Ajker Patrika

সেতুর রেলিং যেন বৈদ্যুতের খুঁটি, দুর্ঘটনার শঙ্কা 

সিরাজদিখান (মুন্সিগঞ্জ) প্রতিনিধি
সেতুর রেলিং যেন বৈদ্যুতের খুঁটি, দুর্ঘটনার শঙ্কা 

মুন্সিগঞ্জের সিরাজদিখানে ধলেশ্বরী নদীতে নির্মিত সেতুর রেলিং ব্যবহার করে বৈদ্যুতিক তার টানা হয়েছে। বিদ্যুতের তার টানতে সেতুর রেলিংকে খুঁটি হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে। ৪৮০ মিটার দৈর্ঘ্যের এ সেতুই এখন বৈদ্যুতিক খুঁটিতে পরিণত হয়েছে। এতে যেকোনো সময় দুর্ঘটনার আশঙ্কা করছেন পথচারী ও স্থানীয়রা। দ্রুত এখান থেকে তার অপসারণের দাবি জানিয়েছেন তাঁরা। 

সরেজমিনে দেখা গেছে, উপজেলার বালুচর ইউনিয়নের সাপেরচর এলাকায় ধলেশ্বরী নদীর ওপর নির্মিত সেতুর একপাশে বালুচর ও অপর প্রান্তে রয়েছে মোল্লারহাট গ্রাম। আর এ সেতুর পূর্বপাশের রেলিং ব্যবহার করে চলে গেছে বিদ্যুতের তার। 

চর বালুচর গ্রামের বাসিন্দা আলম মিয়া জানান, উপজেলার বালুচর ইউনিয়নসহ আশপাশের বেশ কয়েকটি গ্রামের মানুষ এ সেতুর ওপর দিয়ে ঢাকায় যাতায়াত করেন। অথচ সেতুর রেলিংয়ে লোহার ক্যাপ লাগিয়ে বিদ্যুতের তার টানা হয়েছে। এতে পুরো সেতুই এখন বৈদ্যুতিক খুঁটিতে পরিণত হয়েছে। এতে যেকোনো সময় দুর্ঘটনার আশঙ্কা রয়েছে।

অটোরিকশা চালক হোসেন মিয়া বলেন, রেলিংয়ের সঙ্গে বৈদ্যুতিক তার টানায় কারণে ভয়াবহ দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। তাছাড়া রেলিংয়ে হাত রেখেই অনেকে শিশুরা চলাফেরা করে।

এদিকে ধলেশ্বরী নদীর ওপর ওই সেতু নির্মাণকাজ বাস্তবায়ন করেছে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি)। ২০১০-১১ অর্থ-বছরে ৩ কোটি ২ লাখ টাকা ব্যয়ে এ সেতু তৈরি করা হয়। অথচ খোদ এলজিইডি কর্তৃপক্ষের জানা নেই সেতুতে টানা বৈদ্যুতের তারের তথ্য। 

উপজেলা এলজিইডির প্রকৌশলী মো. রেজাউল ইসলাম বলেন, সেতুতে পল্লী বিদ্যুতের সঞ্চালন লাইন রয়েছে, তা আমার জানা নেই। যদি ঘটনা সত্য হয় তাহলে দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। 

পল্লী বিদ্যুৎ সিরাজদিখান আঞ্চলিক কার্যালয়ের ডিজিএম খন্দকার মাহমুদুল হাসান, শিগগিরই আমরা বিদ্যুৎ তার সরিয়ে ফেলব। বিকল্প সঞ্চালন লাইন করা হয়েছে। 

মুন্সিগঞ্জ পল্লী বিদ্যুতের ডিজিএম (কারিগরি) মোহাম্মদ হারুন-অর-রশীদ বলেন, খুব শিগগিরই সেতু থেকে বিদ্যুতের তার সরিয়ে নেওয়া হবে। 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত