নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
জনপ্রিয় বাংলা গান ‘গাড়ি চলে না, চলে না’ এটিই যেন এখন ঢাকাবাসীর কানে প্রতিনিয়ত বাজছে। স্কুল, কারখানা, অফিস, আদালতসহ জরুরি কাজে রাস্তায় বের হওয়া মানুষদের পথেই বসে থাকতে হচ্ছে ঘণ্টার পর ঘণ্টা। এতে ভোগান্তি পৌঁছেছে চরমে। তিন দিন ছুটির পর আবারও সড়কে ব্যস্ততা বাড়ায় এই অতিরিক্ত যানজট বলে জানিয়েছেন গাড়ি চালকেরা।
আজ রোববার রাজধানীর বাড্ডা, রামপুরা, মালিবাগ, মৌচাক, মগবাজার, ফার্মগেট, মোহাম্মদপুর, ধানমন্ডি, মিরপুর, সাইন্সল্যাব, শাহবাগ, গুলিস্তান, ফকিরাপুল, মতিঝিলসহ বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে দেখা যায়, ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণে হিমশিম খাচ্ছে ট্রাফিক পুলিশ ৷ দমবন্ধ গরমে হাঁসফাঁস করছে বিভিন্ন পরিবহনের যাত্রীরা। গাড়ি এই চলেতো এই চলে না।
খিলগাঁও, বাসাবো, মুগদা, বনশ্রী ও মতিঝিলের অফিসগামী যাত্রীরা লেগুনা, বাসের আশা ছেড়ে দিয়ে হেঁটে যাওয়ার অভ্যাস শুরু করেছেন। একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা লিয়াকত হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘গাড়িতে মানুষ সময় বাঁচানোর জন্য ওঠে। মানুষ নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে গন্তব্যে পৌঁছানোর নিশ্চয়তা চায়। কিন্তু যানজটে পড়লে এখন আর কোনো কিছুরই নিশ্চয়তা নেই। হেঁটে গেলে বরং নির্দিষ্ট সময়ের আগে পৌঁছানো যায়।’
মোহাম্মদপুর বাসস্ট্যান্ড এলাকায় অপরিকল্পিতভাবে রাস্তা খোঁড়াখুঁড়ি ও কাজ চলার কারণে সেখানে হাঁটার জায়গাও নেই। রায়েরবাজারের একটি কারখানার শ্রমিক মোতালেব মিয়া বলেন, ‘শহর জুইড়া উন্নয়নের কাম চলতাসে অথচ এদিকে মাইনসের হাঁটার জায়গা নাই। উন্নয়নের কাম চললে মাইনসের এত অসুবিধা হইবো ক্যান?’
প্রসঙ্গত, করোনা মহামারি কারণে দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার পর কিছুদিন আগে প্রাইমারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোও খুলে দেওয়া হয়। পুরোদমে শুরু হয়েছে স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর কার্যক্রম। সশরীরে ক্লাস শুরু করেছে প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়গুলোও। এর সঙ্গে চলছে অফিস, কারখানা। ফলে বিভিন্ন এলাকায় তীব্র যানজট তৈরি হচ্ছে বলে মনে করছেন অনেকে।
কাকরাইলের উইলস লিটল ফ্লাওয়ার স্কুল ও কলেজের এক শিক্ষার্থীর অভিভাবক মরিয়ম সুলতানা বলেন, ‘সব স্কুল কলেজ খুলেছে তাই যানজট একটু বাড়া স্বাভাবিক। কিন্তু রাস্তার অবস্থাওতো ভালো না। রাস্তা আর ট্রাফিক সিস্টেম ভালো হলে এর চেয়ে বেশি গাড়ি, মানুষ রাস্তায় নামলেও সমস্যা হতো না।’
এমনটাই ভাবছেন ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণে ব্যস্ত সময় কাটানো ট্রাফিক কর্মকর্তারাও। চেষ্টা করছেন সবাইকে যথাসময়ে গন্তব্যে পৌঁছানোর নিশ্চয়তা দিতে। অতিরিক্ত যানজট মোকাবিলায় রাস্তায় মোতায়েন করা হয়েছে অতিরিক্ত ট্রাফিক সদস্যদের। পল্টন মোড়ে দায়িত্বরত ট্রাফিক ইন্সপেক্টর ইসমাইল হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সবকিছুই চলছে, সবাই রাস্তায় নামছে। মেট্রোরেলের কাজের ফিনিশিং চলছে। আরও কিছু কাজ চলছে ৷ এর ফলে যানজট বেড়েছে। এটি নিয়ন্ত্রণে অতিরিক্ত ট্রাফিক পুলিশ বিভিন্ন পয়েন্টে কাজ করছেন।’
যানজট নিরসনে সাধারণ মানুষের পাশাপাশি চিন্তার ভাঁজ পড়েছে মেয়র-মন্ত্রীদের কপালেও। তারা নিত্যনতুন ফর্মুলাও দিচ্ছেন। কিন্তু রাস্তার শৃঙ্খলা ও আইন যথাযথভাবে প্রয়োগ না হলে কোন ফর্মুলাই কাজে দেবে না বলে জানিয়েছেন রিকশাচালক কবির ফরাজি। তিনি বলেন, ‘ঢাকার রাস্তার আসল সমস্যা হইলো এইখানে কোনো আইন নাই, কোনো নিয়ম নাই। কেউ এসবের তোয়াক্কা করে না। সবাই আগে যেতে চায়। কিন্তু এইডা বুঝে না যে নিয়ম না মানলে কেউই আগে যাইতে পারব না।'
জনপ্রিয় বাংলা গান ‘গাড়ি চলে না, চলে না’ এটিই যেন এখন ঢাকাবাসীর কানে প্রতিনিয়ত বাজছে। স্কুল, কারখানা, অফিস, আদালতসহ জরুরি কাজে রাস্তায় বের হওয়া মানুষদের পথেই বসে থাকতে হচ্ছে ঘণ্টার পর ঘণ্টা। এতে ভোগান্তি পৌঁছেছে চরমে। তিন দিন ছুটির পর আবারও সড়কে ব্যস্ততা বাড়ায় এই অতিরিক্ত যানজট বলে জানিয়েছেন গাড়ি চালকেরা।
আজ রোববার রাজধানীর বাড্ডা, রামপুরা, মালিবাগ, মৌচাক, মগবাজার, ফার্মগেট, মোহাম্মদপুর, ধানমন্ডি, মিরপুর, সাইন্সল্যাব, শাহবাগ, গুলিস্তান, ফকিরাপুল, মতিঝিলসহ বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে দেখা যায়, ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণে হিমশিম খাচ্ছে ট্রাফিক পুলিশ ৷ দমবন্ধ গরমে হাঁসফাঁস করছে বিভিন্ন পরিবহনের যাত্রীরা। গাড়ি এই চলেতো এই চলে না।
খিলগাঁও, বাসাবো, মুগদা, বনশ্রী ও মতিঝিলের অফিসগামী যাত্রীরা লেগুনা, বাসের আশা ছেড়ে দিয়ে হেঁটে যাওয়ার অভ্যাস শুরু করেছেন। একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা লিয়াকত হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘গাড়িতে মানুষ সময় বাঁচানোর জন্য ওঠে। মানুষ নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে গন্তব্যে পৌঁছানোর নিশ্চয়তা চায়। কিন্তু যানজটে পড়লে এখন আর কোনো কিছুরই নিশ্চয়তা নেই। হেঁটে গেলে বরং নির্দিষ্ট সময়ের আগে পৌঁছানো যায়।’
মোহাম্মদপুর বাসস্ট্যান্ড এলাকায় অপরিকল্পিতভাবে রাস্তা খোঁড়াখুঁড়ি ও কাজ চলার কারণে সেখানে হাঁটার জায়গাও নেই। রায়েরবাজারের একটি কারখানার শ্রমিক মোতালেব মিয়া বলেন, ‘শহর জুইড়া উন্নয়নের কাম চলতাসে অথচ এদিকে মাইনসের হাঁটার জায়গা নাই। উন্নয়নের কাম চললে মাইনসের এত অসুবিধা হইবো ক্যান?’
প্রসঙ্গত, করোনা মহামারি কারণে দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার পর কিছুদিন আগে প্রাইমারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোও খুলে দেওয়া হয়। পুরোদমে শুরু হয়েছে স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর কার্যক্রম। সশরীরে ক্লাস শুরু করেছে প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়গুলোও। এর সঙ্গে চলছে অফিস, কারখানা। ফলে বিভিন্ন এলাকায় তীব্র যানজট তৈরি হচ্ছে বলে মনে করছেন অনেকে।
কাকরাইলের উইলস লিটল ফ্লাওয়ার স্কুল ও কলেজের এক শিক্ষার্থীর অভিভাবক মরিয়ম সুলতানা বলেন, ‘সব স্কুল কলেজ খুলেছে তাই যানজট একটু বাড়া স্বাভাবিক। কিন্তু রাস্তার অবস্থাওতো ভালো না। রাস্তা আর ট্রাফিক সিস্টেম ভালো হলে এর চেয়ে বেশি গাড়ি, মানুষ রাস্তায় নামলেও সমস্যা হতো না।’
এমনটাই ভাবছেন ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণে ব্যস্ত সময় কাটানো ট্রাফিক কর্মকর্তারাও। চেষ্টা করছেন সবাইকে যথাসময়ে গন্তব্যে পৌঁছানোর নিশ্চয়তা দিতে। অতিরিক্ত যানজট মোকাবিলায় রাস্তায় মোতায়েন করা হয়েছে অতিরিক্ত ট্রাফিক সদস্যদের। পল্টন মোড়ে দায়িত্বরত ট্রাফিক ইন্সপেক্টর ইসমাইল হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সবকিছুই চলছে, সবাই রাস্তায় নামছে। মেট্রোরেলের কাজের ফিনিশিং চলছে। আরও কিছু কাজ চলছে ৷ এর ফলে যানজট বেড়েছে। এটি নিয়ন্ত্রণে অতিরিক্ত ট্রাফিক পুলিশ বিভিন্ন পয়েন্টে কাজ করছেন।’
যানজট নিরসনে সাধারণ মানুষের পাশাপাশি চিন্তার ভাঁজ পড়েছে মেয়র-মন্ত্রীদের কপালেও। তারা নিত্যনতুন ফর্মুলাও দিচ্ছেন। কিন্তু রাস্তার শৃঙ্খলা ও আইন যথাযথভাবে প্রয়োগ না হলে কোন ফর্মুলাই কাজে দেবে না বলে জানিয়েছেন রিকশাচালক কবির ফরাজি। তিনি বলেন, ‘ঢাকার রাস্তার আসল সমস্যা হইলো এইখানে কোনো আইন নাই, কোনো নিয়ম নাই। কেউ এসবের তোয়াক্কা করে না। সবাই আগে যেতে চায়। কিন্তু এইডা বুঝে না যে নিয়ম না মানলে কেউই আগে যাইতে পারব না।'
সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার ছোনগাছা ইউনিয়নের পাঁচ ঠাকুরি এলাকায় গরু চোর সন্দেহে দুই ব্যক্তিকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ ওঠেছে। রোববার (৩ আগস্ট) রাতে এ ঘটনা ঘটে। তাৎক্ষণিকভাবে নিহতদের নাম-পরিচয় জানা যায়নি। মরদেহ দুটি শহীদ এম. মনসুর আলী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে।
১৭ মিনিট আগেপটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নতুন ভবন নির্মাণে ২০১৪ সালে প্রকল্প অনুমোদন দিয়েছিল জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক)। প্রকল্পটির এক দশকে অর্থ বরাদ্দ ৫৪৬ কোটি টাকা থেকে বেড়ে ৬৫১ কোটি টাকায় দাঁড়িয়েছে। শেষ হয়েছে বর্ধিত মেয়াদও। তবু কাজ শেষ হয়নি। এতে কাঙ্ক্ষিত সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে জেলা
৫ ঘণ্টা আগেটানা বৃষ্টিপাত ও উজানের ঢলে উত্তরের নদ-নদীর পানি বেড়েছে; বিশেষ করে তিস্তা নদীর পানি বিভিন্ন পয়েন্টে বিপৎসীমা অতিক্রম করায় রংপুর বিভাগের অন্তত চার জেলায় বন্যা পরিস্থিতির আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। কুড়িগ্রাম, লালমনিরহাট ও নীলফামারীর নদীতীরবর্তী নিম্নাঞ্চল এরই মধ্যে প্লাবিত হতে শুরু করেছে। পানি উন্নয়ন বোর্ড
৫ ঘণ্টা আগেরাজশাহী শহরের অর্ধেকের বেশি তরুণ মানসিকভাবে ভালো নেই। বিষণ্নতায় ভুগছেন তাঁরা। গবেষকেরা বলছেন, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের অতিরিক্ত ব্যবহারের কারণে এমন পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে।
৫ ঘণ্টা আগে