Ajker Patrika

নবম পে-স্কেলসহ ৬ দাবি সরকারি কর্মচারী ফেডারেশনের

নবম পে-স্কেলসহ ৬ দাবি সরকারি কর্মচারী ফেডারেশনের

প্রজাতন্ত্রের কর্মচারীদের নবম পে-স্কেল বাস্তবায়ন, বেতন-ভাতা বৃদ্ধি, টাইম স্কেল সিলেকশন গ্রেড পুনর্বহালসহ ৬ দফা বাস্তবায়নের দাবি জানিয়েছে সরকারি কর্মচারী কল্যাণ ফেডারেশন।

আজ শনিবার জাতীয় প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব দাবি তুলে ধরেন সংগঠনটির সভাপতি মো. আক্তার হোসেন। 

৬ দফা দাবিগুলো হলো—সরকার কর্তৃক প্রদত্ত ১৯৭৩ সালের জাতীয় বেতন স্কেলের অনুরূপ ১০ ধাপ বিশিষ্ট বেতন স্কেল নির্ধারণ-পূর্বক ৬ সদস্য বিশিষ্ট পরিবারের ব্যয় বিবেচনায় সর্বনিম্ন বেতন-ভাতা ৩০ হাজার টাকা করতে হবে। এ দাবি বাস্তবায়নে ২০২৪-২০২৫ অর্থ বছরের বাজেটে অর্থ বরাদ্দ রেখে নবম জাতীয় পে-কমিশন গঠন করতে হবে। সচিবালয়ের ন্যায় প্রজাতন্ত্রের সব কর্মচারীদের পদ-পদবি ও গ্রেড পরিবর্তনসহ এক ও অভিন্ন নিয়োগ বিধি প্রণয়ন করতে হবে। ব্লক পদ প্রথা প্রত্যাহার, পদোন্নতিযোগ্য পদ শূন্য না থাকলেও নির্ধারিত সময়ের পর উচ্চতর পদের বেতন স্কেল দেওয়া, ঝুঁকিপূর্ণ কর্মে নিয়োজিত কর্মচারীদের যৌক্তিকভাবে ঝুঁকিভাতা দিতে হবে এবং সব শূন্য পদে দ্রুত নিয়োগ দিতে হবে। প্রজাতন্ত্রের ১১-২০ গ্রেডভুক্ত কর্মচারীদের বার্ষিক বেতন বৃদ্ধির হার ৫% এর পরিবর্তে ২০% এ উন্নীত করতে হবে। টাইম স্কেল-সিলেকশন গ্রেড, টেকনিক্যাল কর্মচারীদের জন্য দুটি বিশেষ ইনক্রিমেন্ট পুনর্বহাল, বাড়ি ভাড়া ভাতা, চিকিৎসা ভাতা, টিফিন ভাতা, যাতায়াত ভাতা, শিক্ষা ভাতা বাড়াতে হবে। প্রজাতন্ত্রের ১১-২০ তম গ্রেডভুক্ত কর্মচারীদের জন্য সব নিয়োগে ৩০% পোষ্য কোটা সংরক্ষণ করতে হবে এবং প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কর্মচারী প্রতিনিধিদের সরাসরি সাক্ষাৎ ও আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ইশতেহার ২০২৪ এ দ্রব্যমূল্যের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে নতুন বেতনকাঠামো নির্ধারণ করা হবে মর্মে যে অঙ্গীকার করা হয়েছে তা দ্রুত বাস্তবায়ন করতে হবে। 

লিখিত বক্তব্যে আক্তার হোসেন বলেন, ‘মন্ত্রণালয়ের সচিব থেকে শুরু করে একজন অফিস সহায়ক পর্যন্ত সবাই প্রজাতন্ত্রের কর্মচারী, যারা ২০টি গ্রেডে বিভক্ত। এর মধ্যে ১১-২০ তম গ্রেডভুক্ত কর্মচারীরা বরাবরই বৈষম্যের শিকার। ৮ম জাতীয় বেতন স্কেল ঘোষণার প্রাক্কালে আমরা পুনরায় বৈষম্যের শিকার হলাম। বেতন দ্বিগুণ করার ঘোষণা দিয়ে একদিকে বাজারের নেতিবাচক প্রভাব সৃষ্টি করা হলো, অন্যদিকে এ ঘোষণার আড়ালে টাইম স্কেল সিলেকশন গ্রেড বাতিল করে বঞ্চিত করা হলো কর্মচারীদের। শুধু তাই নয় অতীতের নিয়মিত তিনটি টাইম স্কেল পেয়ে ১৬ তম বছরে আমাদের বেতন বৃদ্ধির তুলনায় বর্তমান নিয়মে ১৬ তম বছরে আমাদের উল্টো আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন করা হলো। ৮ম জাতীয় বেতন স্কেলে ১১-২০ গ্রেডের কর্মচারীদের শতকরা হারে বেতন বৃদ্ধি দ্বিগুণ দেখানো হলেও টাকার অঙ্কে আর্থিক সুবিধা খুবই নগণ্য ছিল। এ বৈষম্য দূরীকরণে কর্মচারীদের পক্ষ থেকে সরকারের কাছে অনেক আবেদন-নিবেদন করার পর দীর্ঘ ৫ বছর পর মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ বিষয়টি উপলব্ধি করে এ বৈষম্য কমিয়ে আনার জন্য একটি প্রস্তাব অর্থ মন্ত্রণালয়ে পাঠায়। দুর্ভাগ্য যে, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে প্রেরিত প্রস্তাবটি আজও আলোর মুখ দেখেনি।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত