Ajker Patrika

গাজীপুরে মোজাম্মেল হকের বাড়িতে পিটুনির ঘটনায় ওসি বরখাস্ত, গ্রেপ্তার ১৬

গাজীপুর প্রতিনিধি
আপডেট : ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ২২: ১১
গাজীপুরে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার প্রতিবাদ ও হামলাকারীদের গ্রেপ্তারের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করেন শিক্ষার্থীরা। ছবি: আজকের পত্রিকা
গাজীপুরে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার প্রতিবাদ ও হামলাকারীদের গ্রেপ্তারের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করেন শিক্ষার্থীরা। ছবি: আজকের পত্রিকা

সাবেক মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হকের গাজীপুরের বাসায় অন্তত ১৫ জনকে পিটিয়ে আহত করার ঘটনায় ১৬ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ ঘটনায় গাজীপুর মহানগর পুলিশের সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।

আজ শনিবার বিকেলে মহানগরীর রাজবাড়ী রোডে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে একাত্মতা ঘোষণা করে এ তথ্য জানান গাজীপুর মহানগর পুলিশ কমিশনার ড. নাজমুল করীম খান।

গাজীপুরে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার ঘটনায় ‘জড়িত’ আ ক ম মোজাম্মেল, রাসেল, জাহাঙ্গীরসহ আওয়ামী দোসর ও হামলাকারীদের আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে গ্রেপ্তারের দাবি জানিয়েছেন বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের নেতারা। আজ দুপুরে হামলার প্রতিবাদ ও বিচারের দাবিতে আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশ ও প্রতিবাদ মিছিলে অংশ নিয়ে তাঁরা এই দাবি জানান।

গতকাল শুক্রবার রাতে আ ক ম মোজাম্মেল হকের বাড়িতে হামলা হয়েছে, সেখানে কয়েকজন শিক্ষার্থীকে আটকে রাখা হয়েছে, এমন খবর জানিয়ে তাঁদের বাঁচানোর জন্য বৈষম্যবিরোধী ছাত্রনেতাদের অনুরোধ করা হয়।

পরে ১৫ জন শিক্ষার্থী ঘটনা কী হয়েছে, জানার জন্য সেখানে গেলে ওই বাড়ির আশপাশে লুকিয়ে থাকা সাবেক মন্ত্রী মোজাম্মেল, সাবেক প্রতিমন্ত্রী রাসেল ও সাবেক মেয়র জাহাঙ্গীরের অনুগতরা পরিকল্পিতভাবে দা, বঁটিসহ দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হামলা করে। এতে শিক্ষার্থীরা আহত হন।

এ ঘটনার পার আ ক ম মোজাম্মেল, রাসেল ও জাহাঙ্গীর এবং আওয়ামী দোসরদের হামলার প্রতিবাদ ও অবিলম্বে বিচারের দাবিতে দিনভর উত্তাল ছিল গাজীপুর।

আজ সকাল থেকে বিভিন্ন এলাকায় খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে দুপুরে মহানগরীর রাজবাড়ী মাঠে বিক্ষোভ সমাবেশে যোগ দেন বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের শিক্ষার্থীরা।

এ সমাবেশে বিকেলে অংশগ্রহণ করেন বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সদস্যসচিব হাসনাত আবদুল্লাহ ও সারজিস আলম। এ সমাবেশে একাত্মতা ঘোষণা করতে যান পুলিশ কমিশনার।

পুলিশ কমিশনার সেখানে পৌঁছালে প্রথমে শিক্ষার্থীরা ভুয়া ভুয়া বলে স্লোগান দিতে শুরু করেন। পরে পুলিশ কমিশনার প্রথমে সেখান থেকে চলে যান। কিছুক্ষণ পর আবার সেখানে ফিরে এলে তিনি কথা বলার সুযোগ পান।

তখন পুলিশ কমিশনার ড. নাজমুল করীম খান বলেন, শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার ঘটনায় যারা জড়িত, তাদের প্রত্যেককে গ্রেপ্তার ও বিচারের মুখোমুখি করা হবে। সময়মতো পুলিশ ঘটনাস্থলে যেতে না পারার কারণে তিনি ক্ষমাপ্রার্থনা করেন এবং দায়ী পুলিশ কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার ঘোষণা দেন। এ সময় তিনি সদর ওসিকে তাৎক্ষণিকভাবে বরখাস্ত করার ঘোষণা দেন।

এ সময় পুলিশ কমিশনারের সঙ্গে জিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনাররা, জেলা পুলিশ সুপার ড. যাবের সাদেকসহ অন্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

লুটপাটে শেষ ৫ কোটির প্রকল্প

‘ওরা সোনার তৈরি, আমরা মাটির’, কারখানার ভেতর আত্মহত্যার আগে শ্রমিকের ফেসবুক পোস্ট

যুক্তরাষ্ট্রে প্রায় ৫ হাজার শিক্ষার্থীর ভিসা বাতিল, বেশির ভাগই ভারতীয়, আছে বাংলাদেশিও

আওয়ামী লীগকেও পথভ্রষ্ট করেছেন শেখ হাসিনা

গণহত্যার জন্য ক্ষমা প্রার্থনা ও বাংলাদেশের ক্ষতিপূরণ দাবির উল্লেখ নেই পাকিস্তানের বিবৃতিতে

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত