Ajker Patrika

পি কে হালদারের সহযোগী বাসুদেব ও পাপিয়া কারাগারে

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
পি কে হালদারের সহযোগী বাসুদেব ও পাপিয়া কারাগারে

জালিয়াতির মাধ্যমে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) করা ১৫ মামলায় গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংকের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রশান্ত কুমার (পি কে) হালদারের সহযোগী এবং ইন্টারন্যাশনাল লিজিং অ্যান্ড ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসের সাবেক পরিচালক বাসুদেব ব্যানার্জি ও তাঁর স্ত্রী পাপিয়া ব্যানার্জিকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

আজ মঙ্গলবার ঢাকার মহানগর দায়রা জজ ও সিনিয়র বিশেষ জজ আদালতের বিচারক মোহাম্মদ আস্ সামছ জগলুল হোসেন তাদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। সকালে আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করলে, দুপুরের দিকে শুনানি শেষে প্রত্যেক মামলায় পৃথকভাবে তাদের জামিন নামঞ্জুর করেন আদালত। পরে তাদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

বিষয়টি আজকের পত্রিকাকে নিশ্চিত করেছেন দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) বিশেষ পিপি মোশারফ হোসেন কাজল।

 ২০২১ সালে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে ইন্টারন্যাশনাল লিজিং অ্যান্ড ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসের পরিচালক বাসুদেব ব্যানার্জি ও তাঁর স্ত্রী পরিচালক পাপিয়া ব্যানার্জির বিরুদ্ধে এসব মামলা দায়ের করে দুদক। মামলার অন্যতম আসামি প্রশান্ত কুমার (পি কে) হালদার।

মামলাগুলোতে প্রায় সাড়ে সাত শ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ রয়েছে। অনিয়মের মাধ্যমে সাড়ে তিন হাজার কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ আছে পি কে হালদারের বিরুদ্ধে। বর্তমানে পি কে হালদার গ্রেপ্তার হয়ে ভারতের কারাগারে রয়েছেন।

এর মধ্যে গত ৯ মে উচ্চ আদালত থেকে ১৫টি মামলায় ছয় সপ্তাহের আগাম জামিন নেন বাসুদেব ব্যানার্জি এবং তাঁর স্ত্রী পাপিয়া ব্যানার্জি। বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কাজী ইবাদত হোসেনের হাইকোর্ট বেঞ্চ তাদের আগাম জামিন দেন। কিন্তু দুর্নীতিতে অভিযুক্ত ব্যক্তিদের এমন জামিন আদেশ স্থগিত চেয়ে আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতির আদালতে আবেদন করে দুদক।

গত ১৩ মে আপিল বিভাগের চেম্বার আদালত আগাম জামিন আদেশ স্থগিত করেন। পরে ২৩ মে দুদকের করা আবেদন নিষ্পত্তি করেন বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিমের নেতৃত্বে সাত বিচারপতির আপিল বেঞ্চ। সে সময় ৪ জুনের মধ্যে বাসুদেব ব্যানার্জি এবং তাঁর স্ত্রী পাপিয়া ব্যানার্জিকে নিম্ন আদালতে হাজির হতে নির্দেশ দেন আপিল বিভাগ।

পি কে হালদারকে অর্থ পাচার ও অবৈধ সম্পদ অর্জনের মামলায় ২০২৩ সালের ৮ অক্টোবর ২২ বছরের কারাদণ্ড দেন ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-১০ এর বিচারক।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত