Ajker Patrika

ডুয়েটের ৫ শিক্ষার্থীকে সমকামিতার অভিযোগে হল থেকে বহিষ্কার

গাজীপুর প্রতিনিধি
আপডেট : ২৪ জুলাই ২০২৫, ২১: ৩১
ফাইল ছবি
ফাইল ছবি

গাজীপুরে অবস্থিত ঢাকা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (ডুয়েট) পাঁচ শিক্ষার্থীকে সমকামিতায় জড়িত থাকার অভিযোগে আবাসিক হল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। গত মঙ্গলবার (২২ জুলাই) ডুয়েটের পক্ষ থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বহিষ্কৃত শিক্ষার্থীদের মধ্যে রয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কেএনআই হলের রাসেল মিয়া, সৌরভ শিকদার, রায়হান আলী এবং এসটিএ হলের আব্দুল্লাহ আল মাসুদ ও সারোয়ার জাহান সুমন। তাঁরা আর বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হলে থাকতে পারবেন না।

বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও শিক্ষার্থী সূত্রে জানা গেছে, কিছু ছাত্র সমকামিতার মতো বেআইনি কাজে জড়িত থাকার বিষয়ে বেশ কিছু দিন ধরে ফেসবুকে প্রচারণা চলছিল। এর পরিপ্রেক্ষিতে শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে তদন্ত করে জড়িত ব্যক্তিদের বের করে শাস্তি দেওয়ার আবেদন করা হয়। পরে অনুসন্ধান করে ঘটনার সত্যতা পাওয়ায় পাঁচ শিক্ষার্থীকে আবাসিক হল থেকে বহিষ্কার করা হয়।

ডুয়েটের ছাত্রকল্যাণ-বিষয়ক পরিচালক অধ্যাপক ড. উৎপল কুমার দাস স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ‘অত্র বিশ্ববিদ্যালয়ের সব শিক্ষার্থীর অবগতির জন্য জানানো যাচ্ছে যে, শিক্ষার্থীদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে নিম্নে উল্লেখিত ছাত্রদের সমকামিতার সঙ্গে সম্পৃক্ততার অভিযোগ পাওয়া যায়। বিষয়টি সঠিক তদন্ত ও ক্যাম্পাসে সুষ্ঠু শিক্ষার পরিবেশ বজায় রাখার স্বার্থে অভিযুক্ত শিক্ষার্থীদের সাময়িকভাবে হল থেকে বহিষ্কার করা হলো।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

হাদির ওপর হামলা: তীব্র নিন্দা ও বিচার দাবি রাজনৈতিক দলগুলোর

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
শরিফ ওসমান হাদি। ছবি: সংগৃহীত
শরিফ ওসমান হাদি। ছবি: সংগৃহীত

জুলাই আন্দোলনের অন্যতম পরিচিত মুখ, ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদির গুলিবিদ্ধ হওয়ার ঘটনায় নিন্দা ও প্রতিবাদের ঝড় ওঠে দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে। এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত করে জড়িত ব্যক্তিদের বিচারের দাবি জানিয়েছে রাজনৈতিক দলগুলো।

হাদির গুলিবিদ্ধ হওয়ার ঘটনাকে ‘গণতন্ত্রের বিরুদ্ধে চক্রান্ত’ বলে আখ্যায়িত করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যায় রাজধানীর কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশনে এক অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি অংশ নিয়ে তিনি বলেন, ‘আজকে শরিফ ওসমান হাদির ওপর যে দুর্ঘটনা ঘটেছে, এ দুর্ঘটনা আরও ঘটেছে। কিছুদিন আগে চট্টগ্রামে আমাদের এক এমপি প্রার্থীর ওপর যা হয়েছে, এটা ষড়যন্ত্র। এটার বিরুদ্ধে যদি আমাদের অবস্থান নিতে হয়, এই অন্যায়ের বিরুদ্ধে যদি অবস্থান নিতে হয়, যেকোনো মূল্যে আমাদেরকে গণতন্ত্রকে প্রতিষ্ঠিত করতে হবে। যেকোনো মূল্যে আমাদের গণতান্ত্রিক মূল্যবোধকে ফিরিয়ে আনতে হবে, গণতান্ত্রিক অধিকারকে প্রতিষ্ঠিত করতে হবে।’

হাদির ওপর হামলা ‘অশনিসংকেত’ মন্তব্য করে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর গতকাল এক অনুষ্ঠানে বলেন, ‘আমি একটা অশনিসংকেত দেখতে পাচ্ছি, নির্বাচন বানচাল করার জন্য সেই শক্তি আবার চক্রান্ত শুরু করেছে। কিছুদিন আগে চট্টগ্রামে আমাদের একজন প্রার্থীকে গুলি করা হয়েছিল। আজ আবার একজনকে গুলি করা হয়েছে।’

জামায়াতে ইসলামীর আমৎির ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বিতা বা মতভিন্নতার কারণে এ ধরনের সহিংসতা কখনোই গ্রহণযোগ্য নয়। গতকাল নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক অ্যাকাউন্টে এক পোস্টে তিনি এসব কথা লেখেন। জামায়াতের আমির ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্রের গুলিবিদ্ধ হওয়ার ঘটনার ‘দ্রুত, নিরপেক্ষ ও স্বচ্ছ’ তদন্তও দাবি করেন।

আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে অন্য আরেকটি পোস্টে জামায়াতের আমির লেখেন, ‘ওসমান হাদীর গুলিবিদ্ধ হওয়ার ঘটনা প্রমাণ করে, সমাজের চিহ্নিত সন্ত্রাসীদের হাতে প্রচুর অস্ত্র রয়েছে। সুষ্ঠু নির্বাচনের স্বার্থে অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার ও সন্ত্রাসীদের পাকড়াও করা নির্বাচন কমিশনের প্রধানতম দায়িত্ব। যদি এ কাজে কোনো ধরনের শিথিলতা প্রদর্শিত হয়, তাহলে সুষ্ঠু নির্বাচনের বুলি একেবারেই ফাঁকা বলে প্রমাণিত হবে।’

ওসমান হাদির ওপর হামলা গণতান্ত্রিক অগ্রযাত্রার ওপর সরাসরি আঘাত করেছে বলে মন্তব্য করেছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। গতকাল দেওয়া এক বিবৃতিতে এনসিপি বলেছে, ‘এই হামলা দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ও নির্বাচনী পরিবেশের ভঙ্গুরতা সম্পর্কে গুরুতর প্রশ্ন তুলে দেয়। বিশেষভাবে উদ্বেগজনক বিষয় হলো, শরিফ ওসমান হাদি হামলার আগে হুমকির কথা প্রকাশ্যে জানানোর পরও তাঁর নিরাপত্তা নিশ্চিতে সরকার ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী কোনো কার্যকর ব্যবস্থা নেয়নি।’

এ ঘটনাকে ‘নির্বাচনের জন্য অশনিসংকেত’ আখ্যা দিয়েছে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ। দলটির যুগ্ম মহাসচিব গাজী আতাউর রহমান গতকাল এক বিবৃতিতে বলেন, ‘আমরা বারবার বলে আসছি, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনুন। সন্ত্রাসীদের দমনে কঠোর হন। কারণ তারা আসন্ন নির্বাচনকে ব্যাহত করতে চাইবে। পতিত ফ্যাসিবাদ মোকাবিলায় সরকারের দুর্বলতা সুস্পষ্ট।’

এনসিপি, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন ও আমার বাংলাদেশ (এবি) পার্টিকে নিয়ে সম্প্রতি গঠিত তিন দলীয় মোর্চা ‘গণতান্ত্রিক সংস্কার জোট’ নেতারা এক যৌথ বিবৃতিতে বলেন, তফসিল ঘোষণার পরপরই ফ্যাসিবাদের দোসরেরা নির্বাচন বানচালের অপচেষ্টায় লিপ্ত হয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় শরিফ ওসমান হাদিকে হত্যার উদ্দেশ্যে গুলিবর্ষণ করা হয়েছে। রাজনৈতিক ভিন্নমত দমনে হামলা ও সন্ত্রাস কোনো সভ্য সমাজে বরদাশতযোগ্য নয়।

এ ছাড়াও ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদের নেতৃত্বাধীন জাতীয় পার্টির একাংশ, বাংলাদেশ জাসদ, গণসংহতি আন্দোলনসহ অন্যান্য বেশ কয়েকটি রাজনৈতিক দল এ ঘটনার নিন্দা জানিয়েছে। জড়িত ব্যক্তিদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিও জানিয়েছেন দলগুলোর নেতারা।

হাদির ওপর হামলার প্রতিবাদে বক্তব্য-বিবৃতি ছাড়াও রাজপথে কর্মসূচি পালন করেছে জামায়াত, এনসিপিসহ বেশ কয়েকটি রাজনৈতিক দল। বিএনপির পক্ষ থেকেও আজ শনিবার সারা দেশে প্রতিবাদ মিছিলের ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।

গতকাল রাজধানীর শাহবাগে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির নেতারা। জামায়াতের ঢাকা মহানগর দক্ষিণ শাখা বায়তুল মোকাররম এলাকায় বিক্ষোভ মিছিল করে। জাতীয় প্রেসক্লাব থেকে দৈনিক বাংলা মোড় পর্যন্ত মিছিল করে ইসলামী ছাত্রশিবির।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

অবস্থা সংকটাপন্ন: জুলাইয়ের মুখ হাদি গুলিবিদ্ধ

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
বন্দুকধারীর হামলায় গুলিবিদ্ধ হন ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ও ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী শরিফ ওসমান হাদি। রাজধানীর পল্টন এলাকায় তাঁর ওপর হামলার ঘটনা ঘটে। অস্ত্রোপচারের পর গতকাল তাঁকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে এভারকেয়ার হাসপাতালে নেওয়া হয়। ছবি: আজকের পত্রিকা
বন্দুকধারীর হামলায় গুলিবিদ্ধ হন ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ও ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী শরিফ ওসমান হাদি। রাজধানীর পল্টন এলাকায় তাঁর ওপর হামলার ঘটনা ঘটে। অস্ত্রোপচারের পর গতকাল তাঁকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে এভারকেয়ার হাসপাতালে নেওয়া হয়। ছবি: আজকের পত্রিকা

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পরদিন রাজধানীতে টার্গেট করে গুলি করা হয়েছে ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী ও ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদিকে। গতকাল শুক্রবার জুমার নামাজের পর বিজয়নগরের বক্স কালভার্ট এলাকায় লিফলেট বিতরণের সময় মোটরসাইকেলে আসা দুজন অস্ত্রধারী খুব কাছ থেকে তাঁকে লক্ষ্য করে গুলি করে। গুলিবিদ্ধ ওসমান হাদিকে গুরুতর আহত অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নেওয়ার পর সেখানে অস্ত্রোপচার শেষে এভারকেয়ার হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। তিনি এখন লাইফ সাপোর্টে আছেন। চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, তাঁর অবস্থা সংকটাপন্ন।

জুলাই আন্দোলনের অন্যতম নেতা ওসমান হাদিকে গুলি করার ঘটনায় রাজনৈতিক অঙ্গনে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। বিভিন্ন রাজনৈতিক দল বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ মিছিল করেছে। বিএনপি ঘটনাটিকে ‘পরিকল্পিত ষড়যন্ত্র’ উল্লেখ করে আজ শনিবার ঢাকাসহ সারা দেশে বিক্ষোভ কর্মসূচি ঘোষণা করেছে। হামলার ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, নির্বাচনের প্রাক্কালে এ ধরনের সহিংসতা একেবারেই অগ্রহণযোগ্য এবং দেশের শান্তিপূর্ণ রাজনৈতিক পরিবেশের জন্য অত্যন্ত দুঃখজনক। হামলায় জড়িত সবাইকে শনাক্ত করে আইনের আওতায় আনতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে ‘দ্রুত ও ব্যাপক তদন্ত’ চালানোর নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। হামলার পর ঢাকাজুড়ে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে এবং বিভিন্ন মোড়ে চেকপোস্ট বসানো হয়েছে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, গতকাল জুমার পর বিজয়নগরের বক্স কালভার্ট সড়কে বাইতুস সালাহ জামে মসজিদের উল্টো দিকের ‘ডক্টর টাওয়ার’-এর সামনে দিয়ে হাদি ব্যাটারিচালিত রিকশায় লিফলেট বিতরণ করে যাচ্ছিলেন। পেছন থেকে মোটরসাইকেল এসে রিকশার একদম কাছে গিয়ে চলন্ত অবস্থায় হাদিকে লক্ষ্য করে গুলি করে। গুলিটি তাঁর বাঁ কানের পাশ দিয়ে মাথায় বিদ্ধ হয়। ঘটনার পর তাঁর সহকর্মীরা রিকশাতে করেই তাঁকে দ্রুত ঢামেকে নিয়ে যান।

গুলির সময় সাজ্জাদ খান নামের এক ব্যক্তি ফুটপাতে দাঁড়িয়ে ছিলেন। প্রত্যক্ষদর্শী এই ব্যক্তি বলেন, ওসমান হাদি ফকিরাপুলের দিক থেকে একটি ব্যাটারিচালিত রিকশায় চড়ে পশ্চিমে বিজয়নগরের দিকে যাচ্ছিলেন। রিকশার পাশের আসনে আরেকজন ছিলেন। দুই ব্যক্তি একটি মোটরসাইকেলে করে অটোরিকশার পিছু নিয়ে তাঁদের অনুসরণ করছিল। মোটরসাইকেলের পেছনে বসা ব্যক্তির গায়ে কালো চাদর ছিল, যা দিয়ে তার হাত দুটি ঢাকা ছিল। অটোরিকশার পাশে এলে পেছনে বসা ব্যক্তি একটি আগ্নেয়াস্ত্র বের করে খুব কাছ থেকে হাদিকে লক্ষ্য করে গুলি করে। মুহূর্তের মধ্যে তারা মোটরসাইকেল নিয়ে বিজয়নগরের দিকে চলে যায়।

সাজ্জাদ খান বলেন, গুলির শব্দে রাস্তায় থাকা মানুষের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। রিকশা থামালে ভিড় জমে যায়। এই সময় হাদির মাথা ও কান থেকে রক্ত গড়িয়ে রাস্তায় পড়ছিল।

হাদির একজন সহযোদ্ধা বলেন, জুমার নামাজের পর মসজিদে তাঁদের লিফলেট বিলি কর্মসূচি ছিল। কথা ছিল, লিফলেট বিলি শেষে সবাই সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জড়ো হয়ে দুপুরের খাবার খাবেন, আলোচনা করবেন। এর মধ্যেই হাদির ওপর হামলার খবর আসে।

ঘটনার পর পুলিশ, র‍্যাব, পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) ও পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) সদস্যরা ঘটনাস্থলে পৌঁছান। তাদের সঙ্গে সেনাবাহিনীও যোগ দেয়। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ডক্টর (ডিআর) টাওয়ারে স্থাপিত সিসি ক্যামেরার ফুটেজ ব্যবহার করে হামলাকারীদের শনাক্তের কাজ শুরু করে।

গুলির একটি সিসিটিভির ভিডিওতে দেখা যায়, হাদির রিকশার খুব কাছে মোটরসাইকেলটি আসে, মুহূর্তেই আরোহী অস্ত্র বের করে গুলি করে এবং ফাঁকা রাস্তায় দ্রুতগতিতে পালিয়ে যায়। ঘটনাস্থল থেকে একটি গুলির খোসাও উদ্ধার করে পুলিশ। জানতে চাইলে মতিঝিল বিভাগের উপকমিশনার মোহাম্মদ হারুন অর রশিদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, কে বা কারা কোন উদ্দেশ্যে হামলা চালিয়েছে, তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। এখন পর্যন্ত কাউকে আটক করা যায়নি।

তবে ইনকিলাব মঞ্চের একজন সদস্য গণমাধ্যমে দাবি করেছেন, যারা ওসমান হাদির ওপর গুলি চালিয়েছে, তারা প্রায় দুই সপ্তাহ আগে তাঁর প্রচারণা টিমে যোগ দিয়েছিল। সংগঠনের সদস্য মোহাম্মদ ওসামা জানান, একটি মোটরসাইকেলে করে আসা দুজনের মধ্যে একজন ওসমান হাদির ওপর গুলি ছোড়ে। মাঝখানে কয়েক দিন তাদের দেখা যায়নি। কিছুদিন আগে তারা আবার এসে প্রচারণার কাজে যুক্ত হয়। গোয়েন্দা পুলিশ ও র‍্যাব সদস্যরা ইতিমধ্যে ঘটনার ভিডিও ও সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করছেন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, তাঁরা সব তথ্য যাচাই-বাছাই করছেন।

বিদেশি ফোন নম্বর থেকে হত্যার হুমকি

হাদি আগে থেকেই জানিয়ে আসছিলেন, তাঁকে ‘হত্যার হুমকি’ দেওয়া হচ্ছে। গত নভেম্বর মাসে ৩০টি বিদেশি নম্বর থেকে ফোন ও বার্তার মাধ্যমে হুমকি পাওয়ার অভিযোগ করে তিনি ফেসবুকে একটি পোস্ট দেন। ১৩ নভেম্বর গভীর রাতে দেওয়া সেই পোস্টে আওয়ামী লীগকে দায়ী করে হাদি লেখেন, ‘গত তিন ঘণ্টায় আমার নম্বরে আওয়ামী লীগের খুনিরা অন্তত ৩০টি বিদেশি নম্বর থেকে কল ও টেক্সট করেছে; যার সারমর্ম হলো—আমাকে সর্বক্ষণ নজরদারিতে রাখা হচ্ছে। তারা আমার বাড়িতে আগুন দেবে, আমার মা, বোন ও স্ত্রীকে ধর্ষণ করবে এবং আমাকে হত্যা করবে।’

ঢামেক ছেড়ে এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি

ঢামেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান জানান, হাদির মাথার ভেতরে গুলি রয়েছে এবং তাঁর সার্জারি চলছিল। হাসপাতালে আনা স্বজনেরা জানিয়েছেন, হামলাকারীরা মাত্র একটি গুলিই ছোড়ে, সেটিই তাঁর মাথায় লাগে।

ওসমান হাদির সতীর্থরা ঢাকা মেডিকেলে ‘বি নেগেটিভ’ রক্ত খুঁজছিলেন। তাঁরা বলছেন, ঢাকা মেডিকেলের জরুরি বিভাগে হাদির প্রচুর রক্তক্ষরণ হয়েছে। চিকিৎসকেরা রক্ত জোগাড় করতে বলেছেন। ঢাকা মেডিকেলের জরুরি বিভাগের সামনে প্রচণ্ড ভিড় দেখা যায়।

সন্ধ্যার পর হাদির পরিবার তাঁকে ঢামেক হাসপাতাল থেকে এভারকেয়ার হাসপাতালে স্থানান্তরের সিদ্ধান্ত নেয়। ঢাকা মেডিকেলের পরিচালক আসাদুজ্জামান জানান, প্রাথমিক অস্ত্রোপচারের পর পরিবারের অনুরোধে তাঁকে এভারকেয়ারে পাঠানো হচ্ছে এবং সেখানে চিকিৎসার সব প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।

যেভাবে আলোচনায় আসেন ওসমান হাদি

জুলাই আন্দোলন এবং আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ আন্দোলনের সঙ্গে সম্পর্কিত ওসমান হাদি সম্প্রতি নজরকাড়া রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব হিসেবে পরিচিতি পেয়েছেন। তাঁর তীব্র ভাষার বক্তব্যও আলোচনায় আসে। হাদি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের ২০১০-১১ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন। ২০২৪ সালের বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে সক্রিয় ভূমিকার জন্য তিনি খ্যাতি পান। হাদির গ্রামের বাড়ি ঝালকাঠির নলছিটিতে। তাঁর পিতা ছিলেন মাদ্রাসার শিক্ষক। হাদির শিক্ষাজীবন শুরু হয় নেছারাবাদ কামিল মাদ্রাসায়, পরে তিনি ভর্তি হন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে। একসময় ইংরেজি শেখার কোচিং সেন্টার ‘সাইফুরস’-এ শিক্ষকতা করেছেন।

সর্বশেষ তিনি ‘ইউনিভার্সিটি অব স্কলারস’ নামে একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করছিলেন বলে ইনকিলাব মঞ্চের কর্মীরা জানিয়েছেন।

জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের পর ওসমান হাদির উদ্যোগে গড়ে ওঠে সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক প্ল্যাটফর্ম ‘ইনকিলাব মঞ্চ’। এবারের ডাকসু নির্বাচনে শিবির নেতৃত্বাধীন প্যানেল থেকে ভোট করে ইনকিলাব মঞ্চের ফাতিমা তাসনিম জুমা মুক্তিযুদ্ধ ও গণতান্ত্রিক আন্দোলনবিষয়ক সম্পাদক নির্বাচিত হন।

ওসমান হাদি পরিবার নিয়ে ঢাকার পশ্চিম রামপুরায় থাকেন। তার স্ত্রী রাবেয়া ইসলাম জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগ থেকে অনার্স সম্পন্ন করেছেন। তাদের একটি সন্তান রয়েছে।

ওসমান হাদির গুলিবিদ্ধ হওয়ার খবর পাওয়ার পর ঢাকার উদ্দেশে রওনা দিয়েছেন তার ভগ্নিপতিসহ পরিবারের অন্য সদস্যরা। হাদির বোন মাছুমা বেগম কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, তিন বছর আগে ওসমান হাদিকে বলেছিলাম, ‘তোকেও কিন্তু ভারতের ‘‘র’’ বাঁচাতে দেবে না। আবরারকে যেভাবে মেরে ফেলেছে, তোকে-ও সেভাবে মেরে ফেলবে। দেশপ্রেমিক মানুষকে তারা বাঁচতে দেয় না।’

রাজনৈতিক মহলে নানা আলোচনা

হাদি গুলিবিদ্ধ হওয়ার ঘটনা দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে তোলপাড় সৃষ্টি করেছে। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান গতকাল সন্ধ্যায় রাজধানীতে এক আলোচনা সভায় এই ঘটনাকে ‘গণতন্ত্রের বিরুদ্ধে চক্রান্ত’ বলে মন্তব্য করেছেন।

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর হাদির ওপর হামলাকে অশনিসংকেত হিসেবে দেখেন। তিনি বলেন, নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পরদিন একজন প্রার্থীকে গুলি করা হয়েছে। এটি স্পষ্ট একটি সংকেত, নির্বাচন বানচাল করার জন্য কোনো শক্তি আবার চক্রান্ত শুরু করেছে।

এর আগে হাদিকে দেখতে হাসপাতালে আসার সময় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসকে ইনকিলাব মঞ্চের নেতা-কর্মীরা ‘ভুয়া ভুয়া’ বলে স্লোগান দিতে থাকেন। পরে সেনাবাহিনীর সদস্যরা তাঁকে নিরাপদে হাসপাতালে প্রবেশ করান।

সন্ধ্যায় ঢামেক হাসপাতালে গিয়ে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির শফিকুর রহমান হাদির ওপর হামলার ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, যদি কেউ নতুন করে দেশে ফ্যাসিজম বা সন্ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করতে চায়, তাহলে জনগণ তা প্রতিহত করবে এবং যথাযথ জবাব দেবে।

জাতীয় নাগরিক পার্টিও (এনসিপি) হাদির ওপর সন্ত্রাসী হামলার তীব্র নিন্দা ও গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। দলটি মনে করছে, এই হামলা শুধু একজন প্রার্থীর ওপর নয়, গণ-অভ্যুত্থানের মাধ্যমে পুনরুদ্ধার হওয়া গণতান্ত্রিক অগ্রযাত্রার ওপরও সরাসরি আঘাত। হাদির প্রাণনাশের হুমকি থাকা সত্ত্বেও তাঁর নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সরকারের ব্যর্থতা, দায়িত্বহীনতা ও উদাসীনতার উদাহরণ বলে এনসিপি মন্তব্য করেছে। ঢাকা-১০ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নিজেকে ঘোষণা দেওয়া আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়াও এ ঘটনায় গতকাল ধানমন্ডি এলাকায় প্রতিবাদ মিছিল করেছেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার পদত্যাগ দাবিতে এনসিপির বিক্ষোভ মিছিল

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদির ওপর হামলার প্রতিবাদে জাতীয় নাগরিক পার্টির উদ্যোগে বিক্ষোভ মিছিল। ছবি: সংগৃহীত
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদির ওপর হামলার প্রতিবাদে জাতীয় নাগরিক পার্টির উদ্যোগে বিক্ষোভ মিছিল। ছবি: সংগৃহীত

ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ও ঢাকা-৮ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী শরিফ ওসমান হাদির ওপর সশস্ত্র হামলার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল করেছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। আজ শুক্রবার রাত সাড়ে ৮টার পর রাজধানীর বাংলামোটরে রূপায়ণ ট্রেড সেন্টারের সামনে থেকে এই মিছিল শুরু হয়। শাহবাগে বিক্ষোভ সমাবেশের মধ্য দিয়ে মিছিলটি শেষ হয়।

বিক্ষোভ মিছিল থেকে দলটির নেতা-কর্মীরা স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার পদত্যাগ দাবি করেন। এনসিপির যুব শাখা জাতীয় যুবশক্তির আহ্বায়ক তরিকুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা অথর্ব, ব্যর্থ স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার পদত্যাগ দাবি করছি। অবিলম্বে তাঁকে পদত্যাগ করতে হবে। তাঁর মুখে মিষ্টি মিষ্টি কথা আমরা শুনতে চাই না। তিনি তাঁর দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হয়েছেন। তিনি কোন যোগ্যতায়, কোন মুখে এখন পর্যন্ত স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার দায়িত্ব পালন করেন, সেটা তাঁকে ব্যাখ্যা করতে হবে।’

এনসিপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম আহ্বায়ক আরিফুল ইসলাম আদীব বলেন, দেশের প্রশাসনে, মিডিয়ায়, ব্যবসা-বাণিজ্যে, বিশ্ববিদ্যালয়ে আওয়ামী লীগের দোসর এবং সহযোগীরা রয়েছে। তারা এদের (হাদির মতো নেতাদের) হত্যার মত উৎপাদন করছে। আর যদি কোনো এ রকম হত্যার চেষ্টা করা হয়, তাহলে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের সম্পত্তি জাতীয়ভাবে বাজেয়াপ্ত করতে হবে।

এনসিপির যুগ্ম সদস্যসচিব আরিফ সোহেল বলেন, হাদি গুলিবিদ্ধ হওয়ার ঘটনা প্রমাণ করে দেয়, বাংলাদেশে এখনো জুলাইয়ের শত্রুরা, সংস্কারের শত্রুরা, ন্যায়বিচারের শত্রুরা সজাগ আছে। দেশে আবারও ওয়ান-ইলেভেন তৈরির পাঁয়তারা চলছে। আধিপত্যবাদবিরোধী সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।

বিক্ষোভ মিছিলে আরও উপস্থিত ছিলেন এনসিপির যুগ্ম মুখ্য সমন্বয়ক খান মুহাম্মদ মুরসালীন, জাতীয় ছাত্রশক্তির সভাপতি জাহিদ আহসান, জাতীয় যুবশক্তির সদস্যসচিব ডা. জাহিদুল ইসলাম, জাতীয় শ্রমিকশক্তির সদস্যসচিব ঋআজ মোর্শেদ প্রমুখ।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

ওসমান হাদির ওপর হামলার প্রতিবাদে জবি শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন

  জবি প্রতিনিধি
আজ শুক্রবার বিকেলে জবি ক্যাম্পাসের মূল ফটক থেকে এ বিক্ষোভ মিছিল শুরু হয়। ছবি: আজকের পত্রিকা
আজ শুক্রবার বিকেলে জবি ক্যাম্পাসের মূল ফটক থেকে এ বিক্ষোভ মিছিল শুরু হয়। ছবি: আজকের পত্রিকা

‎ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী ও ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ওসমান হাদির গুলিবিদ্ধ হওয়ার ঘটনার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন করেছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।

‎আজ শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) বিকেলে ক্যাম্পাসের মূল ফটক থেকে এই বিক্ষোভ মিছিল শুরু হয়ে তাঁতীবাজার মোড় প্রদক্ষিণ করে বিশ্বজিৎ চত্বরে সংক্ষিপ্ত সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়। এ সময় শিক্ষার্থীরা ওসমান হাদির ওপর হামলাকারীদের দ্রুত গ্রেপ্তার ও বিচারের দাবি করেন।

শিক্ষার্থীরা ‘জ্বালো রে জ্বালো আগুন জ্বালো’, ‘হাদির ওপর হামলা কেন, প্রশাসন জবাব চাই’, ‘সন্ত্রাসীদের আস্তানা ভেঙে দাও, গুঁড়িয়ে দাও’, ‘আমার ভাই হাসপাতালে, ইন্টেরিম কী করে’ ইত্যাদি স্লোগান দেন।

‎এ সময় গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী ইভান তাহসিব বলেন, গণ-অভ্যুত্থানের পর এমন দিনের আলোতে গুলি চালানো বিশ্বাসযোগ্য নয়। ইন্টেরিম সরকারের সংস্কার বাস্তবায়নের ব্যর্থতাই এ ঘটনার কারণ। মানুষের নিরাপত্তা হুমকির মুখে পড়েছে। হামলাকারীদের দ্রুত বিচারের আওতায় আনতে হবে।

‎লোকপ্রশাসন বিভাগের ২০২২-২৩ বর্ষের শিক্ষার্থী ফাতেমা আক্তার অওরিন বলেন, জুলাই আন্দোলনের পর স্বাধীনভাবে বাঁচার আশা ছিল। অথচ দিনের বেলা এমন নৃশংস হামলা উদ্বেগজনক। ওসমান হাদির ওপর হামলাকারীদের দ্রুত গ্রেপ্তার ও বিচারের দাবি জানাচ্ছি।

‎আইন বিভাগের শিক্ষার্থী রিয়াজুল ইসলাম বলেন, হামলাটি পূর্বপরিকল্পিত। এর দায় ইন্টেরিম সরকারকেই নিতে হবে। সরকার ফ্যাসিবাদীদের বিচার কার্যকর করতে ব্যর্থ হয়েছে। তিনি বলেন, শুধু বিচার নয়, এ ধরনের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড নিয়ন্ত্রণে কার্যকর ব্যবস্থা নিতে হবে।

‎উল্লেখ্য, আজ শুক্রবার জুমার নামাজের পর রাজধানীর বিজয়নগরে বক্স কালভার্ট রোডে ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী, ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান বিন হাদি গুলিবিদ্ধ হন। তাঁকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত