Ajker Patrika

মরীচিকা পড়া সেতুর কাজ পুনরায় শুরু, অনিয়ম নিয়ে পাল্টাপাল্টি অভিযোগ 

রামগড় (খাগড়াছড়ি) প্রতিনিধি
মরীচিকা পড়া সেতুর কাজ পুনরায় শুরু, অনিয়ম নিয়ে পাল্টাপাল্টি অভিযোগ 

খাগড়াছড়ির রামগড় পৌরসভার কালাডেবা এলাকায় সেতুর কাজ বন্ধ করে দিয়ে লাপাত্তা হন ঠিকাদার। এর এক বছর পর পুনরায় কাজ শুরু হয়েছে সেতুটির। তবে সেতু নির্মাণে তৈরি রড ও পিলারে মরীচিকা পড়ে সেতুর স্থায়ীত্ব নিয়ে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। এদিকে এই সেতুর অনিয়ম নিয়ে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ও স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর একে অপরকে দায়ী করছে। 

কালাডেবা এলাকার সেতুটি বর্তমানে মানুষের দুর্ভোগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। সেতু নির্মাণের জন্য সাময়িকভাবে খালের ওপর তৈরি হয়েছিল বিকল্প সেতু। বৃষ্টির পানি ও কাদাতে চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছে লোহার তৈরি ঝুঁকিপূর্ণ এই সেতুটি। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন এলাকার সাধারণ জনগণ, স্কুল-কলেজগামী শিক্ষার্থীসহ বিশেষ করে ভ্যান-রিকশা ও মোটরসাইকেল চালকেরা। 

রামগড় স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, ২০২০-২১ অর্থবছরে এলজিইডির অর্থায়নে এক কোটি ৭৫ লাখ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়। পরবর্তীতে বরাদ্দ বাড়িয়ে ১ কোটি ৯৪ লাখ টাকা করা হয়। খাগড়াছড়ির ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান সেলিম এন্ড ব্রাদার্স সেতু নির্মাণকাজের কার্যাদেশ পায়। ২০২০ সালের ৬ ডিসেম্বর সেতু নির্মাণের কাজ শুরু হয়। ২০২২ সালের ১ মার্চ কাজ বুঝিয়ে দেওয়ার কথা থাকলেও প্রতিষ্ঠানটি কাজ বুঝিয়ে না দিয়ে মাঝ পথে লাপাত্তা হয়ে যায়। পরবর্তীতে এলজিইডির হস্তক্ষেপে পুনরায় কাজ শুরু হয়েছে সেতুর। 

সরেজমিনে দেখা যায়, লামকুপাড়া ও ইউপি এলাকার মানুষের কালাডেবা বাজারে আসার একমাত্র সেতু এটি। প্রায় ২ হাজার পরিবারের বসবাস এই এলাকায়। সেতু নির্মাণের কাজ চললেও স্থানীয়দের মনে সেতুর স্থায়িত্ব নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছে। কেবল সেতুর কয়েকটি পিলার ও রড গাঁথুনির পর নির্মাণকাজ বন্ধ হয়ে যায়। খালের পানি চলাচলের জন্য বিকল্প খাল না থাকায় পানিতে ভেসে যায় রডের বেশ কয়েকটি গাঁথুনি। 

এর মধ্যে সেতু জুড়ে রড ও পিলার গুলো অযত্নে পড়ে ছিল। যাতে মরীচিকা ধরেছে। দীর্ঘদিন ধরে এভাবে পড়ে থাকায় এসব পিলারের ওপর আদৌ সেতুর কাজ বাস্তবায়ন সম্ভব কী না, তা নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছে। 

স্থানীয় বাসিন্দা কামরুল হাসান বলেন, এই সেতুটি দুর্ভোগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এই এলাকাটি চরম অবহেলিত। বিকল্প সেতু দিয়ে দীর্ঘদিন কষ্ট করে চলাচল করছি। বর্ষার সময় অনেক ঝুঁকি নিয়ে এই সেতু দিয়ে চলাচল করতে হয়। সেতুটি দিন দিন মরণফাঁদে পরিণত হচ্ছে। 

রামগড় পৌরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর আবুল বশর জানান, ঠিকাদার কোম্পানিরা সাধারণত কাজে তো গাফিলতি করেই যায়। ধীর গতিতে কাজ করছে, তবে এলজিইডির দায়িত্ব সেটা দেখাশোনা করার। খালের পানি চলাচলের জন্য বিকল্প খাল না করায় সেতুর রড গুলো পানির জোয়ারে ভেসে গেছে। তাদের স্বেচ্ছাচারিতাই এর জন্য দায়ী। অন্যদিকে সেতুর কাজ দেখতে এলজিইডির লোকজন আসেন না, আর মাঝে মাঝে আসলেও ঘুরে চলে যান। তাদের তদারকি করতে দেখা যায় না। 

ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান সেলিম এন্ড ব্রাদার্সের ব্যবস্থাপক আবু বকর সিদ্দিক বলেন, সেতু ঢালাইয়ের জন্য খালের ওপর রড স্থাপন করা হয়েছিল। এলজিইডিকে পরিদর্শনের জন্য বারবার বলা হলেও তারা আসেনি। তাদের কালক্ষেপণের কারণে বর্ষার পানিতে রড গুলো ভেঙে যায়। যার কারণে কাজ বন্ধ ছিল। 

দীর্ঘ এক বছর বন্ধ থাকার পুনরায় কাজ শুরু হয়েছে সেতুটির। ছবি: আজকের পত্রিকা আবু বকর সিদ্দিক আরও বলেন, বর্তমানে পুরোদমে সেতু নির্মাণের কাজ চলছে। খুব দ্রুত সেতু নির্মাণকাজ সম্পন্ন করে এলজিইডিকে বুঝিয়ে দেওয়া হবে। 

এ সময় রড ও পিলারের স্থায়িত্ব নিয়ে প্রশ্ন করলে তিনি বিষয়টি এড়িয়ে যান। 

রামগড় স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের প্রকৌশলী আমিরুল ইসলাম বলেন, বারবার চিঠি দেওয়ার পরেও তারা কাজ শুরু করতে বিলম্ব করেছে। আর ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের করা অভিযোগ সত্য নয়। 

তিনি আরও বলেন, আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে সেতুর কাজ সম্পন্ন করতে তাদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। 

এদিকে এ বিষয়ে কথা বলার জন্য খাগড়াছড়ি স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী রফিকুল ইসলামের সঙ্গে মোবাইলে যোগাযোগ করা হলে তিনি অনীহা প্রকাশ করেন। 

এ বিষয়ে রামগড় উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান আনোয়ার ফারুক জানান, কয়েকজন স্থানীয় ব্যক্তি তাঁর কাছে এ বিষয়ে অভিযোগ করেছেন। বিষয়টি তিনি এলজিইডি এবং ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে কথা বলে উভয়ের সমন্বয়ে দ্রুত কাজ সম্পন্ন করার জন্য বলবেন। 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

মা ও শিশুর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার

গফরগাঁও (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি 
প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

ময়মনসিংহের গফরগাঁওয়ে মা ও শিশুর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় পাগলা থানার দত্তের বাজার ইউনিয়নের বিরই গ্রাম থেকে লাশ দুটি উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় আজ শুক্রবার পাগলা থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে। মৃত নারীর স্বামীকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করেছে পুলিশ।

মৃত ব্যক্তিরা হলেন মর্জিনা বেগম (২৪) ও তাঁর মেয়ে ময়না (৩)।

পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, মৃত মর্জিনা বিরই গ্রামের সৌদিপ্রবাসী শাহীনের স্ত্রী। ছয় মাস ধরে মানসিকভাবে অসুস্থ ছিলেন মর্জিনা। স্ত্রীর চিকিৎসার জন্য শাহীন আড়াই মাস আগে দেশে ফেরেন। এরপর স্থানীয় কবিরাজ দিয়ে স্ত্রীর চিকিৎসা করাচ্ছিলেন তিনি। গতকাল বিকেলে শাহীন বাড়ি ফিরে দরজা বন্ধ পান। বেশ কিছু সময় ডাকাডাকি করে সাড়া না পেয়ে পাশের রুমের ওপর দিয়ে স্ত্রী ও সন্তানের ঝুলন্ত লাশ দেখে চিৎকার দিলে প্রতিবেশীরা ছুটে আসেন। খবর পেয়ে পাগলা থানা-পুলিশ সন্ধ্যার দিকে ঘটনাস্থলে এসে ঘরে দরজা ভেঙে মা ও মেয়ের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নিয়ে যান।

প্রতিবেশী বাচ্চু মিয়া বলেন, ‘এই দম্পতির পারিবারিক কোনো সমস্যার কথা শুনি নাই। তবে কয়েক মাস ধরে মর্জিনা মানসিকভাবে অসুস্থ ছিলেন বলে তাঁর স্বামী প্রায়ই বলতেন।’

পাগলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফেরদৌস আলম বলেন, ‘মা ও শিশুর মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় একটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে। ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন পেলে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

চুরি ঠেকাতে রাতে চাতাল পাহারা, ব্যবসায়ীর রহস্যজনক মৃত্যু

ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি
প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

ভুট্টা ও ধানের বস্তা চুরি ঠেকাতে রাতে নিজের চাতালে পাহারা দিতে গিয়ে রহস্যজনকভাবে মৃত্যু হয়েছে এক প্রবীণ ব্যবসায়ীর। ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার রহিমানপুর ইউনিয়নের মথুরাপুর মাস্টারপাড়ার কাদের চাতালে আজ শুক্রবার ভোরে ওই ব্যবসায়ীর মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।

নিহত ব্যবসায়ীর নাম খায়রুল ইসলাম (৭২)। তিনি ওই এলাকার আইয়ুব আলীর ছেলে। তিনি চাতালটি ভাড়া নিয়ে ভুট্টা ও ধানের ব্যবসা করতেন।

পুলিশ ও পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, সম্প্রতি গোডাউন থেকে নিয়মিতভাবে ভুট্টা ও ধানের বস্তা চুরি হচ্ছিল। এতে অতিষ্ঠ হয়ে খাইরুল ইসলাম নিজেই চোর ধরার জন্য রাত্রিকালীন পাহারাদারের কাজ শুরু করেন। গতকাল বৃহস্পতিবার রাত ১১টার দিকে তিনি চাতালে আসেন।

আজ ভোর ৩টা নাগাদ কাদের চাতালের দায়িত্বে থাকা নাইট গার্ড চাতালে একটি মরদেহ পড়ে থাকতে দেখেন। তিনি তাৎক্ষণিকভাবে অন্যান্য নাইট গার্ডকে খবর দেন। খবর পেয়ে খাইরুল ইসলামের পরিবারের সদস্যরা দ্রুত ঘটনাস্থলে আসেন এবং তাঁকে শনাক্ত করেন। পরে পুলিশে খবর দেওয়া হয়।

মৃত ব্যবসায়ীর পরিবারের লোকজনের সঙ্গে কথা বলে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান জানান, খাইরুল ইসলাম দীর্ঘদিন ধরে নানা শারীরিক জটিলতায় ভুগছিলেন। তাঁদের ধারণা, চাতালে অবস্থান করার সময় তিনি স্ট্রোক অথবা সুগার (ডায়াবেটিস) কমে গিয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েন এবং পড়ে গিয়ে তাঁর মৃত্যু হয়।

রহিমানপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল হান্নান হান্নু জানান, খাইরুল ইসলাম সাবেক সুগার মিলে কর্মরত ছিলেন। কয়েক বছর আগে তিনি অবসর নেন। অবসরের পর তিনি সিজনভিত্তিক ধান, গম ও ভুট্টার ব্যবসা করতেন। চেয়ারম্যান নিশ্চিত করেন, তিনি ডায়াবেটিস, হার্টের রোগ ও উচ্চ রক্তচাপে ভুগছিলেন।

এ বিষয়ে ঠাকুরগাঁও সদর থানার উপপরিদর্শক এমদাদুর রহমান বলেন, ‘আমরা ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ উদ্ধার করেছি। সুরতহাল রিপোর্টে নিহতের শরীরে কোনো রকম আঘাত বা অস্বাভাবিক কোনো চিহ্ন পাওয়া যায়নি। পরিবারের পক্ষ থেকেও কোনো অভিযোগ নেই।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

বিদ্যুতায়িত হয়ে বাবা-ছেলের মৃত্যু

সুন্দরগঞ্জ (গাইবান্ধা) প্রতিনিধি 
ঘটনাস্থলে লোকজনের ভিড়। ছবি: আজকের পত্রিকা
ঘটনাস্থলে লোকজনের ভিড়। ছবি: আজকের পত্রিকা

গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জে সেচযন্ত্র চালু করতে গিয়ে বিদ্যুতায়িত হয়ে বাবা ও ছেলের মৃত্যু হয়েছে। আজ শুক্রবার বেলা ১১টার দিকে উপজেলার সর্বানন্দ ইউনিয়নের পশ্চিম বাছহাটি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

মৃত ব্যক্তিরা হলো মো. শহিদুল ইসলাম (৪০) ও তাঁর ছেলে মো. শিয়াব মিয়া (১৪)।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সর্বানন্দ ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মো. জহুরুল ইসলাম। মৃত ব্যক্তিদের স্বজনদের বরাতে তিনি বলেন, ধানখেতে পানি দেওয়ার জন্য সকাল ১০টার দিকে বিদ্যুৎ-চালিত সেচযন্ত্র নিয়ে পুকুরপাড়ে যায় বাবা ও ছেলে। ঘণ্টাখানেক পরে শিয়াবের মা ওই পুকুরপাড়ে যান। তিনি সেখানে ছেলের লাশ দেখতে পেয়ে চিৎকার করেন। পরে স্থানীয় লোকজন এসে শিয়াবের লাশ বাড়িতে নেন। এর কিছুক্ষণ পরে শহিদুল ইসলামের খোঁজে পুকুরপাড়ে আবারও যান তাঁর স্বজনেরা। তখন তাঁর লাশও পুকুরে পাওয়া যায়।

সুন্দরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল হাকিম আজাদ বলেন, ‘বিদ্যুৎচালিত সেচপাম্পে বিদ্যুতায়িত বাবা ও ছেলের মৃত্যুর খবর পেয়েছি। ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় থানায় অপমৃত্যুর মামলা করা হয়েছে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

বাসর রাত শেষে মিলল বরের ঝুলন্ত লাশ

ফরিদপুর প্রতিনিধি
আপডেট : ২৪ অক্টোবর ২০২৫, ১৭: ৩০
পিসনাইল গ্রামে যুবকের মৃত্যুর খবরে এলাকাবাসীর ভিড়। ছবি: আজকের পত্রিকা
পিসনাইল গ্রামে যুবকের মৃত্যুর খবরে এলাকাবাসীর ভিড়। ছবি: আজকের পত্রিকা

ফরিদপুরের সালথা উপজেলায় জামাল ফকির (২৮) নামের নববিবাহিত এক যুবকের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। আজ শুক্রবার সকালে উপজেলার বল্লভদী ইউনিয়নের পিসনাইল গ্রামে লাশটি উদ্ধার করা হয়।

পরিবার সূত্রে জানা গেছে, গতকাল বৃহস্পতিবার বিয়ে করে বউ নিয়ে আসেন জামাল ফকির। বাসর রাত শেষে আজ সকালে বসতবাড়ির আধা কিলোমিটার দূরে ফাঁকা মাঠে জামালের লাশ পাওয়া যায়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে লাশ উদ্ধার করে।

ওই নববধূ বলেন, ‘সকালে মানুষের চিৎকার শুনে দরজা খুলতে চাই, দেখি দরজাটা বাইরে থেকে লাগানো। পরে কেউ দরজা খুলে দিলে দেখি, আমার স্বামী ঘরের বাইরে জমির মধ্যে পড়ে আছে।’

মৃত জামালের বড় ভাই জালাল ফকির বলেন, ‘আমার ভাইয়ের মৃত্যুর বিষয়টি খুবই রহস্যজনক। কারও সঙ্গে কোনো শত্রুতা ছিল না। ঠিক কী কারণে এমন ঘটনা ঘটল, বুঝে উঠতে পারছি না।’

সালথা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আতাউর রহমান বলেন, ‘বৃহস্পতিবার ওই ছেলে বিয়ে করেন। আজ সকালে বাড়ির পাশে একটি বাঁশের আড়া থেকে তার ঝুলন্ত লাশ দেখতে পায় পরিবার। ধারণা করা হচ্ছে, যুবক আত্মহত্যা করেছে। লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত