আমানুর রহমান রনি, ঢাকা
দালালের খপ্পরে পড়ে ৪ মার্চ নারায়ণগঞ্জের চাষাঢ়া থেকে আট মাসের অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীকে নিয়ে রাজধানীর যাত্রাবাড়ীর ডেলটা হেলথ কেয়ার হাসপাতালে যান পোশাকশ্রমিক মো. আল আমিন। সেখানে তাঁদের যমজ কন্যাসন্তানের জন্ম হয়। নবজাতক দুটির জটিলতা রয়েছে জানিয়ে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ নিওনেটাল ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিটে (এনআইসিইউ) নেয়। পাঁচ দিন পর এক নবজাতকের মৃত্যু হয়।
আরেক নবজাতকের চিকিৎসা চলে এনআইসিইউতে। ১৮ দিন পর আজ শুক্রবার হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ আল আমিনকে জানায়, হাসপাতালের ১ লাখ ৮২ লাখ টাকা বিল হয়েছে। টাকা পরিশোধ করে নবজাতক ফেরত নিতে হবে। এর আগেও কয়েক দফায় টাকার জন্য চাপ দেওয়া হয়। নবজাতকের মরদেহ নেওয়ার সময়েও টাকার চাপ দেওয়া হয়।
আল আমিন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমার এক সন্তানকে ভুলভাল চিকিৎসা দিয়ে মেরে ফেলেছে, এরপর প্রয়োজনের অতিরিক্ত এনআইসিইউতে রেখেছে। আমাদের ঠিকমতো সেখানে যেতেও দেয়নি, দেখতেও দেয়নি। লাখ লাখ টাকা বিল এসেছে বলে চাপ দেয়। এমনকি বলে টাকা না দিলে নবজাতক ফেরত দেবে না।’
আল আমিন আজকের পত্রিকাকে আরও বলেন, ‘৪ মার্চ ৮ মাসের অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীকে নিয়ে প্রথমে নারায়ণগঞ্জের একটি হাসপাতালে যাই। চিকিৎসকেরা এখনই সিজারিয়ানের মাধ্যমে সন্তান প্রসব করাতে হবে বলে জানায়। ব্যবস্থা না থাকায় দ্রুত ডেলটা হেলথ কেয়ার হাসপাতালে যাওয়ার জন্য বলে; মিলন নামে এক ব্যক্তির নম্বরও দেয়। মিলনের সঙ্গে যোগাযোগ করে ডেলটা হাসপাতালে আনা হয়। চিকিৎসকেরা নবজাতক দুটিকে এনআইসিইউতে রাখার জন্য বলে; ডিসকাউন্ট করিয়ে দেবে বলে আশ্বস্ত করে দালাল মিলন। কিন্তু এত দিন রাখতে হবে আর এত টাকা লাগবে সে কথা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ আমাকে জানায়নি। আমি জানলে প্রথমেই ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যেতাম। মিলন আমাকে এখানে নিয়ে এসেছে।’
ডেলটা হাসপাতালের সঙ্গে সিজার অপারেশনে ২০ হাজার টাকায় চুক্তি হলেও তারা ২৭ হাজার টাকা নেয় জানিয়ে আল আমিন বলেন, যমজ কন্যাসন্তান হয়। এনআইসিইউতে রাখার পাঁচ দিনে একটি মারা যায়। অন্যটির চিকিৎসা চলছিল। পরে লাখ লাখ টাকা বিল ধরিয়ে দেয়। কিছু ডিসকাউন্ট দিতে বলা হলেও কাজ হয়নি।
আল আমিন জানান, উপায় না পেয়ে হাসপাতালসংলগ্ন একটি মসজিদে গিয়ে ইমামের কাছে অসহায়ত্বের কথা খুলে বলেন তিনি। এরপর মুসল্লিদের কাছ থেকে ইমাম তাঁর জন্য সাহায্যের আবেদন জানিয়ে কিছু টাকা তুলে দেন। এরপর যাত্রাবাড়ীর ধোলাইপাড় এলাকায় বিভিন্ন ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান থেকে সাহায্য তোলেন। ৩৯ হাজার টাকা তিনি সংগ্রহ করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তৃপক্ষ তাঁকে আরও গালমন্দ করে। পুরো টাকা দিয়েই সন্তান ফেরত নিতে হবে বলে জানানো হয়।
এরপর পুলিশের কাছে ছুটে যান আল আমিন। থানা-পুলিশ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে সন্তান ফেরতের অনুরোধ করে। শ্যামপুর থানার ওসি নজরুল ইসলাম বলেন, ‘হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ করেছি, যতটা সম্ভব ছাড় দিয়ে নবজাতককে তার বাবা-মায়ের কাছে ফিরিয়ে দিতে, যাতে তারা দ্রুত বাড়ি ফিরে যেতে পারে।’
পরে আজ শুক্রবার বিকেলে আল আমিন ৪০ হাজার টাকা জোগাড় করে হাসপাতালে আসেন। বিষয়টি থানা-পুলিশ এবং গণমাধ্যমকর্মীরা জেনে যাওয়ায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ আল আমিনকে দিনব্যাপী হয়রানি শেষে তাঁর কাছ থেকে নগদ ৪০ হাজার টাকা ও ৭৫ হাজার টাকার একটি ব্যাংকের চেক রেখে নবজাতক ফেরত দেয়।
তবে নবজাতক আটকে রাখা এবং ভুল চিকিৎসায় নবজাতকের মৃত্যুর বিষয়টি অস্বীকার করেছে ডেলটা হেলথ কেয়ার হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। হাসপাতালটির ম্যানেজার সুলতান আহমেদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, হাসপাতালে সিজারিয়ানের বিল পরিশোধ করলেও এনআইসিইউতে দুই নবজাতকের একটি ৫ দিন আরেকটি ১৮ দিন ছিল। সেই টাকা পরিশোধ করেননি আল আমিন। তাঁকে বারবার পরিশোধ করতে বলা হলেও তিনি পরিশোধ করেননি। পরে তাঁর অনুরোধের পরিপ্রেক্ষিতে ছাড় দেওয়া হয়। তবে তিনি ১ লাখ ৩৬ হাজার টাকা পরিশোধ না করেই নবজাতক নিতে চেয়েছিলেন। নবজাতক দিইনি বলে ভুল চিকিৎসায় মৃত্যু ও নবজাতক আটকে রাখার অভিযোগ করে। পরবর্তীকালে নগদ ৪০ হাজার টাকা এবং ৭৫ হাজার একটি চেক দিয়ে নবজাতক নিয়ে তিনি বাড়িতে ফিরেছেন।
দালালের খপ্পরে পড়ে ৪ মার্চ নারায়ণগঞ্জের চাষাঢ়া থেকে আট মাসের অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীকে নিয়ে রাজধানীর যাত্রাবাড়ীর ডেলটা হেলথ কেয়ার হাসপাতালে যান পোশাকশ্রমিক মো. আল আমিন। সেখানে তাঁদের যমজ কন্যাসন্তানের জন্ম হয়। নবজাতক দুটির জটিলতা রয়েছে জানিয়ে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ নিওনেটাল ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিটে (এনআইসিইউ) নেয়। পাঁচ দিন পর এক নবজাতকের মৃত্যু হয়।
আরেক নবজাতকের চিকিৎসা চলে এনআইসিইউতে। ১৮ দিন পর আজ শুক্রবার হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ আল আমিনকে জানায়, হাসপাতালের ১ লাখ ৮২ লাখ টাকা বিল হয়েছে। টাকা পরিশোধ করে নবজাতক ফেরত নিতে হবে। এর আগেও কয়েক দফায় টাকার জন্য চাপ দেওয়া হয়। নবজাতকের মরদেহ নেওয়ার সময়েও টাকার চাপ দেওয়া হয়।
আল আমিন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমার এক সন্তানকে ভুলভাল চিকিৎসা দিয়ে মেরে ফেলেছে, এরপর প্রয়োজনের অতিরিক্ত এনআইসিইউতে রেখেছে। আমাদের ঠিকমতো সেখানে যেতেও দেয়নি, দেখতেও দেয়নি। লাখ লাখ টাকা বিল এসেছে বলে চাপ দেয়। এমনকি বলে টাকা না দিলে নবজাতক ফেরত দেবে না।’
আল আমিন আজকের পত্রিকাকে আরও বলেন, ‘৪ মার্চ ৮ মাসের অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীকে নিয়ে প্রথমে নারায়ণগঞ্জের একটি হাসপাতালে যাই। চিকিৎসকেরা এখনই সিজারিয়ানের মাধ্যমে সন্তান প্রসব করাতে হবে বলে জানায়। ব্যবস্থা না থাকায় দ্রুত ডেলটা হেলথ কেয়ার হাসপাতালে যাওয়ার জন্য বলে; মিলন নামে এক ব্যক্তির নম্বরও দেয়। মিলনের সঙ্গে যোগাযোগ করে ডেলটা হাসপাতালে আনা হয়। চিকিৎসকেরা নবজাতক দুটিকে এনআইসিইউতে রাখার জন্য বলে; ডিসকাউন্ট করিয়ে দেবে বলে আশ্বস্ত করে দালাল মিলন। কিন্তু এত দিন রাখতে হবে আর এত টাকা লাগবে সে কথা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ আমাকে জানায়নি। আমি জানলে প্রথমেই ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যেতাম। মিলন আমাকে এখানে নিয়ে এসেছে।’
ডেলটা হাসপাতালের সঙ্গে সিজার অপারেশনে ২০ হাজার টাকায় চুক্তি হলেও তারা ২৭ হাজার টাকা নেয় জানিয়ে আল আমিন বলেন, যমজ কন্যাসন্তান হয়। এনআইসিইউতে রাখার পাঁচ দিনে একটি মারা যায়। অন্যটির চিকিৎসা চলছিল। পরে লাখ লাখ টাকা বিল ধরিয়ে দেয়। কিছু ডিসকাউন্ট দিতে বলা হলেও কাজ হয়নি।
আল আমিন জানান, উপায় না পেয়ে হাসপাতালসংলগ্ন একটি মসজিদে গিয়ে ইমামের কাছে অসহায়ত্বের কথা খুলে বলেন তিনি। এরপর মুসল্লিদের কাছ থেকে ইমাম তাঁর জন্য সাহায্যের আবেদন জানিয়ে কিছু টাকা তুলে দেন। এরপর যাত্রাবাড়ীর ধোলাইপাড় এলাকায় বিভিন্ন ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান থেকে সাহায্য তোলেন। ৩৯ হাজার টাকা তিনি সংগ্রহ করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তৃপক্ষ তাঁকে আরও গালমন্দ করে। পুরো টাকা দিয়েই সন্তান ফেরত নিতে হবে বলে জানানো হয়।
এরপর পুলিশের কাছে ছুটে যান আল আমিন। থানা-পুলিশ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে সন্তান ফেরতের অনুরোধ করে। শ্যামপুর থানার ওসি নজরুল ইসলাম বলেন, ‘হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ করেছি, যতটা সম্ভব ছাড় দিয়ে নবজাতককে তার বাবা-মায়ের কাছে ফিরিয়ে দিতে, যাতে তারা দ্রুত বাড়ি ফিরে যেতে পারে।’
পরে আজ শুক্রবার বিকেলে আল আমিন ৪০ হাজার টাকা জোগাড় করে হাসপাতালে আসেন। বিষয়টি থানা-পুলিশ এবং গণমাধ্যমকর্মীরা জেনে যাওয়ায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ আল আমিনকে দিনব্যাপী হয়রানি শেষে তাঁর কাছ থেকে নগদ ৪০ হাজার টাকা ও ৭৫ হাজার টাকার একটি ব্যাংকের চেক রেখে নবজাতক ফেরত দেয়।
তবে নবজাতক আটকে রাখা এবং ভুল চিকিৎসায় নবজাতকের মৃত্যুর বিষয়টি অস্বীকার করেছে ডেলটা হেলথ কেয়ার হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। হাসপাতালটির ম্যানেজার সুলতান আহমেদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, হাসপাতালে সিজারিয়ানের বিল পরিশোধ করলেও এনআইসিইউতে দুই নবজাতকের একটি ৫ দিন আরেকটি ১৮ দিন ছিল। সেই টাকা পরিশোধ করেননি আল আমিন। তাঁকে বারবার পরিশোধ করতে বলা হলেও তিনি পরিশোধ করেননি। পরে তাঁর অনুরোধের পরিপ্রেক্ষিতে ছাড় দেওয়া হয়। তবে তিনি ১ লাখ ৩৬ হাজার টাকা পরিশোধ না করেই নবজাতক নিতে চেয়েছিলেন। নবজাতক দিইনি বলে ভুল চিকিৎসায় মৃত্যু ও নবজাতক আটকে রাখার অভিযোগ করে। পরবর্তীকালে নগদ ৪০ হাজার টাকা এবং ৭৫ হাজার একটি চেক দিয়ে নবজাতক নিয়ে তিনি বাড়িতে ফিরেছেন।
ঈদুল আজহায় জমে উঠেছে ঢাকা ও আশেপাশের পর্যটন কেন্দ্রগুলো। আজ মঙ্গলবার বিকেল ৪টার পর থেকে ধীরে ধীরে পর্যটন কেন্দ্রে দর্শনার্থীরা আশা শুরু করে দিয়েছে। কোরবানি ঈদের দিনেই দর্শনার্থীদের সংখ্যাটা কম থাকলেও সন্ধ্যার পরে লোকসমাগম বেশি হবে বলে প্রত্যাশা সংশ্লিষ্টদের। বন্ধুবান্ধব, পরিবার-পরিজন
২ মিনিট আগেচট্টগ্রাম নগরীকে কোরবানির বর্জ্যমুক্ত এবং একই সঙ্গে কোরবানির বর্জ্য অপসারণ কার্যক্রমের সমাপ্তির ঘোষণা করা হয়েছে। আজ শনিবার সন্ধ্যা নগরীর দামপাড়া চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) কন্ট্রোল রুমে মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন এই ঘোষণার কথা জানান।
৮ মিনিট আগেশেরপুরের শ্রীবরদী উপজেলায় ডোবায় পড়ে দুই শিশুর মৃত্যু হয়েছে। আজ শনিবার বিকেলে উপজেলার কাকিলাকুড়া ইউনিয়নের মলামারি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
১০ মিনিট আগেঈদের চার দিন পর মেয়ের বিয়ে, তাই ঈদের সঙ্গে বিয়ের প্রস্তুতিও নিয়েছিলেন চট্টগ্রামের আনোয়ারার অটোচালক জানে আলম। করেছেন আত্মীয়–স্বজনদের কাছ থেকে ধারদেনাও। হঠাৎ ঈদের দিন সকালে লাগা আগুন থেকে কোনো রকম প্রাণে বাঁচলেও সংসারের সবকিছু পুড়ে ছাই হয়ে যায়।
১৩ মিনিট আগে