ফেনী প্রতিনিধি
ফেনীতে বন্যার পানি কমতে না কমতেই দৃশ্যমান হচ্ছে ক্ষয়ক্ষতির চিত্র। জেলার গ্রামীণ সড়ক অবকাঠামো বন্যায় মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগ (এলজিইডি) জানিয়েছে, বন্যায় অন্তত ১২৬টি সড়কের প্রায় ৩০০ কিলোমিটার অংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। প্রাথমিক হিসাবে সড়ক মেরামতে অন্তত ৯০ কোটি টাকা প্রয়োজন।
এলজিইডি জানায়, ছাগলনাইয়ার ১৭টি সড়কে ১২৬ কিমি, ফুলগাজীর ৬৯টি সড়কে ৯৫ কিমি, পরশুরামের ১৮টি সড়কে ৪৯ কিমি, ফেনী সদরের ৯টি সড়কে ২০ কিমি এবং সোনাগাজীর ১৩টি সড়কে ১০ কিমি সড়ক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
এলজিইডির ফেনী জেলার নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মাহমুদ আল ফারুক বলেন, সম্প্রতি বন্যায় জেলার প্রায় ৩০০ কিলোমিটার সড়কে বড় বড় গর্ত তৈরি হয়েছে। কোথাও কোথাও যোগাযোগ সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন। এসব সড়ক মেরামতে অন্তত ৯০ কোটি টাকা প্রয়োজন। এই ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ প্রাথমিক হিসাব বলে তিনি জানান। পুরোপুরি পানি না নামা পর্যন্ত চূড়ান্ত ক্ষতির চিত্র পাওয়া যাবে না। তিনি আরও জানান, সরকারের কাছে প্রয়োজনীয় বাজেট চেয়ে চাহিদাপত্র পাঠানো হবে। বাজেট পেলেই সংস্কারকাজ শুরু করা হবে। ইতিমধ্যে বিভিন্ন এলাকায় ছোটখাটো মেরামতের কাজ শুরু হয়েছে। যেসব এলাকায় যান চলাচল বন্ধ, সেখানে আপাতত বাঁশের সাঁকো তৈরি করে মানুষের চলাচলের ব্যবস্থা করা হচ্ছে।
ফুলগাজীর উত্তর শ্রীপুরের বাসিন্দা মাহবুবুর রহমান বলেন, ‘বন্যায় আমাদের ঘরবাড়ি, রাস্তাঘাট, ফসলের মাঠ—সব ধ্বংস হয়ে গেছে। এখনো রাস্তায় বড় বড় গর্ত, চলাফেরা অসম্ভব হয়ে পড়েছে। বয়স্ক এবং অসুস্থ মানুষজন সবচেয়ে বেশি কষ্টে আছে।’ পরশুরামের পশ্চিম অলকা গ্রামের আবুল হোসেন বলেন, ‘প্রতিবছরই বন্যা হয়, আর রাস্তা ভেঙে যায়। কিছুদিন সামান্য সংস্কার করে রাখে, কিন্তু কয়েক মাস না যেতেই আবার আগের দশা।’
ছাগলনাইয়ার উত্তর সতেরো গ্রামের শাহ আলম বলেন, ‘গত বছরের বন্যায় যেসব রাস্তাঘাট ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল, সেগুলো ঠিকঠাক মেরামত করা হয়নি। তাই এবার সামান্য পানিতে আবারও রাস্তাগুলো ভেঙে পড়েছে।’
জেলা প্রশাসক মো. সাইফুল ইসলাম বলেন, বিভিন্ন দপ্তর থেকে প্রাথমিক ক্ষয়ক্ষতির তালিকা জমা পড়েছে। তবে এখনই এটিকে চূড়ান্ত ধরা যাবে না। পানি নেমে গেলে প্রকৃত ক্ষতির পরিমাণ নির্ধারণ করা যাবে। সম্প্রতি আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভায় সড়ক সংস্কার বিষয়টি গুরুত্বসহকারে আলোচনা হয়েছে।
ফেনীতে বন্যার পানি কমতে না কমতেই দৃশ্যমান হচ্ছে ক্ষয়ক্ষতির চিত্র। জেলার গ্রামীণ সড়ক অবকাঠামো বন্যায় মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগ (এলজিইডি) জানিয়েছে, বন্যায় অন্তত ১২৬টি সড়কের প্রায় ৩০০ কিলোমিটার অংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। প্রাথমিক হিসাবে সড়ক মেরামতে অন্তত ৯০ কোটি টাকা প্রয়োজন।
এলজিইডি জানায়, ছাগলনাইয়ার ১৭টি সড়কে ১২৬ কিমি, ফুলগাজীর ৬৯টি সড়কে ৯৫ কিমি, পরশুরামের ১৮টি সড়কে ৪৯ কিমি, ফেনী সদরের ৯টি সড়কে ২০ কিমি এবং সোনাগাজীর ১৩টি সড়কে ১০ কিমি সড়ক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
এলজিইডির ফেনী জেলার নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মাহমুদ আল ফারুক বলেন, সম্প্রতি বন্যায় জেলার প্রায় ৩০০ কিলোমিটার সড়কে বড় বড় গর্ত তৈরি হয়েছে। কোথাও কোথাও যোগাযোগ সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন। এসব সড়ক মেরামতে অন্তত ৯০ কোটি টাকা প্রয়োজন। এই ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ প্রাথমিক হিসাব বলে তিনি জানান। পুরোপুরি পানি না নামা পর্যন্ত চূড়ান্ত ক্ষতির চিত্র পাওয়া যাবে না। তিনি আরও জানান, সরকারের কাছে প্রয়োজনীয় বাজেট চেয়ে চাহিদাপত্র পাঠানো হবে। বাজেট পেলেই সংস্কারকাজ শুরু করা হবে। ইতিমধ্যে বিভিন্ন এলাকায় ছোটখাটো মেরামতের কাজ শুরু হয়েছে। যেসব এলাকায় যান চলাচল বন্ধ, সেখানে আপাতত বাঁশের সাঁকো তৈরি করে মানুষের চলাচলের ব্যবস্থা করা হচ্ছে।
ফুলগাজীর উত্তর শ্রীপুরের বাসিন্দা মাহবুবুর রহমান বলেন, ‘বন্যায় আমাদের ঘরবাড়ি, রাস্তাঘাট, ফসলের মাঠ—সব ধ্বংস হয়ে গেছে। এখনো রাস্তায় বড় বড় গর্ত, চলাফেরা অসম্ভব হয়ে পড়েছে। বয়স্ক এবং অসুস্থ মানুষজন সবচেয়ে বেশি কষ্টে আছে।’ পরশুরামের পশ্চিম অলকা গ্রামের আবুল হোসেন বলেন, ‘প্রতিবছরই বন্যা হয়, আর রাস্তা ভেঙে যায়। কিছুদিন সামান্য সংস্কার করে রাখে, কিন্তু কয়েক মাস না যেতেই আবার আগের দশা।’
ছাগলনাইয়ার উত্তর সতেরো গ্রামের শাহ আলম বলেন, ‘গত বছরের বন্যায় যেসব রাস্তাঘাট ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল, সেগুলো ঠিকঠাক মেরামত করা হয়নি। তাই এবার সামান্য পানিতে আবারও রাস্তাগুলো ভেঙে পড়েছে।’
জেলা প্রশাসক মো. সাইফুল ইসলাম বলেন, বিভিন্ন দপ্তর থেকে প্রাথমিক ক্ষয়ক্ষতির তালিকা জমা পড়েছে। তবে এখনই এটিকে চূড়ান্ত ধরা যাবে না। পানি নেমে গেলে প্রকৃত ক্ষতির পরিমাণ নির্ধারণ করা যাবে। সম্প্রতি আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভায় সড়ক সংস্কার বিষয়টি গুরুত্বসহকারে আলোচনা হয়েছে।
পাঁচ দিনের রিমান্ড শেষে অপূর্বকে আজ আদালতে হাজির করে পুলিশ। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা উপপরিদর্শক (এসআই) চাঁদ মিয়া তাঁর স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি গ্রহণের আবেদন করেন। আদালত ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি গ্রহণ করে তাঁকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
১৩ মিনিট আগেনোয়াখালী সদর উপজেলার নেওয়াজপুর ইউনিয়নের কাশেম বাজারে ইসলামী ছাত্রশিবির ও যুবদলের নেতা-কর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। রোববার (১৯ অক্টোবর) বিকেল সাড়ে ৪টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত দফায় দফায় এই সংঘর্ষ হয়। এতে উভয় পক্ষের অন্তত ৫০ জন আহত হয়েছেন। এ সময় কয়েকটি মোটরসাইকেল ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে আইনশৃঙ্খলা
২৪ মিনিট আগেপুরান ঢাকার একটি বাসার সিঁড়িতে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি) শাখা ছাত্রদল নেতার রক্তাক্ত লাশ পাওয়া গেছে। আজ রোববার (১৯ অক্টোবর) সন্ধ্যার দিকে ওই বাসার সিঁড়িতে লাশটি দেখতে পেয়ে পুলিশে খবর দেন স্থানীয়রা।
১ ঘণ্টা আগেশেরেবাংলা নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইমাউল হক বলেন, ওই নারীর পরিবারের সদস্যরা ঘরের দরজা ভেঙে তাঁকে উদ্ধার করে একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যান। পরে পুলিশ সেখানে গিয়ে সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করে লাশ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায়।
১ ঘণ্টা আগে