বেনাপোল (যশোর) প্রতিনিধি

বেনাপোল কাস্টমস থেকে প্রায় দেড় শ এনজিও কর্মীকে (বহিরাগত) বের করে দিয়েছেন নবনিযুক্ত কাস্টমস কমিশনার খালেদ মোহাম্মদ আবু হোসেন। তবে এসব বহিরাগতের আশ্রয়দাতা কাস্টমস সদস্যদের বিরুদ্ধে কোনো শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।
আজ রোববার (৩ আগস্ট) বেনাপোল কাস্টমসে বহিরাগত প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা কড়াকড়ি করলে বের হয়ে যান এনজিও সদস্যরা। তবে তাঁরা বের হলেও বাইরে থেকে ঘুষের টাকা সংগ্রহ করছেন বলে জানা গেছে।
বেনাপোল কাস্টমস সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সাবেক সভাপতি মফিজুর রহমান স্বজন বলেন, ‘দীর্ঘদিন ধরে আমরা অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে এনজিও কর্মীদের সরানোর দাবি জানিয়ে এলেও তৎকালীন কর্মকর্তারা আমাদের দাবির বিষয়ে কোনো কর্ণপাত করেননি। সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টদের ভয়ভীতি দেখিয়ে অর্থ আদায়সহ নানা অপকর্মের সঙ্গে তারা জড়িত। মূলত তাদের কারণে আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য মারাত্মকভাবে ব্যাহত হতো। আশা করি, কমিশনার তাঁর এ সিদ্ধান্তের মাধ্যমে আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য সহজীকরণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবেন।’
সিঅ্যান্ডএফ ব্যবসায়ী রুবেল বলেন, ‘এনজিও সদস্যদের বেতন নেই, তারপরও তাঁরা কোটিপতি। চলেন দামি গাড়িতে, থাকেন আলিশান বাড়িতে। ‘কাস্টম হাউসে চাকরি করি’ বলে দাপিয়ে বেড়ায় গোটা বন্দর এলাকা। তাঁদের কাছে অনেকটাই অসহায় সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টরা। সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টদের ভয়ভীতি দেখিয়ে তাঁরা আদায় করতেন লাখ লাখ টাকা। এনজিও কর্মীদের সরানো হয়েছে। এবার তাঁদের আশ্রয়দাতা কাস্টমস সদস্যদের শনাক্ত করে তাঁদের বিরুদ্ধেও শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানাচ্ছি।’
অভিযোগ রয়েছে, আমদানি বা রপ্তানি পণ্যের ফাইলের জন্য নিদিষ্ট হারে ঘুষ নির্ধারণ করে রেখেছেন কাস্টমস কর্মকর্তারা। ফাইলপ্রতি ১৫ হাজার থেকে শুরু করে ৩০ হাজার টাকা পর্যন্ত আদায় করা হতো। আর কোনো কাগজপত্রে ত্রুটি থাকলে ঘুষের পরিমাণ দাঁড়ায় লাখ টাকা থেকে শুরু করে কোনো কোনো ক্ষেত্রে ২০ লাখ টাকা পর্যন্ত। তবে এ অর্থ কাস্টমস কর্মকর্তারা নিজেদের হাতে নেন না। এনজিও কর্মীদের দিয়ে ঘুষের টাকা সংগ্রহ করে থাকেন তাঁরা। এ জন্য বড় একটা কমিশন পান এই এনজিও কর্মীরা। এসব এনজিও কর্মী অল্প দিনে বিপুল টাকার মালিক বনে গেছেন। শূন্য থেকে কোটিপতি হতে বেশি সময় লাগেনি তাঁদের। কমিশনার দপ্তর থেকে শুরু করে শুল্কায়ন ও পরীক্ষণ গ্রুপ পর্যন্ত প্রতিটি শাখায় দুই থেকে তিনজন পর্যন্ত এনজিও সদস্যরা অবস্থান করতেন এবং সবাই ঘুষের কমিশনের অর্থ ভাগাভাগি করে নিতেন।
আমদানিকারক রবিউল ইসলাম জানান, ঘুষের কারণে আমদানি খরচ বেড়ে যায়। যার প্রভাব পড়ে দেশের বাজারে। এ ছাড়া ঘুষের কারণে কাস্টমসের বড় একটা অঙ্কের রাজস্ব হারায় সরকার।
সাধারণ ব্যবসায়ী ইদ্রিল আলী বলেন, ‘ঘুষ না দিলে কাস্টমস কর্মকর্তারা ফাইল দিনের পর দিন আটকে রাখেন। প্রতিবাদ করলে আগের কাস্টমস কর্মকর্তারা লাইসেন্স বাতিলের হুমকি দিতেন। বাধ্য হয়ে কোনো অনিয়ম না থাকলেও নির্দিষ্ট হারে ঘুষ দিতে হতো। এখন এই অবস্থা থেকে মুক্তি চাইছি।’
বেনাপোল কাস্টম হাউসের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কর্মকর্তা বলেন, ‘দীর্ঘদিন ধরে কাস্টম হাউসে জনবলসংকট ছিল। এর আগে খুলনা ও যশোর কাস্টম হাউস থেকে জনবল ধার করে কাস্টম হাউসের কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়েছে। সে সময় বিভিন্ন কর্মকর্তা অফিসের কার্যক্রমের সুবিধার্থে আত্মীয় কিংবা পরিচিত লোকজনকে এনজিও কর্মী হিসেবে নিয়োগ দেন। বর্তমান নতুন কমিশনার এনজিও কর্মী অপসারণ করতে শুরু করেছেন।

বেনাপোল কাস্টমস থেকে প্রায় দেড় শ এনজিও কর্মীকে (বহিরাগত) বের করে দিয়েছেন নবনিযুক্ত কাস্টমস কমিশনার খালেদ মোহাম্মদ আবু হোসেন। তবে এসব বহিরাগতের আশ্রয়দাতা কাস্টমস সদস্যদের বিরুদ্ধে কোনো শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।
আজ রোববার (৩ আগস্ট) বেনাপোল কাস্টমসে বহিরাগত প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা কড়াকড়ি করলে বের হয়ে যান এনজিও সদস্যরা। তবে তাঁরা বের হলেও বাইরে থেকে ঘুষের টাকা সংগ্রহ করছেন বলে জানা গেছে।
বেনাপোল কাস্টমস সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সাবেক সভাপতি মফিজুর রহমান স্বজন বলেন, ‘দীর্ঘদিন ধরে আমরা অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে এনজিও কর্মীদের সরানোর দাবি জানিয়ে এলেও তৎকালীন কর্মকর্তারা আমাদের দাবির বিষয়ে কোনো কর্ণপাত করেননি। সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টদের ভয়ভীতি দেখিয়ে অর্থ আদায়সহ নানা অপকর্মের সঙ্গে তারা জড়িত। মূলত তাদের কারণে আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য মারাত্মকভাবে ব্যাহত হতো। আশা করি, কমিশনার তাঁর এ সিদ্ধান্তের মাধ্যমে আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য সহজীকরণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবেন।’
সিঅ্যান্ডএফ ব্যবসায়ী রুবেল বলেন, ‘এনজিও সদস্যদের বেতন নেই, তারপরও তাঁরা কোটিপতি। চলেন দামি গাড়িতে, থাকেন আলিশান বাড়িতে। ‘কাস্টম হাউসে চাকরি করি’ বলে দাপিয়ে বেড়ায় গোটা বন্দর এলাকা। তাঁদের কাছে অনেকটাই অসহায় সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টরা। সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টদের ভয়ভীতি দেখিয়ে তাঁরা আদায় করতেন লাখ লাখ টাকা। এনজিও কর্মীদের সরানো হয়েছে। এবার তাঁদের আশ্রয়দাতা কাস্টমস সদস্যদের শনাক্ত করে তাঁদের বিরুদ্ধেও শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানাচ্ছি।’
অভিযোগ রয়েছে, আমদানি বা রপ্তানি পণ্যের ফাইলের জন্য নিদিষ্ট হারে ঘুষ নির্ধারণ করে রেখেছেন কাস্টমস কর্মকর্তারা। ফাইলপ্রতি ১৫ হাজার থেকে শুরু করে ৩০ হাজার টাকা পর্যন্ত আদায় করা হতো। আর কোনো কাগজপত্রে ত্রুটি থাকলে ঘুষের পরিমাণ দাঁড়ায় লাখ টাকা থেকে শুরু করে কোনো কোনো ক্ষেত্রে ২০ লাখ টাকা পর্যন্ত। তবে এ অর্থ কাস্টমস কর্মকর্তারা নিজেদের হাতে নেন না। এনজিও কর্মীদের দিয়ে ঘুষের টাকা সংগ্রহ করে থাকেন তাঁরা। এ জন্য বড় একটা কমিশন পান এই এনজিও কর্মীরা। এসব এনজিও কর্মী অল্প দিনে বিপুল টাকার মালিক বনে গেছেন। শূন্য থেকে কোটিপতি হতে বেশি সময় লাগেনি তাঁদের। কমিশনার দপ্তর থেকে শুরু করে শুল্কায়ন ও পরীক্ষণ গ্রুপ পর্যন্ত প্রতিটি শাখায় দুই থেকে তিনজন পর্যন্ত এনজিও সদস্যরা অবস্থান করতেন এবং সবাই ঘুষের কমিশনের অর্থ ভাগাভাগি করে নিতেন।
আমদানিকারক রবিউল ইসলাম জানান, ঘুষের কারণে আমদানি খরচ বেড়ে যায়। যার প্রভাব পড়ে দেশের বাজারে। এ ছাড়া ঘুষের কারণে কাস্টমসের বড় একটা অঙ্কের রাজস্ব হারায় সরকার।
সাধারণ ব্যবসায়ী ইদ্রিল আলী বলেন, ‘ঘুষ না দিলে কাস্টমস কর্মকর্তারা ফাইল দিনের পর দিন আটকে রাখেন। প্রতিবাদ করলে আগের কাস্টমস কর্মকর্তারা লাইসেন্স বাতিলের হুমকি দিতেন। বাধ্য হয়ে কোনো অনিয়ম না থাকলেও নির্দিষ্ট হারে ঘুষ দিতে হতো। এখন এই অবস্থা থেকে মুক্তি চাইছি।’
বেনাপোল কাস্টম হাউসের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কর্মকর্তা বলেন, ‘দীর্ঘদিন ধরে কাস্টম হাউসে জনবলসংকট ছিল। এর আগে খুলনা ও যশোর কাস্টম হাউস থেকে জনবল ধার করে কাস্টম হাউসের কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়েছে। সে সময় বিভিন্ন কর্মকর্তা অফিসের কার্যক্রমের সুবিধার্থে আত্মীয় কিংবা পরিচিত লোকজনকে এনজিও কর্মী হিসেবে নিয়োগ দেন। বর্তমান নতুন কমিশনার এনজিও কর্মী অপসারণ করতে শুরু করেছেন।

লক্ষ্মীপুরের চন্দ্রগঞ্জে ওয়ার্কশপের আড়ালে অস্ত্র তৈরির অভিযোগে নুর উদ্দিনকে গ্রেপ্তার করেছে জেলা পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ (ডিবি)। মঙ্গলবার রাতে অভিযান চালিয়ে রাঙামাটি জেলার চন্দ্রঘোনা থানার গহিন এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃত নুর উদ্দিন জেলার চন্দ্রগঞ্জে অবস্থিত নোহা অটো ট্রেডার্স
১১ মিনিট আগে
যানজটের নগরী ঢাকায় যাতায়াতে কিছুটা স্বস্তি আনা মেট্রোরেলের চলাচল হঠাৎ হঠাৎ থমকে যাচ্ছে। গত প্রায় দেড় বছরে ১০ বার বিঘ্ন ঘটেছে চলাচলে। বিঘ্ন ঘটার বেশির ভাগ কারণই মানবসৃষ্ট। বাকিগুলো বিয়ারিং প্যাড খুলে পড়াসহ কারিগরি বা যান্ত্রিক ত্রুটি।
৬ ঘণ্টা আগে
সারি সারি নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রের (আইসিইউ) বেড, ভেন্টিলেটর, হার্ট মনিটর, ইনফিউশন পাম্প, ডিফিব্রিলেটর, রক্তের গ্যাস বিশ্লেষকসহ নানা ধরনের যন্ত্রপাতি। এর সঙ্গে রয়েছে অক্সিজেন থেরাপি মেশিন, ফিডিং টিউব, শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা, উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন রেফ্রিজারেটরসহ আইসিইউ পরিচালনার আনুষঙ্গিক যন্ত্রপাতি।
৬ ঘণ্টা আগে
চলতি বছরের গত ২১ নভেম্বরের ভূমিকম্পে নারায়ণগঞ্জে অন্তত ১৮টি ক্ষতিগ্রস্ত ভবন চিহ্নিত করা হয়েছে। এসব স্থাপনার কোনোটিতে দেয়ালে ফাটল, আবার কোনোটিতে পিলারে ফাটল, আবার কোনোটি হেলে পড়েছে। ফলে ভবনগুলোকে ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করেছে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক) ও জেলা প্রশাসন। এগুলোর বাসিন্দাদের
৬ ঘণ্টা আগেলক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি

লক্ষ্মীপুরের চন্দ্রগঞ্জে ওয়ার্কশপের আড়ালে অস্ত্র তৈরির অভিযোগে নুর উদ্দিনকে গ্রেপ্তার করেছে জেলা পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ (ডিবি)। মঙ্গলবার রাতে অভিযান চালিয়ে রাঙামাটি জেলার চন্দ্রঘোনা থানার গহিন এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃত নুর উদ্দিন জেলার চন্দ্রগঞ্জে অবস্থিত নোহা অটো ট্রেডার্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং ওয়ার্কশপের মালিক এবং নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলার আলাইয়ারপুর ইউনিয়নের জগদীশপুর গ্রামের বাসিন্দা। রাত ১১টার দিকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) হোসাইন মোহাম্মদ রায়হান কাজেমী।
এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে রায়হান কাজেমী জানান, লক্ষ্মীপুরের চন্দ্রগঞ্জের দেওপাড়া গ্রামের নুর উদ্দিনের মালিকানাধীন নোহা অটো ট্রেডার্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং ওয়ার্কশপের আড়ালে অস্ত্র তৈরি করা হয়। গত ১ ডিসেম্বর গোয়েন্দা পুলিশ ওই কারখানায় অভিযান চালিয়ে একটি দেশীয় তৈরি অস্ত্র ও বিপুল পরিমাণ অস্ত্র তৈরির সরঞ্জামাদি উদ্ধার করে। তবে নুর উদ্দিন পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় তাকে আসামি করে চন্দ্রগঞ্জ থানায় অস্ত্র আইনে মামলা দায়ের করা হয়।
পরে গত ৭ ডিসেম্বর চন্দ্রগঞ্জ থানা এলাকা সংলগ্ন নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলার আলাইয়ারপুর ইউনিয়নের জগদীশপুর গ্রামে মুনু মাঝির বাড়ির সফিউল্যার কবরের পাশে ঝোপের ভেতর থেকে পাঁচটি একনলা বন্দুক ও একটি এলজি উদ্ধার করে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ ও চন্দ্রগঞ্জ থানা পুলিশ। ওই অস্ত্রগুলোও নুর উদ্দিনের ওয়ার্কশপে তৈরি করা হয়। তিনি আরও জানান, অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হলো। তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

লক্ষ্মীপুরের চন্দ্রগঞ্জে ওয়ার্কশপের আড়ালে অস্ত্র তৈরির অভিযোগে নুর উদ্দিনকে গ্রেপ্তার করেছে জেলা পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ (ডিবি)। মঙ্গলবার রাতে অভিযান চালিয়ে রাঙামাটি জেলার চন্দ্রঘোনা থানার গহিন এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃত নুর উদ্দিন জেলার চন্দ্রগঞ্জে অবস্থিত নোহা অটো ট্রেডার্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং ওয়ার্কশপের মালিক এবং নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলার আলাইয়ারপুর ইউনিয়নের জগদীশপুর গ্রামের বাসিন্দা। রাত ১১টার দিকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) হোসাইন মোহাম্মদ রায়হান কাজেমী।
এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে রায়হান কাজেমী জানান, লক্ষ্মীপুরের চন্দ্রগঞ্জের দেওপাড়া গ্রামের নুর উদ্দিনের মালিকানাধীন নোহা অটো ট্রেডার্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং ওয়ার্কশপের আড়ালে অস্ত্র তৈরি করা হয়। গত ১ ডিসেম্বর গোয়েন্দা পুলিশ ওই কারখানায় অভিযান চালিয়ে একটি দেশীয় তৈরি অস্ত্র ও বিপুল পরিমাণ অস্ত্র তৈরির সরঞ্জামাদি উদ্ধার করে। তবে নুর উদ্দিন পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় তাকে আসামি করে চন্দ্রগঞ্জ থানায় অস্ত্র আইনে মামলা দায়ের করা হয়।
পরে গত ৭ ডিসেম্বর চন্দ্রগঞ্জ থানা এলাকা সংলগ্ন নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলার আলাইয়ারপুর ইউনিয়নের জগদীশপুর গ্রামে মুনু মাঝির বাড়ির সফিউল্যার কবরের পাশে ঝোপের ভেতর থেকে পাঁচটি একনলা বন্দুক ও একটি এলজি উদ্ধার করে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ ও চন্দ্রগঞ্জ থানা পুলিশ। ওই অস্ত্রগুলোও নুর উদ্দিনের ওয়ার্কশপে তৈরি করা হয়। তিনি আরও জানান, অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হলো। তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

বেনাপোল কাস্টমস থেকে প্রায় দেড় শ এনজিও কর্মীকে (বহিরাগত) বহিষ্কার করেছে নবনিযুক্ত কাস্টমস কমিশনার খালেদ মোহাম্মদ আবু হোসেন। তবে এসব বহিরাগতের আশ্রয়দাতা কাস্টমস সদস্যদের বিরুদ্ধে কোনো শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।
০৩ আগস্ট ২০২৫
যানজটের নগরী ঢাকায় যাতায়াতে কিছুটা স্বস্তি আনা মেট্রোরেলের চলাচল হঠাৎ হঠাৎ থমকে যাচ্ছে। গত প্রায় দেড় বছরে ১০ বার বিঘ্ন ঘটেছে চলাচলে। বিঘ্ন ঘটার বেশির ভাগ কারণই মানবসৃষ্ট। বাকিগুলো বিয়ারিং প্যাড খুলে পড়াসহ কারিগরি বা যান্ত্রিক ত্রুটি।
৬ ঘণ্টা আগে
সারি সারি নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রের (আইসিইউ) বেড, ভেন্টিলেটর, হার্ট মনিটর, ইনফিউশন পাম্প, ডিফিব্রিলেটর, রক্তের গ্যাস বিশ্লেষকসহ নানা ধরনের যন্ত্রপাতি। এর সঙ্গে রয়েছে অক্সিজেন থেরাপি মেশিন, ফিডিং টিউব, শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা, উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন রেফ্রিজারেটরসহ আইসিইউ পরিচালনার আনুষঙ্গিক যন্ত্রপাতি।
৬ ঘণ্টা আগে
চলতি বছরের গত ২১ নভেম্বরের ভূমিকম্পে নারায়ণগঞ্জে অন্তত ১৮টি ক্ষতিগ্রস্ত ভবন চিহ্নিত করা হয়েছে। এসব স্থাপনার কোনোটিতে দেয়ালে ফাটল, আবার কোনোটিতে পিলারে ফাটল, আবার কোনোটি হেলে পড়েছে। ফলে ভবনগুলোকে ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করেছে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক) ও জেলা প্রশাসন। এগুলোর বাসিন্দাদের
৬ ঘণ্টা আগেতৌফিকুল ইসলাম, ঢাকা

যানজটের নগরী ঢাকায় যাতায়াতে কিছুটা স্বস্তি আনা মেট্রোরেলের চলাচল হঠাৎ হঠাৎ থমকে যাচ্ছে। গত প্রায় দেড় বছরে ১০ বার বিঘ্ন ঘটেছে চলাচলে। বিঘ্ন ঘটার বেশির ভাগ কারণই মানবসৃষ্ট। বাকিগুলো বিয়ারিং প্যাড খুলে পড়াসহ কারিগরি বা যান্ত্রিক ত্রুটি। মানুষের অসচেতনতা আধুনিক এই গণপরিবহন সেবার নিরাপত্তায় বড় হুমকি হয়ে উঠেছে।
মেট্রোরেল পরিচালনাকারী সংস্থা ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের (ডিএমটিসিএল) সূত্র বলেছে, মেট্রোরেলের বিয়ারিং প্যাড খুলে পড়াসহ বিভিন্ন কারণে যাত্রীসংখ্যা প্রায় ১০ শতাংশ কমেছে।
ডিএমটিসিএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ফারুক আহমেদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘মানবসৃষ্ট সমস্যাগুলো অবশ্যই আমাদের কাটিয়ে উঠতে হবে। এ জন্য জনসচেতনতা আরও বাড়াতে হবে। কারণ, মানুষ সচেতন না হলে মেট্রোরেল লাইনের ওপর পুরোপুরি বেড়া দিয়ে ঘেরা সম্ভব নয়। পাশাপাশি আমাদের নজরদারি বা এনফোর্সমেন্ট আরও জোরদার করতে হবে। যান্ত্রিক ত্রুটি স্বাভাবিকভাবে ঘটতেই পারে। কিন্তু বেশি বিঘ্ন ঘটাচ্ছে মানবসৃষ্ট নানা ধরনের সমস্যা।’
ডিএমটিসিএলের অফিশিয়াল ফেসবুক পেজের সব নোটিশ বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, ২০২৪ সালের আগস্ট থেকে চলতি বছরের ৯ ডিসেম্বর পর্যন্ত মোট ১০ বার মেট্রোরেল চলাচল বিঘ্নিত হয়েছে। এগুলোর মধ্যে ৬টির বেশি কারণ মানবসৃষ্ট, বাকিগুলো কারিগরি বা যান্ত্রিক ত্রুটি। মানবসৃষ্ট কারণের মধ্যে রয়েছে মেট্রোরেলের লাইনে কাপড়, ব্যাগ, ড্রোন, বৈদ্যুতিক লাইনে তার নিক্ষেপ এবং ট্রেনের ছাদে ওঠা। এ ছাড়া বিয়ারিং প্যাড খুলে পড়ার কারণে দুবার চলাচল কয়েক ঘণ্টার জন্য বন্ধ থাকে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, মেট্রোরেল লাইনে কোনো বস্তু পড়লে বা কোনো ধরনের বাধা শনাক্ত হলে স্বয়ংক্রিয়ভাবে ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। দুর্ঘটনা এড়াতে এটি মেট্রোরেলের একটি বিশেষ নিরাপত্তাব্যবস্থা। তবে চলমান অবস্থায় হঠাৎ ট্রেন থেমে যাওয়ায় যাত্রীরা ভোগান্তিতে পড়েন এবং আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।
ডিএমটিসিএলের ফেসবুক পেজের পোস্ট বিশ্লেষণে দেখা গেছে, সর্বশেষ ৩ ডিসেম্বর উত্তরা উত্তর-উত্তরা দক্ষিণ স্টেশনের মাঝপথে মেট্রোলাইনের ওপর কাপড় পড়ে যাওয়ায় ১৫ মিনিট ট্রেন চলাচল বন্ধ রাখতে হয়। এর তিন দিন আগে ৩০ নভেম্বর বাংলাদেশ সচিবালয় স্টেশনে এক কিশোর ট্রেনের দুটি কোচের মধ্যবর্তী স্থানে উঠে গেলে নিরাপত্তাজনিত কারণে মেট্রোরেল চলাচল বন্ধ থাকে। ২৫ নভেম্বর লাইনে পড়ে থাকা ব্যাগের জন্য ২০ মিনিট চলাচলে বিঘ্ন ঘটে। ২২ নভেম্বর উত্তরা সেন্টার-উত্তরা দক্ষিণ অংশে লাইনে ড্রোন পড়ে থাকায় কিছু সময় ট্রেন বন্ধ থাকে। ২ নভেম্বর পল্লবী-মিরপুর ১১ ঢালের মাঝে বৈদ্যুতিক লাইনের ওপর বাইরে থেকে তার নিক্ষেপ করা হলে ৩০ মিনিট ট্রেন চলেনি। এসবই মানবসৃষ্ট। এমন অসচেতনতায় চলাচলে বিঘ্ন ঘটনার পাশাপাশি দুর্ঘটনার ঝুঁকি তৈরি করছে।
যান্ত্রিক ত্রুটিও চলাচল বিঘ্নের কারণ
যান্ত্রিক ও প্রযুক্তিগত কারণেও মেট্রোরেল চলাচলে কয়েকবার বিঘ্ন ঘটেছে। এর মধ্যে ২৬ অক্টোবর বিয়ারিং প্যাডে ত্রুটি দেখা দিলে ট্রেন চলাচল থামাতে হয়। ২৮ মে অতিরিক্ত যাত্রীর চাপে ট্রেনের দরজায় সমস্যা হলে সন্ধ্যার ব্যস্ত সময়ে ২০ মিনিট চলাচল বন্ধ থাকে। ২৫ জানুয়ারি দুবার বিঘ্ন ঘটে। সেদিন সকালে দরজা বিকল হয়ে ৯টা ২৩ থেকে ৯টা ৪৯ পর্যন্ত সেবা বন্ধ থাকে। সিগন্যালের সমস্যার জন্য আবার বেলা ১টা ৩৩ থেকে ২টা ৬ মিনিট পর্যন্ত চলাচল বন্ধ থাকে। সেদিন ধাপে ধাপে রুট খুলে পুরো নেটওয়ার্ক সন্ধ্যায় স্বাভাবিক হয়।
২০২৪ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর ফার্মগেটে একটি বিয়ারিং প্যাড খুলে পড়লে ১১ ঘণ্টা ট্রেন চলাচল বন্ধ ছিল আগারগাঁও-মতিঝিল অংশে। চলতি বছরের ২৬ অক্টোবর দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে ফার্মগেটে আবারও ৮০ কেজি ওজনের বিয়ারিং প্যাড খুলে পড়ে এক যুবকের মৃত্যু হয়। এই ঘটনায় কয়েক ঘণ্টা পুরো ট্রেন চলাচল বন্ধ থাকে। পরে প্রথমে উত্তরা-আগারগাঁও অংশে এবং এর কয়েক ঘণ্টা পর মতিঝিল পর্যন্ত ট্রেন চলাচল করে।
ঘটনা বিশ্লেষণে দেখা যায়, যেসব ঘটনায় মেট্রোরেল চলাচল ব্যাহত হয়েছে, তার অধিকাংশই যাত্রী, পথচারী বা লাইনের আশপাশের মানুষদের সচেতনতা থাকলে এড়ানো যেত। কাপড় বা ব্যাগ লাইনে পড়ে থাকা, ড্রোন ওড়ানো, বৈদ্যুতিক লাইনে বস্তু নিক্ষেপ; এগুলো শুধু ট্রেন চলাচলই ব্যাহত করেনি, যাত্রীদেরও ভোগান্তিতে ফেলেছে। একই সঙ্গে বড় দুর্ঘটনার ঝুঁকি তৈরি করতে পারে।
গণপরিবহন বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এমন ঘটনা এড়াতে মেট্রো স্টেশন ও লাইনে নজরদারি আরও শক্তিশালী করতে হবে। বহিরাগত বস্তু শনাক্তের সেন্সর ও মনিটরিং বাড়াতে হবে এবং জনসচেতনতা তৈরিতে ব্যাপক প্রচার চালাতে হবে।
যোগাযোগ বিশেষজ্ঞ ও বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) পুরকৌশল বিভাগের অধ্যাপক মো. হাদিউজ্জামান আজকের পত্রিকাকে বলেন, এটি মেট্রোর পরিকল্পনাগত ত্রুটি। লাইনে কাপড়, ব্যাগ বা অন্য বস্তু পড়লে দ্রুত শনাক্ত করতে অবজেক্ট ডিটেকশন সেন্সর ও এআই-চালিত সিসিটিভি কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারে। ড্রোন প্রতিরোধে ড্রোন ডিটেকশন রাডার ও জিওফেন্সিং সিস্টেম ব্যবহার করলে অনুমতিহীন ড্রোন লাইনের কাছে এলেই সতর্কতা জারি হবে। বৈদ্যুতিক লাইনের পাশে সুরক্ষা নেট বসালে বাইরে থেকে তার বা বস্তু নিক্ষেপ রোধ করা সম্ভব। অতিরিক্ত যাত্রীর চাপে দরজার সমস্যা কমাতে দরজা-সেন্সর ও সফটওয়্যার উন্নয়নের পাশাপাশি ব্যস্ত স্টেশনে রিয়েল-টাইম যাত্রী ব্যবস্থাপনা চালু করা যেতে পারে।
ডিএমটিসিএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ফারুক আহমেদ বলেন, ‘মেট্রোরেল আমাদের সবার সম্পদ, তাই এটি রক্ষার দায়িত্বও সবার। এই সংস্কৃতি এক দিনে তৈরি হয় না। সময়ে সময়ে সচেতনতা ও অভ্যাস গড়ে তুলতেই হবে।’

যানজটের নগরী ঢাকায় যাতায়াতে কিছুটা স্বস্তি আনা মেট্রোরেলের চলাচল হঠাৎ হঠাৎ থমকে যাচ্ছে। গত প্রায় দেড় বছরে ১০ বার বিঘ্ন ঘটেছে চলাচলে। বিঘ্ন ঘটার বেশির ভাগ কারণই মানবসৃষ্ট। বাকিগুলো বিয়ারিং প্যাড খুলে পড়াসহ কারিগরি বা যান্ত্রিক ত্রুটি। মানুষের অসচেতনতা আধুনিক এই গণপরিবহন সেবার নিরাপত্তায় বড় হুমকি হয়ে উঠেছে।
মেট্রোরেল পরিচালনাকারী সংস্থা ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের (ডিএমটিসিএল) সূত্র বলেছে, মেট্রোরেলের বিয়ারিং প্যাড খুলে পড়াসহ বিভিন্ন কারণে যাত্রীসংখ্যা প্রায় ১০ শতাংশ কমেছে।
ডিএমটিসিএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ফারুক আহমেদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘মানবসৃষ্ট সমস্যাগুলো অবশ্যই আমাদের কাটিয়ে উঠতে হবে। এ জন্য জনসচেতনতা আরও বাড়াতে হবে। কারণ, মানুষ সচেতন না হলে মেট্রোরেল লাইনের ওপর পুরোপুরি বেড়া দিয়ে ঘেরা সম্ভব নয়। পাশাপাশি আমাদের নজরদারি বা এনফোর্সমেন্ট আরও জোরদার করতে হবে। যান্ত্রিক ত্রুটি স্বাভাবিকভাবে ঘটতেই পারে। কিন্তু বেশি বিঘ্ন ঘটাচ্ছে মানবসৃষ্ট নানা ধরনের সমস্যা।’
ডিএমটিসিএলের অফিশিয়াল ফেসবুক পেজের সব নোটিশ বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, ২০২৪ সালের আগস্ট থেকে চলতি বছরের ৯ ডিসেম্বর পর্যন্ত মোট ১০ বার মেট্রোরেল চলাচল বিঘ্নিত হয়েছে। এগুলোর মধ্যে ৬টির বেশি কারণ মানবসৃষ্ট, বাকিগুলো কারিগরি বা যান্ত্রিক ত্রুটি। মানবসৃষ্ট কারণের মধ্যে রয়েছে মেট্রোরেলের লাইনে কাপড়, ব্যাগ, ড্রোন, বৈদ্যুতিক লাইনে তার নিক্ষেপ এবং ট্রেনের ছাদে ওঠা। এ ছাড়া বিয়ারিং প্যাড খুলে পড়ার কারণে দুবার চলাচল কয়েক ঘণ্টার জন্য বন্ধ থাকে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, মেট্রোরেল লাইনে কোনো বস্তু পড়লে বা কোনো ধরনের বাধা শনাক্ত হলে স্বয়ংক্রিয়ভাবে ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। দুর্ঘটনা এড়াতে এটি মেট্রোরেলের একটি বিশেষ নিরাপত্তাব্যবস্থা। তবে চলমান অবস্থায় হঠাৎ ট্রেন থেমে যাওয়ায় যাত্রীরা ভোগান্তিতে পড়েন এবং আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।
ডিএমটিসিএলের ফেসবুক পেজের পোস্ট বিশ্লেষণে দেখা গেছে, সর্বশেষ ৩ ডিসেম্বর উত্তরা উত্তর-উত্তরা দক্ষিণ স্টেশনের মাঝপথে মেট্রোলাইনের ওপর কাপড় পড়ে যাওয়ায় ১৫ মিনিট ট্রেন চলাচল বন্ধ রাখতে হয়। এর তিন দিন আগে ৩০ নভেম্বর বাংলাদেশ সচিবালয় স্টেশনে এক কিশোর ট্রেনের দুটি কোচের মধ্যবর্তী স্থানে উঠে গেলে নিরাপত্তাজনিত কারণে মেট্রোরেল চলাচল বন্ধ থাকে। ২৫ নভেম্বর লাইনে পড়ে থাকা ব্যাগের জন্য ২০ মিনিট চলাচলে বিঘ্ন ঘটে। ২২ নভেম্বর উত্তরা সেন্টার-উত্তরা দক্ষিণ অংশে লাইনে ড্রোন পড়ে থাকায় কিছু সময় ট্রেন বন্ধ থাকে। ২ নভেম্বর পল্লবী-মিরপুর ১১ ঢালের মাঝে বৈদ্যুতিক লাইনের ওপর বাইরে থেকে তার নিক্ষেপ করা হলে ৩০ মিনিট ট্রেন চলেনি। এসবই মানবসৃষ্ট। এমন অসচেতনতায় চলাচলে বিঘ্ন ঘটনার পাশাপাশি দুর্ঘটনার ঝুঁকি তৈরি করছে।
যান্ত্রিক ত্রুটিও চলাচল বিঘ্নের কারণ
যান্ত্রিক ও প্রযুক্তিগত কারণেও মেট্রোরেল চলাচলে কয়েকবার বিঘ্ন ঘটেছে। এর মধ্যে ২৬ অক্টোবর বিয়ারিং প্যাডে ত্রুটি দেখা দিলে ট্রেন চলাচল থামাতে হয়। ২৮ মে অতিরিক্ত যাত্রীর চাপে ট্রেনের দরজায় সমস্যা হলে সন্ধ্যার ব্যস্ত সময়ে ২০ মিনিট চলাচল বন্ধ থাকে। ২৫ জানুয়ারি দুবার বিঘ্ন ঘটে। সেদিন সকালে দরজা বিকল হয়ে ৯টা ২৩ থেকে ৯টা ৪৯ পর্যন্ত সেবা বন্ধ থাকে। সিগন্যালের সমস্যার জন্য আবার বেলা ১টা ৩৩ থেকে ২টা ৬ মিনিট পর্যন্ত চলাচল বন্ধ থাকে। সেদিন ধাপে ধাপে রুট খুলে পুরো নেটওয়ার্ক সন্ধ্যায় স্বাভাবিক হয়।
২০২৪ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর ফার্মগেটে একটি বিয়ারিং প্যাড খুলে পড়লে ১১ ঘণ্টা ট্রেন চলাচল বন্ধ ছিল আগারগাঁও-মতিঝিল অংশে। চলতি বছরের ২৬ অক্টোবর দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে ফার্মগেটে আবারও ৮০ কেজি ওজনের বিয়ারিং প্যাড খুলে পড়ে এক যুবকের মৃত্যু হয়। এই ঘটনায় কয়েক ঘণ্টা পুরো ট্রেন চলাচল বন্ধ থাকে। পরে প্রথমে উত্তরা-আগারগাঁও অংশে এবং এর কয়েক ঘণ্টা পর মতিঝিল পর্যন্ত ট্রেন চলাচল করে।
ঘটনা বিশ্লেষণে দেখা যায়, যেসব ঘটনায় মেট্রোরেল চলাচল ব্যাহত হয়েছে, তার অধিকাংশই যাত্রী, পথচারী বা লাইনের আশপাশের মানুষদের সচেতনতা থাকলে এড়ানো যেত। কাপড় বা ব্যাগ লাইনে পড়ে থাকা, ড্রোন ওড়ানো, বৈদ্যুতিক লাইনে বস্তু নিক্ষেপ; এগুলো শুধু ট্রেন চলাচলই ব্যাহত করেনি, যাত্রীদেরও ভোগান্তিতে ফেলেছে। একই সঙ্গে বড় দুর্ঘটনার ঝুঁকি তৈরি করতে পারে।
গণপরিবহন বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এমন ঘটনা এড়াতে মেট্রো স্টেশন ও লাইনে নজরদারি আরও শক্তিশালী করতে হবে। বহিরাগত বস্তু শনাক্তের সেন্সর ও মনিটরিং বাড়াতে হবে এবং জনসচেতনতা তৈরিতে ব্যাপক প্রচার চালাতে হবে।
যোগাযোগ বিশেষজ্ঞ ও বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) পুরকৌশল বিভাগের অধ্যাপক মো. হাদিউজ্জামান আজকের পত্রিকাকে বলেন, এটি মেট্রোর পরিকল্পনাগত ত্রুটি। লাইনে কাপড়, ব্যাগ বা অন্য বস্তু পড়লে দ্রুত শনাক্ত করতে অবজেক্ট ডিটেকশন সেন্সর ও এআই-চালিত সিসিটিভি কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারে। ড্রোন প্রতিরোধে ড্রোন ডিটেকশন রাডার ও জিওফেন্সিং সিস্টেম ব্যবহার করলে অনুমতিহীন ড্রোন লাইনের কাছে এলেই সতর্কতা জারি হবে। বৈদ্যুতিক লাইনের পাশে সুরক্ষা নেট বসালে বাইরে থেকে তার বা বস্তু নিক্ষেপ রোধ করা সম্ভব। অতিরিক্ত যাত্রীর চাপে দরজার সমস্যা কমাতে দরজা-সেন্সর ও সফটওয়্যার উন্নয়নের পাশাপাশি ব্যস্ত স্টেশনে রিয়েল-টাইম যাত্রী ব্যবস্থাপনা চালু করা যেতে পারে।
ডিএমটিসিএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ফারুক আহমেদ বলেন, ‘মেট্রোরেল আমাদের সবার সম্পদ, তাই এটি রক্ষার দায়িত্বও সবার। এই সংস্কৃতি এক দিনে তৈরি হয় না। সময়ে সময়ে সচেতনতা ও অভ্যাস গড়ে তুলতেই হবে।’

বেনাপোল কাস্টমস থেকে প্রায় দেড় শ এনজিও কর্মীকে (বহিরাগত) বহিষ্কার করেছে নবনিযুক্ত কাস্টমস কমিশনার খালেদ মোহাম্মদ আবু হোসেন। তবে এসব বহিরাগতের আশ্রয়দাতা কাস্টমস সদস্যদের বিরুদ্ধে কোনো শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।
০৩ আগস্ট ২০২৫
লক্ষ্মীপুরের চন্দ্রগঞ্জে ওয়ার্কশপের আড়ালে অস্ত্র তৈরির অভিযোগে নুর উদ্দিনকে গ্রেপ্তার করেছে জেলা পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ (ডিবি)। মঙ্গলবার রাতে অভিযান চালিয়ে রাঙামাটি জেলার চন্দ্রঘোনা থানার গহিন এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃত নুর উদ্দিন জেলার চন্দ্রগঞ্জে অবস্থিত নোহা অটো ট্রেডার্স
১১ মিনিট আগে
সারি সারি নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রের (আইসিইউ) বেড, ভেন্টিলেটর, হার্ট মনিটর, ইনফিউশন পাম্প, ডিফিব্রিলেটর, রক্তের গ্যাস বিশ্লেষকসহ নানা ধরনের যন্ত্রপাতি। এর সঙ্গে রয়েছে অক্সিজেন থেরাপি মেশিন, ফিডিং টিউব, শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা, উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন রেফ্রিজারেটরসহ আইসিইউ পরিচালনার আনুষঙ্গিক যন্ত্রপাতি।
৬ ঘণ্টা আগে
চলতি বছরের গত ২১ নভেম্বরের ভূমিকম্পে নারায়ণগঞ্জে অন্তত ১৮টি ক্ষতিগ্রস্ত ভবন চিহ্নিত করা হয়েছে। এসব স্থাপনার কোনোটিতে দেয়ালে ফাটল, আবার কোনোটিতে পিলারে ফাটল, আবার কোনোটি হেলে পড়েছে। ফলে ভবনগুলোকে ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করেছে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক) ও জেলা প্রশাসন। এগুলোর বাসিন্দাদের
৬ ঘণ্টা আগেবাগেরহাট প্রতিনিধি

সারি সারি নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রের (আইসিইউ) বেড, ভেন্টিলেটর, হার্ট মনিটর, ইনফিউশন পাম্প, ডিফিব্রিলেটর, রক্তের গ্যাস বিশ্লেষকসহ নানা ধরনের যন্ত্রপাতি। এর সঙ্গে রয়েছে অক্সিজেন থেরাপি মেশিন, ফিডিং টিউব, শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা, উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন রেফ্রিজারেটরসহ আইসিইউ পরিচালনার আনুষঙ্গিক যন্ত্রপাতি। এর সামনেই রয়েছে আধুনিক অভ্যর্থনাকক্ষ, চিকিৎসক ও সেবিকাকক্ষ। বাগেরহাট ২৫০ শয্যা জেলা হাসপাতালের ৭ম তলায় থাকা আইসিইউর দৃশ্য এটি। তবে কোটি টাকা মূল্যের এসব মেশিনারিজ ও শয্যা থাকলেও এক বছর ধরে কোনো মুমূর্ষু রোগী এই আইসিইউর সেবা পায়নি। প্রায় ২০ লাখ মানুষের এই জেলার একমাত্র আইসিইউতে সেবা চালু না থাকায় মুমূর্ষু রোগীদের যেতে হয় খুলনাসহ বড় শহরে। যার ফলে রোগীদের ভোগান্তি ও ব্যয় দুটোই বেড়ে যায়। অনেক সময় টাকার অভাবে রোগীকে খুলনা নিতে পারেন না দরিদ্র স্বজনেরা।
হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, করোনাকালে ২০২১ সালের ২৩ এপ্রিল বাগেরহাট ২৫০ শয্যা জেলা হাসপাতালে তিনটি শয্যার মাধ্যমে আইসিইউ সেবা চালু করা হয়। পরবর্তীকালে বিভিন্ন সময় আরও ৭টি শয্যা যুক্ত করে ২০২৩ সালের ১৪ নভেম্বর মোট ১০ শয্যার আইসিইউ উদ্বোধন করা হয়। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের একটি প্রকল্পের মাধ্যমে ২০২৪ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত আইসিইউ চালু ছিল। প্রকল্প শেষ হওয়ায় জনবলও উঠিয়ে নেয় মন্ত্রণালয়। আইসিইউ ব্যবস্থাপনায় দক্ষ জনবল বরাদ্দ না থাকায় আইসিইউটি চালু করা যাচ্ছে না। দীর্ঘদিন ধরে অব্যবহৃত পড়ে থাকায় মূল্যবান এসব যন্ত্রপাতি নষ্ট হওয়ার ঝুঁকি বাড়ছে। চালু থাকা অবস্থায় বেশির ভাগ সময় ১০টি শয্যাই পূর্ণ থাকত বলে জানান নার্স ও সহায়ক কর্মীরা।
রক্তদাতা সংগঠন ব্লাড ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক জাহিদুল ইসলাম যাদু বলেন, ‘এখানে অনেকে আইসিইউ সাপোর্ট না পেয়ে জীবন-মরণের সন্ধিক্ষণে বাধ্য হচ্ছেন খুলনা দৌড়াতে। আর যাঁরা গরিব, তাঁরা নিতে পারছেন না আইসিইউর সেবা। অবিলম্বে এই আইসিইউ সেবা চালুর জোর দাবি জানাই।’
সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন), বাগেরহাটের সাধারণ সম্পাদক এস কে এ হাসিব বলেন, ‘যাবতীয় যন্ত্রপাতি থাকা সত্ত্বেও সদর হাসপাতালে আইসিইউ সেবা বন্ধ রয়েছে। কর্তৃপক্ষ যদি উদ্যোগী হয়ে এই আইসিইউ চালু করে, তাহলে আমরা বাগেরহাটবাসী এই সুবিধা পেতে পারি। এটি চালু না থাকার কারণে আমরা আইসিইউ সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছি।’
হাসপাতালের নার্সিং সুপারভাইজর ও আইসিইউতে দায়িত্ব পালন করা নার্স বাসন্তী নারী দাস বলেন, এখানে অনেক দিন যাবৎ আইসিইউ অচল অবস্থায় আছে। ডাক্তাররা বাধ্য হয়ে রোগীকে উন্নত সেবার জন্য রেফার্ড করে খুলনায় পাঠান। ১০ বেডের এই আইসিইউ যখন সচল ছিল, তখন বেশির ভাগ সময় পরিপূর্ণ থাকত।’
হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. অসীম কুমার সমাদ্দার বলেন, ‘কোভিড-১৯ নামের একটি প্রকল্পের মাধ্যমে আইসিইউ সেবাটি চলত। প্রকল্পটি বন্ধ হয়ে যাওয়ায় আইসিইউ সেবা বন্ধ রয়েছে। দক্ষ জনবল না থাকায় আমরা আইসিইউ সেবা দিতে পারছি না।’ তিনি বলেন, ‘বাগেরহাটে কোথাও আইসিইউ সেবার ব্যবস্থা নেই। তাই জেলার ২০ লাখ মানুষের জন্য সদর হাসপাতালে আইসিইউ সেবা থাকা উচিত বলে আমি মনে করি।’ তিনি আরও বলেন, ১০ শয্যার আইসিইউ চালাতে তিনজন কনসালট্যান্ট, চারজন মেডিকেল অফিসার, ১২ জন নার্স ও ১৬ জন চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী প্রয়োজন।

সারি সারি নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রের (আইসিইউ) বেড, ভেন্টিলেটর, হার্ট মনিটর, ইনফিউশন পাম্প, ডিফিব্রিলেটর, রক্তের গ্যাস বিশ্লেষকসহ নানা ধরনের যন্ত্রপাতি। এর সঙ্গে রয়েছে অক্সিজেন থেরাপি মেশিন, ফিডিং টিউব, শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা, উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন রেফ্রিজারেটরসহ আইসিইউ পরিচালনার আনুষঙ্গিক যন্ত্রপাতি। এর সামনেই রয়েছে আধুনিক অভ্যর্থনাকক্ষ, চিকিৎসক ও সেবিকাকক্ষ। বাগেরহাট ২৫০ শয্যা জেলা হাসপাতালের ৭ম তলায় থাকা আইসিইউর দৃশ্য এটি। তবে কোটি টাকা মূল্যের এসব মেশিনারিজ ও শয্যা থাকলেও এক বছর ধরে কোনো মুমূর্ষু রোগী এই আইসিইউর সেবা পায়নি। প্রায় ২০ লাখ মানুষের এই জেলার একমাত্র আইসিইউতে সেবা চালু না থাকায় মুমূর্ষু রোগীদের যেতে হয় খুলনাসহ বড় শহরে। যার ফলে রোগীদের ভোগান্তি ও ব্যয় দুটোই বেড়ে যায়। অনেক সময় টাকার অভাবে রোগীকে খুলনা নিতে পারেন না দরিদ্র স্বজনেরা।
হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, করোনাকালে ২০২১ সালের ২৩ এপ্রিল বাগেরহাট ২৫০ শয্যা জেলা হাসপাতালে তিনটি শয্যার মাধ্যমে আইসিইউ সেবা চালু করা হয়। পরবর্তীকালে বিভিন্ন সময় আরও ৭টি শয্যা যুক্ত করে ২০২৩ সালের ১৪ নভেম্বর মোট ১০ শয্যার আইসিইউ উদ্বোধন করা হয়। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের একটি প্রকল্পের মাধ্যমে ২০২৪ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত আইসিইউ চালু ছিল। প্রকল্প শেষ হওয়ায় জনবলও উঠিয়ে নেয় মন্ত্রণালয়। আইসিইউ ব্যবস্থাপনায় দক্ষ জনবল বরাদ্দ না থাকায় আইসিইউটি চালু করা যাচ্ছে না। দীর্ঘদিন ধরে অব্যবহৃত পড়ে থাকায় মূল্যবান এসব যন্ত্রপাতি নষ্ট হওয়ার ঝুঁকি বাড়ছে। চালু থাকা অবস্থায় বেশির ভাগ সময় ১০টি শয্যাই পূর্ণ থাকত বলে জানান নার্স ও সহায়ক কর্মীরা।
রক্তদাতা সংগঠন ব্লাড ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক জাহিদুল ইসলাম যাদু বলেন, ‘এখানে অনেকে আইসিইউ সাপোর্ট না পেয়ে জীবন-মরণের সন্ধিক্ষণে বাধ্য হচ্ছেন খুলনা দৌড়াতে। আর যাঁরা গরিব, তাঁরা নিতে পারছেন না আইসিইউর সেবা। অবিলম্বে এই আইসিইউ সেবা চালুর জোর দাবি জানাই।’
সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন), বাগেরহাটের সাধারণ সম্পাদক এস কে এ হাসিব বলেন, ‘যাবতীয় যন্ত্রপাতি থাকা সত্ত্বেও সদর হাসপাতালে আইসিইউ সেবা বন্ধ রয়েছে। কর্তৃপক্ষ যদি উদ্যোগী হয়ে এই আইসিইউ চালু করে, তাহলে আমরা বাগেরহাটবাসী এই সুবিধা পেতে পারি। এটি চালু না থাকার কারণে আমরা আইসিইউ সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছি।’
হাসপাতালের নার্সিং সুপারভাইজর ও আইসিইউতে দায়িত্ব পালন করা নার্স বাসন্তী নারী দাস বলেন, এখানে অনেক দিন যাবৎ আইসিইউ অচল অবস্থায় আছে। ডাক্তাররা বাধ্য হয়ে রোগীকে উন্নত সেবার জন্য রেফার্ড করে খুলনায় পাঠান। ১০ বেডের এই আইসিইউ যখন সচল ছিল, তখন বেশির ভাগ সময় পরিপূর্ণ থাকত।’
হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. অসীম কুমার সমাদ্দার বলেন, ‘কোভিড-১৯ নামের একটি প্রকল্পের মাধ্যমে আইসিইউ সেবাটি চলত। প্রকল্পটি বন্ধ হয়ে যাওয়ায় আইসিইউ সেবা বন্ধ রয়েছে। দক্ষ জনবল না থাকায় আমরা আইসিইউ সেবা দিতে পারছি না।’ তিনি বলেন, ‘বাগেরহাটে কোথাও আইসিইউ সেবার ব্যবস্থা নেই। তাই জেলার ২০ লাখ মানুষের জন্য সদর হাসপাতালে আইসিইউ সেবা থাকা উচিত বলে আমি মনে করি।’ তিনি আরও বলেন, ১০ শয্যার আইসিইউ চালাতে তিনজন কনসালট্যান্ট, চারজন মেডিকেল অফিসার, ১২ জন নার্স ও ১৬ জন চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী প্রয়োজন।

বেনাপোল কাস্টমস থেকে প্রায় দেড় শ এনজিও কর্মীকে (বহিরাগত) বহিষ্কার করেছে নবনিযুক্ত কাস্টমস কমিশনার খালেদ মোহাম্মদ আবু হোসেন। তবে এসব বহিরাগতের আশ্রয়দাতা কাস্টমস সদস্যদের বিরুদ্ধে কোনো শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।
০৩ আগস্ট ২০২৫
লক্ষ্মীপুরের চন্দ্রগঞ্জে ওয়ার্কশপের আড়ালে অস্ত্র তৈরির অভিযোগে নুর উদ্দিনকে গ্রেপ্তার করেছে জেলা পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ (ডিবি)। মঙ্গলবার রাতে অভিযান চালিয়ে রাঙামাটি জেলার চন্দ্রঘোনা থানার গহিন এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃত নুর উদ্দিন জেলার চন্দ্রগঞ্জে অবস্থিত নোহা অটো ট্রেডার্স
১১ মিনিট আগে
যানজটের নগরী ঢাকায় যাতায়াতে কিছুটা স্বস্তি আনা মেট্রোরেলের চলাচল হঠাৎ হঠাৎ থমকে যাচ্ছে। গত প্রায় দেড় বছরে ১০ বার বিঘ্ন ঘটেছে চলাচলে। বিঘ্ন ঘটার বেশির ভাগ কারণই মানবসৃষ্ট। বাকিগুলো বিয়ারিং প্যাড খুলে পড়াসহ কারিগরি বা যান্ত্রিক ত্রুটি।
৬ ঘণ্টা আগে
চলতি বছরের গত ২১ নভেম্বরের ভূমিকম্পে নারায়ণগঞ্জে অন্তত ১৮টি ক্ষতিগ্রস্ত ভবন চিহ্নিত করা হয়েছে। এসব স্থাপনার কোনোটিতে দেয়ালে ফাটল, আবার কোনোটিতে পিলারে ফাটল, আবার কোনোটি হেলে পড়েছে। ফলে ভবনগুলোকে ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করেছে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক) ও জেলা প্রশাসন। এগুলোর বাসিন্দাদের
৬ ঘণ্টা আগেসাবিত আল হাসান, নারায়ণগঞ্জ

চলতি বছরের গত ২১ নভেম্বরের ভূমিকম্পে নারায়ণগঞ্জে অন্তত ১৮টি ক্ষতিগ্রস্ত ভবন চিহ্নিত করা হয়েছে। এসব স্থাপনার কোনোটিতে দেয়ালে ফাটল, আবার কোনোটিতে পিলারে ফাটল, আবার কোনোটি হেলে পড়েছে। ফলে ভবনগুলোকে ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করেছে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক) ও জেলা প্রশাসন। এগুলোর বাসিন্দাদের অন্যত্র সরে যেতে বলা হয়েছে। সে অনুযায়ী সরে যেতে শুরু করেছেন ভবনমালিক ও ভাড়াটেরা।
নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন এলাকায় প্রায় ২০ লাখ মানুষের বসবাস। কাজের খোঁজে প্রতিনিয়ত দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে এখানে আসছেন মানুষ। ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যার আবাসন নিশ্চিতে গড়ে উঠছে একের পর এক বহুতল ভবন। সাম্প্রতিক ভূমিকম্পের পর এসব ভবনের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।
নারায়ণগঞ্জ ডেভেলপার অ্যাসোসিয়েশনের নেতা গোলাম সারোয়ার সাঈদ বলেন, বাড়ি তৈরির আগে সঠিকভাবে সয়েল টেস্ট করানো জরুরি। এসব ক্ষেত্রে রাজউকের চেয়ে মালিকদের দায় বেশি।
২১ নভেম্বরের ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত ১৮ ভবনের মধ্যে ফতুল্লার পাগলা বাজারের হাজী ইউনুস সুপার মার্কেটও রয়েছে। চারতলা ভবনটিতে ফাটল ধরেছে। একই এলাকার চারতলা হাজী মিছির আলী মার্কেটের বিমে ফাটল ধরেছে। ফতুল্লার আলীগঞ্জে হেলে পড়েছে আমির হামজার চারতলা ভবন, একই এলাকায় কামরুল হাসান নামের এক ব্যক্তির আরেকটি চারতলা ভবনও হেলে পড়েছে। নারায়ণগঞ্জ শহরের মিশনপাড়ায় দেয়ালে ফাটল ধরেছে নয়তলাবিশিষ্ট এস আহমেদ প্যালেসে। ফতুল্লার মাসদাইরে হেলে পড়েছে মো. ইউসুফের পাঁচতলা ভবন, একই এলাকায় মাহমুদা খাতুন নামের এক নারীর পাঁচতলা ভবনও হেলে পড়েছে।
সিদ্ধিরগঞ্জ হাউজিংয়ের ২ নম্বর রোডে হেলে পড়েছে দেলোয়ার হোসেন এবং সিদ্দিকুর রহমানের পৃথক পাঁচতলা ভবন। একই হাউজিংয়ের ৪ নম্বর রোডে হেলে পড়েছে আবুল কালামের পাঁচতলা এবং ইকবালের সাততলা ভবন। ৫ নম্বর রোডে হেলে পড়েছে সাজেদা বেগম ও শহীদুল ইসলামের পৃথক পাঁচতলা ভবন।
সিদ্ধিরগঞ্জের হীরাঝিল এলাকায় ছাদের প্যারাপেট ভেঙে পড়া ইসমাইল ভুঁইয়ার চারতলা এবং দেয়ালে ফাটল ধরা আলী আক্কাসের আটতলা ভবনও রয়েছে ক্ষতিগ্রস্ত স্থাপনার তালিকায়। সিদ্ধিরগঞ্জের মিজমিজি এলাকায় ফাটল ধরেছে সাততলাবিশিষ্ট আদিবা টাওয়ারে। আদমজীনগরে হেলে পড়েছে নাহার মঞ্জিল এবং চঞ্চল মাহমুদের পাঁচতলা ভবন।
সাম্প্রতিক ভূমিকম্পের পর ২৯ নভেম্বর এসব ভবনের বাসিন্দাদের সতর্ক করে রাজউক ও জেলা প্রশাসন। ক্ষতিগ্রস্ত ভবনের বেশির ভাগই সিদ্ধিরগঞ্জে হওয়ায় প্রকৌশলীদের ধারণা, এই অঞ্চলের মাটি অপেক্ষাকৃত নরম হতে পারে। একই সঙ্গে এসব ভবন সঠিকভাবে সয়েল টেস্ট করে নির্মাণ করা হয়েছে কি না, তাও যাচাই করা হচ্ছে।
সরেজমিনে সিদ্ধিরগঞ্জ হাউজিংয়ে গিয়ে দেখা যায়, হেলে পড়া ও ফাটল ধরা ছয়টি ভবনের মধ্যে চারটির বাসিন্দারা অন্যত্র সরে গেছেন। একটিতে বাড়িওয়ালা চলে গেলেও এক ফ্ল্যাটে ভাড়াটে রয়েছেন। অন্য ভবনে বাড়িওয়ালা থাকলেও ভাড়াটেরা সরে গেছেন।
একটি ভবনের বাড়িওয়ালার ছেলে নাহিয়ান বলেন, ‘রাজউক থেকে বলা হয়েছে বুয়েট থেকে পরীক্ষা করাতে। সেই পরীক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় ফি জমা দেওয়া হয়েছে। পরীক্ষার পর ঝুঁকিপূর্ণ বলা হলে চলে যাব।’ স্থানীয় বাসিন্দারা বলছেন, বুয়েট থেকে পরীক্ষা করে ভবনগুলোতে বসবাসের বিষয়ে সিদ্ধান্ত জানানো উচিত।
রাজউকের অথরাইজড অফিসার রঙ্গন মণ্ডল বলেন, ‘১৮টি ভবন চিহ্নিত করে সেগুলো খালি করার অনুরোধ করেছি। যদি তাঁরা সিদ্ধান্ত না মানেন তাহলে পানি, গ্যাস, বিদ্যুৎ-সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দিতে সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোকে চিঠি দেওয়া হবে।’
নারায়ণগঞ্জের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ রায়হান কবীর বলেন, ‘রাজউক ১৮টি ভবন সাময়িকভাবে খালি করার নোটিশ দিয়েছে। পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর আনুষ্ঠানিক সিদ্ধান্ত জানানো হবে।’

চলতি বছরের গত ২১ নভেম্বরের ভূমিকম্পে নারায়ণগঞ্জে অন্তত ১৮টি ক্ষতিগ্রস্ত ভবন চিহ্নিত করা হয়েছে। এসব স্থাপনার কোনোটিতে দেয়ালে ফাটল, আবার কোনোটিতে পিলারে ফাটল, আবার কোনোটি হেলে পড়েছে। ফলে ভবনগুলোকে ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করেছে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক) ও জেলা প্রশাসন। এগুলোর বাসিন্দাদের অন্যত্র সরে যেতে বলা হয়েছে। সে অনুযায়ী সরে যেতে শুরু করেছেন ভবনমালিক ও ভাড়াটেরা।
নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন এলাকায় প্রায় ২০ লাখ মানুষের বসবাস। কাজের খোঁজে প্রতিনিয়ত দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে এখানে আসছেন মানুষ। ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যার আবাসন নিশ্চিতে গড়ে উঠছে একের পর এক বহুতল ভবন। সাম্প্রতিক ভূমিকম্পের পর এসব ভবনের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।
নারায়ণগঞ্জ ডেভেলপার অ্যাসোসিয়েশনের নেতা গোলাম সারোয়ার সাঈদ বলেন, বাড়ি তৈরির আগে সঠিকভাবে সয়েল টেস্ট করানো জরুরি। এসব ক্ষেত্রে রাজউকের চেয়ে মালিকদের দায় বেশি।
২১ নভেম্বরের ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত ১৮ ভবনের মধ্যে ফতুল্লার পাগলা বাজারের হাজী ইউনুস সুপার মার্কেটও রয়েছে। চারতলা ভবনটিতে ফাটল ধরেছে। একই এলাকার চারতলা হাজী মিছির আলী মার্কেটের বিমে ফাটল ধরেছে। ফতুল্লার আলীগঞ্জে হেলে পড়েছে আমির হামজার চারতলা ভবন, একই এলাকায় কামরুল হাসান নামের এক ব্যক্তির আরেকটি চারতলা ভবনও হেলে পড়েছে। নারায়ণগঞ্জ শহরের মিশনপাড়ায় দেয়ালে ফাটল ধরেছে নয়তলাবিশিষ্ট এস আহমেদ প্যালেসে। ফতুল্লার মাসদাইরে হেলে পড়েছে মো. ইউসুফের পাঁচতলা ভবন, একই এলাকায় মাহমুদা খাতুন নামের এক নারীর পাঁচতলা ভবনও হেলে পড়েছে।
সিদ্ধিরগঞ্জ হাউজিংয়ের ২ নম্বর রোডে হেলে পড়েছে দেলোয়ার হোসেন এবং সিদ্দিকুর রহমানের পৃথক পাঁচতলা ভবন। একই হাউজিংয়ের ৪ নম্বর রোডে হেলে পড়েছে আবুল কালামের পাঁচতলা এবং ইকবালের সাততলা ভবন। ৫ নম্বর রোডে হেলে পড়েছে সাজেদা বেগম ও শহীদুল ইসলামের পৃথক পাঁচতলা ভবন।
সিদ্ধিরগঞ্জের হীরাঝিল এলাকায় ছাদের প্যারাপেট ভেঙে পড়া ইসমাইল ভুঁইয়ার চারতলা এবং দেয়ালে ফাটল ধরা আলী আক্কাসের আটতলা ভবনও রয়েছে ক্ষতিগ্রস্ত স্থাপনার তালিকায়। সিদ্ধিরগঞ্জের মিজমিজি এলাকায় ফাটল ধরেছে সাততলাবিশিষ্ট আদিবা টাওয়ারে। আদমজীনগরে হেলে পড়েছে নাহার মঞ্জিল এবং চঞ্চল মাহমুদের পাঁচতলা ভবন।
সাম্প্রতিক ভূমিকম্পের পর ২৯ নভেম্বর এসব ভবনের বাসিন্দাদের সতর্ক করে রাজউক ও জেলা প্রশাসন। ক্ষতিগ্রস্ত ভবনের বেশির ভাগই সিদ্ধিরগঞ্জে হওয়ায় প্রকৌশলীদের ধারণা, এই অঞ্চলের মাটি অপেক্ষাকৃত নরম হতে পারে। একই সঙ্গে এসব ভবন সঠিকভাবে সয়েল টেস্ট করে নির্মাণ করা হয়েছে কি না, তাও যাচাই করা হচ্ছে।
সরেজমিনে সিদ্ধিরগঞ্জ হাউজিংয়ে গিয়ে দেখা যায়, হেলে পড়া ও ফাটল ধরা ছয়টি ভবনের মধ্যে চারটির বাসিন্দারা অন্যত্র সরে গেছেন। একটিতে বাড়িওয়ালা চলে গেলেও এক ফ্ল্যাটে ভাড়াটে রয়েছেন। অন্য ভবনে বাড়িওয়ালা থাকলেও ভাড়াটেরা সরে গেছেন।
একটি ভবনের বাড়িওয়ালার ছেলে নাহিয়ান বলেন, ‘রাজউক থেকে বলা হয়েছে বুয়েট থেকে পরীক্ষা করাতে। সেই পরীক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় ফি জমা দেওয়া হয়েছে। পরীক্ষার পর ঝুঁকিপূর্ণ বলা হলে চলে যাব।’ স্থানীয় বাসিন্দারা বলছেন, বুয়েট থেকে পরীক্ষা করে ভবনগুলোতে বসবাসের বিষয়ে সিদ্ধান্ত জানানো উচিত।
রাজউকের অথরাইজড অফিসার রঙ্গন মণ্ডল বলেন, ‘১৮টি ভবন চিহ্নিত করে সেগুলো খালি করার অনুরোধ করেছি। যদি তাঁরা সিদ্ধান্ত না মানেন তাহলে পানি, গ্যাস, বিদ্যুৎ-সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দিতে সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোকে চিঠি দেওয়া হবে।’
নারায়ণগঞ্জের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ রায়হান কবীর বলেন, ‘রাজউক ১৮টি ভবন সাময়িকভাবে খালি করার নোটিশ দিয়েছে। পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর আনুষ্ঠানিক সিদ্ধান্ত জানানো হবে।’

বেনাপোল কাস্টমস থেকে প্রায় দেড় শ এনজিও কর্মীকে (বহিরাগত) বহিষ্কার করেছে নবনিযুক্ত কাস্টমস কমিশনার খালেদ মোহাম্মদ আবু হোসেন। তবে এসব বহিরাগতের আশ্রয়দাতা কাস্টমস সদস্যদের বিরুদ্ধে কোনো শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।
০৩ আগস্ট ২০২৫
লক্ষ্মীপুরের চন্দ্রগঞ্জে ওয়ার্কশপের আড়ালে অস্ত্র তৈরির অভিযোগে নুর উদ্দিনকে গ্রেপ্তার করেছে জেলা পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ (ডিবি)। মঙ্গলবার রাতে অভিযান চালিয়ে রাঙামাটি জেলার চন্দ্রঘোনা থানার গহিন এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃত নুর উদ্দিন জেলার চন্দ্রগঞ্জে অবস্থিত নোহা অটো ট্রেডার্স
১১ মিনিট আগে
যানজটের নগরী ঢাকায় যাতায়াতে কিছুটা স্বস্তি আনা মেট্রোরেলের চলাচল হঠাৎ হঠাৎ থমকে যাচ্ছে। গত প্রায় দেড় বছরে ১০ বার বিঘ্ন ঘটেছে চলাচলে। বিঘ্ন ঘটার বেশির ভাগ কারণই মানবসৃষ্ট। বাকিগুলো বিয়ারিং প্যাড খুলে পড়াসহ কারিগরি বা যান্ত্রিক ত্রুটি।
৬ ঘণ্টা আগে
সারি সারি নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রের (আইসিইউ) বেড, ভেন্টিলেটর, হার্ট মনিটর, ইনফিউশন পাম্প, ডিফিব্রিলেটর, রক্তের গ্যাস বিশ্লেষকসহ নানা ধরনের যন্ত্রপাতি। এর সঙ্গে রয়েছে অক্সিজেন থেরাপি মেশিন, ফিডিং টিউব, শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা, উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন রেফ্রিজারেটরসহ আইসিইউ পরিচালনার আনুষঙ্গিক যন্ত্রপাতি।
৬ ঘণ্টা আগে