Ajker Patrika

 ‘তুই এখানে কেন’ বলেই চিকিৎসককে মারধর, থানায় মামলা 

নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি
 ‘তুই এখানে কেন’ বলেই চিকিৎসককে মারধর, থানায় মামলা 

নারায়ণগঞ্জে স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদ (স্বাচিপ) ও বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের (বিএমএ) নেতা বিধান চন্দ্র পোদ্দারকে মারধর করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে নারায়ণগঞ্জ থানায় দায়ের করেছেন ভুক্তভোগী। 

গতকাল বুধবার নারায়ণগঞ্জ জেলা গ্রন্থাগার প্রাঙ্গণে তিনি অতর্কিত হামলার শিকার হন বলে মামলায় উল্লেখ করেন। মামলায় মহানগর আওয়ামী লীগের সাবেক স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক আতিকুজ্জামান সোহেল ও তাঁর সহকারী রিপনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত পরিচয়ের ৫-৬ জনকে আসামি করা হয়েছে। 

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনিচুর রহমান মোল্লা। 

ভুক্তভোগী চিকিৎসক বিধান চন্দ্র পোদ্দার মাতুয়াইল শিশু মাতৃ স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটে সহকারী অধ্যাপক (শিশু) হিসেবে কর্মরত রয়েছেন। হামলার দিন জেলা গ্রন্থাগারে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট নির্বাচনে গণতান্ত্রিক ঐক্য পরিষদের প্যানেল পরিচিতি অনুষ্ঠান ছিল। 

ভুক্তভোগী চিকিৎসক বিধান চন্দ্র আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘গতকাল গণতান্ত্রিক ঐক্য পরিষদের প্যানেল পরিচিতি অনুষ্ঠান ছিল। সেই অনুষ্ঠানে যোগ দিতে আসেন আমাদের কেন্দ্রীয় মহাসচিব কামরুল হাসান মিলন। আমি যেহেতু নারায়ণগঞ্জ স্বাচিপের সাধারণ সম্পাদক এবং বিএমএ নারায়ণগঞ্জের সহসভাপতি সেহেতু আমাকে আগেই খবর দেওয়া হয়েছিল। তিনি (মহাসচিব) নারায়ণগঞ্জ আসার পর তাঁর অনুরোধে আমি গাড়িতে উঠে বসি। এরপর গ্রন্থাগার প্রাঙ্গণে নামতেই দেখি সেখানে ডা. সোহেলসহ নিজাম অলোক এবং বেশ কয়েকজন নন ডাক্তার আগে থেকেই দাঁড়িয়ে আছেন। আমি নামতেই আমাকে সোহেল বলল-‘তুই এখানে কেন?’ এরপরেই চার পাঁচজন মিলে আমাকে অতর্কিত মারধর শুরু করল। কোনো কারণ ছাড়াই আমাকে মারতে লাগল তাঁরা। পড়ে আশপাশের মানুষ এসে তাদের নিবৃত্ত করে। কী কারণে মারা হলো আমাকে? কেন এই আক্রমণ তা আমি জানি না।’ 

নারায়ণগঞ্জে স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদ (স্বাচিপ) ও বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের (বিএমএ) নেতা বিধান চন্দ্র পোদ্দারকে মারধর। ছবি: সিসিটিভি থেকেবিএমএ সূত্র বলছে, ২০১৮ সালের বিএমএ নির্বাচন থেকেই নারায়ণগঞ্জে চিকিৎসকদের দুটি সংগঠন রয়েছে। ওই নির্বাচনে বিএমএ নারায়ণগঞ্জ শাখার সহসভাপতি নির্বাচিত হয়েছিলেন ডা. বিধান চন্দ্র পোদ্দার। অন্যদিকে ভিন্ন প্যানেলে ডা. আতিকুজ্জামান সোহেল পরাজিত হয়েছিলেন। 

এ বিষয়ে অভিযুক্ত মহানগর আওয়ামী লীগের সাবেক স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক আতিকুজ্জামান সোহেল আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘মামলার বিষয়টি আমার জানা নেই। এটা স্বাচিপের দুটি গ্রুপের মধ্যে সমস্যা হয়েছে। কেন্দ্রীয় নেতারা বিষয়টি দেখছেন। তারাই ভালো করে জানেন কার কতটুকু অপরাধ রয়েছে। থানা-পুলিশের বিষয়টি আমি অবগত নই। কেন্দ্রীয় নেতাদের কাছে এই বিষয় নিয়ে আলাপ আলোচনা চলছে।’ 

এ বিষয়ে সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনিচুর রহমান মোল্লা আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ডাক্তারদের মারামারির ঘটনায় থানায় মামলা দায়ের হয়েছে। আসামিদের আইনের আওতায় আনতে আমাদের তৎপরতা চলমান আছে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত