নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
বেইলি রোডের গ্রিন কোজি ভবনে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনার চার-পাঁচ দিন আগেও চুমুক রেস্তোরাঁয় ছোট একটা দুর্ঘটনা ঘটেছিল। তবে সেই ঘটনা ভবনের মালিক, রেস্তোরাঁর মালিক বা সংশ্লিষ্ট কাউকেই জানানো হয়নি বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ রেস্তোরাঁ মালিক সমিতির মহাসচিব ইমরান হাসান।
আজ মঙ্গলবার দুপুরে রাজধানীর বিজয়নগরের আল-রাজী কমপ্লেক্সে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে এ কথা জানানো হয়।
গ্রিন কোজি অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় রেস্তোরাঁর মালিক, ভবনের মালিকসহ সংশ্লিষ্ট সব কর্তৃপক্ষ দায়ী উল্লেখ করে ইমরান হাসান বলেন, ‘এই অবস্থা এখানে এক দিনে গড়ে ওঠেনি। সেই চুমুক রেস্তোরাঁয় চার-পাঁচ দিন আগেও একটা ছোট দুর্ঘটনা ঘটেছিল। কিন্তু ভবন বা রেস্তোরাঁর মালিক সেটা কাউকে জানাননি। এইটা অবহেলাজনিত দুর্ঘটনা, এটা আমি স্বীকার করি।’
রেস্তোরাঁশিল্পকে নিরাপদ করতে হলে সংশ্লিষ্ট সব পক্ষকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘সরকারের একার পক্ষে এটা সম্ভব নয়। সরকারের অথরিটিগুলো যাবে, ম্যানেজ হয়ে ফিরে আসবে। অথবা এমন প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করবে, আমরা লাইসেন্সই পাব না। লাইসেন্স না পেলে আমরা আন্ডার টেবিল তাদের ম্যানেজ করার চেষ্টা করব। সেটাই এত দিন হয়ে আসছে। এত বছর ধরে এতগুলো দিনের পর দিন চলছে, প্রশাসন কেন ঘুমিয়ে ছিল?’
রেস্তোরাঁ মালিক সমিতির মহাসচিব ইমরান হাসান বলেন, ‘আমরা প্রতিটি মন্ত্রণালয়, অধিদপ্তরে ৫০০-এর বেশি চিঠি দিয়েছি। কিন্তু সেগুলোর কোনো রেসপন্স পাইনি। তার মানে, সরকারও উদাসীন ছিল।’
এ সময় বিশেষজ্ঞদের নিয়ে টাস্কফোর্স গঠনের দাবি জানান তিনি। তিনি টাস্কফোর্সের শর্ত পূরণ করতে পারলেই শুধু রেস্তোরাঁর অনুমোদন দেওয়ার আহ্বান জানান।
সরকার ও সংশ্লিষ্টদের উদাসীনতার দায় মালিকপক্ষের ওপর চাপানো হচ্ছে অভিযোগ করে ইমরান হাসান বলেন, ‘রেস্তোরাঁর মালিকদের ওপর চরম জুলুম হচ্ছে। সারা ঢাকা শহরে তাণ্ডব চলবে। আমরা সিলিন্ডার বানিয়েছি। বলছে, সিলিন্ডারের লাইসেন্স লাগবে। এতজনকে গ্রেপ্তার করেছে, কিন্তু পুলিশ বলছে তারা মামলা দেয়নি। কিন্তু তাদের তো জামিন হলো না।’
তিনি বলেন, ‘আমাদের যে পরিমাণ হয়রানি করা হচ্ছে, তা কোনো সভ্য দেশে হতে পারে না। তারা হায়েনাদের মতো ঝাঁপিয়ে পড়েছে। এই দুর্নীতিবাজ অফিসাররা কেন এত দিন ঘুমিয়ে ছিল?’
কিছু পুঁজিপতির কাছে সমস্ত ব্যবসা চলে যাচ্ছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আজকে সমস্ত ব্যবসা কিছু করপোরেটের হাতে। বেকারি ব্যবসা চার-পাঁচ জনের হাতে চলে গেছে। তাদের নজর এখন আঠারো কোটির মার্কেট। কয়েকজন ব্যবসায়ীর হাতে চ্যানেল আছে, মিডিয়া আছে। তারা তাদের মতো আইন করে, তাদের মতো বাস্তবায়ন করে।’
ইমরান হাসান বলেন, ‘বহুজাতিক কোম্পানির হাতে ব্যবসা তুলে দেওয়ার জন্যই এখন প্রচেষ্টা চলছে। ফ্রোজেন ফুডের মাধ্যমে ২০-২৫ দিনের বাসী খাবার মানুষকে খাওয়ানোর জন্য তারা চেষ্টা চালাচ্ছে। সব সেক্টরেই ত্রুটি-বিচ্যুতি আছে। কিন্তু বন্ধ করে দেওয়া সমাধান নয়। এখন অভিযান লোক দেখানো। যাদের দায়িত্ব এসব দেখভাল করার, তাদের ব্যর্থতা ঢাকার জন্যই এখন অভিযান চালানো হচ্ছে। এত দিন তারা কোথায় ছিলেন?’
তিনি বলেন, ‘আমাদের সব ধরনের লাইসেন্স আছে। বিল্ডিংয়ের সমস্যা হলে যে বিল্ডিং মালিক আমাদের ভাড়া দিল, তাদের বিরুদ্ধে কেন ব্যবস্থা নেওয়া হয় নাই? কোনো অবৈধ রেস্তোরাঁ নাই। ট্রেড, ট্যাক্স, ফায়ার, টিআইএনসহ ১২ ধরনের লাইসেন্স আছে।’
রেস্তোরাঁ মালিক সমিতির মহাসচিব বলেন, ‘সমস্যা হচ্ছে, আমাদের মতো ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের এখানে বাঁচতে দেওয়া হবে না। বেকারির মতো রেস্তোরাঁ শিল্পও কিছুদিনের মধ্যেই শিল্পপতিদের কাছে চলে যাবে। এটা নিয়ে একটা গভীর ষড়যন্ত্র চলছে।’
হাইকোর্টের দৃষ্টি আকর্ষণ করে ইমরান হাসান বলেন, ‘হাইকোর্ট কি দেখতে পাচ্ছেন না, আমাদের ওপর জুলুম হচ্ছে? আমি মনে করি, বিচারহীনতার সমাজ এটা। আজকে আমরা নিরীহ বলে মোবাইল কোর্ট, মামলা সব আমাদের ওপরে। যারা দায়িত্বে অবহেলা করল, তাদের বিষয়ে ব্যবস্থা নেন তো!’
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের সিনিয়র সহসভাপতি আনোয়ার হোসেন, যুগ্ম-মহাসচিব সৈয়দ মো. আন্দালিব, সাংগঠনিক সম্পাদক তৌফিকুল ইসলাম প্রমুখ।
বেইলি রোডের গ্রিন কোজি ভবনে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনার চার-পাঁচ দিন আগেও চুমুক রেস্তোরাঁয় ছোট একটা দুর্ঘটনা ঘটেছিল। তবে সেই ঘটনা ভবনের মালিক, রেস্তোরাঁর মালিক বা সংশ্লিষ্ট কাউকেই জানানো হয়নি বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ রেস্তোরাঁ মালিক সমিতির মহাসচিব ইমরান হাসান।
আজ মঙ্গলবার দুপুরে রাজধানীর বিজয়নগরের আল-রাজী কমপ্লেক্সে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে এ কথা জানানো হয়।
গ্রিন কোজি অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় রেস্তোরাঁর মালিক, ভবনের মালিকসহ সংশ্লিষ্ট সব কর্তৃপক্ষ দায়ী উল্লেখ করে ইমরান হাসান বলেন, ‘এই অবস্থা এখানে এক দিনে গড়ে ওঠেনি। সেই চুমুক রেস্তোরাঁয় চার-পাঁচ দিন আগেও একটা ছোট দুর্ঘটনা ঘটেছিল। কিন্তু ভবন বা রেস্তোরাঁর মালিক সেটা কাউকে জানাননি। এইটা অবহেলাজনিত দুর্ঘটনা, এটা আমি স্বীকার করি।’
রেস্তোরাঁশিল্পকে নিরাপদ করতে হলে সংশ্লিষ্ট সব পক্ষকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘সরকারের একার পক্ষে এটা সম্ভব নয়। সরকারের অথরিটিগুলো যাবে, ম্যানেজ হয়ে ফিরে আসবে। অথবা এমন প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করবে, আমরা লাইসেন্সই পাব না। লাইসেন্স না পেলে আমরা আন্ডার টেবিল তাদের ম্যানেজ করার চেষ্টা করব। সেটাই এত দিন হয়ে আসছে। এত বছর ধরে এতগুলো দিনের পর দিন চলছে, প্রশাসন কেন ঘুমিয়ে ছিল?’
রেস্তোরাঁ মালিক সমিতির মহাসচিব ইমরান হাসান বলেন, ‘আমরা প্রতিটি মন্ত্রণালয়, অধিদপ্তরে ৫০০-এর বেশি চিঠি দিয়েছি। কিন্তু সেগুলোর কোনো রেসপন্স পাইনি। তার মানে, সরকারও উদাসীন ছিল।’
এ সময় বিশেষজ্ঞদের নিয়ে টাস্কফোর্স গঠনের দাবি জানান তিনি। তিনি টাস্কফোর্সের শর্ত পূরণ করতে পারলেই শুধু রেস্তোরাঁর অনুমোদন দেওয়ার আহ্বান জানান।
সরকার ও সংশ্লিষ্টদের উদাসীনতার দায় মালিকপক্ষের ওপর চাপানো হচ্ছে অভিযোগ করে ইমরান হাসান বলেন, ‘রেস্তোরাঁর মালিকদের ওপর চরম জুলুম হচ্ছে। সারা ঢাকা শহরে তাণ্ডব চলবে। আমরা সিলিন্ডার বানিয়েছি। বলছে, সিলিন্ডারের লাইসেন্স লাগবে। এতজনকে গ্রেপ্তার করেছে, কিন্তু পুলিশ বলছে তারা মামলা দেয়নি। কিন্তু তাদের তো জামিন হলো না।’
তিনি বলেন, ‘আমাদের যে পরিমাণ হয়রানি করা হচ্ছে, তা কোনো সভ্য দেশে হতে পারে না। তারা হায়েনাদের মতো ঝাঁপিয়ে পড়েছে। এই দুর্নীতিবাজ অফিসাররা কেন এত দিন ঘুমিয়ে ছিল?’
কিছু পুঁজিপতির কাছে সমস্ত ব্যবসা চলে যাচ্ছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আজকে সমস্ত ব্যবসা কিছু করপোরেটের হাতে। বেকারি ব্যবসা চার-পাঁচ জনের হাতে চলে গেছে। তাদের নজর এখন আঠারো কোটির মার্কেট। কয়েকজন ব্যবসায়ীর হাতে চ্যানেল আছে, মিডিয়া আছে। তারা তাদের মতো আইন করে, তাদের মতো বাস্তবায়ন করে।’
ইমরান হাসান বলেন, ‘বহুজাতিক কোম্পানির হাতে ব্যবসা তুলে দেওয়ার জন্যই এখন প্রচেষ্টা চলছে। ফ্রোজেন ফুডের মাধ্যমে ২০-২৫ দিনের বাসী খাবার মানুষকে খাওয়ানোর জন্য তারা চেষ্টা চালাচ্ছে। সব সেক্টরেই ত্রুটি-বিচ্যুতি আছে। কিন্তু বন্ধ করে দেওয়া সমাধান নয়। এখন অভিযান লোক দেখানো। যাদের দায়িত্ব এসব দেখভাল করার, তাদের ব্যর্থতা ঢাকার জন্যই এখন অভিযান চালানো হচ্ছে। এত দিন তারা কোথায় ছিলেন?’
তিনি বলেন, ‘আমাদের সব ধরনের লাইসেন্স আছে। বিল্ডিংয়ের সমস্যা হলে যে বিল্ডিং মালিক আমাদের ভাড়া দিল, তাদের বিরুদ্ধে কেন ব্যবস্থা নেওয়া হয় নাই? কোনো অবৈধ রেস্তোরাঁ নাই। ট্রেড, ট্যাক্স, ফায়ার, টিআইএনসহ ১২ ধরনের লাইসেন্স আছে।’
রেস্তোরাঁ মালিক সমিতির মহাসচিব বলেন, ‘সমস্যা হচ্ছে, আমাদের মতো ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের এখানে বাঁচতে দেওয়া হবে না। বেকারির মতো রেস্তোরাঁ শিল্পও কিছুদিনের মধ্যেই শিল্পপতিদের কাছে চলে যাবে। এটা নিয়ে একটা গভীর ষড়যন্ত্র চলছে।’
হাইকোর্টের দৃষ্টি আকর্ষণ করে ইমরান হাসান বলেন, ‘হাইকোর্ট কি দেখতে পাচ্ছেন না, আমাদের ওপর জুলুম হচ্ছে? আমি মনে করি, বিচারহীনতার সমাজ এটা। আজকে আমরা নিরীহ বলে মোবাইল কোর্ট, মামলা সব আমাদের ওপরে। যারা দায়িত্বে অবহেলা করল, তাদের বিষয়ে ব্যবস্থা নেন তো!’
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের সিনিয়র সহসভাপতি আনোয়ার হোসেন, যুগ্ম-মহাসচিব সৈয়দ মো. আন্দালিব, সাংগঠনিক সম্পাদক তৌফিকুল ইসলাম প্রমুখ।
বরিশালের হিজলায় প্রায় দেড় কোটি টাকার হাট-বাজার ইজারা কার্যক্রম প্রস্তুত করতে গিয়ে শিডিউল জমাই দিতে পারেনি ঠিকাদারেরা। স্থানীয় বিএনপির একটি পক্ষ উপজেলার ২০টি হাট-বাজারের শিডিউল প্রস্তুত প্রক্রিয়ায় নামে। কিন্তু নির্ধারিত সময়ের মধ্যে প্রস্তুতি সম্পন্ন করতে পারেনি তারা।
১ ঘণ্টা আগেবিভাগীয় শহর রংপুরে গত দেড় দশকে মানুষের পাশাপাশি বেড়েছে যানবাহনের চাপ। কিন্তু ট্রাফিক ব্যবস্থার তেমন উন্নতি হয়নি। এতে তীব্র যানজটে দুর্ভোগে পড়তে হয় নগরবাসীকে। এ অবস্থা থেকে উত্তরণে তিন বছর আগে ৩৪ লাখ টাকা ব্যয়ে নগরীতে ডিজিটাল ট্রাফিক সিগন্যাল স্থাপন করা হলেও তা কাজে আসছে না।
১ ঘণ্টা আগেএককালে ছিলেন ফতুল্লা থানা বিএনপির সিনিয়র সহসভাপতি। বিএনপির সমর্থন নিয়ে হয়েছিলেন নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার কুতুবপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যানও। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর ভিড়তে শুরু করেন শামীম ওসমানের সঙ্গে। ২০১৮ সালে আওয়ামী লীগের নির্বাচনী প্রচারণায় অংশ নেওয়ায় তাঁকে দল থেকে বহিষ্কার করে বিএনপি।
১ ঘণ্টা আগেবিশাল সমুদ্রসৈকত। তারই এক পাশের মাটি কেটে বানানো হচ্ছে বাড়ি। কেউ আবার বাড়ির আদলে পুকুর কেটে রেখেছে। অনেকে মাটি কেটে নিজেদের সীমানা তৈরি করেছে। গত ৫ আগস্ট রাজনীতির পটপরিবর্তনের পর পর্যটন সম্ভাবনাময় এলাকা নোয়াখালীর হাতিয়া উপজেলার নিঝুম দ্বীপ সৈকতের চিত্র এটি। সেখানে চলছে সৈকতের জায়গা দখলের
১ ঘণ্টা আগে