Ajker Patrika

পুলিশের গাড়িতেই বিএনপি কর্মীদের কোপাল প্রতিপক্ষের লোকজন

ঝিনাইদহ প্রতিনিধি
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বিএনপি কর্মী। ছবি: আজকের পত্রিকা
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বিএনপি কর্মী। ছবি: আজকের পত্রিকা

ঝিনাইদহ সদরের হারানঘাট গ্রামে পুলিশের গাড়িতে থাকা দুই বিএনপি কর্মীকে কুপিয়ে জখম করেছেন প্রতিপক্ষের লোকজন। এ সময় পুলিশের গাড়িটিও ভাঙচুর করা হয়। আজ রোববার বিকেলে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

জানা গেছে, সদর উপজেলার দোগাছী ইউনিয়ন বিএনপির সিনিয়র সহসভাপতি নজরুল ইসলামের সঙ্গে ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সিরাজ বিশ্বাসের বিরোধ চলছে। এর জেরে আজ বিকেলে স্থানীয় কল্যাণপুর বাজারে নজরুল ইসলামের সমর্থক মিঠু বিশ্বাসকে (৪২) কুপিয়ে আহত করেন প্রতিপক্ষের সমর্থকেরা। এদিকে জেলা শহরে বিএনপির মিটিং শেষ করে বিকেলে সিরাজ বিশ্বাসের সমর্থক গোলাম ফারুক (৬০) ও রকিবুল ইসলাম (৪৫) বাড়ি ফিরছিলেন। হারানঘাট গ্রামে পৌঁছালে নজরুল ইসলামের সমর্থকেরা তাঁদের ধাওয়া দেন। এতে তাঁরা একটি বাড়িতে আশ্রয় নিয়ে নারিকেলবাড়িয়া পুলিশ ক্যাম্পে সাহায্য চান। পুলিশ গিয়ে তাঁদের উদ্ধার করে গাড়িতে তুলতে গেলে নজরুল ইসলামের সমর্থকেরা সেখানে হামলা করেন। তাঁরা পুলিশের গাড়িতেই ফারুক ও রকিবুলকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপানো শুরু করেন। পরে গাড়ি থেকে টেনেহিঁচড়ে তাঁদের বের করে মারধর করেন এবং পুলিশের পিকআপ গাড়িটি ভাঙচুর করা হয়। হামলায় পুলিশের এক সদস্য সামান্য আহত হন। ভাঙচুর করা গাড়িটি বর্তমানে পুলিশ লাইনসে রাখা হয়েছে।

এ ঘটনায় আহত গোলাম ফারুক ও রকিবুল ইসলামকে সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ ছাড়া কল্যাণপুর বাজারে আহত মিঠু বিশ্বাসও সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন।

দোগাছী ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সিরাজ বিশ্বাস বলেন, জেলা শহরে বিএনপির নেতা-কর্মীদের সঙ্গে বৈঠক করে বাড়ি ফিরছিলেন গোলাম ফারুক ও রকিবুল। নজরুলের লোকজন তাঁদের ওপর অতর্কিতভাবে হামলা করে কুপিয়ে আহত করেন। আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে যাঁরা চাঁদাবাজি করতেন, তাঁদের সঙ্গে নিয়ে নজরুল ইসলাম দল করে এসব খারাপ কাজ করে বেড়াচ্ছেন।

পুলিশের গাড়ি ভাঙচুর করা হয়। ছবি: আজকের পত্রিকা
পুলিশের গাড়ি ভাঙচুর করা হয়। ছবি: আজকের পত্রিকা

তবে অভিযোগ অস্বীকার করে ইউনিয়ন বিএনপির সিনিয়র সহসভাপতি নজরুল ইসলাম বলেন, ‘আমি ঘটনার সম্পর্কে কিছুই জানতাম না। পরে শুনলাম, সিরাজ বিশ্বাসের লোকজনই দুপুরের পর কল্যাণপুর বাজারে মিঠু বিশ্বাসকে কুপিয়ে আহত করেছে। বিএনপির থানা ও জেলা নেতারা স্থানীয় বিরোধ দুপুরেই মিটিং করে মীমাংসা করে দেয়। কিন্তু এরপরও সিরাজের লোকজন এ ঘটনা ঘটাল।’

সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ছোয়া ইসরাইল বলেন, হাসপাতালে আসা আহত তিনজনেরই অবস্থা আশঙ্কাজনক। এর মধ্যে গোলাম ফারুকের অবস্থা সবচেয়ে বেশি আশঙ্কাজনক।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, ‘খবর পেয়ে ঝিনাইদহ থেকে অতিরিক্ত পুলিশ পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এ ঘটনায় এক পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। জড়িত ব্যক্তিদের ধরতে আমরা অভিযান চালাচ্ছি।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ