Ajker Patrika

ঈদুল আজহায় দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌপথে চলবে ১৮টি ফেরি

রাজবাড়ী প্রতিনিধি
আপডেট : ১৫ জুন ২০২৩, ১৯: ১৮
ঈদুল আজহায় দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌপথে চলবে ১৮টি ফেরি

আসন্ন পবিত্র ঈদুল আজহায় দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌপথে যাত্রী ও যানবাহন পারাপারে চলাচল করবে ১৮টি ফেরি, ২০টি লঞ্চ ও ১০টি স্পিডবোট। 

আজ বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে রাজবাড়ীর জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে ঈদুল আজহা উপলক্ষে দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌপথে নৌযানসমূহ সুষ্ঠুভাবে চলাচল এবং যাত্রীদের সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণের লক্ষ্যে আয়োজিত সমন্বয় সভায় এ তথ্য জানানো হয়। 

সভায় জেলা প্রশাসক আবু কায়সার খান সভাপতিত্ব করেন। এ সময় প্রশাসন, ঘাট ও পরিবহনসংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাসহ বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। 

সভায় জানানো হয়, এবার ঈদে যাত্রী ও যানবাহন পারাপারে ছোট-বড় ১৮টি ফেরি, ২০টি লঞ্চ ও ১০টি স্পিডবোট চলাচল করবে। এ ছাড়া ঘাটের যানজট নিরসনে ঈদের আগে ও পরে মোট ৭টি দিন পশুবাহী ও জরুরি পচনশীল পণ্যবাহী ট্রাক ব্যতীত সাধারণ ট্রাক পারাপার বন্ধ থাকবে। এবং রাতে বন্ধ থাকবে স্পিডবোট চলাচল। এ ছাড়া টার্মিনালে যানবাহনের ভাড়ার চার্ট টাঙানোর পাশাপাশি পরিবহনশ্রমিকদের কটি পরিহিত পোশাক পরতে হবে। ঘাট এলাকায় পর্যাপ্ত আলোর ব্যবস্থা, টার্মিনালে যানবাহন প্রবেশের ব্যবস্থা রাখতে হবে। এ ছাড়া চাঁদাবাজ, দালাল নির্মূলে ঘাট এলাকাসহ সড়কে থাকবে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা। 

রাজবাড়ী জেলা বাস মালিক গ্রুপের সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রাজ্জাক লিটন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ঈদের কয়েক দিন আগে অতিরিক্ত কিছু যানবাহন, মাহেন্দ্রার কারণে ঘাট এলাকায় যানজট তৈরি হয়, যা তাঁদের নিয়ন্ত্রণের বাইরে। আর তাঁরা গত ঈদে যে ভাড়া নিয়েছেন, এবারও সে ভাড়া নেবেন। ভাড়ার চার্ট প্রতিটি কাউন্টারে টাঙানো থাকবে। নির্দিষ্ট ভাড়া ব্যতীত যাত্রীদের থেকে অতিরিক্ত কোনো ভাড়া নেওয়া হয় না। তা ছাড়া, নির্দিষ্ট রুটের বাসে স্টিকার লাগানো থাকবে। 

রাজবাড়ীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) ইফতেখারুজ্জামান বলেন, যাত্রীদের আসা-যাওয়া নির্বিঘ্ন করতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তৎপর থাকবে। কোনো ধরনের চাঁদাবাজি দলাদলির অভিযোগ এবং চার্টের অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করা হলে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এ ছাড়া পুলিশ যাত্রীদের জানমাল রক্ষা ও পশুবাহী ট্রাকে চাঁদাবাজি রোধে সক্রিয় থাকবে। 

জেলা প্রশাসক আবু কায়সার খান বলেন, ভোগান্তিবিহীন ঈদযাত্রা নিশ্চিত করতে সবাইকে কাজ করতে হবে। স্বপ্নের পদ্মা সেতু চালুর পর দৌলতদিয়া ঘাটের চাপ কমে এসেছে। তারপরও ঈদের ঘরমুখী মানুষের চাপের পাশাপাশি এবার পশুবাহী ট্রাক নদী পারাপার হবে। ফলে গত ঈদের চেয়ে এবার চাপ একটু হলেও বাড়বে। ফেরি ও লঞ্চ স্বাভাবিকভাবে চলাচল করলে এবারও কোনো ভোগান্তি হবে না। তারপরও সব বিষয়ে জেলা প্রশাসন সব সময় মনিটরিং করবে।

 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত