অনলাইন ডেস্ক
ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনাল বর্জন আজও চলছে। আইনজীবী সমিতির আইনজীবীরা ওই ট্রাইব্যুনালে যাচ্ছেন না। অন্যদিকে বিচারক নুরে আলম রয়েছেন ছুটিতে। এরই মধ্যে তাঁর বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিতে প্রধান বিচারপতির কাছে আবেদন জানিয়েছে ঢাকা আইনজীবী সমিতি।
আইনজীবী ও বিচারপ্রার্থীদের সঙ্গে অসৌজন্যমূলক আচরণ, অযাচিত ও অশ্লীল বক্তব্য এবং অসত্য অপপ্রচার অনতিবিলম্বে প্রত্যাহার করাসহ বিচারকের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য ঢাকা আইনজীবী সমিতির অ্যাডহক কমিটির সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ নজরুল ইসলাম এ আবেদন করেন। আজ বৃহস্পতিবার আবেদনের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন তিনি।
গত মঙ্গলবার ট্রাইব্যুনাল বর্জনের সিদ্ধান্ত নেয় ঢাকা আইনজীবী সমিতি। একটি মামলায় জামিন না দেওয়াকে কেন্দ্র করে বৃহস্পতিবার থেকে এই ট্রাইব্যুনালে অচল অবস্থা শুরু হয়। গত কয়েক দিন ধরে বিচারক এজলাসে মামলা পরিচালনা করতে উঠলেও আইনজীবীদের বাধার মুখে নেমে যেতে বাধ্য হন। আবার কোনো কোনো দিন এজলাসে ওঠেননি বিচারক।
এরই মধ্যে গতকাল বুধবার আদালতে বিশৃঙ্খলার অভিযোগ এনে সংশ্লিষ্ট আইনজীবীদের সনদ বাতিলসহ বিচারের দাবি জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছে জুডিশিয়াল সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশন। অন্যদিকে ঢাকা আইনজীবী সমিতি বিচারকের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিতে আবেদন করেছে প্রধান বিচারপতি।
আবেদনে বলা হয়, সম্প্রতি যোগদান করা ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক নুরে আলম প্রতিনিয়ত জুনিয়র আইনজীবীদের মামলা শুনানিকালে তুচ্ছ-তাচ্ছিল্য, অসৌজন্যমূলক আচরণ, অযাচিত বক্তব্য প্রদান এবং বিচারপ্রার্থীদের প্রকাশ্য আদালতে গালাগালি, অশ্লীল বক্তব্য ও অবিচারিক আচরণ করতে থাকেন। তাঁর বিরুদ্ধে ঢাকা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক, সিনিয়র ও সাধারণ আইনজীবীদের মৌখিক অভিযোগের ভিত্তিতে বার অ্যাসোসিয়েশন ও বেঞ্চের মধ্যে আদালত অঙ্গনের সুষ্ঠু পরিবেশ বজায় রাখার উদ্দেশ্যে গত ৯ ফেব্রুয়ারি ঢাকা আইনজীবী সমিতির প্রতিনিধি সংগঠনটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের সাথে সৌজন্য সাক্ষাতে আলোচনার অনুরোধ করা হয়। বিচারক নুরে আলম সাক্ষাৎ বা আলোচনার কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ না করে পরদিন ১০ ফেব্রুয়ারি পুলিশের এডিসি নাসির আহমেদ হাওলাদার ও এসি (প্রসিকিউশন) হাসান রাশেদ পরাগের নেতৃত্বে ২০ থেকে ২৫ জন পুলিশ সদস্য নিয়ে আদালতের এজলাস শুরু করেন।
বিশেষভাবে উল্লেখ্য, গত ৯ ও ১০ ফেব্রুয়ারি ওই আদালতে ঢাকা আইনজীবী সমিতির সভাপতি, সাধারণ সম্পাদকসহ কোনো কর্মকর্তা বা কার্যকরী সদস্য কোনো মামলা বা জামিন শুনানি করেননি। বিচারক নুরে আলমের এমন আচরণের সংবাদ পেয়ে ঢাকা আইনজীবী সমিতির কয়েকজন কর্মকর্তা ট্রাইব্যুনালে উপস্থিত হয়ে বিচারককে সমিতির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের সঙ্গে আলোচনা করার বিষয়ে জানতে চান।
বিচারক প্রথমেই বলেন, আমি কি ঢাকা আইনজীবী সমিতির চাকরি করি? কেন ঢাকা আইনজীবী সমিতির কমিটির সাথে আমার কথা বলতে হবে? আমি ঢাকা আইনজীবী সমিতির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের সাথে কথা বলব না।
এই বলে পুলিশকে আদেশ দেন, ‘এই পুলিশ ওদেরকে বের করে দাও।’
তিনি বিভিন্ন ধরনের উসকানিমূলক, অশ্রাব্য ভাষা ও আপত্তিকর অঙ্গভঙ্গি ব্যবহার করে উপস্থিত আইনজীবীদের উত্তেজিত করেন। তাঁর পরিহিত কোটের হাতা ওপরের দিকে টেনে মারমুখী হয়ে উঠে গুলি করতে বললে কোর্টে হট্টগোল সৃষ্টি হয়।
তিনি বিভিন্ন অসত্য তথ্য ও এজলাসের আংশিক ভিডিও বেআইনিভাবে একটি টিভি চ্যানেলের মাধ্যমে অপপ্রচার করে আইনজীবীদের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করে সাধারণ বিচারপ্রার্থী ও বাংলাদেশের মানুষসহ সারা বিশ্বের মাঝে বাংলাদেশের বিচার বিভাগের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন এবং বর্তমান সরকারকে অস্থিতিশীল করার লক্ষ্যে বাংলাদেশ জুডিশিয়াল সার্ভিস কমিশনের সদস্য ও আইনজীবীদের মধ্যে বিরোধ সৃষ্টির উদ্দেশ্যে প্রয়াস চালাচ্ছেন। যা বিচার বিভাগের জন্য কোনোভাবেই কাম্য নয়।
চিঠিতে বিচারক নুরে আলমের অসৌজন্যমূলক, অযাচিত ও অশ্লীল বক্তব্য এবং অসত্য অপপ্রচার অনতিবিলম্বে প্রত্যাহার করে, তাঁর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার আবেদন জানানো হয়।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, বিচারক নুরে আলম গতকাল বুধবার থেকে ছুটিতে রয়েছেন।
ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনাল বর্জন আজও চলছে। আইনজীবী সমিতির আইনজীবীরা ওই ট্রাইব্যুনালে যাচ্ছেন না। অন্যদিকে বিচারক নুরে আলম রয়েছেন ছুটিতে। এরই মধ্যে তাঁর বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিতে প্রধান বিচারপতির কাছে আবেদন জানিয়েছে ঢাকা আইনজীবী সমিতি।
আইনজীবী ও বিচারপ্রার্থীদের সঙ্গে অসৌজন্যমূলক আচরণ, অযাচিত ও অশ্লীল বক্তব্য এবং অসত্য অপপ্রচার অনতিবিলম্বে প্রত্যাহার করাসহ বিচারকের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য ঢাকা আইনজীবী সমিতির অ্যাডহক কমিটির সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ নজরুল ইসলাম এ আবেদন করেন। আজ বৃহস্পতিবার আবেদনের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন তিনি।
গত মঙ্গলবার ট্রাইব্যুনাল বর্জনের সিদ্ধান্ত নেয় ঢাকা আইনজীবী সমিতি। একটি মামলায় জামিন না দেওয়াকে কেন্দ্র করে বৃহস্পতিবার থেকে এই ট্রাইব্যুনালে অচল অবস্থা শুরু হয়। গত কয়েক দিন ধরে বিচারক এজলাসে মামলা পরিচালনা করতে উঠলেও আইনজীবীদের বাধার মুখে নেমে যেতে বাধ্য হন। আবার কোনো কোনো দিন এজলাসে ওঠেননি বিচারক।
এরই মধ্যে গতকাল বুধবার আদালতে বিশৃঙ্খলার অভিযোগ এনে সংশ্লিষ্ট আইনজীবীদের সনদ বাতিলসহ বিচারের দাবি জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছে জুডিশিয়াল সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশন। অন্যদিকে ঢাকা আইনজীবী সমিতি বিচারকের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিতে আবেদন করেছে প্রধান বিচারপতি।
আবেদনে বলা হয়, সম্প্রতি যোগদান করা ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক নুরে আলম প্রতিনিয়ত জুনিয়র আইনজীবীদের মামলা শুনানিকালে তুচ্ছ-তাচ্ছিল্য, অসৌজন্যমূলক আচরণ, অযাচিত বক্তব্য প্রদান এবং বিচারপ্রার্থীদের প্রকাশ্য আদালতে গালাগালি, অশ্লীল বক্তব্য ও অবিচারিক আচরণ করতে থাকেন। তাঁর বিরুদ্ধে ঢাকা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক, সিনিয়র ও সাধারণ আইনজীবীদের মৌখিক অভিযোগের ভিত্তিতে বার অ্যাসোসিয়েশন ও বেঞ্চের মধ্যে আদালত অঙ্গনের সুষ্ঠু পরিবেশ বজায় রাখার উদ্দেশ্যে গত ৯ ফেব্রুয়ারি ঢাকা আইনজীবী সমিতির প্রতিনিধি সংগঠনটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের সাথে সৌজন্য সাক্ষাতে আলোচনার অনুরোধ করা হয়। বিচারক নুরে আলম সাক্ষাৎ বা আলোচনার কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ না করে পরদিন ১০ ফেব্রুয়ারি পুলিশের এডিসি নাসির আহমেদ হাওলাদার ও এসি (প্রসিকিউশন) হাসান রাশেদ পরাগের নেতৃত্বে ২০ থেকে ২৫ জন পুলিশ সদস্য নিয়ে আদালতের এজলাস শুরু করেন।
বিশেষভাবে উল্লেখ্য, গত ৯ ও ১০ ফেব্রুয়ারি ওই আদালতে ঢাকা আইনজীবী সমিতির সভাপতি, সাধারণ সম্পাদকসহ কোনো কর্মকর্তা বা কার্যকরী সদস্য কোনো মামলা বা জামিন শুনানি করেননি। বিচারক নুরে আলমের এমন আচরণের সংবাদ পেয়ে ঢাকা আইনজীবী সমিতির কয়েকজন কর্মকর্তা ট্রাইব্যুনালে উপস্থিত হয়ে বিচারককে সমিতির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের সঙ্গে আলোচনা করার বিষয়ে জানতে চান।
বিচারক প্রথমেই বলেন, আমি কি ঢাকা আইনজীবী সমিতির চাকরি করি? কেন ঢাকা আইনজীবী সমিতির কমিটির সাথে আমার কথা বলতে হবে? আমি ঢাকা আইনজীবী সমিতির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের সাথে কথা বলব না।
এই বলে পুলিশকে আদেশ দেন, ‘এই পুলিশ ওদেরকে বের করে দাও।’
তিনি বিভিন্ন ধরনের উসকানিমূলক, অশ্রাব্য ভাষা ও আপত্তিকর অঙ্গভঙ্গি ব্যবহার করে উপস্থিত আইনজীবীদের উত্তেজিত করেন। তাঁর পরিহিত কোটের হাতা ওপরের দিকে টেনে মারমুখী হয়ে উঠে গুলি করতে বললে কোর্টে হট্টগোল সৃষ্টি হয়।
তিনি বিভিন্ন অসত্য তথ্য ও এজলাসের আংশিক ভিডিও বেআইনিভাবে একটি টিভি চ্যানেলের মাধ্যমে অপপ্রচার করে আইনজীবীদের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করে সাধারণ বিচারপ্রার্থী ও বাংলাদেশের মানুষসহ সারা বিশ্বের মাঝে বাংলাদেশের বিচার বিভাগের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন এবং বর্তমান সরকারকে অস্থিতিশীল করার লক্ষ্যে বাংলাদেশ জুডিশিয়াল সার্ভিস কমিশনের সদস্য ও আইনজীবীদের মধ্যে বিরোধ সৃষ্টির উদ্দেশ্যে প্রয়াস চালাচ্ছেন। যা বিচার বিভাগের জন্য কোনোভাবেই কাম্য নয়।
চিঠিতে বিচারক নুরে আলমের অসৌজন্যমূলক, অযাচিত ও অশ্লীল বক্তব্য এবং অসত্য অপপ্রচার অনতিবিলম্বে প্রত্যাহার করে, তাঁর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার আবেদন জানানো হয়।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, বিচারক নুরে আলম গতকাল বুধবার থেকে ছুটিতে রয়েছেন।
রাজধানীর ডেমরায় পুলিশের ওপর হামলার ঘটনায় দেশীয় অস্ত্রসহ সন্ত্রাসী রুদ্র বাহিনীর দুই সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার রাতেই ডেমরা থানায় পৃথক দুটি মামলা দায়েরের পর আজ শুক্রবার বিকেলে তাঁদের কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত...
৩ মিনিট আগেরাষ্ট্রীয় মর্যাদায় মা-বাবার পাশে চিরনিদ্রায় শায়িত হলেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ও সাবেক মন্ত্রী আবদুল্লাহ আল নোমান। আজ শুক্রবার বাদ আসর চট্টগ্রামের রাউজানের গহিরা উচ্চবিদ্যালয় মাঠে সবশেষ জানাজা শেষে তাঁকে দাফন করা হয়।
১০ মিনিট আগেঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতাল থেকে এক যুবকের রক্তাক্ত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। আজ শুক্রবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) সকালে লাশটি উদ্ধার করা হয়। পুলিশের ধারণা, মাদক সেবনের পর নেশাগ্রস্ত অবস্থায় ছাদ থেকে পড়ে গেছেন তিনি।
১৬ মিনিট আগেচট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে বিএসআরএম স্টিল কারখানার বিষাক্ত ধোঁয়ায় পরিবেশদূষণের অভিযোগ তুলে মানববন্ধন করেছে বিক্ষুব্ধ এলাকাবাসী। আজ শুক্রবার বিকেলে উপজেলার ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের বার আউলিয়া এলাকায় বিএসআরএম কারখানার সামনে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। এতে নানা ধরনের প্রতিবাদী প্ল্যাকার্ড, ব্যানার, পোস্টার
১৮ মিনিট আগে