হবিগঞ্জ প্রতিনিধি

হবিগঞ্জে ধানের খড় শুকানোকে কেন্দ্র করে দুই গ্রামের লোকজনের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। এতে উভয় পক্ষের অর্ধশতাধিক লোক আহত হয়েছেন। গুরুতর অবস্থায় ১৫ জনকে হবিগঞ্জ সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
মঙ্গলবার দুপুরে হবিগঞ্জ সদর উপজেলার দরিয়াপুর গ্রামের কিতাব আলীর সঙ্গে পার্শ্ববর্তী নিজামপুর গ্রামের সফিক মিয়ার ধানের খড় শুকানো নিয়ে কথা-কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে এ বিরোধকে কেন্দ্র করে উভয় গ্রামের লোকজন সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে।
সংঘর্ষে আহতদের মধ্যে গুরুতর ১৫ জনকে হবিগঞ্জ সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
হবিগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দেলোয়ার হোসেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি শান্ত করে। বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।

হবিগঞ্জে ধানের খড় শুকানোকে কেন্দ্র করে দুই গ্রামের লোকজনের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। এতে উভয় পক্ষের অর্ধশতাধিক লোক আহত হয়েছেন। গুরুতর অবস্থায় ১৫ জনকে হবিগঞ্জ সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
মঙ্গলবার দুপুরে হবিগঞ্জ সদর উপজেলার দরিয়াপুর গ্রামের কিতাব আলীর সঙ্গে পার্শ্ববর্তী নিজামপুর গ্রামের সফিক মিয়ার ধানের খড় শুকানো নিয়ে কথা-কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে এ বিরোধকে কেন্দ্র করে উভয় গ্রামের লোকজন সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে।
সংঘর্ষে আহতদের মধ্যে গুরুতর ১৫ জনকে হবিগঞ্জ সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
হবিগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দেলোয়ার হোসেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি শান্ত করে। বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।
হবিগঞ্জ প্রতিনিধি

হবিগঞ্জে ধানের খড় শুকানোকে কেন্দ্র করে দুই গ্রামের লোকজনের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। এতে উভয় পক্ষের অর্ধশতাধিক লোক আহত হয়েছেন। গুরুতর অবস্থায় ১৫ জনকে হবিগঞ্জ সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
মঙ্গলবার দুপুরে হবিগঞ্জ সদর উপজেলার দরিয়াপুর গ্রামের কিতাব আলীর সঙ্গে পার্শ্ববর্তী নিজামপুর গ্রামের সফিক মিয়ার ধানের খড় শুকানো নিয়ে কথা-কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে এ বিরোধকে কেন্দ্র করে উভয় গ্রামের লোকজন সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে।
সংঘর্ষে আহতদের মধ্যে গুরুতর ১৫ জনকে হবিগঞ্জ সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
হবিগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দেলোয়ার হোসেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি শান্ত করে। বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।

হবিগঞ্জে ধানের খড় শুকানোকে কেন্দ্র করে দুই গ্রামের লোকজনের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। এতে উভয় পক্ষের অর্ধশতাধিক লোক আহত হয়েছেন। গুরুতর অবস্থায় ১৫ জনকে হবিগঞ্জ সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
মঙ্গলবার দুপুরে হবিগঞ্জ সদর উপজেলার দরিয়াপুর গ্রামের কিতাব আলীর সঙ্গে পার্শ্ববর্তী নিজামপুর গ্রামের সফিক মিয়ার ধানের খড় শুকানো নিয়ে কথা-কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে এ বিরোধকে কেন্দ্র করে উভয় গ্রামের লোকজন সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে।
সংঘর্ষে আহতদের মধ্যে গুরুতর ১৫ জনকে হবিগঞ্জ সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
হবিগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দেলোয়ার হোসেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি শান্ত করে। বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।

আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মাঠে নেই কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগ। ফলে ১৭ বছর পর বরিশালের ৬টি আসনে জয়ের ব্যাপারে অনেকটাই আশাবাদী বিএনপি। তবে নির্বাচনের মাঠে এক বছর আগে থেকে তৎপর থাকা জামায়াতে ইসলামী খানিকটা সুবিধা পাবে বলে মনে করছেন অনেকে।
৫ মিনিট আগে
খাগড়াছড়ির রামগড় স্থলবন্দর প্রকল্পের জন্য অন্তত তিনটি পাহাড় সাবাড় করা হয়েছে। স্থলবন্দর প্রকল্প এলাকা ভরাটে এসব পাহাড়ের লাল মাটি ব্যবহার করার অভিযোগ উঠেছে। বালুর পরিবর্তে মাটি ব্যবহার করায় শতকোটি টাকার এ প্রকল্পের মান ও স্থায়িত্ব নিয়ে শঙ্কার সৃষ্টি হয়েছে।
২ ঘণ্টা আগে
ভোলায় জামায়াত ও বিএনপির কর্মীদের মধ্যে ফের সংঘর্ষ হয়েছে। মঙ্গলবার (১৬ ডিসেম্বর) রাত ৮টার দিকে সদর উপজেলার ভেলুমিয়া বাজারে এ ঘটনা ঘটে। এতে কমপক্ষে ১২ জন আহত হয়েছেন। তাঁদের মধ্যে গুরুতর আহত মো. আবুল বাশার ও আশিক ইলাহিকে ভোলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
২ ঘণ্টা আগে
আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে ময়মনসিংহের ভালুকা থানায় মামলা হয়েছে। ভালুকা থানার উপপরিদর্শক (এসআই) ফজল ইসলাম বাদী হয়ে সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) বিশেষ ক্ষমতা আইনে এই মামলা করেন। ভালুকা মডেল থানার এসআই আবু তাহের মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
২ ঘণ্টা আগেবরিশালের ৬ আসন
খান রফিক, বরিশাল

আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মাঠে নেই কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগ। ফলে ১৭ বছর পর বরিশালের ৬টি আসনে জয়ের ব্যাপারে অনেকটাই আশাবাদী বিএনপি। তবে নির্বাচনের মাঠে এক বছর আগে থেকে তৎপর থাকা জামায়াতে ইসলামী খানিকটা সুবিধা পাবে বলে মনে করছেন অনেকে। মাঠপর্যায়ের তথ্য বলছে, অন্তত ৪টি আসনে জামায়াত, ইসলামী আন্দোলন এবং স্বতন্ত্র প্রার্থীর কাছে চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে পারে বিএনপি।
বরিশাল-১ (গৌরনদী-আগৈলঝাড়া)
এ আসনে বিএনপির সাবেক সংসদ সদস্য (২০০১) জহির উদ্দিন স্বপন এবারও দলটির সম্ভাব্য প্রার্থী। তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী রয়েছেন ইসলামী আন্দোলনের রাসেল সরদার (মেহেদী) এবং জামায়াতে ইসলামীর কামরুল ইসলাম খান। আট দলীয় জোট থেকে মনোনয়ন পেলে এ আসনে শক্ত অবস্থানে রয়েছেন রাসেল। তবে এই সমীকরণ বদলে যাওয়ার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে বিএনপির নির্বাহী সদস্য প্রকৌশলী আব্দুস সোবাহানকে ঘিরে। কারণ, বিএনপির অন্য সম্ভাব্য প্রার্থীরা সরে দাঁড়ালেও মাঠ ছাড়েননি সোবাহান। তাঁর অনুসারীরা দিনরাত সভা সমাবেশ করে যাচ্ছেন। সনাতন ধর্মাবলম্বীরা স্বপনকে প্রত্যাখ্যান করে ২০০১ সালের নির্যাতনের কথা মনে করিয়ে তাঁর বিরুদ্ধে বিক্ষোভও করেছে। এ ছাড়া সোবাহানের প্রতি সমর্থন দিচ্ছেন মনোনয়নবঞ্চিত বিএনপির আরও দুই নেতা আকন কুদ্দুসুর রহমান এবং কামরুল ইসলাম সজল। ফলে জোর গুঞ্জন চলছে, এ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হচ্ছেন সোবাহান। ভোটের হিসাব বলছে, আওয়ামী সমর্থক ও সংখ্যালঘুদের ভোট এই আসনের বড় ফ্যাক্টর। তাঁরা যে প্রার্থীকে ভোট দেবেন, তিনিই হবেন বিজয়ী।
এ বিষয়ে প্রকৌশলী আব্দুস সোবাহান বলেন, ‘২০০১ সালে এমপি হয়ে হিন্দুদের ওপর অত্যাচার করেছেন স্বপন। যে কারণে হিন্দুরা বিক্ষোভ করে তাঁর মনোনয়ন বাতিল চেয়েছেন। অন্য যাঁরা মনোনয়ন চেয়েছিলেন, তাঁরাও আমার সঙ্গে আছেন। ২০০৮ সালে আমি যখন বিএনপির প্রার্থী হলাম, তখন উনি বিদ্রোহী প্রার্থী হয়ে ২০৩ ভোট পান। এরপর ১/১১-এ সংস্কারপন্থী হয়ে বিএনপির বিরুদ্ধে অবস্থান নেন এই স্বপন। এখন জনগণ যেটা চাইবে, সেটাই করব।’ স্বতন্ত্র প্রার্থী হবেন কি না, জানতে চাইলে বলেন, ‘আমি মাঠে আছি। জনগণের চাওয়াই আমার চাওয়া।’
এ বিষয়ে জানতে একাধিকবার জহির উদ্দিন স্বপনের মোবাইলে কল দেওয়া হলেও তিনি সাড়া দেননি।
বরিশাল-২ (উজিরপুর-বানারীপাড়া)
এ আসনে বিএনপির প্রার্থী এস সরফুদ্দিন সান্টু। তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে মাঠে আছেন, জেলা জামায়াতের নায়েবে আমির আব্দুল মান্নান এবং ইসলামী আন্দোলনের কেন্দ্রীয় শুরা সদস্য নেছার উদ্দিন। জামায়াতের আব্দুল মান্নান প্রচারণায় বেশ এগিয়ে আছেন। তবে আসনটিতে সব হিসেবনিকাশ উল্টে যেতে পারে সাবেক সংসদ সদস্য গোলাম ফারুক অভি দেশে ফিরতে পারলে। তাঁর ঘনিষ্ঠ জেপির উজিরপুরের সাবেক সভাপতি সামসুল হক বলেন, ‘মাকে দেখার জন্য দেশে আসতে ২৪ নভেম্বর ট্রাভেল পাস চেয়ে বাংলাদেশ এম্বাসির কাছে আবেদন করেছেন। কিন্তু এখনো সাড়া পাননি। অভি দেশে ফেরার চেষ্টা করছেন।’
বরিশাল-৩ (বাবুগঞ্জ-মুলাদী)
আসনটিতে বিএনপির প্রার্থী দলের ভাইস চেয়ারম্যান জয়নুল আবেদীন। তার প্রতিদ্বন্দ্বী রয়েছেন জামায়াতের বরিশাল নগরের আমির জহির উদ্দিন মুহাম্মদ বাবর এবং ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের জেলা সভাপতি সিরাজুল ইসলাম। এবি পার্টির কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান ফুয়াদও এ আসনের প্রার্থী। সব প্রার্থীই প্রচারণায় রয়েছেন। এদিকে জেলা (উত্তর) বিএনপির সদস্য ছত্তার খানের স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়ার গুঞ্জন রয়েছে।
জয়নুল আবেদীন বলেন, ‘অনুন্নত বাবুগঞ্জ-মুলাদীকে বরিশালের একটি আধুনিক ও উন্নত এলাকায় রূপান্তর করাই হবে আমার মূল লক্ষ্য। এ অঞ্চলকে ইন্ডাস্ট্রিয়াল জোন হিসেবে গড়ে তুলতে চাই, যাতে বেকার যুবকদের কর্মসংস্থানের নতুন পথ তৈরি হয়।’
জামায়াতের প্রার্থী জহির উদ্দিন বাবর বলেন, ‘মানুষ পরিবর্তন চায়। আমরা আশাবাদী। এ জন্য ডোর টু ডোর যাচ্ছি।’
বরিশাল-৪ (হিজলা ও মেহেন্দীগঞ্জ)
এ আসনে বিএনপির নবীন এমপি প্রার্থী রাজিব আহসান। তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে রয়েছেন জামায়াতে ইসলামীর বরিশাল জেলা আমির মোহাম্মদ আব্দুল জব্বার এবং ইসলামী আন্দোলনের সৈয়দ মোহাম্মদ আবুল খায়ের। মাঠপর্যায়ের তথ্যমতে, বিএনপির মনোনয়ন নিয়ে এ আসনে দলটির নেতা-কর্মীদের মধ্যে ক্ষোভ রয়েছে। এই আসনে মনোনয়নপ্রত্যাশী ছিলেন সাবেক সংসদ সদস্য মেজবাহ উদ্দিন ফরহাদ। তাঁর অনুসারীরা কোন পথে হাঁটবেন সেটি অজানা। এ ছাড়া আসনটিতে শক্ত অবস্থানে রয়েছেন জামায়াতের প্রার্থী আব্দুল জব্বার। স্থানীয় ভোটাররা বলছেন, কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের ভোটব্যাংক যারা দখল করতে পারবে, তারা নির্বাচনে সফল হবে।
বরিশাল-৫ (নগর ও সদর)
মর্যাদার আসন বরিশাল-৫ বরাবরই বিএনপির ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত। এ আসনের এমপি প্রার্থী মজিবর রহমান সরোয়ার পাঁচবারের এমপি। যদিও ৮-দলীয় জোটের হিসাবে এবার খালি মাঠে গোল দিতে পারবেন না সরোয়ার। এখানে ইসলামী আন্দোলনের প্রার্থী দলটির দ্বিতীয় সর্বোচ্চ নেতা সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম। এ ছাড়া জামায়াতের প্রার্থী মুয়াযযম হোসাইন হেলালও মাঠ ছাড়ার নয়। তবে চরমোনাই পীরের বাড়ি হওয়ায় জামায়াতসহ ৮-দলীয় জোটের মনোনয়ন ফয়জুল করীমই পাচ্ছেন বলে নানা গুঞ্জন রয়েছে।
জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মুয়াযযম হোসাইন হেলাল বলেন, নির্বাচনে শেষ কথা বলতে কিছু নেই। নির্বাচন সুষ্ঠু হলে দেখা যাবে ফল কী হবে।
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সিনিয়র নায়েবে আমির সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম বলেন, ৮ দলের আসনভিত্তিক সমঝোতা প্রক্রিয়াধীন। এটা ইসলামী আন্দোলনের আমিরের বাড়ি। যে কারণে বরিশালে হাতপাখার অনেক ভোট। জনগণের মোটিভ ঘুরে গেছে।
এ ব্যাপারে বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা মজিবর রহমান সরোয়ার বলেন, ‘হাতপাখা আর দাঁড়িপাল্লা হয়তো জোট করবে। এ আসনে মানুষের উন্নয়ন ও কল্যাণ করেছি। জনগণ তাই ধানের শীষে ভোট দিতে উন্মুখ। মহানগরে ধানের শীষের ভোট বেশি। সদর উপজেলায় চরমোনাই পীরের বাড়ি হলেও সব সময় ধানের শীষ বেশি ভোট পেয়েছে।’
বরিশাল-৬ (বাকেরগঞ্জ)
আসনটিতে বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থী সাবেক সংসদ সদস্য আবুল হোসেন খান। এ ছাড়া জামায়াতের মাওলানা মাহামুদুন নবী তালুকদার প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন। এদিকে ইসলামী আন্দোলনের নায়েবে আমির সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীমেরও এ আসনে প্রার্থী হওয়ার কথা রয়েছে। জামায়াতের সঙ্গে আসন সমঝোতা হলে প্রার্থী কে হবেন সেটার ওপর নির্ভর করছে ভোটের ফল।

আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মাঠে নেই কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগ। ফলে ১৭ বছর পর বরিশালের ৬টি আসনে জয়ের ব্যাপারে অনেকটাই আশাবাদী বিএনপি। তবে নির্বাচনের মাঠে এক বছর আগে থেকে তৎপর থাকা জামায়াতে ইসলামী খানিকটা সুবিধা পাবে বলে মনে করছেন অনেকে। মাঠপর্যায়ের তথ্য বলছে, অন্তত ৪টি আসনে জামায়াত, ইসলামী আন্দোলন এবং স্বতন্ত্র প্রার্থীর কাছে চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে পারে বিএনপি।
বরিশাল-১ (গৌরনদী-আগৈলঝাড়া)
এ আসনে বিএনপির সাবেক সংসদ সদস্য (২০০১) জহির উদ্দিন স্বপন এবারও দলটির সম্ভাব্য প্রার্থী। তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী রয়েছেন ইসলামী আন্দোলনের রাসেল সরদার (মেহেদী) এবং জামায়াতে ইসলামীর কামরুল ইসলাম খান। আট দলীয় জোট থেকে মনোনয়ন পেলে এ আসনে শক্ত অবস্থানে রয়েছেন রাসেল। তবে এই সমীকরণ বদলে যাওয়ার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে বিএনপির নির্বাহী সদস্য প্রকৌশলী আব্দুস সোবাহানকে ঘিরে। কারণ, বিএনপির অন্য সম্ভাব্য প্রার্থীরা সরে দাঁড়ালেও মাঠ ছাড়েননি সোবাহান। তাঁর অনুসারীরা দিনরাত সভা সমাবেশ করে যাচ্ছেন। সনাতন ধর্মাবলম্বীরা স্বপনকে প্রত্যাখ্যান করে ২০০১ সালের নির্যাতনের কথা মনে করিয়ে তাঁর বিরুদ্ধে বিক্ষোভও করেছে। এ ছাড়া সোবাহানের প্রতি সমর্থন দিচ্ছেন মনোনয়নবঞ্চিত বিএনপির আরও দুই নেতা আকন কুদ্দুসুর রহমান এবং কামরুল ইসলাম সজল। ফলে জোর গুঞ্জন চলছে, এ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হচ্ছেন সোবাহান। ভোটের হিসাব বলছে, আওয়ামী সমর্থক ও সংখ্যালঘুদের ভোট এই আসনের বড় ফ্যাক্টর। তাঁরা যে প্রার্থীকে ভোট দেবেন, তিনিই হবেন বিজয়ী।
এ বিষয়ে প্রকৌশলী আব্দুস সোবাহান বলেন, ‘২০০১ সালে এমপি হয়ে হিন্দুদের ওপর অত্যাচার করেছেন স্বপন। যে কারণে হিন্দুরা বিক্ষোভ করে তাঁর মনোনয়ন বাতিল চেয়েছেন। অন্য যাঁরা মনোনয়ন চেয়েছিলেন, তাঁরাও আমার সঙ্গে আছেন। ২০০৮ সালে আমি যখন বিএনপির প্রার্থী হলাম, তখন উনি বিদ্রোহী প্রার্থী হয়ে ২০৩ ভোট পান। এরপর ১/১১-এ সংস্কারপন্থী হয়ে বিএনপির বিরুদ্ধে অবস্থান নেন এই স্বপন। এখন জনগণ যেটা চাইবে, সেটাই করব।’ স্বতন্ত্র প্রার্থী হবেন কি না, জানতে চাইলে বলেন, ‘আমি মাঠে আছি। জনগণের চাওয়াই আমার চাওয়া।’
এ বিষয়ে জানতে একাধিকবার জহির উদ্দিন স্বপনের মোবাইলে কল দেওয়া হলেও তিনি সাড়া দেননি।
বরিশাল-২ (উজিরপুর-বানারীপাড়া)
এ আসনে বিএনপির প্রার্থী এস সরফুদ্দিন সান্টু। তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে মাঠে আছেন, জেলা জামায়াতের নায়েবে আমির আব্দুল মান্নান এবং ইসলামী আন্দোলনের কেন্দ্রীয় শুরা সদস্য নেছার উদ্দিন। জামায়াতের আব্দুল মান্নান প্রচারণায় বেশ এগিয়ে আছেন। তবে আসনটিতে সব হিসেবনিকাশ উল্টে যেতে পারে সাবেক সংসদ সদস্য গোলাম ফারুক অভি দেশে ফিরতে পারলে। তাঁর ঘনিষ্ঠ জেপির উজিরপুরের সাবেক সভাপতি সামসুল হক বলেন, ‘মাকে দেখার জন্য দেশে আসতে ২৪ নভেম্বর ট্রাভেল পাস চেয়ে বাংলাদেশ এম্বাসির কাছে আবেদন করেছেন। কিন্তু এখনো সাড়া পাননি। অভি দেশে ফেরার চেষ্টা করছেন।’
বরিশাল-৩ (বাবুগঞ্জ-মুলাদী)
আসনটিতে বিএনপির প্রার্থী দলের ভাইস চেয়ারম্যান জয়নুল আবেদীন। তার প্রতিদ্বন্দ্বী রয়েছেন জামায়াতের বরিশাল নগরের আমির জহির উদ্দিন মুহাম্মদ বাবর এবং ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের জেলা সভাপতি সিরাজুল ইসলাম। এবি পার্টির কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান ফুয়াদও এ আসনের প্রার্থী। সব প্রার্থীই প্রচারণায় রয়েছেন। এদিকে জেলা (উত্তর) বিএনপির সদস্য ছত্তার খানের স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়ার গুঞ্জন রয়েছে।
জয়নুল আবেদীন বলেন, ‘অনুন্নত বাবুগঞ্জ-মুলাদীকে বরিশালের একটি আধুনিক ও উন্নত এলাকায় রূপান্তর করাই হবে আমার মূল লক্ষ্য। এ অঞ্চলকে ইন্ডাস্ট্রিয়াল জোন হিসেবে গড়ে তুলতে চাই, যাতে বেকার যুবকদের কর্মসংস্থানের নতুন পথ তৈরি হয়।’
জামায়াতের প্রার্থী জহির উদ্দিন বাবর বলেন, ‘মানুষ পরিবর্তন চায়। আমরা আশাবাদী। এ জন্য ডোর টু ডোর যাচ্ছি।’
বরিশাল-৪ (হিজলা ও মেহেন্দীগঞ্জ)
এ আসনে বিএনপির নবীন এমপি প্রার্থী রাজিব আহসান। তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে রয়েছেন জামায়াতে ইসলামীর বরিশাল জেলা আমির মোহাম্মদ আব্দুল জব্বার এবং ইসলামী আন্দোলনের সৈয়দ মোহাম্মদ আবুল খায়ের। মাঠপর্যায়ের তথ্যমতে, বিএনপির মনোনয়ন নিয়ে এ আসনে দলটির নেতা-কর্মীদের মধ্যে ক্ষোভ রয়েছে। এই আসনে মনোনয়নপ্রত্যাশী ছিলেন সাবেক সংসদ সদস্য মেজবাহ উদ্দিন ফরহাদ। তাঁর অনুসারীরা কোন পথে হাঁটবেন সেটি অজানা। এ ছাড়া আসনটিতে শক্ত অবস্থানে রয়েছেন জামায়াতের প্রার্থী আব্দুল জব্বার। স্থানীয় ভোটাররা বলছেন, কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের ভোটব্যাংক যারা দখল করতে পারবে, তারা নির্বাচনে সফল হবে।
বরিশাল-৫ (নগর ও সদর)
মর্যাদার আসন বরিশাল-৫ বরাবরই বিএনপির ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত। এ আসনের এমপি প্রার্থী মজিবর রহমান সরোয়ার পাঁচবারের এমপি। যদিও ৮-দলীয় জোটের হিসাবে এবার খালি মাঠে গোল দিতে পারবেন না সরোয়ার। এখানে ইসলামী আন্দোলনের প্রার্থী দলটির দ্বিতীয় সর্বোচ্চ নেতা সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম। এ ছাড়া জামায়াতের প্রার্থী মুয়াযযম হোসাইন হেলালও মাঠ ছাড়ার নয়। তবে চরমোনাই পীরের বাড়ি হওয়ায় জামায়াতসহ ৮-দলীয় জোটের মনোনয়ন ফয়জুল করীমই পাচ্ছেন বলে নানা গুঞ্জন রয়েছে।
জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মুয়াযযম হোসাইন হেলাল বলেন, নির্বাচনে শেষ কথা বলতে কিছু নেই। নির্বাচন সুষ্ঠু হলে দেখা যাবে ফল কী হবে।
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সিনিয়র নায়েবে আমির সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম বলেন, ৮ দলের আসনভিত্তিক সমঝোতা প্রক্রিয়াধীন। এটা ইসলামী আন্দোলনের আমিরের বাড়ি। যে কারণে বরিশালে হাতপাখার অনেক ভোট। জনগণের মোটিভ ঘুরে গেছে।
এ ব্যাপারে বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা মজিবর রহমান সরোয়ার বলেন, ‘হাতপাখা আর দাঁড়িপাল্লা হয়তো জোট করবে। এ আসনে মানুষের উন্নয়ন ও কল্যাণ করেছি। জনগণ তাই ধানের শীষে ভোট দিতে উন্মুখ। মহানগরে ধানের শীষের ভোট বেশি। সদর উপজেলায় চরমোনাই পীরের বাড়ি হলেও সব সময় ধানের শীষ বেশি ভোট পেয়েছে।’
বরিশাল-৬ (বাকেরগঞ্জ)
আসনটিতে বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থী সাবেক সংসদ সদস্য আবুল হোসেন খান। এ ছাড়া জামায়াতের মাওলানা মাহামুদুন নবী তালুকদার প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন। এদিকে ইসলামী আন্দোলনের নায়েবে আমির সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীমেরও এ আসনে প্রার্থী হওয়ার কথা রয়েছে। জামায়াতের সঙ্গে আসন সমঝোতা হলে প্রার্থী কে হবেন সেটার ওপর নির্ভর করছে ভোটের ফল।

হবিগঞ্জে ধানের খড় শুকানোকে কেন্দ্র করে দুই গ্রামের লোকজনের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। এতে উভয় পক্ষের অর্ধশতাধিক লোক আহত হয়েছেন। গুরুতর অবস্থায় ১৫ জনকে হবিগঞ্জ সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
৮ ঘণ্টা আগে
খাগড়াছড়ির রামগড় স্থলবন্দর প্রকল্পের জন্য অন্তত তিনটি পাহাড় সাবাড় করা হয়েছে। স্থলবন্দর প্রকল্প এলাকা ভরাটে এসব পাহাড়ের লাল মাটি ব্যবহার করার অভিযোগ উঠেছে। বালুর পরিবর্তে মাটি ব্যবহার করায় শতকোটি টাকার এ প্রকল্পের মান ও স্থায়িত্ব নিয়ে শঙ্কার সৃষ্টি হয়েছে।
২ ঘণ্টা আগে
ভোলায় জামায়াত ও বিএনপির কর্মীদের মধ্যে ফের সংঘর্ষ হয়েছে। মঙ্গলবার (১৬ ডিসেম্বর) রাত ৮টার দিকে সদর উপজেলার ভেলুমিয়া বাজারে এ ঘটনা ঘটে। এতে কমপক্ষে ১২ জন আহত হয়েছেন। তাঁদের মধ্যে গুরুতর আহত মো. আবুল বাশার ও আশিক ইলাহিকে ভোলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
২ ঘণ্টা আগে
আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে ময়মনসিংহের ভালুকা থানায় মামলা হয়েছে। ভালুকা থানার উপপরিদর্শক (এসআই) ফজল ইসলাম বাদী হয়ে সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) বিশেষ ক্ষমতা আইনে এই মামলা করেন। ভালুকা মডেল থানার এসআই আবু তাহের মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
২ ঘণ্টা আগেআবু বকর ছিদ্দিক, চট্টগ্রাম

খাগড়াছড়ির রামগড় স্থলবন্দর প্রকল্পের জন্য অন্তত তিনটি পাহাড় সাবাড় করা হয়েছে। স্থলবন্দর প্রকল্প এলাকা ভরাটে এসব পাহাড়ের লাল মাটি ব্যবহার করার অভিযোগ উঠেছে। বালুর পরিবর্তে মাটি ব্যবহার করায় শতকোটি টাকার এ প্রকল্পের মান ও স্থায়িত্ব নিয়ে শঙ্কার সৃষ্টি হয়েছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, রামগড় পৌর এলাকার ৮ নম্বর ওয়ার্ডের বলিটিলা মসজিদের সামনের একটি পাহাড়, একই ওয়ার্ডের পাশে আরেকটি এবং ৫ নম্বর ওয়ার্ডের পূর্ব চৌধুরীপাড়া এলাকার একটি পাহাড় সম্পূর্ণ কেটে ফেলা হয়েছে। রাতে রাতে কেটে এসব পাহাড়ের মাটি গাড়িতে করে নিয়ে ৩ কিলোমিটার দূরে রামগড় স্থলবন্দরের প্রায় ১০ একর জমি ভরাট করা হয়েছে। স্থানীয়দের ভাষ্য, প্রশাসনের নাকের ডগায় এভাবে পাহাড় গায়েব হয়ে গেলেও কার্যকর কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি।
প্রকল্পের নকশা অনুযায়ী, বন্দরের জায়গা বালু দিয়ে ভরাট করার কথা থাকলেও বাস্তবে পাহাড়ি লাল মাটি ব্যবহার করা হয়েছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সড়ক ও জনপথ বিভাগের এক নির্বাহী প্রকৌশলী বলেন, বালুর তুলনায় পাহাড়ি মাটির কমপ্যাকশন (ঘনত্ব) অনেক কম হয়। ফলে কিছুদিন পরই জমি দেবে যাওয়া বা ফাটল ধরার আশঙ্কা থাকে। এতে পুরো অবকাঠামোর মান মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।
স্থলবন্দর প্রকল্প সূত্র জানায়, বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষ ২০২২ সালে রামগড়ের মহামুনি এলাকায় অধিগ্রহণ করা ১০ একর জমিতে ইন্টিগ্রেটেড চেকপোস্ট (আইসিপি), কাস্টমস অফিস, প্যাসেঞ্জার টার্মিনাল ভবন, পোর্ট বিল্ডিং, ট্রান্সশিপমেন্ট শেড, ওয়্যারহাউস, ইয়ার্ড ও আবাসিক ভবন নির্মাণে ১৬১ কোটি টাকার একটি প্রকল্প হাতে নেয়। প্রকল্প বাস্তবায়নে প্রথমে মনিকো লিমিটেডকে কাজ দেওয়া হয়। তবে ২০২২ সালের ১১ জানুয়ারি কাজ শুরু হলে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী-বিএসএফ বাধা দেয়। এক বছরের বেশি সময় কাজ বন্ধ থাকায় বিশ্বব্যাংকের অর্থায়ন বাতিল হয়।
পরে ভারতীয় পক্ষের সম্মতির পর প্রকল্প আবার চালু হলে এমএসসিএল অ্যান্ড এমএসডিবিএল জেবি ও মনিকো লিমিটেডকে নতুন করে কার্যাদেশ দেওয়া হয়। এর মধ্যে মনিকো লিমিটেড বন্দরের ১০ একর জমি ভরাটসহ ওয়্যারহাউস, ইয়ার্ড, রিটেইনিং ওয়াল, বাউন্ডারি ওয়াল ও দুটি ওয়েব্রিজ স্কেল নির্মাণের জন্য প্রায় ৮৯ কোটি টাকার কাজ পায়। নিয়ম অনুযায়ী, প্রায় ২২ ফুট উচ্চতায় বালু দিয়ে ভরাট করার কথা থাকলেও বাস্তবে পাহাড় কেটে আনা মাটি দিয়েই পুরো এলাকা ভরাট করা হয়েছে। বিষয়টি স্বীকার করেছেন ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স মনিকো লিমিটেডের স্থানীয় ব্যবস্থাপক মো. হাফিজুর রহমান। তিনি দাবি করেন, সহনীয় মাত্রার বালু এই পাহাড়ি মাটিতে রয়েছে।
বালুর পরিবর্তে মাটি ব্যবহার করায় মান খারাপ হবে কি না জানতে চাইলে তিনি কোনো মন্তব্য করতে চাননি। তিনি বলেন, ‘স্থানীয় উপঠিকাদার মাটি সরবরাহ করেছেন। তাঁরা কোথা থেকে আনছেন, তা আমাদের জানার বিষয় নয়।’
পাহাড় কাটায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে রামগড় পৌর এলাকার ৫ নম্বর ওয়ার্ডের পূর্ব চৌধুরীপাড়া এলাকা। মৃত হোসেন আহম্মদের বাড়িসংলগ্ন পাহাড়টি সম্পূর্ণ কেটে ফেলা হয়েছে। স্থানীয়রা বলছেন, পাহাড় কেটে নেওয়ায় ভূমিধস ও পরিবেশ বিপর্যয়ের ঝুঁকি বেড়েছে। এর পাশে ২০০৪ সালে পাহাড় ধসে মৃত আব্দুর রশিদের ছেলে হানিফ, স্ত্রী ও মেয়ে একই পরিবারের ৩ জন মারা যান।
সরেজমিনে দেখা যায়, দ্রুততার সঙ্গে বন্দরের ইয়ার্ডের কাজ শেষ করা হচ্ছে। সিসি ঢালাই করে পাহাড়ের লাল মাটি তলিয়ে ফেলা হচ্ছে।
পাহাড় কাটা প্রসঙ্গে রামগড় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) কাজী শামীম বলেন, ‘বিষয়টি আমার জানা নেই। কিছুদিন আগে আমি রামগড়ে যোগদান করেছি। তবে পাহাড় কাটার ঘটনায় বেশ কিছু মামলা করা হয়েছে।’
২০১০ সালে রামগড়কে স্থলবন্দর ঘোষণা করে সরকার। ২০১৮ সালে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে চুক্তির মাধ্যমে চট্টগ্রাম ও মোংলা বন্দর ব্যবহারের সুযোগ পায় ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যগুলো। এর ধারাবাহিকতায় রামগড় বন্দর গুরুত্বপূর্ণ ট্রানজিট পয়েন্ট হিসেবে বিবেচিত হয়। ২০২১ সালে ফেনী নদীর ওপর নির্মিত বাংলাদেশ-ভারত মৈত্রী সেতু-১ উদ্বোধনের মধ্য দিয়ে বন্দরের সম্ভাবনা আরও বাড়ে।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, রামগড় স্থলবন্দর চালু হলে ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের সাত রাজ্যের সঙ্গে বাংলাদেশের সরাসরি বাণিজ্যিক যোগাযোগ স্থাপন হবে। চট্টগ্রাম বন্দর থেকে মাত্র ৩ ঘণ্টায় পণ্য পৌঁছাবে ত্রিপুরার সাব্রুমে। ইমিগ্রেশন চালু হলে যাত্রী পারাপার ও চিকিৎসা-ভ্রমণও সহজ হবে।
রামগড় স্থলবন্দর প্রকল্প পরিচালক (যুগ্ম সচিব) মো. সামসুল আলম বলেন, ‘আমি এ প্রকল্পে নতুন যোগদান করেছি। সবকিছু আমার জানা নেই। তবে সহকারী প্রকৌশলী রুহুল আমিন বিস্তারিত বলতে পারবেন।’
চেষ্টা করেও রুহুল আমিনের সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।

খাগড়াছড়ির রামগড় স্থলবন্দর প্রকল্পের জন্য অন্তত তিনটি পাহাড় সাবাড় করা হয়েছে। স্থলবন্দর প্রকল্প এলাকা ভরাটে এসব পাহাড়ের লাল মাটি ব্যবহার করার অভিযোগ উঠেছে। বালুর পরিবর্তে মাটি ব্যবহার করায় শতকোটি টাকার এ প্রকল্পের মান ও স্থায়িত্ব নিয়ে শঙ্কার সৃষ্টি হয়েছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, রামগড় পৌর এলাকার ৮ নম্বর ওয়ার্ডের বলিটিলা মসজিদের সামনের একটি পাহাড়, একই ওয়ার্ডের পাশে আরেকটি এবং ৫ নম্বর ওয়ার্ডের পূর্ব চৌধুরীপাড়া এলাকার একটি পাহাড় সম্পূর্ণ কেটে ফেলা হয়েছে। রাতে রাতে কেটে এসব পাহাড়ের মাটি গাড়িতে করে নিয়ে ৩ কিলোমিটার দূরে রামগড় স্থলবন্দরের প্রায় ১০ একর জমি ভরাট করা হয়েছে। স্থানীয়দের ভাষ্য, প্রশাসনের নাকের ডগায় এভাবে পাহাড় গায়েব হয়ে গেলেও কার্যকর কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি।
প্রকল্পের নকশা অনুযায়ী, বন্দরের জায়গা বালু দিয়ে ভরাট করার কথা থাকলেও বাস্তবে পাহাড়ি লাল মাটি ব্যবহার করা হয়েছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সড়ক ও জনপথ বিভাগের এক নির্বাহী প্রকৌশলী বলেন, বালুর তুলনায় পাহাড়ি মাটির কমপ্যাকশন (ঘনত্ব) অনেক কম হয়। ফলে কিছুদিন পরই জমি দেবে যাওয়া বা ফাটল ধরার আশঙ্কা থাকে। এতে পুরো অবকাঠামোর মান মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।
স্থলবন্দর প্রকল্প সূত্র জানায়, বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষ ২০২২ সালে রামগড়ের মহামুনি এলাকায় অধিগ্রহণ করা ১০ একর জমিতে ইন্টিগ্রেটেড চেকপোস্ট (আইসিপি), কাস্টমস অফিস, প্যাসেঞ্জার টার্মিনাল ভবন, পোর্ট বিল্ডিং, ট্রান্সশিপমেন্ট শেড, ওয়্যারহাউস, ইয়ার্ড ও আবাসিক ভবন নির্মাণে ১৬১ কোটি টাকার একটি প্রকল্প হাতে নেয়। প্রকল্প বাস্তবায়নে প্রথমে মনিকো লিমিটেডকে কাজ দেওয়া হয়। তবে ২০২২ সালের ১১ জানুয়ারি কাজ শুরু হলে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী-বিএসএফ বাধা দেয়। এক বছরের বেশি সময় কাজ বন্ধ থাকায় বিশ্বব্যাংকের অর্থায়ন বাতিল হয়।
পরে ভারতীয় পক্ষের সম্মতির পর প্রকল্প আবার চালু হলে এমএসসিএল অ্যান্ড এমএসডিবিএল জেবি ও মনিকো লিমিটেডকে নতুন করে কার্যাদেশ দেওয়া হয়। এর মধ্যে মনিকো লিমিটেড বন্দরের ১০ একর জমি ভরাটসহ ওয়্যারহাউস, ইয়ার্ড, রিটেইনিং ওয়াল, বাউন্ডারি ওয়াল ও দুটি ওয়েব্রিজ স্কেল নির্মাণের জন্য প্রায় ৮৯ কোটি টাকার কাজ পায়। নিয়ম অনুযায়ী, প্রায় ২২ ফুট উচ্চতায় বালু দিয়ে ভরাট করার কথা থাকলেও বাস্তবে পাহাড় কেটে আনা মাটি দিয়েই পুরো এলাকা ভরাট করা হয়েছে। বিষয়টি স্বীকার করেছেন ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স মনিকো লিমিটেডের স্থানীয় ব্যবস্থাপক মো. হাফিজুর রহমান। তিনি দাবি করেন, সহনীয় মাত্রার বালু এই পাহাড়ি মাটিতে রয়েছে।
বালুর পরিবর্তে মাটি ব্যবহার করায় মান খারাপ হবে কি না জানতে চাইলে তিনি কোনো মন্তব্য করতে চাননি। তিনি বলেন, ‘স্থানীয় উপঠিকাদার মাটি সরবরাহ করেছেন। তাঁরা কোথা থেকে আনছেন, তা আমাদের জানার বিষয় নয়।’
পাহাড় কাটায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে রামগড় পৌর এলাকার ৫ নম্বর ওয়ার্ডের পূর্ব চৌধুরীপাড়া এলাকা। মৃত হোসেন আহম্মদের বাড়িসংলগ্ন পাহাড়টি সম্পূর্ণ কেটে ফেলা হয়েছে। স্থানীয়রা বলছেন, পাহাড় কেটে নেওয়ায় ভূমিধস ও পরিবেশ বিপর্যয়ের ঝুঁকি বেড়েছে। এর পাশে ২০০৪ সালে পাহাড় ধসে মৃত আব্দুর রশিদের ছেলে হানিফ, স্ত্রী ও মেয়ে একই পরিবারের ৩ জন মারা যান।
সরেজমিনে দেখা যায়, দ্রুততার সঙ্গে বন্দরের ইয়ার্ডের কাজ শেষ করা হচ্ছে। সিসি ঢালাই করে পাহাড়ের লাল মাটি তলিয়ে ফেলা হচ্ছে।
পাহাড় কাটা প্রসঙ্গে রামগড় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) কাজী শামীম বলেন, ‘বিষয়টি আমার জানা নেই। কিছুদিন আগে আমি রামগড়ে যোগদান করেছি। তবে পাহাড় কাটার ঘটনায় বেশ কিছু মামলা করা হয়েছে।’
২০১০ সালে রামগড়কে স্থলবন্দর ঘোষণা করে সরকার। ২০১৮ সালে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে চুক্তির মাধ্যমে চট্টগ্রাম ও মোংলা বন্দর ব্যবহারের সুযোগ পায় ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যগুলো। এর ধারাবাহিকতায় রামগড় বন্দর গুরুত্বপূর্ণ ট্রানজিট পয়েন্ট হিসেবে বিবেচিত হয়। ২০২১ সালে ফেনী নদীর ওপর নির্মিত বাংলাদেশ-ভারত মৈত্রী সেতু-১ উদ্বোধনের মধ্য দিয়ে বন্দরের সম্ভাবনা আরও বাড়ে।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, রামগড় স্থলবন্দর চালু হলে ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের সাত রাজ্যের সঙ্গে বাংলাদেশের সরাসরি বাণিজ্যিক যোগাযোগ স্থাপন হবে। চট্টগ্রাম বন্দর থেকে মাত্র ৩ ঘণ্টায় পণ্য পৌঁছাবে ত্রিপুরার সাব্রুমে। ইমিগ্রেশন চালু হলে যাত্রী পারাপার ও চিকিৎসা-ভ্রমণও সহজ হবে।
রামগড় স্থলবন্দর প্রকল্প পরিচালক (যুগ্ম সচিব) মো. সামসুল আলম বলেন, ‘আমি এ প্রকল্পে নতুন যোগদান করেছি। সবকিছু আমার জানা নেই। তবে সহকারী প্রকৌশলী রুহুল আমিন বিস্তারিত বলতে পারবেন।’
চেষ্টা করেও রুহুল আমিনের সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।

হবিগঞ্জে ধানের খড় শুকানোকে কেন্দ্র করে দুই গ্রামের লোকজনের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। এতে উভয় পক্ষের অর্ধশতাধিক লোক আহত হয়েছেন। গুরুতর অবস্থায় ১৫ জনকে হবিগঞ্জ সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
৮ ঘণ্টা আগে
আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মাঠে নেই কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগ। ফলে ১৭ বছর পর বরিশালের ৬টি আসনে জয়ের ব্যাপারে অনেকটাই আশাবাদী বিএনপি। তবে নির্বাচনের মাঠে এক বছর আগে থেকে তৎপর থাকা জামায়াতে ইসলামী খানিকটা সুবিধা পাবে বলে মনে করছেন অনেকে।
৫ মিনিট আগে
ভোলায় জামায়াত ও বিএনপির কর্মীদের মধ্যে ফের সংঘর্ষ হয়েছে। মঙ্গলবার (১৬ ডিসেম্বর) রাত ৮টার দিকে সদর উপজেলার ভেলুমিয়া বাজারে এ ঘটনা ঘটে। এতে কমপক্ষে ১২ জন আহত হয়েছেন। তাঁদের মধ্যে গুরুতর আহত মো. আবুল বাশার ও আশিক ইলাহিকে ভোলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
২ ঘণ্টা আগে
আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে ময়মনসিংহের ভালুকা থানায় মামলা হয়েছে। ভালুকা থানার উপপরিদর্শক (এসআই) ফজল ইসলাম বাদী হয়ে সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) বিশেষ ক্ষমতা আইনে এই মামলা করেন। ভালুকা মডেল থানার এসআই আবু তাহের মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
২ ঘণ্টা আগেভোলা প্রতিনিধি

ভোলায় জামায়াত ও বিএনপির কর্মীদের মধ্যে ফের সংঘর্ষ হয়েছে। মঙ্গলবার (১৬ ডিসেম্বর) রাত ৮টার দিকে সদর উপজেলার ভেলুমিয়া বাজারে এ ঘটনা ঘটে। এতে কমপক্ষে ১২ জন আহত হয়েছেন। তাঁদের মধ্যে গুরুতর আহত মো. আবুল বাশার ও আশিক ইলাহিকে ভোলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
এ সময় জামায়াত-সমর্থিত বেশ কয়েকটি ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান ভাঙচুর করা হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ ও নৌবাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থলে অবস্থান নিয়েছেন। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে।
এর আগে সকাল সাড়ে ৯টার দিকে দৌলতখান উপজেলায় বিএনপি-জামায়াত কর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়।
ভোলা সদর উপজেলা জামায়াতের আমির মো. কামাল হোসাইন অভিযোগ করেন, বিএনপির নেতা-কর্মীরা মিছিল নিয়ে এসে তাঁদের ওপর অতর্কিত হামলা চালায়। এ সময় জামায়াত-সমর্থিত কর্মীদের তিনটি ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান ভাঙচুর করা হয়। ঘটনার সময় জামায়াতের কর্মী মো. আবুল বাশার ও আশিক ইলাহি গুরুতর আহত হন। তাঁদের ভোলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
তবে ভেলুমিয়া ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি ইউনুস খান কমান্ডার অভিযোগ অস্বীকার করেন।
ভোলা সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মনিরুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে জানান, বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশের পাশাপাশি নৌবাহিনীর সদস্যরা মোতায়েন রয়েছেন। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত কেউই কোনো অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

ভোলায় জামায়াত ও বিএনপির কর্মীদের মধ্যে ফের সংঘর্ষ হয়েছে। মঙ্গলবার (১৬ ডিসেম্বর) রাত ৮টার দিকে সদর উপজেলার ভেলুমিয়া বাজারে এ ঘটনা ঘটে। এতে কমপক্ষে ১২ জন আহত হয়েছেন। তাঁদের মধ্যে গুরুতর আহত মো. আবুল বাশার ও আশিক ইলাহিকে ভোলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
এ সময় জামায়াত-সমর্থিত বেশ কয়েকটি ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান ভাঙচুর করা হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ ও নৌবাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থলে অবস্থান নিয়েছেন। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে।
এর আগে সকাল সাড়ে ৯টার দিকে দৌলতখান উপজেলায় বিএনপি-জামায়াত কর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়।
ভোলা সদর উপজেলা জামায়াতের আমির মো. কামাল হোসাইন অভিযোগ করেন, বিএনপির নেতা-কর্মীরা মিছিল নিয়ে এসে তাঁদের ওপর অতর্কিত হামলা চালায়। এ সময় জামায়াত-সমর্থিত কর্মীদের তিনটি ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান ভাঙচুর করা হয়। ঘটনার সময় জামায়াতের কর্মী মো. আবুল বাশার ও আশিক ইলাহি গুরুতর আহত হন। তাঁদের ভোলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
তবে ভেলুমিয়া ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি ইউনুস খান কমান্ডার অভিযোগ অস্বীকার করেন।
ভোলা সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মনিরুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে জানান, বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশের পাশাপাশি নৌবাহিনীর সদস্যরা মোতায়েন রয়েছেন। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত কেউই কোনো অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

হবিগঞ্জে ধানের খড় শুকানোকে কেন্দ্র করে দুই গ্রামের লোকজনের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। এতে উভয় পক্ষের অর্ধশতাধিক লোক আহত হয়েছেন। গুরুতর অবস্থায় ১৫ জনকে হবিগঞ্জ সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
৮ ঘণ্টা আগে
আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মাঠে নেই কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগ। ফলে ১৭ বছর পর বরিশালের ৬টি আসনে জয়ের ব্যাপারে অনেকটাই আশাবাদী বিএনপি। তবে নির্বাচনের মাঠে এক বছর আগে থেকে তৎপর থাকা জামায়াতে ইসলামী খানিকটা সুবিধা পাবে বলে মনে করছেন অনেকে।
৫ মিনিট আগে
খাগড়াছড়ির রামগড় স্থলবন্দর প্রকল্পের জন্য অন্তত তিনটি পাহাড় সাবাড় করা হয়েছে। স্থলবন্দর প্রকল্প এলাকা ভরাটে এসব পাহাড়ের লাল মাটি ব্যবহার করার অভিযোগ উঠেছে। বালুর পরিবর্তে মাটি ব্যবহার করায় শতকোটি টাকার এ প্রকল্পের মান ও স্থায়িত্ব নিয়ে শঙ্কার সৃষ্টি হয়েছে।
২ ঘণ্টা আগে
আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে ময়মনসিংহের ভালুকা থানায় মামলা হয়েছে। ভালুকা থানার উপপরিদর্শক (এসআই) ফজল ইসলাম বাদী হয়ে সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) বিশেষ ক্ষমতা আইনে এই মামলা করেন। ভালুকা মডেল থানার এসআই আবু তাহের মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
২ ঘণ্টা আগেভালুকা (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি

আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে ময়মনসিংহের ভালুকা থানায় মামলা হয়েছে। ভালুকা থানার উপপরিদর্শক (এসআই) ফজল ইসলাম বাদী হয়ে সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) বিশেষ ক্ষমতা আইনে এই মামলা করেন।
ভালুকা মডেল থানার এসআই আবু তাহের মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ১৯৭৪ সালের বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলা করা হয়।
মামলা ও থানা সূত্রে জানা গেছে, ১৩ ডিসেম্বর রাত ৯টার দিকে ভালুকা উপজেলার নিশিন্দা বিএসবি কারখানাসংলগ্ন ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে নাশকতামূলক কর্মকাণ্ড ও মশাল মিছিলের প্রস্তুতির খবর পায় পুলিশ। রাত ৯টা ৩৫ মিনিটে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছালে তাদের উপস্থিতি টের পেয়ে অভিযুক্ত ব্যক্তিরা পালিয়ে যায়।
স্থানীয়দের জিজ্ঞাসাবাদ ও প্রাথমিক তদন্তে জানা যায়, এজাহারে নাম থাকা ৪৪ জনসহ অজ্ঞাতনামা ৩৫-৪০ জন ছাত্রলীগ, আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ব্যানারে মশাল মিছিল করে উসকানিমূলক স্লোগান দেয় এবং এলাকায় আতঙ্ক সৃষ্টি করে।

আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে ময়মনসিংহের ভালুকা থানায় মামলা হয়েছে। ভালুকা থানার উপপরিদর্শক (এসআই) ফজল ইসলাম বাদী হয়ে সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) বিশেষ ক্ষমতা আইনে এই মামলা করেন।
ভালুকা মডেল থানার এসআই আবু তাহের মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ১৯৭৪ সালের বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলা করা হয়।
মামলা ও থানা সূত্রে জানা গেছে, ১৩ ডিসেম্বর রাত ৯টার দিকে ভালুকা উপজেলার নিশিন্দা বিএসবি কারখানাসংলগ্ন ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে নাশকতামূলক কর্মকাণ্ড ও মশাল মিছিলের প্রস্তুতির খবর পায় পুলিশ। রাত ৯টা ৩৫ মিনিটে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছালে তাদের উপস্থিতি টের পেয়ে অভিযুক্ত ব্যক্তিরা পালিয়ে যায়।
স্থানীয়দের জিজ্ঞাসাবাদ ও প্রাথমিক তদন্তে জানা যায়, এজাহারে নাম থাকা ৪৪ জনসহ অজ্ঞাতনামা ৩৫-৪০ জন ছাত্রলীগ, আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ব্যানারে মশাল মিছিল করে উসকানিমূলক স্লোগান দেয় এবং এলাকায় আতঙ্ক সৃষ্টি করে।

হবিগঞ্জে ধানের খড় শুকানোকে কেন্দ্র করে দুই গ্রামের লোকজনের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। এতে উভয় পক্ষের অর্ধশতাধিক লোক আহত হয়েছেন। গুরুতর অবস্থায় ১৫ জনকে হবিগঞ্জ সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
৮ ঘণ্টা আগে
আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মাঠে নেই কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগ। ফলে ১৭ বছর পর বরিশালের ৬টি আসনে জয়ের ব্যাপারে অনেকটাই আশাবাদী বিএনপি। তবে নির্বাচনের মাঠে এক বছর আগে থেকে তৎপর থাকা জামায়াতে ইসলামী খানিকটা সুবিধা পাবে বলে মনে করছেন অনেকে।
৫ মিনিট আগে
খাগড়াছড়ির রামগড় স্থলবন্দর প্রকল্পের জন্য অন্তত তিনটি পাহাড় সাবাড় করা হয়েছে। স্থলবন্দর প্রকল্প এলাকা ভরাটে এসব পাহাড়ের লাল মাটি ব্যবহার করার অভিযোগ উঠেছে। বালুর পরিবর্তে মাটি ব্যবহার করায় শতকোটি টাকার এ প্রকল্পের মান ও স্থায়িত্ব নিয়ে শঙ্কার সৃষ্টি হয়েছে।
২ ঘণ্টা আগে
ভোলায় জামায়াত ও বিএনপির কর্মীদের মধ্যে ফের সংঘর্ষ হয়েছে। মঙ্গলবার (১৬ ডিসেম্বর) রাত ৮টার দিকে সদর উপজেলার ভেলুমিয়া বাজারে এ ঘটনা ঘটে। এতে কমপক্ষে ১২ জন আহত হয়েছেন। তাঁদের মধ্যে গুরুতর আহত মো. আবুল বাশার ও আশিক ইলাহিকে ভোলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
২ ঘণ্টা আগে