নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
শুধু জাল নোট তৈরি কিংবা বিক্রি নয়, জাল নোট তৈরির প্রযুক্তিও বিক্রি করে আসছিলেন লিয়াকত হোসেন জাকির ওরফে মাজার জাকির। জাল নোট তৈরির কারিগরদের কাছে তিনি ‘গুরু জাকির’ নামে পরিচিত। ২৫ বছর ধরে এই কাজের সঙ্গে যুক্ত আছেন তিনি। জাকিরসহ চক্রের চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা বিভাগ।
আজ শনিবার সকাল ৯টা থেকে দুপুর পর্যন্ত রাজধানীর যাত্রাবাড়ী দনিয়া ও কদমতলী এলাকায় অভিযান চালিয়ে ডিএমপির লালবাগ গোয়েন্দা বিভাগ তাঁদের গ্রেপ্তার করে।
গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন লিয়াকত হোসেন জাকির ওরফে মাজার জাকির, তাঁর চার নারী সহযোগী লিমা আক্তার রিনা, সাজেদা আক্তার, রোমানা ইসলাম ও মমতাজ বেগম। তাঁদের বিরুদ্ধে কদমতলী থানায় বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলা হয়েছে।
ঈদকে সামনে রেখে পশুর হাটে জাল নোট ছড়িয়ে দিতে এসব চক্র ফের সক্রিয় হয়ে উঠেছে বলে জানিয়েছে ডিবি।
ডিবি লালবাগ বিভাগের উপকমিশনার মশিউর রহমান বলেন, যাত্রাবাড়ীর দনিয়া ও কদমতলী এলাকার দুটি বাসায় অভিযান চালিয়ে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়। তাঁদের তৈরি করা প্রায় সোয়া এক কোটি জাল টাকা এবং আরও প্রায় তিন কোটি জাল নোট তৈরির সরঞ্জাম জব্দ করা হয়েছে। দুটি বাসায় দীর্ঘদিন ধরে জাল নোট তৈরি করা হতো। চক্রটি কম্পিউটারে গ্রাফিকস ও ফটোশপের মাধ্যমে জাল নোটে নিরাপত্তা সুতা, ওয়াটার মার্ক ও কালার শিফটিং কোয়ালিটি সবকিছু নিখুঁতভাবে করে। সাধারণ চোখে তাঁদের তৈরি জাল নোট নকল মনে হয় না। তবে বেশিক্ষণ নাড়াচাড়া করে দেখলে বা মেশিনে ধরলে এটি ধরা পড়ে। জাল নোট তৈরির সময় সহযোগী বা অন্য কেউ কারখানায় ধরা পড়লে জাকির মাজারে মাজারে অবস্থান করে। তখন মাজারের কর্মী হয়ে ঘুরে বেড়ান। এ জন্য তাঁকে মাজার জাকির বলা হয়।
ডিবি জানায়, বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলায় জাল নোটের ছোট ছোট ঘরোয়া কারখানা স্থাপনকারীরা জাকিরের কাছ থেকে কারিগর, সফটকপি, পরামর্শ এমনকি মডেল জাল টাকা ও রুপি নেয়। নতুন অপরাধীদের কাছে জাকির প্রযুক্তি বিক্রি করে। এ জন্য এই অপরাধীদের কাছে জাকির ‘গুরু জাকির’ হিসেবেও পরিচিত।
২৫ বছর ধরে জাল নোটের খুচরা ও পাইকারি ব্যবসা করার পাশাপাশি বিভিন্ন মানের জাল নোট ও জাল রুপি তৈরিতে অত্যন্ত দক্ষ লিয়াকত হোসেন জাকির। ২০১২ সাল থেকে ৫০০ ও ১০০০ টাকার জালনো ট তৈরি করলেও বর্তমানে মানুষ যাতে সন্দেহ না করে, সে জন্য বড় নোট জাল করার পাশাপাশি ১০০ টাকা, ২০০ টাকার নোটও জাল করে থাকেন।
এর আগে ২০১৩, ২০১৮ ও ২০২০ সালে জাকিরকে অন্তত ছয়বার গ্রেপ্তার করা হন। তবে তিনি সংশোধন হননি। জামিনে বেরিয়ে পুরোনো অপরাধে জড়ান। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর চোখ এড়াতে তিনি খুলনা ও বাগেরহাটের বিলাসবহুল এলাকায় বাসাভাড়া নিয়ে সিসি ক্যামেরায় নজরদারি করে বাসার ভেতরে জাল নোট তৈরি ও বিক্রি করার কাজ করে আসছিলেন।
বাগেরহাট ও খুলনা এলাকা থেকে উত্তরাঞ্চলের জাল নোটের কারবারিরা টাকা নিতে ঝুঁকি হওয়ায় যাত্রাবাড়ীর দনিয়ায় লিমা আক্তার রিনার বাসায় একটি অস্থায়ী কারখানা গড়ে তোলেন তিনি। সেখান থেকেই ঈদে জাল নোট সরবরাহ করার কথা ছিল। আগে জাল নোটের একটি এক লাখ টাকার বান্ডিল ১২ থেকে ১৫ হাজার টাকায় বিক্রি হলেও বর্তমানে কাগজ, ল্যাপটপ, কম্পিউটারের কালি ও আনুষঙ্গিক উপকরণের দাম বেড়ে যাওয়ায় প্রতিটি ১০০০ টাকার এক লাখের একটি বান্ডিল ১৮ থেকে ২০ হাজার টাকায় বিক্রি করতেন জাকির। তিনি বিভিন্ন এলাকায় জাল নোট পাইকারি বিক্রি করতেন। পুরুষ–নারী মিলে তাঁর প্রায় ১৫–২০ জন কর্মচারী রয়েছে। তাঁদের তিনি দুই থেকে আড়াই লাখ টাকা বেতন দিতেন। অনলাইনে জাল নোটের অর্ডার নিতেন জাকির। এরপর কুরিয়ারের মাধ্যমে পৌঁছে দিতেন।
জাকিরের সহযোগী লিমা আক্তার রিনা এর আগে দুবার এবং রুমানা ইসলাম ইয়াবা ও আইসসহ গ্রেপ্তার হয়ে জেলহাজতে ছিলেন।
জাল নোট তৈরি চক্রের বিষয়ে ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার (ডিবি) হারুন অর রশীদ বলেন, ঈদকে সামনে রেখে এই চক্র সক্রিয় হয়ে উঠেছিল। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তারা বাজারে কী পরিমাণ টাকা ছেড়েছে, সে বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
হারুন অর রশীদ বলেন, পশুর হাটগুলোতে যন্ত্রের মাধ্যমে টাকা আসল–নকল যাচাই করে গ্রহণ করতে হবে। সতর্ক থাকতে হবে। সচেতন হতে হবে। জাকিরকে এর আগেও একাধিকবার গ্রেপ্তার করা হয়। তবে প্রতিবারই জামিন পেয়ে একই অপরাধে জড়ান। জেলখানায় গিয়ে নতুন নতুন চক্র তৈরি করেন, জামিনের পর তাঁদের নিয়ে জাল নোটের ব্যবসা তৈরি করেন।
শুধু জাল নোট তৈরি কিংবা বিক্রি নয়, জাল নোট তৈরির প্রযুক্তিও বিক্রি করে আসছিলেন লিয়াকত হোসেন জাকির ওরফে মাজার জাকির। জাল নোট তৈরির কারিগরদের কাছে তিনি ‘গুরু জাকির’ নামে পরিচিত। ২৫ বছর ধরে এই কাজের সঙ্গে যুক্ত আছেন তিনি। জাকিরসহ চক্রের চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা বিভাগ।
আজ শনিবার সকাল ৯টা থেকে দুপুর পর্যন্ত রাজধানীর যাত্রাবাড়ী দনিয়া ও কদমতলী এলাকায় অভিযান চালিয়ে ডিএমপির লালবাগ গোয়েন্দা বিভাগ তাঁদের গ্রেপ্তার করে।
গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন লিয়াকত হোসেন জাকির ওরফে মাজার জাকির, তাঁর চার নারী সহযোগী লিমা আক্তার রিনা, সাজেদা আক্তার, রোমানা ইসলাম ও মমতাজ বেগম। তাঁদের বিরুদ্ধে কদমতলী থানায় বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলা হয়েছে।
ঈদকে সামনে রেখে পশুর হাটে জাল নোট ছড়িয়ে দিতে এসব চক্র ফের সক্রিয় হয়ে উঠেছে বলে জানিয়েছে ডিবি।
ডিবি লালবাগ বিভাগের উপকমিশনার মশিউর রহমান বলেন, যাত্রাবাড়ীর দনিয়া ও কদমতলী এলাকার দুটি বাসায় অভিযান চালিয়ে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়। তাঁদের তৈরি করা প্রায় সোয়া এক কোটি জাল টাকা এবং আরও প্রায় তিন কোটি জাল নোট তৈরির সরঞ্জাম জব্দ করা হয়েছে। দুটি বাসায় দীর্ঘদিন ধরে জাল নোট তৈরি করা হতো। চক্রটি কম্পিউটারে গ্রাফিকস ও ফটোশপের মাধ্যমে জাল নোটে নিরাপত্তা সুতা, ওয়াটার মার্ক ও কালার শিফটিং কোয়ালিটি সবকিছু নিখুঁতভাবে করে। সাধারণ চোখে তাঁদের তৈরি জাল নোট নকল মনে হয় না। তবে বেশিক্ষণ নাড়াচাড়া করে দেখলে বা মেশিনে ধরলে এটি ধরা পড়ে। জাল নোট তৈরির সময় সহযোগী বা অন্য কেউ কারখানায় ধরা পড়লে জাকির মাজারে মাজারে অবস্থান করে। তখন মাজারের কর্মী হয়ে ঘুরে বেড়ান। এ জন্য তাঁকে মাজার জাকির বলা হয়।
ডিবি জানায়, বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলায় জাল নোটের ছোট ছোট ঘরোয়া কারখানা স্থাপনকারীরা জাকিরের কাছ থেকে কারিগর, সফটকপি, পরামর্শ এমনকি মডেল জাল টাকা ও রুপি নেয়। নতুন অপরাধীদের কাছে জাকির প্রযুক্তি বিক্রি করে। এ জন্য এই অপরাধীদের কাছে জাকির ‘গুরু জাকির’ হিসেবেও পরিচিত।
২৫ বছর ধরে জাল নোটের খুচরা ও পাইকারি ব্যবসা করার পাশাপাশি বিভিন্ন মানের জাল নোট ও জাল রুপি তৈরিতে অত্যন্ত দক্ষ লিয়াকত হোসেন জাকির। ২০১২ সাল থেকে ৫০০ ও ১০০০ টাকার জালনো ট তৈরি করলেও বর্তমানে মানুষ যাতে সন্দেহ না করে, সে জন্য বড় নোট জাল করার পাশাপাশি ১০০ টাকা, ২০০ টাকার নোটও জাল করে থাকেন।
এর আগে ২০১৩, ২০১৮ ও ২০২০ সালে জাকিরকে অন্তত ছয়বার গ্রেপ্তার করা হন। তবে তিনি সংশোধন হননি। জামিনে বেরিয়ে পুরোনো অপরাধে জড়ান। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর চোখ এড়াতে তিনি খুলনা ও বাগেরহাটের বিলাসবহুল এলাকায় বাসাভাড়া নিয়ে সিসি ক্যামেরায় নজরদারি করে বাসার ভেতরে জাল নোট তৈরি ও বিক্রি করার কাজ করে আসছিলেন।
বাগেরহাট ও খুলনা এলাকা থেকে উত্তরাঞ্চলের জাল নোটের কারবারিরা টাকা নিতে ঝুঁকি হওয়ায় যাত্রাবাড়ীর দনিয়ায় লিমা আক্তার রিনার বাসায় একটি অস্থায়ী কারখানা গড়ে তোলেন তিনি। সেখান থেকেই ঈদে জাল নোট সরবরাহ করার কথা ছিল। আগে জাল নোটের একটি এক লাখ টাকার বান্ডিল ১২ থেকে ১৫ হাজার টাকায় বিক্রি হলেও বর্তমানে কাগজ, ল্যাপটপ, কম্পিউটারের কালি ও আনুষঙ্গিক উপকরণের দাম বেড়ে যাওয়ায় প্রতিটি ১০০০ টাকার এক লাখের একটি বান্ডিল ১৮ থেকে ২০ হাজার টাকায় বিক্রি করতেন জাকির। তিনি বিভিন্ন এলাকায় জাল নোট পাইকারি বিক্রি করতেন। পুরুষ–নারী মিলে তাঁর প্রায় ১৫–২০ জন কর্মচারী রয়েছে। তাঁদের তিনি দুই থেকে আড়াই লাখ টাকা বেতন দিতেন। অনলাইনে জাল নোটের অর্ডার নিতেন জাকির। এরপর কুরিয়ারের মাধ্যমে পৌঁছে দিতেন।
জাকিরের সহযোগী লিমা আক্তার রিনা এর আগে দুবার এবং রুমানা ইসলাম ইয়াবা ও আইসসহ গ্রেপ্তার হয়ে জেলহাজতে ছিলেন।
জাল নোট তৈরি চক্রের বিষয়ে ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার (ডিবি) হারুন অর রশীদ বলেন, ঈদকে সামনে রেখে এই চক্র সক্রিয় হয়ে উঠেছিল। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তারা বাজারে কী পরিমাণ টাকা ছেড়েছে, সে বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
হারুন অর রশীদ বলেন, পশুর হাটগুলোতে যন্ত্রের মাধ্যমে টাকা আসল–নকল যাচাই করে গ্রহণ করতে হবে। সতর্ক থাকতে হবে। সচেতন হতে হবে। জাকিরকে এর আগেও একাধিকবার গ্রেপ্তার করা হয়। তবে প্রতিবারই জামিন পেয়ে একই অপরাধে জড়ান। জেলখানায় গিয়ে নতুন নতুন চক্র তৈরি করেন, জামিনের পর তাঁদের নিয়ে জাল নোটের ব্যবসা তৈরি করেন।
চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে প্রধান শিক্ষক ছাড়াই দীর্ঘদিন ধরে চলছে ১১টি মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও মাদ্রাসা। প্রধান শিক্ষকবিহীন এসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পরিচালিত হচ্ছে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক দিয়ে। অভিযোগ রয়েছে, যেসব ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক দিয়ে প্রতিষ্ঠানগুলো পরিচালিত হচ্ছে, তাঁদের অনেকেরই প্রধান শিক্ষক হওয়ার যোগ
২ ঘণ্টা আগেদুই দশক কিছুটা শান্ত থাকার পর কুড়িগ্রামের চিলমারী-রৌমারী-রাজিবপুর নৌপথে আবার ডাকাতের দৌরাত্ম্য বেড়েছে। এক মাসের ব্যবধানে দুবার ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। এ দুই ঘটনায় আইনগত কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। প্রতিরোধেও কার্যকর উদ্যোগ নেই স্থানীয় প্রশাসনের। আবার ডাকাতি শুরু হওয়ায় ১৪ কিলোমিটার এই নৌপথের নৌযান, যাত্রী
৩ ঘণ্টা আগেরাত ১০টার দিকে ওই দুই যুবক মোটরসাইকেলে করে আড়ংঘাটা থানার লতার বাইপাস মোড় লিংক রোড থেকে বাইপাস মহাসড়ক পার হচ্ছিলেন। এ সময়ে আফিলগেট থেকে খুলনাগামী একটি বাস তাঁদের ধাক্কা দেয়।
৪ ঘণ্টা আগেনোয়াখালীর হাতিয়ায় গভীর রাতে বসতঘরে আগুন লেগে নিমাই চন্দ্র মজুমদার ও তাঁর স্ত্রী মিলনবালার মৃত্যু হয়েছে। শুক্রবার (৩১ জানুয়ারী) চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নেওয়ার পথে বিকেল ৫টায় নিমাই চন্দ্রের মৃত্যু হয়। হাসপাতালে পৌছার পর রাত ৯টার দিকে মিলন বালাও মারা যান।
৪ ঘণ্টা আগে