Ajker Patrika

বিলীনের পথে ধলিয়া লেক

মাটিরাঙ্গা (খাগড়াছড়ি) প্রতিনিধি
আপডেট : ০২ মার্চ ২০২২, ১৫: ৫৩
বিলীনের পথে ধলিয়া লেক

খাগড়াছড়ির মাটিরাঙ্গা উপজেলা সদরের বুকজুড়ে রয়েছে প্রশাসনের মালিকানাধীন ধলিয়া লেক। আর এই লেকে চলছে ময়লা-আবর্জনা ফেলা আর দখলের প্রতিযোগিতা। প্রায় এক কিলোমিটার দীর্ঘ এই লেকের দুই পাড়ে রয়েছে জনপ্রতিনিধি ও রাজনৈতিক প্রভাবশালীদের অবৈধ স্থাপনা আর ময়লা-আবর্জনার স্তূপ। লেকের পাড়ে যেসব হোটেল রয়েছে, সেখানকার ময়লা-আবর্জনা ফেলার একমাত্র স্থান হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে এই লেক। 

স্থানীয় বাসিন্দা আলী হোসেন ও হারুন মিয়া বলেন, ঢাকার বুড়িগঙ্গায়ও হয়তো এত ময়লা-আবর্জনা থাকে না। লেকের পাশে যাদের ঘর-বাড়ি আছে, তাদের টয়লেটের লাইন লেকের মধ্যে দিয়েছে। এই লেক আগে উপজেলার সবার জন্য মাছ উৎপাদনের ক্ষেত্র ছিল। এখন তা মশা উৎপাদনের কেন্দ্রে পরিণত হয়েছে। লেকের পানি বর্তমানে কালো রং ধারণ করেছে। এই পানি থেকে প্রচুর দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে। 

অবৈধভাবে দখল করায় ও ময়লা-আবর্জনা ফেলায় বিলীন হয়ে যাচ্ছে ধলিয়া লেকহাসানুল হক বাছরি নামে একজন বলেন, মাটিরাঙ্গার প্রাণকেন্দ্রের লেকটি জলধারার প্রধান উৎস। এটি ময়লা-আবর্জনার ভাগাড়ে পরিণত হয়েছে এবং প্রভাবশালীরা দিনে দিনে দখল করে নিচ্ছে। প্রশাসন ও পৌরসভা লেকটি সংরক্ষণ করে প্রকল্পের আওতায় এনে একটি পর্যটনকেন্দ্র হিসেবে গড়ে তুলতে পারে। প্রশাসন ও সংশ্লিষ্ট অভিজ্ঞ মহল খুব দ্রুত এ সমস্যার সঠিক সমাধান করবে এমনই প্রত্যাশা সাধারণ মানুষের। 

অবৈধভাবে দখল করায় ও ময়লা-আবর্জনা ফেলায় বিলীন হয়ে যাচ্ছে ধলিয়া লেকমাটিরাঙ্গা বাজার ব্যবসায়ী পরিচালনা কমিটির সহসভাপতি জসিমউদ্দীন ভূঁইয়া বলেন, ‘লেকের রক্ষণাবেক্ষণ, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা, দেখাশোনার দায়িত্ব উপজেলা প্রশাসনের কাছে থাকলেও আজ পর্যন্ত কোনো উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। উপজেলার একমাত্র প্রাচীন লেকটিকে নতুন রূপে ফিরে পেতে পৌর কর্তৃপক্ষ ও প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।’

মাটিরাঙ্গা পৌরসভার মেয়র শামসুল হক বলেন, প্রাচীন এই লেক দখল করে অনেকেই মধ্যখানে চলে গেছে। অন্য এলাকা থেকে ‘কবুলত’ এনে জালিয়াতি করে বস্তি গড়ে তুলেছে। প্রশাসন যদি সরকারিভাবে লেকটি উদ্ধার করে, তাহলে প্রকল্পের আওতায় এনে পর্যটনে পরিণত করা হবে। 

অবৈধভাবে দখল করায় ও ময়লা-আবর্জনা ফেলায় বিলীন হয়ে যাচ্ছে ধলিয়া লেকমাটিরাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তৃলা দেব বলেন, এ বিষয়ে প্রশাসন কঠোর অবস্থানে রয়েছে। লেকটি উদ্ধারে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান চলছে। নির্দিষ্টভাবে কেউ অভিযোগ করলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

নির্বাচন পর্যন্ত সরকারি কর্মকর্তাদের বিদেশ সফরে কড়াকড়ি

গ্রেপ্তার হয়ে অবাক ডন, বললেন—‘স্যার আমাকে কীভাবে গ্রেপ্তার করলেন’

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রতিবেদন: জীবাণুর বিরুদ্ধে লড়াইয়ে কাহিল ৫ অ্যান্টিবায়োটিক

এবার তেলের খনি নাইজেরিয়াতে নজর ট্রাম্পের, অজুহাত—খ্রিষ্টানরা ভালো নেই

সকালে নাশতা না খাওয়ার পাঁচ ধরনের স্বাস্থ্যঝুঁকি

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

সরকার সুষ্ঠু নির্বাচন করতে বদ্ধপরিকর: ইসি আনোয়ারুল ইসলাম

কলাপাড়া (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি
কর্মশালায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন নির্বাচন কমিশনার মো. আনোয়ারুল ইসলাম সরকার। ছবি: আজকের পত্রিকা
কর্মশালায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন নির্বাচন কমিশনার মো. আনোয়ারুল ইসলাম সরকার। ছবি: আজকের পত্রিকা

নির্বাচন কমিশনার মো. আনোয়ারুল ইসলাম সরকার বলেছেন, সরকার ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও বিশ্বাসযোগ্য জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

শনিবার (১ নভেম্বর) সকালে জেলার কুয়াকাটায় অবস্থিত কোডেক প্রশিক্ষণকেন্দ্রে অনুষ্ঠিত ‘নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় ভোট গ্রহণকারী কর্মকর্তাদের দায়িত্ব পালনে নিরূপণ ও উত্তরণের উপায়’ শীর্ষক দিনব্যাপী কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, বর্তমান নির্বাচনী আইনে (আরপিও) সংশোধন আনা হয়েছে। এখন রিটার্নিং কর্মকর্তারা চাইলে তাঁদের দায়িত্বপ্রাপ্ত আসনে ভোট গ্রহণ স্থগিত করতে পারবেন।

বরিশাল অঞ্চলের আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা মো. ফরিদুল ইসলামের সভাপতিত্বে কর্মশালায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ, পটুয়াখালী জেলা প্রশাসক ড. মোহাম্মদ শহীদ হোসেন চৌধুরী, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার অপু সরোয়ার ও নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের উপপ্রধান মুহাম্মদ মোস্তফা হাসান।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

নির্বাচন পর্যন্ত সরকারি কর্মকর্তাদের বিদেশ সফরে কড়াকড়ি

গ্রেপ্তার হয়ে অবাক ডন, বললেন—‘স্যার আমাকে কীভাবে গ্রেপ্তার করলেন’

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রতিবেদন: জীবাণুর বিরুদ্ধে লড়াইয়ে কাহিল ৫ অ্যান্টিবায়োটিক

এবার তেলের খনি নাইজেরিয়াতে নজর ট্রাম্পের, অজুহাত—খ্রিষ্টানরা ভালো নেই

সকালে নাশতা না খাওয়ার পাঁচ ধরনের স্বাস্থ্যঝুঁকি

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

আ.লীগ-জাপাকে ভোটের বাইরে রাখলে গৃহযুদ্ধের সূত্রপাত হতে পারে: শামীম পাটোয়ারী

রংপুর প্রতিনিধি
শনিবার বিকেলে রংপুরে জাতীয় পার্টির দলীয় কার্যালয়ে কর্মী সমাবেশের আগে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন জাপা মহাসচিব শামীম হায়দার পাটোয়ারী। ছবি: আজকের পত্রিকা
শনিবার বিকেলে রংপুরে জাতীয় পার্টির দলীয় কার্যালয়ে কর্মী সমাবেশের আগে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন জাপা মহাসচিব শামীম হায়দার পাটোয়ারী। ছবি: আজকের পত্রিকা

জাতীয় পার্টির (জাপা) মহাসচিব ব্যারিস্টার শামীম হায়দার পাটোয়ারী বলেছেন, ‘বাংলাদেশের ইতিহাসে দেখা গেছে, ২০০৮ সাল পর্যন্ত জাতীয় পার্টি, জাসদ, আওয়ামী লীগ—এরা ৫০ ভাগ বা কমবেশি ভোট পেয়েছে। এখন সেটি কমবেশি হতে পারে। এই বিপুলসংখ্যক লোককে প্রক্রিয়ার বাইরে রাখলে, ভোটের বাইরে রাখলে, সংস্কারের বাইরে রাখলে, ভবিষ্যতে গৃহযুদ্ধের সূত্রপাত ঘটতে পারে।’

শনিবার বিকেলে রংপুরে জাতীয় পার্টির দলীয় কার্যালয়ে কর্মী সমাবেশের আগে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন শামীম হায়দার পাটোয়ারী।

একই সঙ্গে জাপা মহাসচিব বলেন, ‘জাতীয় পার্টি খুব দ্রুত দেশের জন্য দফাওয়ারি প্রস্তাব নিয়ে আসবে; যার মাধ্যমে দেশের মুক্তির চেতনা থাকবে, মুক্তির আলো থাকবে, নতুন বাংলাদেশ গড়ার দিকনির্দেশনা থাকবে।’

শামীম হায়দার পাটোয়ারী বলেন, ‘ভবিতব্য গৃহযুদ্ধকে ঠেকানোর জন্য অন্তর্বর্তী সরকারের উচিত সকল দলের সঙ্গে ন্যাশনাল ডায়ালগ ওপেন করা খুব দ্রুত। জাতীয় সংলাপ জাতীয় ঐকমত্য করবে। সকলের সাথে সংলাপ, সকলকে নিয়ে ঐকমত্য। এ ছাড়া আমরা মনে করি, দেশ একটি দীর্ঘমেয়াদি দ্বন্দ্বের ফাঁদে পড়ে যাবে এবং রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে কিছু দল ইতিমধ্যে ঐকমত্য কমিশনে গিয়ে বা স্বাক্ষর করে একধরনের ফাঁদে পড়ে গেছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘মাননীয় প্রধান উপদেষ্টা আমাদের সকলের সর্বজন শ্রদ্ধেয় ছিলেন। আজকে কিছু রাজনৈতিক দল বলছে, ঐকমত্য কমিশন প্রতারণা করেছে। প্রতারক, প্রতারণা শব্দটি উচ্চারিত হচ্ছে। আমরা তো এই ঐকমত্য চাইনি।’

শামীম হায়দার পাটোয়ারী বলেন, ‘গত বছর যারা গণতন্ত্রের জন্য আন্দোলন করেছে, যারা জীবন দিয়েছে, যাদের অঙ্গহানি হয়েছে, তারা একটা ঐকমত্যের বাংলাদেশ গড়তে চেয়েছে। এক ইনসাফের বাংলাদেশ গড়তে চেয়েছে। একটা বাদ দেওয়ার বাংলাদেশ গড়তে চায়নি।’

তিনি বলেন, ‘একটা বাদ দেওয়ার বাংলাদেশে আবার গণ-অভ্যুত্থান হবে, আবার বিপ্লব হবে, আবার আন্দোলন হবে, দেশের অর্থনীতি আস্তে আস্তে ধ্বংস হয়ে যাবে। বাংলাদেশ একটা স্যাটেলাইট কান্ট্রি হয়ে যাবে। বিভিন্ন জায়গায় বিভিন্ন ধরনের মাৎসন্যায় চলবে। কোনো কেন্দ্রীয় নিয়ন্ত্রণ থাকবে না, কোনো কেন্দ্রীয় সরকার থাকবে না, কেন্দ্রীয় শাসনব্যবস্থা থাকবে না। যেটার কিছু নিদর্শন আমরা ইতিমধ্যেই দেখছি। দেশের বিভিন্ন জায়গায় বিভিন্ন ধরনের আন্দোলন হচ্ছে, জনদুর্ভোগ বাড়ছে। আমরা এই অবস্থার উত্তরণ চাই।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

নির্বাচন পর্যন্ত সরকারি কর্মকর্তাদের বিদেশ সফরে কড়াকড়ি

গ্রেপ্তার হয়ে অবাক ডন, বললেন—‘স্যার আমাকে কীভাবে গ্রেপ্তার করলেন’

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রতিবেদন: জীবাণুর বিরুদ্ধে লড়াইয়ে কাহিল ৫ অ্যান্টিবায়োটিক

এবার তেলের খনি নাইজেরিয়াতে নজর ট্রাম্পের, অজুহাত—খ্রিষ্টানরা ভালো নেই

সকালে নাশতা না খাওয়ার পাঁচ ধরনের স্বাস্থ্যঝুঁকি

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

বন্দরের ভেতরে ধূমপানের দায়ে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা

নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম
ফাইল ছবি
ফাইল ছবি

চট্টগ্রাম বন্দরের ভেতরে ধূমপান করার কারণে মিন্টু বিশ্বাস নামে এক জেটি সরকারের প্রতিষ্ঠানকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। গত ২৩ অক্টোবর জরিমানার ৫০ হাজার টাকা পরিশোধের আদেশ দেন চট্টগ্রাম বন্দরের পরিচালক (নিরাপত্তা) লে. কর্নেল জহিরুল ইসলাম। মিন্টু বিশ্বাসের জরিমানা কমানোর দরখাস্তের বরাতে গতকাল শুক্রবার এ খবর জানাজানি হয়।

চট্টগ্রাম বন্দর সূত্র জানায়, সিঅ্যান্ডএফ প্রতিষ্ঠান মেসার্স এইচ টি এম এন্টারপ্রাইজ (প্রাইভেট) লিমিটেডের জেটি সরকার মিন্টু বিশ্বাস। গত ২২ অক্টোবর বন্দরের ফায়ার ব্রিগেড পরিদর্শক ও বন্দরের একটি দল মিন্টু বিশ্বাসকে বন্দরের ভেতরে ধূমপানরত অবস্থায় দেখতে পায়। এ সময় তাঁর পরিচয় জানতে চাইলে উভয় পক্ষের কথা-কাটাকাটি হয়। পরে চট্টগ্রাম বন্দরের পরিচালক (নিরাপত্তা) বন্দরের অভ্যন্তরে ধূমপান করার অপরাধে জেটি সরকার মিন্টু বিশ্বাসের প্রতিষ্ঠান সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট এইচ টি এম এন্টারপ্রাইজ (প্রাইভেট) লিমিটেডকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানার আদেশ দেন। গত ২৩ অক্টোবর জরিমানার ৫০ হাজার টাকা পরিশোধের জন্য পাঁচ কর্মদিবস সময় দেওয়া হয়। রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনায় ধূমপানের কারণে এই জরিমানা করা হয় বলে সংশ্লিষ্টরা জানায়।

এ বিষয়ে জেটি সরকার মিন্টু বিশ্বাস বলেন, ‘আমি অপরাধ করছি। আমার জরিমানা হতে পারে। আমার প্রতিষ্ঠানকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা অন্যায়। বিষয়টি নিয়ে আমি ক্ষমা চেয়েছি এবং জরিমানা কমানোর জন্য দরখাস্ত করেছি।’

চট্টগ্রাম আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট আবদুস সাত্তার জানান, একজনের অপরাধে অন্য কাউকে শাস্তি দেওয়া যাবে না। যিনি অপরাধ করবেন তাঁকে শাস্তি ভোগ করতে হবে। এটাই নিয়ম, এটাই আইনের বিধান।

বিষয়টি নিয়ে জানতে চাইলে চট্টগ্রাম বন্দরের পরিচালক (নিরাপত্তা) লে. কর্নেল জহিরুল ইসলাম বলেন, চট্টগ্রাম বন্দর যেহেতু একটি কেপিআইভুক্ত বা রাষ্ট্রীয় গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা সেহেতু বন্দরের অভ্যন্তরে ধূমপান সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। তাই এখানে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। তিনি আরও বলেন, এখানে পাঁচ লাখ টাকা পর্যন্ত জরিমানার পাশাপাশি জেল দেওয়ার বিধান রয়েছে।

এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে চট্টগ্রাম কাস্টমস এজেন্টে অ্যাসোসিয়েশন থেকে সদস্যদের মাঝে বন্দরের অভ্যন্তরে দাহ্য পদার্থ বহন না করার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে। গত ৩০ অক্টোবর প্রচারিত পত্রে চট্টগ্রাম কাস্টমস এজেন্টে অ্যাসোসিয়েশন সম্পাদক মো. শওকত আলী সিঅ্যান্ডএফ মালিক ও প্রতিনিধিদের বন্দরে প্রবেশের সময় সিগারেট লাইটার ও অন্য কোনো দাহ্য বহন না করার জন্য অনুরোধ করেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

নির্বাচন পর্যন্ত সরকারি কর্মকর্তাদের বিদেশ সফরে কড়াকড়ি

গ্রেপ্তার হয়ে অবাক ডন, বললেন—‘স্যার আমাকে কীভাবে গ্রেপ্তার করলেন’

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রতিবেদন: জীবাণুর বিরুদ্ধে লড়াইয়ে কাহিল ৫ অ্যান্টিবায়োটিক

এবার তেলের খনি নাইজেরিয়াতে নজর ট্রাম্পের, অজুহাত—খ্রিষ্টানরা ভালো নেই

সকালে নাশতা না খাওয়ার পাঁচ ধরনের স্বাস্থ্যঝুঁকি

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

সিলেটে পাথরবাহী ট্রাক্টরের চাপায় পর্যটক নিহত, আহত ৫

সিলেট প্রতিনিধি
দুর্ঘটনার শিকার অটোরিকশা। ছবি: আজকের পত্রিকা
দুর্ঘটনার শিকার অটোরিকশা। ছবি: আজকের পত্রিকা

সিলেটের কোম্পানীগঞ্জে শাহ আরেফিন টিলায় পাথরবাহী ট্রাক্টরের চাপায় মো. জিয়াউল হক (৬৫) নামে এক পর্যটক মারা গেছেন। শনিবার (১ নভেম্বর) দুপুরে সিলেট-ভোলাগঞ্জ মহাসড়কের ভোলাগঞ্জ পয়েন্টে এই ঘটনা ঘটে।

এ ঘটনায় আরও পাঁচজন আহত হয়েছেন। আহতরা হলেন সম্রাট (৩৭), তাঁর স্ত্রী সুমাইয়া (২৮), মেয়ে সাওদা (১০) ও ছেলে সিনান (৮) এবং সিএনজিচালিত অটোরিকশার চালক রমজান আলী। তাঁদের মধ্যে সিনানের অবস্থা আশঙ্কাজনক। তাঁদের কোম্পানীগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

আহত সম্রাট জানান, তিনি ঢাকার বাড্ডায় স্ত্রী-সন্তান নিয়ে বসবাস করেন। জামালপুর থেকে শ্বশুর জিয়াউল হক ও শাশুড়িকে নিয়ে তাঁদের বাসায় বেড়াতে আসেন। তাঁদের সঙ্গে নিয়ে স্ত্রী, সন্তানসহ ঢাকা থেকে গতকাল শুক্রবার সিলেটে আসেন। গতকাল রাতে সিলেট শহরে একটি হোটেলে তাঁরা রাত যাপন করে সকালে সাদাপাথরের উদ্দেশে সিএনজিচালিত অটোরিকশায় রওনা দেন।

অটোরিকশাটি তাঁদের নিয়ে সিলেট-ভোলাগঞ্জ মহাসড়কের ভোলাগঞ্জ পয়েন্টে আসা মাত্র শাহ আরেফিন টিলার পাথরবাহী ট্রাক্টর বেপরোয়া গতিতে পার্শ্ব রাস্তা থেকে মহাসড়কে ওঠার সময় অটোরিকশাকে চাপা দেয়। এ সময় অটোরিকশার চালকসহ ছয়জন আহত হন। পরে স্থানীয়রা তাঁদের উদ্ধার করে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক জিয়াউল হককে মৃত ঘোষণা করেন। মৃতসহ সবাইকে সিলেট এম এ জি ওসমানী হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

বিষয়টি নিশ্চিত করে কোম্পানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রতন শেখ বলেন, ‘দুর্ঘটনাকবলিত অটোরিকশা ও ট্রাক্টর পুলিশ হেফাজতে রয়েছে। আহত একজন মারা গেছেন। তা ছাড়া অন্য আহতরা সিলেট এম এ জি ওসমানী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। নিহতের আত্মীয়রা মামলা দায়ের করলে আমরা মামলা নিতে প্রস্তুত আছি।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

নির্বাচন পর্যন্ত সরকারি কর্মকর্তাদের বিদেশ সফরে কড়াকড়ি

গ্রেপ্তার হয়ে অবাক ডন, বললেন—‘স্যার আমাকে কীভাবে গ্রেপ্তার করলেন’

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রতিবেদন: জীবাণুর বিরুদ্ধে লড়াইয়ে কাহিল ৫ অ্যান্টিবায়োটিক

এবার তেলের খনি নাইজেরিয়াতে নজর ট্রাম্পের, অজুহাত—খ্রিষ্টানরা ভালো নেই

সকালে নাশতা না খাওয়ার পাঁচ ধরনের স্বাস্থ্যঝুঁকি

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত