Ajker Patrika

জীবনযুদ্ধে হার না মানা লাপল কড়া

মন্টি বৈষ্ণব, ঢাকা
জীবনযুদ্ধে হার না মানা লাপল কড়া

নাম তাঁর লাপল কড়া। বাংলাদেশের ইতিহাস থেকে প্রায় মুছে যাওয়া কড়া সম্প্রদায়ের একজন সদস্য। লাপল আজ জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের থিয়েটার অ্যান্ড পারফরম্যান্স বিভাগের স্নাতক (২০২০-২১) শিক্ষাবর্ষের প্রথম বর্ষে ভর্তি হয়েছেন। কড়া সম্প্রদায় থেকে লাপলই প্রথম গ্রামের ক্ষুদ্র গণ্ডি পেরিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি হয়ে উচ্চশিক্ষা নিতে যাচ্ছেন। 

বাংলাদেশে কড়া সম্প্রদায়ের বসবাস দিনাজপুরে। এ দেশে কড়া সম্প্রদায়ের ২৮টি পরিবার রয়েছে। এই ২৮ পরিবারের মোট জনসংখ্যা ১০৪ জন, যারা এই ভূমিতে এই সম্প্রদায়কে টিকিয়ে রেখেছেন। কড়া সম্প্রদায়ের পেশা কৃষি। ফসল রোপণ ও কাটার সময় ছাড়া বছরের বাকি সময় এরা দিনমজুরের কাজ করেন। কড়াদের অভাবের সংসারে টানাপোড়েন লেগেই থাকে। তবু সহজ-সুন্দর জীবন তাদের। কিন্তু এই সারল্য, অভাব এবং সংখ্যায় কম হওয়াটাই তাদের কাল হয়েছে। এর সুযোগ নিয়ে ভূমিদস্যুরা তাদের ওপর রীতিমতো অত্যাচার চালায়। 

ইতিহাসের পাতায় কড়া সম্প্রদায়ের অস্তিত্ব প্রায় নেই বললেই চলে। স্থানীয় হিন্দু-মুসলিম সম্প্রদায় ও ভূমি দস্যুদের অত্যাচারে কড়া সম্প্রদায়ের অধিকাংশ পরিবার এ দেশ ছেড়ে ভারতে চলে যেতে বাধ্য হয়েছে। বর্তমানে যে অল্প কয়েকজন টিকে আছেন, তাঁদেরও যেতে হয় নানা হুমকি-ধমকির মধ্য দিয়ে। 

দিনাজপুরের হালজায় লাপলের বেড়ে ওঠা। লাপল কড়ার মায়ের নাম সাতোল কড়া, বাবা রতন কড়া। বাবা মারা যান ২০১৬ সালে। সে সময় লাপল নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী। লাপলেরা দুই ভাই, এক বোন। ভাইয়ের নাম সাপোল কড়া। ছোট বোন পূর্ণিমা কড়া। লাপল স্থানীয় রাঙ্গন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে সমাপনী, হালজা উচ্চবিদ্যালয় থেকে এসএসসি ও বোর্ড হাট মহাবিদ্যালয় থেকে এইচএসসি পাস করেন। বেশ কষ্ট করেই তাঁকে পড়াশোনা চালিয়ে যেতে হয়েছে। এবার তাঁর লড়াইটি বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে পৌঁছাল। লাপলের পরিবার এবং কড়া সম্প্রদায়ের মানুষদের বিদ্যমান বাস্তবতায় এটি অনেক বড় ঘটনা। 

লাপল কড়া

এ বিষয়ে মেধাবী শিক্ষার্থী লাপল কড়া আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে পারব, সেটা একটা সময় স্বপ্নের মতো মনে হতো। কোনো দিন ভাবিনি বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্লাস করতে পারব। ভর্তি পরীক্ষা দিতে গিয়ে অনেক ভয় লেগেছিল। পরীক্ষা দিতে গিয়ে হাত ঘেমে গিয়েছিল। এতটাই যে, কিছু প্রশ্নের উত্তর ভুলও দিয়েছিলাম।’ 

স্বাভাবিকভাবেই বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে পেরে ভীষণ আনন্দিত লাপল। তাঁর মুখেই শোনা যাক—এখন বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়ে মনে হচ্ছে আমার জীবনে ফুরফুরে হাওয়া বইছে। জীবনের অন্ধকার দিন শেষে আলোর পথ দেখছি। আমার খুব ভালো লাগছে। আমার ভর্তির খবর শুনে মা খুব খুশি হয়েছেন। কারণ, বড় ভাইয়ের এক ঘটনাকে কেন্দ্র করে মায়ের মনে খুব ইচ্ছে হয়—আমি যেন পড়ালেখা করে চাকরি করি। মায়ের সেই ইচ্ছা থেকে আমার পড়ালেখার প্রতি আগ্রহ বাড়ে। জীবনের অনেক চড়াই-উতরাই পেরিয়ে অবশেষে আজ আমি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হলাম।’ 

লাপলের কাছে তাঁর শৈশবের দিনগুলোর কথা শুনতে চাইলে বলেন, ‘আমরা দুই ভাই, আর এক বোন। আমি ছোটবেলা থেকে দেখে এসেছি আমাদের গ্রামের সব পরিবার দরিদ্র। তাই শিক্ষিতের হার ছিল খুবই কম। আমাদের গ্রামের পরিবারগুলোর কারও আর্থিক অবস্থা ভালো ছিল না। আর্থিক সংকটের কারণে এই পরিবারগুলোর সন্তানেরা স্কুল থেকে দ্রুত ঝরে পড়ত। এখানকার ছেলেমেয়েরা পড়ালেখায় বেশি দূর এগোতে পারত না। বিষয়টা আমার খুব খারাপ লাগত। এ ছাড়া এই গ্রামের কেউ পড়ালেখা করার জন্য উৎসাহ দিতেন না। তবে ছোটবেলা থেকে আমার ইচ্ছে ছিল আমি উচ্চশিক্ষায় শিক্ষিত হব। কিন্তু গরিব হওয়াটা আমার পথের কাঁটা হয়ে দাঁড়ায়।’ 

জন্মের পর থেকে যাদের নুন আনতে পান্তা ফুরায়, তাদের একজন লাপল। পড়ালেখা করার জন্য স্কুলে ভর্তি হবে, সে কথা আগে কখনো ভাবেননি। কিন্তু পড়ালেখার প্রতি যার ছোটবেলা থেকে অদম্য ইচ্ছা, সে কি আর পড়ালেখা থেকে দূরে থাকতে পারে? লাপলের জীবনে পড়ালেখার যাত্রা শুরু হয় একটা ঘটনা দিয়ে। কী সেটা? লাপল বলেন, ‘আমি যখন অনেক ছোট ছিলাম, তখন গ্রামের বাঙালি ছেলেদের সঙ্গে সাইকেলের টায়ার চালিয়ে ওদের স্কুলে যেতাম। ওরা স্কুলে ঢুকে গেলে আমি স্কুলের মাঠে সাইকেলের টায়ার নিয়ে খেলা করতাম। একদিন ওই স্কুলের এক শিক্ষক আমাকে ডেকে বলেন, “তোমার কী নাম? তোমার বাড়ি কোথায়? তোমার বাবাকে একদিন আমার সঙ্গে দেখা করতে বলবে। ” এর পর বাবা স্কুল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে দেখা করেন। ২০০৫ সালে আমি সে স্কুলে ভর্তি হই। স্কুলে ভর্তি হতে পেরে সেদিন আমি খুব খুশি হয়েছিলাম।’ 

লাপল কড়ালাপল ছোটবেলার কথা বলতে গিয়ে একপর্যায়ে বলেন, ‘টানাপোড়েনের সংসারে আমি তৃতীয় শ্রেণি থেকে লেখাপড়ার পাশাপাশি কাজ করতাম। স্কুলের ছুটিগুলোতে একটু বেশি কাজ করতাম। বাবার সামর্থ্য খুব বেশি ছিল না। যখন আমি নবম শ্রেণির ছাত্র, তখন বাবা মারা যান। আবার বড় ভাই প্রতিবন্ধী। তাই পরিবারের বেশির ভাগ দায়িত্ব আমার কাঁধে এসে পড়ে। এ কারণে পড়ালেখার পাশাপাশি আমি মায়ের সঙ্গে রাজমিস্ত্রি, ধান রোপণের কাজ করতাম।’ 

লাপলেরা জানে ক্ষুধার কষ্ট কী। সে সময় এক মণ ধান মাড়াই করলে মহাজন ৫ কেজি ধান দিতেন। লাপলের মা ধান মাড়াই করে সে ধান বিক্রির টাকা দিয়ে ছেলের এসএসসি পরীক্ষার ফরম পূরণের খরচ দেন। এ ছাড়া এলাকার কয়েকজন বড় ভাইয়ের সহযোগিতায় লাপল এইচএসসি পাস করেন। 

অনেক বেশি আত্মবিশ্বাসের কারণে প্রতিকূল পরিবেশেও লাপল পড়ালেখা মাঝপথে থামিয়ে দেননি। বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ালেখা করে ভবিষ্যতে কী করতে চান জানতে চাইলে লাপল বলেন, ‘আদিবাসীদের সংস্কৃতি আমাকে অনেক বেশি টানে। আমি আমার সম্প্রদায়ের ঐতিহ্য-ইতিহাস সবাইকে জানাতে চাই। এ ছাড়া নাটকে অভিনয়ের মাধ্যমে জানাতে চাই ভূমিদস্যুদের অত্যাচারের কথা।’ 

লাপলের চোখে স্বপ্ন। সে স্বপ্ন নিজেকে ছাড়িয়ে, নিজের সম্প্রদায়, নিজের ভূমি, নিজের অস্তিত্বের সঙ্গে মিশে আছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

জামায়াতে যোগ দিলেন বিএনপি থেকে পাঁচবার বহিষ্কৃত আখতারুজ্জামান

প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠকে বিএনপি, জামায়াত ও এনসিপি

ব্রিটেনে নাগরিকত্ব হারানোর ঝুঁকিতে কোটি মুসলিম, বেশির ভাগই বাংলাদেশ-ভারত-পাকিস্তানের

আজকের রাশিফল: চায়ের বিল না দেওয়া বন্ধুদের সাহায্য করুন, সন্ধ্যার দিকে ভালো খবর

মা-বাবাকে নির্যাতন, ছেলেকে কোমর পর্যন্ত মাটিতে পুঁতে রাখল প্রতিবেশীরা

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

ওসমান হাদির ওপর হামলার প্রতিবাদে বকশীগঞ্জে সড়ক অবরোধ-বিক্ষোভ

বকশীগঞ্জ (জামালপুর) প্রতিনিধি    
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান বিন হাদির ওপর হামলার প্রতিবাদে আজ শনিবার দুপুরে জামালপুরের বকশীগঞ্জের বটতলা মোড়ে সড়কে টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ। ছবি: আজকের পত্রিকা
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান বিন হাদির ওপর হামলার প্রতিবাদে আজ শনিবার দুপুরে জামালপুরের বকশীগঞ্জের বটতলা মোড়ে সড়কে টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ। ছবি: আজকের পত্রিকা

ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ও ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী শরিফ ওসমান বিন হাদির ওপর হামলার প্রতিবাদে জামালপুরের বকশীগঞ্জ উপজেলায় সড়ক অবরোধ ও বিক্ষোভ মিছিল হয়েছে। আজ শনিবার দুপুরে জুলাই ঐক্য পরিষদের ব্যানারে এই কর্মসূচি পালন করা হয়।

বেলা ২টার দিকে বকশীগঞ্জ নূর মোহাম্মদ উচ্চবিদ্যালয় মাঠ থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়। মিছিলটি শহরের প্রধান সড়ক ঘুরে বটতলা মোড়ে গিয়ে শেষ হয়। সেখানে নেতা-কর্মীরা সড়কের ওপর অবস্থান নিয়ে টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ ও সমাবেশ করেন। দুই ঘণ্টা ধরে সড়ক অবরোধের ফলে যানজটের সৃষ্টি হয়।

সমাবেশে বক্তব্য দেন বকশীগঞ্জ উপজেলা গণঅধিকার পরিষদের আহ্বায়ক প্রকৌশলী শাহরিয়ার আহম্মেদ সুমন, সদস্যসচিব আমির হোসেন, উপজেলা ছাত্রদলের সদস্যসচিব বায়েজিদ আলামিন, জামালপুর জেলা ছাত্র অধিকার পরিষদের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সা’আদ আহমেদ রাজু, জুলাই যোদ্ধা শহিদুল হক সানি, ঢাকা মহানগর উত্তরের সহসভাপতি তামিম মোল্লা, উপজেলা ছাত্র অধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক শিশির আহমেদ নিশান প্রমুখ।

প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তারা শরিফ ওসমান বিন হাদির ওপর হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়ে বলেন, ‘আমাদের ভাই শরিফ ওসমান বিন হাদি গুলিবিদ্ধ হয়ে হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে লড়ছেন। আমরা তাঁর দ্রুত সুস্থতা কামনা করছি। একই সঙ্গে হামলার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের দ্রুত আইনের আওতায় আনার দাবি জানাই।’

খবর পেয়ে বকশীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মকবুল হোসেন ঘটনাস্থলে এসে আলোচনা করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। তিনি আন্দোলনকারীদের আশ্বস্ত করে বলেন, আইনগত প্রক্রিয়ায় হামলার সঙ্গে জড়িত আসামিকে দ্রুত গ্রেপ্তার করা হবে। ওসির আশ্বাসের পর আন্দোলনকারীরা অবরোধ প্রত্যাহার করলে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

জামায়াতে যোগ দিলেন বিএনপি থেকে পাঁচবার বহিষ্কৃত আখতারুজ্জামান

প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠকে বিএনপি, জামায়াত ও এনসিপি

ব্রিটেনে নাগরিকত্ব হারানোর ঝুঁকিতে কোটি মুসলিম, বেশির ভাগই বাংলাদেশ-ভারত-পাকিস্তানের

আজকের রাশিফল: চায়ের বিল না দেওয়া বন্ধুদের সাহায্য করুন, সন্ধ্যার দিকে ভালো খবর

মা-বাবাকে নির্যাতন, ছেলেকে কোমর পর্যন্ত মাটিতে পুঁতে রাখল প্রতিবেশীরা

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

৪ দিন পর উৎপাদনে ফিরল কর্ণফুলী পেপার মিল

কাপ্তাই (রাঙামাটি) প্রতিনিধি
রাঙামাটির কাপ্তাই উপজেলার চন্দ্রঘোনায় অবস্থিত রাষ্ট্রায়ত্ত কাগজ উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান কর্ণফুলী পেপার মিল। ছবি: আজকের পত্রিকা
রাঙামাটির কাপ্তাই উপজেলার চন্দ্রঘোনায় অবস্থিত রাষ্ট্রায়ত্ত কাগজ উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান কর্ণফুলী পেপার মিল। ছবি: আজকের পত্রিকা

রাঙামাটির কাপ্তাই উপজেলার চন্দ্রঘোনায় অবস্থিত রাষ্ট্রায়ত্ত কাগজ উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান কর্ণফুলী পেপার মিল (কেপিএম) চার দিন পর উৎপাদনে ফিরেছে। ওয়াগ্গা পানির পাম্প হাউসের কারিগরি ত্রুটির কারণে চার দিন উৎপাদন সাময়িক বন্ধ থাকে। আজ শনিবার সকালে পুনরায় কাগজ উৎপাদনে শুরু হয়।

কেপিএমের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) শহীদ উল্লাহ জানান, ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ব্যালট ছাপানোর জন্য বাংলাদেশ স্টেশনারি অফিসের (বিএসও) মাধ্যমে নির্বাচন কমিশন কেপিএম থেকে ৯১৫ টন বাদামি, গোলাপি ও সবুজ রঙের কাগজের চাহিদা দিয়েছে। এর মধ্যে কেপিএম থেকে ৫৩৭ টন কাগজ সরবরাহ করা হয়েছে। অবশিষ্ট ৩৭৮ টন কাগজ পর্যায়ক্রমে সরবরাহ করবে প্রতিষ্ঠানটি।

শহীদ উল্লাহ বলেন, ‘কারখানার কর্ণফুলী নদীসংলগ্ন ওয়াগ্গা পানি উত্তোলন পাম্প হাউসের কারিগরি সমস্যার কারণে চার দিন ধরে উৎপাদন সাময়িক বন্ধ ছিল।’

শহীদ উল্লাহ আরও বলেন, ‘কেপিএমের কাগজ উৎপাদনে প্রচুর পানির প্রয়োজন হয়। এর পুরোটাই কর্ণফুলী নদী থেকে তোলা হয়। শুষ্ক মৌসুম শুরু হওয়ায় ভাটার সময় নদীর পানির স্তর অনেক নিচে নেমে যায়। এতে পর্যাপ্ত পানি উত্তোলন বাধাপ্রাপ্ত হয়। বর্তমানে পানি প্রবেশপথ ম্যানুয়ালি খননের মাধ্যমে এবং বালু উত্তোলন পাইপলাইন ব্যবহার করে আরও গভীর করে উৎপাদন সচল করা হয়েছে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

জামায়াতে যোগ দিলেন বিএনপি থেকে পাঁচবার বহিষ্কৃত আখতারুজ্জামান

প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠকে বিএনপি, জামায়াত ও এনসিপি

ব্রিটেনে নাগরিকত্ব হারানোর ঝুঁকিতে কোটি মুসলিম, বেশির ভাগই বাংলাদেশ-ভারত-পাকিস্তানের

আজকের রাশিফল: চায়ের বিল না দেওয়া বন্ধুদের সাহায্য করুন, সন্ধ্যার দিকে ভালো খবর

মা-বাবাকে নির্যাতন, ছেলেকে কোমর পর্যন্ত মাটিতে পুঁতে রাখল প্রতিবেশীরা

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

হাদিকে গুলি: মৌলভীবাজার সীমান্তে বিজিবির একাধিক বিশেষ চেকপোস্ট স্থাপন

মৌলভীবাজার, প্রতিনিধি
সীমান্ত এলাকায় বিজিবির তল্লাশি। ছবি: আজকের পত্রিকা
সীমান্ত এলাকায় বিজিবির তল্লাশি। ছবি: আজকের পত্রিকা

ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ও ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য প্রার্থী শরিফ ওসমান হাদি গুলিবিদ্ধ হওয়ার ঘটনায় জড়িতরা যেন সীমান্ত অতিক্রম করে পালাতে না পারে, সে জন্য মৌলভীবাজারে সীমান্ত এলাকায় বিশেষ চেকপোস্ট ও তল্লাশি অভিযান চালাচ্ছে বিজিবি। মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ, জুড়ী, বড়লেখা, কুলাউড়া ও শ্রীমঙ্গল উপজেলার ২৭১ কিলোমিটার সীমান্ত এলাকায় বিজিবির টহল জোরদার করা হয়েছে।

বিজিবি সূত্রে জানা গেছে, জেলার পাঁচটি উপজেলার সীমান্তবর্তী এলাকায় একাধিক বিশেষ চেকপোস্ট স্থাপন করা হয়েছে এবং তল্লাশি অভিযান অব্যাহত রয়েছে। একই সঙ্গে গোয়েন্দা তৎপরতা জোরদার করা হয়েছে এবং সীমান্ত এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তি ও সাধারণ জনগণের মাঝে হাদিকে গুলির ঘটনার সঙ্গে সম্পৃক্ত সন্দেহভাজনদের ছবি প্রদর্শনের মাধ্যমে প্রয়োজনীয় তথ্য প্রদান করার জন্য অনুরোধ জানানো হয়েছে, যাতে দুষ্কৃতকারীকে আটক এবং যেকোনো অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি দ্রুত নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়।

বিষয়টি নিশ্চিত করে বিয়ানীবাজার ব্যাটালিয়ন (৫২ বিজিবি) পরিচালক (অধিনায়ক) লে. কর্নেল মোহাম্মদ আরিফুল হক চৌধুরী বলেন, সীমান্ত এলাকায় বিশেষ চেকপোস্ট ও তল্লাশি অভিযান চালাচ্ছে বিজিবি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

জামায়াতে যোগ দিলেন বিএনপি থেকে পাঁচবার বহিষ্কৃত আখতারুজ্জামান

প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠকে বিএনপি, জামায়াত ও এনসিপি

ব্রিটেনে নাগরিকত্ব হারানোর ঝুঁকিতে কোটি মুসলিম, বেশির ভাগই বাংলাদেশ-ভারত-পাকিস্তানের

আজকের রাশিফল: চায়ের বিল না দেওয়া বন্ধুদের সাহায্য করুন, সন্ধ্যার দিকে ভালো খবর

মা-বাবাকে নির্যাতন, ছেলেকে কোমর পর্যন্ত মাটিতে পুঁতে রাখল প্রতিবেশীরা

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

সড়কে গাছ ফেলে ডাকাতি, ছুরিকাঘাতে দুজন আহত

চাঁপাইনবাবগঞ্জ প্রতিনিধি
চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুর উপজেলায় সড়কে গাছ ফেলে ডাকাতি। ছবি: আজকের পত্রিকা
চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুর উপজেলায় সড়কে গাছ ফেলে ডাকাতি। ছবি: আজকের পত্রিকা

চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুর উপজেলায় সড়কে গাছ ফেলে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। এ সময় ডাকাতের হামলায় ছুরিকাহত হয়েছেন দুই পথচারী। এ ছাড়া তাঁদের কাছে থাকা টাকা ও মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নিয়ে যায় ডাকাত দল।

গতকাল শুক্রবার দিবাগত মধ্যরাতে রহনপুর-আড্ডা সড়কের নজরপুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। আহত দুই পথচারী হলেন রুবেল ও নাজিম উদ্দীন। তাঁদেরকে উদ্ধার করে গোমস্তাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। সেখানে তাঁদের প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয় বলে জানিয়েছেন হাসপাতালের চিকিৎসক।

এ বিষয়ে গোমস্তাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল বারিক বলেন, ‘এ ঘটনায় থানায় অভিযোগ পেয়েছি। আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

জামায়াতে যোগ দিলেন বিএনপি থেকে পাঁচবার বহিষ্কৃত আখতারুজ্জামান

প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠকে বিএনপি, জামায়াত ও এনসিপি

ব্রিটেনে নাগরিকত্ব হারানোর ঝুঁকিতে কোটি মুসলিম, বেশির ভাগই বাংলাদেশ-ভারত-পাকিস্তানের

আজকের রাশিফল: চায়ের বিল না দেওয়া বন্ধুদের সাহায্য করুন, সন্ধ্যার দিকে ভালো খবর

মা-বাবাকে নির্যাতন, ছেলেকে কোমর পর্যন্ত মাটিতে পুঁতে রাখল প্রতিবেশীরা

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত