Ajker Patrika

নৌকায় ভোট দিতাম, আজও দিয়েছি: আরাফাত

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
নৌকায় ভোট দিতাম, আজও দিয়েছি: আরাফাত

ঢাকা-১৭ আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী মোহাম্মদ এ আরাফাত ভোট দিয়েছেন গুলশান মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজের ৬৩ নম্বর কেন্দ্রে। আজ সোমবার বেলা ১১টায় ভোট প্রদান শেষে মোহাম্মদ এ আরাফাত বিজয়ী হওয়ার প্রত্যাশা নিয়ে গণমাধ্যমকে বলেন, ‘ভোট সব সময় নৌকায় দিয়েছি। এবারও নৌকায় দিয়েছি। নৌকা বিজয়ী হবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘সকালে বৃষ্টির কারণে ভোট কম পড়েছে। অবশ্য গুলশান-বনানীতে লোকজন একজন বেলা করে ঘুম থেকে উঠে তবে ভাষানটেক, কালাচাঁদপুর এলাকায় ভালো ভোট পড়ছে। আমরা নৌকায় ভোট দিতে বলছি না, আমরা বলছি ভোট দিন। আমরা মানুষের মধ্যে আগ্রহ তৈরির চেষ্টা করছি। তবে নৌকা বিজয়ী হবে।’

আ. লীগ মনোনীত এ প্রার্থী আরও বলেন, ‘আমাদের জন্য এখানে বড় চ্যালেঞ্জ ছিল ভোটার নিয়ে আসা। খুব অল্প সময় পেয়েছি। সাংগঠনিক শক্তির অভাবে অনেকে এজেন্ট দিতে পারেনি। তবে আওয়ামী লীগের সেই সাংগঠনিক সক্ষমতা আছে। আমরা সুন্দরভাবে শান্তিপূর্ণভাবে কাজ করার চেষ্টা করেছি।’

নৌকা প্রার্থী আরাফাত বলেন, ‘সিটি নির্বাচনে যে পরিমাণ ভোট পড়েছে, আমরা তার চেয়ে বেশি ভোট কাস্ট করার চেষ্টা করেছি। সিটি নির্বাচনের চেয়ে বেশি ভোট পড়বে। আমি জনগণের ভোটে নির্বাচিত হলে, অল্প সময়ে বেশ কিছু কাজ শুরু করে যাওয়ার চেষ্টা করব।’

তবে সকালে কেন্দ্রটি ঘুরে দেখা গেছে, কেন্দ্রে ভোটার উপস্থিতি নেই। সকাল ১০টা পর্যন্ত দুই ঘণ্টায় ৬৩ নম্বর কেন্দ্রে মোট ভোট পড়েছে মাত্র ২৪টি অন্যদিকে ৬৫ নম্বর কেন্দ্রে ভোট পড়েছে মাত্র ১০ টি। কেন্দ্রের কোনো কক্ষেই ভোটারদের লাইন দেখা যায়নি।

সকাল ১০টায় ৬৩ ও ৬৫ নম্বর কেন্দ্রে গিয়ে দেখা যায়, কেন্দ্রের বাইরে লোকজনের সমাগম থাকলেও কেন্দ্রের ভেতরে নেই ভোটার উপস্থিতি। কেন্দ্রের একটি কক্ষের সামনে এক পুলিশ সদস্য তাঁর ঊর্ধ্বতনকে বলতে শোনা যায়, ‘ভোটারের চেয়ে গণমাধ্যমকর্মীদের চাপ বেশি স্যার।’

৬৩ নম্বর কেন্দ্রের প্রিসাইডিং অফিসার বাবুল চন্দ্র সাহা জানান, সকাল ১০টা পর্যন্ত ২৪টি ভোট পড়েছে। এই কেন্দ্রে মোট ভোটার ২ হাজার ৫৮৮ জন। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সকাল থেকে ভোটার উপস্থিতি কম ছিল। তবে ১০ পর থেকে কিছুটা বাড়ছে।’ 

 ৬৫ নম্বর কেন্দ্রের ১ ও ৩ নম্বর কক্ষের সহকারী প্রিসাইডিং অফিসারেরা জানিয়েছেন, সকাল থেকে ভোটারদের অপেক্ষায় আছেন তাঁরা। তাদের আশা, দুপুরের পর ভোটার উপস্থিতি বাড়বে।

সহকারী প্রিসাইডিং অফিসার মো. মনোয়ার হোসেন জানান, ৩ নম্বর কক্ষে সকাল থেকে ভোট পড়েছে ৬ টি। সকাল ৮টায় ভোট দিতে এসেছেন ২ জন।

অন্যদিকে ১ নম্বর কক্ষের সহকারী প্রিসাইডিং অফিসার সেলিম মোল্লা তাঁর কক্ষের পরিস্থিতি জানিয়ে আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এখন পর্যন্ত কেউ ভোট দিতে আসে নাই।’

কেন্দ্রের প্রিসাইডিং অফিসার সৈয়দ আবদুল্লাহ ওমর নাসিফ আজকের পত্রিকাকে জানান, কেন্দ্রটিতে মোট ভোটার ২ হাজার ৫৩৯ জন। তবে সকাল ১০টা পর্যন্ত ভোট দিয়েছেন মাত্র ১০ জন ভোটার। তিনি বলেন, ‘সকালে বৃষ্টির কারণে ভোটার কম এসেছে। এ ছাড়াও ছুটির কারণে হয়তো দুপুরের দিকে ভোটার আসবে। গ্রাম এলাকার দিকে সকালে ভোট দিতে আসে। তবে এখানে হয়তো দুপুরের পর ভোটারেরা আসবেন।’

এ দিকে নির্বাচনের কারণে গুলশান গুদারাঘাট এলাকা থেকে রাস্তা বন্ধ থাকার কারণে ভোগান্তিতে পড়েছেন গুলশান, বনানী, মহাখালীর বেসরকারি কর্মজীবীরা। গুদারাঘাট এলাকা থেকে হেঁটে তাদের কর্মস্থলে যেতে দেখা গেছে। গুলশানের একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত আশিকুল ইসলাম নির্ঝর আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এ দিকে রাস্তা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে জানতাম না। এখন গুলশান ২ পর্যন্ত হেঁটে যেতে হচ্ছে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

৫ বছরেও শেষ হয়নি ভবন নির্মাণ, কমনরুম ও ল্যাবে ক্লাস

কোটচাঁদপুর (ঝিনাইদহ) প্রতিনিধি
নির্মাণাধীন ভবনের কাজ শেষ না হওয়ায় কক্ষসংকটে শিক্ষার্থী। ছবি: আজকের পত্রিকা
নির্মাণাধীন ভবনের কাজ শেষ না হওয়ায় কক্ষসংকটে শিক্ষার্থী। ছবি: আজকের পত্রিকা

চার বছর ১০ মাস পার হলেও শেষ হয়নি ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুর উপজেলার সাবদারপুর মুনসুর আলী একাডেমির নির্মাণাধীন ভবনের কাজ। ফলে কক্ষসংকটে পড়েছে শিক্ষার্থীরা। ক্লাস করতে হচ্ছে সায়েন্স ল্যাব, কমনরুম আর কম্পিউটার ল্যাবে। শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা বলছেন, দ্রুত রি-টেন্ডার করে কাজ শুরু করা হবে।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ১৯৬০ সালে প্রতিষ্ঠিত সাবদারপুর মুনসুর আলী একাডেমি বর্তমানে ষষ্ঠ থেকে দশম শ্রেণি পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের পাঠদান করছে। এখন বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীর সংখ্যা ৬৫০ জন। এত শিক্ষার্থীর জন্য প্রয়োজন ১৮ থেকে ২০টি শ্রেণিকক্ষ, কিন্তু বিদ্যালয়ে রয়েছে মাত্র ১৪টি কক্ষ। এর মধ্যে আছে শিক্ষার্থীদের কমনরুম, সায়েন্স ল্যাব, কম্পিউটার ল্যাব ও শিক্ষকদের অফিস।

ঝিনাইদহ-২
ঝিনাইদহ-২

কক্ষসংকট দূর করতে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরে আবেদন করে। এর পরিপ্রেক্ষিতে ২০২১ সালের ১৩ জানুয়ারি প্রায় ৮০ লাখ টাকা ব্যয়ে চারতলা একাডেমিক ভবনের নির্মাণকাজ শুরু হয়। শুরুতে কিছু কাজ হলেও একাধিকবার বন্ধ হয়ে যায় প্রকল্পটি। সম্প্রতি ঠিকাদারের কার্যাদেশ বাতিল করেছে জেলা শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর, এখন কাজটি পুনরায় টেন্ডারের প্রক্রিয়ায় রয়েছে।

এদিকে কক্ষের অভাবে শিক্ষার্থীরা হারিয়েছে স্বাভাবিক শিক্ষার পরিবেশ। শ্রেণিকক্ষ না থাকায় ক্লাস চলছে বিকল্প কক্ষে। জানতে চাইলে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আমিন উদ্দিন বলেন, ‘আমাদের ছয় শতাধিক শিক্ষার্থী আছে, কিন্তু কক্ষ মাত্র ১৪টি। ফলে পাঠদান করতে হচ্ছে ল্যাব, কমনরুম ও কম্পিউটার ল্যাবে। ভবন নির্মাণের অনুমোদন পাওয়া গেলেও কাজ অসমাপ্ত থাকায় শিক্ষার্থীদের ভোগান্তি কমছে না।’

এ বিষয়ে জেলা শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী সুব্রত কুমার পাল বলেন, ‘ঠিকাদার কাজ শুরু করলেও বারবার বন্ধ রেখেছিল। বারবার তাগাদা দেওয়ার পরও তারা কাজ শেষ করেনি। নির্ধারিত সময় ছিল ১৩ অক্টোবর ২০২১, কিন্তু তারা কাজ ফেলে রাখায় কার্যাদেশ বাতিল করা হয়েছে। খুব দ্রুত রি-টেন্ডার করে নতুন করে কাজ শুরু করা হবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

পবিপ্রবি: নবনির্মিত শেডে উদ্বোধনের আগেই ফাটল, কাজের মান নিয়ে প্রশ্ন

পবিপ্রবি সংবাদদাতা
উদ্বোধনের আগেই ভেঙে গেছে বাসশেডের স্ল্যাব। ছবি: আজকের পত্রিকা
উদ্বোধনের আগেই ভেঙে গেছে বাসশেডের স্ল্যাব। ছবি: আজকের পত্রিকা

পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (পবিপ্রবি) বরিশাল ক্যাম্পাসে সদ্য নির্মিত বাসশেডের সামনের একটি স্ল্যাব উদ্বোধনের আগেই ভেঙে পড়েছে। এতে গর্তের সৃষ্টি হওয়ায় নির্মাণের মান ও স্বচ্ছতা নিয়ে শিক্ষার্থী ও সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের মধ্যে তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে।

বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, টিনের ছাউনিযুক্ত এই বাসশেড নির্মাণে প্রায় ১৪ লাখ টাকা বরাদ্দ ছিল। তবে উদ্বোধনের আগেই স্ল্যাব ভেঙে পড়ায় প্রকল্পের গুণগত মান নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। ঘটনাস্থলে ছড়িয়ে থাকা দুর্বল কংক্রিট, খোয়া ও মরিচা পড়া রডের টুকরাগুলো নিম্নমানের নির্মাণসামগ্রী ব্যবহারের প্রমাণ হিসেবে দেখা হচ্ছে।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের একাধিক শিক্ষার্থী বলেন, নতুন স্থাপনার এমন পরিণতি উদ্বেগজনক। এটি ভবিষ্যতে অন্যান্য নির্মাণ প্রকল্পের মান নিয়েও সন্দেহ সৃষ্টি করছে।

এদিকে ঘটনার পর সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ স্ল্যাব পুনর্নির্মাণের কাজ শুরু করেছে। এ বিষয়ে ঠিকাদার আব্দুল হালিম বলেন, ‘সাধারণত নির্মাণকাজ শেষ হওয়ার পর ২৭ দিন পর্যন্ত ব্যবহার না করার নির্দেশনা থাকে। কিন্তু ভারী মালবাহী ট্রাক চলাচলের কারণে স্ল্যাবের এক পাশে ক্ষতি হয়েছে।’ নিম্নমানের ইট ব্যবহারের অভিযোগ সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘শুরুর দিকে কিছু পুরোনো ইট ব্যবহার করা হয়েছিল। তবে অভিযোগ পাওয়ার পর তা বন্ধ করা হয়েছে।’

এ বিষয়ে মনিটরিং কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. আহসানুর রেজা আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘নিম্নমানের ইট ব্যবহারের কথা জানার সঙ্গে সঙ্গে আমরা দ্রুত ব্যবস্থা নিয়েছি, কাজ বন্ধ করে দিয়েছি। খুব দ্রুত আমরা এটি ঠিক করার ব্যবস্থা করব।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

প্রেমিকা আসার খবরে বাড়ি থেকে পালালেন প্রেমিক, বিয়ের দাবিতে অনশন

তাড়াশ (সিরাজগঞ্জ) সংবাদদাতা
প্রেমিকা আসার খবরে বাড়ি থেকে পালালেন প্রেমিক, বিয়ের দাবিতে অনশন

িয়ের দাবিতে চাচার শ্যালিকা দুই দিন ধরে ভাতিজার বাড়িতে অবস্থান নিয়ে অনশন করছেন। প্রেমিকা (১৮) বাড়িতে আসার খবর পেয়ে পালিয়ে গেছেন প্রেমিক সোহান হোসেন (২০)। গতকাল সোমবার সিরাজগঞ্জের তাড়াশ উপজেলার বোয়ালিয়া গ্রামের পশ্চিমপাড়ায় এই ঘটনা ঘটে।

ওই তরুণী প্রেমিক সোহান হোসেনের চাচার আপন শ্যালিকা। সোহান হোসেন বোয়ালিয়া গ্রামের জাব্বার সরকারের ছেলে।

স্থানীয় বাসিন্দারা বলছেন, ভাতিজা ও খালার মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক আগে থেকে। উভয়ের বাড়ি একই এলাকায় হওয়ার তাঁরা অনায়াসে যাতায়াত করতেন। এর আগেও জাব্বার সরকারের বাড়িতে বিয়ের দাবি তুলেছিলেন ওই তরুণী। পরে বুঝিয়ে তাঁকে ফেরত পাঠানো হয়েছিল। এবার বিয়ের দাবিতে অনশন শুরু করলে প্রেমিক পালিয়ে যান।

প্রত্যক্ষদর্শীরা বলছেন, সোহানের বাড়ির সামনে উৎসুক নারী-পুরুষের ভিড় জমেছে। গণমাধ্যমকর্মীরা পৌঁছালে জাব্বার সরকারের পরিবারের লোকেরা কথা বলতে রাজি হননি। অনশনরত ওই তরুণী এখনো বাড়িতে অবস্থান করছেন, তবে কাউকে বাড়িতে প্রবেশ বা কথা বলা নিষিদ্ধ করেছেন সোহানের বাবা।

স্থানীয় লোকজন জানায়, জাব্বার সরকারের বাড়িতে গত রাত থেকে তাঁর ছেলের কথিত প্রেমিকা অনশন শুরু করেন। এতে ক্ষুব্ধ এলাকাবাসী সোহান হোসেনের এমন অসামাজিক কর্মকাণ্ড দেখে পরিবারের যাতায়াতের পথও বন্ধ করে দিয়েছেন। কিন্তু উৎসুক জনতা সেসব উপেক্ষা করে সেখানে ভিড় জমাচ্ছেন।

জানতে চাইলে ইউপি সদস্য সোলায়মান হোসেন জানান, ‘মহিলার সঙ্গে আমার কথা হয়েছে। তিনি জানিয়েছেন, তাঁদের সম্পর্ক প্রায় দেড় মাস ধরে। গত সোমবার রাত থেকে তিনি জাব্বারের বাড়িতে অবস্থান করছেন, কিন্তু ছেলেটি পালিয়ে গেছেন।’

এ বিষয়ে তাড়াশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জিয়াউর রহমান বলেন, ‘আমি এখনো বিষয়টি জানি না। কেউ অবহিত করেননি। তাই এ বিষয়ে মন্তব্য করতে পারছি না।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

স্বতন্ত্র প্রার্থী হতে এনসিপি থেকে পদত্যাগ

নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী
আপডেট : ২৮ অক্টোবর ২০২৫, ১৪: ৩৩
পরিমল চন্দ্র ওঁরাও। ছবি: সংগৃহীত
পরিমল চন্দ্র ওঁরাও। ছবি: সংগৃহীত

নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়ার জন্য জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) রাজশাহী মহানগর সমন্বয় কমিটি থেকে পদত্যাগ করেছেন এক সদস্য। তাঁর নাম পরিমল চন্দ্র ওঁরাও। গতকাল সোমবার দিবাগত রাতে এনসিপির রাজশাহী মহানগর সমন্বয় কমিটির প্রধান সমন্বয়কারীর কাছে পদত্যাগপত্র পাঠিয়েছেন তিনি।

এতে পরিমল চন্দ্র লিখেছেন, ‘সম্প্রতি ব্যক্তিগত জীবনে কিছু নতুন দায়িত্ব ও উদ্যোগের কারণে আমার সময় ও মনোযোগ সম্পূর্ণভাবে সেদিকে দিতে হচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে দলের কাজের প্রতি আগের মতো সম্পূর্ণভাবে মনোনিবেশ করা সম্ভব হচ্ছে না, যা দলের প্রতি অন্যায় হবে বলে মনে করি।’

পরিমল চন্দ্র ওঁরাও বাংলাদেশ আদিবাসী ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের সাবেক সদস্য। নওগাঁর মহাদেবপুর উপজেলায় তাঁর বাড়ি। তবে তিনি রাজশাহীতে থাকতেন। তাই এনসিপির মহানগর সমন্বয় কমিটিতে সদস্যপদ পেয়েছিলেন। তিনি এখন নওগাঁয় রাজনীতি করতে চান।

জানতে চাইলে পরিমল চন্দ্র ওঁরাও বলেন, ‘আমি নওগাঁ-৩ আসন থেকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করতে চাই। তাই এনসিপি থেকে পদত্যাগ করেছি। আমি এনসিপিতে থাকব না।’

যোগাযোগ করা হলে এনসিপির রাজশাহী মহানগর সমন্বয় কমিটির প্রধান সমন্বয়কারী মোবাশ্বের আলী তাঁর পদত্যাগপত্রটি পেয়েছেন জানিয়ে বলেন, ‘এ বিষয়ে নিয়ম অনুযায়ী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত