নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় শিক্ষার্থী আব্দুল্লাহ আল আবির হত্যা মামলায় আসামিদের অব্যাহতির সুপারিশ করে দাখিল করা চূড়ান্ত প্রতিবেদনের বিরুদ্ধে নারাজি আবেদন দাখিল করা হয়েছে। একই সঙ্গে ওই আবেদনের ওপর শুনানির জন্য আগামী ৮ সেপ্টেম্বর দিন ধার্য করা হয়েছে।
আজ রোববার ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জিয়াদুর রহমানের আদালতে এই নারাজি আবেদন দাখিল করেন ঢাকা মহানগর দায়রা আদালতের অতিরিক্ত পিপি আজিজুল হক দিদার।
রাজধানীর গুলশানের কালাচাঁদপুরে গত বছরের ১৯ জুলাই আবিরকে গুলি করে হত্যা করা হয়। নাহিদ হাসান ও সোহেল রানা নামে আরও দুই শিক্ষার্থীকে সেদিন গুলি করা হয় ও বেধড়ক পেটানো হয়।
এ ঘটনায় নিহত আবিরের বন্ধু হাসান মাহমুদ গত বছরের ১৮ আগস্ট আদালতে মামলার আবেদন করেন। গুলশান এলাকার আওয়ামী লীগ নেতা তানভীর আলীর নির্দেশে ঢাকা মহানগর উত্তর যুবলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি জাকির হোসেন বাবুলসহ যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা ওই হামলা চালান বলে আবেদনে উল্লেখ করা হয়।
আবেদনটি এজাহার হিসেবে রুজু করতে গুলশান থানাকে নির্দেশ দেন আদালত। গত ২০ আগস্ট এজাহার রুজু করে গুলশান থানা।
মামলায় তানভীর আলী, জাকির হোসেন বাবুলসহ মোট ১০ জনের নাম উল্লেখসহ ১৫০-২০০ জনকে আসামি করা হয়।
অপর আট আসামি হলেন উত্তর সিটি করপোরেশনের ১৮ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শিমুল, গুলশান থানা ছাত্রলীগের নেতা আনিসুর রহমান সুজন, মানিক, সোহাগ, গুলশান থানা শ্রমিক লীগের মহসীন ওরফে কাঁকড়া মহসীন, গুলশান থানা যুবলীগের জামিল হোসেন ও শহিদুল ইসলাম এবং গুলশান থানা আওয়ামী ওলামা লীগ সহসভাপতি আব্দুল হামিদ।
মামলাটির তদন্ত করেন গুলশান থানার তৎকালীন সাবইন্সপেক্টর (নিরস্ত্র) রোমেন মিয়া। তিনি ৬০ দিনের মাথায় তদন্ত শেষে আসামিদের অব্যাহতি দেওয়ার সুপারিশ জানিয়ে গত বছরের ২২ অক্টোবর আদালতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন।
তদন্ত প্রতিবেদনে প্রধান আসামি তানভীর আলীকে কানাডার নাগরিক হিসেবে দেখানো হয়। আলামত হিসেবে তাঁর কানাডীয় পাসপোর্টের ফটোকপি আদালতে জমা দেওয়া হয়।
প্রতিবেদনে বলা হয়, মামলার বাদী হাসান মাহমুদ এবং সাক্ষীদের খুঁজে পাওয়া যায়নি। মামলাটি ‘তথ্যগত ভুল’। মামলায় বর্ণিত ঘটনার সঙ্গে আসামিদের জড়িত থাকার কোনো তথ্য বা সাক্ষ্য-প্রমাণ পাওয়া যায়নি। ফলে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অনুমোদন সাপেক্ষে সব আসামিকে মামলার দায় থেকে অব্যাহতির আবেদন জানিয়ে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করা হলো।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকে কেন্দ্র করে হওয়া মামলার মধ্যে এই মামলায় প্রথম তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করা হয়। এই প্রথম সব আসামিকে অব্যাহতির সুপারিশও করা হয়।
এ বিষয়ে ঢাকা মহানগর দায়রা আদালতের অতিরিক্ত পিপি আজিজুল হক দিদার বলেন, ‘স্পর্শকাতর এই মামলায় পুলিশ অত্যন্ত তড়িঘড়ি করে দায়সারাভাবে তদন্ত শেষ করেছে মাত্র ৬০ দিনে। তদন্তে আসামিদের অব্যাহতির সুপারিশ করা হয়েছে, যা রাষ্ট্রপক্ষের কোনো আইনজীবীকে জানানো হয়নি। দীর্ঘদিন পর আকস্মিকভাবে সাধারণ নিবন্ধন (জিআর) শাখায় গিয়ে বিষয়টি জানার পর নারাজি আবেদন দাখিল করা হয়েছে।’
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় শিক্ষার্থী আব্দুল্লাহ আল আবির হত্যা মামলায় আসামিদের অব্যাহতির সুপারিশ করে দাখিল করা চূড়ান্ত প্রতিবেদনের বিরুদ্ধে নারাজি আবেদন দাখিল করা হয়েছে। একই সঙ্গে ওই আবেদনের ওপর শুনানির জন্য আগামী ৮ সেপ্টেম্বর দিন ধার্য করা হয়েছে।
আজ রোববার ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জিয়াদুর রহমানের আদালতে এই নারাজি আবেদন দাখিল করেন ঢাকা মহানগর দায়রা আদালতের অতিরিক্ত পিপি আজিজুল হক দিদার।
রাজধানীর গুলশানের কালাচাঁদপুরে গত বছরের ১৯ জুলাই আবিরকে গুলি করে হত্যা করা হয়। নাহিদ হাসান ও সোহেল রানা নামে আরও দুই শিক্ষার্থীকে সেদিন গুলি করা হয় ও বেধড়ক পেটানো হয়।
এ ঘটনায় নিহত আবিরের বন্ধু হাসান মাহমুদ গত বছরের ১৮ আগস্ট আদালতে মামলার আবেদন করেন। গুলশান এলাকার আওয়ামী লীগ নেতা তানভীর আলীর নির্দেশে ঢাকা মহানগর উত্তর যুবলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি জাকির হোসেন বাবুলসহ যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা ওই হামলা চালান বলে আবেদনে উল্লেখ করা হয়।
আবেদনটি এজাহার হিসেবে রুজু করতে গুলশান থানাকে নির্দেশ দেন আদালত। গত ২০ আগস্ট এজাহার রুজু করে গুলশান থানা।
মামলায় তানভীর আলী, জাকির হোসেন বাবুলসহ মোট ১০ জনের নাম উল্লেখসহ ১৫০-২০০ জনকে আসামি করা হয়।
অপর আট আসামি হলেন উত্তর সিটি করপোরেশনের ১৮ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শিমুল, গুলশান থানা ছাত্রলীগের নেতা আনিসুর রহমান সুজন, মানিক, সোহাগ, গুলশান থানা শ্রমিক লীগের মহসীন ওরফে কাঁকড়া মহসীন, গুলশান থানা যুবলীগের জামিল হোসেন ও শহিদুল ইসলাম এবং গুলশান থানা আওয়ামী ওলামা লীগ সহসভাপতি আব্দুল হামিদ।
মামলাটির তদন্ত করেন গুলশান থানার তৎকালীন সাবইন্সপেক্টর (নিরস্ত্র) রোমেন মিয়া। তিনি ৬০ দিনের মাথায় তদন্ত শেষে আসামিদের অব্যাহতি দেওয়ার সুপারিশ জানিয়ে গত বছরের ২২ অক্টোবর আদালতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন।
তদন্ত প্রতিবেদনে প্রধান আসামি তানভীর আলীকে কানাডার নাগরিক হিসেবে দেখানো হয়। আলামত হিসেবে তাঁর কানাডীয় পাসপোর্টের ফটোকপি আদালতে জমা দেওয়া হয়।
প্রতিবেদনে বলা হয়, মামলার বাদী হাসান মাহমুদ এবং সাক্ষীদের খুঁজে পাওয়া যায়নি। মামলাটি ‘তথ্যগত ভুল’। মামলায় বর্ণিত ঘটনার সঙ্গে আসামিদের জড়িত থাকার কোনো তথ্য বা সাক্ষ্য-প্রমাণ পাওয়া যায়নি। ফলে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অনুমোদন সাপেক্ষে সব আসামিকে মামলার দায় থেকে অব্যাহতির আবেদন জানিয়ে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করা হলো।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকে কেন্দ্র করে হওয়া মামলার মধ্যে এই মামলায় প্রথম তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করা হয়। এই প্রথম সব আসামিকে অব্যাহতির সুপারিশও করা হয়।
এ বিষয়ে ঢাকা মহানগর দায়রা আদালতের অতিরিক্ত পিপি আজিজুল হক দিদার বলেন, ‘স্পর্শকাতর এই মামলায় পুলিশ অত্যন্ত তড়িঘড়ি করে দায়সারাভাবে তদন্ত শেষ করেছে মাত্র ৬০ দিনে। তদন্তে আসামিদের অব্যাহতির সুপারিশ করা হয়েছে, যা রাষ্ট্রপক্ষের কোনো আইনজীবীকে জানানো হয়নি। দীর্ঘদিন পর আকস্মিকভাবে সাধারণ নিবন্ধন (জিআর) শাখায় গিয়ে বিষয়টি জানার পর নারাজি আবেদন দাখিল করা হয়েছে।’
চট্টগ্রামের রাউজানে দেড় শ বছরের পুরোনো পুকুর ভরাট করার দায়ে এক ইউপি সদস্যসহ পাঁচ আসামিকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। আজ রোববার দুপুরে চট্টগ্রাম সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক মাহমুদুল হক এ আদেশ দেন।
৫ মিনিট আগেরাজধানীর কামরাঙ্গীরচরে ২৩ বছর আগে গৃহবধূ ডালিয়া বেগমের গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুনে পুড়িয়ে হত্যার দায়ে স্বামী মো. টিটুকে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে তাঁকে এক লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
১৯ মিনিট আগেবিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা খন্দকার আব্দুল মুক্তাদির বলেছেন, জনগণই বিএনপির একমাত্র শক্তি। তাই ক্ষমতায় গেলে বিএনপি মানুষের ভোটের অধিকার ও বাক্স্বাধীনতা নিশ্চিত করবে।
২৯ মিনিট আগেদুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) চেয়ারম্যান ড. মোহাম্মদ আবদুল মোমেন বলেছেন, দুদকের ভেতরেও দুর্নীতি আছে, আচরণেও সমস্যা আছে। তিনি বলেন, কাজ হোক আর না হোক, যদি আপনারা ঘুষের সরবরাহ বন্ধ করে দেন, দেখবেন কাজ একদিন এমনিতেই হয়ে গেছে।
১ ঘণ্টা আগে