Ajker Patrika

ডেমরায় গুদামে আগুন: ভবনে সরু একটি সিঁড়ি, ছিল না অগ্নিনির্বাপণের ব্যবস্থা 

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আপডেট : ২২ মার্চ ২০২৪, ১১: ১৮
ডেমরায় গুদামে আগুন: ভবনে সরু একটি সিঁড়ি, ছিল না অগ্নিনির্বাপণের ব্যবস্থা 

ঢাকা মহানগরীর ডেমরার ভাঙাপ্রেস এলাকার চারতলা যে ভবনে আগুন লেগেছিল, সেখানে অগ্নিনির্বাপণের কোনো ব্যবস্থা ছিল না। সিঁড়ি বা এক্সিট রুট পর্যাপ্ত নয়। সরু একটি সিঁড়ি আছে, সেখান দিয়ে ফায়ার সার্ভিসের বেশি কর্মী ঢুকতে পারেননি। ফলে আগুন নিয়ন্ত্রণে বেগ পেতে হয়েছে। এমনটাই জানিয়েছেন ফায়ার সার্ভিসের পরিচালক (উন্নয়ন ও প্রশিক্ষণ) লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. রেজাউল করিম। 

গতকাল বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১১টা থেকে অগ্নিনির্বাপণে প্রচেষ্টা চালিয়ে সকাল ৮টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার পর ঘটনাস্থলে গণমাধ্যমকে লে. কর্নেল মো. রেজাউল করিম বলেন, ‘স্টোর রুমের সঠিক নিয়ম মানা হয়নি। জানালা দিয়ে দেখা যাচ্ছে, ভবনের ভেতর মালামাল স্তূপ করে রাখা। কোনো নিয়ম মানা হয়নি। ফলে আগুন নেভাতে বেগ পেতে হয়। জানালার গ্রিল কেটে মালামাল সরিয়ে পানির পাইপ ভেতরে ঢোকানো হয়েছে।’  
 
ফায়ার সার্ভিসের এই পরিচালক বলেন, ‘মালামাল এত ঠাসা যে, ভেতরে ঢোকার কোনো অবস্থাই নেই। ভবনে কোনো ধরনের অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা ছিল না। সিঁড়ি বা এক্সিট রুট পর্যাপ্ত নয়। সরু একটি সিঁড়ি আছে, সেখান দিয়ে আমাদের বেশি কর্মী ঢুকতে পারেনি।’

লে. কর্নেল রেজাউল করিম বলেন, ‘আশপাশে পানির উৎস ছিল না। ভবনের নিচে যে ওয়াটার রিজার্ভার থাকার কথা ছিল, সেটিও নেই। ফলে ড্রেনের পানি দিয়েই আগুন নেভানোর কাজ চালিয়ে যাওয়া হচ্ছিল।’ 

ফায়ার সার্ভিসের এই পরিচালক আরও বলেন, ‘আশপাশের ভবনগুলো একেবারে লাগিয়ে নির্মাণ করা হয়েছে। এক ভবন থেকে আরেক ভবনের এক ইঞ্চিও গ্যাপ রাখা হয়নি। ধোঁয়ায় আমাদের কিছু কর্মী অসুস্থ হয়ে পড়েন। তাদের হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। তাঁরা শঙ্কামুক্ত।’

এখনো আগুনের সূত্রপাত জানা যায়নি। ভবনের মালিকপক্ষের কারও সঙ্গে যোগাযোগ করা যাচ্ছে না। তাই পরবর্তী সময়ে যোগাযোগ করে বিস্তারিত জানানো হবে বলে জানিয়েছেন ফায়ার সার্ভিসের এই পরিচালক। রাতে গোডাউন বন্ধ থাকায় এই আগুনের ঘটনায় কেউ হতাহত হয়নি বলেও জানান তিনি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত