Ajker Patrika

মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে যা বললেন জামায়াতের আমির হামজা

কুষ্টিয়া প্রতিনিধি
আপডেট : ১৬ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৫: ৪৫
সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন মুফতি আমির হামজা। ছবি: আজকের পত্রিকা
সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন মুফতি আমির হামজা। ছবি: আজকের পত্রিকা

কুষ্টিয়া-৩ (সদর) আসনের বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর মনোনীত প্রার্থী মুফতি আমির হামজা বলেছেন, ‘বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর ১৯৭১ সালের যে ভূমিকা, এত দিন পর্যন্ত যে মিথ্যা রচনা, আপনারা বদরুদ্দীন উমরের ইতিহাস পড়বেন। তাঁর লিখিত বইতে আমরা পড়েছি, মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে যে সমস্ত কল্পকাহিনি লেখা, এগুলো ১০০ ভাগের ৯০ ভাগ মিথ্যা। সুতরাং জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশ ওই সময় যুদ্ধের বিরুদ্ধে ছিল না, তারা ছিল ভারতের বিরুদ্ধে। এখন আমরা এটা জেনেছি। এত দিন আমাদের এই সত্য জানতে দেওয়া হয়নি।’

আজ মঙ্গলবার (১৬ ডিসেম্বর) সকালে বিজয় দিবস উপলক্ষে কুষ্টিয়ায় বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী আয়োজিত বিজয় র‍্যালিতে আমির হামজা এসব কথা বলেন।

আমির হামজা বলেন, ‘আজকের এই বিজয়ের র‍্যালি এই কারণে যে আমরা ১৯৭১ সালে এই দেশের স্বাধীনতার পক্ষে ছিলাম। ভারতের যে আগ্রাসন, এর বিরুদ্ধে ছিলাম, এ কারণে আমাদের এরা বিরোধী বানিয়ে রেখেছিল। আগামীর বাংলাদেশকে আমরা ভারতের তাঁবেদারমুক্ত করব। আজকের এই র‍্যালির এটাই উদ্দেশ্য। আগামীতে দেশ ঐক্যবদ্ধ থাকবে, ইনশা আল্লাহ।’

জামায়াতের প্রার্থী আরও বলেন, ‘আমার মনে হয়, দল-মত, জাতি-বর্ণ-ধর্মনির্বিশেষে এ দেশে যারাই জন্ম নেবে, তারাই যেহেতু সম্মানিত নাগরিক; সুতরাং সবাইকে নিয়ে আমরা আবার এই দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে চাই। আমার মনে হয়, পেছনের ইতিহাস পেছন দিকে টানা ঠিক না। পেছনের সব ইতিহাস ভুলে আমরা নতুন ইতিহাস তৈরি করব। এখানে কোনো দল-মত না থাকাই ভালো, সবাই আমরা এক।’

এ সময় বিজয় র‍্যালিতে উপস্থিত ছিলেন কুষ্টিয়া জেলা জামায়াতের সেক্রেটারি সুজা উদ্দীন জোয়ার্দ্দার, সহকারী সেক্রেটারি মাজহারুল হক, শহর জামায়াতের আমির এনামুল হকসহ দলটির বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা।

এদিকে আমির হামজার এমন মন্তব্যের বিষয়ে কুষ্টিয়া জেলা ইউনিট কমান্ডের সাবেক ডেপুটি কমান্ডার র‌ফিকুল ইসলাম টুকু আজকের প‌ত্রিকাকে বলেন, ‘রাজ‌নৈ‌তিক বক্তব্য আমরা আমলে নিই না, আর এগু‌লো নিয়ে আমাদের সমালোচনা করারও প্রয়োজন পড়ে না। মু‌ক্তিযুদ্ধের ইতিহাস চিরসত্য, সেটা সবাই জানে। উনি নির্বাচনে জেতার জন্য অনেক কিছু বলেন, আবার ক্ষমাও চান।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

পটিয়ায় আওয়ামী লীগের বিজয় দিবস উদ্‌যাপন, ক্ষুব্ধ জুলাই গণ-অভ্যুত্থানকারীরা

‘নিরাপত্তার’ কারণে নির্বাচনে অংশ না নেওয়ার ঘোষণা নারায়ণগঞ্জ–৫ আসনের বিএনপি প্রার্থীর

আজকের রাশিফল: বাবা-মা আজ আবদার রাখবেন, সিঙ্গেলরা দ্রুত প্রোফাইল পিক বদলান

ধানমন্ডি ৩২-এ ভাসানী, সিরাজ সিকদার, হাদির ছবি টানালেন জুলাই যোদ্ধারা

ভোলায় বিজয় দিবসের অনুষ্ঠানে বিএনপি-জামায়াত মারামারি, আহত ১৫

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

চবির উপ-উপাচার্যের বক্তব্য খণ্ডিতভাবে প্রচার করা হয়েছে, দাবি ১০১ শিক্ষকের

চবি প্রতিনিধি 
চবিতে বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা। ছবি: আজকের পত্রিকা
চবিতে বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা। ছবি: আজকের পত্রিকা

শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসের আলোচনায় চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) উপ-উপাচার্য (একাডেমিক) অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ শামীম উদ্দিন খানের দেওয়া বক্তব্যের কিছু অংশ খণ্ডিতভাবে প্রচার করে একটি মহল উদ্দেশ্যমূলকভাবে বিভ্রান্তির সৃষ্টি করছে বলে দাবি করেছেন বিভিন্ন বিভাগের ১০১ শিক্ষক।

মঙ্গলবার সন্ধ্যায় গণমাধ্যম পাঠানো ১০১ শিক্ষকের নাম, বিভাগসংবলিত এক বিবৃতিতে এ দাবি করে ওই ঘটনার নিন্দা জানানো হয়। বিবৃতির বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ফাইন্যান্স বিভাগের অধ্যাপক ড. ইসমত আরা হক।

বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়, ‘মুক্তিযুদ্ধের প্রকৃত ইতিহাসের বদলে ব্যক্তি, গোষ্ঠী ও দলের নামে যে প্রচার চলছে, তা ইতিহাস বিকৃতির নামান্তর বলে মনে করেন চবির ১০১ জন শিক্ষক। অতীতের ফ্যাসিবাদী একাধিপত্য দিয়ে বাংলাদেশের ইতিহাস, মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতার প্রকৃত বিবরণ আড়াল করা হয়েছে। বর্তমানেও ফ্যাসিবাদী অপশক্তির অনুসরণ করে কোনো কোনো গোষ্ঠী মুক্তিযুদ্ধের পক্ষ-বিপক্ষ ট্যাগ লাগানোর অশুভ রাজনীতিতে লিপ্ত হয়েছে। স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশে দেশপ্রেমিক জনতা বিভাজনের এই রাজনৈতিক কূটচাল ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করবে। আমরা ফ্যাসিবাদী অপশক্তির অনুসরণে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষ-বিপক্ষ ট্যাগ লাগানোর অশুভ রাজনীতির তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।’

বিবৃতিতে বলা হয়, ‘শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসের আলোচনায় চবির উপ-উপাচার্য (একাডেমিক) অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ শামীম উদ্দিন খানের দেওয়া বক্তব্যের কিছু অংশ খণ্ডিতভাবে প্রচার করে একটি মহল উদ্দেশ্যমূলকভাবে বিভ্রান্তির সৃষ্টি করছে। যদিও চবি প্রশাসনের পক্ষ থেকে এর ব্যাখ্যা ইতিমধ্যে দেওয়া হয়েছে। আমরা মনে করি, তিনি শহীদ বুদ্ধিজীবী হত্যাকাণ্ডের অবমাননা হয় এমন কোনো কথা বলেননি; বরং হত্যার প্রকৃতি ও পরিকল্পনা নিয়ে আরও প্রামাণ্য গবেষণার প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন। কারণ, ভারতীয় সেনাবাহিনী ১৯৭১ সালের ৩ ডিসেম্বর আনুষ্ঠানিক যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর বাংলাদেশে প্রবেশ করে। পাকিস্তানি বাহিনী তখন পলায়নরত অবস্থায় ছিল।

পরবর্তী সময়ে মিত্রবাহিনীর নাম ধারণ করে ভারতীয় বাহিনী যে অবাধ লুটতরাজ করেছে, যার প্রতিবাদ করেন মেজর আ. জলিলসহ দেশপ্রেমিক মুক্তিযোদ্ধারা। জহির রায়হানসহ অনেক বুদ্ধিজীবী হত্যার দায় তখনকার ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের ওপর ছিল। অতএব, বিজয়ের প্রাক্কালে বুদ্ধিজীবী হত্যার প্রকৃত কারণ এবং এর নেপথ্যের হত্যাকারী চক্রকে একটি স্বাধীন কমিশনের মাধ্যমে উন্মোচিত করা দরকার।’

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, যারা সত্যাসন্ধানী ইতিহাসচর্চার মাধ্যমে প্রকৃত ঘটনাটি অনুসন্ধানের বদলে স্বাধীনতার পক্ষ-বিপক্ষ স্লোগান তুলে ঘোলা পানিতে মাছ শিকার করতে চায়, তারা ভারতীয় আধিপত্যবাদের এজেন্ট এবং বিতাড়িত আওয়ামী-বাকশালি ফ্যাসিবাদের অনুচর। জুলাই বিপ্লবের রক্তমাখা চেতনায় দেশপ্রেমিক ইসলামি মূল্যবোধে বিশ্বাসী জাতীয়তাবাদী ছাত্র-জনতা এসব দেশবিরোধী, গণতন্ত্র হত্যাকারী, ছাত্র-জনতার বুকে গুলি করা ও বিভাজন সৃষ্টিকারী অপশক্তির প্রেতাত্মাদের দাঁতভাঙা জবাব দেবে।

উল্লেখ্য, গত রোববার বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে উপাচার্যের দপ্তরে আয়োজিত আলোচনা সভায় বুদ্ধিজীবী হত্যাকাণ্ড নিয়ে উপ-উপাচার্য (একাডেমিক) অধ্যাপক ড. শামীম খান বলেন, ‘আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে এ দেশকে আরেকটা দেশের করতরাজ্যে পরিণত করার জন্য বুদ্ধিজীবীদের ষড়যন্ত্রমূলক হত্যা করা হয়েছে। পাকিস্তানি বাহিনী যখন দেশ থেকে পালানোর জন্য চেষ্টা করছিল, তখন তারা জীবিত থাকবে না মৃত থাকবে, সে বিষয়ে কোনো ফয়সালা হয়নি, সে সময় পাকিস্তানি যোদ্ধারা বাংলাদেশের বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করবে, এটি আমি মনে করি রীতিমতো অবান্তর। এই হত্যাকাণ্ড একটি আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্রের অংশ ছিল।’

এ বক্তব্যের পরপরই ওই দিন রাতে বিক্ষোভ মিছিল করে শাখা ছাত্রদল। সোমবার উপ-উপাচার্যের পদত্যাগ দাবিতে বেলা ১টার দিকে প্রশাসনিক ভবনে তালা দেন তাঁরা। প্রায় ৮ ঘণ্টা তালাবদ্ধ থাকার পর রাত সাড়ে ৮টার দিকে তালা খুলে দেওয়া হয়।

মঙ্গলবার চবি প্রশাসনের উদ্যোগে আয়োজিত আলোচনা সভায় উপ-উপাচার্য অধ্যাপক শামীম উদ্দিন খান উপস্থিত হলে বিজয় দিবসের কর্মসূচি বর্জন করে শাখা ছাত্রদল। পরে চাকসুর ভিপি ইব্রাহিম হোসেন রনি বক্তব্য দিতে উঠলে শাখা ছাত্রদলের নেতা-কর্মীরা ‘ভুয়া ভুয়া’ স্লোগান দিতে থাকে। একপর্যায়ে ছাত্রদলের সভাপতি আলাউদ্দিন মহসিন ভিপি ইব্রাহিম রনির দিকে তেড়ে আসেন। পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টররিয়াল বডির হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

পটিয়ায় আওয়ামী লীগের বিজয় দিবস উদ্‌যাপন, ক্ষুব্ধ জুলাই গণ-অভ্যুত্থানকারীরা

‘নিরাপত্তার’ কারণে নির্বাচনে অংশ না নেওয়ার ঘোষণা নারায়ণগঞ্জ–৫ আসনের বিএনপি প্রার্থীর

আজকের রাশিফল: বাবা-মা আজ আবদার রাখবেন, সিঙ্গেলরা দ্রুত প্রোফাইল পিক বদলান

ধানমন্ডি ৩২-এ ভাসানী, সিরাজ সিকদার, হাদির ছবি টানালেন জুলাই যোদ্ধারা

ভোলায় বিজয় দিবসের অনুষ্ঠানে বিএনপি-জামায়াত মারামারি, আহত ১৫

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

নিখোঁজের ২৪ দিন পর ড্রেনে মিলল মাদ্রাসাছাত্র আবদুল্লাহর মরদেহ

নরসিংদী প্রতিনিধি
আবদুল্লাহ। ছবি: সংগৃহীত
আবদুল্লাহ। ছবি: সংগৃহীত

নরসিংদীর শিবপুরে নিখোঁজের ২৪ দিন পর আবদুল্লাহ নামের এক মাদ্রাসাছাত্রের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। আজ মঙ্গলবার (১৬ ডিসেম্বর) দুপুরে শিবপুর উপজেলার বড়ইতলা এলাকায় থার্মেক্স গ্রুপের আদুরী গার্মেন্টসের ইটিপি প্ল্যান্টের ময়লার ড্রেন থেকে তার লাশটি উদ্ধার করা হয়।

নিহত আবদুল্লাহ নরসিংদীর পলাশ উপজেলার গজারিয়া ইউনিয়নের সেকান্দরদী গ্রামের বাসিন্দা মুক্তার হোসেনের ছেলে।

পুলিশ ও পরিবার সূত্রে জানা গেছে, নিহত আবদুল্লাহ সেকান্দরদী মধ্যপাড়া হাফিজিয়া মাদ্রাসার হেফজ বিভাগের শিক্ষার্থী ছিল। গত ২২ নভেম্বর সে মাদ্রাসা থেকে বাড়ির উদ্দেশে বের হয়ে আর ফেরেনি। পরে পরিবারের পক্ষ থেকে বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখুঁজি করেও সন্ধান না পেয়ে পলাশ থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়।

আজ সকালে আদুরী গার্মেন্টস এলাকার একটি ড্রেন থেকে দুর্গন্ধ ছড়াতে থাকলে স্থানীয় বাসিন্দারা বিষয়টি পুলিশকে জানান। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে দুপুরে ইটিপি প্ল্যান্টের ময়লার ড্রেনের ভেতর থেকে আবদুল্লাহর লাশ উদ্ধার করে।

পরে ময়নাতদন্তের জন্য লাশ নরসিংদী সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়। খবর পেয়ে নিহত মাদ্রাসাছাত্রের স্বজনেরা হাসপাতালে এসে লাশের পরিচয় শনাক্ত করেন।

আবদুল্লাহর চাচাতো ভাই শাহাদাত হোসেন বলেন, ‘আদুরী গার্মেন্টসের গেটের বাইরে ড্রেনের একটি মুখ রয়েছে এবং ভেতরেও ড্রেন রয়েছে। এর বাইরে আর কোনো ড্রেন নেই। যারা আমার ভাইকে হত্যা করেছে, তারা হয় গেটের বাইরে থেকে, নয়তো কোম্পানির ভেতর থেকেই লাশ ড্রেনে ফেলেছে। আমরা এর সুষ্ঠু তদন্ত ও দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।’

নিহত আবদুল্লাহর বাবা মুক্তার হোসেন বলেন, ‘আমার ছেলে ২৭ পারা কোরআন শরিফ মুখস্থ করেছে। আগামী ১৯ ডিসেম্বর তার কোরআনে হাফেজ সম্পন্ন করে পাগড়ি পাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু কে বা কারা যেন পরিকল্পিতভাবে আমার ছেলেকে হত্যা করে ড্রেনের ভেতর ফেলে রেখেছে। আমি আমার সন্তানের হত্যাকারীদের বিচার চাই।’

শিবপুর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ কোহিনুর মিয়া বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে আবদুল্লাহর লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নরসিংদী সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। মৃত্যুর রহস্য উদ্‌ঘাটনে পুলিশ কাজ করছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পেলে বিস্তারিত জানা যাবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

পটিয়ায় আওয়ামী লীগের বিজয় দিবস উদ্‌যাপন, ক্ষুব্ধ জুলাই গণ-অভ্যুত্থানকারীরা

‘নিরাপত্তার’ কারণে নির্বাচনে অংশ না নেওয়ার ঘোষণা নারায়ণগঞ্জ–৫ আসনের বিএনপি প্রার্থীর

আজকের রাশিফল: বাবা-মা আজ আবদার রাখবেন, সিঙ্গেলরা দ্রুত প্রোফাইল পিক বদলান

ধানমন্ডি ৩২-এ ভাসানী, সিরাজ সিকদার, হাদির ছবি টানালেন জুলাই যোদ্ধারা

ভোলায় বিজয় দিবসের অনুষ্ঠানে বিএনপি-জামায়াত মারামারি, আহত ১৫

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

কক্সবাজারে পার্কিংয়ে থাকা বাসে আগুন

কক্সবাজার প্রতিনিধি
কক্সবাজার শহরের কলাতলী বাইপাস সড়কে পার্কিংয়ে থাকা একটি বাস আগুনে আগুনে পুড়ে যায়। ছবি: আজকের পত্রিকা
কক্সবাজার শহরের কলাতলী বাইপাস সড়কে পার্কিংয়ে থাকা একটি বাস আগুনে আগুনে পুড়ে যায়। ছবি: আজকের পত্রিকা

কক্সবাজার শহরের কলাতলী বাইপাস সড়কে পার্কিংয়ে থাকা একটি বাসে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। আজ মঙ্গলবার (১৬ ডিসেম্বর) দুপুর পৌনে ১২টার দিকে পুলিশ লাইনস সংলগ্ন এলাকায় দোয়েল এক্সপ্রেস পরিবহনের একটি বাস আগুনে পুড়ে যায়।

কক্সবাজার ফায়ার সার্ভিসের উপসহকারী পরিচালক মোহাম্মদ তানহারুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তবে কীভাবে আগুন লাগে তিনি তা জানাতে পারেননি।

তানহারুল ইসলাম বলেন, ‘খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা এসে বাসের আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হন। আগুনে বাসের সামনের অংশ বেশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। কী কারণে এ ঘটনা ঘটেছে, তা এখনো জানা যায়নি।’

স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, বাসটিতে আগুন জ্বলতে দেখে স্থানীয় ও পথচারীদের মাঝে আতঙ্কের সৃষ্টি হয়।

বাসচালকের বরাত দিয়ে কক্সবাজার সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ছমি উদ্দিন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘চালকের হেলপার (সহকারী) বাসের ভেতরে সাউন্ডবক্সে গান শুনছিলেন। হয়তো কোনো দুর্ঘটনাবশত আগুন লেগেছে। এতে কেউ হতাহত হননি।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

পটিয়ায় আওয়ামী লীগের বিজয় দিবস উদ্‌যাপন, ক্ষুব্ধ জুলাই গণ-অভ্যুত্থানকারীরা

‘নিরাপত্তার’ কারণে নির্বাচনে অংশ না নেওয়ার ঘোষণা নারায়ণগঞ্জ–৫ আসনের বিএনপি প্রার্থীর

আজকের রাশিফল: বাবা-মা আজ আবদার রাখবেন, সিঙ্গেলরা দ্রুত প্রোফাইল পিক বদলান

ধানমন্ডি ৩২-এ ভাসানী, সিরাজ সিকদার, হাদির ছবি টানালেন জুলাই যোদ্ধারা

ভোলায় বিজয় দিবসের অনুষ্ঠানে বিএনপি-জামায়াত মারামারি, আহত ১৫

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

মুজিব বাহিনীর গণহত্যার প্রতিক্রিয়া ২৫ মার্চে পাকিস্তানি বাহিনীর ক্র্যাকডাউন: জামায়াত নেতা

নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম
আপডেট : ১৬ ডিসেম্বর ২০২৫, ২২: ২৩
বিজয় দিবসের সমাবেশে বক্তব্য দেন জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় মজলিশে শুরার সদস্য ও চট্টগ্রাম মহানগরের আমির মুহাম্মদ নজরুল ইসলাম। ছবি: আজকের পত্রিকা
বিজয় দিবসের সমাবেশে বক্তব্য দেন জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় মজলিশে শুরার সদস্য ও চট্টগ্রাম মহানগরের আমির মুহাম্মদ নজরুল ইসলাম। ছবি: আজকের পত্রিকা

বিজয় দিবসের আলোচনায় জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় মজলিশে শুরার সদস্য ও চট্টগ্রাম মহানগরের আমির মুহাম্মদ নজরুল ইসলাম বলেছেন, ‘২৫ মার্চের আগে মুজিব বাহিনী এলাকায় এলাকায় গণহত্যা চালিয়েছিল। এই গণহত্যার প্রতিক্রিয়াস্বরূপ ২৫ মার্চে পাকিস্তানি সেনাবাহিনী নামিয়ে ক্র্যাকডাউন করে দিয়েছিল।’

বিজয় দিবস উপলক্ষে মঙ্গলবার (১৬ ডিসেম্বর) চট্টগ্রাম মহানগরের বহদ্দারহাটে আয়োজিত সমাবেশে এবং দেওয়ানবাজারে মহানগর জামায়াতের কার্যালয়ে আলোচনা সভায় নজরুল ইসলাম এসব মন্তব্য করেন। একই সঙ্গে তিনি বলেন, স্বাধীনতার পক্ষ-বিপক্ষ তুলে আবারও রাজনীতির পুরোনো দুষ্টচক্র ফিরিয়ে আনার অপচেষ্টা চলছে।

মুহাম্মদ নজরুল ইসলাম বলেন, ‘ওআইসি সম্মেলনে যোগদান এবং ফরগেট অ্যান্ড ফরগিভ রাজনীতি করে শেখ মুজিবুর রহমান চেষ্টা করলেও...অবশেষে বাকশাল এবং দুর্ভিক্ষ চাপিয়ে দিয়ে তাঁকে নৃশংসভাবে খুন হতে হয়েছিল। সার্ক গঠন, শাহ্ আজিজ, মশিউর রহমান গং নিয়ে দল গঠন করে ঐক্য সৃষ্টির চেষ্টা করেছিলেন শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান। অবশেষে মুক্তিযোদ্ধা-অমুক্তিযোদ্ধা দ্বন্দ্ব লাগিয়ে দিয়ে শেখ হাসিনা দেশে প্রত্যাবর্তনের ১৪ দিনের মাথায় তাঁকেও খুন হতে হয়েছে।’

জামায়াতের নেতা মুহাম্মদ নজরুল ইসলাম বলেন, ‘ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলনের ধারাবাহিকতায় অসংখ্য মানুষের ত্যাগ-কুরবানির বিনিময়ে ১৯৪৭ সালে আমরা স্বাধীনতা লাভ করি। পরবর্তীকালে পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠী ওয়াদা দিয়েছিল ইসলামের আলোকে, বৈষম্যহীন, ইনসাফপূর্ণ, গণতান্ত্রিক সমাজ গঠন করবে। গণতান্ত্রিক, নিয়মতান্ত্রিকভাবে রাষ্ট্র পরিচালনা করবে। কিন্তু তারা সম্পূর্ণ ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছে। অবশেষে বাধ্য হয়ে আমাদের মুক্তিযুদ্ধে অবতীর্ণ হতে হয়েছে। ১৯৭০ সালের নির্বাচনে শেখ মুজিবুর রহমান সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জনের পরও তাঁর হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করা হয়নি।’

মুহাম্মদ নজরুল ইসলাম বলেন, পাকিস্তানি গোষ্ঠী গড়িমসি করতে করতে শেষ পর্যন্ত ২৫ মার্চে আমাদের যুদ্ধে লিপ্ত হতে হয়েছে। কিন্তু সেই রাতের সঠিক ইতিহাস আমাদের জানানো হয়নি। আজকের দিনে ইতিহাসের কালো অধ্যায়গুলো উদ্ধার করতে হবে। মূলত ২৫ মার্চের আগে মুজিব বাহিনী এলাকায় এলাকায় গণহত্যা চালিয়েছিল। এই গণহত্যার প্রতিক্রিয়াস্বরূপ ২৫ মার্চে পাকিস্তানি সেনাবাহিনী নামিয়ে ক্র্যাকডাউন করে দিয়েছিল।

জামায়াত নেতা অভিযোগ করে বলেন, ৬ থেকে ১২ ডিসেম্বর পর্যন্ত ভারতীয় সেনাবাহিনী এক সপ্তাহ যুদ্ধ করে আমাদের বিজয়ের নিয়ন্ত্রণ নেয় এবং ঢাকাসহ প্রধান সড়কগুলো দখলে নেয়। এরপর ভারতীয় সেনাবাহিনীর পরিকল্পনায় ১৪ ডিসেম্বর আমাদের শ্রেষ্ঠ সন্তান বুদ্ধিজীবীদের নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়।

মুহাম্মদ নজরুল ইসলাম আরও প্রশ্ন তোলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধের সর্বাধিনায়ক জেনারেল এম এ জি ওসমানী বিজয়ের দিনে কোথায় ছিলেন? আত্মসমর্পণ দলিলে তাঁকে কেন স্বাক্ষর করতে দেওয়া হয়নি? আজ আমাদের এসব ইতিহাস জানতে হবে।’

মহানগর জামায়াতের আমির বলেন, ‘৫৪ বছর ধরে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল দেশ শাসন করলেও মানুষ স্বাধীনতার প্রকৃত স্বাদ পায়নি। ২০২৪ সালের জুলাই বিপ্লবের মধ্য দিয়ে মানুষ সেই স্বাধীনতার স্বাদ পেতে শুরু করেছে। তাই ১৬ ডিসেম্বরের পাশাপাশি আমাদের ৩৬ জুলাইকেও স্মরণ করতে হবে।’

মুহাম্মদ নজরুল ইসলাম বলেন, ‘৫৪ বছরেও আমাদের স্বাধীনতার প্রকৃত ইতিহাস জানতে দেওয়া হয়নি। ভারতের শিখিয়ে দেওয়া গল্প আমাদের গেলানো হয়েছে। আজকের এই দিনে আমাদের প্রকৃত ইতিহাস জানতে হবে।’

জামায়াতে ইসলামী চট্টগ্রাম মহানগরীর অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি মোহাম্মদ উল্লাহর সঞ্চালনায় সভায় আরও বক্তব্য দেন অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি অধ্যক্ষ মাওলানা খাইরুল বাশার ও ফয়সাল মুহাম্মদ ইউনুস, মহানগরীর সাংগঠনিক সম্পাদক ডা. সিদ্দিকুর রহমান, চট্টগ্রাম মহানগরীর সাংগঠনিক সম্পাদক ও চট্টগ্রাম মহানগর শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের সভাপতি এস এম লুৎফর রহমান প্রমুখ।

নগর জামায়াতের সাংগঠনিক সম্পাদক শামসুজ্জামান হেলালীর সভাপতিত্বে বহদ্দারহাটের সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন, নগর কমিটির সেক্রেটারি মুহাম্মদ নুরুল আমিন, সহকারী সেক্রেটারি মুহাম্মদ উল্লাহ, সাংগঠনিক সম্পাদক ডা. এ কে এম ফজলুল হক প্রমুখ।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

পটিয়ায় আওয়ামী লীগের বিজয় দিবস উদ্‌যাপন, ক্ষুব্ধ জুলাই গণ-অভ্যুত্থানকারীরা

‘নিরাপত্তার’ কারণে নির্বাচনে অংশ না নেওয়ার ঘোষণা নারায়ণগঞ্জ–৫ আসনের বিএনপি প্রার্থীর

আজকের রাশিফল: বাবা-মা আজ আবদার রাখবেন, সিঙ্গেলরা দ্রুত প্রোফাইল পিক বদলান

ধানমন্ডি ৩২-এ ভাসানী, সিরাজ সিকদার, হাদির ছবি টানালেন জুলাই যোদ্ধারা

ভোলায় বিজয় দিবসের অনুষ্ঠানে বিএনপি-জামায়াত মারামারি, আহত ১৫

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত