আনোয়ার হোসেন, মনিরামপুর (যশোর)

জাতীয় জনসংখ্যা গবেষণা ও প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট (নিপোর্ট), যশোরের মনিরামপুর আঞ্চলিক প্রশিক্ষণ কেন্দ্র অনিয়ম-দুর্নীতির আখড়ায় পরিণত হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা মাঠ কর্মীদের প্রশিক্ষণের নামে ভুয়া বিল ভাউচার করে চলে অর্থ লোপাট। কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত প্রশিক্ষণ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অফিস ফাঁকি, নামমাত্র মাঠ প্রশিক্ষণ, শারীরিক প্রশিক্ষণ (পিটি) না করিয়ে, নাশতার নামে বরাদ্দসহ প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের কক্ষ আর কোয়ার্টার ভাড়ার টাকা হাতানোর অভিযোগ রয়েছে।
সরাসরি ঢাকা থেকে পরিচালিত হওয়ার পাশাপাশি স্থানীয়ভাবে তদারকির ব্যবস্থা না থাকার সুযোগে এসব অনিয়ম-দুর্নীতি চালানো সম্ভব হচ্ছে বলে অভিযোগ।
এসব বিষয়ে বেশ কয়েক দিন ধরে অনুসন্ধান করেছে আজকের পত্রিকা। গত বৃহস্পতিবার সরেজমিন নিপোর্টের মনিরামপুর কেন্দ্রে গিয়ে প্রশিক্ষণার্থী ও সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে অভিযোগের সত্যতা মিলেছে। এ সময় বিভিন্ন অভিযোগ ওঠা প্রশিক্ষণ কর্মকর্তা তুহিন হোসেনকে দপ্তরে পাওয়া যায়নি।
অনুসন্ধানে জানা গেছে, নিপোর্টের মনিরামপুর আঞ্চলিক প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে (হাসপাতাল চত্বরে অবস্থিত) মূলত স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা মাঠ কর্মীদের মৌলিক প্রশিক্ষণ চলে। এতে দুই মাস মেয়াদি প্রতি ব্যাচে ২৫ জন প্রশিক্ষণার্থী অংশ নেন। দুই মাসের কোর্সে ২৩ দিন থিওরি ক্লাস ও ২০ দিন মাঠ পরিদর্শন কার্যক্রম রয়েছে। বছরে ৪ বার মৌলিক প্রশিক্ষণের পাশাপাশি ১৫ থেকে ২০টি সংক্ষিপ্ত কোর্সের প্রশিক্ষণ হয় এই কেন্দ্রে। গত ৮ ডিসেম্বর শুরু হয়ে বর্তমানে ২৫ জনের প্রশিক্ষণ চলছে। প্রতিদিন ছয়টি করে ক্লাস নেওয়ার নিয়ম রয়েছে। তবে সেই নিয়মের তোয়াক্কা করা হয় না। গত বৃহস্পতিবার দুটি ক্লাস হওয়ার তথ্য জানিয়েছেন অফিস সহকারী আসমত আলী।
জানা গেছে, মৌলিক প্রশিক্ষণ কোর্সে মনিরামপুর হাসপাতাল ও পরিবার পরিকল্পনা কেন্দ্রের চার চিকিৎসক ক্লাস নেন। প্রতি ক্লাসের জন্য তাঁদের দুই হাজার টাকা সম্মানী বরাদ্দ থাকলেও তা মানা হয় না। চিকিৎসকদের দিয়ে কম ক্লাস নিয়ে পরিমাণে বেশি দেখিয়ে সেই টাকা লোপাট করা হয়।
দপ্তরের অফিস সহকারীর দেওয়া তথ্যমতে, ডিসেম্বর মাসে মনিরামপুর হাসপাতালের প্রধান তন্ময় বিশ্বাস আটটি, ডা. অনুপ বসু ১০টি, ডা. চন্দ্র শেখর ১২টি ও ডা. সাদিয়া রায়হান ১২টি ক্লাস নিয়েছেন। তবে ডা. তন্ময় ও অনুপ বসু ডিসেম্বরে চারটি করে ক্লাস নেওয়ার কথা জানিয়েছেন।
অভিযোগ রয়েছে, চিকিৎসকদের কাছ থেকে নামের পাশে ক্লাসের সংখ্যা বসিয়ে অতিরিক্ত স্বাক্ষর করিয়ে নিয়ে সেই টাকা আত্মসাৎ করেন প্রশিক্ষণ কর্মকর্তা।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ডা. তন্ময় বিশ্বাস বলেন, ‘শ্রেণিকক্ষে ব্যস্ততার মধ্যে স্বাক্ষর করিয়ে নেয় তারা। ওই সময় খেয়াল করা হয় না। তবে কয়েক দিন ধরে বাড়তি স্বাক্ষর করানোর বিষয়টি আমরা নজরে নিয়েছি। তারা যে আমাদের স্বাক্ষর নিয়ে টাকা আত্মসাৎ করে, এটা আগে বুঝতে পারিনি।’
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ক্লাস নেওয়ার ক্ষেত্রে প্রশিক্ষণ কর্মকর্তা নিজের পছন্দের চিকিৎসক বাছাই করে এই অনিয়ম চালান। চিকিৎসকেরা তাঁর কথায় রাজি হয়ে বাড়তি স্বাক্ষর না দিলে পরবর্তী কোর্সে এই চিকিৎসককে বাদ রেখে অন্য চিকিৎসক বাছাই করেন প্রশিক্ষণ কর্মকর্তা।
এদিকে মাঠ প্রশিক্ষণে সরকারি বরাদ্দে দুজন পরিবার কল্যাণ সহকারীর নেতৃত্বে কার্যক্রম চালানোর নিয়ম থাকলেও তাদের না নিয়ে অফিসের গাড়ি চালকদের দিয়ে প্রশিক্ষণার্থীদের নামমাত্র ঘুরিয়ে আনা হয়। এরপর পছন্দের দুজন পরিবার কল্যাণ সহকারীকে দিয়ে হাজিরা খাতায় স্বাক্ষর করিয়ে কিছু সম্মানী দিয়ে বাকি টাকা লোপাট করা হয়।

সূত্র বলছে, প্রশিক্ষণে ১৫ হাজার টাকা বরাদ্দে একজন শিক্ষককে দিয়ে নিয়মিত পিটির নিয়ম রয়েছে। মনিরামপুর মহিলা কলেজের শিক্ষক রেশমা পারভিনকে দিয়ে পুরো কোর্সে পাঁচ-ছয় দিন পিটি করিয়ে তাঁকে ৫ হাজার টাকা দিয়ে বাকি টাকা লোপাটের অভিযোগ পাওয়া গেছে। রেশমা পারভিন ক্লাস কম নেওয়ার বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, ‘আমাকে তারা ৬ হাজার টাকা দেয়।’
অনুসন্ধানে জানা গেছে, প্রশিক্ষণার্থীদের প্রত্যেকের জন্য দৈনিক ৮০ টাকার নাশতা বরাদ্দ আছে। অভিযোগ রয়েছে, তাদের এক কাপ চা আর ৫ টাকার বিস্কুট দিয়ে বাকি টাকা পকেটস্থ করা হয়।
এ ছাড়া ভাড়া না দিয়ে প্রথম শ্রেণির কর্মকর্তার কোয়ার্টার দখল করে দীর্ঘদিন সেখানে থাকছেন অফিস সহকারী আসমত আলী। দপ্তরের অন্য কোয়ার্টার ভাড়া দিয়ে সেই টাকা রাজস্ব খাতে জমা না দিয়ে আত্মসাতের অভিযোগ এই সহকারীর বিরুদ্ধে।
বিভিন্ন বেসরকারি সংস্থার কাছে ট্রেনিং সেন্টার ভাড়া দিয়ে টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে প্রশিক্ষণ কর্মকর্তা তুহিনের বিরুদ্ধে। তিনি প্রায়ই অফিস ফাঁকি দিয়ে সহকারী আসমত আলীর মাধ্যমে এসব অন্যায়-অনিয়ম করেন বলে অভিযোগ।
জানতে চাইলে নিপোর্টের মনিরামপুর কেন্দ্রের অফিস সহকারী আসমত আলী বলেন, ‘আমি অফিসের সব না। স্যার যেভাবে বলেন, সেভাবে করতে হয়। সপ্তাহে চার দিন স্যার অফিসে আসেন।’ এক প্রশ্নের জবাবে আসমত আলী বলেন, নিয়ম মেনে ভাড়া দিতে গেলে অনেক ঝামেলা। সম্পর্কের খাতিরে অনেকে মাঝেমধ্যে বিনা ভাড়ায় তাদের কেন্দ্রে সভা করে।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে প্রশিক্ষণ কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) তুহিন হোসেন বলেন, ‘অফিসের গোপনীয় বিষয় আপনাকে বলা যাবে না। সবকিছু নিয়ম মেনে চলছে। অনেক সময় ঢাকায় মিটিংয়ে যেতে হয়। আমি মাঝেমধ্যে অফিসে না গেলে ওরা নাশতা নিয়ে একটু অনিয়ম করে।’
নিপোর্টের মনিরামপুর প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের বিষয়ে জানতে চাইলে অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ডা. আশরাফী আহমদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বন্ধের দিন আমি সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলি না।’

জাতীয় জনসংখ্যা গবেষণা ও প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট (নিপোর্ট), যশোরের মনিরামপুর আঞ্চলিক প্রশিক্ষণ কেন্দ্র অনিয়ম-দুর্নীতির আখড়ায় পরিণত হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা মাঠ কর্মীদের প্রশিক্ষণের নামে ভুয়া বিল ভাউচার করে চলে অর্থ লোপাট। কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত প্রশিক্ষণ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অফিস ফাঁকি, নামমাত্র মাঠ প্রশিক্ষণ, শারীরিক প্রশিক্ষণ (পিটি) না করিয়ে, নাশতার নামে বরাদ্দসহ প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের কক্ষ আর কোয়ার্টার ভাড়ার টাকা হাতানোর অভিযোগ রয়েছে।
সরাসরি ঢাকা থেকে পরিচালিত হওয়ার পাশাপাশি স্থানীয়ভাবে তদারকির ব্যবস্থা না থাকার সুযোগে এসব অনিয়ম-দুর্নীতি চালানো সম্ভব হচ্ছে বলে অভিযোগ।
এসব বিষয়ে বেশ কয়েক দিন ধরে অনুসন্ধান করেছে আজকের পত্রিকা। গত বৃহস্পতিবার সরেজমিন নিপোর্টের মনিরামপুর কেন্দ্রে গিয়ে প্রশিক্ষণার্থী ও সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে অভিযোগের সত্যতা মিলেছে। এ সময় বিভিন্ন অভিযোগ ওঠা প্রশিক্ষণ কর্মকর্তা তুহিন হোসেনকে দপ্তরে পাওয়া যায়নি।
অনুসন্ধানে জানা গেছে, নিপোর্টের মনিরামপুর আঞ্চলিক প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে (হাসপাতাল চত্বরে অবস্থিত) মূলত স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা মাঠ কর্মীদের মৌলিক প্রশিক্ষণ চলে। এতে দুই মাস মেয়াদি প্রতি ব্যাচে ২৫ জন প্রশিক্ষণার্থী অংশ নেন। দুই মাসের কোর্সে ২৩ দিন থিওরি ক্লাস ও ২০ দিন মাঠ পরিদর্শন কার্যক্রম রয়েছে। বছরে ৪ বার মৌলিক প্রশিক্ষণের পাশাপাশি ১৫ থেকে ২০টি সংক্ষিপ্ত কোর্সের প্রশিক্ষণ হয় এই কেন্দ্রে। গত ৮ ডিসেম্বর শুরু হয়ে বর্তমানে ২৫ জনের প্রশিক্ষণ চলছে। প্রতিদিন ছয়টি করে ক্লাস নেওয়ার নিয়ম রয়েছে। তবে সেই নিয়মের তোয়াক্কা করা হয় না। গত বৃহস্পতিবার দুটি ক্লাস হওয়ার তথ্য জানিয়েছেন অফিস সহকারী আসমত আলী।
জানা গেছে, মৌলিক প্রশিক্ষণ কোর্সে মনিরামপুর হাসপাতাল ও পরিবার পরিকল্পনা কেন্দ্রের চার চিকিৎসক ক্লাস নেন। প্রতি ক্লাসের জন্য তাঁদের দুই হাজার টাকা সম্মানী বরাদ্দ থাকলেও তা মানা হয় না। চিকিৎসকদের দিয়ে কম ক্লাস নিয়ে পরিমাণে বেশি দেখিয়ে সেই টাকা লোপাট করা হয়।
দপ্তরের অফিস সহকারীর দেওয়া তথ্যমতে, ডিসেম্বর মাসে মনিরামপুর হাসপাতালের প্রধান তন্ময় বিশ্বাস আটটি, ডা. অনুপ বসু ১০টি, ডা. চন্দ্র শেখর ১২টি ও ডা. সাদিয়া রায়হান ১২টি ক্লাস নিয়েছেন। তবে ডা. তন্ময় ও অনুপ বসু ডিসেম্বরে চারটি করে ক্লাস নেওয়ার কথা জানিয়েছেন।
অভিযোগ রয়েছে, চিকিৎসকদের কাছ থেকে নামের পাশে ক্লাসের সংখ্যা বসিয়ে অতিরিক্ত স্বাক্ষর করিয়ে নিয়ে সেই টাকা আত্মসাৎ করেন প্রশিক্ষণ কর্মকর্তা।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ডা. তন্ময় বিশ্বাস বলেন, ‘শ্রেণিকক্ষে ব্যস্ততার মধ্যে স্বাক্ষর করিয়ে নেয় তারা। ওই সময় খেয়াল করা হয় না। তবে কয়েক দিন ধরে বাড়তি স্বাক্ষর করানোর বিষয়টি আমরা নজরে নিয়েছি। তারা যে আমাদের স্বাক্ষর নিয়ে টাকা আত্মসাৎ করে, এটা আগে বুঝতে পারিনি।’
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ক্লাস নেওয়ার ক্ষেত্রে প্রশিক্ষণ কর্মকর্তা নিজের পছন্দের চিকিৎসক বাছাই করে এই অনিয়ম চালান। চিকিৎসকেরা তাঁর কথায় রাজি হয়ে বাড়তি স্বাক্ষর না দিলে পরবর্তী কোর্সে এই চিকিৎসককে বাদ রেখে অন্য চিকিৎসক বাছাই করেন প্রশিক্ষণ কর্মকর্তা।
এদিকে মাঠ প্রশিক্ষণে সরকারি বরাদ্দে দুজন পরিবার কল্যাণ সহকারীর নেতৃত্বে কার্যক্রম চালানোর নিয়ম থাকলেও তাদের না নিয়ে অফিসের গাড়ি চালকদের দিয়ে প্রশিক্ষণার্থীদের নামমাত্র ঘুরিয়ে আনা হয়। এরপর পছন্দের দুজন পরিবার কল্যাণ সহকারীকে দিয়ে হাজিরা খাতায় স্বাক্ষর করিয়ে কিছু সম্মানী দিয়ে বাকি টাকা লোপাট করা হয়।

সূত্র বলছে, প্রশিক্ষণে ১৫ হাজার টাকা বরাদ্দে একজন শিক্ষককে দিয়ে নিয়মিত পিটির নিয়ম রয়েছে। মনিরামপুর মহিলা কলেজের শিক্ষক রেশমা পারভিনকে দিয়ে পুরো কোর্সে পাঁচ-ছয় দিন পিটি করিয়ে তাঁকে ৫ হাজার টাকা দিয়ে বাকি টাকা লোপাটের অভিযোগ পাওয়া গেছে। রেশমা পারভিন ক্লাস কম নেওয়ার বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, ‘আমাকে তারা ৬ হাজার টাকা দেয়।’
অনুসন্ধানে জানা গেছে, প্রশিক্ষণার্থীদের প্রত্যেকের জন্য দৈনিক ৮০ টাকার নাশতা বরাদ্দ আছে। অভিযোগ রয়েছে, তাদের এক কাপ চা আর ৫ টাকার বিস্কুট দিয়ে বাকি টাকা পকেটস্থ করা হয়।
এ ছাড়া ভাড়া না দিয়ে প্রথম শ্রেণির কর্মকর্তার কোয়ার্টার দখল করে দীর্ঘদিন সেখানে থাকছেন অফিস সহকারী আসমত আলী। দপ্তরের অন্য কোয়ার্টার ভাড়া দিয়ে সেই টাকা রাজস্ব খাতে জমা না দিয়ে আত্মসাতের অভিযোগ এই সহকারীর বিরুদ্ধে।
বিভিন্ন বেসরকারি সংস্থার কাছে ট্রেনিং সেন্টার ভাড়া দিয়ে টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে প্রশিক্ষণ কর্মকর্তা তুহিনের বিরুদ্ধে। তিনি প্রায়ই অফিস ফাঁকি দিয়ে সহকারী আসমত আলীর মাধ্যমে এসব অন্যায়-অনিয়ম করেন বলে অভিযোগ।
জানতে চাইলে নিপোর্টের মনিরামপুর কেন্দ্রের অফিস সহকারী আসমত আলী বলেন, ‘আমি অফিসের সব না। স্যার যেভাবে বলেন, সেভাবে করতে হয়। সপ্তাহে চার দিন স্যার অফিসে আসেন।’ এক প্রশ্নের জবাবে আসমত আলী বলেন, নিয়ম মেনে ভাড়া দিতে গেলে অনেক ঝামেলা। সম্পর্কের খাতিরে অনেকে মাঝেমধ্যে বিনা ভাড়ায় তাদের কেন্দ্রে সভা করে।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে প্রশিক্ষণ কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) তুহিন হোসেন বলেন, ‘অফিসের গোপনীয় বিষয় আপনাকে বলা যাবে না। সবকিছু নিয়ম মেনে চলছে। অনেক সময় ঢাকায় মিটিংয়ে যেতে হয়। আমি মাঝেমধ্যে অফিসে না গেলে ওরা নাশতা নিয়ে একটু অনিয়ম করে।’
নিপোর্টের মনিরামপুর প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের বিষয়ে জানতে চাইলে অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ডা. আশরাফী আহমদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বন্ধের দিন আমি সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলি না।’

আনোয়ার হোসেন, মনিরামপুর (যশোর)

জাতীয় জনসংখ্যা গবেষণা ও প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট (নিপোর্ট), যশোরের মনিরামপুর আঞ্চলিক প্রশিক্ষণ কেন্দ্র অনিয়ম-দুর্নীতির আখড়ায় পরিণত হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা মাঠ কর্মীদের প্রশিক্ষণের নামে ভুয়া বিল ভাউচার করে চলে অর্থ লোপাট। কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত প্রশিক্ষণ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অফিস ফাঁকি, নামমাত্র মাঠ প্রশিক্ষণ, শারীরিক প্রশিক্ষণ (পিটি) না করিয়ে, নাশতার নামে বরাদ্দসহ প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের কক্ষ আর কোয়ার্টার ভাড়ার টাকা হাতানোর অভিযোগ রয়েছে।
সরাসরি ঢাকা থেকে পরিচালিত হওয়ার পাশাপাশি স্থানীয়ভাবে তদারকির ব্যবস্থা না থাকার সুযোগে এসব অনিয়ম-দুর্নীতি চালানো সম্ভব হচ্ছে বলে অভিযোগ।
এসব বিষয়ে বেশ কয়েক দিন ধরে অনুসন্ধান করেছে আজকের পত্রিকা। গত বৃহস্পতিবার সরেজমিন নিপোর্টের মনিরামপুর কেন্দ্রে গিয়ে প্রশিক্ষণার্থী ও সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে অভিযোগের সত্যতা মিলেছে। এ সময় বিভিন্ন অভিযোগ ওঠা প্রশিক্ষণ কর্মকর্তা তুহিন হোসেনকে দপ্তরে পাওয়া যায়নি।
অনুসন্ধানে জানা গেছে, নিপোর্টের মনিরামপুর আঞ্চলিক প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে (হাসপাতাল চত্বরে অবস্থিত) মূলত স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা মাঠ কর্মীদের মৌলিক প্রশিক্ষণ চলে। এতে দুই মাস মেয়াদি প্রতি ব্যাচে ২৫ জন প্রশিক্ষণার্থী অংশ নেন। দুই মাসের কোর্সে ২৩ দিন থিওরি ক্লাস ও ২০ দিন মাঠ পরিদর্শন কার্যক্রম রয়েছে। বছরে ৪ বার মৌলিক প্রশিক্ষণের পাশাপাশি ১৫ থেকে ২০টি সংক্ষিপ্ত কোর্সের প্রশিক্ষণ হয় এই কেন্দ্রে। গত ৮ ডিসেম্বর শুরু হয়ে বর্তমানে ২৫ জনের প্রশিক্ষণ চলছে। প্রতিদিন ছয়টি করে ক্লাস নেওয়ার নিয়ম রয়েছে। তবে সেই নিয়মের তোয়াক্কা করা হয় না। গত বৃহস্পতিবার দুটি ক্লাস হওয়ার তথ্য জানিয়েছেন অফিস সহকারী আসমত আলী।
জানা গেছে, মৌলিক প্রশিক্ষণ কোর্সে মনিরামপুর হাসপাতাল ও পরিবার পরিকল্পনা কেন্দ্রের চার চিকিৎসক ক্লাস নেন। প্রতি ক্লাসের জন্য তাঁদের দুই হাজার টাকা সম্মানী বরাদ্দ থাকলেও তা মানা হয় না। চিকিৎসকদের দিয়ে কম ক্লাস নিয়ে পরিমাণে বেশি দেখিয়ে সেই টাকা লোপাট করা হয়।
দপ্তরের অফিস সহকারীর দেওয়া তথ্যমতে, ডিসেম্বর মাসে মনিরামপুর হাসপাতালের প্রধান তন্ময় বিশ্বাস আটটি, ডা. অনুপ বসু ১০টি, ডা. চন্দ্র শেখর ১২টি ও ডা. সাদিয়া রায়হান ১২টি ক্লাস নিয়েছেন। তবে ডা. তন্ময় ও অনুপ বসু ডিসেম্বরে চারটি করে ক্লাস নেওয়ার কথা জানিয়েছেন।
অভিযোগ রয়েছে, চিকিৎসকদের কাছ থেকে নামের পাশে ক্লাসের সংখ্যা বসিয়ে অতিরিক্ত স্বাক্ষর করিয়ে নিয়ে সেই টাকা আত্মসাৎ করেন প্রশিক্ষণ কর্মকর্তা।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ডা. তন্ময় বিশ্বাস বলেন, ‘শ্রেণিকক্ষে ব্যস্ততার মধ্যে স্বাক্ষর করিয়ে নেয় তারা। ওই সময় খেয়াল করা হয় না। তবে কয়েক দিন ধরে বাড়তি স্বাক্ষর করানোর বিষয়টি আমরা নজরে নিয়েছি। তারা যে আমাদের স্বাক্ষর নিয়ে টাকা আত্মসাৎ করে, এটা আগে বুঝতে পারিনি।’
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ক্লাস নেওয়ার ক্ষেত্রে প্রশিক্ষণ কর্মকর্তা নিজের পছন্দের চিকিৎসক বাছাই করে এই অনিয়ম চালান। চিকিৎসকেরা তাঁর কথায় রাজি হয়ে বাড়তি স্বাক্ষর না দিলে পরবর্তী কোর্সে এই চিকিৎসককে বাদ রেখে অন্য চিকিৎসক বাছাই করেন প্রশিক্ষণ কর্মকর্তা।
এদিকে মাঠ প্রশিক্ষণে সরকারি বরাদ্দে দুজন পরিবার কল্যাণ সহকারীর নেতৃত্বে কার্যক্রম চালানোর নিয়ম থাকলেও তাদের না নিয়ে অফিসের গাড়ি চালকদের দিয়ে প্রশিক্ষণার্থীদের নামমাত্র ঘুরিয়ে আনা হয়। এরপর পছন্দের দুজন পরিবার কল্যাণ সহকারীকে দিয়ে হাজিরা খাতায় স্বাক্ষর করিয়ে কিছু সম্মানী দিয়ে বাকি টাকা লোপাট করা হয়।

সূত্র বলছে, প্রশিক্ষণে ১৫ হাজার টাকা বরাদ্দে একজন শিক্ষককে দিয়ে নিয়মিত পিটির নিয়ম রয়েছে। মনিরামপুর মহিলা কলেজের শিক্ষক রেশমা পারভিনকে দিয়ে পুরো কোর্সে পাঁচ-ছয় দিন পিটি করিয়ে তাঁকে ৫ হাজার টাকা দিয়ে বাকি টাকা লোপাটের অভিযোগ পাওয়া গেছে। রেশমা পারভিন ক্লাস কম নেওয়ার বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, ‘আমাকে তারা ৬ হাজার টাকা দেয়।’
অনুসন্ধানে জানা গেছে, প্রশিক্ষণার্থীদের প্রত্যেকের জন্য দৈনিক ৮০ টাকার নাশতা বরাদ্দ আছে। অভিযোগ রয়েছে, তাদের এক কাপ চা আর ৫ টাকার বিস্কুট দিয়ে বাকি টাকা পকেটস্থ করা হয়।
এ ছাড়া ভাড়া না দিয়ে প্রথম শ্রেণির কর্মকর্তার কোয়ার্টার দখল করে দীর্ঘদিন সেখানে থাকছেন অফিস সহকারী আসমত আলী। দপ্তরের অন্য কোয়ার্টার ভাড়া দিয়ে সেই টাকা রাজস্ব খাতে জমা না দিয়ে আত্মসাতের অভিযোগ এই সহকারীর বিরুদ্ধে।
বিভিন্ন বেসরকারি সংস্থার কাছে ট্রেনিং সেন্টার ভাড়া দিয়ে টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে প্রশিক্ষণ কর্মকর্তা তুহিনের বিরুদ্ধে। তিনি প্রায়ই অফিস ফাঁকি দিয়ে সহকারী আসমত আলীর মাধ্যমে এসব অন্যায়-অনিয়ম করেন বলে অভিযোগ।
জানতে চাইলে নিপোর্টের মনিরামপুর কেন্দ্রের অফিস সহকারী আসমত আলী বলেন, ‘আমি অফিসের সব না। স্যার যেভাবে বলেন, সেভাবে করতে হয়। সপ্তাহে চার দিন স্যার অফিসে আসেন।’ এক প্রশ্নের জবাবে আসমত আলী বলেন, নিয়ম মেনে ভাড়া দিতে গেলে অনেক ঝামেলা। সম্পর্কের খাতিরে অনেকে মাঝেমধ্যে বিনা ভাড়ায় তাদের কেন্দ্রে সভা করে।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে প্রশিক্ষণ কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) তুহিন হোসেন বলেন, ‘অফিসের গোপনীয় বিষয় আপনাকে বলা যাবে না। সবকিছু নিয়ম মেনে চলছে। অনেক সময় ঢাকায় মিটিংয়ে যেতে হয়। আমি মাঝেমধ্যে অফিসে না গেলে ওরা নাশতা নিয়ে একটু অনিয়ম করে।’
নিপোর্টের মনিরামপুর প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের বিষয়ে জানতে চাইলে অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ডা. আশরাফী আহমদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বন্ধের দিন আমি সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলি না।’

জাতীয় জনসংখ্যা গবেষণা ও প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট (নিপোর্ট), যশোরের মনিরামপুর আঞ্চলিক প্রশিক্ষণ কেন্দ্র অনিয়ম-দুর্নীতির আখড়ায় পরিণত হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা মাঠ কর্মীদের প্রশিক্ষণের নামে ভুয়া বিল ভাউচার করে চলে অর্থ লোপাট। কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত প্রশিক্ষণ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অফিস ফাঁকি, নামমাত্র মাঠ প্রশিক্ষণ, শারীরিক প্রশিক্ষণ (পিটি) না করিয়ে, নাশতার নামে বরাদ্দসহ প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের কক্ষ আর কোয়ার্টার ভাড়ার টাকা হাতানোর অভিযোগ রয়েছে।
সরাসরি ঢাকা থেকে পরিচালিত হওয়ার পাশাপাশি স্থানীয়ভাবে তদারকির ব্যবস্থা না থাকার সুযোগে এসব অনিয়ম-দুর্নীতি চালানো সম্ভব হচ্ছে বলে অভিযোগ।
এসব বিষয়ে বেশ কয়েক দিন ধরে অনুসন্ধান করেছে আজকের পত্রিকা। গত বৃহস্পতিবার সরেজমিন নিপোর্টের মনিরামপুর কেন্দ্রে গিয়ে প্রশিক্ষণার্থী ও সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে অভিযোগের সত্যতা মিলেছে। এ সময় বিভিন্ন অভিযোগ ওঠা প্রশিক্ষণ কর্মকর্তা তুহিন হোসেনকে দপ্তরে পাওয়া যায়নি।
অনুসন্ধানে জানা গেছে, নিপোর্টের মনিরামপুর আঞ্চলিক প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে (হাসপাতাল চত্বরে অবস্থিত) মূলত স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা মাঠ কর্মীদের মৌলিক প্রশিক্ষণ চলে। এতে দুই মাস মেয়াদি প্রতি ব্যাচে ২৫ জন প্রশিক্ষণার্থী অংশ নেন। দুই মাসের কোর্সে ২৩ দিন থিওরি ক্লাস ও ২০ দিন মাঠ পরিদর্শন কার্যক্রম রয়েছে। বছরে ৪ বার মৌলিক প্রশিক্ষণের পাশাপাশি ১৫ থেকে ২০টি সংক্ষিপ্ত কোর্সের প্রশিক্ষণ হয় এই কেন্দ্রে। গত ৮ ডিসেম্বর শুরু হয়ে বর্তমানে ২৫ জনের প্রশিক্ষণ চলছে। প্রতিদিন ছয়টি করে ক্লাস নেওয়ার নিয়ম রয়েছে। তবে সেই নিয়মের তোয়াক্কা করা হয় না। গত বৃহস্পতিবার দুটি ক্লাস হওয়ার তথ্য জানিয়েছেন অফিস সহকারী আসমত আলী।
জানা গেছে, মৌলিক প্রশিক্ষণ কোর্সে মনিরামপুর হাসপাতাল ও পরিবার পরিকল্পনা কেন্দ্রের চার চিকিৎসক ক্লাস নেন। প্রতি ক্লাসের জন্য তাঁদের দুই হাজার টাকা সম্মানী বরাদ্দ থাকলেও তা মানা হয় না। চিকিৎসকদের দিয়ে কম ক্লাস নিয়ে পরিমাণে বেশি দেখিয়ে সেই টাকা লোপাট করা হয়।
দপ্তরের অফিস সহকারীর দেওয়া তথ্যমতে, ডিসেম্বর মাসে মনিরামপুর হাসপাতালের প্রধান তন্ময় বিশ্বাস আটটি, ডা. অনুপ বসু ১০টি, ডা. চন্দ্র শেখর ১২টি ও ডা. সাদিয়া রায়হান ১২টি ক্লাস নিয়েছেন। তবে ডা. তন্ময় ও অনুপ বসু ডিসেম্বরে চারটি করে ক্লাস নেওয়ার কথা জানিয়েছেন।
অভিযোগ রয়েছে, চিকিৎসকদের কাছ থেকে নামের পাশে ক্লাসের সংখ্যা বসিয়ে অতিরিক্ত স্বাক্ষর করিয়ে নিয়ে সেই টাকা আত্মসাৎ করেন প্রশিক্ষণ কর্মকর্তা।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ডা. তন্ময় বিশ্বাস বলেন, ‘শ্রেণিকক্ষে ব্যস্ততার মধ্যে স্বাক্ষর করিয়ে নেয় তারা। ওই সময় খেয়াল করা হয় না। তবে কয়েক দিন ধরে বাড়তি স্বাক্ষর করানোর বিষয়টি আমরা নজরে নিয়েছি। তারা যে আমাদের স্বাক্ষর নিয়ে টাকা আত্মসাৎ করে, এটা আগে বুঝতে পারিনি।’
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ক্লাস নেওয়ার ক্ষেত্রে প্রশিক্ষণ কর্মকর্তা নিজের পছন্দের চিকিৎসক বাছাই করে এই অনিয়ম চালান। চিকিৎসকেরা তাঁর কথায় রাজি হয়ে বাড়তি স্বাক্ষর না দিলে পরবর্তী কোর্সে এই চিকিৎসককে বাদ রেখে অন্য চিকিৎসক বাছাই করেন প্রশিক্ষণ কর্মকর্তা।
এদিকে মাঠ প্রশিক্ষণে সরকারি বরাদ্দে দুজন পরিবার কল্যাণ সহকারীর নেতৃত্বে কার্যক্রম চালানোর নিয়ম থাকলেও তাদের না নিয়ে অফিসের গাড়ি চালকদের দিয়ে প্রশিক্ষণার্থীদের নামমাত্র ঘুরিয়ে আনা হয়। এরপর পছন্দের দুজন পরিবার কল্যাণ সহকারীকে দিয়ে হাজিরা খাতায় স্বাক্ষর করিয়ে কিছু সম্মানী দিয়ে বাকি টাকা লোপাট করা হয়।

সূত্র বলছে, প্রশিক্ষণে ১৫ হাজার টাকা বরাদ্দে একজন শিক্ষককে দিয়ে নিয়মিত পিটির নিয়ম রয়েছে। মনিরামপুর মহিলা কলেজের শিক্ষক রেশমা পারভিনকে দিয়ে পুরো কোর্সে পাঁচ-ছয় দিন পিটি করিয়ে তাঁকে ৫ হাজার টাকা দিয়ে বাকি টাকা লোপাটের অভিযোগ পাওয়া গেছে। রেশমা পারভিন ক্লাস কম নেওয়ার বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, ‘আমাকে তারা ৬ হাজার টাকা দেয়।’
অনুসন্ধানে জানা গেছে, প্রশিক্ষণার্থীদের প্রত্যেকের জন্য দৈনিক ৮০ টাকার নাশতা বরাদ্দ আছে। অভিযোগ রয়েছে, তাদের এক কাপ চা আর ৫ টাকার বিস্কুট দিয়ে বাকি টাকা পকেটস্থ করা হয়।
এ ছাড়া ভাড়া না দিয়ে প্রথম শ্রেণির কর্মকর্তার কোয়ার্টার দখল করে দীর্ঘদিন সেখানে থাকছেন অফিস সহকারী আসমত আলী। দপ্তরের অন্য কোয়ার্টার ভাড়া দিয়ে সেই টাকা রাজস্ব খাতে জমা না দিয়ে আত্মসাতের অভিযোগ এই সহকারীর বিরুদ্ধে।
বিভিন্ন বেসরকারি সংস্থার কাছে ট্রেনিং সেন্টার ভাড়া দিয়ে টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে প্রশিক্ষণ কর্মকর্তা তুহিনের বিরুদ্ধে। তিনি প্রায়ই অফিস ফাঁকি দিয়ে সহকারী আসমত আলীর মাধ্যমে এসব অন্যায়-অনিয়ম করেন বলে অভিযোগ।
জানতে চাইলে নিপোর্টের মনিরামপুর কেন্দ্রের অফিস সহকারী আসমত আলী বলেন, ‘আমি অফিসের সব না। স্যার যেভাবে বলেন, সেভাবে করতে হয়। সপ্তাহে চার দিন স্যার অফিসে আসেন।’ এক প্রশ্নের জবাবে আসমত আলী বলেন, নিয়ম মেনে ভাড়া দিতে গেলে অনেক ঝামেলা। সম্পর্কের খাতিরে অনেকে মাঝেমধ্যে বিনা ভাড়ায় তাদের কেন্দ্রে সভা করে।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে প্রশিক্ষণ কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) তুহিন হোসেন বলেন, ‘অফিসের গোপনীয় বিষয় আপনাকে বলা যাবে না। সবকিছু নিয়ম মেনে চলছে। অনেক সময় ঢাকায় মিটিংয়ে যেতে হয়। আমি মাঝেমধ্যে অফিসে না গেলে ওরা নাশতা নিয়ে একটু অনিয়ম করে।’
নিপোর্টের মনিরামপুর প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের বিষয়ে জানতে চাইলে অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ডা. আশরাফী আহমদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বন্ধের দিন আমি সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলি না।’


শরীয়তপুরের আবুল কালাম চোকদারের সঙ্গে বাড়ির লোকজনের শেষবারের মতো কথা হয়েছিলো আজ রোববার দুপুরে। বেলা ১১টার দিকে ভাবী আসমা বেগমকে তিনি জানিয়েছিলেন, কয়েকদিন পরই বাড়ি ফিরবেন। কিন্তু ফেরা আর হলো না তাঁর। মেট্রোরেলের একটি বিয়ারিং প্যাড তাঁর প্রাণ কেড়ে নিল। রাজধানীর ফার্মগেট এলাকায় একটি বেসরকারি
৫ মিনিট আগে
জিনের বাদশাহ সেজে প্রতারণার অভিযোগে মো. জাহাঙ্গীর মাঝি (৬০) নামের একজনকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। আজ রোববার সন্ধ্যা ৬টার দিকে ভোলার বোরহানউদ্দিন উপজেলার মানিকার হাটবাজার এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।
১৩ মিনিট আগে
যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে এক সপ্তাহ বন্ধ থাকার পর দিনাজপুরের পার্বতীপুরের বড়পুকুরিয়া কয়লাভিত্তিক ৫২৫ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন তাপবিদ্যুৎকেন্দ্রের একটি ইউনিট সচল করা হয়েছে। আজ রোববার বেলা ২টার দিকে ১২৫ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের সক্ষমতাসম্পন্ন ১ নম্বর ইউনিটটি চালু হয়। বড়পুকুরিয়া তাপবিদ্যুৎকেন্দ্রের....
২৫ মিনিট আগে
ভৈরবকে জেলা ঘোষণার দাবিতে মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে ছাত্র-জনতা। আজ রোববার সকালে নগরীর দুর্জয় মোড়ে অবস্থান নিয়ে আন্দোলনকারীরা ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক ও ভৈরব-কিশোরগঞ্জ আঞ্চলিক সড়ক অবরোধ করেন।
৩১ মিনিট আগেশরীয়তপুর প্রতিনিধি

শরীয়তপুরের আবুল কালাম চোকদারের সঙ্গে বাড়ির লোকজনের শেষবারের মতো কথা হয়েছিলো আজ রোববার দুপুরে। বেলা ১১টার দিকে ভাবী আসমা বেগমকে তিনি জানিয়েছিলেন, কয়েকদিন পরই বাড়ি ফিরবেন। কিন্তু ফেরা আর হলো না তাঁর। মেট্রোরেলের একটি বিয়ারিং প্যাড তাঁর প্রাণ কেড়ে নিল। রাজধানীর ফার্মগেট এলাকায় একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত এই তরুণের মৃত্যুর পৌঁছালে গ্রামজুড়ে নেমে আসে শোকের ছায়া।
নিহতের পরিবার ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, শরীয়তপুরের নড়িয়া উপজেলার মোক্তারের চর ইউনিয়নের ঈশ্বরকাঠী গ্রামের মৃত আব্দুল জলিল চোকদারের ছেলে আবুল কালাম (৩৬)। চার ভাইয়ের মধ্যে ছোট ছিলেন তিনি। স্ত্রী ও দুই শিশু সন্তান নিয়ে বসবাস করতেন নারায়ণগঞ্জের পাঠানটুলি এলাকায়। গ্রামে থাকা ভাইদের সংসারের জন্যও নিয়মিত টাকা পাঠাতেন তিনি।
রোববার বেলা ১২টার দিকে রাজধানীর ফার্মগেট এলাকায় মেট্রোরেলের বিয়ারিং প্যাড খুলে তার উপর পড়ে। ঘটনাস্থলেই মারা যান তিনি। পরে তার মরদেহ উদ্ধার করে সোহরাওয়ার্দী মেডিক্যাল কলেজ মর্গে পাঠায় পুলিশ।

আবুল কালামের ভাবী আসমা আক্তার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সকালে ফোনে কথা হইছিলো। আমি বলছিলাম, ভাইয়ের সাথে কথা বলো, বাড়িতে চলে আস। সে বলেছিল, কয়েক দিনের মধ্যেই আসবে। কিছু ঘণ্টাখানেক পর শুনি-মেট্রোরেলের বিয়ারিং প্যাড পড়ে মারা গেছে!’
সরকারের কাছে সুষ্ঠু তদন্ত ও ক্ষতিপূরণের দাবি জানিয়ে আসমা বলেন, ‘আমাদের সংসারের হাল ওই ধরেছিল। এখন ওর সন্তানদের ভবিষ্যৎ নিয়ে আমরা দুশ্চিন্তায় আছি।’
ছোটবেলা থেকেই কালাম পরিশ্রমী ছিল বলে জানান নিহতের চাচাতো ভাই আব্দুল গণি মিয়া চোকদার। তিনি বলেন, ‘সংসারের বোঝা একা কাঁধে নিয়েছিল সে। হঠাৎ এমন মৃত্যুকে মেনে নেয়া কঠিন।’
এ বিষয়ে নড়িয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আব্দুল কাইয়ুম খান বলেন, ‘বিষয়টি অত্যন্ত দুঃখজনক। আমরা ইতোমধ্যে খবর পেয়েছি। সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী পরিবারটিকে ক্ষতিপূরণ প্রদান করা হবে। ”

শরীয়তপুরের আবুল কালাম চোকদারের সঙ্গে বাড়ির লোকজনের শেষবারের মতো কথা হয়েছিলো আজ রোববার দুপুরে। বেলা ১১টার দিকে ভাবী আসমা বেগমকে তিনি জানিয়েছিলেন, কয়েকদিন পরই বাড়ি ফিরবেন। কিন্তু ফেরা আর হলো না তাঁর। মেট্রোরেলের একটি বিয়ারিং প্যাড তাঁর প্রাণ কেড়ে নিল। রাজধানীর ফার্মগেট এলাকায় একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত এই তরুণের মৃত্যুর পৌঁছালে গ্রামজুড়ে নেমে আসে শোকের ছায়া।
নিহতের পরিবার ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, শরীয়তপুরের নড়িয়া উপজেলার মোক্তারের চর ইউনিয়নের ঈশ্বরকাঠী গ্রামের মৃত আব্দুল জলিল চোকদারের ছেলে আবুল কালাম (৩৬)। চার ভাইয়ের মধ্যে ছোট ছিলেন তিনি। স্ত্রী ও দুই শিশু সন্তান নিয়ে বসবাস করতেন নারায়ণগঞ্জের পাঠানটুলি এলাকায়। গ্রামে থাকা ভাইদের সংসারের জন্যও নিয়মিত টাকা পাঠাতেন তিনি।
রোববার বেলা ১২টার দিকে রাজধানীর ফার্মগেট এলাকায় মেট্রোরেলের বিয়ারিং প্যাড খুলে তার উপর পড়ে। ঘটনাস্থলেই মারা যান তিনি। পরে তার মরদেহ উদ্ধার করে সোহরাওয়ার্দী মেডিক্যাল কলেজ মর্গে পাঠায় পুলিশ।

আবুল কালামের ভাবী আসমা আক্তার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সকালে ফোনে কথা হইছিলো। আমি বলছিলাম, ভাইয়ের সাথে কথা বলো, বাড়িতে চলে আস। সে বলেছিল, কয়েক দিনের মধ্যেই আসবে। কিছু ঘণ্টাখানেক পর শুনি-মেট্রোরেলের বিয়ারিং প্যাড পড়ে মারা গেছে!’
সরকারের কাছে সুষ্ঠু তদন্ত ও ক্ষতিপূরণের দাবি জানিয়ে আসমা বলেন, ‘আমাদের সংসারের হাল ওই ধরেছিল। এখন ওর সন্তানদের ভবিষ্যৎ নিয়ে আমরা দুশ্চিন্তায় আছি।’
ছোটবেলা থেকেই কালাম পরিশ্রমী ছিল বলে জানান নিহতের চাচাতো ভাই আব্দুল গণি মিয়া চোকদার। তিনি বলেন, ‘সংসারের বোঝা একা কাঁধে নিয়েছিল সে। হঠাৎ এমন মৃত্যুকে মেনে নেয়া কঠিন।’
এ বিষয়ে নড়িয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আব্দুল কাইয়ুম খান বলেন, ‘বিষয়টি অত্যন্ত দুঃখজনক। আমরা ইতোমধ্যে খবর পেয়েছি। সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী পরিবারটিকে ক্ষতিপূরণ প্রদান করা হবে। ”


অনুসন্ধানে জানা গেছে, নিপোর্টের মনিরামপুর আঞ্চলিক প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে (হাসপাতাল চত্বরে অবস্থিত) মূলত স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা মাঠ কর্মীদের মৌলিক প্রশিক্ষণ চলে। এতে দুই মাস মেয়াদি প্রতি ব্যাচে ২৫ জন প্রশিক্ষণার্থী অংশ নেন। দুই মাসের কোর্সে ২৩ দিন থিওরি ক্লাস ও ২০ দিন মাঠ পরিদর্শন কার্যক্রম রয়েছে।
০৪ জানুয়ারি ২০২৫
জিনের বাদশাহ সেজে প্রতারণার অভিযোগে মো. জাহাঙ্গীর মাঝি (৬০) নামের একজনকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। আজ রোববার সন্ধ্যা ৬টার দিকে ভোলার বোরহানউদ্দিন উপজেলার মানিকার হাটবাজার এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।
১৩ মিনিট আগে
যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে এক সপ্তাহ বন্ধ থাকার পর দিনাজপুরের পার্বতীপুরের বড়পুকুরিয়া কয়লাভিত্তিক ৫২৫ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন তাপবিদ্যুৎকেন্দ্রের একটি ইউনিট সচল করা হয়েছে। আজ রোববার বেলা ২টার দিকে ১২৫ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের সক্ষমতাসম্পন্ন ১ নম্বর ইউনিটটি চালু হয়। বড়পুকুরিয়া তাপবিদ্যুৎকেন্দ্রের....
২৫ মিনিট আগে
ভৈরবকে জেলা ঘোষণার দাবিতে মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে ছাত্র-জনতা। আজ রোববার সকালে নগরীর দুর্জয় মোড়ে অবস্থান নিয়ে আন্দোলনকারীরা ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক ও ভৈরব-কিশোরগঞ্জ আঞ্চলিক সড়ক অবরোধ করেন।
৩১ মিনিট আগেভোলা প্রতিনিধি

জিনের বাদশাহ সেজে প্রতারণার অভিযোগে মো. জাহাঙ্গীর মাঝি (৬০) নামের একজনকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। আজ রোববার সন্ধ্যা ৬টার দিকে ভোলার বোরহানউদ্দিন উপজেলার মানিকার হাটবাজার এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার জাহাঙ্গীর মাঝি লালমোহন উপজেলার চর কালাই দাস গ্রামের বাসিন্দা মৃত আজগর মাঝির ছেলে।
তাঁকে গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন র্যাব-৮-এর ভোলা ক্যাম্পের কমান্ডার লেফটেন্যান্ট কমান্ডার শাহরিয়ার রিফাত অভি। তিনি আজকের পত্রিকাকে জানান, জাহাঙ্গীর মাঝি ও মোহাম্মদ কামাল উদ্দিন মীর নামের দুজনসহ কয়েকজন প্রতারক জিনের বাদশাহ সেজে সাধারণ মানুষের সঙ্গে দীর্ঘদিন যাবৎ প্রতারণা করে আসছিলেন। সম্প্রতি চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি থানার মো. দিদারুল আলম (৪০) নামের এক ব্যক্তি অনলাইনে বিজ্ঞাপন দেখে তাঁদের দেওয়া মোবাইল নম্বরে যোগাযোগ করেন। তিনি তাঁর ব্যক্তিগত সমস্যার কথা বললে প্রতারকেরা বিভিন্ন কৌশলে তাঁর সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দেন। এর জন্য গত ৭ ফেব্রুয়ারি থেকে ৫ এপ্রিল পর্যন্ত বিভিন্ন সময়ে বিকাশে ৫৩ লাখ ৫ হাজার টাকাও হাতিয়ে নেন। পরে প্রতারণার বিষয়টি বুঝতে পেরে ভুক্তভোগী দিদারুল আলম চট্টগ্রামের চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে আবেদন করেন। পরে আদালতের নির্দেশে ফটিকছড়ি থানায় একটি নিয়মিত মামলা দায়ের করা হয়।
লেফটেন্যান্ট কমান্ডার শাহরিয়ার রিফাত অভি বলেন, ‘মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তার আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আমরা রোববার সন্ধ্যা ৬টার দিকে বোরহানউদ্দিন উপজেলার মানিকার হাটবাজার এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করি। আমরা এর আগে ১ সেপ্টেম্বর সোমবার রাতে অভিযান চালিয়ে প্রতারক কামাল উদ্দিনকেও গ্রেপ্তার করি। অন্য প্রতারকদেরও গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।’

জিনের বাদশাহ সেজে প্রতারণার অভিযোগে মো. জাহাঙ্গীর মাঝি (৬০) নামের একজনকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। আজ রোববার সন্ধ্যা ৬টার দিকে ভোলার বোরহানউদ্দিন উপজেলার মানিকার হাটবাজার এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার জাহাঙ্গীর মাঝি লালমোহন উপজেলার চর কালাই দাস গ্রামের বাসিন্দা মৃত আজগর মাঝির ছেলে।
তাঁকে গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন র্যাব-৮-এর ভোলা ক্যাম্পের কমান্ডার লেফটেন্যান্ট কমান্ডার শাহরিয়ার রিফাত অভি। তিনি আজকের পত্রিকাকে জানান, জাহাঙ্গীর মাঝি ও মোহাম্মদ কামাল উদ্দিন মীর নামের দুজনসহ কয়েকজন প্রতারক জিনের বাদশাহ সেজে সাধারণ মানুষের সঙ্গে দীর্ঘদিন যাবৎ প্রতারণা করে আসছিলেন। সম্প্রতি চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি থানার মো. দিদারুল আলম (৪০) নামের এক ব্যক্তি অনলাইনে বিজ্ঞাপন দেখে তাঁদের দেওয়া মোবাইল নম্বরে যোগাযোগ করেন। তিনি তাঁর ব্যক্তিগত সমস্যার কথা বললে প্রতারকেরা বিভিন্ন কৌশলে তাঁর সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দেন। এর জন্য গত ৭ ফেব্রুয়ারি থেকে ৫ এপ্রিল পর্যন্ত বিভিন্ন সময়ে বিকাশে ৫৩ লাখ ৫ হাজার টাকাও হাতিয়ে নেন। পরে প্রতারণার বিষয়টি বুঝতে পেরে ভুক্তভোগী দিদারুল আলম চট্টগ্রামের চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে আবেদন করেন। পরে আদালতের নির্দেশে ফটিকছড়ি থানায় একটি নিয়মিত মামলা দায়ের করা হয়।
লেফটেন্যান্ট কমান্ডার শাহরিয়ার রিফাত অভি বলেন, ‘মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তার আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আমরা রোববার সন্ধ্যা ৬টার দিকে বোরহানউদ্দিন উপজেলার মানিকার হাটবাজার এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করি। আমরা এর আগে ১ সেপ্টেম্বর সোমবার রাতে অভিযান চালিয়ে প্রতারক কামাল উদ্দিনকেও গ্রেপ্তার করি। অন্য প্রতারকদেরও গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।’


অনুসন্ধানে জানা গেছে, নিপোর্টের মনিরামপুর আঞ্চলিক প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে (হাসপাতাল চত্বরে অবস্থিত) মূলত স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা মাঠ কর্মীদের মৌলিক প্রশিক্ষণ চলে। এতে দুই মাস মেয়াদি প্রতি ব্যাচে ২৫ জন প্রশিক্ষণার্থী অংশ নেন। দুই মাসের কোর্সে ২৩ দিন থিওরি ক্লাস ও ২০ দিন মাঠ পরিদর্শন কার্যক্রম রয়েছে।
০৪ জানুয়ারি ২০২৫
শরীয়তপুরের আবুল কালাম চোকদারের সঙ্গে বাড়ির লোকজনের শেষবারের মতো কথা হয়েছিলো আজ রোববার দুপুরে। বেলা ১১টার দিকে ভাবী আসমা বেগমকে তিনি জানিয়েছিলেন, কয়েকদিন পরই বাড়ি ফিরবেন। কিন্তু ফেরা আর হলো না তাঁর। মেট্রোরেলের একটি বিয়ারিং প্যাড তাঁর প্রাণ কেড়ে নিল। রাজধানীর ফার্মগেট এলাকায় একটি বেসরকারি
৫ মিনিট আগে
যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে এক সপ্তাহ বন্ধ থাকার পর দিনাজপুরের পার্বতীপুরের বড়পুকুরিয়া কয়লাভিত্তিক ৫২৫ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন তাপবিদ্যুৎকেন্দ্রের একটি ইউনিট সচল করা হয়েছে। আজ রোববার বেলা ২টার দিকে ১২৫ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের সক্ষমতাসম্পন্ন ১ নম্বর ইউনিটটি চালু হয়। বড়পুকুরিয়া তাপবিদ্যুৎকেন্দ্রের....
২৫ মিনিট আগে
ভৈরবকে জেলা ঘোষণার দাবিতে মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে ছাত্র-জনতা। আজ রোববার সকালে নগরীর দুর্জয় মোড়ে অবস্থান নিয়ে আন্দোলনকারীরা ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক ও ভৈরব-কিশোরগঞ্জ আঞ্চলিক সড়ক অবরোধ করেন।
৩১ মিনিট আগেফুলবাড়ী (দিনাজপুর) প্রতিনিধি

যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে এক সপ্তাহ বন্ধ থাকার পর দিনাজপুরের পার্বতীপুরের বড়পুকুরিয়া কয়লাভিত্তিক ৫২৫ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন তাপবিদ্যুৎকেন্দ্রের একটি ইউনিট সচল করা হয়েছে। আজ রোববার বেলা ২টার দিকে ১২৫ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের সক্ষমতাসম্পন্ন ১ নম্বর ইউনিটটি চালু হয়।
বড়পুকুরিয়া তাপবিদ্যুৎকেন্দ্রের প্রধান প্রকৌশলী মো. আবু বক্কর সিদ্দিক এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
জানা গেছে, চালু হওয়া ইউনিট থেকে প্রতিদিন ৫০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হবে। ইউনিটটি চালু রাখতে দৈনিক ৮০০ থেকে ৯০০ টন কয়লার প্রয়োজন হবে।
এর আগে ১৯ অক্টোবর রাত সাড়ে ৮টার দিকে প্রথম ইউনিটের বয়লারের পাইপ ফেটে বিদ্যুৎ উৎপাদন বন্ধ হয়ে যায়। তারও আগে যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে ১৬ অক্টোবর সকাল সাড়ে ৮টার দিকে তৃতীয় ইউনিট বন্ধ হয়। এর ফলে পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যায় কয়লাভিত্তিক ৫২৫ মেগাওয়াটের বিদ্যুৎকেন্দ্রের তিনটি ইউনিটের উৎপাদন কার্যক্রম। তাপবিদ্যুৎকেন্দ্রের তিনটি ইউনিটের মধ্যে প্রথম ও দ্বিতীয় ইউনিট দুটি ১২৫ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতাসম্পন্ন এবং তৃতীয় ইউনিটটি ২৭৫ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন। ওই কেন্দ্রের দ্বিতীয় ইউনিটটি যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে ২০২০ সালের নভেম্বর থেকে ৪ বছর ১১ মাস ধরে বন্ধ রয়েছে।
বড়পুকুরিয়া তাপবিদ্যুৎকেন্দ্রের প্রধান প্রকৌশলী মো. আবু বক্কর সিদ্দিক আজকের পত্রিকাকে বলেন, প্রথম ইউনিটের মেরামতের কাজ শেষে দুপুর ১২টায় বয়লারে ফায়ারিং করা হয়। বেলা ২টা থেকে বিদ্যুৎকেন্দ্রের প্রথম ইউনিটটির চালু হলে সন্ধ্যায় আবারও আংশিক ত্রুটি দেখা দেয়, কিছু পরে পুরোপুরি উৎপাদন শুরু হয়। বর্তমানে উৎপাদিত ৫০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রিডে সরবরাহ করা হচ্ছে। এতে উত্তরাঞ্চলের লোডশেডিং কিছুটা কমে আসবে বলে আশা প্রকাশ করেন।
আবু বক্কর সিদ্দিক আরও বলেন, কেন্দ্রের তৃতীয় ইউনিটটি মেরামতের কাজ চলমান রয়েছে। চায়না থেকে মেশিন এনে সেটি বিদ্যুৎ উৎপাদনে ফিরতে প্রায় ৯০ দিন সময় লাগবে।

যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে এক সপ্তাহ বন্ধ থাকার পর দিনাজপুরের পার্বতীপুরের বড়পুকুরিয়া কয়লাভিত্তিক ৫২৫ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন তাপবিদ্যুৎকেন্দ্রের একটি ইউনিট সচল করা হয়েছে। আজ রোববার বেলা ২টার দিকে ১২৫ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের সক্ষমতাসম্পন্ন ১ নম্বর ইউনিটটি চালু হয়।
বড়পুকুরিয়া তাপবিদ্যুৎকেন্দ্রের প্রধান প্রকৌশলী মো. আবু বক্কর সিদ্দিক এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
জানা গেছে, চালু হওয়া ইউনিট থেকে প্রতিদিন ৫০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হবে। ইউনিটটি চালু রাখতে দৈনিক ৮০০ থেকে ৯০০ টন কয়লার প্রয়োজন হবে।
এর আগে ১৯ অক্টোবর রাত সাড়ে ৮টার দিকে প্রথম ইউনিটের বয়লারের পাইপ ফেটে বিদ্যুৎ উৎপাদন বন্ধ হয়ে যায়। তারও আগে যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে ১৬ অক্টোবর সকাল সাড়ে ৮টার দিকে তৃতীয় ইউনিট বন্ধ হয়। এর ফলে পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যায় কয়লাভিত্তিক ৫২৫ মেগাওয়াটের বিদ্যুৎকেন্দ্রের তিনটি ইউনিটের উৎপাদন কার্যক্রম। তাপবিদ্যুৎকেন্দ্রের তিনটি ইউনিটের মধ্যে প্রথম ও দ্বিতীয় ইউনিট দুটি ১২৫ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতাসম্পন্ন এবং তৃতীয় ইউনিটটি ২৭৫ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন। ওই কেন্দ্রের দ্বিতীয় ইউনিটটি যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে ২০২০ সালের নভেম্বর থেকে ৪ বছর ১১ মাস ধরে বন্ধ রয়েছে।
বড়পুকুরিয়া তাপবিদ্যুৎকেন্দ্রের প্রধান প্রকৌশলী মো. আবু বক্কর সিদ্দিক আজকের পত্রিকাকে বলেন, প্রথম ইউনিটের মেরামতের কাজ শেষে দুপুর ১২টায় বয়লারে ফায়ারিং করা হয়। বেলা ২টা থেকে বিদ্যুৎকেন্দ্রের প্রথম ইউনিটটির চালু হলে সন্ধ্যায় আবারও আংশিক ত্রুটি দেখা দেয়, কিছু পরে পুরোপুরি উৎপাদন শুরু হয়। বর্তমানে উৎপাদিত ৫০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রিডে সরবরাহ করা হচ্ছে। এতে উত্তরাঞ্চলের লোডশেডিং কিছুটা কমে আসবে বলে আশা প্রকাশ করেন।
আবু বক্কর সিদ্দিক আরও বলেন, কেন্দ্রের তৃতীয় ইউনিটটি মেরামতের কাজ চলমান রয়েছে। চায়না থেকে মেশিন এনে সেটি বিদ্যুৎ উৎপাদনে ফিরতে প্রায় ৯০ দিন সময় লাগবে।


অনুসন্ধানে জানা গেছে, নিপোর্টের মনিরামপুর আঞ্চলিক প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে (হাসপাতাল চত্বরে অবস্থিত) মূলত স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা মাঠ কর্মীদের মৌলিক প্রশিক্ষণ চলে। এতে দুই মাস মেয়াদি প্রতি ব্যাচে ২৫ জন প্রশিক্ষণার্থী অংশ নেন। দুই মাসের কোর্সে ২৩ দিন থিওরি ক্লাস ও ২০ দিন মাঠ পরিদর্শন কার্যক্রম রয়েছে।
০৪ জানুয়ারি ২০২৫
শরীয়তপুরের আবুল কালাম চোকদারের সঙ্গে বাড়ির লোকজনের শেষবারের মতো কথা হয়েছিলো আজ রোববার দুপুরে। বেলা ১১টার দিকে ভাবী আসমা বেগমকে তিনি জানিয়েছিলেন, কয়েকদিন পরই বাড়ি ফিরবেন। কিন্তু ফেরা আর হলো না তাঁর। মেট্রোরেলের একটি বিয়ারিং প্যাড তাঁর প্রাণ কেড়ে নিল। রাজধানীর ফার্মগেট এলাকায় একটি বেসরকারি
৫ মিনিট আগে
জিনের বাদশাহ সেজে প্রতারণার অভিযোগে মো. জাহাঙ্গীর মাঝি (৬০) নামের একজনকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। আজ রোববার সন্ধ্যা ৬টার দিকে ভোলার বোরহানউদ্দিন উপজেলার মানিকার হাটবাজার এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।
১৩ মিনিট আগে
ভৈরবকে জেলা ঘোষণার দাবিতে মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে ছাত্র-জনতা। আজ রোববার সকালে নগরীর দুর্জয় মোড়ে অবস্থান নিয়ে আন্দোলনকারীরা ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক ও ভৈরব-কিশোরগঞ্জ আঞ্চলিক সড়ক অবরোধ করেন।
৩১ মিনিট আগেকিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি ও ভৈরব সংবাদদাতা

ভৈরবকে জেলা ঘোষণার দাবিতে মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে ছাত্র-জনতা। আজ রোববার সকালে নগরীর দুর্জয় মোড়ে অবস্থান নিয়ে আন্দোলনকারীরা ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক ও ভৈরব-কিশোরগঞ্জ আঞ্চলিক সড়ক অবরোধ করেন। আন্দোলনের কারণে প্রায় দুই ঘণ্টা মহাসড়কসহ শহরের বিভিন্ন সড়কে যানবাহন আটকা পড়ে। এতে ভোগান্তিতে পড়েন যাত্রীরা।

আজ সকাল ১০টার দিকে খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে দুর্জয় মোড়ে আসেন আন্দোলনকারীরা। সাড়ে ১০টায় ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের দুই পাশসহ ভৈরব বাজার ও কিশোরগঞ্জ আঞ্চলিক সড়ক ব্লকেড করেন তাঁরা।
ভৈরব পৌর স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক খায়রুল ইসলাম পাভেল বলেন, ‘সর্বস্তরের মানুষের আন্দোলনের ফলে ভৈরবকে ৬৫তম জেলা ঘোষণা করে প্রজ্ঞাপন জারি হলেও পরে সরকার কোনো উদ্যোগ নেয়নি। আজ আমরা জেলার দাবিতে মাঠে নেমেছি, ঘোষণা না আসা পর্যন্ত মাঠে আন্দোলন চালিয়ে যাব।’
বাঁশগাড়ি জিল্লুর রহমান স্কুল অ্যান্ড কলেজের একাদশ শ্রেণির ছাত্র রায়হান বলে, ‘জেলার ঘোষণা দাবিতে বিক্ষোভ-মিছিল নিয়ে এসেছি। ব্লকেড কর্মসূচি পালন করতে বাঁশ দিয়ে ব্যারিকেড দিয়েছি, যানবাহন যেন চলতে না পারে। আমরা শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি পালন করছি।’

এই আন্দোলনে অন্যদের মধ্যে অংশ নেন উপজেলা বিএনপি সভাপতি মো. রফিকুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক আরিফুল ইসলাম, পৌর বিএনপির সভাপতি হাজী মো. শাহিন, উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক দেলোয়ার হোসেন সুজন, সাবেক উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান ও যুবদল নেতা আলহাজ আল মামুন, গণঅধিকার পরিষদের নেতা ইমতিয়াজ আহমেদ কাজল প্রমুখ। বিভিন্ন সামাজিক ও রাজনৈতিক সংগঠনের নেতা-কর্মীদের পাশাপাশি স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরাও আন্দোলনে যোগ দেয়।
ভৈরব থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খন্দকার ফুহাদ রুহানী বলেন, ‘জেলার দাবিতে দুর্জয় মোড়ে অবরোধ কর্মসূচি পালন করেন আন্দোলনকারীরা। আন্দোলন চলাকালে আমরা সর্বোচ্চ সতর্ক ছিলাম। কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি।’
ভৈরব উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভাপতি শবনম শারমিন বলেন, ‘সার্বিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে আমরা নিরবচ্ছিন্নভাবে মনিটরিং করেছি। কোনো ধরনের অস্থিতিশীলতা বা বিশৃঙ্খলা যাতে সৃষ্টি না হয়, সে বিষয়ে উপজেলা প্রশাসন ছিল সর্বোচ্চ সতর্ক ও প্রস্তুত।’

ভৈরবকে জেলা ঘোষণার দাবিতে মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে ছাত্র-জনতা। আজ রোববার সকালে নগরীর দুর্জয় মোড়ে অবস্থান নিয়ে আন্দোলনকারীরা ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক ও ভৈরব-কিশোরগঞ্জ আঞ্চলিক সড়ক অবরোধ করেন। আন্দোলনের কারণে প্রায় দুই ঘণ্টা মহাসড়কসহ শহরের বিভিন্ন সড়কে যানবাহন আটকা পড়ে। এতে ভোগান্তিতে পড়েন যাত্রীরা।

আজ সকাল ১০টার দিকে খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে দুর্জয় মোড়ে আসেন আন্দোলনকারীরা। সাড়ে ১০টায় ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের দুই পাশসহ ভৈরব বাজার ও কিশোরগঞ্জ আঞ্চলিক সড়ক ব্লকেড করেন তাঁরা।
ভৈরব পৌর স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক খায়রুল ইসলাম পাভেল বলেন, ‘সর্বস্তরের মানুষের আন্দোলনের ফলে ভৈরবকে ৬৫তম জেলা ঘোষণা করে প্রজ্ঞাপন জারি হলেও পরে সরকার কোনো উদ্যোগ নেয়নি। আজ আমরা জেলার দাবিতে মাঠে নেমেছি, ঘোষণা না আসা পর্যন্ত মাঠে আন্দোলন চালিয়ে যাব।’
বাঁশগাড়ি জিল্লুর রহমান স্কুল অ্যান্ড কলেজের একাদশ শ্রেণির ছাত্র রায়হান বলে, ‘জেলার ঘোষণা দাবিতে বিক্ষোভ-মিছিল নিয়ে এসেছি। ব্লকেড কর্মসূচি পালন করতে বাঁশ দিয়ে ব্যারিকেড দিয়েছি, যানবাহন যেন চলতে না পারে। আমরা শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি পালন করছি।’

এই আন্দোলনে অন্যদের মধ্যে অংশ নেন উপজেলা বিএনপি সভাপতি মো. রফিকুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক আরিফুল ইসলাম, পৌর বিএনপির সভাপতি হাজী মো. শাহিন, উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক দেলোয়ার হোসেন সুজন, সাবেক উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান ও যুবদল নেতা আলহাজ আল মামুন, গণঅধিকার পরিষদের নেতা ইমতিয়াজ আহমেদ কাজল প্রমুখ। বিভিন্ন সামাজিক ও রাজনৈতিক সংগঠনের নেতা-কর্মীদের পাশাপাশি স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরাও আন্দোলনে যোগ দেয়।
ভৈরব থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খন্দকার ফুহাদ রুহানী বলেন, ‘জেলার দাবিতে দুর্জয় মোড়ে অবরোধ কর্মসূচি পালন করেন আন্দোলনকারীরা। আন্দোলন চলাকালে আমরা সর্বোচ্চ সতর্ক ছিলাম। কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি।’
ভৈরব উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভাপতি শবনম শারমিন বলেন, ‘সার্বিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে আমরা নিরবচ্ছিন্নভাবে মনিটরিং করেছি। কোনো ধরনের অস্থিতিশীলতা বা বিশৃঙ্খলা যাতে সৃষ্টি না হয়, সে বিষয়ে উপজেলা প্রশাসন ছিল সর্বোচ্চ সতর্ক ও প্রস্তুত।’


অনুসন্ধানে জানা গেছে, নিপোর্টের মনিরামপুর আঞ্চলিক প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে (হাসপাতাল চত্বরে অবস্থিত) মূলত স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা মাঠ কর্মীদের মৌলিক প্রশিক্ষণ চলে। এতে দুই মাস মেয়াদি প্রতি ব্যাচে ২৫ জন প্রশিক্ষণার্থী অংশ নেন। দুই মাসের কোর্সে ২৩ দিন থিওরি ক্লাস ও ২০ দিন মাঠ পরিদর্শন কার্যক্রম রয়েছে।
০৪ জানুয়ারি ২০২৫
শরীয়তপুরের আবুল কালাম চোকদারের সঙ্গে বাড়ির লোকজনের শেষবারের মতো কথা হয়েছিলো আজ রোববার দুপুরে। বেলা ১১টার দিকে ভাবী আসমা বেগমকে তিনি জানিয়েছিলেন, কয়েকদিন পরই বাড়ি ফিরবেন। কিন্তু ফেরা আর হলো না তাঁর। মেট্রোরেলের একটি বিয়ারিং প্যাড তাঁর প্রাণ কেড়ে নিল। রাজধানীর ফার্মগেট এলাকায় একটি বেসরকারি
৫ মিনিট আগে
জিনের বাদশাহ সেজে প্রতারণার অভিযোগে মো. জাহাঙ্গীর মাঝি (৬০) নামের একজনকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। আজ রোববার সন্ধ্যা ৬টার দিকে ভোলার বোরহানউদ্দিন উপজেলার মানিকার হাটবাজার এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।
১৩ মিনিট আগে
যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে এক সপ্তাহ বন্ধ থাকার পর দিনাজপুরের পার্বতীপুরের বড়পুকুরিয়া কয়লাভিত্তিক ৫২৫ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন তাপবিদ্যুৎকেন্দ্রের একটি ইউনিট সচল করা হয়েছে। আজ রোববার বেলা ২টার দিকে ১২৫ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের সক্ষমতাসম্পন্ন ১ নম্বর ইউনিটটি চালু হয়। বড়পুকুরিয়া তাপবিদ্যুৎকেন্দ্রের....
২৫ মিনিট আগে