Ajker Patrika

ঢাকা আইনজীবী সমিতি: অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে আওয়ামীপন্থী ১১ আইনজীবীর বিরুদ্ধে মামলা

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত
ছবি: সংগৃহীত

অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে ঢাকা আইনজীবী সমিতির আওয়ামী লীগপন্থী সাবেক তিন সভাপতি, তিন সাধারণ সম্পাদকসহ ১১ আইনজীবীর বিরুদ্ধে তিনটি মামলা হয়েছে। মামলায় সমিতির প্রায় ১১ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ আনা হয়।

আজ রোববার ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে পৃথক পৃথকভাবে বর্তমান কার্যকরী কমিটির তিন সদস্য মামলাগুলো করেন।

ঢাকা আইনজীবী সমিতির সমাজকল্যাণ সম্পাদক মাহবুব হাসান রানা ও কার্যকরী কমিটির সদস্য শামসুজ্জামান দিপু মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তাঁরা জানান, আজ সকালে আইনজীবী সমিতির জ্যেষ্ঠ সহসাধারণ সম্পাদক জহিরুল হাসান মুকুল, কোষাধ্যক্ষ আব্দুর রশিদ মোল্লা ও সহসাধারণ সম্পাদক সৈয়দ মইনুল হোসেন অপু বাদী হয়ে মামলাগুলো করেন। মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মেহেদী হাসানের আদালতে এসব মামলা করা হয়। আদালত প্রত্যেক মামলার বাদীর জবানবন্দি নেন। নথি পর্যালোচনা করে পরে আদেশ দেবেন বলে জানান। পরে বিকেলের দিকে ১১ আইনজীবীর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়।

প্রথম মামলাটি ঢাকা আইনজীবী সমিতির জ্যেষ্ঠ সহসাধারণ সম্পাদক জহিরুল হাসান মুকুল বাদী হয়ে ২০২২-২৩ সালের কার্যকরী কমিটির সভাপতি মাহবুবুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক সিরাজুর রহমান মন্টু ও কোষাধ্যক্ষ মো. নূর হোসেনের বিরুদ্ধে করেন।

মামলার অভিযোগে বলা হয়, সমিতির দুটি ভবন নির্মাণকালে তাঁরা ক্ষমতার অপব্যবহার করে ২ কোটি ৪৬ লাখ ৩৫ হাজার ৪০১ টাকা ৩০ পয়সা অতিরিক্ত ব্যয় দেখিয়ে পরস্পর যোগসাজশে আত্মসাৎ করেন।

এরপর বর্তমান কার্যকরী কমিটির কোষাধ্যক্ষ আব্দুর রশিদ মোল্লা বাদী হয়ে সমিতির ২০২৩-২৪ সালের কমিটির সভাপতি মিজানুর রহমান মামুন, সাধারণ সম্পাদক খন্দকার গোলাম কিবরিয়া জোবায়ের, কোষাধ্যক্ষ ফাতেমা মুন্নি ও সহসভাপতি শ্রী প্রাণনাথের বিরুদ্ধে মামলা করেন।

মামলায় অভিযোগ করা হয়, সমিতির ভবন নির্মাণকালে তাঁরা ক্ষমতার অপব্যবহার করে প্রায় ৮ কোটি টাকা অতিরিক্ত ব্যয় দেখিয়ে পরস্পর যোগসাজশে আত্মসাৎ করেন।

বর্তমান কার্যকরী কমিটির সহসাধারণ সম্পাদক সৈয়দ মইনুল হোসেন অপু আরেকটি মামলা করেন।

এই মামলায় ২০২৪-২৫ সালের কার্যকরী কমিটির সভাপতি আব্দুর রহমান হাওলাদার, সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার শাহাদাত শাওন, জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি আবুল কালাম মো. আক্তার হোসেন ও কোষাধ্যক্ষ মো. ওমর ফারুককে আসামি করা হয়।

মামলার অভিযোগে বলা হয়, সমিতির দুটি ভবন নির্মাণকালে তাঁরা ক্ষমতার অপব্যবহার করে ১১ লাখ ২০ হাজার ৫১১ টাকা ৪০ পয়সা অতিরিক্ত ব্যয় দেখিয়ে পরস্পর যোগসাজশে আত্মসাৎ করেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

চিৎকার শুনে ছুটে আসা স্থানীয়রা ধর্ষণের শিকার নারীকেই মারধর করে

বিমানবন্দরের প্রকল্পে ‘অসম’ চুক্তি, স্বার্থের সংঘাতে জড়িয়েছেন ঢাকায় ইউএই রাষ্ট্রদূত

মন্ত্রীর আত্মীয়তাই ‘যোগ্যতা’

আদানিকে আরও ৩৮৪ মিলিয়ন ডলার দিল বাংলাদেশ, মোট পরিশোধ ১.৫ বিলিয়ন

অশ্লীল ভিডিও ছড়িয়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে স্কুলছাত্রীকে দুই বন্ধুর ধর্ষণ

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত