Ajker Patrika

যমুনা ফিউচার পার্ক থেকে চুরি করা মোবাইল বিক্রি হতো বসুন্ধরা মার্কেটে

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আপডেট : ২৫ জুলাই ২০২২, ১৫: ৪৩
যমুনা ফিউচার পার্ক থেকে চুরি করা মোবাইল বিক্রি হতো বসুন্ধরা মার্কেটে

যমুনা ফিউচার পার্কের একটি মোবাইল শো রুমে নকল চাবি বানিয়ে দোকান খুলে গত ৫ জুলাই আইফোন, স্যামসাং ও সনি ব্র‍্যান্ডের ৫৫টি মোবাইল ফোন চুরি হয়। এই চোর চক্রের তিনজন সদস্য চুরি করা মোবাইলগুলো নিয়ে বসুন্ধরা মার্কেটের বিভিন্ন দোকানে ও দোকানের সামনে দাঁড়িয়ে বিক্রি করে। 

রোববার (২৪ জুলাই) রাত থেকে আজ সোমবার ভোর পর্যন্ত রাজধানীর বসুন্ধরা, ভাটারা ও কুমিল্লায় ধারাবাহিক অভিযান চালিয়ে এ ঘটনায় জড়িত তিনজনকে গ্রেপ্তার করে ঢাকা মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা গুলশান বিভাগ। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন-অনিক হাসান (২২), নাহিদ হাসান (১৯) ও নাদিম মোহাম্মদ সাগর (১৮)। 

এ সময় তাদের কাছ থেকে দুটি সনি এক্সপেরিয়া-৮, তিনটি সনি এক্সপেরিয়া-৫, একটি স্যামসাং গ্যালাক্সি-এ ৩২, চারটি স্যামসাং গ্যালাক্সি-এস ৯ +, চারটি স্যামসাং গ্যালাক্সি-এস ১০ +, একটি স্যামসাং নোট-৯, একটি স্যামসাং নোট-২০, একটি স্যামসাং নোট-১০ +, তিনটি আইফোন-৮, একটি আইফোন ৮ +, চারটি আইফোন-এক্স, দুইটি আইফোন এক্সএস, সাতটি আইফোন এক্সআর, একটি আইফোন এক্সএস ম্যাক্স, চারটি আইফোন-১১, তিনটি আইফোন-১১ প্রো, একটি আইফোন-মিনি ও একটি আইফোন-১২ প্রোসহ মোট ৪৫টি মোবাইল উদ্ধার করা হয়। যার বাজারমূল্য প্রায় ১৫ লাখ টাকা। 

আজ সোমবার (২৫ জুলাই) দুপুরে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন ঢাকা মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার (গোয়েন্দা) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ। 

ডিবি প্রধান বলেন, যমুনা ফিউচার পার্কের লেভেল-৪ এর ব্লক সির শেফা ইন্টারন্যাশনাল মোবাইল শো রুম থেকে তালা ভেঙে আইফোনসহ বিভিন্ন ব্রান্ডের মোবাইল চুরি হয়। এ ঘটনায় ভাটারা থানায় মামলা হয়। গোয়েন্দা পুলিশের তদন্তে দেখা যায় তিনজন চোর দোকানের তালা ভেঙে ব্যাগভর্তি মোবাইল চুরি করে নিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু সেখানে সিকিউরিটি গার্ড কেউ ছিলো না। 

চক্রের সদস্যদের গ্রেপ্তার পর জানা যায়, তাঁরা যমুনা ফিউচার পার্ক থেকে চুরি করা মোবাইল নিয়ে বসুন্ধরা মার্কেটটের সামনে দাঁড়িয়ে এক-দুইটি করে বিক্রি করেছে। এরপর অন্য আরেকজনকে গ্রেপ্তারের পর জানা যায়, তাঁরা মোবাইল চুরির পর নামি-দামি মার্কেটের মোবাইল দোকানে বিক্রি করে। 

মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ বলেন, বসুন্ধরা ও যমুনা ফিউচার মার্কেটে লাগেজ থেকে আনা মোবাইলগুলো সরকারি ট্যাক্স ফাঁকি দেয়। একদিকে তারা সরকারি ট্যাক্স ফাঁকি দিচ্ছে অন্যদিকে মোবাইল যারা কিনছেন সেসব গ্রাহকেরা মোবাইল রেজিষ্ট্রেশন করা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। এই মোবাইলগুলো চুরি হওয়ার পরে আইএমইআই নম্বর না থাকার কারণে সেগুলো উদ্ধার সম্ভব হয় না। 

ডিবি প্রধান আরও বলেন, এক সময় গুলিস্তানসহ আশেপাশের বিভিন্ন মার্কেটে মোবাইল কেনাবেচা হতো। কিন্তু এই চোরদের গ্রেপ্তারের পর জানা গেলো তাঁরা নামিদামি মার্কেটে মোবাইল বিক্রি করে। 

সিকিউরিটি গার্ডের সহয়তা ছাড়া যমুনা ফিউচার পার্কের মতো মার্কেট থেকে এভাবে মোবাইল চুরি করা সম্ভব কি না এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, গ্রেপ্তারকৃতরা স্বীকার করেছেন তাঁরা দিনের বেলায় এই চুরি করেছেন। এভাবে চুরির বিষয়টি মার্কেট কর্তৃপক্ষ দায় এড়াতে পারে না। মার্কেট কর্তৃপক্ষ যদি আমাদের সহয়তা চান তাহলে সহায়তা দেবো। তবে যারা চোরাই মোবাইল বিক্রি করে কিংবা ভবিষ্যতে করবে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

ইতিহাস দরজায় কড়া নেড়ে বলছে, ১৯৭১ থেকে পাকিস্তান কি শেখেনি কিছুই

‘আমাদের মরদেহ বাড়িতে নিয়ো না’

কৃষি ডিপ্লোমা শিক্ষার্থীদের খামারবাড়ি অবরোধের ঘোষণা

মারধর করে ছাত্রলীগ কর্মীর পিঠে পাড়া দিয়ে অটোরিকশায় শহর ঘোরাল ছাত্রদল, সঙ্গে উচ্চ স্বরে গান

যশোরে আত্মগোপনে থাকা আ.লীগের শীর্ষস্থানীয় নেতাদের বাড়িতে পুলিশের অভিযান

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত