Ajker Patrika

জাবির প্রতিবন্ধী ছাত্রকে ফেলে আহত, বাস আটকে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ

জাবি প্রতিনিধি
Thumbnail image

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) এক প্রতিবন্ধী ছাত্রকে বাস থেকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেওয়ার ঘটনা ঘটেছে। আজ সোমবার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকসংলগ্ন ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে এ ঘটনা ঘটে।

খবর পেয়ে সাভার পরিবহনের আটটি বাস আটকে বিক্ষোভ করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। এ সময় সহপাঠীকে আহত করার প্রতিবাদে মীর মশাররফ হোসেন হলের ছাত্ররা সড়কে জড়ো হন। পরে সন্ধ্যার দিকে বাস মালিকদের সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের আলোচনার পরে প্রধান ফটকের সামনে থেকে বাসগুলো সরিয়ে নেওয়া হয়।

আহত শিক্ষার্থী হলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের গণিত বিভাগের ৪৬ ব্যাচের হাসান মাহমুদ। বর্তমানে তিনি রাজধানীর জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন কেন্দ্রে চিকিৎসাধীন।

জানা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের গণিত বিভাগের প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থী হাসান মাহমুদ নবীনগর থেকে সাভার পরিবহনের বাসে করে ক্যাম্পাসে আসছিলেন। এ সময় তিনি শারীরিক প্রতিবন্ধী হওয়ায় বাসের সহকারীকে বাসটি থামিয়ে তাকে নামিয়ে দিতে অনুরোধ করেন। বাসচালক বিশ্ববিদ্যালয়ের জয় বাংলা ফটকের সামনের বাসস্ট্যান্ডে সে নামার আগে তাকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেয় এবং বাস ছেড়ে যায়।

এতে হাসান মাহমুদ পায়ে গুরুতর আহত হন। পরে তাঁকে উদ্ধার করে রাজধানীর একটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে সেখানকার চিকিৎসক ডা. বেলায়েত হোসেন তাঁকে উন্নত চিকিৎসার জন্য জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন কেন্দ্রে রেফার করেন।

সাভার পরিবহনের আটটি বাস আটকে দেন শিক্ষার্থীরাভুক্তভোগী শিক্ষার্থী হাসান মাহমুদ বলেন, ‘নবীনগর থেকে সাভার পরিবহনের একটি বাসে করে ক্যাম্পাসে ফিরছিলাম। এ সময় শারীরিক প্রতিবন্ধী হওয়ায় বাসের কন্ডাক্টরকে (চালকের সহকারী) বাস থামিয়ে আমাকে নামার সুযোগ করে দিতে অনুরোধ করি। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয়ের জয় বাংলা ফটক সংলগ্ন বাসস্ট্যান্ডে বাস থেকে পুরোপুরি নামার আগে আমাকে ধাক্কা দিয়ে বাস ছেড়ে দিলে পড়ে যাই। এতে পায়ে গুরুতরভাবে আঘাত অনুভব করি।’

এ ব্যাপারে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী হাসান মাহমুদের বন্ধু রাশেদ বলেন, ‘আমার বন্ধুর অবস্থা খারাপ। তাঁকে প্রথমে শিশু হাসপাতালে নিয়ে গিয়েছিলাম তারপর এই অর্থোপেডিক হাসপাতালে নিয়ে এসেছি। আমরা বাসের হেলপারের শাস্তি ও চিকিৎসার ব্যয়ভার বহনের দাবি জানাচ্ছি।’

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর আ স ম ফিরোজ-উল-হাসান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা ঘটনাটি সম্পর্কে শুনেছি। আমরা এই অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার জন্য দুঃখ প্রকাশ করছি। রাস্তায় বেপরোয়া গাড়ি চালানোর জন্য আমাদের ছাত্র এই দুর্ঘটনার শিকার। তাই তাঁর চিকিৎসার সব ব্যয়ভার পরিবহন কর্তৃপক্ষকে বহন করতে হবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত