নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ফজলুল হক হলে গণপিটুনি দিয়ে তোফাজ্জলকে হত্যার ঘটনায় দায়ের করা মামলায় দাখিল করা অভিযোগপত্রের বিরুদ্ধে নারাজি দিয়েছে ঢাবি পক্ষের বাদীর আইনজীবী। ঢাবি পক্ষ চায় মামলার অধিকতর তদন্ত। অন্যদিকে এই মামলার আরেক বাদী নিহত তোফাজ্জলের ফুপাতো বোন মোসা. আসমা আক্তার চান এখনই বিচার শুরু হোক।
আজ রোববার মামলার ধার্য তারিখে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. সাইফুজজামানের আদালতে ঢাবি প্রশাসনের পক্ষে নারাজি দাখিল করেন অ্যাডভোকেট সেলিম জাবেদ। তিনি আবেদনে বলেন, মামলার তদন্ত সুষ্ঠু হয়নি। এই মামলায় ছয়জন আসামি স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। তাঁদের জবানবন্দি অনুযায়ী সুলতান আহমেদ রকিসহ আরও আটজন এই ঘটনায় সম্পৃক্ত ছিলেন। কিন্তু তদন্ত কর্মকর্তা তাঁদের বাদ দিয়েছেন। তাঁদের বাদ দেওয়া হলে মামলার ক্ষতি হবে। এ কারণে অভিযোগের আরও তদন্ত হওয়া প্রয়োজন।
এদিকে আরেক বাদী আসমা আক্তারের আইনজীবী ব্যারিস্টার জিয়াউর রহমান বলেন, ‘বিচার প্রক্রিয়া বিলম্বিত করতে তাঁরা এ নারাজি দাখিল করেছেন। আমরা চাচ্ছি, আদালত যেন চার্জশিটটি গ্রহণ করে বিচার প্রক্রিয়াকে ত্বরান্বিত করেন।’
শুনানি শেষে আদালত ১৮ ফেব্রুয়ারি আদেশের জন্য দিন ধার্য করেছেন। ঢাকার আদালতের শাহবাগ থানার সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা জিন্নাত আলী বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
গত বছরের ১৮ সেপ্টেম্বর রাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফজলুল হক মুসলিম হলে তোফাজ্জলকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়। ঘটনার পরের দিন শাহবাগ থানায় মামলা করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের এস্টেট অফিসের সুপারভাইজার মোহাম্মদ আমানুল্লাহ।
গত ৩০ ডিসেম্বর আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা শাহবাগ থানার পুলিশ পরিদর্শক মো. আসাদুজ্জামান। চার্জশিটে প্রতিষ্ঠানের ২১ শিক্ষার্থীকে অভিযুক্ত করা হয়েছে।
চার্জশিটভুক্ত আসামিরা হলেন ফজলুল হক হল শাখা ছাত্রলীগের সাবেক উপবিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সম্পাদক এবং পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী মো. জালাল মিয়া, মৃত্তিকা, পানি ও পরিবেশ বিভাগের শিক্ষার্থী সুমন মিয়া, পুষ্টি ও খাদ্যবিজ্ঞান ইনস্টিটিউটের মো. মোত্তাকিন সাকিন, ভূগোল বিভাগের আল হোসেন সাজ্জাদ, ওই হলের আবাসিক শিক্ষার্থী আহসান উল্লাহ, ওয়াজিবুল আলম, ফিরোজ কবির, আব্দুস সামাদ, শাকিব রায়হান, ইয়াসিন আলী, ইয়ামুজ্জামান ইয়াম, ফজলে রাব্বি, শাহরিয়ার কবির শোভন, মেহেদী হাসান ইমরান, রাতুল হাসান, সুলতান মিয়া, নাসির উদ্দিন, মোবাশ্বের বিল্লাহ, শিশির আহমেদ, মহসিন উদ্দিন ও আব্দুল্লাহহিল ক্বাফি। এঁদের মধ্যে প্রথম ছয়জন আদালতে দোষ স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছেন।
মামলার এজাহারে মোহাম্মদ আমানুল্লাহ উল্লেখ করেছেন, ২০২৪ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর রাত পৌনে ৮টার দিকে এক যুবক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফজলুল হক মুসলিম হলের গেটে সন্দেহজনকভাবে ঘোরাফেরা করছিলেন। এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু ছাত্র তাঁকে আটক করে প্রথমে ফজলুল হক মুসলিম হলের মূল ভবনের গেস্ট রুমে নিয়ে যান।
মোবাইল চুরির অভিযোগ করে তাঁরা ওই যুবককে চড়-থাপ্পড় ও কিল-ঘুষি মারেন। জিজ্ঞাসাবাদে ওই যুবক তাঁর নাম তোফাজ্জল বলে জানান। পরে তিনি মানসিক রোগী বুঝতে পেরে তাঁকে হলের ক্যানটিনে নিয়ে খাবার খাওয়ানো হয়। এরপর তাঁকে হলের দক্ষিণ ভবনের গেস্ট রুমে নিয়ে জানালার সঙ্গে হাত বেঁধে স্ট্যাম্প, হকিস্টিক ও লাঠি দিয়ে কিছু উচ্ছৃঙ্খল ছাত্র মারধর করে। এতে অচেতন হয়ে পড়েন তিনি। পরে তাঁকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
ঘটনার কয়েক দিন পর ২৫ সেপ্টেম্বর ফজলুল হক মুসলিম হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক শাহ মুহাম্মদ মাসুমসহ ১৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন নিহতের ফুপাতো বোন মোসা. আসমা আক্তার।
আদালত বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করে এই ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের দায়ের করা মামলার সঙ্গে এ মামলা একই সঙ্গে তদন্তের নির্দেশ দেন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ফজলুল হক হলে গণপিটুনি দিয়ে তোফাজ্জলকে হত্যার ঘটনায় দায়ের করা মামলায় দাখিল করা অভিযোগপত্রের বিরুদ্ধে নারাজি দিয়েছে ঢাবি পক্ষের বাদীর আইনজীবী। ঢাবি পক্ষ চায় মামলার অধিকতর তদন্ত। অন্যদিকে এই মামলার আরেক বাদী নিহত তোফাজ্জলের ফুপাতো বোন মোসা. আসমা আক্তার চান এখনই বিচার শুরু হোক।
আজ রোববার মামলার ধার্য তারিখে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. সাইফুজজামানের আদালতে ঢাবি প্রশাসনের পক্ষে নারাজি দাখিল করেন অ্যাডভোকেট সেলিম জাবেদ। তিনি আবেদনে বলেন, মামলার তদন্ত সুষ্ঠু হয়নি। এই মামলায় ছয়জন আসামি স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। তাঁদের জবানবন্দি অনুযায়ী সুলতান আহমেদ রকিসহ আরও আটজন এই ঘটনায় সম্পৃক্ত ছিলেন। কিন্তু তদন্ত কর্মকর্তা তাঁদের বাদ দিয়েছেন। তাঁদের বাদ দেওয়া হলে মামলার ক্ষতি হবে। এ কারণে অভিযোগের আরও তদন্ত হওয়া প্রয়োজন।
এদিকে আরেক বাদী আসমা আক্তারের আইনজীবী ব্যারিস্টার জিয়াউর রহমান বলেন, ‘বিচার প্রক্রিয়া বিলম্বিত করতে তাঁরা এ নারাজি দাখিল করেছেন। আমরা চাচ্ছি, আদালত যেন চার্জশিটটি গ্রহণ করে বিচার প্রক্রিয়াকে ত্বরান্বিত করেন।’
শুনানি শেষে আদালত ১৮ ফেব্রুয়ারি আদেশের জন্য দিন ধার্য করেছেন। ঢাকার আদালতের শাহবাগ থানার সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা জিন্নাত আলী বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
গত বছরের ১৮ সেপ্টেম্বর রাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফজলুল হক মুসলিম হলে তোফাজ্জলকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়। ঘটনার পরের দিন শাহবাগ থানায় মামলা করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের এস্টেট অফিসের সুপারভাইজার মোহাম্মদ আমানুল্লাহ।
গত ৩০ ডিসেম্বর আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা শাহবাগ থানার পুলিশ পরিদর্শক মো. আসাদুজ্জামান। চার্জশিটে প্রতিষ্ঠানের ২১ শিক্ষার্থীকে অভিযুক্ত করা হয়েছে।
চার্জশিটভুক্ত আসামিরা হলেন ফজলুল হক হল শাখা ছাত্রলীগের সাবেক উপবিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সম্পাদক এবং পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী মো. জালাল মিয়া, মৃত্তিকা, পানি ও পরিবেশ বিভাগের শিক্ষার্থী সুমন মিয়া, পুষ্টি ও খাদ্যবিজ্ঞান ইনস্টিটিউটের মো. মোত্তাকিন সাকিন, ভূগোল বিভাগের আল হোসেন সাজ্জাদ, ওই হলের আবাসিক শিক্ষার্থী আহসান উল্লাহ, ওয়াজিবুল আলম, ফিরোজ কবির, আব্দুস সামাদ, শাকিব রায়হান, ইয়াসিন আলী, ইয়ামুজ্জামান ইয়াম, ফজলে রাব্বি, শাহরিয়ার কবির শোভন, মেহেদী হাসান ইমরান, রাতুল হাসান, সুলতান মিয়া, নাসির উদ্দিন, মোবাশ্বের বিল্লাহ, শিশির আহমেদ, মহসিন উদ্দিন ও আব্দুল্লাহহিল ক্বাফি। এঁদের মধ্যে প্রথম ছয়জন আদালতে দোষ স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছেন।
মামলার এজাহারে মোহাম্মদ আমানুল্লাহ উল্লেখ করেছেন, ২০২৪ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর রাত পৌনে ৮টার দিকে এক যুবক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফজলুল হক মুসলিম হলের গেটে সন্দেহজনকভাবে ঘোরাফেরা করছিলেন। এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু ছাত্র তাঁকে আটক করে প্রথমে ফজলুল হক মুসলিম হলের মূল ভবনের গেস্ট রুমে নিয়ে যান।
মোবাইল চুরির অভিযোগ করে তাঁরা ওই যুবককে চড়-থাপ্পড় ও কিল-ঘুষি মারেন। জিজ্ঞাসাবাদে ওই যুবক তাঁর নাম তোফাজ্জল বলে জানান। পরে তিনি মানসিক রোগী বুঝতে পেরে তাঁকে হলের ক্যানটিনে নিয়ে খাবার খাওয়ানো হয়। এরপর তাঁকে হলের দক্ষিণ ভবনের গেস্ট রুমে নিয়ে জানালার সঙ্গে হাত বেঁধে স্ট্যাম্প, হকিস্টিক ও লাঠি দিয়ে কিছু উচ্ছৃঙ্খল ছাত্র মারধর করে। এতে অচেতন হয়ে পড়েন তিনি। পরে তাঁকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
ঘটনার কয়েক দিন পর ২৫ সেপ্টেম্বর ফজলুল হক মুসলিম হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক শাহ মুহাম্মদ মাসুমসহ ১৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন নিহতের ফুপাতো বোন মোসা. আসমা আক্তার।
আদালত বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করে এই ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের দায়ের করা মামলার সঙ্গে এ মামলা একই সঙ্গে তদন্তের নির্দেশ দেন।
জল্পনা-কল্পনা অবসান ঘটিয়ে অবশেষে আহ্বায়ক (আংশিক) কমিটি পেল চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপি। এতে পটিয়ার সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ইদ্রিস মিয়াকে আহ্বায়ক ও আনোয়ারার হেলাল উদ্দিনকে সদস্যসচিব করে পাঁচ সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে।
৩৩ মিনিট আগেসাতক্ষীরা জেলা বিএনপির সব সাংগঠনিক কার্যক্রম বন্ধ ঘোষণা করেছে বিভাগীয় সাংগঠনিক কমিটি। আজ রোববার দুপুরে পল্টনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে খুলনা বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতাদের সঙ্গে জেলার শীর্ষ নেতাদের বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
৪১ মিনিট আগেসাতক্ষীরার বালিথায় শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগে আব্দুল্লাহ সরদার নামে মসজিদের এক ইমামকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ রোববার শহরের সদর হাসপাতাল মোড় এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।
১ ঘণ্টা আগেলালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ফাহিম শাহরিয়ার খান জিহানকে (৩২) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ রোববার (২ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে উপজেলা সদরের সোনালী ব্যাংক এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
১ ঘণ্টা আগে