Ajker Patrika

ইউনিয়ন পরিষদের বারান্দায় কলেজছাত্রকে বেধড়ক পেটালেন চেয়ারম্যান

আপডেট : ০৬ সেপ্টেম্বর ২০২২, ২১: ৫৩
ইউনিয়ন পরিষদের বারান্দায় কলেজছাত্রকে বেধড়ক পেটালেন চেয়ারম্যান

যশোরের মনিরামপুরের হরিদাসকাটি ইউনিয়নের (ইউপি) চেয়ারম্যান আলমগীর কবির লিটনের বিরুদ্ধে এক কলেজছাত্রকে ধরে নিয়ে পরিষদের বারান্দায় প্রকাশ্যে মারধরের অভিযোগ উঠেছে। মারধরের পর চেয়ারম্যান ওই কলেজছাত্রকে পুলিশে দিয়েছেন। 

মারধরের শিকার যুবকের নাম আল মামুন বাবু (১৮)। তিনি হরিদাসকাটি ইউনিয়নের কাটাখালী গ্রামের আমজাদ মোল্লার ছেলে। তিনি স্থানীয় একটি কলেজের উচ্চমাধ্যমিকের ছাত্র। 

আজ মঙ্গলবার বিকেল থেকে কলেজছাত্রকে লাঠি দিয়ে এলোপাতাড়ি মারধরের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে। এ মারধরের পেছনে ওই ইউপির সাবেক ও বর্তমান চেয়ারম্যান ভিন্ন ভিন্ন কারণ দাবি করেছেন। 

ওই যুবককে মারধরকারী ও হরিদাসকাটি ইউপির বর্তমান চেয়ারম্যান লিটনের দাবি, ‘দুদিন আগে ১০ লাখ টাকা দাবি করে ডাকযোগে আমার ঠিকানায় একটি উড়ো চিঠি আসে। টাকা না পেলে ৭ দিনের মধ্যে আমাকে হত্যার হুমকি দেওয়া হয় চিঠিতে। এ ঘটনার সাথে বাবু জড়িত।’ অন্যদিকে ওই ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান (নৌকার প্রার্থী) বিপদ ভঞ্জন পাড়ের দাবি, ‘আমার দল করায় চেয়ারম্যান লিটন নাটক সাজিয়ে ওই ছেলেকে রাস্তা থেকে ধরে নিয়ে পরিষদে ফেলে প্রকাশ্যে পিটিয়েছেন।’ 

বর্তমান চেয়ারম্যান লিটন আরও বলেন, ‘বাবু মোটরসাইকেলের সাইলেন্সার পাইপ খুলে বিকট শব্দে মোটরসাইকেল চালিয়ে এলাকায় ত্রাস সৃষ্টি করে বেড়ায়। আজ (মঙ্গলবার) সকাল ১০টার দিকে পরিষদের মাঠে মেয়েদের ফুটবল খেলা চলছিল। তখন বিকট শব্দে মোটরসাইকেল চালিয়ে গোলপোস্টের সামনে ঢুকে পড়ে বাবু। তখন মেয়েদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। এ সময় পরিষদের গ্রামপুলিশ তাড়া করে তাঁকে ধরে আনে। পরিস্থিতি সামাল দিতে আমি তাঁকে লাঠি দিয়ে ২-৩টা আঘাত করি। এরপর র‍্যাব ও থানা-পুলিশে খবর দিই। পরে থানা-পুলিশ তাঁকে নিয়ে গেছে। তা ছাড়া উড়োচিঠি দিয়ে টাকা দাবি করার সাথেও বাবু জড়িত আছে।’ 

অন্যদিকে হরিদাসকাটি ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান বিপদ ভঞ্জন পাড়ে বলেন, ‘আমি নৌকা প্রতীকের প্রার্থী ছিলাম। বাবু ছাত্রলীগের কর্মী হিসেবে আমার ভোট করেছে। ৩-৪ দিন ধরে বর্তমান চেয়ারম্যান লিটন ওই ছেলেকে তাঁর দলে যোগ দেওয়ার জন্য বলছিল। ছেলেটি রাজি না হওয়ায় নাটক সাজিয়ে রাস্তা থেকে ধরে নিয়ে চেয়ারম্যান ছেলেটিকে ব্যাপক পিটিয়েছে।’ 

এ ঘটনার বিষয়ে মনিরামপুর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) লিটন হোসেন বলেন, ‘বিকট শব্দে ফুটবল খেলার মাঠে মোটরসাইকেল চালিয়ে শিক্ষার্থীদের মাঝে আতঙ্ক সৃষ্টির অভিযোগে চেয়ারম্যান বাবুকে ধরে পুলিশে দিয়েছেন। তাঁর বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে পুলিশ ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের মধ্যে বৈঠক চলছে।’ 

মনিরামপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নূর-ই-আলম সিদ্দীকি বলেন, ‘চাঁদা চাওয়ার বিষয়টি আমার জানা নেই। ওই ছেলেকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।’ 

উল্লেখ্য, এই প্রতিবেদন তৈরির আগপর্যন্ত (রাত ৮.৩০) এ বিষয়ে থানায় বৈঠক চলমান রয়েছে। 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

জট খুলছে ব্ল্যাংক স্মার্ট কার্ড ক্রয়ের

এনসিপি নেতার বাড়িতে কাফনের কাপড়, চিরকুটে লেখা—‘প্রস্তুত হ রাজাকার’

গণশুনানিতে দুদক চেয়ারম্যানের প্রতি ক্ষোভ দেখালেন মৎস্যচাষি

যাচ্ছিলেন বিয়ের দিন-তারিখ ঠিক করতে, গণপিটুনিতে প্রাণ হারালেন জামাই-শ্বশুর

‘জিরো ট্যাক্স রিটার্ন’ দাখিলে হতে পারে ৫ বছরের জেল: এনবিআর

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত