Ajker Patrika

হিজাব না খুলে বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে পরিচয় শনাক্তের পরামর্শ ঢাবি শিক্ষার্থীদের  

ঢাবি প্রতিনিধি
হিজাব না খুলে বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে পরিচয় শনাক্তের পরামর্শ ঢাবি শিক্ষার্থীদের  

পরিচয় শনাক্তে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) কর্তৃপক্ষকে শিক্ষার্থীদের হিজাব না খুলে বায়োমেট্রিক পদ্ধতি ব্যবহারের পরামর্শ দিয়েছেন কয়েকজন শিক্ষার্থী। আজ বুধবার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের ৩য় বর্ষের ভাইবা বোর্ডে নিকাব ও হিজাব পরিহিতদের হেনস্তা করার অভিযোগ তুলে বিক্ষোভ সমাবেশে এ পরামর্শ দেন শিক্ষার্থীরা। বিক্ষোভ–সমাবেশ শেষ ৭ দফা দাবি নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করেন তাঁরা।   

এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের শিক্ষার্থী সাখাওয়াত জাকারিয়া বলেন, ‘পরিচয় শনাক্তের জন্য হিজাব নিকাব খোলার কথা বলা হয়। কিন্তু এখন তথ্যপ্রযুক্তির যুগে বায়োমেট্রিক পদ্ধতির কথা বলছি, তাতে তারা (বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন) ব্যর্থ হয়েছে। অর্থের অভাবে যদি বায়োমেট্রিক পদ্ধতি চালু করতে না পারেন, তাহলে আমরা শিক্ষার্থীরা যৌথভাবে অর্থ সংগ্রহ করে ব্যবস্থা করে দেব। অন্যথায় নারী শিক্ষকের মাধ্যমে পরিচয় শনাক্তের ব্যবস্থা করুন। আমাদের বোনদের অযথা হয়রানি করবেন না।’

আজ উপাচার্য বরাবর শিক্ষার্থীরা যেসব দাবি জানিয়েছেন সেগুলো হলো, শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের তৃতীয় বর্ষের ভাইভা বোর্ডে পর্দানশিন শিক্ষার্থীদের হেনস্তার সুষ্ঠু তদন্ত করা এবং নিকাব পরিধান করায় ভাইভা না নেওয়া শিক্ষার্থীর ভাইভা নেওয়ার ব্যবস্থা করা; অধ্যাপক ওয়াহিদুজ্জামান চাঁন কর্তৃক ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীকে উগ্রবাদী দলের সদস্য অপবাদ দিয়ে ভিকটিম ব্লেমিং করায় এবং পর্দানশিন মেয়েরা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে না এসে বাসায় পড়াশোনা করবেন বলে বর্ণবাদী মন্তব্য করায় তাঁর বিরুদ্ধে প্রশাসনিক পদক্ষেপ গ্রহণ করা; বাংলা বিভাগ কর্তৃক পরীক্ষা চলাকালীন কানসহ মুখমণ্ডল দৃশ্যমান রাখা সংক্রান্ত নোটিশ বাতিল করা; পরিচয় শনাক্তকরণে আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার নিশ্চিত করা; দ্রুততম সময়ে সব অনুষদের সব বিভাগে হিজাব-নিকাব পরিধানকারী শিক্ষার্থীদের হেনস্তা করা বন্ধে নোটিশ প্রদান করা; বিভিন্ন সময়ে ক্লাসরুমে, ভাইবা বোর্ডে অথবা পরীক্ষার হলে নিকাব খুলতে বাধ্য করা অথবা কটূক্তির মাধ্যমে নারী শিক্ষার্থীদের শ্লীলতাহানি করার মতো ঘটনাগুলো তদন্তপূর্বক বিচারের ব্যবস্থা করা এবং হিজাব বা নিকাব পরিধানে পূর্ণ স্বাধীনতা দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় বিধিতে ধারা যুক্ত করা ও এসব ঘটনায় ঝরে পড়া শিক্ষার্থীদের ক্ষতিপূরণের ব্যবস্থা করা। 

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. আখতারুজ্জামান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু শিক্ষার্থী স্মারকলিপি দিয়েছেন। তাঁরা যেসব বিষয়ে কথা বলছেন সেটাও দেখেছি, তাঁদের সঙ্গে আলাপ আলোচনা করেছি। আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় অসাম্প্রদায়িক ও মানবিক ক্যাম্পাস। শার্ট, প্যান্ট, টুপি, পাঞ্জাবি পরিহিত সব ধরনের মানুষ থাকবে। সবার প্রতি সম্মান দেখানো প্রয়োজন। পাশাপাশি পরিচয় শনাক্তের জন্য যতটুকু করা দরকার অভিভাবক হিসেবে শিক্ষকদের ততটুকু করতে হবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত