পরশুরাম (ফেনী) প্রতিনিধি

ফেনীর পরশুরামে গভীর নলকূপ বরাদ্দ দেওয়ার কথা বলে টাকা নেন তছলিম আহাম্মেদ নামে উপজেলা জাসদের এক নেতা। দুই বছরেও নলকূপ অথবা সেই টাকা ফেরত দিতে না পারায় গ্রামবাসীর তোপের মুখে পড়েন তিনি। এরপর তাঁকে আটক করেন ভুক্তভোগীরা। পরে কিছু টাকা দিয়ে এবং বাকি টাকা পরে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে রক্ষা পান।
গতকাল রোববার বিকেলে উপজেলা পরিষদ কার্যালয়ের সামনে এ ঘটনা ঘটে। এ সময় ওই নেতাকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত ও মারধর করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
জাসদ নেতা তছলিম আহাম্মেদ চৌধুরী জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ) উপজেলা সহসভাপতি ও ফেনী জেলা জাসদের সাংগঠনিক সম্পাদক।
স্থানীয়রা ও একাধিক ভুক্তভোগী জানান, রোববার বিকেলে ইউএনওর অফিসের বারান্দায় জাসদ নেতার পথ রোধ করেন স্থানীয় কয়েকজন ভুক্তভোগী। তাঁকে আটকের খবর ছড়িয়ে পড়লে উপজেলা পরিষদ প্রাঙ্গণে একই অভিযোগ নিয়ে স্থানীয় আলাউদ্দিন আহামেদ চৌধুরী নাসিম কলেজের অফিস সহকারী ছালেহ আহাম্মদ চৌধুরী, সাঈদ চৌধুরীসহ আরও ১০ জন জড়ো হন। তাঁদের সবার একই অভিযোগ, গভীর নলকূপ দেওয়ার কথা বলে তছলিম তাদের কাছ থেকে প্রতিটি নলকূপের জন্য ২৫-৩০ হাজার টাকা করে নিয়েছেন। কিন্তু গত দুই বছরেও নলকূপ বরাদ্দ দিতে পারেননি। তাঁকে মোবাইল ফোনে কল দিলে তিনি কেটে দেন এবং বিভিন্ন ধরনের টালবাহানা করেন।
পরে ক্ষতিগ্রস্তরা উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরে গিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন। একে একে ক্ষতিগ্রস্তরা উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের উপসহকারী প্রকৌশলীর কাছে অভিযোগ করেন। এরপর তোপের মুখে ক্ষতিগ্রস্ত দিদারুল আলম ও আমিনুর রহমান নামের দুজনকে ১০ হাজার টাকা ফেরত দিয়েছেন। জাসদ নেতা তছলিম দুজনের কাছ থেকে গভীর নলকূপ বরাদ্দ দেওয়ার কথা বলে ৫০ হাজার টাকা নিয়েছেন বলে তাঁরা অভিযোগ করেছেন। বাকি টাকা কিছুদিনের মধ্যে ফেরত দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে সেখান থেকে ছাড়া পান।
মনছুর আহাম্মদ নামে পরশুরাম উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ের একজন কর্মচারী বলেন, ‘আমার কাছ থেকে ২৫ হাজার টাকা নেওয়ার পরও গত দুই বছর ধরে নলকূপ বরাদ্দ না দেওয়ায় রোববার বিকেলে আমি জাসদ নেতাদের ইউএনও অফিসের বারান্দায় পথরোধ করেছিলাম। নলকূপ না দিতে পারলে টাকা ফেরতে দিতে চাপ দেই।’
উপজেলার চিথলিয়া ইউনিয়নের জঙ্গলঘোনা গ্রামের দিদারুল আলম বলেন, উপজেলা ও তিনটি ইউনিয়ন এবং পৌর এলাকায় দুই শতাধিক লোকের কাছ থেকে প্রতিটি নলকূূপের জন্য ২৫-৩০ হাজার টাকা আদায় করেছেন। ২০০ জনের মধ্যে রয়েছে রাজনৈতিক দলের নেতা-কর্মী, স্থানীয় ইউপি সদস্য, স্কুল-কলেজের শিক্ষক, সরকারি দপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার লোকজন।
আলাউদ্দিন আহমেদ চৌধুরী নাসিম কলেজের অফিস সহকারী ছালেহ আহাম্মদ চৌধুরী সুজন এবং সাঈদ চৌধুরী, মির্জানগর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক সদস্য ফখরুল ইসলাম ফারুখ, বর্তমান সংরক্ষিত মহিলা ওয়ার্ডর সদস্যের স্বামী নুর হোসেন অভিযোগ করেন, জাসদ নেতা তছলিম নলকূপ দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে তাঁদের প্রত্যেকের কাছ থেকে ২৫-৩০ হাজার টাকা করে নিয়েছেন। অথচ সরকারিভাবে খরচ হচ্ছে মাত্র ১১ হাজার টাকা।
জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলী অধিদপ্তরের উপসহকারী প্রকৌশলীর কাছে অভিযোগ করেন উপজেলার জঙ্গলঘোনা গ্রামের দিদারুল আলম ও তাঁর ভগ্নিপতি আমিনুর রহমান। অভিযোগে তাঁরা জানান, দুজনকে গভীর নলকূপ বরাদ্দ দেওয়ার কথা বলে তছলিম আহমেদ চৌধুরী ৫০ হাজার টাকা আদায় করেছেন। কিন্তু গত দুই বছর অপেক্ষার পরও নলকূপ বরাদ্দ দিচ্ছেন না। নানা অজুহাতে টালবাহানা করছেন বলে অভিযোগ করেন তাঁরা।
রোববার বিকেলে উপজেলা পরিষদ প্রাঙ্গণে একই সময় ছালেহ আহাম্মদ চৌধুরী সুজন ও সাঈদ চৌধুরী অভিযোগ করেন, তাঁদের দুজনের কাছ থেকেও জাসদ নেতারা ৫০ হাজার টাকা করে এবং চারজনের কাছ থেকে ১ লাখ টাকা আদায় করেছেন। কিন্তু গত দুই বছরেও তারা নলকূপ বরাদ্দ পাননি।
মির্জানগর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মো. নুরুজ্জামান ভুট্টো বলেন, ‘গত শনিবার (৬ মে) রাতে সংসদ সদস্য শিরিন আখতারের ছেলে জাসদ নেতা অমিত মনোশিষ মির্জানগর ইউনিয়ন পরিষদে গেলে সেখানেও স্থানীয় একাধিক জনপ্রতিনিধি জাসদ নেতাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন। তাঁদের অভিযোগ, এমপির কথা বলে গভীর নলকূপ বরাদ্দের নামে টাকা নিয়ে টালবাহানা দেখাচ্ছে।’
পরশুরাম উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের উপসহকারী প্রকৌশলী মো. ফাহাদ হোসেন ভুঁইয়া বলেন, ‘গ্রামীণ এলাকায় নিরাপদ পানি সরবরাহ নিশ্চিত করতে সারা দেশে ৬ লাখ গভীর ও অগভীর নলকূপ বসানোর উদ্যোগ নিয়েছে বর্তমান সরকার। তার মধ্যে পরশুরাম উপজেলায় ৪৯টি নলকূপ বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। রানা এন্টারপ্রাইজ নামের একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান কাজ পায়। কিন্তু ফেনী-১ আসনের সংসদ সদস্য শিরিন আখতারের বরাদ্দকৃত নলকূপের ৪৯ জনের তালিকার মধ্যে বেশির ভাগ লোকের নাম ও ফোন নম্বরসহ বিভিন্ন তথ্য ভুল থাকায় তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হচ্ছিল না।’
অভিযোগের বিষয়ে পরশুরাম উপজেলা জাসদের সহসভাপতি ও ফেনী জেলা জাসদের সাংগঠনিক সম্পাদক তছলিম আহমেদ চৌধুরী বলেন, ‘উপজেলা জাসদের দলীয় কার্যক্রমের খরচ চালানোর জন্য আমাকে শুধু ছয়টি গভীর নলকূপ বরাদ্দ দিয়েছে। সেগুলোর জন্য আমি কয়েকজনের কাছ থেকে ২৫ হাজার টাকা করে নিয়েছি। যেহেতু নলকূপ বরাদ্দ দিতে পারি নাই, তাই দুই-এক দিনের মধ্যে টাকা ফেরত দিয়ে দেব।’
পরশুরাম উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের উপসহকারী প্রকৌশলী মো. ফাহাদ হোসেন ভুঁইয়া বলেন, ‘এমপি মহোদয়ের কথা বলে এবং জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের অফিস খরচের কথা বলে জাসদ নেতারা প্রতিটি নলকূপের জন্য ২৫-৩০ হাজার টাকা আদায় করছেন। এতে এমপি ও সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, ‘সরকারি কোষাগারে শুধু ভ্যাট-ট্যাক্সসহ ১১ হাজার টাকা জমা দেওয়ার নিয়ম রয়েছে। অথচ মিথ্যা তথ্য দিয়ে লোকজনের কাছ থেকে দ্বিগুণ টাকা আদায় করছে।’

ফেনীর পরশুরামে গভীর নলকূপ বরাদ্দ দেওয়ার কথা বলে টাকা নেন তছলিম আহাম্মেদ নামে উপজেলা জাসদের এক নেতা। দুই বছরেও নলকূপ অথবা সেই টাকা ফেরত দিতে না পারায় গ্রামবাসীর তোপের মুখে পড়েন তিনি। এরপর তাঁকে আটক করেন ভুক্তভোগীরা। পরে কিছু টাকা দিয়ে এবং বাকি টাকা পরে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে রক্ষা পান।
গতকাল রোববার বিকেলে উপজেলা পরিষদ কার্যালয়ের সামনে এ ঘটনা ঘটে। এ সময় ওই নেতাকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত ও মারধর করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
জাসদ নেতা তছলিম আহাম্মেদ চৌধুরী জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ) উপজেলা সহসভাপতি ও ফেনী জেলা জাসদের সাংগঠনিক সম্পাদক।
স্থানীয়রা ও একাধিক ভুক্তভোগী জানান, রোববার বিকেলে ইউএনওর অফিসের বারান্দায় জাসদ নেতার পথ রোধ করেন স্থানীয় কয়েকজন ভুক্তভোগী। তাঁকে আটকের খবর ছড়িয়ে পড়লে উপজেলা পরিষদ প্রাঙ্গণে একই অভিযোগ নিয়ে স্থানীয় আলাউদ্দিন আহামেদ চৌধুরী নাসিম কলেজের অফিস সহকারী ছালেহ আহাম্মদ চৌধুরী, সাঈদ চৌধুরীসহ আরও ১০ জন জড়ো হন। তাঁদের সবার একই অভিযোগ, গভীর নলকূপ দেওয়ার কথা বলে তছলিম তাদের কাছ থেকে প্রতিটি নলকূপের জন্য ২৫-৩০ হাজার টাকা করে নিয়েছেন। কিন্তু গত দুই বছরেও নলকূপ বরাদ্দ দিতে পারেননি। তাঁকে মোবাইল ফোনে কল দিলে তিনি কেটে দেন এবং বিভিন্ন ধরনের টালবাহানা করেন।
পরে ক্ষতিগ্রস্তরা উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরে গিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন। একে একে ক্ষতিগ্রস্তরা উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের উপসহকারী প্রকৌশলীর কাছে অভিযোগ করেন। এরপর তোপের মুখে ক্ষতিগ্রস্ত দিদারুল আলম ও আমিনুর রহমান নামের দুজনকে ১০ হাজার টাকা ফেরত দিয়েছেন। জাসদ নেতা তছলিম দুজনের কাছ থেকে গভীর নলকূপ বরাদ্দ দেওয়ার কথা বলে ৫০ হাজার টাকা নিয়েছেন বলে তাঁরা অভিযোগ করেছেন। বাকি টাকা কিছুদিনের মধ্যে ফেরত দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে সেখান থেকে ছাড়া পান।
মনছুর আহাম্মদ নামে পরশুরাম উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ের একজন কর্মচারী বলেন, ‘আমার কাছ থেকে ২৫ হাজার টাকা নেওয়ার পরও গত দুই বছর ধরে নলকূপ বরাদ্দ না দেওয়ায় রোববার বিকেলে আমি জাসদ নেতাদের ইউএনও অফিসের বারান্দায় পথরোধ করেছিলাম। নলকূপ না দিতে পারলে টাকা ফেরতে দিতে চাপ দেই।’
উপজেলার চিথলিয়া ইউনিয়নের জঙ্গলঘোনা গ্রামের দিদারুল আলম বলেন, উপজেলা ও তিনটি ইউনিয়ন এবং পৌর এলাকায় দুই শতাধিক লোকের কাছ থেকে প্রতিটি নলকূূপের জন্য ২৫-৩০ হাজার টাকা আদায় করেছেন। ২০০ জনের মধ্যে রয়েছে রাজনৈতিক দলের নেতা-কর্মী, স্থানীয় ইউপি সদস্য, স্কুল-কলেজের শিক্ষক, সরকারি দপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার লোকজন।
আলাউদ্দিন আহমেদ চৌধুরী নাসিম কলেজের অফিস সহকারী ছালেহ আহাম্মদ চৌধুরী সুজন এবং সাঈদ চৌধুরী, মির্জানগর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক সদস্য ফখরুল ইসলাম ফারুখ, বর্তমান সংরক্ষিত মহিলা ওয়ার্ডর সদস্যের স্বামী নুর হোসেন অভিযোগ করেন, জাসদ নেতা তছলিম নলকূপ দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে তাঁদের প্রত্যেকের কাছ থেকে ২৫-৩০ হাজার টাকা করে নিয়েছেন। অথচ সরকারিভাবে খরচ হচ্ছে মাত্র ১১ হাজার টাকা।
জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলী অধিদপ্তরের উপসহকারী প্রকৌশলীর কাছে অভিযোগ করেন উপজেলার জঙ্গলঘোনা গ্রামের দিদারুল আলম ও তাঁর ভগ্নিপতি আমিনুর রহমান। অভিযোগে তাঁরা জানান, দুজনকে গভীর নলকূপ বরাদ্দ দেওয়ার কথা বলে তছলিম আহমেদ চৌধুরী ৫০ হাজার টাকা আদায় করেছেন। কিন্তু গত দুই বছর অপেক্ষার পরও নলকূপ বরাদ্দ দিচ্ছেন না। নানা অজুহাতে টালবাহানা করছেন বলে অভিযোগ করেন তাঁরা।
রোববার বিকেলে উপজেলা পরিষদ প্রাঙ্গণে একই সময় ছালেহ আহাম্মদ চৌধুরী সুজন ও সাঈদ চৌধুরী অভিযোগ করেন, তাঁদের দুজনের কাছ থেকেও জাসদ নেতারা ৫০ হাজার টাকা করে এবং চারজনের কাছ থেকে ১ লাখ টাকা আদায় করেছেন। কিন্তু গত দুই বছরেও তারা নলকূপ বরাদ্দ পাননি।
মির্জানগর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মো. নুরুজ্জামান ভুট্টো বলেন, ‘গত শনিবার (৬ মে) রাতে সংসদ সদস্য শিরিন আখতারের ছেলে জাসদ নেতা অমিত মনোশিষ মির্জানগর ইউনিয়ন পরিষদে গেলে সেখানেও স্থানীয় একাধিক জনপ্রতিনিধি জাসদ নেতাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন। তাঁদের অভিযোগ, এমপির কথা বলে গভীর নলকূপ বরাদ্দের নামে টাকা নিয়ে টালবাহানা দেখাচ্ছে।’
পরশুরাম উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের উপসহকারী প্রকৌশলী মো. ফাহাদ হোসেন ভুঁইয়া বলেন, ‘গ্রামীণ এলাকায় নিরাপদ পানি সরবরাহ নিশ্চিত করতে সারা দেশে ৬ লাখ গভীর ও অগভীর নলকূপ বসানোর উদ্যোগ নিয়েছে বর্তমান সরকার। তার মধ্যে পরশুরাম উপজেলায় ৪৯টি নলকূপ বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। রানা এন্টারপ্রাইজ নামের একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান কাজ পায়। কিন্তু ফেনী-১ আসনের সংসদ সদস্য শিরিন আখতারের বরাদ্দকৃত নলকূপের ৪৯ জনের তালিকার মধ্যে বেশির ভাগ লোকের নাম ও ফোন নম্বরসহ বিভিন্ন তথ্য ভুল থাকায় তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হচ্ছিল না।’
অভিযোগের বিষয়ে পরশুরাম উপজেলা জাসদের সহসভাপতি ও ফেনী জেলা জাসদের সাংগঠনিক সম্পাদক তছলিম আহমেদ চৌধুরী বলেন, ‘উপজেলা জাসদের দলীয় কার্যক্রমের খরচ চালানোর জন্য আমাকে শুধু ছয়টি গভীর নলকূপ বরাদ্দ দিয়েছে। সেগুলোর জন্য আমি কয়েকজনের কাছ থেকে ২৫ হাজার টাকা করে নিয়েছি। যেহেতু নলকূপ বরাদ্দ দিতে পারি নাই, তাই দুই-এক দিনের মধ্যে টাকা ফেরত দিয়ে দেব।’
পরশুরাম উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের উপসহকারী প্রকৌশলী মো. ফাহাদ হোসেন ভুঁইয়া বলেন, ‘এমপি মহোদয়ের কথা বলে এবং জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের অফিস খরচের কথা বলে জাসদ নেতারা প্রতিটি নলকূপের জন্য ২৫-৩০ হাজার টাকা আদায় করছেন। এতে এমপি ও সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, ‘সরকারি কোষাগারে শুধু ভ্যাট-ট্যাক্সসহ ১১ হাজার টাকা জমা দেওয়ার নিয়ম রয়েছে। অথচ মিথ্যা তথ্য দিয়ে লোকজনের কাছ থেকে দ্বিগুণ টাকা আদায় করছে।’
পরশুরাম (ফেনী) প্রতিনিধি

ফেনীর পরশুরামে গভীর নলকূপ বরাদ্দ দেওয়ার কথা বলে টাকা নেন তছলিম আহাম্মেদ নামে উপজেলা জাসদের এক নেতা। দুই বছরেও নলকূপ অথবা সেই টাকা ফেরত দিতে না পারায় গ্রামবাসীর তোপের মুখে পড়েন তিনি। এরপর তাঁকে আটক করেন ভুক্তভোগীরা। পরে কিছু টাকা দিয়ে এবং বাকি টাকা পরে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে রক্ষা পান।
গতকাল রোববার বিকেলে উপজেলা পরিষদ কার্যালয়ের সামনে এ ঘটনা ঘটে। এ সময় ওই নেতাকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত ও মারধর করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
জাসদ নেতা তছলিম আহাম্মেদ চৌধুরী জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ) উপজেলা সহসভাপতি ও ফেনী জেলা জাসদের সাংগঠনিক সম্পাদক।
স্থানীয়রা ও একাধিক ভুক্তভোগী জানান, রোববার বিকেলে ইউএনওর অফিসের বারান্দায় জাসদ নেতার পথ রোধ করেন স্থানীয় কয়েকজন ভুক্তভোগী। তাঁকে আটকের খবর ছড়িয়ে পড়লে উপজেলা পরিষদ প্রাঙ্গণে একই অভিযোগ নিয়ে স্থানীয় আলাউদ্দিন আহামেদ চৌধুরী নাসিম কলেজের অফিস সহকারী ছালেহ আহাম্মদ চৌধুরী, সাঈদ চৌধুরীসহ আরও ১০ জন জড়ো হন। তাঁদের সবার একই অভিযোগ, গভীর নলকূপ দেওয়ার কথা বলে তছলিম তাদের কাছ থেকে প্রতিটি নলকূপের জন্য ২৫-৩০ হাজার টাকা করে নিয়েছেন। কিন্তু গত দুই বছরেও নলকূপ বরাদ্দ দিতে পারেননি। তাঁকে মোবাইল ফোনে কল দিলে তিনি কেটে দেন এবং বিভিন্ন ধরনের টালবাহানা করেন।
পরে ক্ষতিগ্রস্তরা উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরে গিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন। একে একে ক্ষতিগ্রস্তরা উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের উপসহকারী প্রকৌশলীর কাছে অভিযোগ করেন। এরপর তোপের মুখে ক্ষতিগ্রস্ত দিদারুল আলম ও আমিনুর রহমান নামের দুজনকে ১০ হাজার টাকা ফেরত দিয়েছেন। জাসদ নেতা তছলিম দুজনের কাছ থেকে গভীর নলকূপ বরাদ্দ দেওয়ার কথা বলে ৫০ হাজার টাকা নিয়েছেন বলে তাঁরা অভিযোগ করেছেন। বাকি টাকা কিছুদিনের মধ্যে ফেরত দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে সেখান থেকে ছাড়া পান।
মনছুর আহাম্মদ নামে পরশুরাম উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ের একজন কর্মচারী বলেন, ‘আমার কাছ থেকে ২৫ হাজার টাকা নেওয়ার পরও গত দুই বছর ধরে নলকূপ বরাদ্দ না দেওয়ায় রোববার বিকেলে আমি জাসদ নেতাদের ইউএনও অফিসের বারান্দায় পথরোধ করেছিলাম। নলকূপ না দিতে পারলে টাকা ফেরতে দিতে চাপ দেই।’
উপজেলার চিথলিয়া ইউনিয়নের জঙ্গলঘোনা গ্রামের দিদারুল আলম বলেন, উপজেলা ও তিনটি ইউনিয়ন এবং পৌর এলাকায় দুই শতাধিক লোকের কাছ থেকে প্রতিটি নলকূূপের জন্য ২৫-৩০ হাজার টাকা আদায় করেছেন। ২০০ জনের মধ্যে রয়েছে রাজনৈতিক দলের নেতা-কর্মী, স্থানীয় ইউপি সদস্য, স্কুল-কলেজের শিক্ষক, সরকারি দপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার লোকজন।
আলাউদ্দিন আহমেদ চৌধুরী নাসিম কলেজের অফিস সহকারী ছালেহ আহাম্মদ চৌধুরী সুজন এবং সাঈদ চৌধুরী, মির্জানগর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক সদস্য ফখরুল ইসলাম ফারুখ, বর্তমান সংরক্ষিত মহিলা ওয়ার্ডর সদস্যের স্বামী নুর হোসেন অভিযোগ করেন, জাসদ নেতা তছলিম নলকূপ দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে তাঁদের প্রত্যেকের কাছ থেকে ২৫-৩০ হাজার টাকা করে নিয়েছেন। অথচ সরকারিভাবে খরচ হচ্ছে মাত্র ১১ হাজার টাকা।
জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলী অধিদপ্তরের উপসহকারী প্রকৌশলীর কাছে অভিযোগ করেন উপজেলার জঙ্গলঘোনা গ্রামের দিদারুল আলম ও তাঁর ভগ্নিপতি আমিনুর রহমান। অভিযোগে তাঁরা জানান, দুজনকে গভীর নলকূপ বরাদ্দ দেওয়ার কথা বলে তছলিম আহমেদ চৌধুরী ৫০ হাজার টাকা আদায় করেছেন। কিন্তু গত দুই বছর অপেক্ষার পরও নলকূপ বরাদ্দ দিচ্ছেন না। নানা অজুহাতে টালবাহানা করছেন বলে অভিযোগ করেন তাঁরা।
রোববার বিকেলে উপজেলা পরিষদ প্রাঙ্গণে একই সময় ছালেহ আহাম্মদ চৌধুরী সুজন ও সাঈদ চৌধুরী অভিযোগ করেন, তাঁদের দুজনের কাছ থেকেও জাসদ নেতারা ৫০ হাজার টাকা করে এবং চারজনের কাছ থেকে ১ লাখ টাকা আদায় করেছেন। কিন্তু গত দুই বছরেও তারা নলকূপ বরাদ্দ পাননি।
মির্জানগর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মো. নুরুজ্জামান ভুট্টো বলেন, ‘গত শনিবার (৬ মে) রাতে সংসদ সদস্য শিরিন আখতারের ছেলে জাসদ নেতা অমিত মনোশিষ মির্জানগর ইউনিয়ন পরিষদে গেলে সেখানেও স্থানীয় একাধিক জনপ্রতিনিধি জাসদ নেতাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন। তাঁদের অভিযোগ, এমপির কথা বলে গভীর নলকূপ বরাদ্দের নামে টাকা নিয়ে টালবাহানা দেখাচ্ছে।’
পরশুরাম উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের উপসহকারী প্রকৌশলী মো. ফাহাদ হোসেন ভুঁইয়া বলেন, ‘গ্রামীণ এলাকায় নিরাপদ পানি সরবরাহ নিশ্চিত করতে সারা দেশে ৬ লাখ গভীর ও অগভীর নলকূপ বসানোর উদ্যোগ নিয়েছে বর্তমান সরকার। তার মধ্যে পরশুরাম উপজেলায় ৪৯টি নলকূপ বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। রানা এন্টারপ্রাইজ নামের একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান কাজ পায়। কিন্তু ফেনী-১ আসনের সংসদ সদস্য শিরিন আখতারের বরাদ্দকৃত নলকূপের ৪৯ জনের তালিকার মধ্যে বেশির ভাগ লোকের নাম ও ফোন নম্বরসহ বিভিন্ন তথ্য ভুল থাকায় তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হচ্ছিল না।’
অভিযোগের বিষয়ে পরশুরাম উপজেলা জাসদের সহসভাপতি ও ফেনী জেলা জাসদের সাংগঠনিক সম্পাদক তছলিম আহমেদ চৌধুরী বলেন, ‘উপজেলা জাসদের দলীয় কার্যক্রমের খরচ চালানোর জন্য আমাকে শুধু ছয়টি গভীর নলকূপ বরাদ্দ দিয়েছে। সেগুলোর জন্য আমি কয়েকজনের কাছ থেকে ২৫ হাজার টাকা করে নিয়েছি। যেহেতু নলকূপ বরাদ্দ দিতে পারি নাই, তাই দুই-এক দিনের মধ্যে টাকা ফেরত দিয়ে দেব।’
পরশুরাম উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের উপসহকারী প্রকৌশলী মো. ফাহাদ হোসেন ভুঁইয়া বলেন, ‘এমপি মহোদয়ের কথা বলে এবং জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের অফিস খরচের কথা বলে জাসদ নেতারা প্রতিটি নলকূপের জন্য ২৫-৩০ হাজার টাকা আদায় করছেন। এতে এমপি ও সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, ‘সরকারি কোষাগারে শুধু ভ্যাট-ট্যাক্সসহ ১১ হাজার টাকা জমা দেওয়ার নিয়ম রয়েছে। অথচ মিথ্যা তথ্য দিয়ে লোকজনের কাছ থেকে দ্বিগুণ টাকা আদায় করছে।’

ফেনীর পরশুরামে গভীর নলকূপ বরাদ্দ দেওয়ার কথা বলে টাকা নেন তছলিম আহাম্মেদ নামে উপজেলা জাসদের এক নেতা। দুই বছরেও নলকূপ অথবা সেই টাকা ফেরত দিতে না পারায় গ্রামবাসীর তোপের মুখে পড়েন তিনি। এরপর তাঁকে আটক করেন ভুক্তভোগীরা। পরে কিছু টাকা দিয়ে এবং বাকি টাকা পরে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে রক্ষা পান।
গতকাল রোববার বিকেলে উপজেলা পরিষদ কার্যালয়ের সামনে এ ঘটনা ঘটে। এ সময় ওই নেতাকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত ও মারধর করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
জাসদ নেতা তছলিম আহাম্মেদ চৌধুরী জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ) উপজেলা সহসভাপতি ও ফেনী জেলা জাসদের সাংগঠনিক সম্পাদক।
স্থানীয়রা ও একাধিক ভুক্তভোগী জানান, রোববার বিকেলে ইউএনওর অফিসের বারান্দায় জাসদ নেতার পথ রোধ করেন স্থানীয় কয়েকজন ভুক্তভোগী। তাঁকে আটকের খবর ছড়িয়ে পড়লে উপজেলা পরিষদ প্রাঙ্গণে একই অভিযোগ নিয়ে স্থানীয় আলাউদ্দিন আহামেদ চৌধুরী নাসিম কলেজের অফিস সহকারী ছালেহ আহাম্মদ চৌধুরী, সাঈদ চৌধুরীসহ আরও ১০ জন জড়ো হন। তাঁদের সবার একই অভিযোগ, গভীর নলকূপ দেওয়ার কথা বলে তছলিম তাদের কাছ থেকে প্রতিটি নলকূপের জন্য ২৫-৩০ হাজার টাকা করে নিয়েছেন। কিন্তু গত দুই বছরেও নলকূপ বরাদ্দ দিতে পারেননি। তাঁকে মোবাইল ফোনে কল দিলে তিনি কেটে দেন এবং বিভিন্ন ধরনের টালবাহানা করেন।
পরে ক্ষতিগ্রস্তরা উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরে গিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন। একে একে ক্ষতিগ্রস্তরা উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের উপসহকারী প্রকৌশলীর কাছে অভিযোগ করেন। এরপর তোপের মুখে ক্ষতিগ্রস্ত দিদারুল আলম ও আমিনুর রহমান নামের দুজনকে ১০ হাজার টাকা ফেরত দিয়েছেন। জাসদ নেতা তছলিম দুজনের কাছ থেকে গভীর নলকূপ বরাদ্দ দেওয়ার কথা বলে ৫০ হাজার টাকা নিয়েছেন বলে তাঁরা অভিযোগ করেছেন। বাকি টাকা কিছুদিনের মধ্যে ফেরত দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে সেখান থেকে ছাড়া পান।
মনছুর আহাম্মদ নামে পরশুরাম উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ের একজন কর্মচারী বলেন, ‘আমার কাছ থেকে ২৫ হাজার টাকা নেওয়ার পরও গত দুই বছর ধরে নলকূপ বরাদ্দ না দেওয়ায় রোববার বিকেলে আমি জাসদ নেতাদের ইউএনও অফিসের বারান্দায় পথরোধ করেছিলাম। নলকূপ না দিতে পারলে টাকা ফেরতে দিতে চাপ দেই।’
উপজেলার চিথলিয়া ইউনিয়নের জঙ্গলঘোনা গ্রামের দিদারুল আলম বলেন, উপজেলা ও তিনটি ইউনিয়ন এবং পৌর এলাকায় দুই শতাধিক লোকের কাছ থেকে প্রতিটি নলকূূপের জন্য ২৫-৩০ হাজার টাকা আদায় করেছেন। ২০০ জনের মধ্যে রয়েছে রাজনৈতিক দলের নেতা-কর্মী, স্থানীয় ইউপি সদস্য, স্কুল-কলেজের শিক্ষক, সরকারি দপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার লোকজন।
আলাউদ্দিন আহমেদ চৌধুরী নাসিম কলেজের অফিস সহকারী ছালেহ আহাম্মদ চৌধুরী সুজন এবং সাঈদ চৌধুরী, মির্জানগর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক সদস্য ফখরুল ইসলাম ফারুখ, বর্তমান সংরক্ষিত মহিলা ওয়ার্ডর সদস্যের স্বামী নুর হোসেন অভিযোগ করেন, জাসদ নেতা তছলিম নলকূপ দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে তাঁদের প্রত্যেকের কাছ থেকে ২৫-৩০ হাজার টাকা করে নিয়েছেন। অথচ সরকারিভাবে খরচ হচ্ছে মাত্র ১১ হাজার টাকা।
জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলী অধিদপ্তরের উপসহকারী প্রকৌশলীর কাছে অভিযোগ করেন উপজেলার জঙ্গলঘোনা গ্রামের দিদারুল আলম ও তাঁর ভগ্নিপতি আমিনুর রহমান। অভিযোগে তাঁরা জানান, দুজনকে গভীর নলকূপ বরাদ্দ দেওয়ার কথা বলে তছলিম আহমেদ চৌধুরী ৫০ হাজার টাকা আদায় করেছেন। কিন্তু গত দুই বছর অপেক্ষার পরও নলকূপ বরাদ্দ দিচ্ছেন না। নানা অজুহাতে টালবাহানা করছেন বলে অভিযোগ করেন তাঁরা।
রোববার বিকেলে উপজেলা পরিষদ প্রাঙ্গণে একই সময় ছালেহ আহাম্মদ চৌধুরী সুজন ও সাঈদ চৌধুরী অভিযোগ করেন, তাঁদের দুজনের কাছ থেকেও জাসদ নেতারা ৫০ হাজার টাকা করে এবং চারজনের কাছ থেকে ১ লাখ টাকা আদায় করেছেন। কিন্তু গত দুই বছরেও তারা নলকূপ বরাদ্দ পাননি।
মির্জানগর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মো. নুরুজ্জামান ভুট্টো বলেন, ‘গত শনিবার (৬ মে) রাতে সংসদ সদস্য শিরিন আখতারের ছেলে জাসদ নেতা অমিত মনোশিষ মির্জানগর ইউনিয়ন পরিষদে গেলে সেখানেও স্থানীয় একাধিক জনপ্রতিনিধি জাসদ নেতাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন। তাঁদের অভিযোগ, এমপির কথা বলে গভীর নলকূপ বরাদ্দের নামে টাকা নিয়ে টালবাহানা দেখাচ্ছে।’
পরশুরাম উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের উপসহকারী প্রকৌশলী মো. ফাহাদ হোসেন ভুঁইয়া বলেন, ‘গ্রামীণ এলাকায় নিরাপদ পানি সরবরাহ নিশ্চিত করতে সারা দেশে ৬ লাখ গভীর ও অগভীর নলকূপ বসানোর উদ্যোগ নিয়েছে বর্তমান সরকার। তার মধ্যে পরশুরাম উপজেলায় ৪৯টি নলকূপ বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। রানা এন্টারপ্রাইজ নামের একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান কাজ পায়। কিন্তু ফেনী-১ আসনের সংসদ সদস্য শিরিন আখতারের বরাদ্দকৃত নলকূপের ৪৯ জনের তালিকার মধ্যে বেশির ভাগ লোকের নাম ও ফোন নম্বরসহ বিভিন্ন তথ্য ভুল থাকায় তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হচ্ছিল না।’
অভিযোগের বিষয়ে পরশুরাম উপজেলা জাসদের সহসভাপতি ও ফেনী জেলা জাসদের সাংগঠনিক সম্পাদক তছলিম আহমেদ চৌধুরী বলেন, ‘উপজেলা জাসদের দলীয় কার্যক্রমের খরচ চালানোর জন্য আমাকে শুধু ছয়টি গভীর নলকূপ বরাদ্দ দিয়েছে। সেগুলোর জন্য আমি কয়েকজনের কাছ থেকে ২৫ হাজার টাকা করে নিয়েছি। যেহেতু নলকূপ বরাদ্দ দিতে পারি নাই, তাই দুই-এক দিনের মধ্যে টাকা ফেরত দিয়ে দেব।’
পরশুরাম উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের উপসহকারী প্রকৌশলী মো. ফাহাদ হোসেন ভুঁইয়া বলেন, ‘এমপি মহোদয়ের কথা বলে এবং জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের অফিস খরচের কথা বলে জাসদ নেতারা প্রতিটি নলকূপের জন্য ২৫-৩০ হাজার টাকা আদায় করছেন। এতে এমপি ও সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, ‘সরকারি কোষাগারে শুধু ভ্যাট-ট্যাক্সসহ ১১ হাজার টাকা জমা দেওয়ার নিয়ম রয়েছে। অথচ মিথ্যা তথ্য দিয়ে লোকজনের কাছ থেকে দ্বিগুণ টাকা আদায় করছে।’

চার বছর ১০ মাস পার হলেও শেষ হয়নি ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুর উপজেলার সাবদারপুর মুনসুর আলী একাডেমির নির্মাণাধীন ভবনের কাজ। ফলে কক্ষসংকটে পড়েছে শিক্ষার্থীরা। ক্লাস করতে হচ্ছে সায়েন্স ল্যাব, কমনরুম আর কম্পিউটার ল্যাবে। শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা বলছেন, দ্রুত রি-টেন্ডার করে কাজ শুরু করা হবে।
৬ মিনিট আগে
পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (পবিপ্রবি) বরিশাল ক্যাম্পাসে সদ্য নির্মিত বাসশেডের সামনের একটি স্ল্যাব উদ্বোধনের আগেই ভেঙে পড়েছে। এতে গর্তের সৃষ্টি হওয়ায় নির্মাণের মান ও স্বচ্ছতা নিয়ে শিক্ষার্থী ও সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের মধ্যে তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে,
২৭ মিনিট আগে
বিয়ের দাবিতে চাচার শ্যালিকা দুই দিন ধরে ভাতিজার বাড়িতে অবস্থান নিয়ে অনশন করছেন। প্রেমিকা (১৮) বাড়িতে আসার খবর পেয়ে পালিয়ে গেছেন প্রেমিক সোহান হোসেন (২০)। গতকাল সোমবার সিরাজগঞ্জের তাড়াশ উপজেলার বোয়ালিয়া গ্রামের পশ্চিমপাড়ায় এই ঘটনা ঘটে।
১ ঘণ্টা আগে
নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়ার জন্য জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) রাজশাহী মহানগর সমন্বয় কমিটি থেকে পদত্যাগ করেছেন এক সদস্য। তাঁর নাম পরিমল চন্দ্র ওঁরাও। গতকাল সোমবার দিবাগত রাতে এনসিপির রাজশাহী মহানগর সমন্বয় কমিটির প্রধান সমন্বয়কারীর কাছে পদত্যাগপত্র পাঠিয়েছেন তিনি।
১ ঘণ্টা আগেকোটচাঁদপুর (ঝিনাইদহ) প্রতিনিধি

চার বছর ১০ মাস পার হলেও শেষ হয়নি ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুর উপজেলার সাবদারপুর মুনসুর আলী একাডেমির নির্মাণাধীন ভবনের কাজ। ফলে কক্ষসংকটে পড়েছে শিক্ষার্থীরা। ক্লাস করতে হচ্ছে সায়েন্স ল্যাব, কমনরুম আর কম্পিউটার ল্যাবে। শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা বলছেন, দ্রুত রি-টেন্ডার করে কাজ শুরু করা হবে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ১৯৬০ সালে প্রতিষ্ঠিত সাবদারপুর মুনসুর আলী একাডেমি বর্তমানে ষষ্ঠ থেকে দশম শ্রেণি পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের পাঠদান করছে। এখন বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীর সংখ্যা ৬৫০ জন। এত শিক্ষার্থীর জন্য প্রয়োজন ১৮ থেকে ২০টি শ্রেণিকক্ষ, কিন্তু বিদ্যালয়ে রয়েছে মাত্র ১৪টি কক্ষ। এর মধ্যে আছে শিক্ষার্থীদের কমনরুম, সায়েন্স ল্যাব, কম্পিউটার ল্যাব ও শিক্ষকদের অফিস।

কক্ষসংকট দূর করতে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরে আবেদন করে। এর পরিপ্রেক্ষিতে ২০২১ সালের ১৩ জানুয়ারি প্রায় ৮০ লাখ টাকা ব্যয়ে চারতলা একাডেমিক ভবনের নির্মাণকাজ শুরু হয়। শুরুতে কিছু কাজ হলেও একাধিকবার বন্ধ হয়ে যায় প্রকল্পটি। সম্প্রতি ঠিকাদারের কার্যাদেশ বাতিল করেছে জেলা শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর, এখন কাজটি পুনরায় টেন্ডারের প্রক্রিয়ায় রয়েছে।
এদিকে কক্ষের অভাবে শিক্ষার্থীরা হারিয়েছে স্বাভাবিক শিক্ষার পরিবেশ। শ্রেণিকক্ষ না থাকায় ক্লাস চলছে বিকল্প কক্ষে। জানতে চাইলে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আমিন উদ্দিন বলেন, ‘আমাদের ছয় শতাধিক শিক্ষার্থী আছে, কিন্তু কক্ষ মাত্র ১৪টি। ফলে পাঠদান করতে হচ্ছে ল্যাব, কমনরুম ও কম্পিউটার ল্যাবে। ভবন নির্মাণের অনুমোদন পাওয়া গেলেও কাজ অসমাপ্ত থাকায় শিক্ষার্থীদের ভোগান্তি কমছে না।’
এ বিষয়ে জেলা শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী সুব্রত কুমার পাল বলেন, ‘ঠিকাদার কাজ শুরু করলেও বারবার বন্ধ রেখেছিল। বারবার তাগাদা দেওয়ার পরও তারা কাজ শেষ করেনি। নির্ধারিত সময় ছিল ১৩ অক্টোবর ২০২১, কিন্তু তারা কাজ ফেলে রাখায় কার্যাদেশ বাতিল করা হয়েছে। খুব দ্রুত রি-টেন্ডার করে নতুন করে কাজ শুরু করা হবে।’

চার বছর ১০ মাস পার হলেও শেষ হয়নি ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুর উপজেলার সাবদারপুর মুনসুর আলী একাডেমির নির্মাণাধীন ভবনের কাজ। ফলে কক্ষসংকটে পড়েছে শিক্ষার্থীরা। ক্লাস করতে হচ্ছে সায়েন্স ল্যাব, কমনরুম আর কম্পিউটার ল্যাবে। শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা বলছেন, দ্রুত রি-টেন্ডার করে কাজ শুরু করা হবে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ১৯৬০ সালে প্রতিষ্ঠিত সাবদারপুর মুনসুর আলী একাডেমি বর্তমানে ষষ্ঠ থেকে দশম শ্রেণি পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের পাঠদান করছে। এখন বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীর সংখ্যা ৬৫০ জন। এত শিক্ষার্থীর জন্য প্রয়োজন ১৮ থেকে ২০টি শ্রেণিকক্ষ, কিন্তু বিদ্যালয়ে রয়েছে মাত্র ১৪টি কক্ষ। এর মধ্যে আছে শিক্ষার্থীদের কমনরুম, সায়েন্স ল্যাব, কম্পিউটার ল্যাব ও শিক্ষকদের অফিস।

কক্ষসংকট দূর করতে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরে আবেদন করে। এর পরিপ্রেক্ষিতে ২০২১ সালের ১৩ জানুয়ারি প্রায় ৮০ লাখ টাকা ব্যয়ে চারতলা একাডেমিক ভবনের নির্মাণকাজ শুরু হয়। শুরুতে কিছু কাজ হলেও একাধিকবার বন্ধ হয়ে যায় প্রকল্পটি। সম্প্রতি ঠিকাদারের কার্যাদেশ বাতিল করেছে জেলা শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর, এখন কাজটি পুনরায় টেন্ডারের প্রক্রিয়ায় রয়েছে।
এদিকে কক্ষের অভাবে শিক্ষার্থীরা হারিয়েছে স্বাভাবিক শিক্ষার পরিবেশ। শ্রেণিকক্ষ না থাকায় ক্লাস চলছে বিকল্প কক্ষে। জানতে চাইলে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আমিন উদ্দিন বলেন, ‘আমাদের ছয় শতাধিক শিক্ষার্থী আছে, কিন্তু কক্ষ মাত্র ১৪টি। ফলে পাঠদান করতে হচ্ছে ল্যাব, কমনরুম ও কম্পিউটার ল্যাবে। ভবন নির্মাণের অনুমোদন পাওয়া গেলেও কাজ অসমাপ্ত থাকায় শিক্ষার্থীদের ভোগান্তি কমছে না।’
এ বিষয়ে জেলা শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী সুব্রত কুমার পাল বলেন, ‘ঠিকাদার কাজ শুরু করলেও বারবার বন্ধ রেখেছিল। বারবার তাগাদা দেওয়ার পরও তারা কাজ শেষ করেনি। নির্ধারিত সময় ছিল ১৩ অক্টোবর ২০২১, কিন্তু তারা কাজ ফেলে রাখায় কার্যাদেশ বাতিল করা হয়েছে। খুব দ্রুত রি-টেন্ডার করে নতুন করে কাজ শুরু করা হবে।’

ফেনীর পরশুরামে গভীর নলকূপ বরাদ্দ দেওয়ার কথা বলে টাকা নেন তছলিম আহাম্মেদ নামে উপজেলা জাসদের এক নেতা। দুই বছরেও নলকূপ অথবা সেই টাকা ফেরত দিতে না পারায় গ্রামবাসীর তোপের মুখে পড়েন তিনি। এরপর তাঁকে আটক করেন ভুক্তভোগীরা। পরে কিছু টাকা দিয়ে এবং বাকি টাকা পরে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে রক্ষা পান।
০৯ মে ২০২৩
পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (পবিপ্রবি) বরিশাল ক্যাম্পাসে সদ্য নির্মিত বাসশেডের সামনের একটি স্ল্যাব উদ্বোধনের আগেই ভেঙে পড়েছে। এতে গর্তের সৃষ্টি হওয়ায় নির্মাণের মান ও স্বচ্ছতা নিয়ে শিক্ষার্থী ও সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের মধ্যে তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে,
২৭ মিনিট আগে
বিয়ের দাবিতে চাচার শ্যালিকা দুই দিন ধরে ভাতিজার বাড়িতে অবস্থান নিয়ে অনশন করছেন। প্রেমিকা (১৮) বাড়িতে আসার খবর পেয়ে পালিয়ে গেছেন প্রেমিক সোহান হোসেন (২০)। গতকাল সোমবার সিরাজগঞ্জের তাড়াশ উপজেলার বোয়ালিয়া গ্রামের পশ্চিমপাড়ায় এই ঘটনা ঘটে।
১ ঘণ্টা আগে
নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়ার জন্য জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) রাজশাহী মহানগর সমন্বয় কমিটি থেকে পদত্যাগ করেছেন এক সদস্য। তাঁর নাম পরিমল চন্দ্র ওঁরাও। গতকাল সোমবার দিবাগত রাতে এনসিপির রাজশাহী মহানগর সমন্বয় কমিটির প্রধান সমন্বয়কারীর কাছে পদত্যাগপত্র পাঠিয়েছেন তিনি।
১ ঘণ্টা আগেপবিপ্রবি সংবাদদাতা

পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (পবিপ্রবি) বরিশাল ক্যাম্পাসে সদ্য নির্মিত বাসশেডের সামনের একটি স্ল্যাব উদ্বোধনের আগেই ভেঙে পড়েছে। এতে গর্তের সৃষ্টি হওয়ায় নির্মাণের মান ও স্বচ্ছতা নিয়ে শিক্ষার্থী ও সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের মধ্যে তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, টিনের ছাউনিযুক্ত এই বাসশেড নির্মাণে প্রায় ১৪ লাখ টাকা বরাদ্দ ছিল। তবে উদ্বোধনের আগেই স্ল্যাব ভেঙে পড়ায় প্রকল্পের গুণগত মান নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। ঘটনাস্থলে ছড়িয়ে থাকা দুর্বল কংক্রিট, খোয়া ও মরিচা পড়া রডের টুকরাগুলো নিম্নমানের নির্মাণসামগ্রী ব্যবহারের প্রমাণ হিসেবে দেখা হচ্ছে।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের একাধিক শিক্ষার্থী বলেন, নতুন স্থাপনার এমন পরিণতি উদ্বেগজনক। এটি ভবিষ্যতে অন্যান্য নির্মাণ প্রকল্পের মান নিয়েও সন্দেহ সৃষ্টি করছে।
এদিকে ঘটনার পর সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ স্ল্যাব পুনর্নির্মাণের কাজ শুরু করেছে। এ বিষয়ে ঠিকাদার আব্দুল হালিম বলেন, ‘সাধারণত নির্মাণকাজ শেষ হওয়ার পর ২৭ দিন পর্যন্ত ব্যবহার না করার নির্দেশনা থাকে। কিন্তু ভারী মালবাহী ট্রাক চলাচলের কারণে স্ল্যাবের এক পাশে ক্ষতি হয়েছে।’ নিম্নমানের ইট ব্যবহারের অভিযোগ সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘শুরুর দিকে কিছু পুরোনো ইট ব্যবহার করা হয়েছিল। তবে অভিযোগ পাওয়ার পর তা বন্ধ করা হয়েছে।’
এ বিষয়ে মনিটরিং কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. আহসানুর রেজা আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘নিম্নমানের ইট ব্যবহারের কথা জানার সঙ্গে সঙ্গে আমরা দ্রুত ব্যবস্থা নিয়েছি, কাজ বন্ধ করে দিয়েছি। খুব দ্রুত আমরা এটি ঠিক করার ব্যবস্থা করব।’

পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (পবিপ্রবি) বরিশাল ক্যাম্পাসে সদ্য নির্মিত বাসশেডের সামনের একটি স্ল্যাব উদ্বোধনের আগেই ভেঙে পড়েছে। এতে গর্তের সৃষ্টি হওয়ায় নির্মাণের মান ও স্বচ্ছতা নিয়ে শিক্ষার্থী ও সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের মধ্যে তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, টিনের ছাউনিযুক্ত এই বাসশেড নির্মাণে প্রায় ১৪ লাখ টাকা বরাদ্দ ছিল। তবে উদ্বোধনের আগেই স্ল্যাব ভেঙে পড়ায় প্রকল্পের গুণগত মান নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। ঘটনাস্থলে ছড়িয়ে থাকা দুর্বল কংক্রিট, খোয়া ও মরিচা পড়া রডের টুকরাগুলো নিম্নমানের নির্মাণসামগ্রী ব্যবহারের প্রমাণ হিসেবে দেখা হচ্ছে।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের একাধিক শিক্ষার্থী বলেন, নতুন স্থাপনার এমন পরিণতি উদ্বেগজনক। এটি ভবিষ্যতে অন্যান্য নির্মাণ প্রকল্পের মান নিয়েও সন্দেহ সৃষ্টি করছে।
এদিকে ঘটনার পর সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ স্ল্যাব পুনর্নির্মাণের কাজ শুরু করেছে। এ বিষয়ে ঠিকাদার আব্দুল হালিম বলেন, ‘সাধারণত নির্মাণকাজ শেষ হওয়ার পর ২৭ দিন পর্যন্ত ব্যবহার না করার নির্দেশনা থাকে। কিন্তু ভারী মালবাহী ট্রাক চলাচলের কারণে স্ল্যাবের এক পাশে ক্ষতি হয়েছে।’ নিম্নমানের ইট ব্যবহারের অভিযোগ সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘শুরুর দিকে কিছু পুরোনো ইট ব্যবহার করা হয়েছিল। তবে অভিযোগ পাওয়ার পর তা বন্ধ করা হয়েছে।’
এ বিষয়ে মনিটরিং কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. আহসানুর রেজা আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘নিম্নমানের ইট ব্যবহারের কথা জানার সঙ্গে সঙ্গে আমরা দ্রুত ব্যবস্থা নিয়েছি, কাজ বন্ধ করে দিয়েছি। খুব দ্রুত আমরা এটি ঠিক করার ব্যবস্থা করব।’

ফেনীর পরশুরামে গভীর নলকূপ বরাদ্দ দেওয়ার কথা বলে টাকা নেন তছলিম আহাম্মেদ নামে উপজেলা জাসদের এক নেতা। দুই বছরেও নলকূপ অথবা সেই টাকা ফেরত দিতে না পারায় গ্রামবাসীর তোপের মুখে পড়েন তিনি। এরপর তাঁকে আটক করেন ভুক্তভোগীরা। পরে কিছু টাকা দিয়ে এবং বাকি টাকা পরে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে রক্ষা পান।
০৯ মে ২০২৩
চার বছর ১০ মাস পার হলেও শেষ হয়নি ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুর উপজেলার সাবদারপুর মুনসুর আলী একাডেমির নির্মাণাধীন ভবনের কাজ। ফলে কক্ষসংকটে পড়েছে শিক্ষার্থীরা। ক্লাস করতে হচ্ছে সায়েন্স ল্যাব, কমনরুম আর কম্পিউটার ল্যাবে। শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা বলছেন, দ্রুত রি-টেন্ডার করে কাজ শুরু করা হবে।
৬ মিনিট আগে
বিয়ের দাবিতে চাচার শ্যালিকা দুই দিন ধরে ভাতিজার বাড়িতে অবস্থান নিয়ে অনশন করছেন। প্রেমিকা (১৮) বাড়িতে আসার খবর পেয়ে পালিয়ে গেছেন প্রেমিক সোহান হোসেন (২০)। গতকাল সোমবার সিরাজগঞ্জের তাড়াশ উপজেলার বোয়ালিয়া গ্রামের পশ্চিমপাড়ায় এই ঘটনা ঘটে।
১ ঘণ্টা আগে
নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়ার জন্য জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) রাজশাহী মহানগর সমন্বয় কমিটি থেকে পদত্যাগ করেছেন এক সদস্য। তাঁর নাম পরিমল চন্দ্র ওঁরাও। গতকাল সোমবার দিবাগত রাতে এনসিপির রাজশাহী মহানগর সমন্বয় কমিটির প্রধান সমন্বয়কারীর কাছে পদত্যাগপত্র পাঠিয়েছেন তিনি।
১ ঘণ্টা আগেতাড়াশ (সিরাজগঞ্জ) সংবাদদাতা

িয়ের দাবিতে চাচার শ্যালিকা দুই দিন ধরে ভাতিজার বাড়িতে অবস্থান নিয়ে অনশন করছেন। প্রেমিকা (১৮) বাড়িতে আসার খবর পেয়ে পালিয়ে গেছেন প্রেমিক সোহান হোসেন (২০)। গতকাল সোমবার সিরাজগঞ্জের তাড়াশ উপজেলার বোয়ালিয়া গ্রামের পশ্চিমপাড়ায় এই ঘটনা ঘটে।
ওই তরুণী প্রেমিক সোহান হোসেনের চাচার আপন শ্যালিকা। সোহান হোসেন বোয়ালিয়া গ্রামের জাব্বার সরকারের ছেলে।
স্থানীয় বাসিন্দারা বলছেন, ভাতিজা ও খালার মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক আগে থেকে। উভয়ের বাড়ি একই এলাকায় হওয়ার তাঁরা অনায়াসে যাতায়াত করতেন। এর আগেও জাব্বার সরকারের বাড়িতে বিয়ের দাবি তুলেছিলেন ওই তরুণী। পরে বুঝিয়ে তাঁকে ফেরত পাঠানো হয়েছিল। এবার বিয়ের দাবিতে অনশন শুরু করলে প্রেমিক পালিয়ে যান।
প্রত্যক্ষদর্শীরা বলছেন, সোহানের বাড়ির সামনে উৎসুক নারী-পুরুষের ভিড় জমেছে। গণমাধ্যমকর্মীরা পৌঁছালে জাব্বার সরকারের পরিবারের লোকেরা কথা বলতে রাজি হননি। অনশনরত ওই তরুণী এখনো বাড়িতে অবস্থান করছেন, তবে কাউকে বাড়িতে প্রবেশ বা কথা বলা নিষিদ্ধ করেছেন সোহানের বাবা।
স্থানীয় লোকজন জানায়, জাব্বার সরকারের বাড়িতে গত রাত থেকে তাঁর ছেলের কথিত প্রেমিকা অনশন শুরু করেন। এতে ক্ষুব্ধ এলাকাবাসী সোহান হোসেনের এমন অসামাজিক কর্মকাণ্ড দেখে পরিবারের যাতায়াতের পথও বন্ধ করে দিয়েছেন। কিন্তু উৎসুক জনতা সেসব উপেক্ষা করে সেখানে ভিড় জমাচ্ছেন।
জানতে চাইলে ইউপি সদস্য সোলায়মান হোসেন জানান, ‘মহিলার সঙ্গে আমার কথা হয়েছে। তিনি জানিয়েছেন, তাঁদের সম্পর্ক প্রায় দেড় মাস ধরে। গত সোমবার রাত থেকে তিনি জাব্বারের বাড়িতে অবস্থান করছেন, কিন্তু ছেলেটি পালিয়ে গেছেন।’
এ বিষয়ে তাড়াশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জিয়াউর রহমান বলেন, ‘আমি এখনো বিষয়টি জানি না। কেউ অবহিত করেননি। তাই এ বিষয়ে মন্তব্য করতে পারছি না।’

িয়ের দাবিতে চাচার শ্যালিকা দুই দিন ধরে ভাতিজার বাড়িতে অবস্থান নিয়ে অনশন করছেন। প্রেমিকা (১৮) বাড়িতে আসার খবর পেয়ে পালিয়ে গেছেন প্রেমিক সোহান হোসেন (২০)। গতকাল সোমবার সিরাজগঞ্জের তাড়াশ উপজেলার বোয়ালিয়া গ্রামের পশ্চিমপাড়ায় এই ঘটনা ঘটে।
ওই তরুণী প্রেমিক সোহান হোসেনের চাচার আপন শ্যালিকা। সোহান হোসেন বোয়ালিয়া গ্রামের জাব্বার সরকারের ছেলে।
স্থানীয় বাসিন্দারা বলছেন, ভাতিজা ও খালার মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক আগে থেকে। উভয়ের বাড়ি একই এলাকায় হওয়ার তাঁরা অনায়াসে যাতায়াত করতেন। এর আগেও জাব্বার সরকারের বাড়িতে বিয়ের দাবি তুলেছিলেন ওই তরুণী। পরে বুঝিয়ে তাঁকে ফেরত পাঠানো হয়েছিল। এবার বিয়ের দাবিতে অনশন শুরু করলে প্রেমিক পালিয়ে যান।
প্রত্যক্ষদর্শীরা বলছেন, সোহানের বাড়ির সামনে উৎসুক নারী-পুরুষের ভিড় জমেছে। গণমাধ্যমকর্মীরা পৌঁছালে জাব্বার সরকারের পরিবারের লোকেরা কথা বলতে রাজি হননি। অনশনরত ওই তরুণী এখনো বাড়িতে অবস্থান করছেন, তবে কাউকে বাড়িতে প্রবেশ বা কথা বলা নিষিদ্ধ করেছেন সোহানের বাবা।
স্থানীয় লোকজন জানায়, জাব্বার সরকারের বাড়িতে গত রাত থেকে তাঁর ছেলের কথিত প্রেমিকা অনশন শুরু করেন। এতে ক্ষুব্ধ এলাকাবাসী সোহান হোসেনের এমন অসামাজিক কর্মকাণ্ড দেখে পরিবারের যাতায়াতের পথও বন্ধ করে দিয়েছেন। কিন্তু উৎসুক জনতা সেসব উপেক্ষা করে সেখানে ভিড় জমাচ্ছেন।
জানতে চাইলে ইউপি সদস্য সোলায়মান হোসেন জানান, ‘মহিলার সঙ্গে আমার কথা হয়েছে। তিনি জানিয়েছেন, তাঁদের সম্পর্ক প্রায় দেড় মাস ধরে। গত সোমবার রাত থেকে তিনি জাব্বারের বাড়িতে অবস্থান করছেন, কিন্তু ছেলেটি পালিয়ে গেছেন।’
এ বিষয়ে তাড়াশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জিয়াউর রহমান বলেন, ‘আমি এখনো বিষয়টি জানি না। কেউ অবহিত করেননি। তাই এ বিষয়ে মন্তব্য করতে পারছি না।’

ফেনীর পরশুরামে গভীর নলকূপ বরাদ্দ দেওয়ার কথা বলে টাকা নেন তছলিম আহাম্মেদ নামে উপজেলা জাসদের এক নেতা। দুই বছরেও নলকূপ অথবা সেই টাকা ফেরত দিতে না পারায় গ্রামবাসীর তোপের মুখে পড়েন তিনি। এরপর তাঁকে আটক করেন ভুক্তভোগীরা। পরে কিছু টাকা দিয়ে এবং বাকি টাকা পরে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে রক্ষা পান।
০৯ মে ২০২৩
চার বছর ১০ মাস পার হলেও শেষ হয়নি ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুর উপজেলার সাবদারপুর মুনসুর আলী একাডেমির নির্মাণাধীন ভবনের কাজ। ফলে কক্ষসংকটে পড়েছে শিক্ষার্থীরা। ক্লাস করতে হচ্ছে সায়েন্স ল্যাব, কমনরুম আর কম্পিউটার ল্যাবে। শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা বলছেন, দ্রুত রি-টেন্ডার করে কাজ শুরু করা হবে।
৬ মিনিট আগে
পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (পবিপ্রবি) বরিশাল ক্যাম্পাসে সদ্য নির্মিত বাসশেডের সামনের একটি স্ল্যাব উদ্বোধনের আগেই ভেঙে পড়েছে। এতে গর্তের সৃষ্টি হওয়ায় নির্মাণের মান ও স্বচ্ছতা নিয়ে শিক্ষার্থী ও সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের মধ্যে তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে,
২৭ মিনিট আগে
নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়ার জন্য জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) রাজশাহী মহানগর সমন্বয় কমিটি থেকে পদত্যাগ করেছেন এক সদস্য। তাঁর নাম পরিমল চন্দ্র ওঁরাও। গতকাল সোমবার দিবাগত রাতে এনসিপির রাজশাহী মহানগর সমন্বয় কমিটির প্রধান সমন্বয়কারীর কাছে পদত্যাগপত্র পাঠিয়েছেন তিনি।
১ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী

নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়ার জন্য জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) রাজশাহী মহানগর সমন্বয় কমিটি থেকে পদত্যাগ করেছেন এক সদস্য। তাঁর নাম পরিমল চন্দ্র ওঁরাও। গতকাল সোমবার দিবাগত রাতে এনসিপির রাজশাহী মহানগর সমন্বয় কমিটির প্রধান সমন্বয়কারীর কাছে পদত্যাগপত্র পাঠিয়েছেন তিনি।
এতে পরিমল চন্দ্র লিখেছেন, ‘সম্প্রতি ব্যক্তিগত জীবনে কিছু নতুন দায়িত্ব ও উদ্যোগের কারণে আমার সময় ও মনোযোগ সম্পূর্ণভাবে সেদিকে দিতে হচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে দলের কাজের প্রতি আগের মতো সম্পূর্ণভাবে মনোনিবেশ করা সম্ভব হচ্ছে না, যা দলের প্রতি অন্যায় হবে বলে মনে করি।’
পরিমল চন্দ্র ওঁরাও বাংলাদেশ আদিবাসী ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের সাবেক সদস্য। নওগাঁর মহাদেবপুর উপজেলায় তাঁর বাড়ি। তবে তিনি রাজশাহীতে থাকতেন। তাই এনসিপির মহানগর সমন্বয় কমিটিতে সদস্যপদ পেয়েছিলেন। তিনি এখন নওগাঁয় রাজনীতি করতে চান।
জানতে চাইলে পরিমল চন্দ্র ওঁরাও বলেন, ‘আমি নওগাঁ-৩ আসন থেকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করতে চাই। তাই এনসিপি থেকে পদত্যাগ করেছি। আমি এনসিপিতে থাকব না।’
যোগাযোগ করা হলে এনসিপির রাজশাহী মহানগর সমন্বয় কমিটির প্রধান সমন্বয়কারী মোবাশ্বের আলী তাঁর পদত্যাগপত্রটি পেয়েছেন জানিয়ে বলেন, ‘এ বিষয়ে নিয়ম অনুযায়ী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।’

নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়ার জন্য জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) রাজশাহী মহানগর সমন্বয় কমিটি থেকে পদত্যাগ করেছেন এক সদস্য। তাঁর নাম পরিমল চন্দ্র ওঁরাও। গতকাল সোমবার দিবাগত রাতে এনসিপির রাজশাহী মহানগর সমন্বয় কমিটির প্রধান সমন্বয়কারীর কাছে পদত্যাগপত্র পাঠিয়েছেন তিনি।
এতে পরিমল চন্দ্র লিখেছেন, ‘সম্প্রতি ব্যক্তিগত জীবনে কিছু নতুন দায়িত্ব ও উদ্যোগের কারণে আমার সময় ও মনোযোগ সম্পূর্ণভাবে সেদিকে দিতে হচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে দলের কাজের প্রতি আগের মতো সম্পূর্ণভাবে মনোনিবেশ করা সম্ভব হচ্ছে না, যা দলের প্রতি অন্যায় হবে বলে মনে করি।’
পরিমল চন্দ্র ওঁরাও বাংলাদেশ আদিবাসী ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের সাবেক সদস্য। নওগাঁর মহাদেবপুর উপজেলায় তাঁর বাড়ি। তবে তিনি রাজশাহীতে থাকতেন। তাই এনসিপির মহানগর সমন্বয় কমিটিতে সদস্যপদ পেয়েছিলেন। তিনি এখন নওগাঁয় রাজনীতি করতে চান।
জানতে চাইলে পরিমল চন্দ্র ওঁরাও বলেন, ‘আমি নওগাঁ-৩ আসন থেকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করতে চাই। তাই এনসিপি থেকে পদত্যাগ করেছি। আমি এনসিপিতে থাকব না।’
যোগাযোগ করা হলে এনসিপির রাজশাহী মহানগর সমন্বয় কমিটির প্রধান সমন্বয়কারী মোবাশ্বের আলী তাঁর পদত্যাগপত্রটি পেয়েছেন জানিয়ে বলেন, ‘এ বিষয়ে নিয়ম অনুযায়ী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।’

ফেনীর পরশুরামে গভীর নলকূপ বরাদ্দ দেওয়ার কথা বলে টাকা নেন তছলিম আহাম্মেদ নামে উপজেলা জাসদের এক নেতা। দুই বছরেও নলকূপ অথবা সেই টাকা ফেরত দিতে না পারায় গ্রামবাসীর তোপের মুখে পড়েন তিনি। এরপর তাঁকে আটক করেন ভুক্তভোগীরা। পরে কিছু টাকা দিয়ে এবং বাকি টাকা পরে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে রক্ষা পান।
০৯ মে ২০২৩
চার বছর ১০ মাস পার হলেও শেষ হয়নি ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুর উপজেলার সাবদারপুর মুনসুর আলী একাডেমির নির্মাণাধীন ভবনের কাজ। ফলে কক্ষসংকটে পড়েছে শিক্ষার্থীরা। ক্লাস করতে হচ্ছে সায়েন্স ল্যাব, কমনরুম আর কম্পিউটার ল্যাবে। শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা বলছেন, দ্রুত রি-টেন্ডার করে কাজ শুরু করা হবে।
৬ মিনিট আগে
পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (পবিপ্রবি) বরিশাল ক্যাম্পাসে সদ্য নির্মিত বাসশেডের সামনের একটি স্ল্যাব উদ্বোধনের আগেই ভেঙে পড়েছে। এতে গর্তের সৃষ্টি হওয়ায় নির্মাণের মান ও স্বচ্ছতা নিয়ে শিক্ষার্থী ও সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের মধ্যে তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে,
২৭ মিনিট আগে
বিয়ের দাবিতে চাচার শ্যালিকা দুই দিন ধরে ভাতিজার বাড়িতে অবস্থান নিয়ে অনশন করছেন। প্রেমিকা (১৮) বাড়িতে আসার খবর পেয়ে পালিয়ে গেছেন প্রেমিক সোহান হোসেন (২০)। গতকাল সোমবার সিরাজগঞ্জের তাড়াশ উপজেলার বোয়ালিয়া গ্রামের পশ্চিমপাড়ায় এই ঘটনা ঘটে।
১ ঘণ্টা আগে