রাজবাড়ী প্রতিনিধি
রাজবাড়ীর পাংশায় ১৯টি বাড়িতে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর, লুট ও অগ্নিসংযোগ করেছে দুর্বৃত্তরা। শনিবার বিকেলে উপজেলার হাবাসপুর ইউনিয়নের চর-শাহামীরপুর এলাকার পদ্মা নদীর চরে এ ঘটনা ঘটে। আজ রোববার দুপুরে ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন পাংশা মডেল থানার ওসি (তদন্ত) রাশেদুল ইসলাম।
ক্ষতিগ্রস্ত হাসেম শেখ জানান, তাঁরা দীর্ঘ ৪০ বছর ধরে পদ্মার চরে বসবাস করছেন। হঠাৎ পাবনা জেলার লোকজন দাবি করছে এই চর তাদের। গতকাল ১০০ জনের সংঘবদ্ধ দল দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র ও লাঠিসোঁটা নিয়ে হামলা চালায়। তখন এই চরের বাসিন্দারা ভয়ে পাশের বনে লুকিয়েছিলেন।
হাসেম শেখ বলেন, ‘আমার একটা পাওয়ারটিলার ও একটা সেলোমেশিন, ৪০ মণ ধান ও নগদ এক লাখ টাকা লুট করে নিয়ে গেছে।’
আমজাদ খান নামে এক ভুক্তভোগী বলেন, ‘আমার বাপেরা এখানে বসবাস করেছেন। আমার জন্মও এখানে। আমরাও বুড়ো হয়ে যাচ্ছি। আমাদের জমির কাগজপত্র সবই আছে। কিন্তু পাবনাওয়ালারা বলতেছে, জমি তাদের। কাল এক শজন এসে আমাদের বাড়িঘর ভাঙ্চুর করে আগুন লাগিয়ে দিছে।’
মো. কাশেম শেখ নামের এক ভুক্তভোগী বলেন, ‘আমার বাড়িঘর ভেঙে দিয়েছে। ঘরে থাকা নগদ ২২ হাজার ৬০০ টাকা নিয়ে গেছে। শুধু আমার না; অনেকরই টাকাপয়সা নিয়ে গেছে। বোবা (বাক্প্রতিবন্ধী) মো. তসলিমের একটা গরু বিক্রি করা টাকাও নিয়ে গেছে।’
কাশেম শেখ আরও বলেন, ‘এখানে ১৯টি বাড়ি ভাঙচুর ও লুটপাট শেষে একটি বসতঘরে আগুন ধরিয়ে দিয়ে চলে যায়। এখন আমরা আতঙ্কে আছি। আমরা আশা করি ডিসি স্যার, এসপি স্যার আমাদের পাশে দাঁড়াবেন।’
ফুলি বেগম নামে এক নারী বলেন, ‘আমাদের কাছে এসে বলে এ জমি তাদের। আমরা দখল করে আছি। আমি তখন বললাম আমাদের কাগজপত্র আছে। আপনাদের কাগজপত্র থাকলে আপনারা নিয়ে আসেন। উনারা কোনো কথা শুনল না বাড়ি ভেঙে দিল। আমার ঘরে গরু বিক্রির টাকা ছিল, ৫০ মণ ধান ছিল সব নিয়ে গেছে।’
পাংশা মডেল থানার (ওসি তদন্ত) রাশেদুল ইসলাম বলেন, ‘হামলার মূল কারণ হলো জমির সীমানা নির্ধারণ নিয়ে। এপারের মানুষের দাবি জমি তাদের, আর ওপারের মানুষের দাবি জমি তাদের। খবর পেয়ে পুলিশ গতকালই ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। এ বিষয়ে তদন্ত চলছে।’
রাজবাড়ীর পাংশায় ১৯টি বাড়িতে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর, লুট ও অগ্নিসংযোগ করেছে দুর্বৃত্তরা। শনিবার বিকেলে উপজেলার হাবাসপুর ইউনিয়নের চর-শাহামীরপুর এলাকার পদ্মা নদীর চরে এ ঘটনা ঘটে। আজ রোববার দুপুরে ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন পাংশা মডেল থানার ওসি (তদন্ত) রাশেদুল ইসলাম।
ক্ষতিগ্রস্ত হাসেম শেখ জানান, তাঁরা দীর্ঘ ৪০ বছর ধরে পদ্মার চরে বসবাস করছেন। হঠাৎ পাবনা জেলার লোকজন দাবি করছে এই চর তাদের। গতকাল ১০০ জনের সংঘবদ্ধ দল দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র ও লাঠিসোঁটা নিয়ে হামলা চালায়। তখন এই চরের বাসিন্দারা ভয়ে পাশের বনে লুকিয়েছিলেন।
হাসেম শেখ বলেন, ‘আমার একটা পাওয়ারটিলার ও একটা সেলোমেশিন, ৪০ মণ ধান ও নগদ এক লাখ টাকা লুট করে নিয়ে গেছে।’
আমজাদ খান নামে এক ভুক্তভোগী বলেন, ‘আমার বাপেরা এখানে বসবাস করেছেন। আমার জন্মও এখানে। আমরাও বুড়ো হয়ে যাচ্ছি। আমাদের জমির কাগজপত্র সবই আছে। কিন্তু পাবনাওয়ালারা বলতেছে, জমি তাদের। কাল এক শজন এসে আমাদের বাড়িঘর ভাঙ্চুর করে আগুন লাগিয়ে দিছে।’
মো. কাশেম শেখ নামের এক ভুক্তভোগী বলেন, ‘আমার বাড়িঘর ভেঙে দিয়েছে। ঘরে থাকা নগদ ২২ হাজার ৬০০ টাকা নিয়ে গেছে। শুধু আমার না; অনেকরই টাকাপয়সা নিয়ে গেছে। বোবা (বাক্প্রতিবন্ধী) মো. তসলিমের একটা গরু বিক্রি করা টাকাও নিয়ে গেছে।’
কাশেম শেখ আরও বলেন, ‘এখানে ১৯টি বাড়ি ভাঙচুর ও লুটপাট শেষে একটি বসতঘরে আগুন ধরিয়ে দিয়ে চলে যায়। এখন আমরা আতঙ্কে আছি। আমরা আশা করি ডিসি স্যার, এসপি স্যার আমাদের পাশে দাঁড়াবেন।’
ফুলি বেগম নামে এক নারী বলেন, ‘আমাদের কাছে এসে বলে এ জমি তাদের। আমরা দখল করে আছি। আমি তখন বললাম আমাদের কাগজপত্র আছে। আপনাদের কাগজপত্র থাকলে আপনারা নিয়ে আসেন। উনারা কোনো কথা শুনল না বাড়ি ভেঙে দিল। আমার ঘরে গরু বিক্রির টাকা ছিল, ৫০ মণ ধান ছিল সব নিয়ে গেছে।’
পাংশা মডেল থানার (ওসি তদন্ত) রাশেদুল ইসলাম বলেন, ‘হামলার মূল কারণ হলো জমির সীমানা নির্ধারণ নিয়ে। এপারের মানুষের দাবি জমি তাদের, আর ওপারের মানুষের দাবি জমি তাদের। খবর পেয়ে পুলিশ গতকালই ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। এ বিষয়ে তদন্ত চলছে।’
বরিশালের উজিরপুর ও বানারীপাড়া উপজেলা বিএনপির সম্মেলন নিয়ে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ করেছেন দলটির একাংশের নেতাকর্মীরা। উপজেলর আহ্বায়ক সরদার সরফুদ্দিন সান্টুর বাড়ির অদুরে তার মালিকাধীন কমিউনিটি সেন্টারে আজ রোববার বানারীপাড়া এবং সোমবার উজিরপুরের সম্মেলন হবে।
৩৫ মিনিট আগেপুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে শরীফুল আলম ও জুবায়ের তাদের প্রাইভেটকার নিয়ে পালানোর চেষ্টা করলে তাদের আটক করা হয়। এ সময় গাড়িটি তল্লাশি করে শরীফুল ও জুবায়েরের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী দুজনের সিটের মাঝখানে থাকা গাড়ির টুলবক্স থেকে স্বর্ণ উদ্ধার করা হয়। কফি রঙের ছোট ব্যাগে থাকা ১৩টি স্বর্ণবারের ওজন ১ কেজি...
১ ঘণ্টা আগেপ্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূসের উদ্দেশে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেছেন, ‘আপনি কথা দিয়েছেন, ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন দেবেন, নির্বাচনের আয়োজন করুন। কেউ যদি চাপ দেয় বা বাধা দেয়, বিএনপি আপনার পাশে থাকবে।’ শনিবার (১৯ জুলাই) বিকেলে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে শহীদদের স্মরণ এবং...
১ ঘণ্টা আগেমুক্তিযুদ্ধের প্রশ্নে আমাদের বা আমার কোনো আপস নেই। জামায়াত যে মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতাসংগ্রামকে অস্বীকার করে, এর বিরুদ্ধে আমাদের লড়াই চলবে। কারণ, আমি মুক্তিযোদ্ধা, আমি একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধে কমান্ডার ছিলাম। বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা স্বাধীনতার ঘোষক জিয়াউর রহমানও একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা।’
১ ঘণ্টা আগে