মন্টি বৈষ্ণব, ঢাকা

নাম তাঁর লাপল কড়া। বাংলাদেশের ইতিহাস থেকে প্রায় মুছে যাওয়া কড়া সম্প্রদায়ের একজন সদস্য। লাপল আজ জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের থিয়েটার অ্যান্ড পারফরম্যান্স বিভাগের স্নাতক (২০২০-২১) শিক্ষাবর্ষের প্রথম বর্ষে ভর্তি হয়েছেন। কড়া সম্প্রদায় থেকে লাপলই প্রথম গ্রামের ক্ষুদ্র গণ্ডি পেরিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি হয়ে উচ্চশিক্ষা নিতে যাচ্ছেন।
বাংলাদেশে কড়া সম্প্রদায়ের বসবাস দিনাজপুরে। এ দেশে কড়া সম্প্রদায়ের ২৮টি পরিবার রয়েছে। এই ২৮ পরিবারের মোট জনসংখ্যা ১০৪ জন, যারা এই ভূমিতে এই সম্প্রদায়কে টিকিয়ে রেখেছেন। কড়া সম্প্রদায়ের পেশা কৃষি। ফসল রোপণ ও কাটার সময় ছাড়া বছরের বাকি সময় এরা দিনমজুরের কাজ করেন। কড়াদের অভাবের সংসারে টানাপোড়েন লেগেই থাকে। তবু সহজ-সুন্দর জীবন তাদের। কিন্তু এই সারল্য, অভাব এবং সংখ্যায় কম হওয়াটাই তাদের কাল হয়েছে। এর সুযোগ নিয়ে ভূমিদস্যুরা তাদের ওপর রীতিমতো অত্যাচার চালায়।
ইতিহাসের পাতায় কড়া সম্প্রদায়ের অস্তিত্ব প্রায় নেই বললেই চলে। স্থানীয় হিন্দু-মুসলিম সম্প্রদায় ও ভূমি দস্যুদের অত্যাচারে কড়া সম্প্রদায়ের অধিকাংশ পরিবার এ দেশ ছেড়ে ভারতে চলে যেতে বাধ্য হয়েছে। বর্তমানে যে অল্প কয়েকজন টিকে আছেন, তাঁদেরও যেতে হয় নানা হুমকি-ধমকির মধ্য দিয়ে।
দিনাজপুরের হালজায় লাপলের বেড়ে ওঠা। লাপল কড়ার মায়ের নাম সাতোল কড়া, বাবা রতন কড়া। বাবা মারা যান ২০১৬ সালে। সে সময় লাপল নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী। লাপলেরা দুই ভাই, এক বোন। ভাইয়ের নাম সাপোল কড়া। ছোট বোন পূর্ণিমা কড়া। লাপল স্থানীয় রাঙ্গন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে সমাপনী, হালজা উচ্চবিদ্যালয় থেকে এসএসসি ও বোর্ড হাট মহাবিদ্যালয় থেকে এইচএসসি পাস করেন। বেশ কষ্ট করেই তাঁকে পড়াশোনা চালিয়ে যেতে হয়েছে। এবার তাঁর লড়াইটি বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে পৌঁছাল। লাপলের পরিবার এবং কড়া সম্প্রদায়ের মানুষদের বিদ্যমান বাস্তবতায় এটি অনেক বড় ঘটনা।

এ বিষয়ে মেধাবী শিক্ষার্থী লাপল কড়া আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে পারব, সেটা একটা সময় স্বপ্নের মতো মনে হতো। কোনো দিন ভাবিনি বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্লাস করতে পারব। ভর্তি পরীক্ষা দিতে গিয়ে অনেক ভয় লেগেছিল। পরীক্ষা দিতে গিয়ে হাত ঘেমে গিয়েছিল। এতটাই যে, কিছু প্রশ্নের উত্তর ভুলও দিয়েছিলাম।’
স্বাভাবিকভাবেই বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে পেরে ভীষণ আনন্দিত লাপল। তাঁর মুখেই শোনা যাক—এখন বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়ে মনে হচ্ছে আমার জীবনে ফুরফুরে হাওয়া বইছে। জীবনের অন্ধকার দিন শেষে আলোর পথ দেখছি। আমার খুব ভালো লাগছে। আমার ভর্তির খবর শুনে মা খুব খুশি হয়েছেন। কারণ, বড় ভাইয়ের এক ঘটনাকে কেন্দ্র করে মায়ের মনে খুব ইচ্ছে হয়—আমি যেন পড়ালেখা করে চাকরি করি। মায়ের সেই ইচ্ছা থেকে আমার পড়ালেখার প্রতি আগ্রহ বাড়ে। জীবনের অনেক চড়াই-উতরাই পেরিয়ে অবশেষে আজ আমি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হলাম।’
লাপলের কাছে তাঁর শৈশবের দিনগুলোর কথা শুনতে চাইলে বলেন, ‘আমরা দুই ভাই, আর এক বোন। আমি ছোটবেলা থেকে দেখে এসেছি আমাদের গ্রামের সব পরিবার দরিদ্র। তাই শিক্ষিতের হার ছিল খুবই কম। আমাদের গ্রামের পরিবারগুলোর কারও আর্থিক অবস্থা ভালো ছিল না। আর্থিক সংকটের কারণে এই পরিবারগুলোর সন্তানেরা স্কুল থেকে দ্রুত ঝরে পড়ত। এখানকার ছেলেমেয়েরা পড়ালেখায় বেশি দূর এগোতে পারত না। বিষয়টা আমার খুব খারাপ লাগত। এ ছাড়া এই গ্রামের কেউ পড়ালেখা করার জন্য উৎসাহ দিতেন না। তবে ছোটবেলা থেকে আমার ইচ্ছে ছিল আমি উচ্চশিক্ষায় শিক্ষিত হব। কিন্তু গরিব হওয়াটা আমার পথের কাঁটা হয়ে দাঁড়ায়।’
জন্মের পর থেকে যাদের নুন আনতে পান্তা ফুরায়, তাদের একজন লাপল। পড়ালেখা করার জন্য স্কুলে ভর্তি হবে, সে কথা আগে কখনো ভাবেননি। কিন্তু পড়ালেখার প্রতি যার ছোটবেলা থেকে অদম্য ইচ্ছা, সে কি আর পড়ালেখা থেকে দূরে থাকতে পারে? লাপলের জীবনে পড়ালেখার যাত্রা শুরু হয় একটা ঘটনা দিয়ে। কী সেটা? লাপল বলেন, ‘আমি যখন অনেক ছোট ছিলাম, তখন গ্রামের বাঙালি ছেলেদের সঙ্গে সাইকেলের টায়ার চালিয়ে ওদের স্কুলে যেতাম। ওরা স্কুলে ঢুকে গেলে আমি স্কুলের মাঠে সাইকেলের টায়ার নিয়ে খেলা করতাম। একদিন ওই স্কুলের এক শিক্ষক আমাকে ডেকে বলেন, “তোমার কী নাম? তোমার বাড়ি কোথায়? তোমার বাবাকে একদিন আমার সঙ্গে দেখা করতে বলবে। ” এর পর বাবা স্কুল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে দেখা করেন। ২০০৫ সালে আমি সে স্কুলে ভর্তি হই। স্কুলে ভর্তি হতে পেরে সেদিন আমি খুব খুশি হয়েছিলাম।’
লাপল ছোটবেলার কথা বলতে গিয়ে একপর্যায়ে বলেন, ‘টানাপোড়েনের সংসারে আমি তৃতীয় শ্রেণি থেকে লেখাপড়ার পাশাপাশি কাজ করতাম। স্কুলের ছুটিগুলোতে একটু বেশি কাজ করতাম। বাবার সামর্থ্য খুব বেশি ছিল না। যখন আমি নবম শ্রেণির ছাত্র, তখন বাবা মারা যান। আবার বড় ভাই প্রতিবন্ধী। তাই পরিবারের বেশির ভাগ দায়িত্ব আমার কাঁধে এসে পড়ে। এ কারণে পড়ালেখার পাশাপাশি আমি মায়ের সঙ্গে রাজমিস্ত্রি, ধান রোপণের কাজ করতাম।’
লাপলেরা জানে ক্ষুধার কষ্ট কী। সে সময় এক মণ ধান মাড়াই করলে মহাজন ৫ কেজি ধান দিতেন। লাপলের মা ধান মাড়াই করে সে ধান বিক্রির টাকা দিয়ে ছেলের এসএসসি পরীক্ষার ফরম পূরণের খরচ দেন। এ ছাড়া এলাকার কয়েকজন বড় ভাইয়ের সহযোগিতায় লাপল এইচএসসি পাস করেন।
অনেক বেশি আত্মবিশ্বাসের কারণে প্রতিকূল পরিবেশেও লাপল পড়ালেখা মাঝপথে থামিয়ে দেননি। বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ালেখা করে ভবিষ্যতে কী করতে চান জানতে চাইলে লাপল বলেন, ‘আদিবাসীদের সংস্কৃতি আমাকে অনেক বেশি টানে। আমি আমার সম্প্রদায়ের ঐতিহ্য-ইতিহাস সবাইকে জানাতে চাই। এ ছাড়া নাটকে অভিনয়ের মাধ্যমে জানাতে চাই ভূমিদস্যুদের অত্যাচারের কথা।’
লাপলের চোখে স্বপ্ন। সে স্বপ্ন নিজেকে ছাড়িয়ে, নিজের সম্প্রদায়, নিজের ভূমি, নিজের অস্তিত্বের সঙ্গে মিশে আছে।

নাম তাঁর লাপল কড়া। বাংলাদেশের ইতিহাস থেকে প্রায় মুছে যাওয়া কড়া সম্প্রদায়ের একজন সদস্য। লাপল আজ জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের থিয়েটার অ্যান্ড পারফরম্যান্স বিভাগের স্নাতক (২০২০-২১) শিক্ষাবর্ষের প্রথম বর্ষে ভর্তি হয়েছেন। কড়া সম্প্রদায় থেকে লাপলই প্রথম গ্রামের ক্ষুদ্র গণ্ডি পেরিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি হয়ে উচ্চশিক্ষা নিতে যাচ্ছেন।
বাংলাদেশে কড়া সম্প্রদায়ের বসবাস দিনাজপুরে। এ দেশে কড়া সম্প্রদায়ের ২৮টি পরিবার রয়েছে। এই ২৮ পরিবারের মোট জনসংখ্যা ১০৪ জন, যারা এই ভূমিতে এই সম্প্রদায়কে টিকিয়ে রেখেছেন। কড়া সম্প্রদায়ের পেশা কৃষি। ফসল রোপণ ও কাটার সময় ছাড়া বছরের বাকি সময় এরা দিনমজুরের কাজ করেন। কড়াদের অভাবের সংসারে টানাপোড়েন লেগেই থাকে। তবু সহজ-সুন্দর জীবন তাদের। কিন্তু এই সারল্য, অভাব এবং সংখ্যায় কম হওয়াটাই তাদের কাল হয়েছে। এর সুযোগ নিয়ে ভূমিদস্যুরা তাদের ওপর রীতিমতো অত্যাচার চালায়।
ইতিহাসের পাতায় কড়া সম্প্রদায়ের অস্তিত্ব প্রায় নেই বললেই চলে। স্থানীয় হিন্দু-মুসলিম সম্প্রদায় ও ভূমি দস্যুদের অত্যাচারে কড়া সম্প্রদায়ের অধিকাংশ পরিবার এ দেশ ছেড়ে ভারতে চলে যেতে বাধ্য হয়েছে। বর্তমানে যে অল্প কয়েকজন টিকে আছেন, তাঁদেরও যেতে হয় নানা হুমকি-ধমকির মধ্য দিয়ে।
দিনাজপুরের হালজায় লাপলের বেড়ে ওঠা। লাপল কড়ার মায়ের নাম সাতোল কড়া, বাবা রতন কড়া। বাবা মারা যান ২০১৬ সালে। সে সময় লাপল নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী। লাপলেরা দুই ভাই, এক বোন। ভাইয়ের নাম সাপোল কড়া। ছোট বোন পূর্ণিমা কড়া। লাপল স্থানীয় রাঙ্গন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে সমাপনী, হালজা উচ্চবিদ্যালয় থেকে এসএসসি ও বোর্ড হাট মহাবিদ্যালয় থেকে এইচএসসি পাস করেন। বেশ কষ্ট করেই তাঁকে পড়াশোনা চালিয়ে যেতে হয়েছে। এবার তাঁর লড়াইটি বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে পৌঁছাল। লাপলের পরিবার এবং কড়া সম্প্রদায়ের মানুষদের বিদ্যমান বাস্তবতায় এটি অনেক বড় ঘটনা।

এ বিষয়ে মেধাবী শিক্ষার্থী লাপল কড়া আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে পারব, সেটা একটা সময় স্বপ্নের মতো মনে হতো। কোনো দিন ভাবিনি বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্লাস করতে পারব। ভর্তি পরীক্ষা দিতে গিয়ে অনেক ভয় লেগেছিল। পরীক্ষা দিতে গিয়ে হাত ঘেমে গিয়েছিল। এতটাই যে, কিছু প্রশ্নের উত্তর ভুলও দিয়েছিলাম।’
স্বাভাবিকভাবেই বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে পেরে ভীষণ আনন্দিত লাপল। তাঁর মুখেই শোনা যাক—এখন বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়ে মনে হচ্ছে আমার জীবনে ফুরফুরে হাওয়া বইছে। জীবনের অন্ধকার দিন শেষে আলোর পথ দেখছি। আমার খুব ভালো লাগছে। আমার ভর্তির খবর শুনে মা খুব খুশি হয়েছেন। কারণ, বড় ভাইয়ের এক ঘটনাকে কেন্দ্র করে মায়ের মনে খুব ইচ্ছে হয়—আমি যেন পড়ালেখা করে চাকরি করি। মায়ের সেই ইচ্ছা থেকে আমার পড়ালেখার প্রতি আগ্রহ বাড়ে। জীবনের অনেক চড়াই-উতরাই পেরিয়ে অবশেষে আজ আমি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হলাম।’
লাপলের কাছে তাঁর শৈশবের দিনগুলোর কথা শুনতে চাইলে বলেন, ‘আমরা দুই ভাই, আর এক বোন। আমি ছোটবেলা থেকে দেখে এসেছি আমাদের গ্রামের সব পরিবার দরিদ্র। তাই শিক্ষিতের হার ছিল খুবই কম। আমাদের গ্রামের পরিবারগুলোর কারও আর্থিক অবস্থা ভালো ছিল না। আর্থিক সংকটের কারণে এই পরিবারগুলোর সন্তানেরা স্কুল থেকে দ্রুত ঝরে পড়ত। এখানকার ছেলেমেয়েরা পড়ালেখায় বেশি দূর এগোতে পারত না। বিষয়টা আমার খুব খারাপ লাগত। এ ছাড়া এই গ্রামের কেউ পড়ালেখা করার জন্য উৎসাহ দিতেন না। তবে ছোটবেলা থেকে আমার ইচ্ছে ছিল আমি উচ্চশিক্ষায় শিক্ষিত হব। কিন্তু গরিব হওয়াটা আমার পথের কাঁটা হয়ে দাঁড়ায়।’
জন্মের পর থেকে যাদের নুন আনতে পান্তা ফুরায়, তাদের একজন লাপল। পড়ালেখা করার জন্য স্কুলে ভর্তি হবে, সে কথা আগে কখনো ভাবেননি। কিন্তু পড়ালেখার প্রতি যার ছোটবেলা থেকে অদম্য ইচ্ছা, সে কি আর পড়ালেখা থেকে দূরে থাকতে পারে? লাপলের জীবনে পড়ালেখার যাত্রা শুরু হয় একটা ঘটনা দিয়ে। কী সেটা? লাপল বলেন, ‘আমি যখন অনেক ছোট ছিলাম, তখন গ্রামের বাঙালি ছেলেদের সঙ্গে সাইকেলের টায়ার চালিয়ে ওদের স্কুলে যেতাম। ওরা স্কুলে ঢুকে গেলে আমি স্কুলের মাঠে সাইকেলের টায়ার নিয়ে খেলা করতাম। একদিন ওই স্কুলের এক শিক্ষক আমাকে ডেকে বলেন, “তোমার কী নাম? তোমার বাড়ি কোথায়? তোমার বাবাকে একদিন আমার সঙ্গে দেখা করতে বলবে। ” এর পর বাবা স্কুল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে দেখা করেন। ২০০৫ সালে আমি সে স্কুলে ভর্তি হই। স্কুলে ভর্তি হতে পেরে সেদিন আমি খুব খুশি হয়েছিলাম।’
লাপল ছোটবেলার কথা বলতে গিয়ে একপর্যায়ে বলেন, ‘টানাপোড়েনের সংসারে আমি তৃতীয় শ্রেণি থেকে লেখাপড়ার পাশাপাশি কাজ করতাম। স্কুলের ছুটিগুলোতে একটু বেশি কাজ করতাম। বাবার সামর্থ্য খুব বেশি ছিল না। যখন আমি নবম শ্রেণির ছাত্র, তখন বাবা মারা যান। আবার বড় ভাই প্রতিবন্ধী। তাই পরিবারের বেশির ভাগ দায়িত্ব আমার কাঁধে এসে পড়ে। এ কারণে পড়ালেখার পাশাপাশি আমি মায়ের সঙ্গে রাজমিস্ত্রি, ধান রোপণের কাজ করতাম।’
লাপলেরা জানে ক্ষুধার কষ্ট কী। সে সময় এক মণ ধান মাড়াই করলে মহাজন ৫ কেজি ধান দিতেন। লাপলের মা ধান মাড়াই করে সে ধান বিক্রির টাকা দিয়ে ছেলের এসএসসি পরীক্ষার ফরম পূরণের খরচ দেন। এ ছাড়া এলাকার কয়েকজন বড় ভাইয়ের সহযোগিতায় লাপল এইচএসসি পাস করেন।
অনেক বেশি আত্মবিশ্বাসের কারণে প্রতিকূল পরিবেশেও লাপল পড়ালেখা মাঝপথে থামিয়ে দেননি। বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ালেখা করে ভবিষ্যতে কী করতে চান জানতে চাইলে লাপল বলেন, ‘আদিবাসীদের সংস্কৃতি আমাকে অনেক বেশি টানে। আমি আমার সম্প্রদায়ের ঐতিহ্য-ইতিহাস সবাইকে জানাতে চাই। এ ছাড়া নাটকে অভিনয়ের মাধ্যমে জানাতে চাই ভূমিদস্যুদের অত্যাচারের কথা।’
লাপলের চোখে স্বপ্ন। সে স্বপ্ন নিজেকে ছাড়িয়ে, নিজের সম্প্রদায়, নিজের ভূমি, নিজের অস্তিত্বের সঙ্গে মিশে আছে।

নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়ার জন্য জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) রাজশাহী মহানগর সমন্বয় কমিটি থেকে পদত্যাগ করেছেন এক সদস্য। তাঁর নাম পরিমল চন্দ্র ওঁরাও। গতকাল সোমবার দিবাগত রাতে এনসিপির রাজশাহী মহানগর সমন্বয় কমিটির প্রধান সমন্বয়কারীর কাছে পদত্যাগপত্র পাঠিয়েছেন তিনি।
১৬ মিনিট আগে
গাজীপুরের শ্রীপুরে কারখানা খুলে দেওয়ার দাবিতে দফায় দফায় মহাসড়ক অবরোধ করেন এএ ইয়ার্ন মিলস লিমিটেডের শ্রমিকেরা। এ সময় তাঁরা সড়কে টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ করেন। পরে শ্রমিকদের সরিয়ে দিতে পুলিশ সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ ও লাঠিপেটা করেছে। এতে বেশ কয়েকজন শ্রমিক আহত হয়েছেন।
৩৫ মিনিট আগে
চট্টগ্রাম নগরের বাকলিয়ায় বিএনপি নেতার ব্যানার টানানোকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ ও গোলাগুলির ঘটনায় মো. সাজ্জাদ (২৫) নামের এক যুবদল কর্মী নিহত হয়েছেন। এই ঘটনায় যুবদল ও ছাত্রদলের অন্তত ১০ জন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। গতকাল সোমবার দিবাগত রাত ১টার দিকে বাকলিয়া থানার এক্সেস রোড এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।
২ ঘণ্টা আগে
চট্টগ্রাম নগরের সাগরিকা এলাকায় চলন্ত ট্রেনের সঙ্গে লরির সংঘর্ষে একজন নিহত হয়েছেন। দ্রুতগামী লরিটি মালবাহী ট্রেনের ইঞ্জিনে ধাক্কা দেয়। এতে একটি বগিসহ ট্রেনের ইঞ্জিন ও লরিটি রেললাইনের ওপর উল্টে পড়ে। এ সময় লরির চাপায় একজনের মৃত্যু হয়। আজ মঙ্গলবার ভোরে এই ঘটনা ঘটে।
২ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী

নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়ার জন্য জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) রাজশাহী মহানগর সমন্বয় কমিটি থেকে পদত্যাগ করেছেন এক সদস্য। তাঁর নাম পরিমল চন্দ্র ওঁরাও। গতকাল সোমবার দিবাগত রাতে এনসিপির রাজশাহী মহানগর সমন্বয় কমিটির প্রধান সমন্বয়কারীর কাছে পদত্যাগপত্র পাঠিয়েছেন তিনি।
এতে পরিমল চন্দ্র লিখেছেন, ‘সম্প্রতি ব্যক্তিগত জীবনে কিছু নতুন দায়িত্ব ও উদ্যোগের কারণে আমার সময় ও মনোযোগ সম্পূর্ণভাবে সেদিকে দিতে হচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে দলের কাজের প্রতি আগের মতো সম্পূর্ণভাবে মনোনিবেশ করা সম্ভব হচ্ছে না, যা দলের প্রতি অন্যায় হবে বলে মনে করি।’
পরিমল চন্দ্র ওঁরাও বাংলাদেশ আদিবাসী ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের সাবেক সদস্য। নওগাঁর মহাদেবপুর উপজেলায় তাঁর বাড়ি। তবে তিনি রাজশাহীতে থাকতেন। তাই এনসিপির মহানগর সমন্বয় কমিটিতে সদস্যপদ পেয়েছিলেন। তিনি এখন নওগাঁয় রাজনীতি করতে চান।
জানতে চাইলে পরিমল চন্দ্র ওঁরাও বলেন, ‘আমি নওগাঁ-৩ আসন থেকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করতে চাই। তাই এনসিপি থেকে পদত্যাগ করেছি। আমি এনসিপিতে থাকব না।’
যোগাযোগ করা হলে এনসিপির রাজশাহী মহানগর সমন্বয় কমিটির প্রধান সমন্বয়কারী মোবাশ্বের আলী তাঁর পদত্যাগপত্রটি পেয়েছেন জানিয়ে বলেন, ‘এ বিষয়ে নিয়ম অনুযায়ী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।’

নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়ার জন্য জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) রাজশাহী মহানগর সমন্বয় কমিটি থেকে পদত্যাগ করেছেন এক সদস্য। তাঁর নাম পরিমল চন্দ্র ওঁরাও। গতকাল সোমবার দিবাগত রাতে এনসিপির রাজশাহী মহানগর সমন্বয় কমিটির প্রধান সমন্বয়কারীর কাছে পদত্যাগপত্র পাঠিয়েছেন তিনি।
এতে পরিমল চন্দ্র লিখেছেন, ‘সম্প্রতি ব্যক্তিগত জীবনে কিছু নতুন দায়িত্ব ও উদ্যোগের কারণে আমার সময় ও মনোযোগ সম্পূর্ণভাবে সেদিকে দিতে হচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে দলের কাজের প্রতি আগের মতো সম্পূর্ণভাবে মনোনিবেশ করা সম্ভব হচ্ছে না, যা দলের প্রতি অন্যায় হবে বলে মনে করি।’
পরিমল চন্দ্র ওঁরাও বাংলাদেশ আদিবাসী ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের সাবেক সদস্য। নওগাঁর মহাদেবপুর উপজেলায় তাঁর বাড়ি। তবে তিনি রাজশাহীতে থাকতেন। তাই এনসিপির মহানগর সমন্বয় কমিটিতে সদস্যপদ পেয়েছিলেন। তিনি এখন নওগাঁয় রাজনীতি করতে চান।
জানতে চাইলে পরিমল চন্দ্র ওঁরাও বলেন, ‘আমি নওগাঁ-৩ আসন থেকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করতে চাই। তাই এনসিপি থেকে পদত্যাগ করেছি। আমি এনসিপিতে থাকব না।’
যোগাযোগ করা হলে এনসিপির রাজশাহী মহানগর সমন্বয় কমিটির প্রধান সমন্বয়কারী মোবাশ্বের আলী তাঁর পদত্যাগপত্রটি পেয়েছেন জানিয়ে বলেন, ‘এ বিষয়ে নিয়ম অনুযায়ী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।’

নাম তাঁর লাপল কড়া। বাংলাদেশের ইতিহাস থেকে প্রায় মুছে যাওয়া কড়া সম্প্রদায়ের একজন সদস্য। লাপল আজ জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের থিয়েটার অ্যান্ড পারফরম্যান্স বিভাগের স্নাতক (২০২০-২১) শিক্ষাবর্ষের প্রথম বর্ষে ভর্তি হয়েছেন। কড়া সম্প্রদায় থেকে লাপলই প্রথম গ্রামের ক্ষুদ্র গণ্ডি পেরিয়ে বিশ্ববিদ্
১৮ জানুয়ারি ২০২২
গাজীপুরের শ্রীপুরে কারখানা খুলে দেওয়ার দাবিতে দফায় দফায় মহাসড়ক অবরোধ করেন এএ ইয়ার্ন মিলস লিমিটেডের শ্রমিকেরা। এ সময় তাঁরা সড়কে টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ করেন। পরে শ্রমিকদের সরিয়ে দিতে পুলিশ সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ ও লাঠিপেটা করেছে। এতে বেশ কয়েকজন শ্রমিক আহত হয়েছেন।
৩৫ মিনিট আগে
চট্টগ্রাম নগরের বাকলিয়ায় বিএনপি নেতার ব্যানার টানানোকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ ও গোলাগুলির ঘটনায় মো. সাজ্জাদ (২৫) নামের এক যুবদল কর্মী নিহত হয়েছেন। এই ঘটনায় যুবদল ও ছাত্রদলের অন্তত ১০ জন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। গতকাল সোমবার দিবাগত রাত ১টার দিকে বাকলিয়া থানার এক্সেস রোড এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।
২ ঘণ্টা আগে
চট্টগ্রাম নগরের সাগরিকা এলাকায় চলন্ত ট্রেনের সঙ্গে লরির সংঘর্ষে একজন নিহত হয়েছেন। দ্রুতগামী লরিটি মালবাহী ট্রেনের ইঞ্জিনে ধাক্কা দেয়। এতে একটি বগিসহ ট্রেনের ইঞ্জিন ও লরিটি রেললাইনের ওপর উল্টে পড়ে। এ সময় লরির চাপায় একজনের মৃত্যু হয়। আজ মঙ্গলবার ভোরে এই ঘটনা ঘটে।
২ ঘণ্টা আগেশ্রীপুর (গাজীপুর) প্রতিনিধি

গাজীপুরের শ্রীপুরে কারখানা খুলে দেওয়ার দাবিতে দফায় দফায় মহাসড়ক অবরোধ করেন এএ ইয়ার্ন মিলস লিমিটেডের শ্রমিকেরা। এ সময় তাঁরা সড়কে টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ করেন। পরে শ্রমিকদের সরিয়ে দিতে পুলিশ সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ ও লাঠিপেটা করেছে। এতে বেশ কয়েকজন শ্রমিক আহত হয়েছেন।

আজ মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে উপজেলার গাজীপুর ইউনিয়নের নগরহাওলা গ্রামে এএ ইয়ার্ন মিলস লিমিটেড কারখানার শ্রমিকেরা ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের কয়েকটি পয়েন্টে দফায় দফায় অবরোধ করেন।
কারখানার শ্রমিক সুজন মিয়া বলেন, ‘গত সেপ্টেম্বর মাসের বকেয়া বেতনের দাবিতে ২৩ তারিখ কারখানার প্রায় সব শ্রমিক আন্দোলন করে। সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করে। এরপর পুলিশ-সেনাবাহিনীর সদস্যরা এসে বেতন পরিশোধের আশ্বাসে আন্দোলন বন্ধ করেন। কারখানা কর্তৃপক্ষ জানিয়েছিল, সোমবার থেকে পুরোদমে কারখানা চালু হবে। কিন্তু গতকাল সোমবার কর্মস্থলে এসে দেখি মূল ফটকের সামনে কারখানা বন্ধের অনির্দিষ্টকালের নোটিশ।

এরপর পুলিশ আমাদের আশ্বাস দেয় যে আজ মঙ্গলবার ১০টার দিকে কারখানা খুলে দেওয়ার বিষয়ে সিদ্ধান্ত দেবে। কিন্তু কারখানা ফটকের সামনে এসে দেখি কারখানা বন্ধের নোটিশ। এরপরই শ্রমিকেরা রাস্তায় নামে। রাস্তায় নামার পরপরই পুলিশ এসে কোনো কথা না বলে লাঠিপেটা ও সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করে।’
কারখানার শ্রমিক ঝুটন বলেন, ‘হঠাৎ করে কারখানা অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করল। আমাদের বেতন-ভাতা পরিশোধ করল না। দীর্ঘদিন ধরে এই কারখানায় শ্রমিকের কাজ করছি। কয়েক মাস ধরে বেতন পরিশোধ নিয়ে টালবাহানা করছে। হঠাৎ আন্দোলনের জেরে কারখানা অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করছে। আমার বকেয়া বেতনসহ অনন্য দাবি পরিশোধ না করে কারখানা বন্ধ করা হয়েছে, যা শ্রমিকদের সঙ্গে অনেক অন্যায় করা হয়েছে।’
জানতে চাইলে কারখানার মানবসম্পদ কর্মকর্তা মো. মনির হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘২৩ অক্টোবর শ্রমিকেরা বেতন দাবির সময় কারখানার ভেতরে গুরুত্বপূর্ণ যন্ত্রপাতি ভাঙচুর করে। ফলে কারখানা চালু রাখা সম্ভব নয়। মালিকপক্ষের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী কারখানাটি অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।’
এ বিষয়ে শিল্প পুলিশের ইন্সপেক্টর আব্দুল লতিফ বলেন, ‘কয়েক দিন ধরেই কারখানায় নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। শ্রমিকেরা শান্তিপূর্ণভাবে বিক্ষোভ করলেও আজকে তারা মহাসড়ক অবরোধ করে। তাদের মহাসড়ক থেকে সরিয়ে নিতে আমরা সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করি। কিন্তু শ্রমিকেরা দফায় দফায় রাস্তায় নামছে।’

গাজীপুরের শ্রীপুরে কারখানা খুলে দেওয়ার দাবিতে দফায় দফায় মহাসড়ক অবরোধ করেন এএ ইয়ার্ন মিলস লিমিটেডের শ্রমিকেরা। এ সময় তাঁরা সড়কে টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ করেন। পরে শ্রমিকদের সরিয়ে দিতে পুলিশ সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ ও লাঠিপেটা করেছে। এতে বেশ কয়েকজন শ্রমিক আহত হয়েছেন।

আজ মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে উপজেলার গাজীপুর ইউনিয়নের নগরহাওলা গ্রামে এএ ইয়ার্ন মিলস লিমিটেড কারখানার শ্রমিকেরা ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের কয়েকটি পয়েন্টে দফায় দফায় অবরোধ করেন।
কারখানার শ্রমিক সুজন মিয়া বলেন, ‘গত সেপ্টেম্বর মাসের বকেয়া বেতনের দাবিতে ২৩ তারিখ কারখানার প্রায় সব শ্রমিক আন্দোলন করে। সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করে। এরপর পুলিশ-সেনাবাহিনীর সদস্যরা এসে বেতন পরিশোধের আশ্বাসে আন্দোলন বন্ধ করেন। কারখানা কর্তৃপক্ষ জানিয়েছিল, সোমবার থেকে পুরোদমে কারখানা চালু হবে। কিন্তু গতকাল সোমবার কর্মস্থলে এসে দেখি মূল ফটকের সামনে কারখানা বন্ধের অনির্দিষ্টকালের নোটিশ।

এরপর পুলিশ আমাদের আশ্বাস দেয় যে আজ মঙ্গলবার ১০টার দিকে কারখানা খুলে দেওয়ার বিষয়ে সিদ্ধান্ত দেবে। কিন্তু কারখানা ফটকের সামনে এসে দেখি কারখানা বন্ধের নোটিশ। এরপরই শ্রমিকেরা রাস্তায় নামে। রাস্তায় নামার পরপরই পুলিশ এসে কোনো কথা না বলে লাঠিপেটা ও সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করে।’
কারখানার শ্রমিক ঝুটন বলেন, ‘হঠাৎ করে কারখানা অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করল। আমাদের বেতন-ভাতা পরিশোধ করল না। দীর্ঘদিন ধরে এই কারখানায় শ্রমিকের কাজ করছি। কয়েক মাস ধরে বেতন পরিশোধ নিয়ে টালবাহানা করছে। হঠাৎ আন্দোলনের জেরে কারখানা অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করছে। আমার বকেয়া বেতনসহ অনন্য দাবি পরিশোধ না করে কারখানা বন্ধ করা হয়েছে, যা শ্রমিকদের সঙ্গে অনেক অন্যায় করা হয়েছে।’
জানতে চাইলে কারখানার মানবসম্পদ কর্মকর্তা মো. মনির হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘২৩ অক্টোবর শ্রমিকেরা বেতন দাবির সময় কারখানার ভেতরে গুরুত্বপূর্ণ যন্ত্রপাতি ভাঙচুর করে। ফলে কারখানা চালু রাখা সম্ভব নয়। মালিকপক্ষের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী কারখানাটি অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।’
এ বিষয়ে শিল্প পুলিশের ইন্সপেক্টর আব্দুল লতিফ বলেন, ‘কয়েক দিন ধরেই কারখানায় নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। শ্রমিকেরা শান্তিপূর্ণভাবে বিক্ষোভ করলেও আজকে তারা মহাসড়ক অবরোধ করে। তাদের মহাসড়ক থেকে সরিয়ে নিতে আমরা সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করি। কিন্তু শ্রমিকেরা দফায় দফায় রাস্তায় নামছে।’

নাম তাঁর লাপল কড়া। বাংলাদেশের ইতিহাস থেকে প্রায় মুছে যাওয়া কড়া সম্প্রদায়ের একজন সদস্য। লাপল আজ জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের থিয়েটার অ্যান্ড পারফরম্যান্স বিভাগের স্নাতক (২০২০-২১) শিক্ষাবর্ষের প্রথম বর্ষে ভর্তি হয়েছেন। কড়া সম্প্রদায় থেকে লাপলই প্রথম গ্রামের ক্ষুদ্র গণ্ডি পেরিয়ে বিশ্ববিদ্
১৮ জানুয়ারি ২০২২
নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়ার জন্য জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) রাজশাহী মহানগর সমন্বয় কমিটি থেকে পদত্যাগ করেছেন এক সদস্য। তাঁর নাম পরিমল চন্দ্র ওঁরাও। গতকাল সোমবার দিবাগত রাতে এনসিপির রাজশাহী মহানগর সমন্বয় কমিটির প্রধান সমন্বয়কারীর কাছে পদত্যাগপত্র পাঠিয়েছেন তিনি।
১৬ মিনিট আগে
চট্টগ্রাম নগরের বাকলিয়ায় বিএনপি নেতার ব্যানার টানানোকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ ও গোলাগুলির ঘটনায় মো. সাজ্জাদ (২৫) নামের এক যুবদল কর্মী নিহত হয়েছেন। এই ঘটনায় যুবদল ও ছাত্রদলের অন্তত ১০ জন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। গতকাল সোমবার দিবাগত রাত ১টার দিকে বাকলিয়া থানার এক্সেস রোড এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।
২ ঘণ্টা আগে
চট্টগ্রাম নগরের সাগরিকা এলাকায় চলন্ত ট্রেনের সঙ্গে লরির সংঘর্ষে একজন নিহত হয়েছেন। দ্রুতগামী লরিটি মালবাহী ট্রেনের ইঞ্জিনে ধাক্কা দেয়। এতে একটি বগিসহ ট্রেনের ইঞ্জিন ও লরিটি রেললাইনের ওপর উল্টে পড়ে। এ সময় লরির চাপায় একজনের মৃত্যু হয়। আজ মঙ্গলবার ভোরে এই ঘটনা ঘটে।
২ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম

চট্টগ্রাম নগরের বাকলিয়ায় বিএনপি নেতার ব্যানার টানানোকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ ও গোলাগুলির ঘটনায় মো. সাজ্জাদ (২৫) নামের এক যুবদল কর্মী নিহত হয়েছেন। এই ঘটনায় যুবদল ও ছাত্রদলের অন্তত ১০ জন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। গতকাল সোমবার দিবাগত রাত ১টার দিকে বাকলিয়া থানার এক্সেস রোড এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।
নিহত সাজ্জাদ কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার হিরাকান্দা গ্রামের মো. আলমের ছেলে। তিনি নগরের তক্তারপুল এলাকার বিসমিল্লাহ টাওয়ারে ভাড়া থাকতেন। সাজ্জাদ নগর যুবদলের বিলুপ্ত কমিটির বহিষ্কৃত সাংগঠনিক সম্পাদক এমদাদুল হক বাদশাহর ঘনিষ্ঠ কর্মী ছিলেন বলে জানা গেছে।
স্থানীয় বাসিন্দাদের বরাতে জানা গেছে, সোমবার রাতে সাজ্জাদসহ কিছু যুবদল কর্মী একটি ব্যানার ছিঁড়ে ফেলার ঘটনায় স্থানীয় সোহেল, বোরহান ও দেলোয়ারের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। মেয়রের ছবিযুক্ত ওই ব্যানার ছিল সোহেল-বোরহান গ্রুপের। এই সময় গোলাগুলির ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শীদের ভাষ্য, রাতে মুহুর্মুহু গুলির শব্দে কেঁপে ওঠে পুরো এলাকা। এতে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। স্থানীয় দুটি গ্রুপের ১৫ থেকে ২০ জন হেলমেট পরে হামলায় অংশ নেয়। তারা আশপাশের ভবনে আগে থেকেই ওত পেতে ছিল। ঘটনার সময় পুরো এলাকায় বিদ্যুৎ ছিল না। চমেক হাসপাতাল সূত্র জানায়, আহত ব্যক্তিদের মধ্যে অনেকে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে রাতে বাসায় ফিরে গেছে।
চমেক হাসপাতালে নিহত সাজ্জাদের বাবা মো. আলম বলেন, ‘বন্ধুরা ফোন করে ডেকে নিয়ে গিয়েছিল আমার ছেলেকে। কী নিয়ে ঝামেলা হয়েছে জানি না। আমি শুধু চাই, আমার ছেলেকে যারা হত্যা করেছে, তাদের বিচার হোক।’ চমেকে উপস্থিত যুবদল নেতা এমদাদুল হক বাদশা অভিযোগ করে বলেন, ‘সন্ত্রাসীরা গুলি করার আগে বিদ্যুৎ-সংযোগ বন্ধ করে দেয়। যারা গুলি চালিয়েছে, তাদের আইনের আওতায় আনতে হবে।’
ছাত্রদল নেতা পরিচয়ে জি এম সালাউদ্দিন আসাদ নামের একজন বলেন, ‘যুবলীগের সন্ত্রাসীরা যুবদলের পরিচয় দিয়ে অপকর্ম করছে। মেয়রের ছবি লাগিয়ে তারা ব্যানার-পোস্টার টানায়। মেয়রের লোকেরা ব্যানার খোলার নির্দেশ দিলে আমাদের ছেলেরা খুলতে যায়। তখন তাদের মারধর করা হয়। পরে উদ্ধার করতে গেলে ভবনের ছাদ থেকে গুলি চালানো হয়, এতে সাজ্জাদ নিহত হয়।’
এদিকে আজ মঙ্গলবার সকালে নিহত ব্যক্তির মরদেহ দেখতে চমেক হাসপাতালে যান চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন। তিনি বলেন, ‘হামলাকারীরা ওই এলাকার চিহ্নিত সন্ত্রাসী। আগে আওয়ামী ছত্রচ্ছায়ায় থাকলেও এখন আমার ছবি ব্যবহার করে প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা করছে। আমি আগে থেকেই থানাকে জানিয়েছিলাম ও ব্যানার সরানোর নির্দেশ দিয়েছিলাম। তবু ব্যবস্থা না নেওয়ায় এই ঘটনা ঘটেছে।’
জানতে চাইলে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ উপপরিদর্শক (এসআই) নুরুল আলম আশেক বলেন, নিহত সাজ্জাদের বুকে গুলি লেগেছে। এ বিষয়ে বাকলিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ইখতিয়ার উদ্দিন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ব্যানার টানানো নিয়ে দুই পক্ষের সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়েছে বলে জানা গেছে। এতে একজন নিহত হয়েছেন। এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
স্থানীয় বাসিন্দাদের ভাষ্য, ওই এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে রাজনৈতিক আধিপত্য ও মাদক ব্যবসা নিয়ে বিরোধ চলছে। সম্প্রতি ব্যানার টানানোকে কেন্দ্র করে সেই বিরোধ তীব্র হয়। সোমবার রাতের ঘটনায় তারই রেশ দেখা দিয়েছে। এ ছাড়া সোহেল ও বোরহান দীর্ঘ ১৬ বছর পটিয়ার আওয়ামী লীগের একটি গ্রুপে সক্রিয় ছিলেন। আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর তাঁরা নগর বিএনপি নেতা গাজী মোহাম্মদ সিরাজউল্লাহর গ্রুপে যোগ দেন। দেলোয়ার ছিলেন আওয়ামী লীগ নেতা বাচ্চু গ্রুপের অংশ।

চট্টগ্রাম নগরের বাকলিয়ায় বিএনপি নেতার ব্যানার টানানোকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ ও গোলাগুলির ঘটনায় মো. সাজ্জাদ (২৫) নামের এক যুবদল কর্মী নিহত হয়েছেন। এই ঘটনায় যুবদল ও ছাত্রদলের অন্তত ১০ জন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। গতকাল সোমবার দিবাগত রাত ১টার দিকে বাকলিয়া থানার এক্সেস রোড এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।
নিহত সাজ্জাদ কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার হিরাকান্দা গ্রামের মো. আলমের ছেলে। তিনি নগরের তক্তারপুল এলাকার বিসমিল্লাহ টাওয়ারে ভাড়া থাকতেন। সাজ্জাদ নগর যুবদলের বিলুপ্ত কমিটির বহিষ্কৃত সাংগঠনিক সম্পাদক এমদাদুল হক বাদশাহর ঘনিষ্ঠ কর্মী ছিলেন বলে জানা গেছে।
স্থানীয় বাসিন্দাদের বরাতে জানা গেছে, সোমবার রাতে সাজ্জাদসহ কিছু যুবদল কর্মী একটি ব্যানার ছিঁড়ে ফেলার ঘটনায় স্থানীয় সোহেল, বোরহান ও দেলোয়ারের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। মেয়রের ছবিযুক্ত ওই ব্যানার ছিল সোহেল-বোরহান গ্রুপের। এই সময় গোলাগুলির ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শীদের ভাষ্য, রাতে মুহুর্মুহু গুলির শব্দে কেঁপে ওঠে পুরো এলাকা। এতে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। স্থানীয় দুটি গ্রুপের ১৫ থেকে ২০ জন হেলমেট পরে হামলায় অংশ নেয়। তারা আশপাশের ভবনে আগে থেকেই ওত পেতে ছিল। ঘটনার সময় পুরো এলাকায় বিদ্যুৎ ছিল না। চমেক হাসপাতাল সূত্র জানায়, আহত ব্যক্তিদের মধ্যে অনেকে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে রাতে বাসায় ফিরে গেছে।
চমেক হাসপাতালে নিহত সাজ্জাদের বাবা মো. আলম বলেন, ‘বন্ধুরা ফোন করে ডেকে নিয়ে গিয়েছিল আমার ছেলেকে। কী নিয়ে ঝামেলা হয়েছে জানি না। আমি শুধু চাই, আমার ছেলেকে যারা হত্যা করেছে, তাদের বিচার হোক।’ চমেকে উপস্থিত যুবদল নেতা এমদাদুল হক বাদশা অভিযোগ করে বলেন, ‘সন্ত্রাসীরা গুলি করার আগে বিদ্যুৎ-সংযোগ বন্ধ করে দেয়। যারা গুলি চালিয়েছে, তাদের আইনের আওতায় আনতে হবে।’
ছাত্রদল নেতা পরিচয়ে জি এম সালাউদ্দিন আসাদ নামের একজন বলেন, ‘যুবলীগের সন্ত্রাসীরা যুবদলের পরিচয় দিয়ে অপকর্ম করছে। মেয়রের ছবি লাগিয়ে তারা ব্যানার-পোস্টার টানায়। মেয়রের লোকেরা ব্যানার খোলার নির্দেশ দিলে আমাদের ছেলেরা খুলতে যায়। তখন তাদের মারধর করা হয়। পরে উদ্ধার করতে গেলে ভবনের ছাদ থেকে গুলি চালানো হয়, এতে সাজ্জাদ নিহত হয়।’
এদিকে আজ মঙ্গলবার সকালে নিহত ব্যক্তির মরদেহ দেখতে চমেক হাসপাতালে যান চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন। তিনি বলেন, ‘হামলাকারীরা ওই এলাকার চিহ্নিত সন্ত্রাসী। আগে আওয়ামী ছত্রচ্ছায়ায় থাকলেও এখন আমার ছবি ব্যবহার করে প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা করছে। আমি আগে থেকেই থানাকে জানিয়েছিলাম ও ব্যানার সরানোর নির্দেশ দিয়েছিলাম। তবু ব্যবস্থা না নেওয়ায় এই ঘটনা ঘটেছে।’
জানতে চাইলে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ উপপরিদর্শক (এসআই) নুরুল আলম আশেক বলেন, নিহত সাজ্জাদের বুকে গুলি লেগেছে। এ বিষয়ে বাকলিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ইখতিয়ার উদ্দিন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ব্যানার টানানো নিয়ে দুই পক্ষের সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়েছে বলে জানা গেছে। এতে একজন নিহত হয়েছেন। এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
স্থানীয় বাসিন্দাদের ভাষ্য, ওই এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে রাজনৈতিক আধিপত্য ও মাদক ব্যবসা নিয়ে বিরোধ চলছে। সম্প্রতি ব্যানার টানানোকে কেন্দ্র করে সেই বিরোধ তীব্র হয়। সোমবার রাতের ঘটনায় তারই রেশ দেখা দিয়েছে। এ ছাড়া সোহেল ও বোরহান দীর্ঘ ১৬ বছর পটিয়ার আওয়ামী লীগের একটি গ্রুপে সক্রিয় ছিলেন। আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর তাঁরা নগর বিএনপি নেতা গাজী মোহাম্মদ সিরাজউল্লাহর গ্রুপে যোগ দেন। দেলোয়ার ছিলেন আওয়ামী লীগ নেতা বাচ্চু গ্রুপের অংশ।

নাম তাঁর লাপল কড়া। বাংলাদেশের ইতিহাস থেকে প্রায় মুছে যাওয়া কড়া সম্প্রদায়ের একজন সদস্য। লাপল আজ জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের থিয়েটার অ্যান্ড পারফরম্যান্স বিভাগের স্নাতক (২০২০-২১) শিক্ষাবর্ষের প্রথম বর্ষে ভর্তি হয়েছেন। কড়া সম্প্রদায় থেকে লাপলই প্রথম গ্রামের ক্ষুদ্র গণ্ডি পেরিয়ে বিশ্ববিদ্
১৮ জানুয়ারি ২০২২
নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়ার জন্য জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) রাজশাহী মহানগর সমন্বয় কমিটি থেকে পদত্যাগ করেছেন এক সদস্য। তাঁর নাম পরিমল চন্দ্র ওঁরাও। গতকাল সোমবার দিবাগত রাতে এনসিপির রাজশাহী মহানগর সমন্বয় কমিটির প্রধান সমন্বয়কারীর কাছে পদত্যাগপত্র পাঠিয়েছেন তিনি।
১৬ মিনিট আগে
গাজীপুরের শ্রীপুরে কারখানা খুলে দেওয়ার দাবিতে দফায় দফায় মহাসড়ক অবরোধ করেন এএ ইয়ার্ন মিলস লিমিটেডের শ্রমিকেরা। এ সময় তাঁরা সড়কে টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ করেন। পরে শ্রমিকদের সরিয়ে দিতে পুলিশ সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ ও লাঠিপেটা করেছে। এতে বেশ কয়েকজন শ্রমিক আহত হয়েছেন।
৩৫ মিনিট আগে
চট্টগ্রাম নগরের সাগরিকা এলাকায় চলন্ত ট্রেনের সঙ্গে লরির সংঘর্ষে একজন নিহত হয়েছেন। দ্রুতগামী লরিটি মালবাহী ট্রেনের ইঞ্জিনে ধাক্কা দেয়। এতে একটি বগিসহ ট্রেনের ইঞ্জিন ও লরিটি রেললাইনের ওপর উল্টে পড়ে। এ সময় লরির চাপায় একজনের মৃত্যু হয়। আজ মঙ্গলবার ভোরে এই ঘটনা ঘটে।
২ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম

চট্টগ্রাম নগরের সাগরিকা এলাকায় চলন্ত ট্রেনের সঙ্গে লরির সংঘর্ষে একজন নিহত হয়েছেন। দ্রুতগামী লরিটি মালবাহী ট্রেনের ইঞ্জিনে ধাক্কা দেয়। এতে একটি বগিসহ ট্রেনের ইঞ্জিন ও লরিটি রেললাইনের ওপর উল্টে পড়ে। এ সময় লরির চাপায় একজনের মৃত্যু হয়। আজ মঙ্গলবার ভোরে এই ঘটনা ঘটে।
নিহত ব্যক্তির নাম শামসুল হাই (৬০)। তাঁর বাড়ি চট্টগ্রাম নগরের পাহাড়তলীর দিদার কলোনিতে। তিনি ওই এলাকায় নিরাপত্তাপ্রহরী হিসেবে কাজ করতেন বলে জানা গেছে।
রেলওয়ে থেকে প্রাপ্ত তথ্যমতে, মালবাহী ট্রেনটি নগরের চট্টগ্রাম গুডস পোর্ট ইয়ার্ড (সিজিপিওয়াই) থেকে ঢাকার উদ্দেশে রওনা দেয় আজ ভোর ৪টায়। ভোর ৪টা ২০ মিনিটে সাগরিকার বীরশ্রেষ্ঠ ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট মতিউর রহমান ক্রিকেট স্টেডিয়ামের পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় লরিটি রেললাইনে ঢুকে পড়ে সরাসরি ট্রেনের ইঞ্জিনে ধাক্কা দেয়। এ সময় ইঞ্জিন ও একটি বগি লাইনচ্যুত হয়ে উল্টে যায়। দুর্ঘটনার পর ট্রেনের বাকি মালবাহী বগিগুলো সিজিপিওয়াই স্টেশনে নিয়ে আসা হয়।
জানতে চাইলে রেলওয়ের পূর্বাঞ্চলের বিভাগীয় পরিবহন কর্মকর্তা আনিসুর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘দুর্ঘটনায় গেটম্যানের অবহেলা রয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে জানতে পেরেছি। গেট খোলা ছিল। এতে দ্রুতগামী লরিটি মালবাহী ট্রেনের ইঞ্জিনে ধাক্কা দেয়। এই ঘটনায় তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
এ বিষয়ে চট্টগ্রাম রেলওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শহিদুল ইসলাম বলেন, লরি ও মালবাহী ট্রেনের সংঘর্ষ হয়েছে। ওই লাইন শুধু মালবাহী ট্রেন ও কনটেইনার পরিবহনের জন্য ব্যবহার করা হয়। তাই মালবাহী ট্রেন চলাচল বন্ধ থাকলেও যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচলে কোনো সমস্যা হচ্ছে না।

চট্টগ্রাম নগরের সাগরিকা এলাকায় চলন্ত ট্রেনের সঙ্গে লরির সংঘর্ষে একজন নিহত হয়েছেন। দ্রুতগামী লরিটি মালবাহী ট্রেনের ইঞ্জিনে ধাক্কা দেয়। এতে একটি বগিসহ ট্রেনের ইঞ্জিন ও লরিটি রেললাইনের ওপর উল্টে পড়ে। এ সময় লরির চাপায় একজনের মৃত্যু হয়। আজ মঙ্গলবার ভোরে এই ঘটনা ঘটে।
নিহত ব্যক্তির নাম শামসুল হাই (৬০)। তাঁর বাড়ি চট্টগ্রাম নগরের পাহাড়তলীর দিদার কলোনিতে। তিনি ওই এলাকায় নিরাপত্তাপ্রহরী হিসেবে কাজ করতেন বলে জানা গেছে।
রেলওয়ে থেকে প্রাপ্ত তথ্যমতে, মালবাহী ট্রেনটি নগরের চট্টগ্রাম গুডস পোর্ট ইয়ার্ড (সিজিপিওয়াই) থেকে ঢাকার উদ্দেশে রওনা দেয় আজ ভোর ৪টায়। ভোর ৪টা ২০ মিনিটে সাগরিকার বীরশ্রেষ্ঠ ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট মতিউর রহমান ক্রিকেট স্টেডিয়ামের পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় লরিটি রেললাইনে ঢুকে পড়ে সরাসরি ট্রেনের ইঞ্জিনে ধাক্কা দেয়। এ সময় ইঞ্জিন ও একটি বগি লাইনচ্যুত হয়ে উল্টে যায়। দুর্ঘটনার পর ট্রেনের বাকি মালবাহী বগিগুলো সিজিপিওয়াই স্টেশনে নিয়ে আসা হয়।
জানতে চাইলে রেলওয়ের পূর্বাঞ্চলের বিভাগীয় পরিবহন কর্মকর্তা আনিসুর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘দুর্ঘটনায় গেটম্যানের অবহেলা রয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে জানতে পেরেছি। গেট খোলা ছিল। এতে দ্রুতগামী লরিটি মালবাহী ট্রেনের ইঞ্জিনে ধাক্কা দেয়। এই ঘটনায় তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
এ বিষয়ে চট্টগ্রাম রেলওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শহিদুল ইসলাম বলেন, লরি ও মালবাহী ট্রেনের সংঘর্ষ হয়েছে। ওই লাইন শুধু মালবাহী ট্রেন ও কনটেইনার পরিবহনের জন্য ব্যবহার করা হয়। তাই মালবাহী ট্রেন চলাচল বন্ধ থাকলেও যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচলে কোনো সমস্যা হচ্ছে না।

নাম তাঁর লাপল কড়া। বাংলাদেশের ইতিহাস থেকে প্রায় মুছে যাওয়া কড়া সম্প্রদায়ের একজন সদস্য। লাপল আজ জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের থিয়েটার অ্যান্ড পারফরম্যান্স বিভাগের স্নাতক (২০২০-২১) শিক্ষাবর্ষের প্রথম বর্ষে ভর্তি হয়েছেন। কড়া সম্প্রদায় থেকে লাপলই প্রথম গ্রামের ক্ষুদ্র গণ্ডি পেরিয়ে বিশ্ববিদ্
১৮ জানুয়ারি ২০২২
নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়ার জন্য জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) রাজশাহী মহানগর সমন্বয় কমিটি থেকে পদত্যাগ করেছেন এক সদস্য। তাঁর নাম পরিমল চন্দ্র ওঁরাও। গতকাল সোমবার দিবাগত রাতে এনসিপির রাজশাহী মহানগর সমন্বয় কমিটির প্রধান সমন্বয়কারীর কাছে পদত্যাগপত্র পাঠিয়েছেন তিনি।
১৬ মিনিট আগে
গাজীপুরের শ্রীপুরে কারখানা খুলে দেওয়ার দাবিতে দফায় দফায় মহাসড়ক অবরোধ করেন এএ ইয়ার্ন মিলস লিমিটেডের শ্রমিকেরা। এ সময় তাঁরা সড়কে টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ করেন। পরে শ্রমিকদের সরিয়ে দিতে পুলিশ সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ ও লাঠিপেটা করেছে। এতে বেশ কয়েকজন শ্রমিক আহত হয়েছেন।
৩৫ মিনিট আগে
চট্টগ্রাম নগরের বাকলিয়ায় বিএনপি নেতার ব্যানার টানানোকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ ও গোলাগুলির ঘটনায় মো. সাজ্জাদ (২৫) নামের এক যুবদল কর্মী নিহত হয়েছেন। এই ঘটনায় যুবদল ও ছাত্রদলের অন্তত ১০ জন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। গতকাল সোমবার দিবাগত রাত ১টার দিকে বাকলিয়া থানার এক্সেস রোড এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।
২ ঘণ্টা আগে