যশোরের মনিরামপুরের ধলিগাতী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক হাবিবুর রহমানকে সাময়িক বহিষ্কারের প্রতিবাদে ক্লাস বর্জন করেছে শিক্ষার্থীরা। আজ রোববার বিদ্যালয়ে আসার পর তারা ক্লাস বর্জন করে বিক্ষোভ করেছে। শিক্ষার্থীদের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করেছেন কয়েকজন অভিভাবক। প্রিয় শিক্ষক হাবিবুর রহমানকে না নিয়ে তারা শ্রেণিকক্ষে ঢুকবে না বলে আন্দোলন করেছে।
এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মোয়াজ্জেম হোসেন।
প্রধান শিক্ষক মোয়াজ্জেম হোসেন বলেন, ‘সকাল থেকে বাচ্চারা ক্লাস করেনি। তারা হাবিব স্যারকে ছাড়া ক্লাসে ঢুকবে না বলে জানিয়েছে। এরপর দুপুর ১২টা পর্যন্ত বাইরে অবস্থান করে বাচ্চারা বিদ্যালয় থেকে চলে গেছে। কয়েকজন অভিভাবক বাচ্চাদের সঙ্গে একমত পোষণ করেছেন।’
প্রধান শিক্ষক আরও বলেন, ‘আমি আজ রোববার দুপুর ১টার দিকে দায়িত্ব পেয়েছি। নতুন দায়িত্ব পাওয়ায় ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কারও মোবাইল নম্বর আমার কাছে ছিল না। এ জন্য শিক্ষার্থীদের ক্লাস বর্জনের বিষয়টি কাউকে জানাতে পারিনি।’
ধলিগাতী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের অভিভাবক সদস্য রাসেল বাবু বলেন, ‘আমার দুই সন্তান এই বিদ্যালয়ে পড়ে। আমি নিজেও সেখানকার ছাত্র ছিলাম। হাবিব স্যার আমাদের সবার প্রিয়। তাঁকে অবৈধভাবে বহিষ্কার করা হয়েছে। হাবিব স্যার না ফেরা পর্যন্ত আমরা বাচ্চা বিদ্যালয়ে পাঠাব না। আগামীকাল (সোমবার) বিকেলে আমরা এলাকাবাসী এ বহিষ্কারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাতে বিদ্যালয় মাঠে সভা ডেকেছি। সেখানে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেব।’
এদিকে বহিষ্কারের বিষয়ে ভিন্ন বক্তব্য দিয়েছেন শিক্ষক হাবিবুর রহমান (বহিষ্কৃত) ও পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি।
সহকারী প্রধান শিক্ষক হাবিবুর রহমান বলেন, ‘আমি বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক। প্রধান শিক্ষক অবসরে যাওয়ায় চলতি বছরের ৯ ফেব্রুয়ারি আমি ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব পাই। বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষকসহ একজন সহকারীর পদ খালি আছে। কমিটি টাকার বিনিময়ে পদ দুটিতে নিয়োগ দিতে চান। আমি তাতে রাজি না।’
শিক্ষক হাবিবুর রহমান আরও বলেন, ‘বর্তমান কমিটির বিরুদ্ধে আদালতে মামলা চলছে। আদালত আমার বক্তব্য জানতে চাইলে লিখিতভাবে আমি তা পেশ করেছি। আমার নিরপেক্ষ প্রতিবেদন কমিটির বিরুদ্ধে যাওয়ায় চলতি মাসের ৮ তারিখ (বৃহস্পতিবার) তাঁরা আমাকে বহিষ্কার করেছেন।’
অভিযোগের বিষয়ে বিদ্যালয়ের সভাপতি ইলিয়াস হোসেন সুমন বলেন, ‘সহকারী প্রধান শিক্ষক হাবিবুর রহমান আদালতে কমিটির বিরুদ্ধে কথা বলেছেন। এ ছাড়া তিনি কমিটিকে না জানিয়ে সহকারী এক শিক্ষিকার বেতন আটকে রেখেছেন। তাঁর বিরুদ্ধে অর্থ কেলেঙ্কারির অভিযোগ আছে। এসব কারণে আমরা তাঁকে দুই দফা কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছি। জবাব সন্তোষজনক না হওয়ায় তাঁকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে।’
সভাপতি সুমন আরও বলেন, ‘কয়েকজন বহিরাগতকে ইন্ধন দিয়ে হাবিব মাস্টার বিদ্যালয়ে বিশৃঙ্খলা করিয়েছেন।’
এ বিষয়ে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা বিকাশ চন্দ্র সরকার বলেন, ‘ধলিগাতী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ক্লাস বর্জনের বিষয়টি জানা ছিল না। আগামীকাল সোমবার আমি সরেজমিনে বিদ্যালয়ে যাব।’
যশোরের মনিরামপুরের ধলিগাতী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক হাবিবুর রহমানকে সাময়িক বহিষ্কারের প্রতিবাদে ক্লাস বর্জন করেছে শিক্ষার্থীরা। আজ রোববার বিদ্যালয়ে আসার পর তারা ক্লাস বর্জন করে বিক্ষোভ করেছে। শিক্ষার্থীদের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করেছেন কয়েকজন অভিভাবক। প্রিয় শিক্ষক হাবিবুর রহমানকে না নিয়ে তারা শ্রেণিকক্ষে ঢুকবে না বলে আন্দোলন করেছে।
এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মোয়াজ্জেম হোসেন।
প্রধান শিক্ষক মোয়াজ্জেম হোসেন বলেন, ‘সকাল থেকে বাচ্চারা ক্লাস করেনি। তারা হাবিব স্যারকে ছাড়া ক্লাসে ঢুকবে না বলে জানিয়েছে। এরপর দুপুর ১২টা পর্যন্ত বাইরে অবস্থান করে বাচ্চারা বিদ্যালয় থেকে চলে গেছে। কয়েকজন অভিভাবক বাচ্চাদের সঙ্গে একমত পোষণ করেছেন।’
প্রধান শিক্ষক আরও বলেন, ‘আমি আজ রোববার দুপুর ১টার দিকে দায়িত্ব পেয়েছি। নতুন দায়িত্ব পাওয়ায় ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কারও মোবাইল নম্বর আমার কাছে ছিল না। এ জন্য শিক্ষার্থীদের ক্লাস বর্জনের বিষয়টি কাউকে জানাতে পারিনি।’
ধলিগাতী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের অভিভাবক সদস্য রাসেল বাবু বলেন, ‘আমার দুই সন্তান এই বিদ্যালয়ে পড়ে। আমি নিজেও সেখানকার ছাত্র ছিলাম। হাবিব স্যার আমাদের সবার প্রিয়। তাঁকে অবৈধভাবে বহিষ্কার করা হয়েছে। হাবিব স্যার না ফেরা পর্যন্ত আমরা বাচ্চা বিদ্যালয়ে পাঠাব না। আগামীকাল (সোমবার) বিকেলে আমরা এলাকাবাসী এ বহিষ্কারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাতে বিদ্যালয় মাঠে সভা ডেকেছি। সেখানে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেব।’
এদিকে বহিষ্কারের বিষয়ে ভিন্ন বক্তব্য দিয়েছেন শিক্ষক হাবিবুর রহমান (বহিষ্কৃত) ও পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি।
সহকারী প্রধান শিক্ষক হাবিবুর রহমান বলেন, ‘আমি বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক। প্রধান শিক্ষক অবসরে যাওয়ায় চলতি বছরের ৯ ফেব্রুয়ারি আমি ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব পাই। বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষকসহ একজন সহকারীর পদ খালি আছে। কমিটি টাকার বিনিময়ে পদ দুটিতে নিয়োগ দিতে চান। আমি তাতে রাজি না।’
শিক্ষক হাবিবুর রহমান আরও বলেন, ‘বর্তমান কমিটির বিরুদ্ধে আদালতে মামলা চলছে। আদালত আমার বক্তব্য জানতে চাইলে লিখিতভাবে আমি তা পেশ করেছি। আমার নিরপেক্ষ প্রতিবেদন কমিটির বিরুদ্ধে যাওয়ায় চলতি মাসের ৮ তারিখ (বৃহস্পতিবার) তাঁরা আমাকে বহিষ্কার করেছেন।’
অভিযোগের বিষয়ে বিদ্যালয়ের সভাপতি ইলিয়াস হোসেন সুমন বলেন, ‘সহকারী প্রধান শিক্ষক হাবিবুর রহমান আদালতে কমিটির বিরুদ্ধে কথা বলেছেন। এ ছাড়া তিনি কমিটিকে না জানিয়ে সহকারী এক শিক্ষিকার বেতন আটকে রেখেছেন। তাঁর বিরুদ্ধে অর্থ কেলেঙ্কারির অভিযোগ আছে। এসব কারণে আমরা তাঁকে দুই দফা কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছি। জবাব সন্তোষজনক না হওয়ায় তাঁকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে।’
সভাপতি সুমন আরও বলেন, ‘কয়েকজন বহিরাগতকে ইন্ধন দিয়ে হাবিব মাস্টার বিদ্যালয়ে বিশৃঙ্খলা করিয়েছেন।’
এ বিষয়ে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা বিকাশ চন্দ্র সরকার বলেন, ‘ধলিগাতী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ক্লাস বর্জনের বিষয়টি জানা ছিল না। আগামীকাল সোমবার আমি সরেজমিনে বিদ্যালয়ে যাব।’
কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ীতে বিলে শাপলা তুলতে গিয়ে পানিতে ডুবে ষষ্ঠ শ্রেণির দুই শিক্ষার্থী মারা গেছে। গতকাল সোমবার বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে উপজেলার সদর ইউনিয়নের উত্তর কুটিচন্দ্রখানা এলাকায় ঘটনা ঘটে। সন্ধ্যায় তাদের মরদেহ উদ্ধার করে পরিবারের লোকজন।
৬ মিনিট আগেসোমবার জামালপুর ও ময়মনসিংহে জুলাই পথযাত্রা করেন এনসিপি। আজ মঙ্গলবার বেলা ১১টায় টাঙ্গাইল শহরের নিরালার মোড়ে পথসভা করবে দলটি। এ জন্য সফরে থাকা দলটির নেতার গতকাল রাতেই টাঙ্গাইলে আসেন। তাঁরা পৌঁছে ভাসানীর মাজারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। এর মধ্য দিয়ে এনসিপির টাঙ্গাইলের পদযাত্রা শুরু করা হয়েছে বলে দলটির
৪৪ মিনিট আগেআগুনে দগ্ধ রোগীদের শারীরিক আঘাতের সঙ্গে সঙ্গে প্রবল মানসিক ধাক্কাও সইতে হয়। শিশুদের ক্ষেত্রে মানসিক আঘাতের মাত্রাটা বেশি। রাজধানীর মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে যুদ্ধবিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় আহত শিশুদের ক্ষেত্রেও তার ব্যতিক্রম হয়নি। হঠাৎ বিমান ধসে আগুন ধরে যাওয়া, চোখের সামনে সহপাঠীদের...
৮ ঘণ্টা আগেগাজীপুরের শ্রীপুরে মাত্র দুটি বৈদ্যুতিক বাল্ব, দুটি সিলিং ফ্যান ও একটি ফ্রিজ চালিয়ে ঝালমুড়ি বিক্রেতা মো. আবদুল মান্নানের বাড়িতে এক মাসের বিদ্যুৎ বিল এসেছে ১০ লাখ ৯২ হাজার ৮৬৪ টাকা। এ ‘ভুতুড়ে বিল’ পেয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন ভুক্তভোগী। ঘটনায় স্থানীয়দের মাঝেও ক্ষোভ বিরাজ করছে।
৮ ঘণ্টা আগে