Ajker Patrika

দ্বন্দ্ব আরও চাঙা হতে পারে পদোন্নতির প্রক্রিয়ায়

  • উপসচিবসহ তিন স্তরে পদোন্নতির তৎপরতা
  • এসএসবির সভা শুরু হয়েছে সোমবার থেকে
  • বর্তমান বিধিতে পদোন্নতিতে ক্ষুব্ধ হবে অন্য কাডার
শহীদুল ইসলাম, ঢাকা
আপডেট : ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৬: ১৪
প্রশাসন ক্যাডারের কর্মকর্তারা সচিবালয়ে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে অবস্থান নিয়েছেন। ছবি: আজকের পত্রিকা
প্রশাসন ক্যাডারের কর্মকর্তারা সচিবালয়ে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে অবস্থান নিয়েছেন। ছবি: আজকের পত্রিকা

উপসচিব পুলের কোটা নিয়ে দুই পক্ষের পাল্টাপাল্টি অবস্থানের মধ্যেই উপসচিবসহ আরও দুই স্তরে পদোন্নতি দিতে সুপিরিয়র সিলেকশন বোর্ডের (এসএসবি) সভা শুরু হয়েছে। বর্তমান বিধিমালা অনুযায়ী পদোন্নতি দেওয়া হলে প্রশাসন ক্যাডারের ৭৫ শতাংশ কর্মকর্তাকে উপসচিব পদে পদোন্নতি দিতে হবে। এই উপসচিব পুলের কোটা নিয়েই বিবাদে জড়িয়েছে দুই পক্ষ।

বর্তমান বিধিমালার আলোকে প্রশাসন ক্যাডারের ৭৫ শতাংশ কর্মকর্তাকে উপসচিব পদে পদোন্নতির প্রক্রিয়া শুরুর খবরে ২৫ ক্যাডারের কর্মকর্তাদের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে বলে জানিয়েছেন আন্তক্যাডার বৈষম্য নিরসন পরিষদের সমন্বয়ক মুহম্মদ মফিজুর রহমান। এ নিয়ে কর্মকর্তাদের আপত্তি থাকলেও উপসচিব পুল নিয়ে স্থায়ী সমাধান চাইছেন তাঁরা।

আন্তক্যাডার বৈষম্য নিরসন পরিষদের সমন্বয়ক গতকাল মঙ্গলবার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা স্থায়ী একটি সমাধান চাই। সরকার এখন কী করছে, সে সব নিয়ে আমরা কথা বলব না। আমরা কাঠামোগত পরিবর্তন চাই। উপসচিব পুল নিয়ে স্থায়ী সমাধান করা দরকার, যাতে ভবিষ্যতে আর জটিলতা সৃষ্টি না হয়।’

জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, উপসচিব, যুগ্ম সচিব ও অতিরিক্ত সচিব পদে পদোন্নতি দিতে গত সোমবার থেকে এসএসবির সভা শুরু হয়েছে। মন্ত্রিপরিষদ সচিব শেখ আব্দুর রশীদের সভাপতিত্বে গতকাল সন্ধ্যায় দ্বিতীয় সভায় বসে এসএসবি। তিন স্তরে পদোন্নতি দিতে ১ হাজার ৬৮০ জন কর্মকর্তার তথ্য যাচাই করা হচ্ছে।

জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের নিয়োগ, পদোন্নতি ও প্রেষণ (এপিডি) অনুবিভাগের এক কর্মকর্তা বলেন, কর্মকর্তাদের পদোন্নতি দেওয়া সরকারের দৈনন্দিন কাজের অংশ। এ ক্ষেত্রে সবশেষ বিধিবিধানের আলোকেই পদোন্নতি দেওয়া হবে।

বিধিমালা অনুযায়ী, উপসচিব পদে প্রশাসন ক্যাডারের ৭৫% এবং অন্য সব ক্যাডারের ২৫% কর্মকর্তাকে পদোন্নতি দেওয়া হয়। প্রশাসন ছাড়া অন্য ক্যাডার থেকে উপসচিব পুলে ঢুকতে হলে সরকারের কাছে লিখিত আবেদন করতে হয়।

বর্তমানে ১৫৯৮ জন উপসচিব, ৮৬২ জন যুগ্ম সচিব এবং ৪৫২ জন অতিরিক্ত সচিব কর্মরত। তবে উপসচিবের ১৭৫০, যুগ্ম সচিবের ৫০২ এবং অতিরিক্ত সচিবের ২১২টি স্থায়ী পদ রয়েছে। এসব স্থায়ী পদের বিপরীতে সুপারনিউমারারি পদ সৃষ্টি করে পদের অতিরিক্ত কর্মকর্তাদের পদোন্নতি দেওয়া হচ্ছে। সুপারনিউমারারি পদ সৃষ্টি করে পুলিশ ক্যাডারের কর্মকর্তাদেরও পদোন্নতি দেওয়া হয়। এর বাইরে অন্য কোনো ক্যাডারে এভাবে পদোন্নতি হয় না।

এপিডি উইং সূত্র জানায়, ওপরের স্তরে পদোন্নতির জন্য ৮১৯ জন জ্যেষ্ঠ সহকারী সচিব, ৫৭৩ জন উপসচিব এবং ২৮৮ জন যুগ্ম সচিব যোগ্যতা অর্জন করেছেন। এসব কর্মকর্তার বিষয়ে বিস্তারিত গোয়েন্দা প্রতিবেদন সংগ্রহ করেছে সরকার। এর বাইরে তাঁদের চাকরিকালের তথ্য-উপাত্ত এসএসবিতে পর্যালোচনা করা হচ্ছে।

জ্যেষ্ঠ সহকারী সচিব থেকে উপসচিব পদে পদোন্নতিতে এবার বিসিএস ৩০তম ব্যাচকে বিবেচনায় নেওয়া হয়েছে। এই ব্যাচে প্রশাসন ক্যাডারের ২৭৭ জন কর্মকর্তা রয়েছেন। এ ছাড়া উপসচিব পুলে যোগ দিতে অন্যান্য ক্যাডারের ২২৩ জন কর্মকর্তা আবেদন করেছেন। তাঁদের সঙ্গে পদোন্নতিবঞ্চিত ৩১৯ জন কর্মকর্তার উপসচিব পদে পদোন্নতির যোগ্যতা রয়েছে।

উপসচিব থেকে যুগ্ম সচিব পদে পদোন্নতির জন্য নিয়মিত ব্যাচ হিসেবে এবার বিসিএস ২৪তমকে বিবেচনা করা হচ্ছে। এই ব্যাচে প্রশাসন ক্যাডারের ৩৩৬ কর্মকর্তার মধ্যে ৩২৯ জন পদোন্নতির যোগ্যতা অর্জন করেছেন। এর বাইরে বিভিন্ন সময় পদোন্নতিবঞ্চিতসহ অন্য ক্যাডারের ২৪৪ জন কর্মকর্তা পদোন্নতির যোগ্যতা অর্জন করেছেন।

অন্যদিকে যুগ্ম সচিব থেকে অতিরিক্ত সচিব পদে পদোন্নতিতে নিয়মিত ব্যাচ হিসেবে ২০তমকে বিবেচনা করা হচ্ছে। অতিরিক্ত সচিব পদে পদোন্নতির জন্য ২৮৮ জন কর্মকর্তাকে বিবেচনায় নেওয়া হয়েছে।

১৭ ডিসেম্বর সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের প্রধান আব্দুল মুয়ীদ চৌধুরী জানান, উপসচিব পদে পদোন্নতিতে প্রশাসন ক্যাডারের ৫০ এবং অন্য সব ক্যাডার থেকে ৫০ শতাংশ কোটা রাখার সুপারিশ করবেন তাঁরা।

তবে প্রশাসন ছাড়া অন্য ২৫ ক্যাডারের কর্মকর্তারা উপসচিব পুলে কোটা তুলে দিয়ে মেধার ভিত্তিতে পদোন্নতির দাবিতে গতকাল ১ ঘণ্টা কলমবিরতি কর্মসূচি পালন করেছেন। আগামীকাল বৃহস্পতিবার মানববন্ধন করবেন তাঁরা।

অন্যদিকে উপসচিব পুলে প্রশাসনের কোটা কমানোর প্রস্তাবের প্রতিবাদে গত রোববার সচিবালয়ে নজিরবিহীন আড়াই ঘণ্টা অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন প্রশাসন ক্যাডারের চার শতাধিক কর্মকর্তা।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

পবিপ্রবি: নবনির্মিত শেডে উদ্বোধনের আগেই ফাটল, কাজের মান নিয়ে প্রশ্ন

পবিপ্রবি সংবাদদাতা
উদ্বোধনের আগেই ভেঙে গেছে বাসশেডের স্ল্যাব। ছবি: আজকের পত্রিকা
উদ্বোধনের আগেই ভেঙে গেছে বাসশেডের স্ল্যাব। ছবি: আজকের পত্রিকা

পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (পবিপ্রবি) বরিশাল ক্যাম্পাসে সদ্য নির্মিত বাসশেডের সামনের একটি স্ল্যাব উদ্বোধনের আগেই ভেঙে পড়েছে। এতে গর্তের সৃষ্টি হওয়ায় নির্মাণের মান ও স্বচ্ছতা নিয়ে শিক্ষার্থী ও সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের মধ্যে তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে।

বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, টিনের ছাউনিযুক্ত এই বাসশেড নির্মাণে প্রায় ১৪ লাখ টাকা বরাদ্দ ছিল। তবে উদ্বোধনের আগেই স্ল্যাব ভেঙে পড়ায় প্রকল্পের গুণগত মান নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। ঘটনাস্থলে ছড়িয়ে থাকা দুর্বল কংক্রিট, খোয়া ও মরিচা পড়া রডের টুকরাগুলো নিম্নমানের নির্মাণসামগ্রী ব্যবহারের প্রমাণ হিসেবে দেখা হচ্ছে।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের একাধিক শিক্ষার্থী বলেন, নতুন স্থাপনার এমন পরিণতি উদ্বেগজনক। এটি ভবিষ্যতে অন্যান্য নির্মাণ প্রকল্পের মান নিয়েও সন্দেহ সৃষ্টি করছে।

এদিকে ঘটনার পর সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ স্ল্যাব পুনর্নির্মাণের কাজ শুরু করেছে। এ বিষয়ে ঠিকাদার আব্দুল হালিম বলেন, ‘সাধারণত নির্মাণকাজ শেষ হওয়ার পর ২৭ দিন পর্যন্ত ব্যবহার না করার নির্দেশনা থাকে। কিন্তু ভারী মালবাহী ট্রাক চলাচলের কারণে স্ল্যাবের এক পাশে ক্ষতি হয়েছে।’ নিম্নমানের ইট ব্যবহারের অভিযোগ সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘শুরুর দিকে কিছু পুরোনো ইট ব্যবহার করা হয়েছিল। তবে অভিযোগ পাওয়ার পর তা বন্ধ করা হয়েছে।’

এ বিষয়ে মনিটরিং কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. আহসানুর রেজা আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘নিম্নমানের ইট ব্যবহারের কথা জানার সঙ্গে সঙ্গে আমরা দ্রুত ব্যবস্থা নিয়েছি, কাজ বন্ধ করে দিয়েছি। খুব দ্রুত আমরা এটি ঠিক করার ব্যবস্থা করব।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

প্রেমিকা আসার খবরে বাড়ি থেকে পালালেন প্রেমিক, বিয়ের দাবিতে অনশন

তাড়াশ (সিরাজগঞ্জ) সংবাদদাতা
প্রেমিকা আসার খবরে বাড়ি থেকে পালালেন প্রেমিক, বিয়ের দাবিতে অনশন

িয়ের দাবিতে চাচার শ্যালিকা দুই দিন ধরে ভাতিজার বাড়িতে অবস্থান নিয়ে অনশন করছেন। প্রেমিকা (১৮) বাড়িতে আসার খবর পেয়ে পালিয়ে গেছেন প্রেমিক সোহান হোসেন (২০)। গতকাল সোমবার সিরাজগঞ্জের তাড়াশ উপজেলার বোয়ালিয়া গ্রামের পশ্চিমপাড়ায় এই ঘটনা ঘটে।

ওই তরুণী প্রেমিক সোহান হোসেনের চাচার আপন শ্যালিকা। সোহান হোসেন বোয়ালিয়া গ্রামের জাব্বার সরকারের ছেলে।

স্থানীয় বাসিন্দারা বলছেন, ভাতিজা ও খালার মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক আগে থেকে। উভয়ের বাড়ি একই এলাকায় হওয়ার তাঁরা অনায়াসে যাতায়াত করতেন। এর আগেও জাব্বার সরকারের বাড়িতে বিয়ের দাবি তুলেছিলেন ওই তরুণী। পরে বুঝিয়ে তাঁকে ফেরত পাঠানো হয়েছিল। এবার বিয়ের দাবিতে অনশন শুরু করলে প্রেমিক পালিয়ে যান।

প্রত্যক্ষদর্শীরা বলছেন, সোহানের বাড়ির সামনে উৎসুক নারী-পুরুষের ভিড় জমেছে। গণমাধ্যমকর্মীরা পৌঁছালে জাব্বার সরকারের পরিবারের লোকেরা কথা বলতে রাজি হননি। অনশনরত ওই তরুণী এখনো বাড়িতে অবস্থান করছেন, তবে কাউকে বাড়িতে প্রবেশ বা কথা বলা নিষিদ্ধ করেছেন সোহানের বাবা।

স্থানীয় লোকজন জানায়, জাব্বার সরকারের বাড়িতে গত রাত থেকে তাঁর ছেলের কথিত প্রেমিকা অনশন শুরু করেন। এতে ক্ষুব্ধ এলাকাবাসী সোহান হোসেনের এমন অসামাজিক কর্মকাণ্ড দেখে পরিবারের যাতায়াতের পথও বন্ধ করে দিয়েছেন। কিন্তু উৎসুক জনতা সেসব উপেক্ষা করে সেখানে ভিড় জমাচ্ছেন।

জানতে চাইলে ইউপি সদস্য সোলায়মান হোসেন জানান, ‘মহিলার সঙ্গে আমার কথা হয়েছে। তিনি জানিয়েছেন, তাঁদের সম্পর্ক প্রায় দেড় মাস ধরে। গত সোমবার রাত থেকে তিনি জাব্বারের বাড়িতে অবস্থান করছেন, কিন্তু ছেলেটি পালিয়ে গেছেন।’

এ বিষয়ে তাড়াশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জিয়াউর রহমান বলেন, ‘আমি এখনো বিষয়টি জানি না। কেউ অবহিত করেননি। তাই এ বিষয়ে মন্তব্য করতে পারছি না।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

স্বতন্ত্র প্রার্থী হতে এনসিপি থেকে পদত্যাগ

নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী
আপডেট : ২৮ অক্টোবর ২০২৫, ১৪: ৩৩
পরিমল চন্দ্র ওঁরাও। ছবি: সংগৃহীত
পরিমল চন্দ্র ওঁরাও। ছবি: সংগৃহীত

নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়ার জন্য জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) রাজশাহী মহানগর সমন্বয় কমিটি থেকে পদত্যাগ করেছেন এক সদস্য। তাঁর নাম পরিমল চন্দ্র ওঁরাও। গতকাল সোমবার দিবাগত রাতে এনসিপির রাজশাহী মহানগর সমন্বয় কমিটির প্রধান সমন্বয়কারীর কাছে পদত্যাগপত্র পাঠিয়েছেন তিনি।

এতে পরিমল চন্দ্র লিখেছেন, ‘সম্প্রতি ব্যক্তিগত জীবনে কিছু নতুন দায়িত্ব ও উদ্যোগের কারণে আমার সময় ও মনোযোগ সম্পূর্ণভাবে সেদিকে দিতে হচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে দলের কাজের প্রতি আগের মতো সম্পূর্ণভাবে মনোনিবেশ করা সম্ভব হচ্ছে না, যা দলের প্রতি অন্যায় হবে বলে মনে করি।’

পরিমল চন্দ্র ওঁরাও বাংলাদেশ আদিবাসী ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের সাবেক সদস্য। নওগাঁর মহাদেবপুর উপজেলায় তাঁর বাড়ি। তবে তিনি রাজশাহীতে থাকতেন। তাই এনসিপির মহানগর সমন্বয় কমিটিতে সদস্যপদ পেয়েছিলেন। তিনি এখন নওগাঁয় রাজনীতি করতে চান।

জানতে চাইলে পরিমল চন্দ্র ওঁরাও বলেন, ‘আমি নওগাঁ-৩ আসন থেকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করতে চাই। তাই এনসিপি থেকে পদত্যাগ করেছি। আমি এনসিপিতে থাকব না।’

যোগাযোগ করা হলে এনসিপির রাজশাহী মহানগর সমন্বয় কমিটির প্রধান সমন্বয়কারী মোবাশ্বের আলী তাঁর পদত্যাগপত্রটি পেয়েছেন জানিয়ে বলেন, ‘এ বিষয়ে নিয়ম অনুযায়ী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

কারখানা খুলে দেওয়ার দাবিতে শ্রমিকদের দফায় দফায় মহাসড়ক অবরোধ, পুলিশের লাঠিপেটা

শ্রীপুর (গাজীপুর) প্রতিনিধি  
গাজীপুরের শ্রীপুরে কারখানা খুলে দেওয়ার দাবিতে শ্রমিকদের মহাসড়ক অবরোধ করলে সরিয়ে দিতে পুলিশের লাঠিপেটা। ছবি: আজকের পত্রিকা
গাজীপুরের শ্রীপুরে কারখানা খুলে দেওয়ার দাবিতে শ্রমিকদের মহাসড়ক অবরোধ করলে সরিয়ে দিতে পুলিশের লাঠিপেটা। ছবি: আজকের পত্রিকা

গাজীপুরের শ্রীপুরে কারখানা খুলে দেওয়ার দাবিতে দফায় দফায় মহাসড়ক অবরোধ করেন এএ ইয়ার্ন মিলস লিমিটেডের শ্রমিকেরা। এ সময় তাঁরা সড়কে টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ করেন। পরে শ্রমিকদের সরিয়ে দিতে পুলিশ সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ ও লাঠিপেটা করেছে। এতে বেশ কয়েকজন শ্রমিক আহত হয়েছেন।

গাজীপুরের শ্রীপুর, কারখানা খুলে দেওয়ার দাবি, শ্রমিকদের দফায় দফায় মহাসড়ক অবরোধ, পুলিশ সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ, লাঠিপেটা
গাজীপুরের শ্রীপুর, কারখানা খুলে দেওয়ার দাবি, শ্রমিকদের দফায় দফায় মহাসড়ক অবরোধ, পুলিশ সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ, লাঠিপেটা

আজ মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে উপজেলার গাজীপুর ইউনিয়নের নগরহাওলা গ্রামে এএ ইয়ার্ন মিলস লিমিটেড কারখানার শ্রমিকেরা ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের কয়েকটি পয়েন্টে দফায় দফায় অবরোধ করেন।

কারখানার শ্রমিক সুজন মিয়া বলেন, ‘গত সেপ্টেম্বর মাসের বকেয়া বেতনের দাবিতে ২৩ তারিখ কারখানার প্রায় সব শ্রমিক আন্দোলন করে। সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করে। এরপর পুলিশ-সেনাবাহিনীর সদস্যরা এসে বেতন পরিশোধের আশ্বাসে আন্দোলন বন্ধ করেন। কারখানা কর্তৃপক্ষ জানিয়েছিল, সোমবার থেকে পুরোদমে কারখানা চালু হবে। কিন্তু গতকাল সোমবার কর্মস্থলে এসে দেখি মূল ফটকের সামনে কারখানা বন্ধের অনির্দিষ্টকালের নোটিশ।

গাজীপুরের শ্রীপুর, কারখানা খুলে দেওয়ার দাবি, শ্রমিকদের দফায় দফায় মহাসড়ক অবরোধ
গাজীপুরের শ্রীপুর, কারখানা খুলে দেওয়ার দাবি, শ্রমিকদের দফায় দফায় মহাসড়ক অবরোধ

এরপর পুলিশ আমাদের আশ্বাস দেয় যে আজ মঙ্গলবার ১০টার দিকে কারখানা খুলে দেওয়ার বিষয়ে সিদ্ধান্ত দেবে। কিন্তু কারখানা ফটকের সামনে এসে দেখি কারখানা বন্ধের নোটিশ। এরপরই শ্রমিকেরা রাস্তায় নামে। রাস্তায় নামার পরপরই পুলিশ এসে কোনো কথা না বলে লাঠিপেটা ও সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করে।’

কারখানার শ্রমিক ঝুটন বলেন, ‘হঠাৎ করে কারখানা অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করল। আমাদের বেতন-ভাতা পরিশোধ করল না। দীর্ঘদিন ধরে এই কারখানায় শ্রমিকের কাজ করছি। কয়েক মাস ধরে বেতন পরিশোধ নিয়ে টালবাহানা করছে। হঠাৎ আন্দোলনের জেরে কারখানা অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করছে। আমার বকেয়া বেতনসহ অনন্য দাবি পরিশোধ না করে কারখানা বন্ধ করা হয়েছে, যা শ্রমিকদের সঙ্গে অনেক অন্যায় করা হয়েছে।’

জানতে চাইলে কারখানার মানবসম্পদ কর্মকর্তা মো. মনির হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘২৩ অক্টোবর শ্রমিকেরা বেতন দাবির সময় কারখানার ভেতরে গুরুত্বপূর্ণ যন্ত্রপাতি ভাঙচুর করে। ফলে কারখানা চালু রাখা সম্ভব নয়। মালিকপক্ষের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী কারখানাটি অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।’

এ বিষয়ে শিল্প পুলিশের ইন্সপেক্টর আব্দুল লতিফ বলেন, ‘কয়েক দিন ধরেই কারখানায় নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। শ্রমিকেরা শান্তিপূর্ণভাবে বিক্ষোভ করলেও আজকে তারা মহাসড়ক অবরোধ করে। তাদের মহাসড়ক থেকে সরিয়ে নিতে আমরা সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করি। কিন্তু শ্রমিকেরা দফায় দফায় রাস্তায় নামছে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত