Ajker Patrika

কুয়েটে হামলায় জড়িতদের সুষ্ঠু বিচার নিশ্চিত না হলে পাঠদানে ফিরবেন না শিক্ষকেরা

খুলনা প্রতিনিধি
আপডেট : ২০ এপ্রিল ২০২৫, ১৫: ৪০
ছবি: সংগৃহীত
ছবি: সংগৃহীত

গত ১৮ ফেব্রুয়ারি বহিরাগত সন্ত্রাসী কর্তৃক শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা ও আহত করা, ভিসিসহ শিক্ষকদের লাঞ্ছিত এবং প্রতিটি বিশৃঙ্খল ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের সুষ্ঠু বিচার নিশ্চিত না হলে শিক্ষকেরা পাঠদানে ফিরবেন না বলে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির জরুরি সাধারণ সভায় সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

এ ছাড়া ওই সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী অনুমাননির্ভর ও বাস্তবসম্মত নয় এমন মিথ্যা অভিযোগ তুলে ভিসির পদত্যাগ দাবি করা এবং ক্যাম্পাসে অস্থিতিশীল পরিবেশ তৈরি করা সম্পূর্ণ অযৌক্তিক বলে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ভিসির পদত্যাগের এক দফা দাবি প্রত্যাখ্যান করা হয়।

একই সঙ্গে ওই সভায় শিক্ষককে লাঞ্ছিত করার ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের এমই বিভাগের অধ্যাপক আব্দুল্লা আল ফারুককে সভাপতি করে পাঁচ সদস্যবিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়।

১৮ ফেব্রুয়ারি খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (কুয়েট) ক্যাম্পাসে বহিরাগত সন্ত্রাসীরা শিক্ষার্থীদের ওপর নৃশংস হামলা ও নির্মমভাবে আহত করার ঘটনায় এবং বর্তমান বিশ্ববিদ্যালয়ের চলমান পরিস্থিতি নিয়ে (১৭ এপ্রিল) কুয়েট শিক্ষক সমিতির জরুরি সভায় এসব সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।

সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. সাহিদুর রহমান ও সাধারণ সম্পাদক ড. মো. ফারুক হোসেন স্বাক্ষরিত সভার কার্যবিবরণীতে উল্লেখ করেন, শিক্ষক সমিতির চতুর্থ সাধারণ (জরুরি) সভায় উপস্থিত সদস্যরা প্রতিটি ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের সুষ্ঠু বিচার নিশ্চিত করার দাবি জানান। অন্যথায় শিক্ষকদের পাঠদানে ফিরে যাওয়া সম্ভব নয় বলে মত প্রকাশ করেন।

আজ রোববার পাঠানো এক বিবৃতিতে এ সভার সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়েছে।

একই সঙ্গে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ঘটনা ঘটিয়ে কেউ যেন ভবিষ্যতে ফ্যাসিবাদ কায়েম করতে না পারে, সে জন্য শিক্ষকদের মধ্যে ঐক্য বজায় থাকবে এবং পরবর্তীতে কোনো স্বার্থান্বেষী কাউকে সহযোগিতা করা হবে না বলে দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।

সভার সিদ্ধান্ত—

ক. সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী অনুমাননির্ভর ও বাস্তবসম্মত নয় এমন মিথ্যা অভিযোগ তুলে ভিসির পদত্যাগ দাবি করা এবং ক্যাম্পাসে অস্থিতিশীল পরিবেশ তৈরি করা সম্পূর্ণ অযৌক্তিক বলে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ভিসির পদত্যাগের এক দফা দাবি প্রত্যাখ্যান করা হয়।

খ. প্রতিটি বিশৃঙ্খলার সঙ্গে জড়িত ভিসিসহ সম্মানিত শিক্ষকদের লাঞ্ছিত করার ঘটনার সঙ্গে জড়িত সবাইকে চিহ্নিত করে সুষ্ঠু বিচারের দাবি জানানো হয়। অন্যথায় শিক্ষকেরা সব ধনের একাডেমিক কার্যক্রম থেকে বিরত থাকবেন।

গ. শিক্ষকদের লাঞ্ছিত করার ঘটনায় পাঁচ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়। কমিটির সদস্যরা শিক্ষকদের শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করা ও তাঁদের সাইবার বুলিংয়ের প্রতিটি ঘটনার তথ্য-প্রমাণ সংগ্রহপূর্বক একটি সুস্পষ্ট প্রতিবেদন এবং পরবর্তীতে এর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট দোষীদের বিচারের জন্য প্রশাসনের কাছে উপস্থাপনের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।

কমিটির সদস্যরা হলেন—সিএসই বিভাগের অধ্যাপক আবদুল আজিজ, আইইপিটি বিভাগের প্রভাষক নাহইয়ান আহনাফ প্রতীক, টিই বিভাগের প্রভাষক কানিজ ফাতেমা মিশফা ও আইপিই বিভাগের প্রভাষক জাহিদ হাসান আশিক।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত