ডয়চে ভেলে

পাঁচ মাস ধরে তিনি মোবাইল ফোন ব্যবহার করেন না। ফেসবুক আইডিটি তার কিনা সে বিষয়েও রয়েছে সংশয়। ‘প্রশ্নবিদ্ধ’ পোস্টটিও পুরোনো। তার পরেও ধর্ম অবমাননার অভিযোগ ফরিদপুরের হৃদয় পাল এখন সেনা হেফাজতে।
এ ঘটনা ফরিদপুরের বোয়ালমারীর। হৃদয় কাদিরদী ডিগ্রী কলেজের একাদশ শ্রেণির ছাত্র। গতকাল সোমবার দুপুরে কলেজ ক্যাম্পাসে মহানবীকে (সা.) অবমাননার অভিযোগে হৃদয়ের বিচারের দাবিতে ছাত্র ও বহিরাগতরা বিক্ষোভ করলে তাকে সেনা হেফাজতে নেয়া হয়।
কাদিরদী ডিগ্রী কলেজের অধ্যক্ষ নুরুজ্জামান মোল্যা ডয়চে ভেলেকে বলেন, ‘পুরো কলেজ ক্যাম্পাসে ছাত্রসহ কয়েক হাজার লোক উত্তেজিত অবস্থায় সমবেত হলে তার জীবন রক্ষায় আমি তাকে আমার কক্ষে আশ্রয় দিই। তাকে আশ্রয় না দিলে উত্তেজিত লোকজন তাকে মেরে ফেলতো। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যেতে থাকলে আমিই সেনাবাহিনীকে খবর দিয়ে তাদের হাতে তুলে দিই। তারা তাকে নিরাপত্তা হেফাজতে নেয়।’
তিনি আরো বলেন, ‘আমি তার হাতে কোনো মেবাইল ফোন দেখিনি। তবে ছাত্ররা তো মোবাইল ফোন ব্যবহার করে। আর তার যে ফেসবুক আইডি তা-ও নাকি আগে হ্যাক হয়েছে। এর আগেও স্কুলে পড়া অবস্থায় একই অভিযোগে তাকে আটক করা হয়েছিল। সে জেলেও ছিল। তার বিরুদ্ধে আইসিটি আইনে মামলা হয়েছিল তখন।’
হৃদয় পাল নামের ছেলেটির যে ফেসবুক আইডির কথা বলা হচ্ছে, যে আইডি থেকে ধর্ম অবমাননাকর পোস্ট দেয়ার কথা বলা হচ্ছে, সেটি তার আইডি কিনা তা নিয়েও সন্দেহ আছে। স্থানীয় সাংবাদিক কাজী আল আমীন বলেন, ‘যে আইডি থেকে স্ট্যাটাস দেয়া হয়েছে, সেই আইডির নাম কৃষ্ণা দাস রাহুল। আর ওই ছেলের নাম হৃদয় পাল। আমি এটা নিয়ে পুলিশসহ বিভিন্ন পর্যায়ে কথা বলে জানার চেষ্টা করেছি যে, কৃষ্ণা দাস রাহুল নামে ফেসবুক আইডি সে চালায় কিনা। আমাকে কেউই নিশ্চিত করে বলতে পারেনি যে ওই আইডি তার।
‘আর এটা একটা পুরোনো ফেসবুক স্ট্যাটাস। কেউ হয়তো আবার শেয়ার করেছে বা সামনে নিয়ে এসেছে। সে যখন স্কুলে পড়তো, তখনো তাকে নিয়ে একবার ঝামেলা হয়েছিল। তখন বোয়ালমারী থানার ওসি ছিলেন শহীদুল ইসলাম। তখন তাকে পুলিশ হেফাজতে নিয়ে তার নামে মামলা করা হয়েছিল। সে জেলেও ছিল,’ বলেন তিনি।
তার ভাষ্য, ‘ওই ছেলে জানিয়েছে, জেল থেকে ছাড়া পাওয়ার পর থেকে সে আর মোবাইল ফোন ব্যবহার করছে না৷ বিষয়টা সে কলেজের অধ্যক্ষকেও জানিয়েছে। ওই ঘটনার সময় যে স্ট্যাটাস নিয়ে তার বিরুদ্ধে ধর্ম অবমাননার অভিযোগ করা হয়েছিল, এখন আবার সেই স্ট্যাটাস নিয়েই তার বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলা হচ্ছে। সে নতুন কোনো স্ট্যাটাস দেয়নি। ওই সময়েই সে তার ফেসবুক আইডি হ্যাক হওয়ার কথা বলেছিল। সে বলেছিল যে, ওই স্ট্যাটাস সে দেয়নি।’
ওই যুবকের বাড়ি উপজেলার ঘোষপুর ইউনিয়নের ভীমপুরে। ওই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ইমরান হোসেন নবাব ডয়চে ভেলেকে বলেন, ‘আমার পাশের ইউনিয়নসহ বাইরের লোকজন এসে আমার ইউনিয়নে সোমবার মিছিল বের করে। তারপর সেই মিছিলই কলেজে যায়। কয়েকদিন ধরেই এলাকায় এটা নিয়ে কিছু লোক কথা বলছিল। তাকে আটকের পর আজকেও (মঙ্গলবার) তারা আমাদের এলাকায় মিছিল করেছে।’
‘পাঁচ মাস আগেও একবার তার বিরুদ্ধে একই অভিযোগ করা হয়েছিল যে, সে তার ফেসবুক আইডি থেকে ধর্ম অবমাননার পোস্ট দিয়েছে। কিন্তু সে আসলেই পোস্ট দিয়েছিল কিনা আমরা জানি না। পুলিশ তখন তাকে আটক করলেও ওই পোস্ট তার ছিল কিনা তা ভেরিফাই করেনি। সেটা করলে এই সমস্যা হতো না। একই অভিযোগ বার বার সামনে নিয়ে আসা হচ্ছে।’
এই অভিযোগের তদন্ত কর্মকর্তা বোয়ালমারী থানার সাব ইন্সপেক্টর আব্দুর রশীদ বলেন, ‘সোমবার তার নিরপত্তার জন্যই তাকে হেফাজতে নেয়া হয়। এরপর আমরা তাকে ৫৪ ধারায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠিয়েছি। তার ব্যাপারে তদন্ত চলছে। তদন্তে অভিযোগের প্রমাণ পেলে সুনির্দষ্ট আইনে মামলা হবে।’
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘ওই যুবক যে ফেসবুকে ধর্ম আবমাননার স্ট্যাটাস দিয়েছে, তার কোনো প্রমাণ আমরা এখনো পাইনি। এটার ফরেনসিক তদন্তের জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।’
এই পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, ‘তার কাছে কোনো মোবাইল ফোন আমরা পাইনি। সে জানিয়েছে, এখন সে মোবাইল ফোন ব্যবহার করে না। চার-পাঁচ মাস আগে যে মেবাইল ফোন ব্যবহার করতো, সেটা আমরা তার বাসা থেকে জব্দ করেছি। ওই ফোনও ফরেনসিক পরীক্ষার জন্য পাঠিয়েছি।’
তিনি বলেন, ‘এই থানায় আমি নতুন। শুনেছি পাঁচ মাস আগেও একই অভিযোগে তাকে নিয়ে ঝামেলা হয়েছিল। সে তখন আটক হয়েছিল।’
ওই যুবকের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলা সম্ভব হয়নি। তবে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তানভীর হাসান চৌধুরী বলেন, ‘তার পরিবারের সদস্যরা নিরাপদ আছেন। তাদের নিরাপত্তার জন্য পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।’
তার কথা, ‘পাঁচ-ছয় মাস আগের একটি স্ট্যাটাসকে কেন্দ্র করে ওই ঘটনা। ওই স্ট্যাটাস হয়তো নতুন করে কেউ সামনে এনেছেন। ছেলেটিকে তার জীবনের নিরাপত্তার জন্য প্রথমে সেনা হেফাজাতে নেয়া হয়। এখন এলাকার পরিস্থিতি শান্ত আছে।’

পাঁচ মাস ধরে তিনি মোবাইল ফোন ব্যবহার করেন না। ফেসবুক আইডিটি তার কিনা সে বিষয়েও রয়েছে সংশয়। ‘প্রশ্নবিদ্ধ’ পোস্টটিও পুরোনো। তার পরেও ধর্ম অবমাননার অভিযোগ ফরিদপুরের হৃদয় পাল এখন সেনা হেফাজতে।
এ ঘটনা ফরিদপুরের বোয়ালমারীর। হৃদয় কাদিরদী ডিগ্রী কলেজের একাদশ শ্রেণির ছাত্র। গতকাল সোমবার দুপুরে কলেজ ক্যাম্পাসে মহানবীকে (সা.) অবমাননার অভিযোগে হৃদয়ের বিচারের দাবিতে ছাত্র ও বহিরাগতরা বিক্ষোভ করলে তাকে সেনা হেফাজতে নেয়া হয়।
কাদিরদী ডিগ্রী কলেজের অধ্যক্ষ নুরুজ্জামান মোল্যা ডয়চে ভেলেকে বলেন, ‘পুরো কলেজ ক্যাম্পাসে ছাত্রসহ কয়েক হাজার লোক উত্তেজিত অবস্থায় সমবেত হলে তার জীবন রক্ষায় আমি তাকে আমার কক্ষে আশ্রয় দিই। তাকে আশ্রয় না দিলে উত্তেজিত লোকজন তাকে মেরে ফেলতো। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যেতে থাকলে আমিই সেনাবাহিনীকে খবর দিয়ে তাদের হাতে তুলে দিই। তারা তাকে নিরাপত্তা হেফাজতে নেয়।’
তিনি আরো বলেন, ‘আমি তার হাতে কোনো মেবাইল ফোন দেখিনি। তবে ছাত্ররা তো মোবাইল ফোন ব্যবহার করে। আর তার যে ফেসবুক আইডি তা-ও নাকি আগে হ্যাক হয়েছে। এর আগেও স্কুলে পড়া অবস্থায় একই অভিযোগে তাকে আটক করা হয়েছিল। সে জেলেও ছিল। তার বিরুদ্ধে আইসিটি আইনে মামলা হয়েছিল তখন।’
হৃদয় পাল নামের ছেলেটির যে ফেসবুক আইডির কথা বলা হচ্ছে, যে আইডি থেকে ধর্ম অবমাননাকর পোস্ট দেয়ার কথা বলা হচ্ছে, সেটি তার আইডি কিনা তা নিয়েও সন্দেহ আছে। স্থানীয় সাংবাদিক কাজী আল আমীন বলেন, ‘যে আইডি থেকে স্ট্যাটাস দেয়া হয়েছে, সেই আইডির নাম কৃষ্ণা দাস রাহুল। আর ওই ছেলের নাম হৃদয় পাল। আমি এটা নিয়ে পুলিশসহ বিভিন্ন পর্যায়ে কথা বলে জানার চেষ্টা করেছি যে, কৃষ্ণা দাস রাহুল নামে ফেসবুক আইডি সে চালায় কিনা। আমাকে কেউই নিশ্চিত করে বলতে পারেনি যে ওই আইডি তার।
‘আর এটা একটা পুরোনো ফেসবুক স্ট্যাটাস। কেউ হয়তো আবার শেয়ার করেছে বা সামনে নিয়ে এসেছে। সে যখন স্কুলে পড়তো, তখনো তাকে নিয়ে একবার ঝামেলা হয়েছিল। তখন বোয়ালমারী থানার ওসি ছিলেন শহীদুল ইসলাম। তখন তাকে পুলিশ হেফাজতে নিয়ে তার নামে মামলা করা হয়েছিল। সে জেলেও ছিল,’ বলেন তিনি।
তার ভাষ্য, ‘ওই ছেলে জানিয়েছে, জেল থেকে ছাড়া পাওয়ার পর থেকে সে আর মোবাইল ফোন ব্যবহার করছে না৷ বিষয়টা সে কলেজের অধ্যক্ষকেও জানিয়েছে। ওই ঘটনার সময় যে স্ট্যাটাস নিয়ে তার বিরুদ্ধে ধর্ম অবমাননার অভিযোগ করা হয়েছিল, এখন আবার সেই স্ট্যাটাস নিয়েই তার বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলা হচ্ছে। সে নতুন কোনো স্ট্যাটাস দেয়নি। ওই সময়েই সে তার ফেসবুক আইডি হ্যাক হওয়ার কথা বলেছিল। সে বলেছিল যে, ওই স্ট্যাটাস সে দেয়নি।’
ওই যুবকের বাড়ি উপজেলার ঘোষপুর ইউনিয়নের ভীমপুরে। ওই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ইমরান হোসেন নবাব ডয়চে ভেলেকে বলেন, ‘আমার পাশের ইউনিয়নসহ বাইরের লোকজন এসে আমার ইউনিয়নে সোমবার মিছিল বের করে। তারপর সেই মিছিলই কলেজে যায়। কয়েকদিন ধরেই এলাকায় এটা নিয়ে কিছু লোক কথা বলছিল। তাকে আটকের পর আজকেও (মঙ্গলবার) তারা আমাদের এলাকায় মিছিল করেছে।’
‘পাঁচ মাস আগেও একবার তার বিরুদ্ধে একই অভিযোগ করা হয়েছিল যে, সে তার ফেসবুক আইডি থেকে ধর্ম অবমাননার পোস্ট দিয়েছে। কিন্তু সে আসলেই পোস্ট দিয়েছিল কিনা আমরা জানি না। পুলিশ তখন তাকে আটক করলেও ওই পোস্ট তার ছিল কিনা তা ভেরিফাই করেনি। সেটা করলে এই সমস্যা হতো না। একই অভিযোগ বার বার সামনে নিয়ে আসা হচ্ছে।’
এই অভিযোগের তদন্ত কর্মকর্তা বোয়ালমারী থানার সাব ইন্সপেক্টর আব্দুর রশীদ বলেন, ‘সোমবার তার নিরপত্তার জন্যই তাকে হেফাজতে নেয়া হয়। এরপর আমরা তাকে ৫৪ ধারায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠিয়েছি। তার ব্যাপারে তদন্ত চলছে। তদন্তে অভিযোগের প্রমাণ পেলে সুনির্দষ্ট আইনে মামলা হবে।’
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘ওই যুবক যে ফেসবুকে ধর্ম আবমাননার স্ট্যাটাস দিয়েছে, তার কোনো প্রমাণ আমরা এখনো পাইনি। এটার ফরেনসিক তদন্তের জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।’
এই পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, ‘তার কাছে কোনো মোবাইল ফোন আমরা পাইনি। সে জানিয়েছে, এখন সে মোবাইল ফোন ব্যবহার করে না। চার-পাঁচ মাস আগে যে মেবাইল ফোন ব্যবহার করতো, সেটা আমরা তার বাসা থেকে জব্দ করেছি। ওই ফোনও ফরেনসিক পরীক্ষার জন্য পাঠিয়েছি।’
তিনি বলেন, ‘এই থানায় আমি নতুন। শুনেছি পাঁচ মাস আগেও একই অভিযোগে তাকে নিয়ে ঝামেলা হয়েছিল। সে তখন আটক হয়েছিল।’
ওই যুবকের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলা সম্ভব হয়নি। তবে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তানভীর হাসান চৌধুরী বলেন, ‘তার পরিবারের সদস্যরা নিরাপদ আছেন। তাদের নিরাপত্তার জন্য পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।’
তার কথা, ‘পাঁচ-ছয় মাস আগের একটি স্ট্যাটাসকে কেন্দ্র করে ওই ঘটনা। ওই স্ট্যাটাস হয়তো নতুন করে কেউ সামনে এনেছেন। ছেলেটিকে তার জীবনের নিরাপত্তার জন্য প্রথমে সেনা হেফাজাতে নেয়া হয়। এখন এলাকার পরিস্থিতি শান্ত আছে।’
ডয়চে ভেলে

পাঁচ মাস ধরে তিনি মোবাইল ফোন ব্যবহার করেন না। ফেসবুক আইডিটি তার কিনা সে বিষয়েও রয়েছে সংশয়। ‘প্রশ্নবিদ্ধ’ পোস্টটিও পুরোনো। তার পরেও ধর্ম অবমাননার অভিযোগ ফরিদপুরের হৃদয় পাল এখন সেনা হেফাজতে।
এ ঘটনা ফরিদপুরের বোয়ালমারীর। হৃদয় কাদিরদী ডিগ্রী কলেজের একাদশ শ্রেণির ছাত্র। গতকাল সোমবার দুপুরে কলেজ ক্যাম্পাসে মহানবীকে (সা.) অবমাননার অভিযোগে হৃদয়ের বিচারের দাবিতে ছাত্র ও বহিরাগতরা বিক্ষোভ করলে তাকে সেনা হেফাজতে নেয়া হয়।
কাদিরদী ডিগ্রী কলেজের অধ্যক্ষ নুরুজ্জামান মোল্যা ডয়চে ভেলেকে বলেন, ‘পুরো কলেজ ক্যাম্পাসে ছাত্রসহ কয়েক হাজার লোক উত্তেজিত অবস্থায় সমবেত হলে তার জীবন রক্ষায় আমি তাকে আমার কক্ষে আশ্রয় দিই। তাকে আশ্রয় না দিলে উত্তেজিত লোকজন তাকে মেরে ফেলতো। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যেতে থাকলে আমিই সেনাবাহিনীকে খবর দিয়ে তাদের হাতে তুলে দিই। তারা তাকে নিরাপত্তা হেফাজতে নেয়।’
তিনি আরো বলেন, ‘আমি তার হাতে কোনো মেবাইল ফোন দেখিনি। তবে ছাত্ররা তো মোবাইল ফোন ব্যবহার করে। আর তার যে ফেসবুক আইডি তা-ও নাকি আগে হ্যাক হয়েছে। এর আগেও স্কুলে পড়া অবস্থায় একই অভিযোগে তাকে আটক করা হয়েছিল। সে জেলেও ছিল। তার বিরুদ্ধে আইসিটি আইনে মামলা হয়েছিল তখন।’
হৃদয় পাল নামের ছেলেটির যে ফেসবুক আইডির কথা বলা হচ্ছে, যে আইডি থেকে ধর্ম অবমাননাকর পোস্ট দেয়ার কথা বলা হচ্ছে, সেটি তার আইডি কিনা তা নিয়েও সন্দেহ আছে। স্থানীয় সাংবাদিক কাজী আল আমীন বলেন, ‘যে আইডি থেকে স্ট্যাটাস দেয়া হয়েছে, সেই আইডির নাম কৃষ্ণা দাস রাহুল। আর ওই ছেলের নাম হৃদয় পাল। আমি এটা নিয়ে পুলিশসহ বিভিন্ন পর্যায়ে কথা বলে জানার চেষ্টা করেছি যে, কৃষ্ণা দাস রাহুল নামে ফেসবুক আইডি সে চালায় কিনা। আমাকে কেউই নিশ্চিত করে বলতে পারেনি যে ওই আইডি তার।
‘আর এটা একটা পুরোনো ফেসবুক স্ট্যাটাস। কেউ হয়তো আবার শেয়ার করেছে বা সামনে নিয়ে এসেছে। সে যখন স্কুলে পড়তো, তখনো তাকে নিয়ে একবার ঝামেলা হয়েছিল। তখন বোয়ালমারী থানার ওসি ছিলেন শহীদুল ইসলাম। তখন তাকে পুলিশ হেফাজতে নিয়ে তার নামে মামলা করা হয়েছিল। সে জেলেও ছিল,’ বলেন তিনি।
তার ভাষ্য, ‘ওই ছেলে জানিয়েছে, জেল থেকে ছাড়া পাওয়ার পর থেকে সে আর মোবাইল ফোন ব্যবহার করছে না৷ বিষয়টা সে কলেজের অধ্যক্ষকেও জানিয়েছে। ওই ঘটনার সময় যে স্ট্যাটাস নিয়ে তার বিরুদ্ধে ধর্ম অবমাননার অভিযোগ করা হয়েছিল, এখন আবার সেই স্ট্যাটাস নিয়েই তার বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলা হচ্ছে। সে নতুন কোনো স্ট্যাটাস দেয়নি। ওই সময়েই সে তার ফেসবুক আইডি হ্যাক হওয়ার কথা বলেছিল। সে বলেছিল যে, ওই স্ট্যাটাস সে দেয়নি।’
ওই যুবকের বাড়ি উপজেলার ঘোষপুর ইউনিয়নের ভীমপুরে। ওই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ইমরান হোসেন নবাব ডয়চে ভেলেকে বলেন, ‘আমার পাশের ইউনিয়নসহ বাইরের লোকজন এসে আমার ইউনিয়নে সোমবার মিছিল বের করে। তারপর সেই মিছিলই কলেজে যায়। কয়েকদিন ধরেই এলাকায় এটা নিয়ে কিছু লোক কথা বলছিল। তাকে আটকের পর আজকেও (মঙ্গলবার) তারা আমাদের এলাকায় মিছিল করেছে।’
‘পাঁচ মাস আগেও একবার তার বিরুদ্ধে একই অভিযোগ করা হয়েছিল যে, সে তার ফেসবুক আইডি থেকে ধর্ম অবমাননার পোস্ট দিয়েছে। কিন্তু সে আসলেই পোস্ট দিয়েছিল কিনা আমরা জানি না। পুলিশ তখন তাকে আটক করলেও ওই পোস্ট তার ছিল কিনা তা ভেরিফাই করেনি। সেটা করলে এই সমস্যা হতো না। একই অভিযোগ বার বার সামনে নিয়ে আসা হচ্ছে।’
এই অভিযোগের তদন্ত কর্মকর্তা বোয়ালমারী থানার সাব ইন্সপেক্টর আব্দুর রশীদ বলেন, ‘সোমবার তার নিরপত্তার জন্যই তাকে হেফাজতে নেয়া হয়। এরপর আমরা তাকে ৫৪ ধারায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠিয়েছি। তার ব্যাপারে তদন্ত চলছে। তদন্তে অভিযোগের প্রমাণ পেলে সুনির্দষ্ট আইনে মামলা হবে।’
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘ওই যুবক যে ফেসবুকে ধর্ম আবমাননার স্ট্যাটাস দিয়েছে, তার কোনো প্রমাণ আমরা এখনো পাইনি। এটার ফরেনসিক তদন্তের জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।’
এই পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, ‘তার কাছে কোনো মোবাইল ফোন আমরা পাইনি। সে জানিয়েছে, এখন সে মোবাইল ফোন ব্যবহার করে না। চার-পাঁচ মাস আগে যে মেবাইল ফোন ব্যবহার করতো, সেটা আমরা তার বাসা থেকে জব্দ করেছি। ওই ফোনও ফরেনসিক পরীক্ষার জন্য পাঠিয়েছি।’
তিনি বলেন, ‘এই থানায় আমি নতুন। শুনেছি পাঁচ মাস আগেও একই অভিযোগে তাকে নিয়ে ঝামেলা হয়েছিল। সে তখন আটক হয়েছিল।’
ওই যুবকের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলা সম্ভব হয়নি। তবে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তানভীর হাসান চৌধুরী বলেন, ‘তার পরিবারের সদস্যরা নিরাপদ আছেন। তাদের নিরাপত্তার জন্য পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।’
তার কথা, ‘পাঁচ-ছয় মাস আগের একটি স্ট্যাটাসকে কেন্দ্র করে ওই ঘটনা। ওই স্ট্যাটাস হয়তো নতুন করে কেউ সামনে এনেছেন। ছেলেটিকে তার জীবনের নিরাপত্তার জন্য প্রথমে সেনা হেফাজাতে নেয়া হয়। এখন এলাকার পরিস্থিতি শান্ত আছে।’

পাঁচ মাস ধরে তিনি মোবাইল ফোন ব্যবহার করেন না। ফেসবুক আইডিটি তার কিনা সে বিষয়েও রয়েছে সংশয়। ‘প্রশ্নবিদ্ধ’ পোস্টটিও পুরোনো। তার পরেও ধর্ম অবমাননার অভিযোগ ফরিদপুরের হৃদয় পাল এখন সেনা হেফাজতে।
এ ঘটনা ফরিদপুরের বোয়ালমারীর। হৃদয় কাদিরদী ডিগ্রী কলেজের একাদশ শ্রেণির ছাত্র। গতকাল সোমবার দুপুরে কলেজ ক্যাম্পাসে মহানবীকে (সা.) অবমাননার অভিযোগে হৃদয়ের বিচারের দাবিতে ছাত্র ও বহিরাগতরা বিক্ষোভ করলে তাকে সেনা হেফাজতে নেয়া হয়।
কাদিরদী ডিগ্রী কলেজের অধ্যক্ষ নুরুজ্জামান মোল্যা ডয়চে ভেলেকে বলেন, ‘পুরো কলেজ ক্যাম্পাসে ছাত্রসহ কয়েক হাজার লোক উত্তেজিত অবস্থায় সমবেত হলে তার জীবন রক্ষায় আমি তাকে আমার কক্ষে আশ্রয় দিই। তাকে আশ্রয় না দিলে উত্তেজিত লোকজন তাকে মেরে ফেলতো। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যেতে থাকলে আমিই সেনাবাহিনীকে খবর দিয়ে তাদের হাতে তুলে দিই। তারা তাকে নিরাপত্তা হেফাজতে নেয়।’
তিনি আরো বলেন, ‘আমি তার হাতে কোনো মেবাইল ফোন দেখিনি। তবে ছাত্ররা তো মোবাইল ফোন ব্যবহার করে। আর তার যে ফেসবুক আইডি তা-ও নাকি আগে হ্যাক হয়েছে। এর আগেও স্কুলে পড়া অবস্থায় একই অভিযোগে তাকে আটক করা হয়েছিল। সে জেলেও ছিল। তার বিরুদ্ধে আইসিটি আইনে মামলা হয়েছিল তখন।’
হৃদয় পাল নামের ছেলেটির যে ফেসবুক আইডির কথা বলা হচ্ছে, যে আইডি থেকে ধর্ম অবমাননাকর পোস্ট দেয়ার কথা বলা হচ্ছে, সেটি তার আইডি কিনা তা নিয়েও সন্দেহ আছে। স্থানীয় সাংবাদিক কাজী আল আমীন বলেন, ‘যে আইডি থেকে স্ট্যাটাস দেয়া হয়েছে, সেই আইডির নাম কৃষ্ণা দাস রাহুল। আর ওই ছেলের নাম হৃদয় পাল। আমি এটা নিয়ে পুলিশসহ বিভিন্ন পর্যায়ে কথা বলে জানার চেষ্টা করেছি যে, কৃষ্ণা দাস রাহুল নামে ফেসবুক আইডি সে চালায় কিনা। আমাকে কেউই নিশ্চিত করে বলতে পারেনি যে ওই আইডি তার।
‘আর এটা একটা পুরোনো ফেসবুক স্ট্যাটাস। কেউ হয়তো আবার শেয়ার করেছে বা সামনে নিয়ে এসেছে। সে যখন স্কুলে পড়তো, তখনো তাকে নিয়ে একবার ঝামেলা হয়েছিল। তখন বোয়ালমারী থানার ওসি ছিলেন শহীদুল ইসলাম। তখন তাকে পুলিশ হেফাজতে নিয়ে তার নামে মামলা করা হয়েছিল। সে জেলেও ছিল,’ বলেন তিনি।
তার ভাষ্য, ‘ওই ছেলে জানিয়েছে, জেল থেকে ছাড়া পাওয়ার পর থেকে সে আর মোবাইল ফোন ব্যবহার করছে না৷ বিষয়টা সে কলেজের অধ্যক্ষকেও জানিয়েছে। ওই ঘটনার সময় যে স্ট্যাটাস নিয়ে তার বিরুদ্ধে ধর্ম অবমাননার অভিযোগ করা হয়েছিল, এখন আবার সেই স্ট্যাটাস নিয়েই তার বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলা হচ্ছে। সে নতুন কোনো স্ট্যাটাস দেয়নি। ওই সময়েই সে তার ফেসবুক আইডি হ্যাক হওয়ার কথা বলেছিল। সে বলেছিল যে, ওই স্ট্যাটাস সে দেয়নি।’
ওই যুবকের বাড়ি উপজেলার ঘোষপুর ইউনিয়নের ভীমপুরে। ওই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ইমরান হোসেন নবাব ডয়চে ভেলেকে বলেন, ‘আমার পাশের ইউনিয়নসহ বাইরের লোকজন এসে আমার ইউনিয়নে সোমবার মিছিল বের করে। তারপর সেই মিছিলই কলেজে যায়। কয়েকদিন ধরেই এলাকায় এটা নিয়ে কিছু লোক কথা বলছিল। তাকে আটকের পর আজকেও (মঙ্গলবার) তারা আমাদের এলাকায় মিছিল করেছে।’
‘পাঁচ মাস আগেও একবার তার বিরুদ্ধে একই অভিযোগ করা হয়েছিল যে, সে তার ফেসবুক আইডি থেকে ধর্ম অবমাননার পোস্ট দিয়েছে। কিন্তু সে আসলেই পোস্ট দিয়েছিল কিনা আমরা জানি না। পুলিশ তখন তাকে আটক করলেও ওই পোস্ট তার ছিল কিনা তা ভেরিফাই করেনি। সেটা করলে এই সমস্যা হতো না। একই অভিযোগ বার বার সামনে নিয়ে আসা হচ্ছে।’
এই অভিযোগের তদন্ত কর্মকর্তা বোয়ালমারী থানার সাব ইন্সপেক্টর আব্দুর রশীদ বলেন, ‘সোমবার তার নিরপত্তার জন্যই তাকে হেফাজতে নেয়া হয়। এরপর আমরা তাকে ৫৪ ধারায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠিয়েছি। তার ব্যাপারে তদন্ত চলছে। তদন্তে অভিযোগের প্রমাণ পেলে সুনির্দষ্ট আইনে মামলা হবে।’
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘ওই যুবক যে ফেসবুকে ধর্ম আবমাননার স্ট্যাটাস দিয়েছে, তার কোনো প্রমাণ আমরা এখনো পাইনি। এটার ফরেনসিক তদন্তের জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।’
এই পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, ‘তার কাছে কোনো মোবাইল ফোন আমরা পাইনি। সে জানিয়েছে, এখন সে মোবাইল ফোন ব্যবহার করে না। চার-পাঁচ মাস আগে যে মেবাইল ফোন ব্যবহার করতো, সেটা আমরা তার বাসা থেকে জব্দ করেছি। ওই ফোনও ফরেনসিক পরীক্ষার জন্য পাঠিয়েছি।’
তিনি বলেন, ‘এই থানায় আমি নতুন। শুনেছি পাঁচ মাস আগেও একই অভিযোগে তাকে নিয়ে ঝামেলা হয়েছিল। সে তখন আটক হয়েছিল।’
ওই যুবকের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলা সম্ভব হয়নি। তবে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তানভীর হাসান চৌধুরী বলেন, ‘তার পরিবারের সদস্যরা নিরাপদ আছেন। তাদের নিরাপত্তার জন্য পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।’
তার কথা, ‘পাঁচ-ছয় মাস আগের একটি স্ট্যাটাসকে কেন্দ্র করে ওই ঘটনা। ওই স্ট্যাটাস হয়তো নতুন করে কেউ সামনে এনেছেন। ছেলেটিকে তার জীবনের নিরাপত্তার জন্য প্রথমে সেনা হেফাজাতে নেয়া হয়। এখন এলাকার পরিস্থিতি শান্ত আছে।’

প্রিয়ার মামাতো ভাই সোহাগ বলেন, ‘সরকার আর্থিক সহযোগিতার পাশাপাশি চাকরি দেওয়ার কথা বলেছে। আমি চাইব আমার বোনটাকে যোগ্যতা অনুযায়ী যেন একটি চাকরির ব্যবস্থা করে। তার ছেলেমেয়ের দায়িত্ব নেয়। কারণ তার আর কোনো বিকল্প উপায় নেই। সে সঙ্গে এ ধরনের ঘটনা যেন আর না ঘটে, সে বিষয়ে আমরা জোরালো দাবি জানাব।’
২০ মিনিট আগে
ফরিদপুর সদর উপজেলায় ট্রাকচাপায় মোসাদ্দেক আলী বশির (৪০) নামের এক আইনজীবী নিহত হয়েছেন। আজ রোববার রাত পৌনে ৮টার দিকে ফরিদপুর শহরের ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের বদরপুর এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। তিনি ফরিদপুর জেলা ও দায়রা জজ আদালতের আইনজীবী ছিলেন।
৩৬ মিনিট আগে
গাজীপুরের কালিয়াকৈরে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের সার্ভিস রোড দখল এবং পুলিশের চাঁদাবাজি ও মামলা দিয়ে হয়রানির অভিযোগ তুলে বিক্ষোভ করেছেন অটোরিকশাচালকেরা।
১ ঘণ্টা আগে
নেত্রকোনার খালিয়াজুরীতে ধনু নদে মাছ ধরতে যাওয়া জেলের নৌকা আটকিয়ে পাঁচ লাখ টাকা চাঁদা দাবির অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় শ্রমিক দল নেতা কামরুল মিয়ার বিরুদ্ধে।
১ ঘণ্টা আগেনারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি

মৃত্যুর আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে শেষ স্ট্যাটাসে লিখেছিলেন ‘ইচ্ছা তো অনেক, আপাতত যদি জীবন থেকে পালিয়ে যেতে পারতাম।’ তাঁর ইচ্ছা যে এভাবে বাস্তবে পরিণত হবে, তা স্বপ্নেও ভাবতে পারেননি আপনজনেরা।
রোববার (২৬ অক্টোবর) দুপুরে রাজধানীতে মেট্রোরেলের পিলার থেকে সরে যাওয়া বিয়ারিং প্যাড পড়ে মারা যান আবুল কালাম আজাদ। মাত্র পাঁচ বছর আগে দাম্পত্য জীবন শুরু করা আজাদ (৩৫) ও প্রিয়ার (২৫) সংসার যেন অঙ্কুরেই শেষ হয়ে গেল।
নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জের পাঠানটুলী এলাকায় মনোয়ার ভিলায় থাকতেন তাঁরা। শ্বশুরবাড়ির মাত্র ১০০ গজ দূরে ভাড়া বাসায় থাকতেন তাঁরা। ঘর আলো করে আসে আবদুল্লাহ ও ফারিয়া। যাদের বয়স মাত্র ৪ বছর ও ২ বছর।
আবুল কালাম পাঠানটুলী এলাকার মনোয়ারা ভিলার তৃতীয় তলায় ভাড়া থাকতেন। বাড়িঅলা রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘গতকাল বিকেলেও কথা হয়েছিল। খুব মিশুক ছিল ছেলেটা। পরিবারের সঙ্গে আমাদের খুবই ভালো সম্পর্ক ছিল। এভাবে চলে যাবে, ভাবতেই পারছি না।’
সরেজমিনে দেখা যায়, প্রিয়ার বাবা আরব আলী ইতালি থেকে মোবাইল ফোনে পরিবারের সঙ্গে কথা বলছেন আর চোখের পানি ফেলছেন। রীতিমতো বিলাপ করছেন শাশুড়ি রিনা আক্তার। প্রিয়া স্বামীকে মাটিতে বিছানো খাটে শুয়ে থাকতে দেখে আর্তনাদ করছেন বারান্দা থেকে।
প্রিয়ার বোন নুসরাত বলেন, ‘কালাম ভাই এজেন্সিতে কাজ করতেন। এখন আমার বড় বোন অসহায় হয়ে গেল। ছেলেমেয়েদের নিয়ে কীভাবে থাকবে? আমার বাবা ইতালি থাকেন। আমাদের কোনো ভাই নেই। উনিই আমাদের ভাইয়ের অভাব পূরণ করেছিলেন।’
প্রিয়ার মামাতো ভাই সোহাগ বলেন, ‘সরকার আর্থিক সহযোগিতার পাশাপাশি চাকরি দেওয়ার কথা বলেছে। আমি চাইব আমার বোনটাকে যোগ্যতা অনুযায়ী যেন একটি চাকরির ব্যবস্থা করে। তাঁর ছেলেমেয়ের দায়িত্ব নেয়। কারণ তাঁর আর কোনো বিকল্প উপায় নেই। সে সঙ্গে এ ধরনের ঘটনা যেন আর না ঘটে, সে বিষয়ে আমরা জোরালো দাবি জানাব।’
রোববার রাত ১০টায় পাঠানটুলী বায়তুল ফালাহ জামে মসজিদে প্রথম জানাজা সম্পন্ন হয়। এরপর কালামের লাশ শরীয়তপুরে নিজ গ্রামে জানাজা শেষে দাফন করা হবে।

মৃত্যুর আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে শেষ স্ট্যাটাসে লিখেছিলেন ‘ইচ্ছা তো অনেক, আপাতত যদি জীবন থেকে পালিয়ে যেতে পারতাম।’ তাঁর ইচ্ছা যে এভাবে বাস্তবে পরিণত হবে, তা স্বপ্নেও ভাবতে পারেননি আপনজনেরা।
রোববার (২৬ অক্টোবর) দুপুরে রাজধানীতে মেট্রোরেলের পিলার থেকে সরে যাওয়া বিয়ারিং প্যাড পড়ে মারা যান আবুল কালাম আজাদ। মাত্র পাঁচ বছর আগে দাম্পত্য জীবন শুরু করা আজাদ (৩৫) ও প্রিয়ার (২৫) সংসার যেন অঙ্কুরেই শেষ হয়ে গেল।
নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জের পাঠানটুলী এলাকায় মনোয়ার ভিলায় থাকতেন তাঁরা। শ্বশুরবাড়ির মাত্র ১০০ গজ দূরে ভাড়া বাসায় থাকতেন তাঁরা। ঘর আলো করে আসে আবদুল্লাহ ও ফারিয়া। যাদের বয়স মাত্র ৪ বছর ও ২ বছর।
আবুল কালাম পাঠানটুলী এলাকার মনোয়ারা ভিলার তৃতীয় তলায় ভাড়া থাকতেন। বাড়িঅলা রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘গতকাল বিকেলেও কথা হয়েছিল। খুব মিশুক ছিল ছেলেটা। পরিবারের সঙ্গে আমাদের খুবই ভালো সম্পর্ক ছিল। এভাবে চলে যাবে, ভাবতেই পারছি না।’
সরেজমিনে দেখা যায়, প্রিয়ার বাবা আরব আলী ইতালি থেকে মোবাইল ফোনে পরিবারের সঙ্গে কথা বলছেন আর চোখের পানি ফেলছেন। রীতিমতো বিলাপ করছেন শাশুড়ি রিনা আক্তার। প্রিয়া স্বামীকে মাটিতে বিছানো খাটে শুয়ে থাকতে দেখে আর্তনাদ করছেন বারান্দা থেকে।
প্রিয়ার বোন নুসরাত বলেন, ‘কালাম ভাই এজেন্সিতে কাজ করতেন। এখন আমার বড় বোন অসহায় হয়ে গেল। ছেলেমেয়েদের নিয়ে কীভাবে থাকবে? আমার বাবা ইতালি থাকেন। আমাদের কোনো ভাই নেই। উনিই আমাদের ভাইয়ের অভাব পূরণ করেছিলেন।’
প্রিয়ার মামাতো ভাই সোহাগ বলেন, ‘সরকার আর্থিক সহযোগিতার পাশাপাশি চাকরি দেওয়ার কথা বলেছে। আমি চাইব আমার বোনটাকে যোগ্যতা অনুযায়ী যেন একটি চাকরির ব্যবস্থা করে। তাঁর ছেলেমেয়ের দায়িত্ব নেয়। কারণ তাঁর আর কোনো বিকল্প উপায় নেই। সে সঙ্গে এ ধরনের ঘটনা যেন আর না ঘটে, সে বিষয়ে আমরা জোরালো দাবি জানাব।’
রোববার রাত ১০টায় পাঠানটুলী বায়তুল ফালাহ জামে মসজিদে প্রথম জানাজা সম্পন্ন হয়। এরপর কালামের লাশ শরীয়তপুরে নিজ গ্রামে জানাজা শেষে দাফন করা হবে।

পাঁচ মাস ধরে তিনি মোবাইল ফোন ব্যবহার করেন না। ফেসবুক আইডিটি তার কিনা সে বিষয়েও রয়েছে সংশয়। ‘প্রশ্নবিদ্ধ’ পোস্টটিও পুরোনো। তার পরেও ধর্ম অবমাননার অভিযোগ ফরিদপুরের হৃদয় পাল এখন সেনা হেফাজতে।
২৯ অক্টোবর ২০২৪
ফরিদপুর সদর উপজেলায় ট্রাকচাপায় মোসাদ্দেক আলী বশির (৪০) নামের এক আইনজীবী নিহত হয়েছেন। আজ রোববার রাত পৌনে ৮টার দিকে ফরিদপুর শহরের ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের বদরপুর এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। তিনি ফরিদপুর জেলা ও দায়রা জজ আদালতের আইনজীবী ছিলেন।
৩৬ মিনিট আগে
গাজীপুরের কালিয়াকৈরে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের সার্ভিস রোড দখল এবং পুলিশের চাঁদাবাজি ও মামলা দিয়ে হয়রানির অভিযোগ তুলে বিক্ষোভ করেছেন অটোরিকশাচালকেরা।
১ ঘণ্টা আগে
নেত্রকোনার খালিয়াজুরীতে ধনু নদে মাছ ধরতে যাওয়া জেলের নৌকা আটকিয়ে পাঁচ লাখ টাকা চাঁদা দাবির অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় শ্রমিক দল নেতা কামরুল মিয়ার বিরুদ্ধে।
১ ঘণ্টা আগেফরিদপুর প্রতিনিধি

ফরিদপুর সদর উপজেলায় ট্রাকচাপায় মোসাদ্দেক আলী বশির (৪০) নামের এক আইনজীবী নিহত হয়েছেন। আজ রোববার রাত পৌনে ৮টার দিকে ফরিদপুর শহরের ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের বদরপুর এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
মোসাদ্দেক আলী বশির সদর উপজেলার চরমাধবদিয়া ইউনিয়নের মমিনখারহাটের ইছাহাক কাজীর ছেলে। তিনি ফরিদপুর জেলা ও দায়রা জজ আদালতের আইনজীবী ছিলেন।
করিমপুর হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সালাউদ্দিন চৌধুরী আজকের পত্রিকাকে জানান, নিহত ব্যক্তি মোটরসাইকেল চালিয়ে কানাইপুর থেকে শহরের দিকে যাচ্ছিলেন। বদরপুর এলাকায় পৌঁছালে একটি ট্রাক তাঁকে চাপা দেয়। স্থানীয় লোকজন তাঁকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক জানান, তিনি মারা গেছেন।

ফরিদপুর সদর উপজেলায় ট্রাকচাপায় মোসাদ্দেক আলী বশির (৪০) নামের এক আইনজীবী নিহত হয়েছেন। আজ রোববার রাত পৌনে ৮টার দিকে ফরিদপুর শহরের ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের বদরপুর এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
মোসাদ্দেক আলী বশির সদর উপজেলার চরমাধবদিয়া ইউনিয়নের মমিনখারহাটের ইছাহাক কাজীর ছেলে। তিনি ফরিদপুর জেলা ও দায়রা জজ আদালতের আইনজীবী ছিলেন।
করিমপুর হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সালাউদ্দিন চৌধুরী আজকের পত্রিকাকে জানান, নিহত ব্যক্তি মোটরসাইকেল চালিয়ে কানাইপুর থেকে শহরের দিকে যাচ্ছিলেন। বদরপুর এলাকায় পৌঁছালে একটি ট্রাক তাঁকে চাপা দেয়। স্থানীয় লোকজন তাঁকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক জানান, তিনি মারা গেছেন।

পাঁচ মাস ধরে তিনি মোবাইল ফোন ব্যবহার করেন না। ফেসবুক আইডিটি তার কিনা সে বিষয়েও রয়েছে সংশয়। ‘প্রশ্নবিদ্ধ’ পোস্টটিও পুরোনো। তার পরেও ধর্ম অবমাননার অভিযোগ ফরিদপুরের হৃদয় পাল এখন সেনা হেফাজতে।
২৯ অক্টোবর ২০২৪
প্রিয়ার মামাতো ভাই সোহাগ বলেন, ‘সরকার আর্থিক সহযোগিতার পাশাপাশি চাকরি দেওয়ার কথা বলেছে। আমি চাইব আমার বোনটাকে যোগ্যতা অনুযায়ী যেন একটি চাকরির ব্যবস্থা করে। তার ছেলেমেয়ের দায়িত্ব নেয়। কারণ তার আর কোনো বিকল্প উপায় নেই। সে সঙ্গে এ ধরনের ঘটনা যেন আর না ঘটে, সে বিষয়ে আমরা জোরালো দাবি জানাব।’
২০ মিনিট আগে
গাজীপুরের কালিয়াকৈরে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের সার্ভিস রোড দখল এবং পুলিশের চাঁদাবাজি ও মামলা দিয়ে হয়রানির অভিযোগ তুলে বিক্ষোভ করেছেন অটোরিকশাচালকেরা।
১ ঘণ্টা আগে
নেত্রকোনার খালিয়াজুরীতে ধনু নদে মাছ ধরতে যাওয়া জেলের নৌকা আটকিয়ে পাঁচ লাখ টাকা চাঁদা দাবির অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় শ্রমিক দল নেতা কামরুল মিয়ার বিরুদ্ধে।
১ ঘণ্টা আগেকালিয়াকৈর (গাজীপুর) সংবাদদাতা

গাজীপুরের কালিয়াকৈরে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের সার্ভিস রোড দখল এবং পুলিশের চাঁদাবাজি ও মামলা দিয়ে হয়রানির অভিযোগ তুলে বিক্ষোভ করেছেন অটোরিকশাচালকেরা। আজ রোববার দুপুরে উপজেলার পল্লী বিদ্যুৎ জোড়াপাম্প ও চন্দ্রা এলাকায় বিক্ষুব্ধ চালকেরা মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন।
এতে মহাসড়কে প্রায় এক ঘণ্টা যানবাহন আটকে পড়ে। ভোগান্তিতে পড়েন যাত্রীরা।
এলাকাবাসী, অটোরিকশাচালক ও পুলিশের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, প্রতিদিন ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়ক দিয়ে উত্তরবঙ্গমুখী হাজারো যানবাহন চলাচল করে। কিন্তু ওই মহাসড়কে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে অটোরিকশা। এসব অটোরিকশার কারণে বাড়ছে মহাসড়কে প্রাণঘাতী দুর্ঘটনা। এদিকে মহাসড়কের সার্ভিস রোড ও ফুটপাত দখল করে অবৈধভাবে হাটবাজার বসছে। উপজেলার মৌচাক, সফিপুর, পল্লী বিদ্যুৎ, জোড়াপাম্প, চন্দ্রা ত্রিমোড় এলাকায় সবচেয়ে বেশি হাটবাজার বসছে। অটোরিকশাচালকদের অভিযোগ, অবৈধ হাটবাজারে কারণে সার্ভিস রোড বন্ধ হয়ে যাওয়ায় বাধ্য হয়ে অটোরিকশা নিয়ে মহাসড়কে উঠছেন তাঁরা। আর মহাসড়কে অটোরিকশা চালাতে গিয়ে হয়রানির মুখে পড়ছেন তাঁরা। বিভিন্ন স্থানে পুলিশ অটোরিকশা আটকে মামলা দিচ্ছে। অটোরিকশা থামিয়ে চাঁদাবাজিও করছেন পুলিশের অসাধু কিছু সদস্য।
অটোরিকশাচালক আলমগীর হোসেন, বিল্লাল হোসেন, আরমান মিয়া, নুরু মিয়া, বাবুল হোসেনসহ অনেকে বলেন, ‘মহাসড়কে অটোরিকশা চলাচল নিষিদ্ধ, এটা আমরা জানি। কিন্তু আমরা চলব কীভাবে? পেটের দায়ে অটোরিকশা চালাই। আমরা সার্ভিস রোড দিয়ে অটোরিকশা চলাচলের সুযোগ চাই। আর মহাসড়কে পুলিশ অটোরিকশা ধরলেই ২ হাজার ৬০০ টাকার মামলা দিচ্ছে। ওই মামলার টাকা পরিশোধে অক্ষম হয়ে অনেকেই পুলিশকে চাঁদা দিতে বাধ্য হন। চাঁদা না দিয়ে চলতে গেলেও নানাভাবে হয়রানির শিকার হতে হয়। অটোরিকশা চলার জন্য সার্ভিস রোড আছে। কিন্তু সেটা দখল করে হাটবাজার বসায় বাধ্য হয়ে অটোরিকশা মহাসড়কে ওঠাতে হচ্ছে।
এ বিষয়ে নাওজোড় হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাওগাত উল আলম বলেন, ‘কয়েকজন অটোরিকশাচালক মহাসড়ক অবরোধের চেষ্টা করলে পুলিশ তাদের সরিয়ে দেয়। এ ছাড়া সার্ভিস রোড ও ফুটপাত দখল করে যাঁরা আছেন, তাঁরাও অবৈধভাবে আছেন। খুব তাড়াতাড়ি দখলকারীদের উচ্ছেদ করে সার্ভিস রোড ও ফুটপাত দখলমুক্ত করা হবে। কিন্তু ওই সার্ভিস রোডেও অটোরিকশা ওঠার নিয়ম নেই।’ অটোরিকশা আটকে পুলিশের টাকা আদায়ের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘আমাদের কেউ এভাবে টাকা নিলে তার তথ্যপ্রমাণ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’

গাজীপুরের কালিয়াকৈরে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের সার্ভিস রোড দখল এবং পুলিশের চাঁদাবাজি ও মামলা দিয়ে হয়রানির অভিযোগ তুলে বিক্ষোভ করেছেন অটোরিকশাচালকেরা। আজ রোববার দুপুরে উপজেলার পল্লী বিদ্যুৎ জোড়াপাম্প ও চন্দ্রা এলাকায় বিক্ষুব্ধ চালকেরা মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন।
এতে মহাসড়কে প্রায় এক ঘণ্টা যানবাহন আটকে পড়ে। ভোগান্তিতে পড়েন যাত্রীরা।
এলাকাবাসী, অটোরিকশাচালক ও পুলিশের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, প্রতিদিন ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়ক দিয়ে উত্তরবঙ্গমুখী হাজারো যানবাহন চলাচল করে। কিন্তু ওই মহাসড়কে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে অটোরিকশা। এসব অটোরিকশার কারণে বাড়ছে মহাসড়কে প্রাণঘাতী দুর্ঘটনা। এদিকে মহাসড়কের সার্ভিস রোড ও ফুটপাত দখল করে অবৈধভাবে হাটবাজার বসছে। উপজেলার মৌচাক, সফিপুর, পল্লী বিদ্যুৎ, জোড়াপাম্প, চন্দ্রা ত্রিমোড় এলাকায় সবচেয়ে বেশি হাটবাজার বসছে। অটোরিকশাচালকদের অভিযোগ, অবৈধ হাটবাজারে কারণে সার্ভিস রোড বন্ধ হয়ে যাওয়ায় বাধ্য হয়ে অটোরিকশা নিয়ে মহাসড়কে উঠছেন তাঁরা। আর মহাসড়কে অটোরিকশা চালাতে গিয়ে হয়রানির মুখে পড়ছেন তাঁরা। বিভিন্ন স্থানে পুলিশ অটোরিকশা আটকে মামলা দিচ্ছে। অটোরিকশা থামিয়ে চাঁদাবাজিও করছেন পুলিশের অসাধু কিছু সদস্য।
অটোরিকশাচালক আলমগীর হোসেন, বিল্লাল হোসেন, আরমান মিয়া, নুরু মিয়া, বাবুল হোসেনসহ অনেকে বলেন, ‘মহাসড়কে অটোরিকশা চলাচল নিষিদ্ধ, এটা আমরা জানি। কিন্তু আমরা চলব কীভাবে? পেটের দায়ে অটোরিকশা চালাই। আমরা সার্ভিস রোড দিয়ে অটোরিকশা চলাচলের সুযোগ চাই। আর মহাসড়কে পুলিশ অটোরিকশা ধরলেই ২ হাজার ৬০০ টাকার মামলা দিচ্ছে। ওই মামলার টাকা পরিশোধে অক্ষম হয়ে অনেকেই পুলিশকে চাঁদা দিতে বাধ্য হন। চাঁদা না দিয়ে চলতে গেলেও নানাভাবে হয়রানির শিকার হতে হয়। অটোরিকশা চলার জন্য সার্ভিস রোড আছে। কিন্তু সেটা দখল করে হাটবাজার বসায় বাধ্য হয়ে অটোরিকশা মহাসড়কে ওঠাতে হচ্ছে।
এ বিষয়ে নাওজোড় হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাওগাত উল আলম বলেন, ‘কয়েকজন অটোরিকশাচালক মহাসড়ক অবরোধের চেষ্টা করলে পুলিশ তাদের সরিয়ে দেয়। এ ছাড়া সার্ভিস রোড ও ফুটপাত দখল করে যাঁরা আছেন, তাঁরাও অবৈধভাবে আছেন। খুব তাড়াতাড়ি দখলকারীদের উচ্ছেদ করে সার্ভিস রোড ও ফুটপাত দখলমুক্ত করা হবে। কিন্তু ওই সার্ভিস রোডেও অটোরিকশা ওঠার নিয়ম নেই।’ অটোরিকশা আটকে পুলিশের টাকা আদায়ের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘আমাদের কেউ এভাবে টাকা নিলে তার তথ্যপ্রমাণ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’

পাঁচ মাস ধরে তিনি মোবাইল ফোন ব্যবহার করেন না। ফেসবুক আইডিটি তার কিনা সে বিষয়েও রয়েছে সংশয়। ‘প্রশ্নবিদ্ধ’ পোস্টটিও পুরোনো। তার পরেও ধর্ম অবমাননার অভিযোগ ফরিদপুরের হৃদয় পাল এখন সেনা হেফাজতে।
২৯ অক্টোবর ২০২৪
প্রিয়ার মামাতো ভাই সোহাগ বলেন, ‘সরকার আর্থিক সহযোগিতার পাশাপাশি চাকরি দেওয়ার কথা বলেছে। আমি চাইব আমার বোনটাকে যোগ্যতা অনুযায়ী যেন একটি চাকরির ব্যবস্থা করে। তার ছেলেমেয়ের দায়িত্ব নেয়। কারণ তার আর কোনো বিকল্প উপায় নেই। সে সঙ্গে এ ধরনের ঘটনা যেন আর না ঘটে, সে বিষয়ে আমরা জোরালো দাবি জানাব।’
২০ মিনিট আগে
ফরিদপুর সদর উপজেলায় ট্রাকচাপায় মোসাদ্দেক আলী বশির (৪০) নামের এক আইনজীবী নিহত হয়েছেন। আজ রোববার রাত পৌনে ৮টার দিকে ফরিদপুর শহরের ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের বদরপুর এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। তিনি ফরিদপুর জেলা ও দায়রা জজ আদালতের আইনজীবী ছিলেন।
৩৬ মিনিট আগে
নেত্রকোনার খালিয়াজুরীতে ধনু নদে মাছ ধরতে যাওয়া জেলের নৌকা আটকিয়ে পাঁচ লাখ টাকা চাঁদা দাবির অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় শ্রমিক দল নেতা কামরুল মিয়ার বিরুদ্ধে।
১ ঘণ্টা আগেনেত্রকোনা প্রতিনিধি

নেত্রকোনার খালিয়াজুরীতে ধনু নদে মাছ ধরতে যাওয়া জেলের নৌকা আটকিয়ে পাঁচ লাখ টাকা চাঁদা দাবির অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় শ্রমিক দল নেতা কামরুল মিয়ার বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী জেলে মো. মামুন মিয়া গতকাল শনিবার খালিয়াজুরী থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। এতে শ্রমিক দল নেতা কামরুলসহ ১৫ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছেন তিনি।
অভিযুক্ত কামরুল মিয়া উপজেলার গাজীপুর ইউনিয়ন শ্রমিক দলের সভাপতি। তিনি উপজেলার পাঁচহাট গ্রামের বাসিন্দা। অন্য অভিযুক্তরাও একই গ্রামের বাসিন্দা। অভিযোগকারী জেলে মামুন মিয়াও একই গ্রামের আব্দুল আওয়ালের ছেলে।
থানায় অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, মামুন মিয়া ধনু নদে মাছ ধরে জীবিকা নির্বাহ করেন। পাঁচহাট গ্রামে ধনু নদে কামরুল মিয়াসহ কয়েক ব্যক্তি অবৈধভাবে বাঁশের ঘের দিয়ে মিম (মাছের আবাসস্থল) তৈরি করে রেখেছেন। স্থানীয় জেলেরা সেখানে মাছ ধরতে গেলে তাঁরা বাধা দেন। গতকাল দুপুরে মামুন নৌকা, জাল ও বড়শি নিয়ে নদীতে মাছ ধরতে গেলে অভিযুক্তরা তাঁকে বাধা দিয়ে ঘের থেকে ৩০০ মিটার দূরে গিয়ে মাছ ধরতে বলেন। তিনি এতে আপত্তি জানালে অভিযুক্তরা ক্ষিপ্ত হয়ে তাঁর ইঞ্জিনচালিত নৌকা, জাল ও বড়শি জোর করে নিয়ে যান এবং নিজেদের ঘাটে আটক রাখেন। এ সময় তাঁরা পাঁচ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন। টাকা না দিলে নৌকা ফেরত দেওয়া হবে না বলে হুমকি দেন। এ ছাড়া, ঘটনার আগের দিন একই এলাকায় মামুন মিয়ার সহযোগী এক বড়শিওয়ালাকেও মারধর করে তাঁর কাছ থেকে নগদ ১০ হাজার টাকা ও বড়শি ছিনিয়ে নেন কামরুল ও সহযোগীরা।
এ ব্যাপারে জানতে অভিযুক্ত কামরুল মিয়ার মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল করা হলেও তিনি সাড়া দেননি।
এদিকে উপজেলা শ্রমিক দলের সভাপতি আলী উসমান বলেন, ‘অভিযোগ পুরোপুরি মিথ্যা। মামুন আওয়ামী লীগের রাজনীতি করেন। অনেক বছর তিনি ধনু নদে চাঁদাবাজিসহ আমাদের দলের নেতা-কর্মীদের হয়রানি করেছেন। মামুনের কাছে এক ব্যক্তি টাকা পান, সেই কারণে ওই ব্যক্তি তাঁর নৌকা আটক করেছিলেন। এখন তিনি প্রতিহিংসাপরায়ণ হয়ে আমাদের শ্রমিক দলের নেতাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করেছেন। এই মিথ্যা অভিযোগের বিষয়ে স্থানীয় সবাই অবগত রয়েছেন।’
অভিযোগ তদন্তের দায়িত্বে রয়েছেন খালিয়াজুরী থানার উপপরিদর্শক (এসআই) ফেরদৌস রহমান। আজ রোববার তিনি বলেন, ‘অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে এ বিষয়ে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

নেত্রকোনার খালিয়াজুরীতে ধনু নদে মাছ ধরতে যাওয়া জেলের নৌকা আটকিয়ে পাঁচ লাখ টাকা চাঁদা দাবির অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় শ্রমিক দল নেতা কামরুল মিয়ার বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী জেলে মো. মামুন মিয়া গতকাল শনিবার খালিয়াজুরী থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। এতে শ্রমিক দল নেতা কামরুলসহ ১৫ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছেন তিনি।
অভিযুক্ত কামরুল মিয়া উপজেলার গাজীপুর ইউনিয়ন শ্রমিক দলের সভাপতি। তিনি উপজেলার পাঁচহাট গ্রামের বাসিন্দা। অন্য অভিযুক্তরাও একই গ্রামের বাসিন্দা। অভিযোগকারী জেলে মামুন মিয়াও একই গ্রামের আব্দুল আওয়ালের ছেলে।
থানায় অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, মামুন মিয়া ধনু নদে মাছ ধরে জীবিকা নির্বাহ করেন। পাঁচহাট গ্রামে ধনু নদে কামরুল মিয়াসহ কয়েক ব্যক্তি অবৈধভাবে বাঁশের ঘের দিয়ে মিম (মাছের আবাসস্থল) তৈরি করে রেখেছেন। স্থানীয় জেলেরা সেখানে মাছ ধরতে গেলে তাঁরা বাধা দেন। গতকাল দুপুরে মামুন নৌকা, জাল ও বড়শি নিয়ে নদীতে মাছ ধরতে গেলে অভিযুক্তরা তাঁকে বাধা দিয়ে ঘের থেকে ৩০০ মিটার দূরে গিয়ে মাছ ধরতে বলেন। তিনি এতে আপত্তি জানালে অভিযুক্তরা ক্ষিপ্ত হয়ে তাঁর ইঞ্জিনচালিত নৌকা, জাল ও বড়শি জোর করে নিয়ে যান এবং নিজেদের ঘাটে আটক রাখেন। এ সময় তাঁরা পাঁচ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন। টাকা না দিলে নৌকা ফেরত দেওয়া হবে না বলে হুমকি দেন। এ ছাড়া, ঘটনার আগের দিন একই এলাকায় মামুন মিয়ার সহযোগী এক বড়শিওয়ালাকেও মারধর করে তাঁর কাছ থেকে নগদ ১০ হাজার টাকা ও বড়শি ছিনিয়ে নেন কামরুল ও সহযোগীরা।
এ ব্যাপারে জানতে অভিযুক্ত কামরুল মিয়ার মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল করা হলেও তিনি সাড়া দেননি।
এদিকে উপজেলা শ্রমিক দলের সভাপতি আলী উসমান বলেন, ‘অভিযোগ পুরোপুরি মিথ্যা। মামুন আওয়ামী লীগের রাজনীতি করেন। অনেক বছর তিনি ধনু নদে চাঁদাবাজিসহ আমাদের দলের নেতা-কর্মীদের হয়রানি করেছেন। মামুনের কাছে এক ব্যক্তি টাকা পান, সেই কারণে ওই ব্যক্তি তাঁর নৌকা আটক করেছিলেন। এখন তিনি প্রতিহিংসাপরায়ণ হয়ে আমাদের শ্রমিক দলের নেতাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করেছেন। এই মিথ্যা অভিযোগের বিষয়ে স্থানীয় সবাই অবগত রয়েছেন।’
অভিযোগ তদন্তের দায়িত্বে রয়েছেন খালিয়াজুরী থানার উপপরিদর্শক (এসআই) ফেরদৌস রহমান। আজ রোববার তিনি বলেন, ‘অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে এ বিষয়ে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

পাঁচ মাস ধরে তিনি মোবাইল ফোন ব্যবহার করেন না। ফেসবুক আইডিটি তার কিনা সে বিষয়েও রয়েছে সংশয়। ‘প্রশ্নবিদ্ধ’ পোস্টটিও পুরোনো। তার পরেও ধর্ম অবমাননার অভিযোগ ফরিদপুরের হৃদয় পাল এখন সেনা হেফাজতে।
২৯ অক্টোবর ২০২৪
প্রিয়ার মামাতো ভাই সোহাগ বলেন, ‘সরকার আর্থিক সহযোগিতার পাশাপাশি চাকরি দেওয়ার কথা বলেছে। আমি চাইব আমার বোনটাকে যোগ্যতা অনুযায়ী যেন একটি চাকরির ব্যবস্থা করে। তার ছেলেমেয়ের দায়িত্ব নেয়। কারণ তার আর কোনো বিকল্প উপায় নেই। সে সঙ্গে এ ধরনের ঘটনা যেন আর না ঘটে, সে বিষয়ে আমরা জোরালো দাবি জানাব।’
২০ মিনিট আগে
ফরিদপুর সদর উপজেলায় ট্রাকচাপায় মোসাদ্দেক আলী বশির (৪০) নামের এক আইনজীবী নিহত হয়েছেন। আজ রোববার রাত পৌনে ৮টার দিকে ফরিদপুর শহরের ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের বদরপুর এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। তিনি ফরিদপুর জেলা ও দায়রা জজ আদালতের আইনজীবী ছিলেন।
৩৬ মিনিট আগে
গাজীপুরের কালিয়াকৈরে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের সার্ভিস রোড দখল এবং পুলিশের চাঁদাবাজি ও মামলা দিয়ে হয়রানির অভিযোগ তুলে বিক্ষোভ করেছেন অটোরিকশাচালকেরা।
১ ঘণ্টা আগে