Ajker Patrika

কুয়েটে সংঘর্ষ: তদন্ত কমিটিতে আস্থা রাখার অনুরোধ উপদেষ্টার, নাকচ শিক্ষার্থীদের

খুলনা প্রতিনিধি
আপডেট : ২৩ এপ্রিল ২০২৫, ১৪: ৩৪
কুয়েট অনশনরত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলেন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সি আর আবরার। ছবি: আজকের পত্রিকা
কুয়েট অনশনরত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলেন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সি আর আবরার। ছবি: আজকের পত্রিকা

খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুয়েট) সংঘর্ষের ঘটনায় তদন্ত কমিটির ওপর আস্থা রেখে অনশন কর্মসূচি প্রত্যাহার করতে শিক্ষার্থীদের অনুরোধ করেছেন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সি আর আবরার।

আজ বুধবার সকালে উপদেষ্টা কুয়েটে আসেন এবং গত সোমবার বিকেল থেকে অনশনরত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আলোচনা করেন। কিন্তু তাঁরা জানিয়েছেন, উপাচার্যের পদত্যাগ ছাড়া তাঁরা আমরণ অনশন কর্মসূচি প্রত্যাহার করবেন না।

উপদেষ্টা আবরার সকাল পৌনে ১০টার দিকে কুয়েটে যান। তিনি শিক্ষার্থীদের দাবি শোনেন এবং তাঁদের অনশন ভঙ্গ করে আইনের ওপর আস্থা রাখার অনুরোধ করেন। তিনি বলেন, তদন্ত কমিটি করা হয়েছে। কমিটি দ্রুত সময়ের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দেবে। সেই অনুযায়ী জড়িতদের বিচারের আওতায় আনা হবে। তবে শিক্ষার্থীরা উপদেষ্টার আশ্বাসে আশ্বস্ত না হয়ে কুয়েট উপাচার্যকে অপসারণ না করা পর্যন্ত কর্মসূচি চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেন।

উপদেষ্টা এ সময় অনশনে অসুস্থ শিক্ষার্থীদের দ্রুত চিকিৎসাকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়ার অনুরোধ করেন। পরে তিনি শিক্ষক প্রতিনিধিদের সঙ্গে কথা বলেন।

এদিকে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের তিন সদস্যের কমিটি এসে সকাল সাড়ে ১০টা থেকে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলছে।

ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধ করার দাবি নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে ১৮ ফেব্রুয়ারি কুয়েটে সংঘর্ষ হয়। এতে অনেকে আহত হন। এ ঘটনায় ২৫ ফেব্রুয়ারি সিন্ডিকেট সভায় অনির্দিষ্টকালের জন্য একাডেমিক কার্যক্রম ও হল বন্ধ ঘোষণা করা হয়। কর্তৃপক্ষের নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে ১৩ এপ্রিল বন্ধ থাকা কুয়েট ক্যাম্পাসে প্রবেশ করেন শিক্ষার্থীরা।

এমন অবস্থার মধ্যে ১৪ এপ্রিল রাতে জরুরি সিন্ডিকেট সভা করে সহিংসতার ঘটনায় ৩৭ শিক্ষার্থীকে সাময়িক বহিষ্কার করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। এ ছাড়া বন্ধ থাকা শিক্ষা কার্যক্রম ৪ মে এবং আবাসিক হলগুলো ২ মে খোলার ঘোষণা দেওয়া হয়।

এই সিদ্ধান্ত প্রত্যাখ্যান করে রাতেই প্রশাসনিক ভবনের সামনে অবস্থান নেন শিক্ষার্থীরা। তাঁরা পরদিন ১৫ এপ্রিল দুপুরে একের পর এক হলের তালা ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করেন। সেই সঙ্গে উপাচার্য অপসারণের এক দফা দাবিতে আন্দোলনে নামেন। শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, ছাত্রদলের নেতা-কর্মী ও বহিরাগতরা ১৮ ফেব্রুয়ারি শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা চালালেও উপাচার্য নিরাপত্তা দিতে পারেননি। উলটো ২২ শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে ক্যাম্পাসের বাইরের একজন আদালতে মামলা করেছেন। এ ছাড়া ৩৭ শিক্ষার্থীকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে। এর মধ্যে হামলাকারী নন, বরং আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীর সংখ্যাই বেশি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত