ঢাবি সংবাদদাতা
ফাগুনের আলোরাঙা প্রভাত; ঋতুরাজ বসন্তের আগমন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলায় বসন্তকে বরণ করে নিতে বসন্ত উৎসব আয়োজন করেছে জাতীয় বসন্ত উৎসব উদ্যাপন পরিষদ। একই উৎসব সমগীত সঙ্গীতব্যান্ড আয়োজন করেছে বটতলায়। গান, দলীয় নাচ, কবিতার মধ্য দিয়ে বরণ করে নেওয়া হয় ঋতুরাজ বসন্তকে।
চারুকলা অনুষদের বকুলতলায় আজ শুক্রবার সকাল সাড়ে ৭টায় শুরু হয় ‘বসন্ত উৎসব ১৪৩১ ’, শেষ হয় দুপুর ১২টায়।
সমবেত বাদ্যযন্ত্র, বেঙ্গল পরম্পরা সংগীতালয়ের মধ্য দিয়ে উৎসবের সূচনা হয়। উৎসবে দেশের অগ্রগণ্য নৃত্য ও সংগীতের দলসমূহ, একক বরেণ্য শিল্পীবৃন্দ, শিশু-কিশোরদের পরিবেশনা ও ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর পরিবেশনা ছাড়াও বসন্ত কথন পর্ব, প্রীতি বন্ধনী বিনিময়, আবির বিনিময়সহ নানা কার্যক্রম রাখা হয়। বসন্ত কথন পর্বে সভাপতিত্ব করেন, বসন্ত উৎসব উদ্যাপন পরিষদের সভাপতি স্থপতি সফিউদ্দিন আহমদ, বক্তব্য দেন সহসভাপতি কাজল দেবনাথ ও সাধারণ সম্পাদক মানজার চৌধুরী সুইটসহ অন্যান্য সাংস্কৃতিক ব্যক্তি।
সমগ্র অনুষ্ঠানটি উপস্থাপনা করেন নায়লা তারাননুম চৌধুরি কাকলি ও আহসান দিপু।
উৎসবটিকে ঘিরে উৎসবমুখর রাজধানীর নানা স্থান থেকে আগত সংস্কৃতি প্রেমিক মানুষ। তাদের প্রত্যাশা বসন্ত উৎসব দেশের সংস্কৃতিতে বৈচিত্র্য নিয়ে আসবে; পারস্পরিক দূরত্ব ঘোচাতে সাহায্য করবে।
সংগীতশিল্পী সমর বড়ুয়া বলেন, দেশের মাটি ও মানুষের সঙ্গে সম্পৃক্ত বসন্ত উৎসব। এ দেশের অনিন্দ্য সুন্দর প্রকৃতি আর ঋতু বৈচিত্র্যকে ধারণ করে এই উৎসব। বাঙালি জাতির জীবনে যেকোনো উৎসবের চেয়ে এই উৎসবের তাৎপর্য কোনো অংশে কম নয়।
সত্যেন সেন শিল্পী গোষ্ঠীর সদস্য শ্যামলী বড়ুয়া বলেন, বসন্ত উৎসব একটি মিলন মেলা। ধর্ম-বর্ণ-মতের ঊর্ধ্বে গিয়ে বসন্ত উৎসবের আনন্দ। জীবনের অনেকটা সময় ধরে আমরা নানা ঝামেলা নিয়ে থাকি। সবকিছুকে পাশ কাটিয়ে বসন্তের এই রঙিন মেলায় একত্রিত হই। এই রং আমাদের মনকে ভালো করে দেয়। এই যে এতগুলো মানুষের চোখেমুখে আনন্দ, এই আনন্দ জীবনের সকল ক্লান্তি দূর করে দেয়।
শান্তিনগর থেকে আসা ব্যবসায়ী উজ্জ্বল বালো বলেন, বসন্ত উৎসব বৈচিত্র্যময় সংস্কৃতিকে রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। এটি এমন একটি উৎসব, যে উৎসব কোথাও বিরোধ তৈরি করে না। এ উৎসব এই বাংলার মাটি ও মানুষের জীবনের সঙ্গে সম্পৃক্ত। এটি পরস্পরকে কাছে টানে, দূরত্বকে ঘুচিয়ে আনে।
সমগীতের বসন্ত উৎসব
কলাভবনের বটতলায় প্রতিবছরের মতো এবারও বসন্ত উৎসবের আয়োজন করেছে সমগীত সংগীত ব্যান্ড। ‘পৃথিবীর নদী, বন কিংবা পাহাড়, মানুষ মালিক নয়, বন্ধু তাহার’ এই আহ্বানে সমগীত বসন্ত উৎসব উদ্যাপন করেছে তারা।
সকাল ৯টা থেকে শুরু হয়েছে এই আয়োজন, চলবে বিকেল ৩টা পর্যন্ত।
সমগীত সতেরো বছর ধরে এই আয়োজন করে আসছে। এবারের আয়োজনে ‘সমগীত শ্রদ্ধার্ঘ্য’ গ্রহণ করবেন অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ। শ্রদ্ধার্ঘ্য আয়োজনে আলোচক হিসেবে উপস্থিত থাকবেন নিউ এজ পত্রিকার সম্পাদক নূরুল কবীর।
সমগীতের এই আয়োজনে গান গেয়েছেন শিল্পী কফিল আহমেদ, লীলা, কৃষ্ণকলি, সায়ান, সমগীত, আদিবাসী ব্যান্ড রেরে, সুডোস অন আ রং রুট, অমৌলিক, গঙ্গাফড়িং। এ ছাড়া নৃত্য নিয়ে ছিলেন আকরামুল হিজড়া, এবং সাচিং মং মারমা। যন্ত্রসংগীতে ছিলেন বিদ্যুৎ সরকার ও পিয়াস আকবর।
আয়োজন নিয়ে সমগীতের সভাপতি কমল আকাশ বলেন, দেশের সব সংস্কৃতির মিলনমেলা ঘটে আমাদের এই আয়োজনে। এই উৎসব আমাদের প্রকৃতির প্রাণ উপলব্ধি করতে শেখায়। আজকাল আমরা বৈচিত্র্যময় ছয় ঋতুকে অনুভব করতে ভুলে যাই। সবচেয়ে রঙিন ঋতু বসন্তকে উপলব্ধির মাধ্যমে আমাদের সেই সংকট কাটাতে চাই। প্রকৃতির প্রতি যত্নশীল হওয়ার এবং প্রকৃতিকে রক্ষা করার প্রতি সবাইকে উদ্বুদ্ধ করাও এই আয়োজনের অন্যতম লক্ষ্য।
ফাগুনের আলোরাঙা প্রভাত; ঋতুরাজ বসন্তের আগমন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলায় বসন্তকে বরণ করে নিতে বসন্ত উৎসব আয়োজন করেছে জাতীয় বসন্ত উৎসব উদ্যাপন পরিষদ। একই উৎসব সমগীত সঙ্গীতব্যান্ড আয়োজন করেছে বটতলায়। গান, দলীয় নাচ, কবিতার মধ্য দিয়ে বরণ করে নেওয়া হয় ঋতুরাজ বসন্তকে।
চারুকলা অনুষদের বকুলতলায় আজ শুক্রবার সকাল সাড়ে ৭টায় শুরু হয় ‘বসন্ত উৎসব ১৪৩১ ’, শেষ হয় দুপুর ১২টায়।
সমবেত বাদ্যযন্ত্র, বেঙ্গল পরম্পরা সংগীতালয়ের মধ্য দিয়ে উৎসবের সূচনা হয়। উৎসবে দেশের অগ্রগণ্য নৃত্য ও সংগীতের দলসমূহ, একক বরেণ্য শিল্পীবৃন্দ, শিশু-কিশোরদের পরিবেশনা ও ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর পরিবেশনা ছাড়াও বসন্ত কথন পর্ব, প্রীতি বন্ধনী বিনিময়, আবির বিনিময়সহ নানা কার্যক্রম রাখা হয়। বসন্ত কথন পর্বে সভাপতিত্ব করেন, বসন্ত উৎসব উদ্যাপন পরিষদের সভাপতি স্থপতি সফিউদ্দিন আহমদ, বক্তব্য দেন সহসভাপতি কাজল দেবনাথ ও সাধারণ সম্পাদক মানজার চৌধুরী সুইটসহ অন্যান্য সাংস্কৃতিক ব্যক্তি।
সমগ্র অনুষ্ঠানটি উপস্থাপনা করেন নায়লা তারাননুম চৌধুরি কাকলি ও আহসান দিপু।
উৎসবটিকে ঘিরে উৎসবমুখর রাজধানীর নানা স্থান থেকে আগত সংস্কৃতি প্রেমিক মানুষ। তাদের প্রত্যাশা বসন্ত উৎসব দেশের সংস্কৃতিতে বৈচিত্র্য নিয়ে আসবে; পারস্পরিক দূরত্ব ঘোচাতে সাহায্য করবে।
সংগীতশিল্পী সমর বড়ুয়া বলেন, দেশের মাটি ও মানুষের সঙ্গে সম্পৃক্ত বসন্ত উৎসব। এ দেশের অনিন্দ্য সুন্দর প্রকৃতি আর ঋতু বৈচিত্র্যকে ধারণ করে এই উৎসব। বাঙালি জাতির জীবনে যেকোনো উৎসবের চেয়ে এই উৎসবের তাৎপর্য কোনো অংশে কম নয়।
সত্যেন সেন শিল্পী গোষ্ঠীর সদস্য শ্যামলী বড়ুয়া বলেন, বসন্ত উৎসব একটি মিলন মেলা। ধর্ম-বর্ণ-মতের ঊর্ধ্বে গিয়ে বসন্ত উৎসবের আনন্দ। জীবনের অনেকটা সময় ধরে আমরা নানা ঝামেলা নিয়ে থাকি। সবকিছুকে পাশ কাটিয়ে বসন্তের এই রঙিন মেলায় একত্রিত হই। এই রং আমাদের মনকে ভালো করে দেয়। এই যে এতগুলো মানুষের চোখেমুখে আনন্দ, এই আনন্দ জীবনের সকল ক্লান্তি দূর করে দেয়।
শান্তিনগর থেকে আসা ব্যবসায়ী উজ্জ্বল বালো বলেন, বসন্ত উৎসব বৈচিত্র্যময় সংস্কৃতিকে রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। এটি এমন একটি উৎসব, যে উৎসব কোথাও বিরোধ তৈরি করে না। এ উৎসব এই বাংলার মাটি ও মানুষের জীবনের সঙ্গে সম্পৃক্ত। এটি পরস্পরকে কাছে টানে, দূরত্বকে ঘুচিয়ে আনে।
সমগীতের বসন্ত উৎসব
কলাভবনের বটতলায় প্রতিবছরের মতো এবারও বসন্ত উৎসবের আয়োজন করেছে সমগীত সংগীত ব্যান্ড। ‘পৃথিবীর নদী, বন কিংবা পাহাড়, মানুষ মালিক নয়, বন্ধু তাহার’ এই আহ্বানে সমগীত বসন্ত উৎসব উদ্যাপন করেছে তারা।
সকাল ৯টা থেকে শুরু হয়েছে এই আয়োজন, চলবে বিকেল ৩টা পর্যন্ত।
সমগীত সতেরো বছর ধরে এই আয়োজন করে আসছে। এবারের আয়োজনে ‘সমগীত শ্রদ্ধার্ঘ্য’ গ্রহণ করবেন অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ। শ্রদ্ধার্ঘ্য আয়োজনে আলোচক হিসেবে উপস্থিত থাকবেন নিউ এজ পত্রিকার সম্পাদক নূরুল কবীর।
সমগীতের এই আয়োজনে গান গেয়েছেন শিল্পী কফিল আহমেদ, লীলা, কৃষ্ণকলি, সায়ান, সমগীত, আদিবাসী ব্যান্ড রেরে, সুডোস অন আ রং রুট, অমৌলিক, গঙ্গাফড়িং। এ ছাড়া নৃত্য নিয়ে ছিলেন আকরামুল হিজড়া, এবং সাচিং মং মারমা। যন্ত্রসংগীতে ছিলেন বিদ্যুৎ সরকার ও পিয়াস আকবর।
আয়োজন নিয়ে সমগীতের সভাপতি কমল আকাশ বলেন, দেশের সব সংস্কৃতির মিলনমেলা ঘটে আমাদের এই আয়োজনে। এই উৎসব আমাদের প্রকৃতির প্রাণ উপলব্ধি করতে শেখায়। আজকাল আমরা বৈচিত্র্যময় ছয় ঋতুকে অনুভব করতে ভুলে যাই। সবচেয়ে রঙিন ঋতু বসন্তকে উপলব্ধির মাধ্যমে আমাদের সেই সংকট কাটাতে চাই। প্রকৃতির প্রতি যত্নশীল হওয়ার এবং প্রকৃতিকে রক্ষা করার প্রতি সবাইকে উদ্বুদ্ধ করাও এই আয়োজনের অন্যতম লক্ষ্য।
রাজশাহীর পবা উপজেলায় অতি নিম্নমানের সামগ্রী দিয়ে একটি বক্স কালভার্ট নির্মাণের অভিযোগ উঠেছে। ৪০ লাখ টাকা ব্যয়ের কালভার্টটি নির্মাণে ৩ সুতা বা ১০ মিলিমিটার পুরুত্বের রড ব্যবহার করা হচ্ছে। এমন অবস্থায় ব্যস্ত সড়কের এই কালভার্ট কত দিন টিকবে, তা নিয়ে উদ্বিগ্ন স্থানীয়রা। তাঁরা বলছেন, বিষয়টি জানানোর পরও কোন
৬ ঘণ্টা আগেচুয়াডাঙ্গার জীবননগরে সরকারি গভীর নলকূপ বসানোর কাজে অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এতে ব্যবহার করা হচ্ছে নিম্নমানের নকল পাইপ। তবে ঠিকাদার ও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের দাবি, খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (কুয়েট) থেকে পরীক্ষিত সঠিক পাইপ ব্যবহার করা হচ্ছে।
৭ ঘণ্টা আগেপাবনার ঈশ্বরদীসহ আশপাশের উপজেলায় ডায়রিয়ার কারণে সাধারণ মানুষের মধ্যে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে। ডায়রিয়ার প্রাদুর্ভাবের কারণ জানতে তিন দিন ধরে সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের (আইইডিসিআর) ৬ সদস্যের একটি দল ঈশ্বরদীতে অবস্থান করছে।
৭ ঘণ্টা আগেরাজধানীর মোহাম্মদপুরে গরুর খামার থেকে অস্ত্রের মুখে গরু ছিনতাইচেষ্টার অভিযোগ উঠেছে। গরু ছিনিয়ে নেওয়া সময় খামারমালিককে মারধরের পর আশপাশে লোকজন ছুটে এলে সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায়।
১০ ঘণ্টা আগে