Ajker Patrika

সৌদিতে নির্যাতনের শিকার ১২ গৃহকর্মী দেশে ফিরলেন

উত্তরা-বিমানবন্দর (ঢাকা) প্রতিনিধি
আপডেট : ০৩ জুন ২০২৩, ২৩: ১২
সৌদিতে নির্যাতনের শিকার ১২ গৃহকর্মী দেশে ফিরলেন

সৌদিতে গৃহকর্মী হিসেবে কাজ করতে গিয়ে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনের শিকার হয়ে দেশে ফিরেছেন ১২ গৃহকর্মী। আজ শনিবার বিকেলে এয়ার ইন্ডিগো এয়ারলাইনসের একটি ফ্লাইটে হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছান তাঁরা। 

রাতে তথ্যটি নিশ্চিত করেন বিমানবন্দর আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জিয়াউল হক। এ সময় ব্র‍্যাকের মাইগ্রেশন প্রকল্পের প্রতিনিধিও উপস্থিত ছিলেন। 

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জিয়াউল হক বলেন, সৌদি আরবে গৃহকর্মীর কাজে গিয়ে সেখানে নির্যাতনের শিকার হওয়ার পর বিমানবন্দর এপিবিএনের অনুসন্ধান ও প্রচেষ্টায় দেশে ফিরেছে ভুক্তভোগী ১২ নারী কর্মী। 

তিনি জানান, গত মে মাসে একজন নারী ভুক্তভোগীর স্বামী বিমানবন্দর আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের কাছে অভিযোগ করেন যে, তাঁর স্ত্রী ৬ মাস আগে এম এইচ ট্রেড ইন্টারন্যাশনাল নামে একটি রিক্রুটিং এজেন্সির মাধ্যমে গৃহকর্মীর কাজ করতে সৌদি আরব গিয়েছেন। কিন্তু সেখানে যাওয়ার পর থেকে তিনি তাঁর স্ত্রীর সঙ্গে কোনোভাবেই যোগাযোগ করতে পারছিলেন না। লোকমুখে তিনি জানতে পারেন, তাঁর স্ত্রী শারীরিক এবং মানসিকভাবে নির্যাতনের শিকার হচ্ছেন। তিনি তাঁর স্ত্রীকে দেশে ফিরিয়ে আনতে এপিবিএনের সহযোগিতা চান। একই সঙ্গে যে ট্রাভেল এজেন্সির মাধ্যমে সৌদিতে গিয়েছেন সেই এজেন্সির বিরুদ্ধে অভিযোগ জানান। এরপর এয়ারপোর্ট এপিবিএনের গোয়েন্দা দল বিষয়টি নিয়ে কাজ শুরু করে। 

জিয়াউল হক জানান, এরপর ট্রাভেল এজেন্সির সঙ্গে যোগাযোগ করা হয় এবং অভিযোগের বিষয়টি সম্পর্কে জানতে চাওয়া হয়। ভুক্তভোগী নারী কোথায় কি অবস্থায় আছে সে বিষয়েও তথ্য জানতে চাওয়া হয়। এজেন্সি বিষয়টি বুঝতে পারে যে ইস্যুটি নিয়ে এপিবিএন গুরুত্ব সহকারে কাজ করছে। এ সময় অভিযুক্ত রিক্রুটিং এজেন্সির অফিস বন্ধ করে দেওয়া হয়, গা ঢাকা দেন সেখানে কাজ করা কর্মচারীরা। তারা মনে করেছে ভুক্তভোগী নারীদের দেশে ফিরিয়ে আনলে হয়তো তাঁরা আইনগত জটিলতার বিষয়টি থেকে মুক্তি পাবেন। যার কারণে ট্রাভেল এজেন্সি সৌদি থেকে নির্যাতনের শিকার হওয়া ১২ নারী ভুক্তভোগীকে আজ শনিবার বিকেলে দেশে ফিরিয়ে আনে। দেশে ফিরে আসা নারীদের কাছ থেকে এপিবিএনের তদন্ত দল বিভিন্ন তথ্য উপাত্ত সংগ্রহ করছেন। 

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের বরাত দিয়ে জিয়াউল হক বলেন, ভুক্তভোগী প্রত্যেকেই বিভিন্ন ভাবে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনের স্বীকার হয়েছেন। 

ভুক্তভোগীদের অভিযোগের ভিত্তিতে ট্রাভেল এজেন্সিসহ অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানান পুলিশের এই কর্মকর্তা।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত