Ajker Patrika

গাজীপুরে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধ, যান চলাচল বন্ধ

গাজীপুর প্রতিনিধি
আপডেট : ১০ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১৪: ৪৭
শ্রমিকদের সড়ক অবরোধ।  ছবি: আজকের পত্রিকা
শ্রমিকদের সড়ক অবরোধ। ছবি: আজকের পত্রিকা

গাজীপুর মহানগরীর গাছা থানাধীন হারিকেন এলাকায় বকেয়া পাওনার দাবিতে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধ করেছেন পোশাকশ্রমিকেরা। এতে রাত সাড়ে ৯টা থেকে যান চলাচল বন্ধ হয়ে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। এ কারণে দুর্ভোগে পড়েছে এ সড়ক ব্যবহারকারীরা।

জিএমপির গাছা অঞ্চলের সহকারী পুলিশ কমিশনার ফাহিম আশজাদ বলেন, বকেয়া পাওনা পরিশোধের দাবিতে শ্রমিকেরা আজ রোববার রাত সোয়া ৯টার দিকে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধ করেছেন। এ কারণে রাত সাড়ে ১১টায় এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। শ্রমিকদের বুঝিয়ে সড়ক থেকে সরিয়ে নেওয়ার চেষ্টা চলছে। তাঁরা সড়ক থেকে সরে গেলেই যান চলাচল শুরু হবে।

গাজীপুর শিল্প পুলিশ-২-এর পুলিশ সুপার এ কে এম জহিরুল ইসলাম জানান, মহানগরীর গাছা থানাধীন হারিকেন এলাকার সেলফ ইনোভেটিভ ফ্যাশন লিমিটেড নামক একটি পোশাক কারখানায় প্রায় ১৫০ শ্রমিক কাজ করেন। কারখানাটি সাব-কন্ট্রাকে তৈরি পোশাক প্রস্তুতের কাজ করে থাকে। কারখানার শ্রমিকদের সার্ভিস বোনাসসহ আরও কিছু বকেয়া পাওনা রয়েছে। এ নিয়ে শ্রমিকদের মধ্যে অসন্তোষ বিরাজ করছিল।

শ্রমিকদের সড়ক অবরোধ।  ছবি: আজকের পত্রিকা
শ্রমিকদের সড়ক অবরোধ। ছবি: আজকের পত্রিকা

পুলিশ সুপার এ কে এম জহিরুল ইসলাম আরও জানান, ফ্যাক্টরির শ্রমিকদের সার্ভিস বেনিফিটসহ অন্যান্য পাওনাদি পরিশোধসংক্রান্ত বিষয় নিয়ে আজ রোববার গাজীপুরের টঙ্গীতে কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরে একটি ত্রিপক্ষীয় সভা অনুষ্ঠিত হয়। কিন্তু সভায় ফলপ্রসূ কোনো সিদ্ধান্ত না হওয়ায় শ্রমিকেরা রাত সোয়া ৯টার দিকে মহাসড়ক অবরোধ করেন। খবর পেয়ে শিল্প পুলিশ ও মহানগর পুলিশ ঘটনাস্থলে হাজির হয়। তারা শ্রমিকদের বুঝিয়ে মহাসড়ক থেকে সরিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

চসিক মেয়রের সঙ্গে ফিলিস্তিনের রাষ্ট্রদূতের সাক্ষাৎ

নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম
চসিকের অস্থায়ী নগর ভবনে মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেনের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন ফিলিস্তিনের রাষ্ট্রদূত ইউসুফ এস ওয়াই রামাদান। ছবি: সংগৃহীত
চসিকের অস্থায়ী নগর ভবনে মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেনের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন ফিলিস্তিনের রাষ্ট্রদূত ইউসুফ এস ওয়াই রামাদান। ছবি: সংগৃহীত

চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন বলেছেন, ‘বাংলাদেশের জনগণ সব সময় নিপীড়িত ফিলিস্তিনিদের পাশে ছিল এবং থাকবে। মানবতা ও ন্যায়ের পক্ষে অবস্থান নেওয়া জাতি হিসেবে বাংলাদেশ ফিলিস্তিনের স্বাধীন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার দাবিতে ঐতিহাসিকভাবে একাত্ম।’ বাংলাদেশে নিযুক্ত ফিলিস্তিনের রাষ্ট্রদূত ইউসুফ এস ওয়াই রামাদান সাক্ষাৎ করতে এলে চসিক মেয়র এসব কথা বলেন। আজ রোববার (২৬ অক্টোবর) সকালে নগরীর টাইগারপাসে অবস্থিত চসিকের অস্থায়ী নগর ভবনে এ সৌজন্য সাক্ষাৎ হয়। চসিকের একটি বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সাক্ষাৎকালে চসিক মেয়র ফিলিস্তিনের রাষ্ট্রদূতকে প্রতীকী স্মারক উপহার দেওয়ার পাশাপাশি ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার প্রতি একাত্মতা প্রকাশ করেন। গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর অব্যাহত হামলাকে ‘মানবতাবিরোধী অপরাধ’ উল্লেখ করে মেয়র শাহাদাত হোসেন বলেন, ‘ফিলিস্তিনের নিরীহ জনগণ দীর্ঘদিন ধরে জুলুম, নিপীড়ন ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের শিকার হচ্ছেন। একজন মানবিক নাগরিক ও জনপ্রতিনিধি হিসেবে আমি মনে করি, এ সময়ে তাঁদের পাশে দাঁড়ানো বিশ্ব নেতৃত্বের নৈতিক দায়িত্ব।’

চসিকের বিজ্ঞপ্তিকে বলা হয়েছে, ফিলিস্তিনের রাষ্ট্রদূত ইউসুফ রামাদান ফিলিস্তিনি জনগণের সংগ্রামে বাংলাদেশের অব্যাহত সমর্থনের প্রশংসা করেছেন।

সাক্ষাতের সময় আরও উপস্থিত ছিলেন চসিকের ভারপ্রাপ্ত প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আশরাফুল আমিন, প্রধান পরিচ্ছন্নতা কর্মকর্তা ক্যাপ্টেন ইখতিয়ার উদ্দিন আহমেদ চৌধুরী, প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা সরোয়ার কামাল, প্রধান শিক্ষা কর্মকর্তা ড. কিসিঞ্জার চাকমা, প্রধান প্রকৌশলী আনিসুর রহমান, প্রধান হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা হুমায়ুন কবির চৌধুরী, আইন কর্মকর্তা মহিউদ্দিন মুরাদ প্রমুখ।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

ঘরে ঝুলছিল নারীর লাশ

কর্ণফুলী(চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি
প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

চট্টগ্রামের আনোয়ারায় নিজ ঘরে ঝুলন্ত অবস্থায় এক নারীর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। আজ রোববার (২৬ অক্টোবর) সকালে উপজেলার চাতরী ইউনিয়নের পূর্ব কেঁয়াগড় কালু মহাজনের বাড়ির নিজ কক্ষে লাশটি পাওয়া যায়।

ওই নারীর নাম পাপিয়া দাশ (৩৭)। তিনি দুই সন্তানের জননী ও পলাশ দত্তের স্ত্রী। পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠায়।

আনোয়ারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মনির হোসেন বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে লাশটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠায়। পুলিশ পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নিচ্ছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

আদালত চত্বরে বাদীপক্ষকে মারধরের অভিযোগ বিএনপি নেতার বিরুদ্ধে

নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি
নারায়ণগঞ্জ জেলা ও দায়রা জজ আদালত চত্বরে আজ রোববার মামলার বাদীপক্ষকে মারধর করা হয়। ছবি: ভিডিও থেকে নেওয়া
নারায়ণগঞ্জ জেলা ও দায়রা জজ আদালত চত্বরে আজ রোববার মামলার বাদীপক্ষকে মারধর করা হয়। ছবি: ভিডিও থেকে নেওয়া

নারায়ণগঞ্জ জেলা ও দায়রা জজ আদালত চত্বরে একটি মামলার বাদীপক্ষের ওপর আসামিপক্ষের আইনজীবীদের হামলার অভিযোগ উঠেছে। সন্তানদের সামনে এক নারী ও তাঁর স্বামীকে মারধরের ওই ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। এ ঘটনায় আসামিপক্ষের আইনজীবী মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক সাখাওয়াত হোসেনসহ ৯ জনের বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে।

আজ রোববার দুপুরে নারায়ণগঞ্জ আদালত প্রাঙ্গণে এ ঘটনা ঘটে। এতে আহত ব্যক্তিরা হলেন রাজিয়া সুলতানা (৩৮), তাঁর স্বামী মো. ইরফান মিয়া (৪২) ও তাঁদের দুই শিশু-কিশোর সন্তান। এ ঘটনায় রাজিয়া সুলতানা বাদী হয়ে ফতুল্লা মডেল থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন।

অভিযোগে সাখাওয়াত হোসেন খান (৫০), ইসমাইল (৪৬), হিরণ (৩৮), শাহালম (৪৮), টিটু (৫০), রাসেল ব্যাপারী (৩৫), খোরশেদ আলম (৪০), আলামিন শাহ (৩৯) ও বিল্লাল হোসেনকে (৩৮) বিবাদী করা হয়েছে।

রাজিয়া সুলতানা বলেন, ‘একটি মামলায় আদালতে হাজিরা দিতে গেলে অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেনের নির্দেশে তাঁর জুনিয়ররা ও মুহুরি মিলে আমাদের ওপর হামলা করেন। তাঁরা আমার স্বামীকে ও আমাকে বেধড়ক মারধর করেন। এ সময় আমার শ্লীলতাহানি করা হয়।’

রাজিয়া সুলতানা আরও বলেন, ‘আমাদের চিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে এলে হামলাকারীরা সরে যান। হামলার সময় আমার দুই শিশু-কিশোর ছেলেসন্তান এগিয়ে এলে তাদের আঘাত করা হয়। আমার এক শিশুসন্তান মেরুদণ্ডে আঘাত পেয়েছে।’

হামলার কারণ সম্পর্কে রাজিয়া সুলতানা বলেন, ‘আমরা আমাদের পাওনা টাকা আদায়ের জন্য আদালতে মামলা করেছিলাম। অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খান ওই মামলার বিবাদীপক্ষের আইনজীবী হিসেবে রয়েছেন। তিনি এই মামলা তুলে নেওয়ার জন্য আমাদের হুমকি দিয়ে আসছিলেন। মামলা তুলে না নিলে আমাকে ও আমার স্বামীকে খুন করে বুড়িগঙ্গা নদীতে লাশ ভাসিয়ে দেওয়ার হুমকি দেন। আজকে আদালতে হাজিরা দিতে গেলে আমাদের ওপর তাঁর জুনিয়ররা ও মুহুরি হামলা চালান।’

ঘটনার বিষয়ে সাখাওয়াত হোসেন খানের জুনিয়র আইনজীবী খোরশেদ আলম বলেন, ‘মূলত বাদী ও বিবাদীপক্ষের মধ্যে এই ঝামেলার সৃষ্টি হয়। বিষয়টি মিটমাটের চেষ্টা করতে গেলে তাঁরা আমাদের মুহুরির ওপর হামলা করেন। সমস্যা সমাধান করতে গিয়ে আমরা নিজেরাই ফেঁসে গিয়েছি।’

তবে এসব অভিযোগ অস্বীকার করে নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক সাখাওয়াত হোসেন খান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এ ঘটনা সম্পর্কে আমি কিছুই জানি না। আমি ঘটনার এক ঘণ্টা পর আদালতে যাই। আর আমি যে তখন আদালতে ছিলাম না, তা ভিডিও দেখলেই স্পষ্ট বোঝা যায়। আমি মনে করি, কোনো একজন এমপি প্রার্থী আমার গায়ে কালিমা লেপন করতে এই কাজ করাচ্ছেন।’

নারায়ণগঞ্জ জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক আনোয়ারা প্রধান বলেন, ‘বাদী ও বিবাদীপক্ষ উভয়ই দুষ্টু প্রকৃতির। তারা এর আগেও ঝামেলায় জড়িয়ে ছিল। আমরা মিটমাট করে দিয়েছিলাম। শুনেছি, আজও আবার একই ঘটনা ঘটেছে; যা আমাদের জন্য বিব্রতকর। আজকের ঘটনা সম্পর্কে আমি এখনো বিস্তারিত জানি না। বিষয়টির বিস্তারিত খোঁজ নেওয়া হচ্ছে।’

ফতুল্লা থানার পুলিশ পরিদর্শক (অপারেশন) আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘আদালত চত্বরে হামলার বিষয়ে কিছুক্ষণ আগে থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে। বিষয়টি আমরা গুরুত্বসহকারে তদন্ত করছি।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

নীলফামারী ইপিজেডের ৪টি কারখানা বন্ধ ঘোষণা

নীলফামারী প্রতিনিধি
নীলফামারী ইপিজেড
নীলফামারী ইপিজেড

শ্রমিক বিশৃঙ্খলার অভিযোগে নীলফামারীর উত্তরা ইপিজেডে চারটি কারখানা অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। আজ রোববার ওই চারটি কারখানা কর্তৃপক্ষের জারি করা নোটিশে এ তথ্য জানানো হয়। নোটিশে অবৈধ ও অঘোষিত শ্রমিক ধর্মঘট, বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি, কর্মবিরতি এবং উৎপাদন ব্যাহতের কথা উল্লেখ করা হয়।

উত্তরা ইপিজেডের অতিরিক্ত নির্বাহী পরিচালক নাজমুল আলম ওই চার কারখানা বন্ধের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

কারখানাগুলো হলো দেশবন্ধু টেক্সটাইল মিলস লিমিটেড, মেইগো বাংলাদেশ লিমিটেড, ইপিএফ প্রিন্টিং লিমিটেড ও সেকশন সেভেন ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেড।

নোটিশে বলা হয়, ২৫ অক্টোবর থেকে কারখানার শ্রমিকেরা অবৈধ ও অঘোষিত ধর্মঘট, কর্মবিরতি এবং উৎপাদন ব্যাহতসহ বিভিন্ন বিশৃঙ্খল কর্মকাণ্ডে জড়িত হন। শ্রমিকদের সঙ্গে একাধিকবার আলোচনার চেষ্টা করেও কোনো সমাধানে না আসায় কর্তৃপক্ষ কারখানা আইন ১৯৬৫-এর ধারা ১৩(১) অনুযায়ী ২৬ অক্টোবর থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করে।

এতে আরও বলা হয়, কারখানা বন্ধ থাকা অবস্থায় শ্রমিকদের বেতন, ওভারটাইম, ছুটি, বোনাসসহ অন্য পাওনা আইন অনুযায়ী প্রদান করা হবে। তবে এই সময়ে কোনো শ্রমিক বা কর্মকর্তা কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া কারখানায় প্রবেশ করতে পারবেন না।

পরিস্থিতি অনুকূলে এলে এবং উৎপাদনের পরিবেশ সৃষ্টি হলে কারখানা পুনরায় খোলার তারিখ জানানো হবে। ওই চার কারখানা কর্তৃপক্ষের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা নোটিশে স্বাক্ষর করেছেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত