নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
ঢাকায় মেট্রোরেল এখনো চালু হয়নি। কাজ শেষ হয়নি বিআরটি প্রকল্পের। এর মধ্যেই শুরু হয়েছে পাতালরেল নির্মাণের তোড়জোড়। তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ঢাকায় পাতালরেল করার মতো জায়গা নেই। এখন এই প্রকল্প নিলে ২০৫০ সাল পর্যন্ত যানজট পোহাতে হবে নগরবাসীকে।
রাজধানীর যানজট নিরসনের লক্ষ্যে যে কৌশলগত পরিবহন পরিকল্পনা (এসটিপি) নেওয়া হয়েছিল, তাতে ফুটপাত, গণপরিবহনব্যবস্থা, ঢাকার আশপাশের রেলপথ ও নদীগুলোকে কাজে লাগানোর কথা বলা হয়েছিল। কিন্তু সেগুলো বাস্তবায়ন না করে একের পর এক মেগা প্রকল্প নেওয়া হচ্ছে ঢাকায়। এরই অংশ হিসেবে পাতালরেল নিয়ে শুরু হয়েছে তোড়জোড়। কিন্তু এখনই এ প্রকল্প নিলে ঋণের বোঝা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে এটি গলার কাঁটায় পরিণত হওয়ার আশঙ্কা করছেন পরিবহন বিশেষজ্ঞরা।
টেকসই পরিবহন পরিকল্পনার সঙ্গে ঢাকায় পাতালরেল কতটুকু প্রাসঙ্গিক, এই ধরনের অবকাঠামোর উপযোগিতাই-বা কেমন—এসব বিশ্লেষণের জন্য আজ শুক্রবার রাজধানীতে নগর সংলাপের আয়োজন করে ইনস্টিটিউট ফর প্ল্যানিং অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট (আইপিডি)। সংলাপে অংশ নিয়ে বিশেষজ্ঞরা এই মুহূর্তে পাতালরেলের মতো প্রকল্প গ্রহণ না করার পরামর্শ দেন সরকারকে।
আলোচনার শুরুতেই আইপিডির নির্বাহী পরিচালক পরিকল্পনাবিদ আদিল মাহমুদ খান বলেন, ‘পাতালরেল নির্মাণে চলতি অর্থবছরের মোট বাজেটের অর্ধেকের বেশি ব্যয় হবে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের নগর-পরিকল্পনা বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়, পাতালরেল উচ্চ আয়ের দেশগুলোর সীমিতসংখ্যক কিছু শহরে নির্মিত হলেও তা অতি ব্যয়বহুল প্রকল্প। এ কারণে অতি ধনী দেশগুলোও এখন নতুন করে পাতালরেল নির্মাণের মতো উচ্চাভিলাষী প্রকল্প নিচ্ছে না। বাংলাদেশের মাথাপিছু আয় যেখানে প্রায় ২ হাজার ডলার, সেখানে পাতালরেল নির্মাণের মতো অর্থনৈতিক শক্তি আমাদের নেই বললেই চলে।’
ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষের (ডিটিসিএ) সাবেক নির্বাহী পরিচালক ও পরিবহন বিশেষজ্ঞ ড. এস এম সালেহউদ্দিন বলেন, ‘এই শহরে যে অবস্থা, তাতে সাধারণ মানুষ বিরক্ত। আপনি পাতালরেল করলেন কি-না, তাতে মানুষের কিছু আসে যায় না। মানুষ চায় শান্তিতে, সহজে এবং অল্প সময়ের মধ্যে গন্তব্যে যেতে। সুতরাং এখনই এই প্রকল্প না নেওয়াই ভালো। এই প্রকল্প নিলে ২০৫০ সাল পর্যন্ত যানজট পোহাতে হবে। এতে যে পরিমাণ টাকা খরচ হবে তা দিয়ে ১ হাজার নতুন বাস কিনে বাস রুট রেশনালাইজেশন প্রোগ্রামকে আরও গতিশীল করা যেতে পারে। এতে পরিবহনব্যবস্থা উন্নত হবে। আর যেসব প্রকল্প ঢাকায় চলছে, সেগুলো শেষ করে তারপরেই নতুন প্রকল্পের দিকে যাওয়া উচিত।’
অনুষ্ঠানে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের নগর ও অঞ্চল পরিকল্পনা বিভাগের অধ্যাপক পরিকল্পনাবিদ অধ্যাপক ড. আকতার মাহমুদ বলেন, বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে পাতালরেলের মতো প্রকল্প ব্যয়সাশ্রয়ী হবে না। এই প্রকল্পে গলার কাঁটা তৈরি হবে। এতে ঋণের বোঝা বাড়বে। এভাবে মেগা প্রকল্প না নিয়ে পরিকল্পনামাফিক উন্নয়নের দিকে এগিয়ে যেতে হবে। ঢাকা শহরের জন্য এখনই পাতালরেলের দরকার নেই বলেও মনে করেন তিনি।
আইডিপির পরিচালক ও রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) বিশদ অঞ্চল পরিকল্পনার (ড্যাপ) প্রকল্প পরিচালক পরিকল্পনাবিদ মো. আশরাফুল ইসলাম বলেন, ‘সাম্প্রতিক সময়ে যানজট অনেক বেড়েছে। সে ক্ষেত্রে অনেকে যানজটের সমাধানের পথ হিসেবে মনে করছেন পাতাল রেলকে। ঢাকা শহরে মানুষের যে গড় আয় তার কত শতাংশ দৈনন্দিন যাতায়াতের জন্য দিতে পারব। সেটা ভাবতে হবে। পাতার রেলে এক জায়গা থেকে আরেক জায়গায় যেতে ৩০০ থেকে ৪০০ টাকা লাগবে। সুতরাং প্রতিদিন যাওয়া আসাতে অন্তত ৬০০ থেকে ৮০০ টাকা খরচ হতে পারে। সে ক্ষেত্রে ৩০ দিনের মধ্যে কেউ যদি ২৫ দিনই কর্মস্থলে যাওয়া আসা করে তাতে ২০ থেকে ২৫ হাজার টাকা খরচ হবে। তাই খরচের বিষয়ে বিবেচনা করে পাতাল রেল আপাতত না করাই ভালো।
বাংলাদেশে ইউএনডিপির প্রতিনিধি মো. মারুফ হোসেন বলেন, ঢাকা শহরের অভিভাবকের ঝামেলা আছে। কোনো কিছুতে সমন্বয় নেই। যে যার মতো করে প্রকল্প নিচ্ছে, এতে জটিলতা তৈরি হচ্ছে। সিটি করপোরেশন, সড়ক ও সেতু বিভাগ কেউ কারও সঙ্গে সমন্বয় করে না। যে যার মতো করে প্রকল্প নিচ্ছে, ফলে অচলাবস্থা সৃষ্টি হয়।
কৌশলগত পরিবহন পরিকল্পনায় মেট্রোরেল ও বিআরটি অন্তর্ভুক্ত থাকলেও পাতালরেল অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি বলেও জানান আলোচকেরা। তাঁরা বলেন, ঢাকার পাতালরেল নির্মাণে সরকারের সমীক্ষা প্রকল্প প্রধানত কারিগরি সমীক্ষা। এই ধরনের মেগা প্রকল্পের কোনো দিকনির্দেশনা বর্তমান কৌশলগত পরিবহন পরিকল্পনা, ঢাকা শহরের মহাপরিকল্পনা ও বিশদ অঞ্চল পরিকল্পনায় নেই। বিচ্ছিন্নভাবে ও পর্যাপ্ত পরিকল্পনাগত বিশ্লেষণ না করেই মেগা প্রকল্প বাস্তবায়নের ধারা চলে আসছে। তবে সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, এসটিপি সংশোধন করে পাতালরেলকে এসটিপিতে সংযুক্ত করা হবে।
প্রসঙ্গত, ২০০৫ সালের কৌশলগত পরিকল্পনা এবং বিভিন্ন গবেষণা ও সমীক্ষায় ঢাকার জনসংখ্যার ঘনত্ব, যাত্রীদের যানবাহন ব্যবহারের প্রবণতা ও যানজট বিবেচনায় নিয়ে বাস রুট ফ্র্যাঞ্চাইজি বা বিশেষ পদ্ধতিতে বাস পরিচালনার পরামর্শ দেওয়া হয়েছিল। এটা করা গেলে এক বাসের সঙ্গে অন্য বাসের প্রতিযোগিতা থাকত না। কিন্তু ১৭ বছরেও বাসের ফ্র্যাঞ্চাইজি ব্যবস্থা চালু হয়েছে শুধু একটি রুটে। ওই পরিকল্পনায় ঢাকার আশপাশের নদী ও রেলপথগুলোকে কাজে লাগানোর কথা বলা হলেও সে অনুযায়ী কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি।
এ পরিকল্পনায় ২০২৫ সালের মধ্যে মেট্রোরেলের পাঁচটি লাইন, দুটি বাস র্যাপিড ট্রানজিট রুট (বিআরটি), তিনটি রিং রোড, আটটি রেডিয়াল রোড, ছয়টি এক্সপ্রেসওয়ে, ২১টি পরিবহন হাব, ঢাকার চারপাশে বৃত্তাকার নৌপথের আধুনিকায়ন, ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা ও নিরাপত্তা, বাস রুট ফ্র্যাঞ্চাইজি এবং পথচারী অগ্রাধিকার কৌশল ঠিক করার কথা বলা হয়েছিল। কিন্তু উড়ালসড়ক ও মেট্রোরেল ছাড়া আর কোনো কিছুই এগোয়নি। এ দুটো নিয়ে কাজ শুরু হলেও নির্ধারিত সময়ের মধ্যে সংশ্লিষ্ট প্রকল্পগুলো শেষ হয়নি। ফলে বেড়েছে ব্যয় এবং মানুষের দুর্ভোগ। আইপিডি আয়োজিত শুক্রবার আলোচনা সভায় এ প্রসঙ্গগুলোই ঘুরেফিরে এসেছ।
ঢাকায় মেট্রোরেল এখনো চালু হয়নি। কাজ শেষ হয়নি বিআরটি প্রকল্পের। এর মধ্যেই শুরু হয়েছে পাতালরেল নির্মাণের তোড়জোড়। তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ঢাকায় পাতালরেল করার মতো জায়গা নেই। এখন এই প্রকল্প নিলে ২০৫০ সাল পর্যন্ত যানজট পোহাতে হবে নগরবাসীকে।
রাজধানীর যানজট নিরসনের লক্ষ্যে যে কৌশলগত পরিবহন পরিকল্পনা (এসটিপি) নেওয়া হয়েছিল, তাতে ফুটপাত, গণপরিবহনব্যবস্থা, ঢাকার আশপাশের রেলপথ ও নদীগুলোকে কাজে লাগানোর কথা বলা হয়েছিল। কিন্তু সেগুলো বাস্তবায়ন না করে একের পর এক মেগা প্রকল্প নেওয়া হচ্ছে ঢাকায়। এরই অংশ হিসেবে পাতালরেল নিয়ে শুরু হয়েছে তোড়জোড়। কিন্তু এখনই এ প্রকল্প নিলে ঋণের বোঝা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে এটি গলার কাঁটায় পরিণত হওয়ার আশঙ্কা করছেন পরিবহন বিশেষজ্ঞরা।
টেকসই পরিবহন পরিকল্পনার সঙ্গে ঢাকায় পাতালরেল কতটুকু প্রাসঙ্গিক, এই ধরনের অবকাঠামোর উপযোগিতাই-বা কেমন—এসব বিশ্লেষণের জন্য আজ শুক্রবার রাজধানীতে নগর সংলাপের আয়োজন করে ইনস্টিটিউট ফর প্ল্যানিং অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট (আইপিডি)। সংলাপে অংশ নিয়ে বিশেষজ্ঞরা এই মুহূর্তে পাতালরেলের মতো প্রকল্প গ্রহণ না করার পরামর্শ দেন সরকারকে।
আলোচনার শুরুতেই আইপিডির নির্বাহী পরিচালক পরিকল্পনাবিদ আদিল মাহমুদ খান বলেন, ‘পাতালরেল নির্মাণে চলতি অর্থবছরের মোট বাজেটের অর্ধেকের বেশি ব্যয় হবে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের নগর-পরিকল্পনা বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়, পাতালরেল উচ্চ আয়ের দেশগুলোর সীমিতসংখ্যক কিছু শহরে নির্মিত হলেও তা অতি ব্যয়বহুল প্রকল্প। এ কারণে অতি ধনী দেশগুলোও এখন নতুন করে পাতালরেল নির্মাণের মতো উচ্চাভিলাষী প্রকল্প নিচ্ছে না। বাংলাদেশের মাথাপিছু আয় যেখানে প্রায় ২ হাজার ডলার, সেখানে পাতালরেল নির্মাণের মতো অর্থনৈতিক শক্তি আমাদের নেই বললেই চলে।’
ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষের (ডিটিসিএ) সাবেক নির্বাহী পরিচালক ও পরিবহন বিশেষজ্ঞ ড. এস এম সালেহউদ্দিন বলেন, ‘এই শহরে যে অবস্থা, তাতে সাধারণ মানুষ বিরক্ত। আপনি পাতালরেল করলেন কি-না, তাতে মানুষের কিছু আসে যায় না। মানুষ চায় শান্তিতে, সহজে এবং অল্প সময়ের মধ্যে গন্তব্যে যেতে। সুতরাং এখনই এই প্রকল্প না নেওয়াই ভালো। এই প্রকল্প নিলে ২০৫০ সাল পর্যন্ত যানজট পোহাতে হবে। এতে যে পরিমাণ টাকা খরচ হবে তা দিয়ে ১ হাজার নতুন বাস কিনে বাস রুট রেশনালাইজেশন প্রোগ্রামকে আরও গতিশীল করা যেতে পারে। এতে পরিবহনব্যবস্থা উন্নত হবে। আর যেসব প্রকল্প ঢাকায় চলছে, সেগুলো শেষ করে তারপরেই নতুন প্রকল্পের দিকে যাওয়া উচিত।’
অনুষ্ঠানে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের নগর ও অঞ্চল পরিকল্পনা বিভাগের অধ্যাপক পরিকল্পনাবিদ অধ্যাপক ড. আকতার মাহমুদ বলেন, বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে পাতালরেলের মতো প্রকল্প ব্যয়সাশ্রয়ী হবে না। এই প্রকল্পে গলার কাঁটা তৈরি হবে। এতে ঋণের বোঝা বাড়বে। এভাবে মেগা প্রকল্প না নিয়ে পরিকল্পনামাফিক উন্নয়নের দিকে এগিয়ে যেতে হবে। ঢাকা শহরের জন্য এখনই পাতালরেলের দরকার নেই বলেও মনে করেন তিনি।
আইডিপির পরিচালক ও রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) বিশদ অঞ্চল পরিকল্পনার (ড্যাপ) প্রকল্প পরিচালক পরিকল্পনাবিদ মো. আশরাফুল ইসলাম বলেন, ‘সাম্প্রতিক সময়ে যানজট অনেক বেড়েছে। সে ক্ষেত্রে অনেকে যানজটের সমাধানের পথ হিসেবে মনে করছেন পাতাল রেলকে। ঢাকা শহরে মানুষের যে গড় আয় তার কত শতাংশ দৈনন্দিন যাতায়াতের জন্য দিতে পারব। সেটা ভাবতে হবে। পাতার রেলে এক জায়গা থেকে আরেক জায়গায় যেতে ৩০০ থেকে ৪০০ টাকা লাগবে। সুতরাং প্রতিদিন যাওয়া আসাতে অন্তত ৬০০ থেকে ৮০০ টাকা খরচ হতে পারে। সে ক্ষেত্রে ৩০ দিনের মধ্যে কেউ যদি ২৫ দিনই কর্মস্থলে যাওয়া আসা করে তাতে ২০ থেকে ২৫ হাজার টাকা খরচ হবে। তাই খরচের বিষয়ে বিবেচনা করে পাতাল রেল আপাতত না করাই ভালো।
বাংলাদেশে ইউএনডিপির প্রতিনিধি মো. মারুফ হোসেন বলেন, ঢাকা শহরের অভিভাবকের ঝামেলা আছে। কোনো কিছুতে সমন্বয় নেই। যে যার মতো করে প্রকল্প নিচ্ছে, এতে জটিলতা তৈরি হচ্ছে। সিটি করপোরেশন, সড়ক ও সেতু বিভাগ কেউ কারও সঙ্গে সমন্বয় করে না। যে যার মতো করে প্রকল্প নিচ্ছে, ফলে অচলাবস্থা সৃষ্টি হয়।
কৌশলগত পরিবহন পরিকল্পনায় মেট্রোরেল ও বিআরটি অন্তর্ভুক্ত থাকলেও পাতালরেল অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি বলেও জানান আলোচকেরা। তাঁরা বলেন, ঢাকার পাতালরেল নির্মাণে সরকারের সমীক্ষা প্রকল্প প্রধানত কারিগরি সমীক্ষা। এই ধরনের মেগা প্রকল্পের কোনো দিকনির্দেশনা বর্তমান কৌশলগত পরিবহন পরিকল্পনা, ঢাকা শহরের মহাপরিকল্পনা ও বিশদ অঞ্চল পরিকল্পনায় নেই। বিচ্ছিন্নভাবে ও পর্যাপ্ত পরিকল্পনাগত বিশ্লেষণ না করেই মেগা প্রকল্প বাস্তবায়নের ধারা চলে আসছে। তবে সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, এসটিপি সংশোধন করে পাতালরেলকে এসটিপিতে সংযুক্ত করা হবে।
প্রসঙ্গত, ২০০৫ সালের কৌশলগত পরিকল্পনা এবং বিভিন্ন গবেষণা ও সমীক্ষায় ঢাকার জনসংখ্যার ঘনত্ব, যাত্রীদের যানবাহন ব্যবহারের প্রবণতা ও যানজট বিবেচনায় নিয়ে বাস রুট ফ্র্যাঞ্চাইজি বা বিশেষ পদ্ধতিতে বাস পরিচালনার পরামর্শ দেওয়া হয়েছিল। এটা করা গেলে এক বাসের সঙ্গে অন্য বাসের প্রতিযোগিতা থাকত না। কিন্তু ১৭ বছরেও বাসের ফ্র্যাঞ্চাইজি ব্যবস্থা চালু হয়েছে শুধু একটি রুটে। ওই পরিকল্পনায় ঢাকার আশপাশের নদী ও রেলপথগুলোকে কাজে লাগানোর কথা বলা হলেও সে অনুযায়ী কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি।
এ পরিকল্পনায় ২০২৫ সালের মধ্যে মেট্রোরেলের পাঁচটি লাইন, দুটি বাস র্যাপিড ট্রানজিট রুট (বিআরটি), তিনটি রিং রোড, আটটি রেডিয়াল রোড, ছয়টি এক্সপ্রেসওয়ে, ২১টি পরিবহন হাব, ঢাকার চারপাশে বৃত্তাকার নৌপথের আধুনিকায়ন, ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা ও নিরাপত্তা, বাস রুট ফ্র্যাঞ্চাইজি এবং পথচারী অগ্রাধিকার কৌশল ঠিক করার কথা বলা হয়েছিল। কিন্তু উড়ালসড়ক ও মেট্রোরেল ছাড়া আর কোনো কিছুই এগোয়নি। এ দুটো নিয়ে কাজ শুরু হলেও নির্ধারিত সময়ের মধ্যে সংশ্লিষ্ট প্রকল্পগুলো শেষ হয়নি। ফলে বেড়েছে ব্যয় এবং মানুষের দুর্ভোগ। আইপিডি আয়োজিত শুক্রবার আলোচনা সভায় এ প্রসঙ্গগুলোই ঘুরেফিরে এসেছ।
নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
ঢাকায় মেট্রোরেল এখনো চালু হয়নি। কাজ শেষ হয়নি বিআরটি প্রকল্পের। এর মধ্যেই শুরু হয়েছে পাতালরেল নির্মাণের তোড়জোড়। তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ঢাকায় পাতালরেল করার মতো জায়গা নেই। এখন এই প্রকল্প নিলে ২০৫০ সাল পর্যন্ত যানজট পোহাতে হবে নগরবাসীকে।
রাজধানীর যানজট নিরসনের লক্ষ্যে যে কৌশলগত পরিবহন পরিকল্পনা (এসটিপি) নেওয়া হয়েছিল, তাতে ফুটপাত, গণপরিবহনব্যবস্থা, ঢাকার আশপাশের রেলপথ ও নদীগুলোকে কাজে লাগানোর কথা বলা হয়েছিল। কিন্তু সেগুলো বাস্তবায়ন না করে একের পর এক মেগা প্রকল্প নেওয়া হচ্ছে ঢাকায়। এরই অংশ হিসেবে পাতালরেল নিয়ে শুরু হয়েছে তোড়জোড়। কিন্তু এখনই এ প্রকল্প নিলে ঋণের বোঝা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে এটি গলার কাঁটায় পরিণত হওয়ার আশঙ্কা করছেন পরিবহন বিশেষজ্ঞরা।
টেকসই পরিবহন পরিকল্পনার সঙ্গে ঢাকায় পাতালরেল কতটুকু প্রাসঙ্গিক, এই ধরনের অবকাঠামোর উপযোগিতাই-বা কেমন—এসব বিশ্লেষণের জন্য আজ শুক্রবার রাজধানীতে নগর সংলাপের আয়োজন করে ইনস্টিটিউট ফর প্ল্যানিং অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট (আইপিডি)। সংলাপে অংশ নিয়ে বিশেষজ্ঞরা এই মুহূর্তে পাতালরেলের মতো প্রকল্প গ্রহণ না করার পরামর্শ দেন সরকারকে।
আলোচনার শুরুতেই আইপিডির নির্বাহী পরিচালক পরিকল্পনাবিদ আদিল মাহমুদ খান বলেন, ‘পাতালরেল নির্মাণে চলতি অর্থবছরের মোট বাজেটের অর্ধেকের বেশি ব্যয় হবে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের নগর-পরিকল্পনা বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়, পাতালরেল উচ্চ আয়ের দেশগুলোর সীমিতসংখ্যক কিছু শহরে নির্মিত হলেও তা অতি ব্যয়বহুল প্রকল্প। এ কারণে অতি ধনী দেশগুলোও এখন নতুন করে পাতালরেল নির্মাণের মতো উচ্চাভিলাষী প্রকল্প নিচ্ছে না। বাংলাদেশের মাথাপিছু আয় যেখানে প্রায় ২ হাজার ডলার, সেখানে পাতালরেল নির্মাণের মতো অর্থনৈতিক শক্তি আমাদের নেই বললেই চলে।’
ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষের (ডিটিসিএ) সাবেক নির্বাহী পরিচালক ও পরিবহন বিশেষজ্ঞ ড. এস এম সালেহউদ্দিন বলেন, ‘এই শহরে যে অবস্থা, তাতে সাধারণ মানুষ বিরক্ত। আপনি পাতালরেল করলেন কি-না, তাতে মানুষের কিছু আসে যায় না। মানুষ চায় শান্তিতে, সহজে এবং অল্প সময়ের মধ্যে গন্তব্যে যেতে। সুতরাং এখনই এই প্রকল্প না নেওয়াই ভালো। এই প্রকল্প নিলে ২০৫০ সাল পর্যন্ত যানজট পোহাতে হবে। এতে যে পরিমাণ টাকা খরচ হবে তা দিয়ে ১ হাজার নতুন বাস কিনে বাস রুট রেশনালাইজেশন প্রোগ্রামকে আরও গতিশীল করা যেতে পারে। এতে পরিবহনব্যবস্থা উন্নত হবে। আর যেসব প্রকল্প ঢাকায় চলছে, সেগুলো শেষ করে তারপরেই নতুন প্রকল্পের দিকে যাওয়া উচিত।’
অনুষ্ঠানে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের নগর ও অঞ্চল পরিকল্পনা বিভাগের অধ্যাপক পরিকল্পনাবিদ অধ্যাপক ড. আকতার মাহমুদ বলেন, বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে পাতালরেলের মতো প্রকল্প ব্যয়সাশ্রয়ী হবে না। এই প্রকল্পে গলার কাঁটা তৈরি হবে। এতে ঋণের বোঝা বাড়বে। এভাবে মেগা প্রকল্প না নিয়ে পরিকল্পনামাফিক উন্নয়নের দিকে এগিয়ে যেতে হবে। ঢাকা শহরের জন্য এখনই পাতালরেলের দরকার নেই বলেও মনে করেন তিনি।
আইডিপির পরিচালক ও রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) বিশদ অঞ্চল পরিকল্পনার (ড্যাপ) প্রকল্প পরিচালক পরিকল্পনাবিদ মো. আশরাফুল ইসলাম বলেন, ‘সাম্প্রতিক সময়ে যানজট অনেক বেড়েছে। সে ক্ষেত্রে অনেকে যানজটের সমাধানের পথ হিসেবে মনে করছেন পাতাল রেলকে। ঢাকা শহরে মানুষের যে গড় আয় তার কত শতাংশ দৈনন্দিন যাতায়াতের জন্য দিতে পারব। সেটা ভাবতে হবে। পাতার রেলে এক জায়গা থেকে আরেক জায়গায় যেতে ৩০০ থেকে ৪০০ টাকা লাগবে। সুতরাং প্রতিদিন যাওয়া আসাতে অন্তত ৬০০ থেকে ৮০০ টাকা খরচ হতে পারে। সে ক্ষেত্রে ৩০ দিনের মধ্যে কেউ যদি ২৫ দিনই কর্মস্থলে যাওয়া আসা করে তাতে ২০ থেকে ২৫ হাজার টাকা খরচ হবে। তাই খরচের বিষয়ে বিবেচনা করে পাতাল রেল আপাতত না করাই ভালো।
বাংলাদেশে ইউএনডিপির প্রতিনিধি মো. মারুফ হোসেন বলেন, ঢাকা শহরের অভিভাবকের ঝামেলা আছে। কোনো কিছুতে সমন্বয় নেই। যে যার মতো করে প্রকল্প নিচ্ছে, এতে জটিলতা তৈরি হচ্ছে। সিটি করপোরেশন, সড়ক ও সেতু বিভাগ কেউ কারও সঙ্গে সমন্বয় করে না। যে যার মতো করে প্রকল্প নিচ্ছে, ফলে অচলাবস্থা সৃষ্টি হয়।
কৌশলগত পরিবহন পরিকল্পনায় মেট্রোরেল ও বিআরটি অন্তর্ভুক্ত থাকলেও পাতালরেল অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি বলেও জানান আলোচকেরা। তাঁরা বলেন, ঢাকার পাতালরেল নির্মাণে সরকারের সমীক্ষা প্রকল্প প্রধানত কারিগরি সমীক্ষা। এই ধরনের মেগা প্রকল্পের কোনো দিকনির্দেশনা বর্তমান কৌশলগত পরিবহন পরিকল্পনা, ঢাকা শহরের মহাপরিকল্পনা ও বিশদ অঞ্চল পরিকল্পনায় নেই। বিচ্ছিন্নভাবে ও পর্যাপ্ত পরিকল্পনাগত বিশ্লেষণ না করেই মেগা প্রকল্প বাস্তবায়নের ধারা চলে আসছে। তবে সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, এসটিপি সংশোধন করে পাতালরেলকে এসটিপিতে সংযুক্ত করা হবে।
প্রসঙ্গত, ২০০৫ সালের কৌশলগত পরিকল্পনা এবং বিভিন্ন গবেষণা ও সমীক্ষায় ঢাকার জনসংখ্যার ঘনত্ব, যাত্রীদের যানবাহন ব্যবহারের প্রবণতা ও যানজট বিবেচনায় নিয়ে বাস রুট ফ্র্যাঞ্চাইজি বা বিশেষ পদ্ধতিতে বাস পরিচালনার পরামর্শ দেওয়া হয়েছিল। এটা করা গেলে এক বাসের সঙ্গে অন্য বাসের প্রতিযোগিতা থাকত না। কিন্তু ১৭ বছরেও বাসের ফ্র্যাঞ্চাইজি ব্যবস্থা চালু হয়েছে শুধু একটি রুটে। ওই পরিকল্পনায় ঢাকার আশপাশের নদী ও রেলপথগুলোকে কাজে লাগানোর কথা বলা হলেও সে অনুযায়ী কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি।
এ পরিকল্পনায় ২০২৫ সালের মধ্যে মেট্রোরেলের পাঁচটি লাইন, দুটি বাস র্যাপিড ট্রানজিট রুট (বিআরটি), তিনটি রিং রোড, আটটি রেডিয়াল রোড, ছয়টি এক্সপ্রেসওয়ে, ২১টি পরিবহন হাব, ঢাকার চারপাশে বৃত্তাকার নৌপথের আধুনিকায়ন, ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা ও নিরাপত্তা, বাস রুট ফ্র্যাঞ্চাইজি এবং পথচারী অগ্রাধিকার কৌশল ঠিক করার কথা বলা হয়েছিল। কিন্তু উড়ালসড়ক ও মেট্রোরেল ছাড়া আর কোনো কিছুই এগোয়নি। এ দুটো নিয়ে কাজ শুরু হলেও নির্ধারিত সময়ের মধ্যে সংশ্লিষ্ট প্রকল্পগুলো শেষ হয়নি। ফলে বেড়েছে ব্যয় এবং মানুষের দুর্ভোগ। আইপিডি আয়োজিত শুক্রবার আলোচনা সভায় এ প্রসঙ্গগুলোই ঘুরেফিরে এসেছ।
ঢাকায় মেট্রোরেল এখনো চালু হয়নি। কাজ শেষ হয়নি বিআরটি প্রকল্পের। এর মধ্যেই শুরু হয়েছে পাতালরেল নির্মাণের তোড়জোড়। তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ঢাকায় পাতালরেল করার মতো জায়গা নেই। এখন এই প্রকল্প নিলে ২০৫০ সাল পর্যন্ত যানজট পোহাতে হবে নগরবাসীকে।
রাজধানীর যানজট নিরসনের লক্ষ্যে যে কৌশলগত পরিবহন পরিকল্পনা (এসটিপি) নেওয়া হয়েছিল, তাতে ফুটপাত, গণপরিবহনব্যবস্থা, ঢাকার আশপাশের রেলপথ ও নদীগুলোকে কাজে লাগানোর কথা বলা হয়েছিল। কিন্তু সেগুলো বাস্তবায়ন না করে একের পর এক মেগা প্রকল্প নেওয়া হচ্ছে ঢাকায়। এরই অংশ হিসেবে পাতালরেল নিয়ে শুরু হয়েছে তোড়জোড়। কিন্তু এখনই এ প্রকল্প নিলে ঋণের বোঝা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে এটি গলার কাঁটায় পরিণত হওয়ার আশঙ্কা করছেন পরিবহন বিশেষজ্ঞরা।
টেকসই পরিবহন পরিকল্পনার সঙ্গে ঢাকায় পাতালরেল কতটুকু প্রাসঙ্গিক, এই ধরনের অবকাঠামোর উপযোগিতাই-বা কেমন—এসব বিশ্লেষণের জন্য আজ শুক্রবার রাজধানীতে নগর সংলাপের আয়োজন করে ইনস্টিটিউট ফর প্ল্যানিং অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট (আইপিডি)। সংলাপে অংশ নিয়ে বিশেষজ্ঞরা এই মুহূর্তে পাতালরেলের মতো প্রকল্প গ্রহণ না করার পরামর্শ দেন সরকারকে।
আলোচনার শুরুতেই আইপিডির নির্বাহী পরিচালক পরিকল্পনাবিদ আদিল মাহমুদ খান বলেন, ‘পাতালরেল নির্মাণে চলতি অর্থবছরের মোট বাজেটের অর্ধেকের বেশি ব্যয় হবে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের নগর-পরিকল্পনা বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়, পাতালরেল উচ্চ আয়ের দেশগুলোর সীমিতসংখ্যক কিছু শহরে নির্মিত হলেও তা অতি ব্যয়বহুল প্রকল্প। এ কারণে অতি ধনী দেশগুলোও এখন নতুন করে পাতালরেল নির্মাণের মতো উচ্চাভিলাষী প্রকল্প নিচ্ছে না। বাংলাদেশের মাথাপিছু আয় যেখানে প্রায় ২ হাজার ডলার, সেখানে পাতালরেল নির্মাণের মতো অর্থনৈতিক শক্তি আমাদের নেই বললেই চলে।’
ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষের (ডিটিসিএ) সাবেক নির্বাহী পরিচালক ও পরিবহন বিশেষজ্ঞ ড. এস এম সালেহউদ্দিন বলেন, ‘এই শহরে যে অবস্থা, তাতে সাধারণ মানুষ বিরক্ত। আপনি পাতালরেল করলেন কি-না, তাতে মানুষের কিছু আসে যায় না। মানুষ চায় শান্তিতে, সহজে এবং অল্প সময়ের মধ্যে গন্তব্যে যেতে। সুতরাং এখনই এই প্রকল্প না নেওয়াই ভালো। এই প্রকল্প নিলে ২০৫০ সাল পর্যন্ত যানজট পোহাতে হবে। এতে যে পরিমাণ টাকা খরচ হবে তা দিয়ে ১ হাজার নতুন বাস কিনে বাস রুট রেশনালাইজেশন প্রোগ্রামকে আরও গতিশীল করা যেতে পারে। এতে পরিবহনব্যবস্থা উন্নত হবে। আর যেসব প্রকল্প ঢাকায় চলছে, সেগুলো শেষ করে তারপরেই নতুন প্রকল্পের দিকে যাওয়া উচিত।’
অনুষ্ঠানে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের নগর ও অঞ্চল পরিকল্পনা বিভাগের অধ্যাপক পরিকল্পনাবিদ অধ্যাপক ড. আকতার মাহমুদ বলেন, বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে পাতালরেলের মতো প্রকল্প ব্যয়সাশ্রয়ী হবে না। এই প্রকল্পে গলার কাঁটা তৈরি হবে। এতে ঋণের বোঝা বাড়বে। এভাবে মেগা প্রকল্প না নিয়ে পরিকল্পনামাফিক উন্নয়নের দিকে এগিয়ে যেতে হবে। ঢাকা শহরের জন্য এখনই পাতালরেলের দরকার নেই বলেও মনে করেন তিনি।
আইডিপির পরিচালক ও রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) বিশদ অঞ্চল পরিকল্পনার (ড্যাপ) প্রকল্প পরিচালক পরিকল্পনাবিদ মো. আশরাফুল ইসলাম বলেন, ‘সাম্প্রতিক সময়ে যানজট অনেক বেড়েছে। সে ক্ষেত্রে অনেকে যানজটের সমাধানের পথ হিসেবে মনে করছেন পাতাল রেলকে। ঢাকা শহরে মানুষের যে গড় আয় তার কত শতাংশ দৈনন্দিন যাতায়াতের জন্য দিতে পারব। সেটা ভাবতে হবে। পাতার রেলে এক জায়গা থেকে আরেক জায়গায় যেতে ৩০০ থেকে ৪০০ টাকা লাগবে। সুতরাং প্রতিদিন যাওয়া আসাতে অন্তত ৬০০ থেকে ৮০০ টাকা খরচ হতে পারে। সে ক্ষেত্রে ৩০ দিনের মধ্যে কেউ যদি ২৫ দিনই কর্মস্থলে যাওয়া আসা করে তাতে ২০ থেকে ২৫ হাজার টাকা খরচ হবে। তাই খরচের বিষয়ে বিবেচনা করে পাতাল রেল আপাতত না করাই ভালো।
বাংলাদেশে ইউএনডিপির প্রতিনিধি মো. মারুফ হোসেন বলেন, ঢাকা শহরের অভিভাবকের ঝামেলা আছে। কোনো কিছুতে সমন্বয় নেই। যে যার মতো করে প্রকল্প নিচ্ছে, এতে জটিলতা তৈরি হচ্ছে। সিটি করপোরেশন, সড়ক ও সেতু বিভাগ কেউ কারও সঙ্গে সমন্বয় করে না। যে যার মতো করে প্রকল্প নিচ্ছে, ফলে অচলাবস্থা সৃষ্টি হয়।
কৌশলগত পরিবহন পরিকল্পনায় মেট্রোরেল ও বিআরটি অন্তর্ভুক্ত থাকলেও পাতালরেল অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি বলেও জানান আলোচকেরা। তাঁরা বলেন, ঢাকার পাতালরেল নির্মাণে সরকারের সমীক্ষা প্রকল্প প্রধানত কারিগরি সমীক্ষা। এই ধরনের মেগা প্রকল্পের কোনো দিকনির্দেশনা বর্তমান কৌশলগত পরিবহন পরিকল্পনা, ঢাকা শহরের মহাপরিকল্পনা ও বিশদ অঞ্চল পরিকল্পনায় নেই। বিচ্ছিন্নভাবে ও পর্যাপ্ত পরিকল্পনাগত বিশ্লেষণ না করেই মেগা প্রকল্প বাস্তবায়নের ধারা চলে আসছে। তবে সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, এসটিপি সংশোধন করে পাতালরেলকে এসটিপিতে সংযুক্ত করা হবে।
প্রসঙ্গত, ২০০৫ সালের কৌশলগত পরিকল্পনা এবং বিভিন্ন গবেষণা ও সমীক্ষায় ঢাকার জনসংখ্যার ঘনত্ব, যাত্রীদের যানবাহন ব্যবহারের প্রবণতা ও যানজট বিবেচনায় নিয়ে বাস রুট ফ্র্যাঞ্চাইজি বা বিশেষ পদ্ধতিতে বাস পরিচালনার পরামর্শ দেওয়া হয়েছিল। এটা করা গেলে এক বাসের সঙ্গে অন্য বাসের প্রতিযোগিতা থাকত না। কিন্তু ১৭ বছরেও বাসের ফ্র্যাঞ্চাইজি ব্যবস্থা চালু হয়েছে শুধু একটি রুটে। ওই পরিকল্পনায় ঢাকার আশপাশের নদী ও রেলপথগুলোকে কাজে লাগানোর কথা বলা হলেও সে অনুযায়ী কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি।
এ পরিকল্পনায় ২০২৫ সালের মধ্যে মেট্রোরেলের পাঁচটি লাইন, দুটি বাস র্যাপিড ট্রানজিট রুট (বিআরটি), তিনটি রিং রোড, আটটি রেডিয়াল রোড, ছয়টি এক্সপ্রেসওয়ে, ২১টি পরিবহন হাব, ঢাকার চারপাশে বৃত্তাকার নৌপথের আধুনিকায়ন, ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা ও নিরাপত্তা, বাস রুট ফ্র্যাঞ্চাইজি এবং পথচারী অগ্রাধিকার কৌশল ঠিক করার কথা বলা হয়েছিল। কিন্তু উড়ালসড়ক ও মেট্রোরেল ছাড়া আর কোনো কিছুই এগোয়নি। এ দুটো নিয়ে কাজ শুরু হলেও নির্ধারিত সময়ের মধ্যে সংশ্লিষ্ট প্রকল্পগুলো শেষ হয়নি। ফলে বেড়েছে ব্যয় এবং মানুষের দুর্ভোগ। আইপিডি আয়োজিত শুক্রবার আলোচনা সভায় এ প্রসঙ্গগুলোই ঘুরেফিরে এসেছ।
ফেনীতে গরু চুরির মামলায় দাগনভূঞা পৌর স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক আলা উদ্দিনকে (৪৭) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বুধবার (২২ অক্টোবর) আদালতের মাধ্যমে তাঁকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
৩৫ মিনিট আগেবিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ঘোষিত ৩১ দফার প্রচারের মধ্য দিয়ে সিলেট-১ আসনে ধানের শীষের পক্ষে পদযাত্রা করেছেন সিলেট সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র ও বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আরিফুল হক চৌধুরী। বুধবার হযরত শাহজালাল (রহ.) দরগাহ মসজিদে জোহরের নামাজের পর মাজার জিয়ারতের মাধ্যমে তিনি...
৪১ মিনিট আগেজগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদল নেতা মো. জোবায়েদ হোসেন হত্যাকাণ্ড নিয়ে পুলিশ ‘ত্রিভুজ প্রেমের গল্প’ বলা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক মো. রইছ উদ্দীন। তিনি বলেন, ‘ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) সংবাদ সম্মেলন থেকে ত্রিভুজ...
১ ঘণ্টা আগেচাঁপাইনবাবগঞ্জে মোটরসাইকেল নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে কালভার্টের সঙ্গে ধাক্কা লেগে মিজানুর রহমান ও শিহাব আলী নামের দুই যুবক মারা গেছেন। আহত হয়েছেন ইমন আলী নামের আরও এক যুবক। আজ বুধবার (২২ অক্টোবর) বিকেলে সদর উপজেলার ঝিলিম ইউনিয়নের কেন্দুল এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
১ ঘণ্টা আগেফেনী প্রতিনিধি
ফেনীতে গরু চুরির মামলায় দাগনভূঞা পৌর স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক আলা উদ্দিনকে (৪৭) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বুধবার (২২ অক্টোবর) আদালতের মাধ্যমে তাঁকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
দাগনভূঞা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ ওয়াহিদ পারভেজ এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
গ্রেপ্তার আলা উদ্দিন পৌর এলাকার উত্তর শ্রীধরপুর এলাকার মজিবুল হকের ছেলে। তিনি দাগনভূঞা পৌর স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়কের দায়িত্বে ছিলেন।
জানা গেছে, ৫ অক্টোবর গভীর রাতে দাগনভূঞা উপজেলার জায়লস্কর ইউনিয়নের সিলোনিয়া খুশিপুর এলাকায় দুই বাড়ি থেকে ছয়টি গরু চুরি করে নিয়ে যায় চোর চক্র। এ ঘটনায় সর্বশেষ ২১ অক্টোবর দিবাগত রাতে পৌর এলাকার উত্তর শ্রীধরপুর এলাকা থেকে পৌর স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক আলা উদ্দিনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার আলা উদ্দিনের স্ত্রী শিরিন আক্তার বলেন, ‘আমার স্বামীকে ষড়যন্ত্র করে ফাঁসানো হয়েছে। তিনি বিগত আওয়ামী সরকারের সময়ে ভিন্নমতের রাজনীতি করার কারণে বেশ কয়েকটি মামলার আসামি হয়েছিলেন। ওই মামলাগুলোয় জামিনে আছেন। বর্তমানে প্রতিহিংসা করে তাঁকে ষড়যন্ত্রমূলক এ মামলায় ফাঁসানো হয়েছে।’
দাগনভূঞা উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, যদি এ ঘটনা সত্য হয়, তাহলে তা দলের জন্য বিব্রতকর। ঘটনার সঙ্গে প্রকৃতপক্ষে যদি তিনি জড়িত থাকেন, অবশ্যই তাঁর বিচার হোক। আইন সবার জন্য সমান। এ বিষয়ে জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের শীর্ষ নেতাদের অবহিত করা হবে।
এ ব্যাপারে দাগনভূঞা থানা-পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ ওয়াহিদ পারভেজ বলেন, গরু চুরির মামলায় তাঁকে গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। তাঁর বিরুদ্ধে দাগনভূঞা ও কোম্পানীগঞ্জ থানায় চুরি, ডাকাতি ও ছিনতাইয়ের একাধিক মামলা রয়েছে।
ফেনীতে গরু চুরির মামলায় দাগনভূঞা পৌর স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক আলা উদ্দিনকে (৪৭) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বুধবার (২২ অক্টোবর) আদালতের মাধ্যমে তাঁকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
দাগনভূঞা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ ওয়াহিদ পারভেজ এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
গ্রেপ্তার আলা উদ্দিন পৌর এলাকার উত্তর শ্রীধরপুর এলাকার মজিবুল হকের ছেলে। তিনি দাগনভূঞা পৌর স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়কের দায়িত্বে ছিলেন।
জানা গেছে, ৫ অক্টোবর গভীর রাতে দাগনভূঞা উপজেলার জায়লস্কর ইউনিয়নের সিলোনিয়া খুশিপুর এলাকায় দুই বাড়ি থেকে ছয়টি গরু চুরি করে নিয়ে যায় চোর চক্র। এ ঘটনায় সর্বশেষ ২১ অক্টোবর দিবাগত রাতে পৌর এলাকার উত্তর শ্রীধরপুর এলাকা থেকে পৌর স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক আলা উদ্দিনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার আলা উদ্দিনের স্ত্রী শিরিন আক্তার বলেন, ‘আমার স্বামীকে ষড়যন্ত্র করে ফাঁসানো হয়েছে। তিনি বিগত আওয়ামী সরকারের সময়ে ভিন্নমতের রাজনীতি করার কারণে বেশ কয়েকটি মামলার আসামি হয়েছিলেন। ওই মামলাগুলোয় জামিনে আছেন। বর্তমানে প্রতিহিংসা করে তাঁকে ষড়যন্ত্রমূলক এ মামলায় ফাঁসানো হয়েছে।’
দাগনভূঞা উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, যদি এ ঘটনা সত্য হয়, তাহলে তা দলের জন্য বিব্রতকর। ঘটনার সঙ্গে প্রকৃতপক্ষে যদি তিনি জড়িত থাকেন, অবশ্যই তাঁর বিচার হোক। আইন সবার জন্য সমান। এ বিষয়ে জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের শীর্ষ নেতাদের অবহিত করা হবে।
এ ব্যাপারে দাগনভূঞা থানা-পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ ওয়াহিদ পারভেজ বলেন, গরু চুরির মামলায় তাঁকে গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। তাঁর বিরুদ্ধে দাগনভূঞা ও কোম্পানীগঞ্জ থানায় চুরি, ডাকাতি ও ছিনতাইয়ের একাধিক মামলা রয়েছে।
ঢাকায় মেট্রোরেল এখনো চালু হয়নি। কাজ শেষ হয়নি বিআরটি প্রকল্পের। এর মধ্যেই শুরু হয়েছে পাতালরেল নির্মাণের তোড়জোড়। তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ঢাকায় পাতালরেল করার মতো জায়গা নেই। এখন এই প্রকল্প নিলে ২০৫০ সাল পর্যন্ত যানজট পোহাতে হবে নগরবাসীকে।
২২ এপ্রিল ২০২২বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ঘোষিত ৩১ দফার প্রচারের মধ্য দিয়ে সিলেট-১ আসনে ধানের শীষের পক্ষে পদযাত্রা করেছেন সিলেট সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র ও বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আরিফুল হক চৌধুরী। বুধবার হযরত শাহজালাল (রহ.) দরগাহ মসজিদে জোহরের নামাজের পর মাজার জিয়ারতের মাধ্যমে তিনি...
৪১ মিনিট আগেজগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদল নেতা মো. জোবায়েদ হোসেন হত্যাকাণ্ড নিয়ে পুলিশ ‘ত্রিভুজ প্রেমের গল্প’ বলা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক মো. রইছ উদ্দীন। তিনি বলেন, ‘ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) সংবাদ সম্মেলন থেকে ত্রিভুজ...
১ ঘণ্টা আগেচাঁপাইনবাবগঞ্জে মোটরসাইকেল নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে কালভার্টের সঙ্গে ধাক্কা লেগে মিজানুর রহমান ও শিহাব আলী নামের দুই যুবক মারা গেছেন। আহত হয়েছেন ইমন আলী নামের আরও এক যুবক। আজ বুধবার (২২ অক্টোবর) বিকেলে সদর উপজেলার ঝিলিম ইউনিয়নের কেন্দুল এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
১ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, সিলেট
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ঘোষিত ৩১ দফার প্রচারের মধ্য দিয়ে সিলেট-১ আসনে ধানের শীষের পক্ষে পদযাত্রা করেছেন সিলেট সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র ও বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আরিফুল হক চৌধুরী।
বুধবার (২২ অক্টোবর) হযরত শাহজালাল (রহ.) দরগাহ মসজিদে জোহরের নামাজের পর মাজার জিয়ারতের মাধ্যমে তিনি এই প্রচার শুরু করেন।
আরিফুল হক চৌধুরী বলেন, ‘আমার নেতা তারেক রহমান বলেছেন, তৃণমূলের মতামতকে প্রাধান্য দিয়ে আগামী নির্বাচনে প্রার্থী বাছাই করবেন। অনেকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছে। এখনো কাউকে মনোনয়ন দেওয়া হয়নি। দলের মনোনয়ন বোর্ড বসে চূড়ান্ত প্রার্থী ঘোষণা করবে।’
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে আরিফ বলেন, ‘৪৭ বছর ধরে আমি দলের সঙ্গে আছি। সব সময় দলের সিদ্ধান্ত মেনে এসেছি। কখনো দলের শৃঙ্খলা ভঙ্গ করিনি। আর উনিও (তারেক রহমান) বলেছেন, জনগণের ভালোবাসা, জনগণের সম্পৃক্ততা যাঁর সঙ্গে থাকবে, তিনি তাঁকে নমিনেশন দেবেন। আজকে দেখুন, শুধু প্রচার অভিযানে হাজার হাজার মানুষ চলে এসেছেন।’
পদযাত্রায় সিলেটের বিভিন্ন ধর্ম-বর্ণের মানুষ অংশ নেন। এ সময় অনেকে ধানের শীষ হাতে নিয়ে প্রচারণায় অংশ নেন। রাস্তার দুই ধারে দাঁড়িয়ে আরিফুল হক চৌধুরীকে স্বাগত জানান অনেকে।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ঘোষিত ৩১ দফার প্রচারের মধ্য দিয়ে সিলেট-১ আসনে ধানের শীষের পক্ষে পদযাত্রা করেছেন সিলেট সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র ও বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আরিফুল হক চৌধুরী।
বুধবার (২২ অক্টোবর) হযরত শাহজালাল (রহ.) দরগাহ মসজিদে জোহরের নামাজের পর মাজার জিয়ারতের মাধ্যমে তিনি এই প্রচার শুরু করেন।
আরিফুল হক চৌধুরী বলেন, ‘আমার নেতা তারেক রহমান বলেছেন, তৃণমূলের মতামতকে প্রাধান্য দিয়ে আগামী নির্বাচনে প্রার্থী বাছাই করবেন। অনেকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছে। এখনো কাউকে মনোনয়ন দেওয়া হয়নি। দলের মনোনয়ন বোর্ড বসে চূড়ান্ত প্রার্থী ঘোষণা করবে।’
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে আরিফ বলেন, ‘৪৭ বছর ধরে আমি দলের সঙ্গে আছি। সব সময় দলের সিদ্ধান্ত মেনে এসেছি। কখনো দলের শৃঙ্খলা ভঙ্গ করিনি। আর উনিও (তারেক রহমান) বলেছেন, জনগণের ভালোবাসা, জনগণের সম্পৃক্ততা যাঁর সঙ্গে থাকবে, তিনি তাঁকে নমিনেশন দেবেন। আজকে দেখুন, শুধু প্রচার অভিযানে হাজার হাজার মানুষ চলে এসেছেন।’
পদযাত্রায় সিলেটের বিভিন্ন ধর্ম-বর্ণের মানুষ অংশ নেন। এ সময় অনেকে ধানের শীষ হাতে নিয়ে প্রচারণায় অংশ নেন। রাস্তার দুই ধারে দাঁড়িয়ে আরিফুল হক চৌধুরীকে স্বাগত জানান অনেকে।
ঢাকায় মেট্রোরেল এখনো চালু হয়নি। কাজ শেষ হয়নি বিআরটি প্রকল্পের। এর মধ্যেই শুরু হয়েছে পাতালরেল নির্মাণের তোড়জোড়। তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ঢাকায় পাতালরেল করার মতো জায়গা নেই। এখন এই প্রকল্প নিলে ২০৫০ সাল পর্যন্ত যানজট পোহাতে হবে নগরবাসীকে।
২২ এপ্রিল ২০২২ফেনীতে গরু চুরির মামলায় দাগনভূঞা পৌর স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক আলা উদ্দিনকে (৪৭) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বুধবার (২২ অক্টোবর) আদালতের মাধ্যমে তাঁকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
৩৫ মিনিট আগেজগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদল নেতা মো. জোবায়েদ হোসেন হত্যাকাণ্ড নিয়ে পুলিশ ‘ত্রিভুজ প্রেমের গল্প’ বলা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক মো. রইছ উদ্দীন। তিনি বলেন, ‘ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) সংবাদ সম্মেলন থেকে ত্রিভুজ...
১ ঘণ্টা আগেচাঁপাইনবাবগঞ্জে মোটরসাইকেল নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে কালভার্টের সঙ্গে ধাক্কা লেগে মিজানুর রহমান ও শিহাব আলী নামের দুই যুবক মারা গেছেন। আহত হয়েছেন ইমন আলী নামের আরও এক যুবক। আজ বুধবার (২২ অক্টোবর) বিকেলে সদর উপজেলার ঝিলিম ইউনিয়নের কেন্দুল এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
১ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদল নেতা মো. জোবায়েদ হোসেন হত্যাকাণ্ড নিয়ে পুলিশ ‘ত্রিভুজ প্রেমের গল্প’ বলা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক মো. রইছ উদ্দীন। তিনি বলেন, ‘ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) সংবাদ সম্মেলন থেকে ত্রিভুজ প্রেমের গল্পের কথা বলা হয়েছে। কিন্তু জোবায়েদের সম্পর্কে তার শিক্ষক ও সহপাঠীরা যতটুকু জানে, তাতে এই ধরনের মন্তব্য তার সঙ্গে প্রাসঙ্গিক নয়। তা ছাড়া জোবায়েদ যদি প্রেমই করত, তাহলে তো তাকে আর মেয়ের পরিবার টিউশনিতেই রাখত না।’
বুধবার (২২ অক্টোবর) রাত সাড়ে ৯টার দিকে আজকের পত্রিকাকে এসব কথা বলেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক মো. রইছ উদ্দীন। এর আগে বিকেলে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির আয়োজনে ভাষাশহীদ রফিক ভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে ডিএমপির সংবাদ সম্মেলনের নানা বিষয় নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। সংবাদ সম্মেলনে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন অনুষদের ডিন, প্রক্টর, বিভাগীয় প্রধান, শিক্ষক-শিক্ষার্থী, ছাত্রদল ও অন্যান্য রাজনৈতিক সংগঠনের নেতা-কর্মী এবং জোবায়েদের আইনজীবী মো. ইশতিয়াক হোসেন উপস্থিত ছিলেন।
ঘটনার দ্বিতীয় দিনে তিনজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তাঁরা হলেন বার্জিস শাবনাম বর্ষা (১৮), মাহির রহমান (১৯) ও ফারদীন আহম্মেদ আয়লান (২০)। এরপর মঙ্গলবার ঢাকা মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশনস) এস এন মো নজরুল ইসলাম সংবাদ সম্মেলনে বলেন, বর্ষাকে পড়াতে গিয়ে তাঁর সঙ্গে জোবায়েদের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। তবে বর্ষার সঙ্গে মাহিরের পূর্ববর্তী সম্পর্ক ছিল। এটা মূলত ‘ত্রিভুজ প্রেমের গল্প’। এর জেরে মাহির ও আয়লান মিলে বর্ষার সহযোগিতায় হত্যা করেন জোবায়েদকে।
পুলিশের এই বক্তব্য নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করে সংবাদ সম্মেলনে অধ্যাপক রইছ উদ্দীন বলেন, ‘আমাদের কিছু কিছু বিষয় নিয়ে সংশয় আছে, প্রশ্ন আছে। জোবায়েদকে হত্যার আগে তার ছাত্রী বর্ষা তাকে কল দিয়ে জিজ্ঞাসা করে, সে কখন আসতেছে, কতটুকু এসেছে এবং তার আসার বিষয়টি নিশ্চিত হয়, পরে তার লোকেশন চেক করে। বিষয়টা স্বীকারোক্তি দিয়েছিল ছাত্রী বর্ষা। সেটি এজাহারের প্রথম সূত্র হওয়া উচিত ছিল। কিন্তু সেটি কেন বাদ দেওয়া হলো? সেটা কি ইচ্ছাকৃতভাবে বাদ দেওয়া হয়েছে, নাকি পরে বাদ দেওয়া হয়েছে, সেটা আমাদের প্রথম প্রশ্ন।’
ডিএমপির বক্তব্য অনুযায়ী, মাহিরকে বর্ষা বলেছিলেন, জোবায়েদকে না সরালে তিনি ‘মাহিরের হতে পারবেন না’। এরপর এক মাস আগে জোবায়েদকে হত্যার পরিকল্পনা করা হয়েছিল।
পুলিশের দেওয়া ঘটনার বর্ণনা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক অধ্যাপক রইছ উদ্দীন। তিনি বলেন, ‘জোবায়েদকে আক্রোশে হত্যা করা হয়েছে। কিন্তু আমরা জানি, আক্রোশে হত্যা করলে এলোপাতাড়ি আঘাত করা হয়। কিন্তু পুলিশ বলল, এক আঘাতেই হত্যা করা হয়েছে জোবায়েদকে। এটা তো পেশাদার হত্যাকারী ছাড়া কেউ করতে পারার কথা নয়। তাহলে আমাদের প্রশ্ন পেশাদার হত্যাকারী দিয়ে হত্যা করিয়ে অন্যদের ফাঁসানো হয়েছে কি? এ ছাড়া মাহিরের উচ্চতা ও জোবায়েদের উচ্চতায় অনেক তফাত। জোবায়েদ মাহিরের থেকে অনেক লম্বা, সে (মাহির) তার (জোবায়েদ) গলা পর্যন্ত পৌঁছাতে পারার কথা নয়। সে জায়গা থেকে হত্যা করা সম্ভব কি?’
তিনি আরও বলেন, ‘সিসিটিভি ফুটেজে দুজন ব্যক্তিকে দেখা গিয়েছে। একজন কালো টি-শার্ট পরিহিত, আরেকজন লাল টি-শার্ট পরিধান করা ছিল। এই দুজনই কি গ্রেপ্তার হওয়া দুজন কি না, আমরা কীভাবে নিশ্চিত হব? সংশ্লিষ্ট প্রশাসন পর্যাপ্ত প্রমাণ জব্দ করেছে কি না, সেটা আমরা জানতে চাই।’
পুলিশের বিবরণের আরেকটি অংশ নিয়ে প্রশ্ন তুলে এই অধ্যাপক বলেন, ‘অভিযুক্ত বার্জিস শাবনাম বর্ষার মা-বাবার জবানবন্দি নেওয়া প্রয়োজন ছিল, হত্যার সময় বাসায় তাঁরা উপস্থিত ছিলেন। যদি তাঁরা এ ঘটনায় সমর্থন দিয়ে থাকেন, তাঁদেরও তো এই মামলার আসামি হওয়ার কথা। ঘটনার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সবার কাছ থেকে জবানবন্দি নেওয়ার বিষয়েও পুলিশ স্পষ্ট কিছু জানায়নি।’
এদিকে জোবায়েদ হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদ জানিয়ে বুধবার জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিসংখ্যান বিভাগের শিক্ষার্থী, শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারীরাও ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ সমাবেশ করেন। সেখান থেকেও পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়। সমাবেশে পরিসংখ্যান বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক আবু সাইদ মো. রিপন রউফ বলেন, ‘গতকাল পুলিশের কর্মকর্তারা যেভাবে সংবাদ সম্মেলন করেছেন, তা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। তাঁরা যেভাবে হাসাহাসি করেছেন, তাতে মনে হয় না, তাঁরা একটি হত্যার বিবরণ দিচ্ছেন। তাঁরা কোনোভাবেই দায়িত্বশীল আচরণ করেননি।’
জোবায়েদ জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিসংখ্যান বিভাগের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন। তিনি ছাত্রদলের জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখার আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ছিলেন।
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদল নেতা মো. জোবায়েদ হোসেন হত্যাকাণ্ড নিয়ে পুলিশ ‘ত্রিভুজ প্রেমের গল্প’ বলা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক মো. রইছ উদ্দীন। তিনি বলেন, ‘ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) সংবাদ সম্মেলন থেকে ত্রিভুজ প্রেমের গল্পের কথা বলা হয়েছে। কিন্তু জোবায়েদের সম্পর্কে তার শিক্ষক ও সহপাঠীরা যতটুকু জানে, তাতে এই ধরনের মন্তব্য তার সঙ্গে প্রাসঙ্গিক নয়। তা ছাড়া জোবায়েদ যদি প্রেমই করত, তাহলে তো তাকে আর মেয়ের পরিবার টিউশনিতেই রাখত না।’
বুধবার (২২ অক্টোবর) রাত সাড়ে ৯টার দিকে আজকের পত্রিকাকে এসব কথা বলেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক মো. রইছ উদ্দীন। এর আগে বিকেলে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির আয়োজনে ভাষাশহীদ রফিক ভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে ডিএমপির সংবাদ সম্মেলনের নানা বিষয় নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। সংবাদ সম্মেলনে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন অনুষদের ডিন, প্রক্টর, বিভাগীয় প্রধান, শিক্ষক-শিক্ষার্থী, ছাত্রদল ও অন্যান্য রাজনৈতিক সংগঠনের নেতা-কর্মী এবং জোবায়েদের আইনজীবী মো. ইশতিয়াক হোসেন উপস্থিত ছিলেন।
ঘটনার দ্বিতীয় দিনে তিনজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তাঁরা হলেন বার্জিস শাবনাম বর্ষা (১৮), মাহির রহমান (১৯) ও ফারদীন আহম্মেদ আয়লান (২০)। এরপর মঙ্গলবার ঢাকা মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশনস) এস এন মো নজরুল ইসলাম সংবাদ সম্মেলনে বলেন, বর্ষাকে পড়াতে গিয়ে তাঁর সঙ্গে জোবায়েদের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। তবে বর্ষার সঙ্গে মাহিরের পূর্ববর্তী সম্পর্ক ছিল। এটা মূলত ‘ত্রিভুজ প্রেমের গল্প’। এর জেরে মাহির ও আয়লান মিলে বর্ষার সহযোগিতায় হত্যা করেন জোবায়েদকে।
পুলিশের এই বক্তব্য নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করে সংবাদ সম্মেলনে অধ্যাপক রইছ উদ্দীন বলেন, ‘আমাদের কিছু কিছু বিষয় নিয়ে সংশয় আছে, প্রশ্ন আছে। জোবায়েদকে হত্যার আগে তার ছাত্রী বর্ষা তাকে কল দিয়ে জিজ্ঞাসা করে, সে কখন আসতেছে, কতটুকু এসেছে এবং তার আসার বিষয়টি নিশ্চিত হয়, পরে তার লোকেশন চেক করে। বিষয়টা স্বীকারোক্তি দিয়েছিল ছাত্রী বর্ষা। সেটি এজাহারের প্রথম সূত্র হওয়া উচিত ছিল। কিন্তু সেটি কেন বাদ দেওয়া হলো? সেটা কি ইচ্ছাকৃতভাবে বাদ দেওয়া হয়েছে, নাকি পরে বাদ দেওয়া হয়েছে, সেটা আমাদের প্রথম প্রশ্ন।’
ডিএমপির বক্তব্য অনুযায়ী, মাহিরকে বর্ষা বলেছিলেন, জোবায়েদকে না সরালে তিনি ‘মাহিরের হতে পারবেন না’। এরপর এক মাস আগে জোবায়েদকে হত্যার পরিকল্পনা করা হয়েছিল।
পুলিশের দেওয়া ঘটনার বর্ণনা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক অধ্যাপক রইছ উদ্দীন। তিনি বলেন, ‘জোবায়েদকে আক্রোশে হত্যা করা হয়েছে। কিন্তু আমরা জানি, আক্রোশে হত্যা করলে এলোপাতাড়ি আঘাত করা হয়। কিন্তু পুলিশ বলল, এক আঘাতেই হত্যা করা হয়েছে জোবায়েদকে। এটা তো পেশাদার হত্যাকারী ছাড়া কেউ করতে পারার কথা নয়। তাহলে আমাদের প্রশ্ন পেশাদার হত্যাকারী দিয়ে হত্যা করিয়ে অন্যদের ফাঁসানো হয়েছে কি? এ ছাড়া মাহিরের উচ্চতা ও জোবায়েদের উচ্চতায় অনেক তফাত। জোবায়েদ মাহিরের থেকে অনেক লম্বা, সে (মাহির) তার (জোবায়েদ) গলা পর্যন্ত পৌঁছাতে পারার কথা নয়। সে জায়গা থেকে হত্যা করা সম্ভব কি?’
তিনি আরও বলেন, ‘সিসিটিভি ফুটেজে দুজন ব্যক্তিকে দেখা গিয়েছে। একজন কালো টি-শার্ট পরিহিত, আরেকজন লাল টি-শার্ট পরিধান করা ছিল। এই দুজনই কি গ্রেপ্তার হওয়া দুজন কি না, আমরা কীভাবে নিশ্চিত হব? সংশ্লিষ্ট প্রশাসন পর্যাপ্ত প্রমাণ জব্দ করেছে কি না, সেটা আমরা জানতে চাই।’
পুলিশের বিবরণের আরেকটি অংশ নিয়ে প্রশ্ন তুলে এই অধ্যাপক বলেন, ‘অভিযুক্ত বার্জিস শাবনাম বর্ষার মা-বাবার জবানবন্দি নেওয়া প্রয়োজন ছিল, হত্যার সময় বাসায় তাঁরা উপস্থিত ছিলেন। যদি তাঁরা এ ঘটনায় সমর্থন দিয়ে থাকেন, তাঁদেরও তো এই মামলার আসামি হওয়ার কথা। ঘটনার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সবার কাছ থেকে জবানবন্দি নেওয়ার বিষয়েও পুলিশ স্পষ্ট কিছু জানায়নি।’
এদিকে জোবায়েদ হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদ জানিয়ে বুধবার জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিসংখ্যান বিভাগের শিক্ষার্থী, শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারীরাও ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ সমাবেশ করেন। সেখান থেকেও পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়। সমাবেশে পরিসংখ্যান বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক আবু সাইদ মো. রিপন রউফ বলেন, ‘গতকাল পুলিশের কর্মকর্তারা যেভাবে সংবাদ সম্মেলন করেছেন, তা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। তাঁরা যেভাবে হাসাহাসি করেছেন, তাতে মনে হয় না, তাঁরা একটি হত্যার বিবরণ দিচ্ছেন। তাঁরা কোনোভাবেই দায়িত্বশীল আচরণ করেননি।’
জোবায়েদ জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিসংখ্যান বিভাগের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন। তিনি ছাত্রদলের জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখার আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ছিলেন।
ঢাকায় মেট্রোরেল এখনো চালু হয়নি। কাজ শেষ হয়নি বিআরটি প্রকল্পের। এর মধ্যেই শুরু হয়েছে পাতালরেল নির্মাণের তোড়জোড়। তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ঢাকায় পাতালরেল করার মতো জায়গা নেই। এখন এই প্রকল্প নিলে ২০৫০ সাল পর্যন্ত যানজট পোহাতে হবে নগরবাসীকে।
২২ এপ্রিল ২০২২ফেনীতে গরু চুরির মামলায় দাগনভূঞা পৌর স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক আলা উদ্দিনকে (৪৭) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বুধবার (২২ অক্টোবর) আদালতের মাধ্যমে তাঁকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
৩৫ মিনিট আগেবিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ঘোষিত ৩১ দফার প্রচারের মধ্য দিয়ে সিলেট-১ আসনে ধানের শীষের পক্ষে পদযাত্রা করেছেন সিলেট সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র ও বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আরিফুল হক চৌধুরী। বুধবার হযরত শাহজালাল (রহ.) দরগাহ মসজিদে জোহরের নামাজের পর মাজার জিয়ারতের মাধ্যমে তিনি...
৪১ মিনিট আগেচাঁপাইনবাবগঞ্জে মোটরসাইকেল নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে কালভার্টের সঙ্গে ধাক্কা লেগে মিজানুর রহমান ও শিহাব আলী নামের দুই যুবক মারা গেছেন। আহত হয়েছেন ইমন আলী নামের আরও এক যুবক। আজ বুধবার (২২ অক্টোবর) বিকেলে সদর উপজেলার ঝিলিম ইউনিয়নের কেন্দুল এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
১ ঘণ্টা আগেচাঁপাইনবাবগঞ্জ প্রতিনিধি
চাঁপাইনবাবগঞ্জে মোটরসাইকেল নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে কালভার্টের সঙ্গে ধাক্কা লেগে মিজানুর রহমান ও শিহাব আলী নামের দুই যুবক মারা গেছেন। আহত হয়েছেন ইমন আলী নামের আরও এক যুবক।
আজ বুধবার (২২ অক্টোবর) বিকেলে সদর উপজেলার ঝিলিম ইউনিয়নের কেন্দুল এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
সদর মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সুকোমল চন্দ্র দেবনাথ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
নিহত যুবকেরা হলেন সদর উপজেলার মাঝপাড়ার তাজেবুর রহমানের ছেলে মিজানুর রহমান (২২) ও ধীনগর গ্রামের কামাল হোসেনের ছেলে শিহাব আলী (২০)।
আহত যুবক হলেন আমনুরা কলোনির শফিকুল ইসলামের ছেলে ইমন আলী।
সুকোমল চন্দ্র দেবনাথ বলেন, আজ বেলা পৌনে ৩টার দিকে একই মোটরসাইকেলে তিন যুবক ঝিলিমবাজার থেকে গোদাগাড়ীর দিকে যাচ্ছিলেন। পথে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে মোটরসাইকেলটি একটি কালভার্টের সঙ্গে ধাক্কা লাগে। এতে গুরুতর আহত তিনজনকে উদ্ধার করে স্থানীয় বাসিন্দারা রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান। হাসপাতালে নেওয়ার পথে মারা যান মিজানুর। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান শিহাব।
চাঁপাইনবাবগঞ্জে মোটরসাইকেল নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে কালভার্টের সঙ্গে ধাক্কা লেগে মিজানুর রহমান ও শিহাব আলী নামের দুই যুবক মারা গেছেন। আহত হয়েছেন ইমন আলী নামের আরও এক যুবক।
আজ বুধবার (২২ অক্টোবর) বিকেলে সদর উপজেলার ঝিলিম ইউনিয়নের কেন্দুল এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
সদর মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সুকোমল চন্দ্র দেবনাথ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
নিহত যুবকেরা হলেন সদর উপজেলার মাঝপাড়ার তাজেবুর রহমানের ছেলে মিজানুর রহমান (২২) ও ধীনগর গ্রামের কামাল হোসেনের ছেলে শিহাব আলী (২০)।
আহত যুবক হলেন আমনুরা কলোনির শফিকুল ইসলামের ছেলে ইমন আলী।
সুকোমল চন্দ্র দেবনাথ বলেন, আজ বেলা পৌনে ৩টার দিকে একই মোটরসাইকেলে তিন যুবক ঝিলিমবাজার থেকে গোদাগাড়ীর দিকে যাচ্ছিলেন। পথে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে মোটরসাইকেলটি একটি কালভার্টের সঙ্গে ধাক্কা লাগে। এতে গুরুতর আহত তিনজনকে উদ্ধার করে স্থানীয় বাসিন্দারা রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান। হাসপাতালে নেওয়ার পথে মারা যান মিজানুর। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান শিহাব।
ঢাকায় মেট্রোরেল এখনো চালু হয়নি। কাজ শেষ হয়নি বিআরটি প্রকল্পের। এর মধ্যেই শুরু হয়েছে পাতালরেল নির্মাণের তোড়জোড়। তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ঢাকায় পাতালরেল করার মতো জায়গা নেই। এখন এই প্রকল্প নিলে ২০৫০ সাল পর্যন্ত যানজট পোহাতে হবে নগরবাসীকে।
২২ এপ্রিল ২০২২ফেনীতে গরু চুরির মামলায় দাগনভূঞা পৌর স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক আলা উদ্দিনকে (৪৭) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বুধবার (২২ অক্টোবর) আদালতের মাধ্যমে তাঁকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
৩৫ মিনিট আগেবিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ঘোষিত ৩১ দফার প্রচারের মধ্য দিয়ে সিলেট-১ আসনে ধানের শীষের পক্ষে পদযাত্রা করেছেন সিলেট সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র ও বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আরিফুল হক চৌধুরী। বুধবার হযরত শাহজালাল (রহ.) দরগাহ মসজিদে জোহরের নামাজের পর মাজার জিয়ারতের মাধ্যমে তিনি...
৪১ মিনিট আগেজগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদল নেতা মো. জোবায়েদ হোসেন হত্যাকাণ্ড নিয়ে পুলিশ ‘ত্রিভুজ প্রেমের গল্প’ বলা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক মো. রইছ উদ্দীন। তিনি বলেন, ‘ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) সংবাদ সম্মেলন থেকে ত্রিভুজ...
১ ঘণ্টা আগে