ঢাবি প্রতিনিধি
জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ৪৬তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে কবির সমাধিতে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন সব শ্রেণিপেশার মানুষ। আজ শনিবার সকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদের পাশে কবির সমাধিতে এই শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়।
সকালে সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন হল, জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়, নজরুল ইনস্টিটিউট, বাংলা একাডেমি, শিল্পকলা একাডেমি, জাতীয় সাংস্কৃতিক জোট, কবিপরিবার, আরবি কালচার সেন্টার, জাতীয় জাদুঘর, নজরুল-প্রমীলা পরিষদ, নজরুলচর্চা কেন্দ্র, নজরুলভক্ত সমাজ, বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোট, আওয়ামী লীগ, বিএনপি, ছাত্রলীগ, ছাত্রদলসহ বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের পক্ষ থেকে কবির কবরে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানো হয়।
সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ বলেন, ‘কবির প্রতি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের গভীর শ্রদ্ধাবোধ ছিল। সেই শ্রদ্ধাবোধের জায়গা থেকে কবিকে ভারত থেকে নিয়ে এসে জাতীয় কবি উপাধিতে ভূষিত করেন তিনি। কবি নজরুল এখনো প্রাসঙ্গিক আছেন এবং ভবিষ্যতেও থাকবেন। তাঁর বিদ্রোহী কবিতা স্বাধীনতাযুদ্ধেও মানুষকে যেমন অনুপ্রেরণা জুগিয়েছে। তেমনি স্বাধীনতা-পরবর্তী বিভিন্ন আন্দোলন ও সংগ্রামেও সাহস-উৎসাহ জুগিয়েছে।’
বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক কবি নুরুল হুদা বলেন, ‘মানুষের ব্যক্তিসত্তা ও স্বাধীনচেতা বোধকে জাগ্রত করার সংগ্রাম করেছেন নজরুল। জাতিসত্তা নিয়ে যে একটি জাতিরাষ্ট্র হতে পারে, তার স্বপ্নদ্রষ্টা হলেন নজরুল। আর সেই স্বপ্ন বাস্তবায়ন করেছেন জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। আমাদের সংবিধানে আমরা দেখতে পেয়েছি নজরুলের দেওয়া গণতান্ত্রিক শক্তি, জাতীয় শক্তি, অসাম্প্রদায়িক শক্তি ও সদাচারী শক্তির সম্মিলনে গঠিত জাতিরাষ্ট্র। সেই জাতিরাষ্ট্রকে আমরা একটি সোনার বাংলায় রূপান্তর করতে যাচ্ছি।’
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান। এ সময় তিনি বলেন, কাজী নজরুল ইসলাম সাম্যের কবি, অসাম্প্রদায়িক ও মানবতার কবি। বঙ্গবন্ধু ও কবি নজরুলের মধ্যে একটি অসাধারণ সখ্য ছিল। বঙ্গবন্ধুই মূলত কবি নজরুলকে দারিদ্র্যপীড়িত জীবনাচার থেকে উদ্ধার করে বাংলাদেশে নিয়ে আসেন। দুজনেরই ছিল মানবতাবাদী, অসাম্প্রদায়িক ও উদার জীবনদর্শন। কবির রয়েছে বিশাল সাহিত্যের সম্ভার। তাঁর সাহিত্যসম্ভারে রয়েছে নানাবিধ মূলবোধ ও নানা ধরনের ভাবদর্শন।’
উপাচার্য আরও বলেন, ‘তাঁর মধ্যে অন্যায়ের বিরুদ্ধে কথা বলার স্পৃহা ছিল। তাঁর মধ্যে আছে ধর্মীয় মূল্যবোধ প্রতিপালনের ইঙ্গিত। তাঁর কবিতা ও গান মানুষকে সব সময় অনুপ্রেরণা দেবে, বিশ্বের যেকোনো প্রান্তের যেকোনো মানবগোষ্ঠীকে যেকোনো পরিস্থিতিতে তাঁর ভাবদর্শন মানুষ অনুসরণ করবে। এসবের মধ্য দিয়েই কবি অমর হয়ে থাকবেন।’
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে শ্রদ্ধা নিবেদনের সময় আরও উপস্থিত ছিলেন উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ সামাদ, উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. এ এস এম মকসুদ কামাল, ঢাবি শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক নিজামুল হক ভূঁইয়া প্রমুখ। পরে কবির মাজার প্রাঙ্গণে অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামানের সভাপতিত্বে একটি আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
উল্লেখ্য, ১৮৯৯ সালের ২৪ মে (১১ জ্যৈষ্ঠ ১৩০৬ বঙ্গাব্দ) পশ্চিমবঙ্গের বর্ধমান জেলার চুরুলিয়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন কাজী নজরুল ইসলাম। শৈশবেই স্বজন হারানো ‘দুখু মিয়া’ দারিদ্র্য আর সব বাধা ঠেলে একসময় বাংলা সাহিত্যের অন্যতম পুরোধা হয়ে ওঠেন। মাত্র ২২ বছরের লেখকজীবনেই ৩ হাজার গান, অসংখ্য কবিতা, ছোটগল্প আর উপন্যাস লিখেছেন তিনি।
১৯৪২ সালে দুরারোগ্য রোগে আক্রান্ত হয়ে ক্রমশ বাক্শক্তি হারান নজরুল। স্বাধীনতার পরপরই জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান অসুস্থ কবিকে ভারত থেকে বাংলাদেশে নিয়ে আসেন। পরে নজরুলকে বাংলাদেশের জাতীয় কবিতে ভূষিত করা হয়। পরবর্তীতে ১৯৭৬ সালের ২৯ আগস্ট (১২ ভাদ্র) বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে (তৎকালীন পিজি হাসপাতাল) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি। পরে কবির শেষ ইচ্ছা অনুযায়ী তাঁকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদের পাশে সমাহিত করা হয়।
জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ৪৬তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে কবির সমাধিতে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন সব শ্রেণিপেশার মানুষ। আজ শনিবার সকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদের পাশে কবির সমাধিতে এই শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়।
সকালে সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন হল, জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়, নজরুল ইনস্টিটিউট, বাংলা একাডেমি, শিল্পকলা একাডেমি, জাতীয় সাংস্কৃতিক জোট, কবিপরিবার, আরবি কালচার সেন্টার, জাতীয় জাদুঘর, নজরুল-প্রমীলা পরিষদ, নজরুলচর্চা কেন্দ্র, নজরুলভক্ত সমাজ, বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোট, আওয়ামী লীগ, বিএনপি, ছাত্রলীগ, ছাত্রদলসহ বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের পক্ষ থেকে কবির কবরে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানো হয়।
সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ বলেন, ‘কবির প্রতি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের গভীর শ্রদ্ধাবোধ ছিল। সেই শ্রদ্ধাবোধের জায়গা থেকে কবিকে ভারত থেকে নিয়ে এসে জাতীয় কবি উপাধিতে ভূষিত করেন তিনি। কবি নজরুল এখনো প্রাসঙ্গিক আছেন এবং ভবিষ্যতেও থাকবেন। তাঁর বিদ্রোহী কবিতা স্বাধীনতাযুদ্ধেও মানুষকে যেমন অনুপ্রেরণা জুগিয়েছে। তেমনি স্বাধীনতা-পরবর্তী বিভিন্ন আন্দোলন ও সংগ্রামেও সাহস-উৎসাহ জুগিয়েছে।’
বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক কবি নুরুল হুদা বলেন, ‘মানুষের ব্যক্তিসত্তা ও স্বাধীনচেতা বোধকে জাগ্রত করার সংগ্রাম করেছেন নজরুল। জাতিসত্তা নিয়ে যে একটি জাতিরাষ্ট্র হতে পারে, তার স্বপ্নদ্রষ্টা হলেন নজরুল। আর সেই স্বপ্ন বাস্তবায়ন করেছেন জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। আমাদের সংবিধানে আমরা দেখতে পেয়েছি নজরুলের দেওয়া গণতান্ত্রিক শক্তি, জাতীয় শক্তি, অসাম্প্রদায়িক শক্তি ও সদাচারী শক্তির সম্মিলনে গঠিত জাতিরাষ্ট্র। সেই জাতিরাষ্ট্রকে আমরা একটি সোনার বাংলায় রূপান্তর করতে যাচ্ছি।’
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান। এ সময় তিনি বলেন, কাজী নজরুল ইসলাম সাম্যের কবি, অসাম্প্রদায়িক ও মানবতার কবি। বঙ্গবন্ধু ও কবি নজরুলের মধ্যে একটি অসাধারণ সখ্য ছিল। বঙ্গবন্ধুই মূলত কবি নজরুলকে দারিদ্র্যপীড়িত জীবনাচার থেকে উদ্ধার করে বাংলাদেশে নিয়ে আসেন। দুজনেরই ছিল মানবতাবাদী, অসাম্প্রদায়িক ও উদার জীবনদর্শন। কবির রয়েছে বিশাল সাহিত্যের সম্ভার। তাঁর সাহিত্যসম্ভারে রয়েছে নানাবিধ মূলবোধ ও নানা ধরনের ভাবদর্শন।’
উপাচার্য আরও বলেন, ‘তাঁর মধ্যে অন্যায়ের বিরুদ্ধে কথা বলার স্পৃহা ছিল। তাঁর মধ্যে আছে ধর্মীয় মূল্যবোধ প্রতিপালনের ইঙ্গিত। তাঁর কবিতা ও গান মানুষকে সব সময় অনুপ্রেরণা দেবে, বিশ্বের যেকোনো প্রান্তের যেকোনো মানবগোষ্ঠীকে যেকোনো পরিস্থিতিতে তাঁর ভাবদর্শন মানুষ অনুসরণ করবে। এসবের মধ্য দিয়েই কবি অমর হয়ে থাকবেন।’
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে শ্রদ্ধা নিবেদনের সময় আরও উপস্থিত ছিলেন উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ সামাদ, উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. এ এস এম মকসুদ কামাল, ঢাবি শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক নিজামুল হক ভূঁইয়া প্রমুখ। পরে কবির মাজার প্রাঙ্গণে অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামানের সভাপতিত্বে একটি আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
উল্লেখ্য, ১৮৯৯ সালের ২৪ মে (১১ জ্যৈষ্ঠ ১৩০৬ বঙ্গাব্দ) পশ্চিমবঙ্গের বর্ধমান জেলার চুরুলিয়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন কাজী নজরুল ইসলাম। শৈশবেই স্বজন হারানো ‘দুখু মিয়া’ দারিদ্র্য আর সব বাধা ঠেলে একসময় বাংলা সাহিত্যের অন্যতম পুরোধা হয়ে ওঠেন। মাত্র ২২ বছরের লেখকজীবনেই ৩ হাজার গান, অসংখ্য কবিতা, ছোটগল্প আর উপন্যাস লিখেছেন তিনি।
১৯৪২ সালে দুরারোগ্য রোগে আক্রান্ত হয়ে ক্রমশ বাক্শক্তি হারান নজরুল। স্বাধীনতার পরপরই জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান অসুস্থ কবিকে ভারত থেকে বাংলাদেশে নিয়ে আসেন। পরে নজরুলকে বাংলাদেশের জাতীয় কবিতে ভূষিত করা হয়। পরবর্তীতে ১৯৭৬ সালের ২৯ আগস্ট (১২ ভাদ্র) বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে (তৎকালীন পিজি হাসপাতাল) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি। পরে কবির শেষ ইচ্ছা অনুযায়ী তাঁকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদের পাশে সমাহিত করা হয়।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া রেলওয়ে জংশন স্টেশন থেকে রেলের গুরুত্বপূর্ণ মালামাল চুরির সময় এক চোরকে হাতেনাতে আটক করেছে রেলওয়ে থানা পুলিশ। মঙ্গলবার (২২ জুলাই) রাতে এ ঘটনা ঘটে। বুধবার সকালে সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত করেন আখাউড়া রেলওয়ে থানার ইনচার্জ শফিকুল ইসলাম।
১৯ মিনিট আগেনওগাঁর পোরশায় নিজ বাড়ি থেকে এক দম্পতির মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। আজ বুধবার সকালে উপজেলার নিতপুর ইউনিয়নের শীতলী ফকিরপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নিহতরা হলেন ওই গ্রামের মৃত আব্দুল জব্বারের ছেলে হাই বাবু (৪৭) এবং তাঁর স্ত্রী মোমেনা বেগম (৩৫)।
৩৪ মিনিট আগেউত্তরার দিয়াবাড়ির মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে বিমানবাহিনীর একটি যুদ্ধবিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় হতাহতের বিস্তারিত তথ্য সংগ্রহে কমিটি গঠন করেছে প্রতিষ্ঠান কর্তৃপক্ষ। আহত, নিহত, নিখোঁজ শিক্ষার্থী ও অন্যদের প্রকৃত সংখ্যা নির্ণয় করে নাম-ঠিকানাসহ তালিকা তৈরি করবে ছয় সদস্যের এই কমিটি।
১ ঘণ্টা আগেআফসানার দেবর হাসিবুল হাসান বলেন, ‘দুর্ঘটনার খবর পাওয়ার পর থেকে আমরা আমাদের ভাবি ও তার সন্তান ওহীকে খোঁজাখুঁজি শুরু করি। অনেক খোঁজাখুঁজির পর ওহিকে পাওয়া যায় স্কুলের একটি কক্ষে। আল্লাহর রহমতে ওহি অক্ষত ও ভালো আছে। কিন্তু তার মা আফসানা প্রিয়াকে কোথাও পাওয়া যায়নি।’
১ ঘণ্টা আগে