Ajker Patrika

শীতেও পানিবন্দী চার লাখ মানুষ

­যশোর প্রতিনিধি
বর্ষাকাল বিদায় নিয়ে শীতের আবহ শুরু হলেও যশোরের ভবদহ অঞ্চলের অনেক এলাকা এখনো জলাবদ্ধ। এতে স্বাভাবিক জীবনযাপন ব্যাহত হয়ে ভোগান্তিতে পড়েছে লাখো মানুষ। ছবিটি গত মঙ্গলবার দুপুরে অভয়নগর উপজেলার সুন্দলী গ্রাম থেকে তোলা। 	আজকের পত্রিকা
বর্ষাকাল বিদায় নিয়ে শীতের আবহ শুরু হলেও যশোরের ভবদহ অঞ্চলের অনেক এলাকা এখনো জলাবদ্ধ। এতে স্বাভাবিক জীবনযাপন ব্যাহত হয়ে ভোগান্তিতে পড়েছে লাখো মানুষ। ছবিটি গত মঙ্গলবার দুপুরে অভয়নগর উপজেলার সুন্দলী গ্রাম থেকে তোলা। আজকের পত্রিকা

আধা পাকা টিনের বাড়ির উঠানে কোমরপানি। রান্নাঘর, শোবারঘর, গোয়ালঘরও ময়লাযুক্ত পানির নিচে। উঠানের কালচে পানিতে ভাসছে ডিঙিনৌকা। ঘরের বারান্দা থেকে শৌচাগার কিংবা রাস্তায় উঠতে একমাত্র ভরসা এই নৌকাই। পানিবন্দী এই বাড়ির অবস্থান যশোরের মনিরামপুরের ডাঙা মশিয়াহাট্টি গ্রামে। সাপ, পোকামাকড়ের সঙ্গে এই বাড়িতেই বসবাস স্মৃতি ধর ও তাঁর চার সদস্যের পরিবারের। টানা তিন মাস পানিবন্দী থাকা এই নারী বলেন, ‘খাওয়ার কষ্ট, রান্নার কষ্ট, থাকার কষ্ট। এখন শীতেও পানির মধ্যে আছি। কবে বর্ষাকাল শেষ হয়েছে; এখনো বাড়িঘরে হাঁটুপানি। আমাদের এই দুঃখ কি কোনো দিন শেষ হবে না?’

শুধু স্মৃতি ধরের পরিবারই নয়, যশোরের দুঃখখ্যাত ভবদহ অঞ্চলের প্রায় চার লাখ মানুষ তিন মাসের বেশি সময় ধরে পানিবন্দী জীবন কাটাচ্ছে। এই অঞ্চলের নদীগুলোয় পলি জমে নাব্যতা হারিয়ে পানি নিষ্কাশন ব্যাহত হওয়ায় এই অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। উজান থেকে নেমে আসা পানি নদীর কূল ছাপিয়ে গ্রাম ও বিলে প্রবেশ করছে। এতে পরিস্থিতি আরও নাজুক হয়ে পড়েছে।

গত মঙ্গলবার সরেজমিনে দেখা যায়, জলাবদ্ধতার শিকার মানুষজন রাস্তার ওপর টংঘর তৈরি করে আশ্রয় নিয়েছে। একই ঘরে ঠাঁই হয়েছে গবাদিপশুরও। নলকূপ তলিয়ে যাওয়ায় মিলছে না বিশুদ্ধ পানিও। শৌচাগারের অভাবে প্রাকৃতিক ডাকে সাড়া দেওয়ার বিষয়টিও কঠিন হয়ে পড়েছে। তিন মাসের জলাবদ্ধতার কারণে ফুরিয়ে এসেছে গোখাদ্য।

স্থানীয়রা জানান, ভারী বৃষ্টিতে অভয়নগর উপজেলার চার ইউনিয়নের মানুষের বাড়িঘরে পানি উঠে যায়। অভয়নগরের চলিশিয়া, পায়রা, দিঘলিয়া, কোটা, প্রেমবাগ, ডুমুরতলা, আন্ধা, বেদভিটা, সুন্দলী, ডহর মশিয়াহাটিসহ কয়েকটি গ্রাম ঘুরে দেখা যায়, অধিকাংশ বাড়িতে এখনো পানি। সচ্ছল পরিবারগুলো যাতায়াতের জন্য বাড়ির উঠানে বাঁশের সাঁকো তৈরির পাশাপাশি চলাচলে ব্যবহার করছে ডিঙিনৌকা। তবে দরিদ্র পরিবারগুলোকে থাকতে হচ্ছে রাস্তার ওপর। সড়কের ওপর তৈরি করা ঝুপড়িঘরের এক পাশে থাকছে গরু-ছাগল, অন্য পাশে চৌকি বানিয়ে রাত যাপন করছে মানুষ। সেখানেই চলছে তাদের খাওয়াদাওয়া। দীর্ঘ সময় জলাবদ্ধতার কারণে পানিবাহিত বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হচ্ছে অনেকেই।

সাবেক ইউপি সদস্য বেদভিটা গ্রামের বাসিন্দা প্রফুল্ল কুমার বলেন, ‘এক দিন ভাত না খেয়ে বেঁচে থাকা যায়, কিন্তু পানি না খেয়ে থাকা যায় না। আমরা কীভাবে বাঁচব? এলাকায় খাওয়ার মতো বিশুদ্ধ পানি নেই। ৩-৪ কিলোমিটার দূর থেকে পানি আনতে হয়। সেই পানি আনতেও লাগে নৌকা বা ভেলা।’

আন্ধা গ্রামের শিক্ষক মিন্টু রায় বলেন, ‘একটু বৃষ্টি হলেই পানিবন্দী হয়ে গরু-ছাগলের সঙ্গে আর কত দিন এভাবে থাকতে হবে? প্রশাসন কি কিছুই করবে না?’

স্থানীয় গণমাধ্যমকর্মী প্রিয়ব্রত ধর বলেন, প্রায় সাড়ে তিন যুগ ধরে জলাবদ্ধতার দুর্ভোগ পোহাচ্ছে এই এলাকার মানুষ। তবে এবারের জলাবদ্ধতা ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে।

প্রসঙ্গত, যশোরের অভয়নগর, মনিরামপুর ও কেশবপুর এবং খুলনার ডুমুরিয়া ও ফুলতলা উপজেলার অংশবিশেষ নিয়ে ভবদহ অঞ্চল।

চার দশকে হাজার কোটি টাকার প্রকল্প, কিন্তু কাটেনি সংকট:

পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তথ্যমতে, চার দশকে ভবদহ অঞ্চলের জলাবদ্ধতা নিরসনে প্রায় ৬৫০ কোটি টাকার প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হয়েছে। তবে ভুক্তভোগীরা বলছেন, জলাবদ্ধতার স্থায়ী সমাধান হয়নি।

আর পানি সংগ্রাম কমিটির নেতাদের অভিযোগ, চার দশকে জলাবদ্ধতা নিরসনে প্রায় এক হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ দিয়েছে সরকার; যার সিংহভাগই লুটপাট হয়েছে। বিগত সরকারের প্রতিমন্ত্রী স্থানীয় এমপি স্বপন ভট্টাচার্য ও তাঁর ছেলে শুভ ভট্টাচার্য্যের টিকাদারি প্রতিষ্ঠান ভবদহ প্রকল্পে কাজের নামে লুটপাট করেছে। তাঁদের কারণেই এই দুরবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে দুর্নীতিবাজদের বিচারের দাবি ও জলাবদ্ধতার স্থায়ী সমাধানে টাইডাল রিভার ম্যানেজমেন্ট (টিআরএম) চালু এবং আমডাঙ্গা খাল সংস্কারের দাবি জানিয়েছেন তাঁরা।

ভবদহ পানি নিষ্কাশন সংগ্রাম কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক হামিদ গাজী বলেন, টিআরএম প্রকল্প বাদ দিয়ে ২০২২ সাল থেকে স্বপন ভট্টাচার্য্যের মদদে পাউবো যে সেচ প্রকল্প গ্রহণ করেছিল, সেটাই এখন ভোগান্তির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

ভবদহ পানি নিষ্কাশন সংগ্রাম কমিটির আহ্বায়ক রণজিৎ বাওয়ালী বলেন, গত ৪০ বছরে ভবদহ এলাকা সংস্কারের নামে শত শত কোটি টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। প্রকল্পের বরাদ্দের টাকা পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়, পাউবো, ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দলের নেতা ও ঠিকাদার চক্র লুটপাট করেছে। ফলে হাজার কোটি টাকার প্রকল্পেও সুফল মেলেনি।

যশোর পাউবোর নির্বাহী প্রকৌশলী পলাশ কুমার ব্যানার্জী আজকের পত্রিকাকে বলেন, পানি নিষ্কাশনের কাজ চলছে। ইতিমধ্যে পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান ভবদহ এলাকা পরিদর্শন করেছেন। স্থানীয়দের মতামতের পরিপ্রেক্ষিতে এবার নতুনভাবে কাজ করা হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

রাজধানীতে মা-মেয়েকে কুপিয়ে হত্যা, গৃহকর্মী পলাতক

আনিসুলের জাপা ও মঞ্জুর জেপির নেতৃত্বে ২০ দলীয় জোট ঘোষণা

খালেদা জিয়ার জন্য এয়ার অ্যাম্বুলেন্স কাল আসছে না

ওমর সানী ‘নারীশাসিত’ পুরুষ ও ‘ক্লিব লিঙ্গের মতো’ মানুষ, কিন্তু ভাইকে আমি ভালোবাসি: আসিফ

আজকের রাশিফল: অনলাইনে বিতর্কে ঝাঁপিয়ে পড়বেন না, অতি উত্তেজনা পেটে গ্যাস বাড়াবে

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

সিলেটে পাথর ও বালু লুটের দায়ে ৮ জনের কারাদণ্ড

সিলেট প্রতিনিধি
সিলেটের কোম্পানীগঞ্জে অবৈধভাবে বালু ও পাথর তোলার অপরাধে কারাদণ্ডপ্রাপ্ত ব্যক্তিরা। ছবি: সংগৃহীত
সিলেটের কোম্পানীগঞ্জে অবৈধভাবে বালু ও পাথর তোলার অপরাধে কারাদণ্ডপ্রাপ্ত ব্যক্তিরা। ছবি: সংগৃহীত

সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ উপজেলায় ধলাই নদ ও শাহ আরেফিন টিলা থেকে অবৈধভাবে বালু ও পাথর তোলার অভিযোগে আটজনকে আটক করা হয়েছে। পরে ভ্রাম্যমাণ আদালত তাঁদের বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেন। আজ সোমবার ভোর থেকে বিকেল পর্যন্ত এই অভিযান চালানো হয়।

আটক ব্যক্তিদের মধ্যে সাতজনকে তিন মাসের ও একজনকে দুই মাসের কারাদণ্ডের আদেশ দেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট পলাশ তালুকদার।

তিন মাসের কারাদণ্ডপ্রাপ্ত ব্যক্তিরা হলেন তাজুল ইসলাম, জামাল হোসেন, জিয়া, সাচ্চু মিয়া, ইউসুফ, আমিন ও মো. মানিক। এ ছাড়া জাকির হোসেন নামের একজনকে দুই মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়।

কোম্পানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শফিকুল ইসলাম খান বলেন, দণ্ডপ্রাপ্ত ব্যক্তিদের কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট পলাশ তালুকদার আজকের পত্রিকাকে জানান, অবৈধভাবে বালু ও পাথর তোলার বিরুদ্ধে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হয়। এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

রাজধানীতে মা-মেয়েকে কুপিয়ে হত্যা, গৃহকর্মী পলাতক

আনিসুলের জাপা ও মঞ্জুর জেপির নেতৃত্বে ২০ দলীয় জোট ঘোষণা

খালেদা জিয়ার জন্য এয়ার অ্যাম্বুলেন্স কাল আসছে না

ওমর সানী ‘নারীশাসিত’ পুরুষ ও ‘ক্লিব লিঙ্গের মতো’ মানুষ, কিন্তু ভাইকে আমি ভালোবাসি: আসিফ

আজকের রাশিফল: অনলাইনে বিতর্কে ঝাঁপিয়ে পড়বেন না, অতি উত্তেজনা পেটে গ্যাস বাড়াবে

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

সিলেটের সাবেক মেয়র আনোয়ারুজ্জামানের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা

নিজস্ব প্রতিবেদক, সিলেট  
সাবেক মেয়র আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী। ছবি: সংগৃহীত
সাবেক মেয়র আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী। ছবি: সংগৃহীত

সিলেট সিটি করপোরেশনের (সিসিক) সাবেক মেয়র আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরীর বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

অবৈধ সম্পদ অর্জন ও ভোগদখলের অভিযোগে গতকাল রোববার এই মামলা করা হয়। দুদক প্রধান কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক আসাদুজ্জামান বাদী হয়ে মামলাটি করেন।

মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন দুদক সিলেট কার্যালয়ের উপপরিচালক রাফী মো. নাজমুস সা’দাৎ। তিনি আজকের পত্রিকাকে জানান, নির্ধারিত সময়ে সম্পদের তথ্য না দেওয়ায় কিংবা সময় বাড়ানোর আবেদন না করায় কমিশনের অনুমোদনের ভিত্তিতে দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা গতকাল মামলাটি করেন। বিধি অনুযায়ী তদন্ত ও পরবর্তী কার্যক্রম নেওয়া হবে।

মামলার এজাহার বিশ্লেষণ করে জানা যায়, আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী ২০২৩ সালের নভেম্বর মাস থেকে সিসিকের মেয়র পদে প্রায় আট মাস দায়িত্ব পালন করেন। এর আগে তিনি ২০১১ থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত আইএফআইসি ব্যাংক পিএলসির পরিচালনা পর্ষদের পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

দুদকের অনুসন্ধানকালে বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন সচিবালয় থেকে প্রাপ্ত নির্বাচনী হলফনামা বিশ্লেষণ করে সাবেক মেয়র আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরীর নিজ নামে লন্ডনে থাকা স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি যেমন—Ilford, Essex-এর ৪ হাজার বর্গফুটের বাড়ি, Talwin St. London-এর ১ হাজার ৮০০ বর্গফুটের ফ্ল্যাট ও Kipling Indian Restaurant-এর তথ্য গোপনের প্রাথমিক সত্যতা পাওয়া যায়। এ ছাড়া নির্বাচনী হলফনামায় পূর্বাচলে রাজউকের বরাদ্দ করা পাঁচ কাঠা জমির তথ্য গোপন করেন।

অনুসন্ধানকালে আরও জানা যায়, ২০২২-২৩, ২০২৩-২৪ এবং ২০২৪-২৫ খ্রিষ্টাব্দে দাখিল করা আয়কর রিটার্ন অনুসারে তাঁর মোট সম্পদ ৮৪ লাখ ৪৪ হাজার ৯৮ টাকা। কিন্তু এই টাকা তিনি কীভাবে অর্জন করেন, তার কোনো সঠিক তথ্য-প্রমাণ পাওয়া যায়নি। পারিবারিক ও অন্যান্য ব্যয় ১৩ লাখ ২৫ হাজার টাকা এবং মেয়র পদে বেতন ও সম্মানি ভাতা বাবদ ১০ লাখ ৫৩ হাজার টাকা প্রাপ্ত হন, যা গ্রহণযোগ্য। তবে মোট অগ্রহণযোগ্য নিট সম্পদ ৯৩ লাখ ৪৪ হাজার ৯৮ টাকা, যা অবৈধভাবে অর্জন করেছেন মর্মে প্রাথমিকভাবে প্রতীয়মান হয়।

গত ২৮ সেপ্টেম্বর দুদক আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরীর নামে ইস্যু করা সম্পদ বিবরণীর নোটিশ জারি করার জন্য গেলে বাসা তালাবদ্ধ অবস্থায় দেখতে পাওয়া যায়, ফলে নিয়মানুযায়ী তাঁর বাসার গেটে সাক্ষী রেখে সম্পদ বিবরণীর মূল ফরম (ফরম নং: ০০৬৫৫৭) লটকিয়ে জারি করা হয়। এ সময় উপস্থিত স্থানীয় লোকজন জানান, আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী বর্তমানে এই ঠিকানায় বসবাস করেন না, লন্ডনেই তাঁর স্থায়ী বসবাস ও ব্যবসা-বাণিজ্য আছে।

এ বিষয়ে বর্তমানে যুক্তরাজ্যে অবস্থানরত আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরীর ব্যবহৃত হোয়াটসঅ্যাপে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, ‘আমার অবৈধ কোনো সম্পদ নেই। যা আছে, সবই লিগ্যাল। ট্যাক্স দেওয়া। দুদকের নোটিশের খবর পেয়ে দেশে আমার আইনজীবীর মাধ্যমে হিসাব দাখিল করার পাশাপাশি সময় চাওয়া হয়েছে। রাজনৈতিকভাবে হেয় করতে দখলদার অবৈধ ইউনূস সরকার এসব মিথ্যা, বানোয়াট ও হয়রানিমূলক মামলা করেছে। দেশে কখনো আইনের শাসন প্রতিষ্ঠিত হলে দুদক চেয়ারম্যানসহ সংশ্লিষ্ট সবার বিরুদ্ধে মামলা করব।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

রাজধানীতে মা-মেয়েকে কুপিয়ে হত্যা, গৃহকর্মী পলাতক

আনিসুলের জাপা ও মঞ্জুর জেপির নেতৃত্বে ২০ দলীয় জোট ঘোষণা

খালেদা জিয়ার জন্য এয়ার অ্যাম্বুলেন্স কাল আসছে না

ওমর সানী ‘নারীশাসিত’ পুরুষ ও ‘ক্লিব লিঙ্গের মতো’ মানুষ, কিন্তু ভাইকে আমি ভালোবাসি: আসিফ

আজকের রাশিফল: অনলাইনে বিতর্কে ঝাঁপিয়ে পড়বেন না, অতি উত্তেজনা পেটে গ্যাস বাড়াবে

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

রাজশাহীতে মাইক্রোবাসচাপায় এনসিপির ২ নেতাসহ আহত ৩, হত্যাচেষ্টার অভিযোগ

নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী
রাজশাহীতে আজ সোমবার বিকেলে মাইক্রোবাসচাপায় এনসিপির নেতাসহ আহত ব্যক্তিরা। ছবি: আজকের পত্রিকা
রাজশাহীতে আজ সোমবার বিকেলে মাইক্রোবাসচাপায় এনসিপির নেতাসহ আহত ব্যক্তিরা। ছবি: আজকের পত্রিকা

রাজশাহীতে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) দুই নেতাসহ তিনজন মাইক্রোবাসের চাপায় আহত হয়েছেন। আওয়ামী লীগের পুনর্বাসনের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করে মোটরসাইকেলে ফেরার পথে তাঁদের মাইক্রোবাসচাপায় হত্যাচেষ্টা করা হয় বলে অভিযোগ উঠেছে।

আজ সোমবার বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে নগরের মতিহার থানার চৌদ্দপাই এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

এ ঘটনায় আহত তিনজন হলেন এনসিপির রাজশাহী জেলা কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক নাহিদুল ইসলাম সাজু, সদস্য আব্দুল বারী ও সাংবাদিক সোহানুর রহমান সোহান। সাংবাদিক সোহান বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের জেলার মিডিয়া সেলের সদস্য। তাঁরা একটি মোটরসাইকেলে চড়ে গন্তব্যে যাচ্ছিলেন।

ঘটনার পর তিনজনকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে নেওয়া হয়। তাঁদের মধ্যে নাহিদুল ইসলাম সাজু ও সোহান প্রাথমিক চিকিৎসা নেন। আব্দুল বারীর একটি পা ভেঙে গেছে। তিনি হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। সাজু দুই পা ও কবজিতে আঘাত পেয়েছেন। সোহানের হাতে জখম হয়েছে। এ বিষয়ে অভিযোগ দিতে সাজু ও সোহান সন্ধ্যায় নগরের মতিহার থানায় হাজির হন।

সাজু জানান, রাজশাহী জেলা এনসিপিতে আওয়ামী লীগের পুনর্বাসনের প্রতিবাদে বিকেলে তাঁরা একটি সংবাদ সম্মেলন করেন। সেটি শেষ করে কাটাখালীতে যাচ্ছিলেন। এ সময় উল্টো পথে আসা একটি মাইক্রোবাস তাঁদের চাপা দেয়।

সাজু বলেন, ‘রাজশাহী-নাটোর মহাসড়কের ওই স্থানটি চার লেনের। উল্টো পথে গাড়ি আসার কোনো কারণ নেই। তারপরও ওই মাইক্রোবাসটি উল্টো পথে এসে আমাদের মোটরসাইকেলে ধাক্কা দিয়ে হত্যার চেষ্টা চালায়। মাইক্রোবাসের পেছনে চারটি মোটরসাইকেল ছিল। ধাক্কা দেওয়ার পর সবাই পালিয়ে যায়। এটি অবশ্যই পরিকল্পিতভাবে হত্যাচেষ্টা। এ ঘটনায় অভিযোগ দিতে আমরা থানায় এসেছি।’

এ বিষয়ে রাজশাহী নগর পুলিশের মুখপাত্র গাজিউর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বিষয়টা আমি এখনো জানি না। ওসির সঙ্গে কথা বলে জানার পরে বলতে পারব। এমন ঘটনা ঘটলে পুলিশ অবশ্যই তদন্ত করে ব্যবস্থা নেবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

রাজধানীতে মা-মেয়েকে কুপিয়ে হত্যা, গৃহকর্মী পলাতক

আনিসুলের জাপা ও মঞ্জুর জেপির নেতৃত্বে ২০ দলীয় জোট ঘোষণা

খালেদা জিয়ার জন্য এয়ার অ্যাম্বুলেন্স কাল আসছে না

ওমর সানী ‘নারীশাসিত’ পুরুষ ও ‘ক্লিব লিঙ্গের মতো’ মানুষ, কিন্তু ভাইকে আমি ভালোবাসি: আসিফ

আজকের রাশিফল: অনলাইনে বিতর্কে ঝাঁপিয়ে পড়বেন না, অতি উত্তেজনা পেটে গ্যাস বাড়াবে

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

আমি হার্টের রোগী, রিমান্ডে নিলে অ্যাটাক হতে পারে—আদালতকে নাসার নজরুল

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
নজরুল ইসলাম। ছবি: সংগৃহীত
নজরুল ইসলাম। ছবি: সংগৃহীত

জুলাই আন্দোলনের এক হত্যা মামলায় নাসা গ্রুপের চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম মজুমদারকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তিন দিনের রিমান্ডে পাঠিয়েছেন আদালত। তদন্ত কর্মকর্তার আবেদনের শুনানি নিয়ে ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. সেফাতুল্লাহ আজ সোমবার রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

রিমান্ড শুনানিতে আদালতের অনুমতি নিয়ে কথা বলেন নজরুল ইসলাম। তিনি বলেন, ‘আমি এই মামলায় জড়িত নই। একের পর এক মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আমাকে রিমান্ডে নেওয়া হচ্ছে।’

নজরুল ইসলাম বলেন, ‘আমি অসুস্থ। হার্টের রোগী। কারাগারে থাকতেই আমার কষ্ট হচ্ছে। আমাকে রিমান্ডে দিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করলে আমার যেকোনো সময়ে হার্ট অ্যাটাক হতে পারে।’

নজরুল ইসলাম আরও বলেন, ‘আমি ১৯৮৩ সালের বিসিএস ক্যাডার। মামলা সম্পর্কে জিজ্ঞাসাবাদ করবে, সে বিষয়ে আমার কোনো বক্তব্য নেই। আদালত রিমান্ডে দেবেন কি দেবেন না, সেটা আদালতের বিষয়। তবে আমি যেহেতু অসুস্থ, সে কারণে আমি মাননীয় আদালতের কাছে অনুরোধ করি, আমাকে রিমান্ডে দেবেন না। যদি আমাকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে হয়, জেলগেটে জিজ্ঞাসাবাদের নির্দেশ দিতে পারেন।’

এদিকে, নজরুল ইসলামকে আজ কারাগার থেকে আদালতে হাজিরের পর মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সাত দিনের রিমান্ডের আবেদন করেন। শুনানি শেষে আদালত তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

নজরুল ইসলামের পক্ষে রিমান্ড বাতিল করে জেলগেটে জিজ্ঞাসাবাদের আবেদন জানিয়ে শুনানি করেন তাঁর আইনজীবী। কিন্তু আদালত রিমান্ড বাতিলের ওই আবেদন নামঞ্জুর করেন।

রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী আদালতের অতিরিক্ত পিপি মুহাম্মদ শামসুদ্দোহা সুমন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন চলাকালে গত বছরের ১৯ জুলাই দুপুরের দিকে রাজধানীর গুলশান থানার শাহজাদপুর এলাকায় গুলিতে নিহত হন কামাল হোসেন সবুজ। তিনি একটি বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলের গাড়িচালক ছিলেন। এ ঘটনায় গত বছরের ৭ ডিসেম্বর গুলশান থানায় একটি হত্যা মামলা করা হয়।

গত বছরের ১ অক্টোবর নজরুল ইসলামকে আটক করে পুলিশ। পরে তাঁকে বৈষম্যবিরোধী বিভিন্ন মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয় এবং দফায় দফায় রিমান্ডে নেওয়া হয়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

রাজধানীতে মা-মেয়েকে কুপিয়ে হত্যা, গৃহকর্মী পলাতক

আনিসুলের জাপা ও মঞ্জুর জেপির নেতৃত্বে ২০ দলীয় জোট ঘোষণা

খালেদা জিয়ার জন্য এয়ার অ্যাম্বুলেন্স কাল আসছে না

ওমর সানী ‘নারীশাসিত’ পুরুষ ও ‘ক্লিব লিঙ্গের মতো’ মানুষ, কিন্তু ভাইকে আমি ভালোবাসি: আসিফ

আজকের রাশিফল: অনলাইনে বিতর্কে ঝাঁপিয়ে পড়বেন না, অতি উত্তেজনা পেটে গ্যাস বাড়াবে

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত