Ajker Patrika

অভিযানে গিয়ে অর্থ লুট, মাদকের ৩ কর্মকর্তা বরখাস্ত

টাঙ্গাইল প্রতিনিধি 
বরখাস্ত হওয়া তিন কর্মকর্তা।  ছবি: সংগৃহীত
বরখাস্ত হওয়া তিন কর্মকর্তা। ছবি: সংগৃহীত

টাঙ্গাইলে মাদকবিরোধী অভিযানে গিয়ে সাড়ে ৮ লাখ টাকা লুটের ঘটনায় জেলা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের তিন কর্মকর্তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।

আজ মঙ্গলবার (৮ জুলাই) জেলা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক আবুল হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

এর আগে গতকাল সোমবার রাতে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক হাসান মারুফের সই করা এক অফিস আদেশে তাঁদের বরখাস্ত করা হয়।

সাময়িক বরখাস্ত হওয়া কর্মকর্তারা হলেন টাঙ্গাইল জেলা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের পরিদর্শক সিরাজুল ইসলাম, সহকারী উপপরিদর্শক মোস্তাফিজুর রহমান ও জিয়াউর রহমান।

গত রোববার (৬ জুলাই) মাদকবিরোধী অভিযানে গিয়ে অর্থ লুটের অভিযোগ ওঠে কয়েক কর্মকর্তার বিরুদ্ধে। কর্তৃপক্ষ বিষয়টি আমলে নেয়।

টাঙ্গাইল জেলা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক আবুল হোসেন বলেন, আগেও তাঁদের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ ছিল। তাঁদের বারবার সতর্ক করা হলেও সংশোধন হননি। বরখাস্তসংক্রান্ত অফিস আদেশে বলা হয়, টাকা আত্মসাতের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে তাঁদের প্রধান কার্যালয়ে সংযুক্তপূর্বক সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা, ২০১৮-এর ধারা ১২-এর উপধারা ১ মোতাবেক সরকারি চাকরি থেকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হলো।

আজ দুপুরের মধ্যে তাঁদের প্রধান কার্যালয়ে যোগ দিতে নির্দেশ দেওয়া হয় অফিস আদেশে।

জানা যায়, ভূঞাপুরের সাবেক কাউন্সিলর ছালেহা বেগম অভিযান পরিচালনাকারী কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, জেলা প্রশাসন, উপজেলা প্রশাসন ও থানায় লিখিত অভিযোগ করেন।

অভিযোগে ছালেহা বেগম বলেন, ‘গত ১৮ জুন সকালে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের লোকজন প্রথমে আমার বাড়িতে অভিযান পরিচালনা করে কোনো মাদকদ্রব্য না পেয়ে তাঁদের গাড়ির তেল খরচের জন্য ২০ হাজার টাকা দাবি করেন। তখন আমি তাঁদের ১০ হাজার টাকা দিই। পরে তাঁরা আমাকে বাকি ১০ হাজার ঢাকা মোবাইল ফোনের মাধ্যমে পাঠিয়ে দিতে বলে চলে যান। কিছুক্ষণ পরে তাঁরা পুনরায় আমার ঘরে প্রবেশ করে আসবাবপত্র এলোমেলো করতে থাকেন। পরে প্রায় ৩ ঘণ্টার অধিক সময় নাটকীয়ভাবে অভিযান চালিয়ে ১০ বোতল ফেনসিডিল উদ্ধার দেখানো হয়।

‘একপর্যায়ে তাঁরা ঘরের আলমারির তালা খুলে সেখানে থাকা নগদ ৬ লাখ ৬৬ হাজার টাকা নেন। আমার ছেলের ঘরে প্রবেশ করে আসবাবপত্র এলোমেলো করে ও ঘরের আলমারির ড্রয়ারে থাকা নগদ ১ লাখ ৮০ হাজার টাকা নেন। টাকা নেওয়ার কারণ জানতে চাইলে আমাকে ও আমার ছেলের স্ত্রীকে বিভিন্ন ভয়ভীতি ও হুমকি দেন। পরে জবানবন্দি ভিডিও রেকর্ড করা হয়।’

এ বিষয়ে জেলা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক আবুল হোসেন বলেন, অভিযোগ পাওয়ার পরেই তদন্তকারী কর্মকর্তারা তদন্ত করেন। তদন্তে প্রাথমিক সত্যতা পাওয়ায় তাঁদের সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। এ ছাড়া তাঁদের বিরুদ্ধে দোষ প্রমাণিত হলে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এখন ইরানের ৩০০ কিলোমিটারের মধ্যে ঢুকতে পারবে না ইসরায়েলি যুদ্ধবিমান

ভারী বৃষ্টি কোথায় কতদিন থাকবে, জানাল আবহাওয়া অধিদপ্তর

‘ইসরায়েলে টানা ২ বছর হামলা চালালেও ইরানের সক্ষমতা শেষ হবে না’

সেভেন সিস্টার্সকে সংযোগকারী ভারত-মিয়ানমারের কালাদান প্রকল্প চালু হবে ২০২৭ সালে

কক্সবাজার সমুদ্রসৈকতে তলিয়ে গেছেন চবির ৩ শিক্ষার্থী, একজনের লাশ উদ্ধার

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত