Ajker Patrika

কদমতলীতে নারীর হাত পা বাঁধা মরদেহ উদ্ধার

কদমতলীতে নারীর হাত পা বাঁধা মরদেহ উদ্ধার

রাজধানীর কদমতলী থেকে রোকেয়া আক্তার রুনু (৫০) নামে এক গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। বুধবার কদমতলী থানার পূর্ব জুরাইন হাজি খোরশেদ আলী সরদার রোডের ১৯২৮ নম্বর বাড়ির ৫ম তলা থেকে তাঁর মরদেহ উদ্ধার করা হয়। ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ ঢাকার স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। 

রোকেয়া আক্তারের গ্রামের বাড়ি চাঁদপুর জেলার মতলব উত্তর থানার ঠাকুরচর খান বাড়ি। তাঁর স্বামী মৃত জামাল হোসেন। রোকেয়া রাজধানীর শ্যামপুর সাউথ-ইষ্ট হাসপাতালে ক্লিনার হিসেবে চাকরি করতেন। এ ঘটনায় নিহতের ছেলে রাজীব গাজী বাদী হয়ে কদমতলী থানায় অভিযোগ দায়ের করে। 

মামলার অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, গত ৬ মার্চ রোববার দুপুরে রোকেয়া তাঁর কর্মস্থল থেকে বাসায় ফেরার পথে ছোট ছেলে সজিবের (২২) সঙ্গে জুরাইন বিক্রমপুর প্লাজার সামনে দেখা হয়। সেখানে সজিবকে জুতা কেনার জন্য ৫০০ টাকা দিয়ে পূর্ব জুরাইন হাজি খোরশেদ আলী সরদার রোডের ১৯২৮ নম্বর বাড়ির বাসায় যান। সজিব জুতা কিনে পূর্ব কদমতলীতে তাঁর বন্ধুর বাসায় যায়। সেখানে সেদিন রাতে থেকে পরদিন সকালে সে তাঁর মাকে সকাল ৯টায় ফোন দেয়। কিন্তু সজিব তাঁর মায়ের ফোন করে বন্ধ পায়। পরে সকাল সাড়ে ১০টার দিকে তাঁর মায়ের কর্মস্থল শ্যামপুর হাসপাতালে যায়। সেখানে না পেয়ে বাসায় গিয়ে তালাবদ্ধ দেখতে পায়। পাশের বাসার লোকজনকে জিজ্ঞাসাবাদে জানিয়েছে সকাল ৬টায় রোকেয়া বাসা থেকে বের হয়ে গেছে। বহু খোঁজাখুঁজি করে না পেয়ে বাসার চাবি সংগ্রহ করে মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৯টায় বাসায় গিয়ে তাঁর মাকে শাড়ি দিয়ে দুই হাত-দুই পা বাঁধা ও কম্বল দিয়ে ঢাকা অবস্থায় দেখতে পায়।

পরে ৯৯৯ এর মাধ্যমে কদমতলী থানা-পুলিশ জানতে পেরে সিআইডির ক্রাইম সিন ও থানা-পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মিটফোর্ড হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করে। 

কদমতলী থানার অফিসার ইনচার্জ প্রলয় কুমার সাহা আজকের পত্রিকাকে জানান, লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মিটফোর্ড হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। হত্যার রহস্য উদ্‌ঘাটনে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত