Ajker Patrika

সরকারের সেবা পেতে আদিবাসীদের ১০ হাজার টাকা পর্যন্ত ঘুষ দিতে হয়: টিআইবি

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
সরকারের সেবা পেতে আদিবাসীদের ১০ হাজার টাকা পর্যন্ত ঘুষ দিতে হয়: টিআইবি

বাংলাদেশ সরকারের সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির সুবিধা গ্রহণে বিরাজমান অনিয়ম ও দুর্নীতির শিকার হন সমতল ও পার্বত্য অঞ্চলের আদিবাসীরা। এমন তথ্য উঠে এসেছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি) পরিচালিত একটি গবেষণা প্রতিবেদনে।

আজ মঙ্গলবার ধানমন্ডিতে অবস্থিত টিআইবির কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে ‘সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচিতে আদিবাসী জনগোষ্ঠীর অন্তর্ভুক্তি: সুশাসনের চ্যালেঞ্জ ও উত্তরণের উপায়’ শীর্ষক গবেষণা প্রতিবেদনটি উপস্থাপন করেন গবেষক রাজিয়া সুলতানা।

সংবাদ সম্মেলনটি পরিচালনা করেন টিআইবির আউটরিচ অ্যান্ড কমিউনিকেশন পরিচালক মোহাম্মদ তৌহিদুল ইসলাম। উপস্থিত ছিলেন টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান, উপদেষ্টা ও অধ্যাপক ড. সুমাইয়া খায়ের এবং মুহাম্মদ বদিউজ্জামান।

গুণগত পদ্ধতিনির্ভর গবেষণাটি পরিচালিত হয় ২০২৪ সালের জুন থেকে ২০২৫ সালের নভেম্বর পর্যন্ত। দেশের আট বিভাগ থেকে নির্বাচিত ১১টি জেলার ২৯টি আদিবাসী জনগোষ্ঠী (সমতলের ২২টি ও পার্বত্য অঞ্চলের ৭টি) এতে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।

গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়, বিভিন্ন ভাতাভিত্তিক ও পণ্যভিত্তিক কর্মসূচির সেবা গ্রহণে আদিবাসী জনগোষ্ঠীকে এককালীন ৫০০ টাকা থেকে ১০ হাজার টাকা পর্যন্ত ঘুষ দিতে হয়। একই সঙ্গে কর্মসূচিতে বরাদ্দ হ্রাস, নীতিকাঠামোর দুর্বলতা, চাহিদা ও জনসংখ্যাভিত্তিক পরিকল্পনা না থাকা, তালিকা প্রণয়নে স্বচ্ছতার অভাবসহ নানা ধরনের অনিয়ম বিদ্যমান।

প্রতিবেদনে বলা হয়, সামাজিক নিরাপত্তা ভাতা পাওয়ার ক্ষেত্রে আদিবাসীদের কাছ থেকে ঘুষ গ্রহণে জড়িত ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য, চেয়ারম্যান, গ্রাম পুলিশ, উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তাসহ আরও অনেকে।

বয়স্কভাতা (আজীবন) কর্মসূচিতে সমতলের আদিবাসীদের ৫০০ থেকে ১০ হাজার টাকা এবং পার্বত্য এলাকার আদিবাসীদের ২ হাজার ৫০০ থেকে ৬ হাজার টাকা ঘুষ দিতে হয়। একইভাবে ভিডব্লিউবি ভাতার ক্ষেত্রে সমতলের আদিবাসীদের ২ থেকে ১০ হাজার টাকা এবং পার্বত্য অঞ্চলে দুই থেকে ছয় হাজার টাকা দিতে হয়।

টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, ‘শান্তি প্রতিষ্ঠার পূর্বশর্ত বৈষম্য দূর করা এবং ন্যায্য অধিকার নিশ্চিত করা। কিন্তু সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচিতে আদিবাসীদের ন্যায্য প্রাপ্তি নিশ্চিত করা যায়নি। গবেষণার সাতটি নির্দেশকের প্রতিটিতেই সুশাসনের ঘাটতি, দুর্নীতি ও অনিয়মের উদ্বেগজনক চিত্র দেখা যায়।’

তিনি জানান, পার্বত্য চট্টগ্রামে কৌশলগত পরিপ্রেক্ষিত পরিকল্পনা এবং সমতলের আদিবাসীদের জন্য আলাদা ভূমি কমিশন গঠনের সরকারি ঘোষণা এখনো বাস্তবায়িত হয়নি।

ইফতেখারুজ্জামান বলেন, ‘আমরা ও তারা’ এই বৈষম্যমূলক সংস্কৃতির কারণে আদিবাসীদের ন্যায্য পরিচয় ও অধিকার স্বীকৃতি পায় না। বৈষম্যহীন বাংলাদেশের স্বপ্নপূরণের জন্য আইএলও কনভেনশন ১৬৯ অনুস্বাক্ষরসহ সাংবিধানিক স্বীকৃতি জরুরি।

গবেষণায় দেখা গেছে, আদিবাসীদের অংশগ্রহণ ছাড়া কেন্দ্রীয় পর্যায়ে পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়; প্রাথমিক বাছাই কমিটিতে আদিবাসী প্রতিনিধি, হেডম্যান বা কারবারিদের অন্তর্ভুক্ত করা হয় না। পার্বত্য অঞ্চলে ইন্টারনেট, বিদ্যুৎ ও নেটওয়ার্ক সংকটে অনলাইন আবেদন কঠিন হয়ে পড়ে; ইউনিয়ন পরিষদের ওয়েবসাইটে সুবিধাভোগীর তালিকা প্রকাশ হয় না বা হালনাগাদ থাকে না; রাজনৈতিক পছন্দ-অপছন্দের ভিত্তিতে তালিকা তৈরি হয়; বিরোধী দল-সমর্থকদের বাদ দেওয়া হয়; জীবিত ভাতাভোগীকে মৃত দেখিয়ে অনিয়মের মাধ্যমে অন্যকে যুক্ত করার ঘটনাও পাওয়া গেছে।

গবেষণা অনুযায়ী, পাঁচটি সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচিতে আওতাভুক্ত হওয়ার যোগ্য আদিবাসীদের মধ্যে আবেদনকারীর অনুপাত মাত্র ১৯ দশমিক ৭ শতাংশ।

গবেষণা বলছে, বাংলাদেশ এখনো আইএলও কনভেনশন ১৬৯ অনুস্বাক্ষর করেনি। পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তি চুক্তিতে আংশিক ভূমি অধিকার অন্তর্ভুক্ত হলেও জাতীয় আইনে প্রথাগত ভূমি-স্বত্বের স্বীকৃতি নেই। অষ্টম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনায় পার্বত্য অঞ্চলের সমস্যা চিহ্নিত হলেও সমতলের আদিবাসীদের সমস্যা অন্তর্ভুক্ত হয়নি। ‘ভূমি কমিশন’ না থাকায় সমতলের আদিবাসীরা উত্তরাধিকারসূত্রে পাওয়া ভূমি হারাচ্ছে ও উচ্ছেদের শিকার হচ্ছে।

টিআইবির গবেষণায় উল্লেখযোগ্য সুপারিশগুলো হলো—আদিবাসীদের সাংবিধানিক স্বীকৃতি; আইএলও কনভেনশন ১৬৯ অনুস্বাক্ষর; সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির নির্দেশিকায় আদিবাসীদের অগ্রাধিকার উল্লেখ; সুনির্দিষ্ট বাজেট বরাদ্দ; জন্মনিবন্ধন ও জাতীয় পরিচয়পত্রসহ সব নথি প্রাপ্তি সহজ করা; নীতিমালা ও প্রকল্প ডিজাইনে ভৌগোলিক বৈচিত্র্য বিবেচনা করা এবং প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করা

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

সিলেটের আলিয়া মাদ্রাসা মাঠে ৮ দলের সমাবেশ শুরু

সিলেট প্রতিনিধি
সমাবেশ সফল করতে সিলেটের আলিয়া মাদ্রাসা মাঠে নেতা-কর্মীরা উপস্থিত হতে শুরু করেছেন। ছবি: আজকের পত্রিকা
সমাবেশ সফল করতে সিলেটের আলিয়া মাদ্রাসা মাঠে নেতা-কর্মীরা উপস্থিত হতে শুরু করেছেন। ছবি: আজকের পত্রিকা

সিলেটের আলিয়া মাদ্রাসা মাঠে ৮ দলের সমাবেশ শুরু হয়েছে। সমাবেশকে কেন্দ্র করে শনিবার (৬ ডিসেম্বর) সকাল থেকে জড়ো হতে দেখা গেছে ৮ দলের নেতা-কর্মীদের। বাসসহ বিভিন্ন যানবাহন দিয়ে তাঁরা আলিয়া মাদ্রাসার মাঠে আসছেন। জাতীয় নির্বাচনের আগে জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়ন আদেশের ওপর গণভোট, নির্বাচনে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ডসহ পাঁচ দাবি ও গণভোটে ‘হ্যাঁ’ বিজয় নিশ্চিতে সিলেটে ইসলামী ও সমমনা ৮ দলের বিভাগীয় এই সমাবেশ অনুষ্ঠিত হচ্ছে।

শনিবার দুপুর ১২টা থেকে সমাবেশ শুরু হয়ে আসরের আগে সমাপ্ত হওয়ার কথা রয়েছে। সমাবেশ সফল করতে ৮ দলের পক্ষ থেকে কয়েক দিন ধরে ব্যাপক প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের পক্ষ থেকে সমাবেশের নিরাপত্তা নিশ্চিতে কার্যকর উদ্যোগ নেওয়া হয়।

সমাবেশে ৮ দলের শীর্ষ নেতাদের মধ্যে বক্তব্য দেবেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির মুফতি সৈয়দ ফয়জুল করীম (পীর সাহেব চরমোনাই), বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের আমির মাওলানা মামুনুল হক, খেলাফত মজলিসের আমির মাওলানা আব্দুল বাছিত আজাদ, বাংলাদেশ নেজামে ইসলাম পার্টির আমির মাওলানা সারওয়ার কামাল আজিজি, বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের আমির মাওলানা হাবীবুল্লাহ মিয়াজী, জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টির (জাগপা) কেন্দ্রীয় সহসভাপতি রাশেদ প্রধান ও বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট পার্টির (বিডিপি) সভাপতি অ্যাডভোকেট আনোয়ারুল হক চাঁন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

৮০০ শিক্ষার্থীর অংশগ্রহণে নোবিপ্রবিতে রান ফর ইউনিটি ম্যারাথন

নোয়াখালী প্রতিনিধি
আজ সকালে নোবিপ্রবির প্রধান ফটক থেকে রান ফর ইউনিটি ম্যারাথন প্রতিযোগিতা শুরু হয়। ছবি: আজকের পত্রিকা
আজ সকালে নোবিপ্রবির প্রধান ফটক থেকে রান ফর ইউনিটি ম্যারাথন প্রতিযোগিতা শুরু হয়। ছবি: আজকের পত্রিকা

নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (নোবিপ্রবি) উৎসবমুখর পরিবেশে অনুষ্ঠিত হলো ‘রান ফর ইউনিটি’ ম্যারাথন দৌড় প্রতিযোগিতা। শারীরিক সুস্থতা ও ঐক্যের বার্তা নিয়ে এই আয়োজনে অংশ নেন নোবিপ্রবির প্রায় ৮০০ শিক্ষার্থী।

শনিবার (৬ ডিসেম্বর) সকালে নোবিপ্রবির প্রধান ফটক থেকে এই দৌড় শুরু হয়। বাংলা বাজার প্রদক্ষিণ করে ম্যারাথনটি শেষ হয় প্রধান ফটকেই। নোবিপ্রবি শাখা ছাত্রশিবিরের উদ্যোগে আয়োজিত এই প্রতিযোগিতায় শিক্ষার্থীদের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ পুরো ক্যাম্পাসে এক উৎসবের আমেজ তৈরি করে।

আজ সকালে নোবিপ্রবির প্রধান ফটক থেকে রান ফর ইউনিটি ম্যারাথন প্রতিযোগিতা শুরু হয়। ছবি: আজকের পত্রিকা
আজ সকালে নোবিপ্রবির প্রধান ফটক থেকে রান ফর ইউনিটি ম্যারাথন প্রতিযোগিতা শুরু হয়। ছবি: আজকের পত্রিকা

প্রতিযোগিতা শেষে অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে সম্মাননা এবং বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করা হয়। সুস্থ ক্যাম্পাস গড়ার প্রত্যয় নিয়ে এই ধরনের আয়োজন ভবিষ্যতেও অব্যাহত রাখার ঘোষণা দিয়েছে নোবিপ্রবি শিবির শাখা।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

বাগেরহাটে স্বেচ্ছাশ্রমে জেলখানা পুকুরের কচুরিপানা পরিষ্কার

বাগেরহাট প্রতিনিধি
স্বেচ্ছাশ্রমে জেলখানা পুকুরের কচুরিপানা পরিষ্কার করছেন রেড ক্রিসেন্ট সদস্যরা। ছবি: আজকের পত্রিকা
স্বেচ্ছাশ্রমে জেলখানা পুকুরের কচুরিপানা পরিষ্কার করছেন রেড ক্রিসেন্ট সদস্যরা। ছবি: আজকের পত্রিকা

বাগেরহাট শহরের প্রাণকেন্দ্রে পুরোনো জেলখানা পুকুরে থাকা কচুরিপানা স্বেচ্ছাশ্রমে পরিষ্কার করছেন রেড ক্রিসেন্ট সদস্যরা। শনিবার (৬ ডিসেম্বর) সকালে এই কর্মসূচির উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক গোলাম মো. বাতেন। এ সময় বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি বাগেরহাট ইউনিটের সহসভাপতি অধ্যাপক মোস্তাহিদুল আলম রবি, সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুর রহমান টুটুলসহ রেড ক্রিসেন্ট সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

বাগেরহাট শহরের প্রাণকেন্দ্রের পুকুরটি শহরের জন্য নানা কারণে গুরুত্বপূর্ণ। পুকুরের পূর্ব পাশে পুরোনো শিল্পকলা, পশ্চিমে পুরোনো জেলখানা জামে মসজিদ, দক্ষিণে স্বাধীনতা উদ্যান এবং উত্তরে শহীদ মিনার। তিন পাশে গুরুত্বপূর্ণ সড়ক রয়েছে।

ছয় বছরের বেশি সময় ধরে পুকুরটি কচুরিপানায় পরিপূর্ণ। অথচ একসময় জেলখানা মসজিদে নামাজ পড়তে আসা মুসল্লিরা এবং আশপাশের হোটেলগুলোয় এই পুকুরের স্বচ্ছ পানি ব্যবহার করা হতো। দীর্ঘদিন পর হলেও রেড ক্রিসেন্ট সদস্যদের এমন উদ্যোগে খুশি স্থানীয় বাসিন্দারা।

স্থানীয় বাসিন্দা শুকুর আলী বলেন, ‘পুকুরটি আমাদের জন্য খুব প্রয়োজন। এই পুকুর থেকেই আমরা নিত্যপ্রয়োজনীয় পানির চাহিদা পূরণ করি। কিন্তু দীর্ঘদিন ধরে পানির সমস্যা থাকলেও সমাধানে কেউ এগিয়ে আসেনি। রেড ক্রিসেন্ট সদস্যরা স্বেচ্ছাশ্রমে কচুরিপানা পরিষ্কারের যে উদ্যোগ নিয়েছেন, এ জন্য আমরা খুবই আনন্দিত।’

বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি বাগেরহাট ইউনিটের সহসভাপতি অধ্যাপক মোস্তাহিদুল আলম রবি বলেন, ‘সকাল থেকে রেড ক্রিসেন্টের শতাধিক স্বেচ্ছাসেবক কচুরিপানা পরিষ্কার করছেন। ধারণা করছি, বিকেল নাগাদ পুকুরের কচুরিপানা পরিষ্কার সম্পন্ন হয়ে যাবে। ভবিষ্যতে শহরের সকল জলাশয়ের পানি যাতে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকে, সেই ব্যবস্থা করা হবে।’ সেই সঙ্গে হাসপাতাল, মসজিদ, মন্দিরসহ সকল গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনার আশপাশ পরিষ্কার করা হবে বলে জানান তিনি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

নারায়ণগঞ্জে এক বাসায় বিস্ফোরণ, শিশুসহ দগ্ধ ৪

ঢামেক প্রতিবেদক
ফাইল ছবি
ফাইল ছবি

আগারগাঁওয়ে সরকারি কোয়ার্টারে গ্যাস বিস্ফোরণের পর এবার নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁও এলাকার একটি বাসায় বিস্ফোরণের খবর পাওয়া গেছে। এ বিস্ফোরণে একই পরিবারের চারজন দগ্ধ হয়েছেন। তাদের জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, গ্যাসের চুলা থেকে এই বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে।

আজ শনিবার (৬ ডিসেম্বর) ভোর সাড়ে ৪টার দিকে সোনারগাঁওয়ের পাটাত্তা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। দগ্ধরা হলেন, আলাউদ্দিন (৩৫), তাঁর দুই মেয়ে শিফা আক্তার (১৪) ও সিমলা আক্তার (৪) এবং আলাউদ্দিনের মা জরিনা বেগম (৬৫)।

দগ্ধ আলাউদ্দিনের বোন সালমা আক্তার জানান, তাঁর মা, ভাই ও ভাইয়ের দুই মেয়ে ওই বাসার নিচতলায় ভাড়া থাকে। ভোরে তাঁর ভাই আলাউদ্দিন ওয়াশরুমে যায়। এ সময় তাদের রান্না ঘরে বিকট শব্দে বিস্ফোরণ ঘটে। তাঁর ভাই রুমে ঢুকতেই আগুনে ঝলসে যায়। এ সময় ঘরে থাকা তিনজন দগ্ধ হয়। পরে তাঁদের চিৎকারে প্রতিবেশীরা এসে উদ্ধার করে বার্ন ইনস্টিটিউটে নিয়ে আসে।

সালমা আরও বলেন, ধারণা করা হচ্ছে, রান্না ঘরে গ্যাসের চুলা বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে।

জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আবাসিক সার্জন ডা. শাওন বিন রহমান জানান, সকালে নারায়ণগঞ্জের একটি বাসায় গ্যাসের চুলার আগুন থেকে ৪ জন দগ্ধ হয়ে বার্ন ইনস্টিটিউটে এসেছে। এদের মধ্যে আলাউদ্দিনের ৪০ শতাংশ, শিফার ১২ শতাংশ, শিমলার ৩০ শতাংশ ও জরিনা বেগমের ২০ শতাংশ দগ্ধ হয়েছে। চারজনকে ওয়ার্ডে ভর্তি রাখা রয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত