Ajker Patrika

মিটফোর্ড ব্যবসায়ী হত্যার প্রতিবাদে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আপডেট : ১২ জুলাই ২০২৫, ১৮: ২৬
শনিবার বেলা ১টার দিকে ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ফটকে ‘সচেতন শিক্ষার্থী সমাজ’ ব্যানারে বিক্ষোভ। ছবি: সংগৃহীত
শনিবার বেলা ১টার দিকে ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ফটকে ‘সচেতন শিক্ষার্থী সমাজ’ ব্যানারে বিক্ষোভ। ছবি: সংগৃহীত

রাজধানীর মিটফোর্ড এলাকায় ভাঙারি পণ্যের ব্যবসায়ী লাল চাঁদ ওরফে সোহাগকে নৃশংসভাবে হত্যার বিচার দাবিতে ঢাকায় বিক্ষোভ করেছেন বিভিন্ন বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরাও। আজ শনিবার (১২ জুলাই) দুপুরে ব্র্যাক, নর্থ সাউথ, ইস্ট ওয়েস্ট, ইডেন কলেজ ও ইনডিপেনডেন্ট ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থীরা পৃথক কর্মসূচি পালন করেন।

শনিবার বেলা ১টার দিকে ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ফটকে ‘সচেতন শিক্ষার্থী সমাজ’ ব্যানারে অর্ধশতাধিক শিক্ষার্থী বিক্ষোভ করেন। এ সময় তারা বলেন, ‘চাঁদাবাজদের কবর খোঁড়’, ‘কে দিল রে জানোয়ার, মানুষ মারার অধিকার’— এমন নানা স্লোগানে প্রতিবাদ জানান।

ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটারবিজ্ঞান ও প্রকৌশল বিভাগের শিক্ষার্থী ফারাবি জিসান বলেন, ‘চাঁদাবাজির কারণে মিটফোর্ড এলাকায় যুবদল ও ছাত্রদলের নেতা-কর্মীরা পাথর দিয়ে পিটিয়ে মানুষ মেরেছে। দল দায় না নিয়ে কেবল বহিষ্কারে সীমাবদ্ধ থেকেছে। এটি পরিকল্পিত দলীয় হত্যাকাণ্ড।’

তিনি আরও বলেন, ‘এ ধরনের সংগঠন কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে রাজনীতি করতে পারে না। ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রদলের কমিটি আজকের মধ্যেই প্রত্যাহার করতে হবে।’

শিক্ষার্থীরা বলেন, ছাত্রদল বা শিবির— কোনো দলীয় সংগঠন ক্যাম্পাসে থাকতে পারবে না।

বিক্ষোভে শিক্ষার্থীরা তিন দফা দাবি তুলে ধরেন। এগুলো হলো— ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধ করতে হবে। প্রকাশিত ছাত্রদলের কমিটি অফিসিয়ালি বাতিল করতে হবে। ভবিষ্যতে কেউ এমন করলে তাঁকে বহিষ্কার করতে হবে। চকবাজারে লাল চাঁদ হত্যাকাণ্ডে জড়িত সবাইকে দ্রুত আইনের আওতায় আনতে হবে। একইসঙ্গে চাঁদাবাজ ও সন্ত্রাসীদের রাজনৈতিক আশ্রয়দাতাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নিতে হবে। দেশের প্রতিটি জেলায় রাজনৈতিক চাঁদাবাজি বন্ধে পদক্ষেপ নিতে হবে।

ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মুরাদ আল হাসান বলেন, ‘তারেক রহমানকে বলব, দেশে ফিরে এসে নিজের দলকে সামলান, পরিবর্তনের রাজনীতি করুন।’

তারা অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি ৪৮ ঘণ্টার আলটিমেটাম দেন চাঁদাবাজি বন্ধে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে। না হলে দীর্ঘমেয়াদি আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দেন।

একই দাবিতে দুপুরে নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের নেতৃত্বে মিছিল হয়। বসুন্ধরা আবাসিক এলাকা প্রদক্ষিণ করে এটি বিশ্ববিদ্যালয়টির ১ নম্বর গেটে এসে শেষ হয়। এতে ইনডিপেনডেন্ট ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থীরাও যোগ দেন।

একই সময়ে ইস্ট ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটির সামনে শিক্ষার্থীরা প্রতিবাদ সমাবেশ করেন। ইস্ট ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থী সাইফুল্লাহ সাকিব বলেন, ‘বিপ্লব-পরবর্তী সময়ে তৈরি হওয়া সহাবস্থানের পরিবেশ নষ্ট হয়ে গেছে। আমরা এই সহিংসতার তীব্র প্রতিবাদ জানাই।’

গত ১০ জুলাই বিকেলে মিটফোর্ড হাসপাতালের সামনে ব্যবসায়ী লাল চাঁদকে ডেকে নিয়ে পিটিয়ে হত্যা করা হয়। ইট-পাথরের আঘাতে তাঁর মাথা ও শরীর থেঁতলে দেওয়া হয়। একপর্যায়ে তাঁকে বিবস্ত্র করে তাঁর শরীরের ওপর লাফানো হয়। এই ঘটনায় পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী এবং আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল।

হত্যাকাণ্ডে যুবদল, ছাত্রদল ও স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা-কর্মীদের সম্পৃক্ততা পাওয়া গেছে। যুবদল, ছাত্রদল ও স্বেচ্ছাসেবক দল তাদের কয়েকজন নেতাকে বহিষ্কারের ঘোষণা দিয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

বামপন্থীদের ‘মেরে ঠ্যাং ভেঙে’ দিতে চান ডাকসু নেতা সর্বমিত্র, অভিযোগ ঢাবি শিক্ষার্থীর

দেশি ব্যবসায়ীদের চেয়ে বিদেশিদের কথা শুনতে সরকার বেশি পছন্দ করে

পাকিস্তানি জেনারেলকে ‘ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলযুক্ত বাংলাদেশের পতাকা উপহারে’র দাবি নিয়ে যা বলল সিএ ফ্যাক্ট চেক

সংঘর্ষের পর সিটি ও ড্যাফোডিল ইউনিভার্সিটি বন্ধ, পাল্টাপাল্টি দোষারোপ

পাইলটকে প্রলুব্ধ করে মাদুরোকে ধরার মার্কিন গুপ্ত অভিযান ফাঁস

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

শিশুদের ঝগড়াকে কেন্দ্র করে দুই গ্রামবাসীর সংঘর্ষ, অর্ধশতাধিক আহত

হবিগঞ্জ প্রতিনিধি   
উপজেলার মধ্যবাজার এলাকায় সংঘর্ষে জড়ায় দুই গ্রামের বাসিন্দারা। ছবি: আজকের পত্রিকা
উপজেলার মধ্যবাজার এলাকায় সংঘর্ষে জড়ায় দুই গ্রামের বাসিন্দারা। ছবি: আজকের পত্রিকা

হবিগঞ্জের বাহুবল উপজেলায় দুই শিশুর ঝগড়াকে কেন্দ্র করে দুই গ্রামের বাসিন্দাদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে উভয় পক্ষের অন্তত অর্ধশতাধিক ব্যক্তি আহত হয়েছেন। গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৭টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত উপজেলার মধ্যবাজার এলাকায় এই সংঘর্ষ চলে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার বড়ইউড়ি ও বাহুবল গ্রামের দুই শিশুর মধ্যে তুচ্ছ বিষয় নিয়ে ঝগড়াকে ঘিরে বিকেল থেকে উত্তেজনা বিরাজ করছিল। সন্ধ্যার পর উভয় গ্রামের লোকজন দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে মধ্যবাজার এলাকায় সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। সংঘর্ষে পুরো এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। সংঘর্ষে উভয় পক্ষের অন্তত ৫০ জন আহত হন। গুরুতর আহত কয়েকজনকে হবিগঞ্জ সদর আধুনিক হাসপাতাল, বাহুবল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। অন্য ব্যক্তিদের স্থানীয়ভাবে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়।

খবর পেয়ে রাত ১০টার দিকে সেনাবাহিনী ও পুলিশের যৌথ দল ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। বর্তমানে এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

বাহুবল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আমিনুল ইসলাম বলেন, তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের চিহ্নিত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। পরে রাত ১০টার দিকে সেনাবাহিনীর উপস্থিতিতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নেতৃত্বে পুলিশ প্রশাসন ও স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিদের নিয়ে সালিস বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

বামপন্থীদের ‘মেরে ঠ্যাং ভেঙে’ দিতে চান ডাকসু নেতা সর্বমিত্র, অভিযোগ ঢাবি শিক্ষার্থীর

দেশি ব্যবসায়ীদের চেয়ে বিদেশিদের কথা শুনতে সরকার বেশি পছন্দ করে

পাকিস্তানি জেনারেলকে ‘ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলযুক্ত বাংলাদেশের পতাকা উপহারে’র দাবি নিয়ে যা বলল সিএ ফ্যাক্ট চেক

সংঘর্ষের পর সিটি ও ড্যাফোডিল ইউনিভার্সিটি বন্ধ, পাল্টাপাল্টি দোষারোপ

পাইলটকে প্রলুব্ধ করে মাদুরোকে ধরার মার্কিন গুপ্ত অভিযান ফাঁস

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

রাবিতে নতুন ছয়টি আবাসিক হল নির্মাণের অনুমোদন

রাবি প্রতিনিধি  
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটক। ছবি: সংগৃহীত
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটক। ছবি: সংগৃহীত

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) নতুন ছয়টি আবাসিক হল নির্মাণ এবং একটি হল পুনর্নির্মাণের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। গত সোমবার (২৭ অক্টোবর) অনুষ্ঠিত বিশ্ববিদ্যালয় সিন্ডিকেটের ৫৪৩তম সভায় এই উন্নয়ন প্রকল্প প্রস্তাব অনুমোদন করা হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন উপাচার্য সালেহ হাসান নকীব। গতকাল মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর) রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তর থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের উচ্চতর গবেষণা ও উন্নয়ন’ শীর্ষক প্রায় সাড়ে ৩ হাজার কোটি টাকার উন্নয়ন প্রকল্প প্রস্তাব (ডিপিপি) অনুমোদন করা হয়েছে। চূড়ান্ত অনুমোদন ও সরকারি প্রক্রিয়া সম্পন্ন হলে ২০২৬-২৭ অর্থবছর থেকে পরবর্তী তিন বছরের মধ্যে প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হবে।

প্রস্তাবিত প্রকল্পে রয়েছে ছাত্রদের জন্য তিনটি ও ছাত্রীদের জন্য তিনটি নতুন আবাসিক হল নির্মাণ, শেরেবাংলা ফজলুল হক হল পুনর্নির্মাণ, চিকিৎসাকেন্দ্র, বরেন্দ্র গবেষণা জাদুঘর, জুবেরী ভবনসহ কয়েকটি একাডেমিক ও প্রশাসনিক ভবন পুনর্নির্মাণ, ইনোভেশন হাব নির্মাণ, ক্যাম্পাসের অভ্যন্তরীণ সড়ক নির্মাণ ও সংস্কার।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, এসব হল ও ডরমিটরি নির্মাণ সম্পন্ন হলে অতিরিক্ত ৭ হাজারের বেশি শিক্ষার্থীর আবাসনের সুযোগ সৃষ্টি হবে। পাশাপাশি উন্নত যন্ত্রপাতি ও সরঞ্জাম সংযোজনের মাধ্যমে উচ্চতর গবেষণায় নতুন সম্ভাবনার দ্বার খুলবে।

এদিকে বর্তমানে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ১৭টি আবাসিক হল রয়েছে। এর মধ্যে ছেলেদের ১১টি ও মেয়েদের ৬টি। বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়ের মোট শিক্ষার্থীর প্রায় ৩২ শতাংশ আবাসিক সুবিধা পাচ্ছেন। এ ছাড়া আরও দুটি নতুন হল নির্মাণাধীন রয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

বামপন্থীদের ‘মেরে ঠ্যাং ভেঙে’ দিতে চান ডাকসু নেতা সর্বমিত্র, অভিযোগ ঢাবি শিক্ষার্থীর

দেশি ব্যবসায়ীদের চেয়ে বিদেশিদের কথা শুনতে সরকার বেশি পছন্দ করে

পাকিস্তানি জেনারেলকে ‘ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলযুক্ত বাংলাদেশের পতাকা উপহারে’র দাবি নিয়ে যা বলল সিএ ফ্যাক্ট চেক

সংঘর্ষের পর সিটি ও ড্যাফোডিল ইউনিভার্সিটি বন্ধ, পাল্টাপাল্টি দোষারোপ

পাইলটকে প্রলুব্ধ করে মাদুরোকে ধরার মার্কিন গুপ্ত অভিযান ফাঁস

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

ছাত্রলীগের ঝটিকা মিছিলের প্রতিবাদ জাকসু নেতাদের

জাবি প্রতিনিধি, ঢাকা 
জাবি ক্যাম্পাসে জাকসু ও হল সংসদের নেতাদের প্রতিবাদ মিছিল। ছবি: আজকের পত্রিকা
জাবি ক্যাম্পাসে জাকসু ও হল সংসদের নেতাদের প্রতিবাদ মিছিল। ছবি: আজকের পত্রিকা

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) প্রধান ফটকে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের ঝটিকা মিছিলের প্রতিবাদে এবং জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে হামলায় জড়িত ব্যক্তিদের বিচারের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করেছেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদের (জাকসু) নেতারা। গতকাল মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর) রাত ১০টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অফিসের সামনে থেকে বিক্ষোভ মিছিলটি শুরু হয়।

মিছিলে ‘শহীদ আলিফ যেই গেটে, ছাত্রলীগ কেন সেই গেটে’, ‘ছাত্রলীগ মিছিল করে, প্রশাসন কী করে’ ইত্যাদি স্লোগান দিতে দেখা যায়। মিছিলটি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবন-সংলগ্ন রাস্তা প্রদক্ষিণ করে বটতলায় এসে শেষ হয়। বিক্ষোভ মিছিলে উপস্থিত ছিলেন জাকসু ও হল সংসদের নির্বাচিত নেতারা। মিছিল শেষে একটি সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করেন তাঁরা।

সমাবেশে জাকসুর সাধারণ সম্পাদক মো. মাজহারুল ইসলাম বলেন, ‘নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগ ও আওয়ামী লীগ বিভিন্ন স্থানে ঝটিকা মিছিল করে তাদের উপস্থিতি জানান দিতে চাইছে। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনেও তাদের কিছু সদস্য উপস্থিত হয়ে উসকানিমূলক কর্মকাণ্ড চালায়। আমরা স্পষ্টভাবে বলতে চাই, এই সুযোগ বাইরে থেকে নয়, বরং ভেতর থেকে দেওয়া হচ্ছে। জুলাইয়ের হামলাকারীদের বিচার ও জাকসু নির্বাচনের পর আওয়ামীপন্থী শিক্ষকদের বিচারের দাবিতে আজও আমাদের আন্দোলন করতে হচ্ছে। প্রশাসনকে সতর্ক করছি, আপনারা কি ফ্যাসিবাদী দোসরদের পুনর্বাসন করতে চান, নাকি জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের ম্যান্ডেট রক্ষা করতে চান? বিশ্ববিদ্যালয়ে কোনোভাবেই নিষিদ্ধ সংগঠনের উপস্থিতি আমরা মেনে নেব না। অবিলম্বে প্রশাসনকে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে হবে নতুবা শিক্ষার্থীদের প্রতিরোধ কেমন হতে পারে, তা আপনারা ভালোভাবেই জানেন।’

জাকসুর সহসভাপতি আব্দুর রশিদ জিতু বলেন, ‘আমরা খুবই লজ্জিত হয়েছি, যখন দেখেছি গতকাল রাতে আমাদের প্রধান ফটকের সামনে এসে নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের কয়েকজন নেতা মানববন্ধন করে যায়। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের গুরুত্বপূর্ণ পদে যেসব ব্যক্তি বসে আছেন, এটা কিন্তু আপনাদের জন্য অনেকটা লজ্জার।’

এর আগে একই ঘটনার প্রতিবাদে রাত ৯টার দিকে বিক্ষোভ মিছিল করেছেন শাখা ছাত্রদল ও জাতীয় ছাত্রশক্তির নেতা-কর্মীরা।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

বামপন্থীদের ‘মেরে ঠ্যাং ভেঙে’ দিতে চান ডাকসু নেতা সর্বমিত্র, অভিযোগ ঢাবি শিক্ষার্থীর

দেশি ব্যবসায়ীদের চেয়ে বিদেশিদের কথা শুনতে সরকার বেশি পছন্দ করে

পাকিস্তানি জেনারেলকে ‘ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলযুক্ত বাংলাদেশের পতাকা উপহারে’র দাবি নিয়ে যা বলল সিএ ফ্যাক্ট চেক

সংঘর্ষের পর সিটি ও ড্যাফোডিল ইউনিভার্সিটি বন্ধ, পাল্টাপাল্টি দোষারোপ

পাইলটকে প্রলুব্ধ করে মাদুরোকে ধরার মার্কিন গুপ্ত অভিযান ফাঁস

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

জাবিতে জাতীয়তাবাদী শিক্ষক ফোরামের নেতৃত্বে শামসুল আলম-জামাল উদ্দিন

জাবি প্রতিনিধি 
অধ্যাপক শামসুল আলম ও অধ্যাপক জামাল উদ্দিন। ছবি: সংগৃহীত
অধ্যাপক শামসুল আলম ও অধ্যাপক জামাল উদ্দিন। ছবি: সংগৃহীত

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) বিএনপিপন্থী শিক্ষকদের সংগঠন জাতীয়তাবাদী শিক্ষক ফোরামের কার্যনির্বাহী পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে সরকার ও রাজনীতি বিভাগের অধ্যাপক শামসুল আলম সভাপতি এবং পরিবেশবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক জামাল উদ্দিন সাধারণ সম্পাদক পদে নির্বাচিত হয়েছেন।

গতকাল মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর) সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ক্যাফেটেরিয়ার শিক্ষক লাউঞ্জে এই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এতে ১৫ পদের মধ্যে ৫টিতে প্রতিদ্বন্দ্বিতা হয়। ৫৯ জন ভোটারের মধ্যে ৫৪ জন ভোট দেন। ভোট গণনা শেষে প্রধান নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক খন্দকার শরিফুল হুদা ফলাফল ঘোষণা করেন।

সহসভাপতি পদে বিজয়ী হয়েছেন উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ছালেহ আহাম্মদ খান, দর্শন বিভাগের অধ্যাপক মোস্তফা নাজমুল মানসুর, বায়োকেমিস্ট্রি অ্যান্ড মলিকিউলার বায়োলজি বিভাগের অধ্যাপক শাহাদাত হোসেন, রসায়ন বিভাগের অধ্যাপক মোহাম্মদ মামুন হোসেন, সরকার ও রাজনীতি বিভাগের অধ্যাপক নাসরীন সুলতানা। এই পদে ছয়জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। যুগ্ম সম্পাদক পদে দর্শন বিভাগের অধ্যাপক জাকির হোসেন, বায়োকেমিস্ট্রি অ্যান্ড মলিকিউলার বায়োলজি বিভাগের অধ্যাপক বোরহান উদ্দিন ও ইংরেজি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মোহাম্মদ রায়হান শরীফ এবং সাংগঠনিক সম্পাদক পদে নির্বাচিত হয়েছেন গণিত বিভাগের অধ্যাপক নজরুল ইসলাম।

এ ছাড়া অন্য পদগুলোতে শিক্ষকেরা বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন। সহসাংগঠনিক সম্পাদক পদে গণিত বিভাগের অধ্যাপক আল-আমিন খান, কোষাধ্যক্ষ প্রাণিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক মো. মনোয়ার হোসেন, দপ্তর সম্পাদক গণিত বিভাগের অধ্যাপক আমিনুর রহমান খান, প্রচার সম্পাদক পদে একই বিভাগের এস এম মাহমুদুল হাসান, তথ্য ও প্রযুক্তি সম্পাদক পদে ইনস্টিটিউড অব ইনফরমেশন টেকনোলজির (আইআইটি) অধ্যাপক মো. ফজলুল করিম পাটোয়ারী, ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক পরিবেশবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক মোহাম্মদ আমির হোসেন ভূঁইয়া, পরিবেশ ও গবেষণা সম্পাদক পদে গণিত বিভাগের অধ্যাপক মো. নজরুল ইসলাম, স্বাস্থ্যবিষয়ক সম্পাদক উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক মো. আব্দুল হালিম এবং নারীবিষয়ক সম্পাদক পদে মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের অধ্যাপক শামছুন নাহার নির্বাচিত হয়েছেন।

এ ছাড়া কার্যকরী সদস্যপদে নির্বাচিত হয়েছেন অধ্যাপক মো. গোলাম মোস্তফা, অধ্যাপক মোহা. তালিম হোসেন, অধ্যাপক নাহিদ আখতার, কামরুন নেছা খন্দকার, অধ্যাপক মুহাম্মদ তারেক চৌধুরী, অধ্যাপক আবু ফয়েজ মো. আসলাম, অধ্যাপক এ কে এম রাশিদুল আলম, অধ্যাপক তাসলিমা নাহার, অধ্যাপক মোহাম্মদ এমাদুল হুদা, অধ্যাপক এ কে এম জাহিদুল ইসলাম, অধ্যাপক মাসুম শাহরিয়ার ও অধ্যাপক মুহাম্মদ শফিকুল ইসলাম।

নবনির্বাচিত সভাপতি অধ্যাপক শামসুল আলম বলেন, ‘নির্বাচন সুষ্ঠু ও স্বতঃস্ফূর্তভাবে সম্পন্ন হয়েছে। এটি আমাদের জন্য ইতিবাচক দৃষ্টান্ত। নির্বাচিত হয়ে আমি আনন্দিত এবং সেই সঙ্গে এই গণতান্ত্রিক ধারা অব্যাহত রাখতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। জয়ী-পরাজিত সকলকে সঙ্গে নিয়ে ঐক্যবদ্ধভাবে বিশ্ববিদ্যালয়ের কল্যাণে কাজ করব।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

বামপন্থীদের ‘মেরে ঠ্যাং ভেঙে’ দিতে চান ডাকসু নেতা সর্বমিত্র, অভিযোগ ঢাবি শিক্ষার্থীর

দেশি ব্যবসায়ীদের চেয়ে বিদেশিদের কথা শুনতে সরকার বেশি পছন্দ করে

পাকিস্তানি জেনারেলকে ‘ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলযুক্ত বাংলাদেশের পতাকা উপহারে’র দাবি নিয়ে যা বলল সিএ ফ্যাক্ট চেক

সংঘর্ষের পর সিটি ও ড্যাফোডিল ইউনিভার্সিটি বন্ধ, পাল্টাপাল্টি দোষারোপ

পাইলটকে প্রলুব্ধ করে মাদুরোকে ধরার মার্কিন গুপ্ত অভিযান ফাঁস

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত