Ajker Patrika

ডাকসু নির্বাচন: সভাপতি পদে শিক্ষার্থীদের নির্বাচনের প্রস্তাব ছাত্রদলের

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
Thumbnail image
ছাত্রদল নেতাদের সংবাদ সম্মেলন। ছবি: আজকের পত্রিকা

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে সভাপতি পদে ছাত্রদের নির্বাচন, একাডেমিক ভবনে ভোটকেন্দ্র নেওয়ার প্রস্তাবসহ ২৭টি প্রস্তাব দিয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) শাখা ছাত্রদল। আজ বুধবার বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্রের মাঠে এক সংবাদ সম্মেলনে প্রস্তাবগুলো তুলে ধরেন শাখা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক নাহিদুজ্জামান শিপন।

সংবাদ সম্মেলনে ছাত্রদলের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি গণেশ চন্দ্র রায় সাহস, সিনিয়র সহসভাপতি মাসুম বিল্লাহ, সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দিন শাওন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

এ সময় ডাকসু নির্বাচন গ্রহণযোগ্য ও নির্বিঘ্ন করার লক্ষ্যে ৫টি পদক্ষেপের কথা জানায় সংগঠনটি। তার আগে স্মারকলিপি আকারে পদক্ষেপগুলো উপাচার্য অধ্যাপক নিয়াজ আহমেদ খানকে আর ডাকসু নিয়ে সংস্কার প্রস্তাব রেজিস্ট্রার মুন্সী শামস উদ্দিন বরাবর জমা দেন শাখা ছাত্রদলের নেতা-কর্মীরা।

পদক্ষেপগুলোর মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট, একাডেমিক কাউন্সিল ও সিনেটে নির্বাচিত প্রতিনিধিদের রাখার বিধানগুলো অন্তর্ভুক্ত করা, ডাকসু নির্বাচন দেওয়ার ৬০ দিন আগে বিদ্যমান সিন্ডিকেট প্রতিস্থাপন করে নিরপেক্ষ সদস্যসংবলিত একটি ‘অন্তর্বর্তীকালীন সিন্ডিকেট’ তৈরি করার কথা উল্লেখ রয়েছে।

কী আছে প্রস্তাবে

‘মানবাধিকার ও আইন বিষয়ক সম্পাদক’, ‘স্বাস্থ্য ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক’, ‘জেন্ডার সমতা ও অন্তর্ভুক্তি বিষয়ক সম্পাদক’, ‘গবেষণা ও উন্নয়ন বিষয়ক সম্পাদক’ এবং ‘কর্মসংস্থান ও সক্ষমতা বৃদ্ধি বিষয়ক সম্পাদক’ পদগুলো নতুন করে যুক্ত করার প্রস্তাব দিয়েছে ছাত্রদল। গঠনতন্ত্র অনুযায়ী উপাচার্য ডাকসুর সভাপতি হিসেবে মনোনীত হন। তবে ছাত্রদল বলছে, বিশ্বের বড় বড় বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীরা সভাপতি পদে নির্বাচিত হয়ে থাকে। সেই সঙ্গে বর্তমানে কোষাধ্যক্ষ পদে উপাচার্য ক্ষমতাবলে একজনকে নিয়োগ দেন। অর্থ সম্পাদক পদেও শিক্ষার্থীদের নির্বাচিত হওয়ার প্রস্তাব দেয় ছাত্রদল।

‘স্বাধীনতা সংগ্রাম ও মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক’ পদের নাম পরিবর্তন করে ‘মুক্তিযুদ্ধ, গণতন্ত্র ও ২৪ এর গণ-অভ্যুত্থান বিষয়ক সম্পাদক’ পদে রূপান্তর করার প্রস্তাব দিয়েছে ছাত্রদল।

১৯৫২-এর ভাষা আন্দোলন, ৬২-এর শিক্ষা আন্দোলন, ৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধ, ৭৫-এর সিপাহি-জনতার বিপ্লব, ৯০-এর স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলন, ২০০৭ সালের আন্দোলন ও ২৪ সালের গণ-অভ্যুত্থানের চেতনা সমুন্নত রাখা এবং গণতন্ত্র, বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদ, সাম্য ও সমতা নিয়ে এ পদে নির্বাচিত সম্পাদক কাজ করবেন।

বর্তমান ডাকসুর সাহিত্য সম্পাদক ও সংস্কৃতি সম্পাদক পদকে সাহিত্য ও সংস্কৃতি বিষয়ক সম্পাদক পদে একীভূত করা, সদস্যপদ ১৩টি থেকে ১৫টি করে মোট ৩৩টি পদ তৈরির প্রস্তাব রেখেছে ছাত্রদল।

ডাকসু ও হল সংসদের জন্য উপদেষ্টা পরিষদ গঠনের প্রস্তাবও করেছে ছাত্রদল। কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের উপদেষ্টা পরিষদে আহ্বায়ক হিসেবে উপাচার্য; উপ-উপাচার্য (প্রশাসন); কোষাধ্যক্ষ; ডিনস কমিটির একজন নির্বাচিত প্রতিনিধি: সিন্ডিকেটের একজন নির্বাচিত সদস্য (অধ্যাপক ক্যাটাগরি); অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি; ডাকসুর নির্বাহী কমিটির নির্বাচনে সর্বোচ্চ ভোট পেয়ে নির্বাচিত সহসভাপতি থাকবেন।

হল সংসদের ক্ষেত্রে হল প্রাধ্যক্ষ আহ্বায়ক আর জ্যেষ্ঠতা অনুসারে দুজন হাউস টিউটর; সংশ্লিষ্ট হল অ্যালামনাইয়ের সভাপতি; হল সংসদের নির্বাহী কমিটির সহসভাপতি (সদস্যসচিবের দায়িত্বে) থাকবেন। প্রস্তাব বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, গঠনতন্ত্র সংস্কারের ক্ষেত্রে সিন্ডিকেটের একক ক্ষমতা সংশোধন করে উপদেষ্টা পরিষদের সুপারিশে গঠনতন্ত্র সংশোধন করার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। সভাপতির একক ক্ষমতা বিকেন্দ্রীকরণ করে তা নির্বাহী কমিটি ও প্রস্তাবিত উপদেষ্টা পরিষদের হাতে ন্যস্ত করার প্রস্তাব দেওয়া হয়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত