মেহেরপুর (খুলনা) প্রতিনিধি
মেহেরপুরে করোনা শনাক্তের হার নিম্নমুখী। কয়েক দিন আগে শনাক্তের হার ছিল ৫০-এর কাছাকাছি। এখন তা নেমে এসে দাঁড়িয়েছে ৩৮ দশমিক ৪৬ শতাংশে। করোনার তৃতীয় ঢেউয়ে শনাক্তের হার বেশি হলেও রোগীদের শারীরিক জটিলতা কম। ফলে হাসপাতালে ভর্তির সংখ্যা একবারেই কম। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, জেলার বেশির ভাগ মানুষ টিকা নেওয়ার ফলে করোনায় আক্রান্ত হচ্ছেন কম।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে ৭০ শতাংশ মানুষ যদি দ্বিতীয় ডোজের টিকা নিয়ে থাকেন, তাঁদের মধ্যে হার্ড ইমিউনিটি তৈরি হয়। যে কারণে করোনায় আক্রান্ত হলেও জটিল পর্যায়ে যাওয়া রোগীর সংখ্যা কম হবে।
জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের তথ্য থেকে জানা যায়, জেলায় এ পর্যন্ত করোনার প্রথম ডোজের টিকা নিয়েছেন ৫ লাখ ১৪ হাজার ৩৩৯ জন। টিকা নেওয়ার হার ৬৯ দশমিক ৩৪ শতাংশ। দ্বিতীয় ডোজের টিকা নিয়েছেন ৩ লাখ ৯৪ হাজার ৩৩ জন, যার হার দাঁড়ায় ৪৯ দশমিক ৩৬ শতাংশ। বুস্টার ডোজ নিয়েছেন ৭ হাজার ৫০০ জন।
এ বিষয়ে সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. অলোক কুমার দাস বলেন, ‘তৃতীয় ঢেউয়ে এখন পর্যন্ত জেলা মৃত্যুশূন্য। আবার হাসপাতালে রোগী ভর্তির সংখ্যা কম। বাড়িতে চিকিৎসা নিয়ে রোগীরা সুস্থ হয়ে উঠছেন। এর প্রধান কারণ হচ্ছে করোনার টিকার প্রদানের দিক থেকে মেহেরপুর জেলা অনেক এগিয়ে। ফলে সাধারণ মানুষের মধ্যে তৈরি হয়েছে হার্ড ইমিউনিটি। এতে করোনায় আক্রান্ত হলেও রোগীরা ভোগান্তিতে পড়ছেন না।’
ডা. অলোক কুমার দাস আরও বলেন, ‘এখন বেশির ভাগ মানুষ ওমিক্রনে আক্রান্ত হচ্ছেন। ওমিক্রন ডেলটার চাইতে ভয়ংকর নয়। ডেলটা সরাসরি ফুসফুসের ভেতরের ক্ষুদ্রতম অংশকে আক্রান্ত করে। ফলে রোগী দ্রুত অসুস্থ হয়ে পড়ে। এতে অক্সিজেনর মাত্রা একেবারেই নিচে নেমে আসে। তখন রোগীদের অক্সিজেন সাপোর্ট দিয়েও অনেক সময় বাঁচানো সম্ভব হয় না। অন্যদিকে ওমিক্রন রোগীদের ফুসফুসের উপরিভাগ অংশকে আক্রান্ত করে, যে কারণে রোগীদের শ্বাসকষ্ট কম হয়। বাড়িতে চিকিৎসা নিয়ে দুই-তিন দিনের মধ্যে তাঁরা সুস্থ হয়ে যাচ্ছেন। এটি আস্তে আস্তে ফ্লু ভাইরাসে রূপ নিচ্ছে। তবে ওমিক্রন ডেলটার চাইতে সাত গুণ বেশি সংক্রামক। সাধারণ মানুষের মধ্যে এই ভাইরাস দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে। ফলে মানুষকে সচেতন হতে হবে। না হলে হঠাৎ করে মৃত্যু বেড়ে যেতে পারে।’
সিভিল সার্জন ডা. জাওয়াহেরুল আনাম সিদ্দিকী বলেন, ‘আমরা চেষ্টাই ছিলাম কীভাবে মানুষকে হার্ড ইমিউনিটির আওতায় আনা যায়। সে লক্ষ্যে কাজ করছে জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ। মানুষকে টিকা গ্রহণে উৎসাহিত করার চেষ্টা করছি। এই কার্যক্রমে আমরা সফলও হয়েছি। শুধু যাঁরা কিডনি, ক্যানসার, হৃদ্রোগসহ জটিল রোগে আক্রান্ত, তাঁরা হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছেন। এ পর্যন্ত হাসপাতাল থেকে মাত্র দুজন জটিল রোগী অন্যত্র পাঠানো হয়েছে। তাঁরা হৃদ্রোগসহ জটিল রোগে আক্রান্ত ছিলেন। তাঁদের চিকিৎসা দেওয়ার পর্যাপ্ত সুযোগ-সুবিধা আমাদের হাসপাতালগুলোতে নেই। এ ছাড়া ৭০ শতাংশ মানুষ প্রথম ডোজ টিকার আওতায় এসেছে। কিছু মানুষ টিকা নিতে আগ্রহ দেখাচ্ছে না। আমরা চেষ্টা করছি গ্রামে গ্রামে গিয়ে তাদের টিকার আওতায় আনার। তাহলেই সাধারণ মানুষের মধ্যে পূর্ণাঙ্গ হার্ড ইমিউনিটি তৈরি হবে।’
মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘করোনার তৃতীয় ঢেউয়ে হাসপাতালে রোগীরা ভর্তি হচ্ছেন খুবই কম। জেলার অধিকাংশ মানুষের টিকা নেওয়া আছে। ফলে হাসপাতালে ভর্তি হলেও অক্সিজেন সাপোর্ট লাগছে না।’
গাংনী উপজেলার ষোলটাকা গ্রামের দিনমজুর তরিকল ইসলাম বলেন, ‘এখনো টিকা নেওয়া হয়নি। সুযোগ-সুবিধা পেলে টিকা নিয়ে নেব। তবে টিকা না নিলেও এখন পর্যন্ত আমি করোনায় আক্রান্ত হয়নি। করোনায় আমাদের কিছুই হবে না।’
শহরের কাজি অফিসপাড়ার ২৩ বছর বয়সী তৌহিদুল ইসলাম তুহিন বলেন, ‘টিকাকেন্দ্রে যাব যাব করে যাওয়া হয়নি। এখন ভাবছি টিকা নেওয়া দরকার। দু-এক দিনের মধ্যে টিকা নিয়ে নেব।’
জেলায় এখন করোনা রোগীর সংখ্যা ২৩৫। নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ২৫ জন। হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন মাত্র সাতজন রোগী। নতুন করে সুস্থ হয়ে উঠেছে ১৩ জন। তাঁরা সবাই সদর উপজেলার বাসিন্দা।
মেহেরপুরে করোনা শনাক্তের হার নিম্নমুখী। কয়েক দিন আগে শনাক্তের হার ছিল ৫০-এর কাছাকাছি। এখন তা নেমে এসে দাঁড়িয়েছে ৩৮ দশমিক ৪৬ শতাংশে। করোনার তৃতীয় ঢেউয়ে শনাক্তের হার বেশি হলেও রোগীদের শারীরিক জটিলতা কম। ফলে হাসপাতালে ভর্তির সংখ্যা একবারেই কম। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, জেলার বেশির ভাগ মানুষ টিকা নেওয়ার ফলে করোনায় আক্রান্ত হচ্ছেন কম।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে ৭০ শতাংশ মানুষ যদি দ্বিতীয় ডোজের টিকা নিয়ে থাকেন, তাঁদের মধ্যে হার্ড ইমিউনিটি তৈরি হয়। যে কারণে করোনায় আক্রান্ত হলেও জটিল পর্যায়ে যাওয়া রোগীর সংখ্যা কম হবে।
জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের তথ্য থেকে জানা যায়, জেলায় এ পর্যন্ত করোনার প্রথম ডোজের টিকা নিয়েছেন ৫ লাখ ১৪ হাজার ৩৩৯ জন। টিকা নেওয়ার হার ৬৯ দশমিক ৩৪ শতাংশ। দ্বিতীয় ডোজের টিকা নিয়েছেন ৩ লাখ ৯৪ হাজার ৩৩ জন, যার হার দাঁড়ায় ৪৯ দশমিক ৩৬ শতাংশ। বুস্টার ডোজ নিয়েছেন ৭ হাজার ৫০০ জন।
এ বিষয়ে সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. অলোক কুমার দাস বলেন, ‘তৃতীয় ঢেউয়ে এখন পর্যন্ত জেলা মৃত্যুশূন্য। আবার হাসপাতালে রোগী ভর্তির সংখ্যা কম। বাড়িতে চিকিৎসা নিয়ে রোগীরা সুস্থ হয়ে উঠছেন। এর প্রধান কারণ হচ্ছে করোনার টিকার প্রদানের দিক থেকে মেহেরপুর জেলা অনেক এগিয়ে। ফলে সাধারণ মানুষের মধ্যে তৈরি হয়েছে হার্ড ইমিউনিটি। এতে করোনায় আক্রান্ত হলেও রোগীরা ভোগান্তিতে পড়ছেন না।’
ডা. অলোক কুমার দাস আরও বলেন, ‘এখন বেশির ভাগ মানুষ ওমিক্রনে আক্রান্ত হচ্ছেন। ওমিক্রন ডেলটার চাইতে ভয়ংকর নয়। ডেলটা সরাসরি ফুসফুসের ভেতরের ক্ষুদ্রতম অংশকে আক্রান্ত করে। ফলে রোগী দ্রুত অসুস্থ হয়ে পড়ে। এতে অক্সিজেনর মাত্রা একেবারেই নিচে নেমে আসে। তখন রোগীদের অক্সিজেন সাপোর্ট দিয়েও অনেক সময় বাঁচানো সম্ভব হয় না। অন্যদিকে ওমিক্রন রোগীদের ফুসফুসের উপরিভাগ অংশকে আক্রান্ত করে, যে কারণে রোগীদের শ্বাসকষ্ট কম হয়। বাড়িতে চিকিৎসা নিয়ে দুই-তিন দিনের মধ্যে তাঁরা সুস্থ হয়ে যাচ্ছেন। এটি আস্তে আস্তে ফ্লু ভাইরাসে রূপ নিচ্ছে। তবে ওমিক্রন ডেলটার চাইতে সাত গুণ বেশি সংক্রামক। সাধারণ মানুষের মধ্যে এই ভাইরাস দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে। ফলে মানুষকে সচেতন হতে হবে। না হলে হঠাৎ করে মৃত্যু বেড়ে যেতে পারে।’
সিভিল সার্জন ডা. জাওয়াহেরুল আনাম সিদ্দিকী বলেন, ‘আমরা চেষ্টাই ছিলাম কীভাবে মানুষকে হার্ড ইমিউনিটির আওতায় আনা যায়। সে লক্ষ্যে কাজ করছে জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ। মানুষকে টিকা গ্রহণে উৎসাহিত করার চেষ্টা করছি। এই কার্যক্রমে আমরা সফলও হয়েছি। শুধু যাঁরা কিডনি, ক্যানসার, হৃদ্রোগসহ জটিল রোগে আক্রান্ত, তাঁরা হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছেন। এ পর্যন্ত হাসপাতাল থেকে মাত্র দুজন জটিল রোগী অন্যত্র পাঠানো হয়েছে। তাঁরা হৃদ্রোগসহ জটিল রোগে আক্রান্ত ছিলেন। তাঁদের চিকিৎসা দেওয়ার পর্যাপ্ত সুযোগ-সুবিধা আমাদের হাসপাতালগুলোতে নেই। এ ছাড়া ৭০ শতাংশ মানুষ প্রথম ডোজ টিকার আওতায় এসেছে। কিছু মানুষ টিকা নিতে আগ্রহ দেখাচ্ছে না। আমরা চেষ্টা করছি গ্রামে গ্রামে গিয়ে তাদের টিকার আওতায় আনার। তাহলেই সাধারণ মানুষের মধ্যে পূর্ণাঙ্গ হার্ড ইমিউনিটি তৈরি হবে।’
মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘করোনার তৃতীয় ঢেউয়ে হাসপাতালে রোগীরা ভর্তি হচ্ছেন খুবই কম। জেলার অধিকাংশ মানুষের টিকা নেওয়া আছে। ফলে হাসপাতালে ভর্তি হলেও অক্সিজেন সাপোর্ট লাগছে না।’
গাংনী উপজেলার ষোলটাকা গ্রামের দিনমজুর তরিকল ইসলাম বলেন, ‘এখনো টিকা নেওয়া হয়নি। সুযোগ-সুবিধা পেলে টিকা নিয়ে নেব। তবে টিকা না নিলেও এখন পর্যন্ত আমি করোনায় আক্রান্ত হয়নি। করোনায় আমাদের কিছুই হবে না।’
শহরের কাজি অফিসপাড়ার ২৩ বছর বয়সী তৌহিদুল ইসলাম তুহিন বলেন, ‘টিকাকেন্দ্রে যাব যাব করে যাওয়া হয়নি। এখন ভাবছি টিকা নেওয়া দরকার। দু-এক দিনের মধ্যে টিকা নিয়ে নেব।’
জেলায় এখন করোনা রোগীর সংখ্যা ২৩৫। নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ২৫ জন। হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন মাত্র সাতজন রোগী। নতুন করে সুস্থ হয়ে উঠেছে ১৩ জন। তাঁরা সবাই সদর উপজেলার বাসিন্দা।
৮৮২ কোটি টাকা ব্যয়ে ১০৬ কিলোমিটার দিনাজপুর-গোবিন্দগঞ্জ আঞ্চলিক মহাসড়ক নির্মাণ করে সড়ক ও জনপথ (সওজ)। চার বছর যেতে না যেতেই সড়কটির বিভিন্ন স্থান দেবে গিয়ে সৃষ্টি হয়েছে উঁচু-নিচু ঢেউ। যেন রীতিমতো জমির আলপথের মতো অবস্থা। এতে সড়কটি দিয়ে যাহনবাহনগুলোকে ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করতে হচ্ছে।
২৩ মিনিট আগেঅনিয়ম যেন পিছু ছাড়ছে না ঢাকা ওয়াসার গন্ধবপুর পানি শোধনাগার প্রকল্পে। কমবেশি ৩ হাজার ৯৪ কোটি টাকার এই প্রকল্পের কাজ এখনো চলমান। মূল প্রকল্পের আওতায় প্রায় ৮০০ কোটি টাকা ব্যয়ে ২৩ কিলোমিটার পানি সরবরাহের পাইপ কিনে বসানো হয়েছিল আগেই। এ পাইপ কেনাকাটায় উঠেছে অনিয়মের অভিযোগ। চীনের একটি আদালতে সংশ্লিষ্টদের ম
১ ঘণ্টা আগেখুলনা জেলায় তিন ফসলি উর্বর জমির প্রায় ৫১০ হেক্টরে চাষাবাদ হয় নানা জাতের শস্য। এসবের মধ্যে ধান, গম, আখ, সরিষা, তিল, ভুট্টা, তরমুজ, বাঙ্গি, ঢেঁড়স এবং বিভিন্ন সবজি অন্যতম। তবে চাষিদের বড় দুঃখের কারণ আঠারোবাঁকি নদী। অবৈধ ইটভাটার দাপটে এই নদীর স্বাভাবিক প্রবাহ বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। তার প্রভাব পড়ছে শ্রীরামপুর
২ ঘণ্টা আগেসিলেটে ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা সহকারী (ইউএফপিএ) মো. জাহাঙ্গীর আলমের দাপটে তাঁর স্ত্রী ফেঞ্চুগঞ্জ সদর ক্লিনিকের পরিবারকল্যাণ পরিদর্শিকা (এফডব্লিউভি) জোহরা বেগমও বেপরোয়া। সব অনিয়মই তাঁর কাছে নিয়ম। এ রকম আরও অভিযোগ পাওয়া গেছে তাঁর সহকর্মী ও এলাকাবাসীর কাছ থেকে।
২ ঘণ্টা আগে