা, বিশ্বজিৎ মিস্ত্রিসহ অনেকেই নদী দখল করে স্থাপনা তৈরি করেছেন।
অভিযোগের ব্যাপারে স্বদেশ মণ্ডল বলেন, ‘নদীর জায়গা দখল করেছি ঠিক। তবে সরকার আমাদের আট বছর আগে ৫০ শতক জমি একসনা বন্দোবস্ত দেয়। মূলত সেখানেই পোলট্রি খামার করেছি। পাঁচটি খামারে ৩ হাজার ডিমের মুরগি আছে। এখন আর ডিসিআর দেয় না। সরকার যদি নদী খনন করে, তখন আমার খামার সরিয়ে নেব।’
স্থানীয় বাসিন্দা শিবপদ গাইন বলেন, ‘বর্ষাকালে আমাদের উঠান তলিয়ে যায়। দখলদারদের কারণে নদী দিয়ে পানি সরার কায়দা নেই। আমরা চাই দখলমুক্ত করে নদীটি খনন করা হোক। তাহলে অন্তত ডোবার হাত থেকে বাঁচতে পারব।’
শিক্ষক অমরেন্দু মণ্ডল বলেন, ‘এ অঞ্চলের পানি নিষ্কাশনের একমাত্র পথ এই নদী। অবৈধ দখলদারদের কবলে পড়েছে হাতিটানা নদীটি। বর্তমানে নদীতে পলি জমেছে। আর এর সঙ্গে পাল্লা দিয়ে দখল উৎসবে মেতে উঠেছে কিছু অসাধু মানুষ।’
এ প্রসঙ্গে মাগুরখালী ইউপি চেয়ারম্যান বিমল কৃষ্ণ সানা বলেন, ‘সালতা ও হাতিটানা নদীতে পলি জমায় এবং নদী অবৈধ দখলদারদের কবলে পড়ায় বর্ষা মৌসুমে এলাকায় জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। অবিলম্বে নদী দখলমুক্ত করে খনন করা জরুরি।’
সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. মামুনুর রশীদ বলেন, ‘হাতিটানা নদীর জায়গায় দখল করে যারা অবৈধ স্থাপনা তৈরি করেছে, তাদের বিরুদ্ধে দ্রুত আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’
ডুমুরিয়ার হাতিটানা নদীর জায়গা দখল করে গড়ে উঠেছে পোলট্রি খামারসহ অর্ধশতাধিক অবৈধ স্থাপনা। এতে বর্ষা মৌসুমে নিম্ন এলাকাগুলোতে ব্যাপকভাবে জলাবদ্ধতা তৈরি হচ্ছে। ফলে ভোগান্তিতে পড়ছে স্থানীয়রা।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, উপজেলার শোভনা ইউনিয়নের মাদারতলা বাজার থেকে মাগুরখালী ইউনিয়নের কোড়াকাটা পর্যন্ত নদীর প্রায় আট কিলোমিটার এলাকার দুই পাশ দিয়ে এসব স্থাপনা গড়ে তুলেছে স্থানীয়রা।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, দেশ স্বাধীনের আগে হাতিটানা নদীর মুখে সালতা নদীর মোহনায় বাঁধ দেয় তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান পানি ও বিদ্যুৎ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (ইপিওয়াপদা)। বর্তমানে এই প্রতিষ্ঠানের নাম বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড। পানি নিষ্কাশনের জন্য বিকল্প হিসেবে সেই থেকে ব্যবহার হয়ে আসছে বাইলহারা স্লুইচগেট। কিন্তু মাদারতলা বাজার থেকে শুরু করে ব্রহ্মারবেড়, ঝরঝরিয়া, শুকোরমারি ও কোড়াকাটা পর্যন্ত নদীর দুই পাশ দিয়ে অবৈধ স্থাপনা গড়ে ওঠায় বর্ষাকালে এসব এলাকায় জলাবদ্ধতা দেখা দেয়।
বাইলহারা গেটের মোহনার কোড়াকাটা এলাকায় নদীটির প্রায় সিংহভাগই অবৈধ দখলে চলে গেছে। স্থানীয়দের অভিযোগ, হেতালবুনিয়া গ্রামের কালিপদ মণ্ডলের ছেলে স্বদেশ মণ্ডল প্রায় এক একর নদীর জমি অবৈধভাবে দখলে নিয়ে সেখানে পাঁচটি পোলট্রি খামার গড়ে তুলেছেন। এতে একদিকে এলাকায় যেমন দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে, অন্যদিকে পানি নিষ্কাশনে বাধা হয়ে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হচ্ছে।
এ ছাড়া স্থানীয় বাসিন্দা বসুন সানা, বিশ্বজিৎ মিস্ত্রিসহ অনেকেই নদী দখল করে স্থাপনা তৈরি করেছেন।
অভিযোগের ব্যাপারে স্বদেশ মণ্ডল বলেন, ‘নদীর জায়গা দখল করেছি ঠিক। তবে সরকার আমাদের আট বছর আগে ৫০ শতক জমি একসনা বন্দোবস্ত দেয়। মূলত সেখানেই পোলট্রি খামার করেছি। পাঁচটি খামারে ৩ হাজার ডিমের মুরগি আছে। এখন আর ডিসিআর দেয় না। সরকার যদি নদী খনন করে, তখন আমার খামার সরিয়ে নেব।’
স্থানীয় বাসিন্দা শিবপদ গাইন বলেন, ‘বর্ষাকালে আমাদের উঠান তলিয়ে যায়। দখলদারদের কারণে নদী দিয়ে পানি সরার কায়দা নেই। আমরা চাই দখলমুক্ত করে নদীটি খনন করা হোক। তাহলে অন্তত ডোবার হাত থেকে বাঁচতে পারব।’
শিক্ষক অমরেন্দু মণ্ডল বলেন, ‘এ অঞ্চলের পানি নিষ্কাশনের একমাত্র পথ এই নদী। অবৈধ দখলদারদের কবলে পড়েছে হাতিটানা নদীটি। বর্তমানে নদীতে পলি জমেছে। আর এর সঙ্গে পাল্লা দিয়ে দখল উৎসবে মেতে উঠেছে কিছু অসাধু মানুষ।’
এ প্রসঙ্গে মাগুরখালী ইউপি চেয়ারম্যান বিমল কৃষ্ণ সানা বলেন, ‘সালতা ও হাতিটানা নদীতে পলি জমায় এবং নদী অবৈধ দখলদারদের কবলে পড়ায় বর্ষা মৌসুমে এলাকায় জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। অবিলম্বে নদী দখলমুক্ত করে খনন করা জরুরি।’
সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. মামুনুর রশীদ বলেন, ‘হাতিটানা নদীর জায়গায় দখল করে যারা অবৈধ স্থাপনা তৈরি করেছে, তাদের বিরুদ্ধে দ্রুত আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’
দেশের একমাত্র উৎপাদনশীল দিনাজপুরের বড়পুকুরিয়া কয়লাখনি। খনিটি দেশের উন্নয়নে ব্যাপক ভূমিকা রাখলেও ভাগ্যের উন্নয়ন হয়নি খনি এলাকার বাসিন্দাদের। এ যেন বাতির নিচেই অন্ধকার। খনিতে ২০-২৫ বছর ধরে আউটসোর্সিংয়ের মাধ্যমে ২৭৬ জন কর্মচারী চাকরি করলেও খনি কর্তৃপক্ষের উদাসীনতায় আজও তাঁদের চাকরি স্থায়ী হয়নি...
১ মিনিট আগেবগুড়ায় কাভার্ড ভ্যানের ধাক্কায় সিএনজিচালিত অটোরিকশার চালাক ও এক যাত্রী নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন তিনজন। আজ রোববার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে বগুড়া-নাটোর মহাসড়কে নন্দীগ্রাম উপজেলার কুন্দারহাট এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে।
৬ মিনিট আগেরাজধানীর উত্তরায় মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে বিমানবাহিনীর যুদ্ধবিমান বিধ্বস্তে দগ্ধ হয়ে মারা যাওয়া আয়া মাসুমাকে ভোলার বোরহানউদ্দিনে তাদের পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে। আজ রোববার (২৭ জুলাই) সকাল সাড়ে ৯টায় নিজ এলাকায় তাঁর জানাজা শেষে বোরহানউদ্দিন উপজেলার বড় মানিকা ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডে দাফন
১২ মিনিট আগেনোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জে পুকুরে ডুবে ইব্রাহিম ও নাদিম নামের দুই শিশু মারা গেছে। তারা সম্পর্কে চাচাতো ভাই। আজ রোববার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে উপজেলার চরপার্বতী ইউনিয়নের রবিউল লালের বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।
১৪ মিনিট আগে